নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের কাছে Urban Sprawl ও Smart Growth শব্দ দুটি খুবই পরিচিত। খুব সোজা কথায় Urban Sprawl বলতে আমরা বুঝি, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রান্ত সংলগ্ন এলাকায় নগরের বিস্তার ও নগরায়ন। বিশ্বের অধিকাংশ নগরই গড়ে উঠেছে ও বিস্তার লাভ করেছে অপরিকল্পিতভাবে। সময়ের সাথে সাথে এভাবে গড়ে ওঠা শহরগুলো যখন তাদের ধারণ ক্ষমতার মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে থাকে তখন সামাজিক সুযোগ সুবিধাগুলোর ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যার সূত্রপাত ঘটে। এই সমস্যাগুলোর মোকাবেলায় সত্তরের দশকের শুরুতে নগরায়নের আরেকটি ধারণার জন্ম হয় যা Smart Growth নামে পরিচিত। Smart Growth হল পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক নগরায়ন। এখানে শহরকেন্দ্র থেকে আবাসিক এলাকাগুলো খুব দূরে হবে না, লোকজন পায়ে হেঁটে, সমষ্টিগত বাহনে (বাস, ট্রেন) অথবা সাইকেলে চেপেই গুরুত্বপূর্ণ স্হান গুলোতে যেতে পারবে। এখন কথা হল নতুন শহরগুলো নাহয় পরিকল্পনা করা গেল, কিন্তু যে শহরগুলো ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে তাদের কি হবে? দেখা যাচ্ছে এই পুরোন শহরগুলোতেই মানুষকে আসতে হচ্ছে নানা প্রয়োজনে। একেকটি সড়কেরও নির্দিষ্ট ধারণক্ষমতা থাকে। বড় শহর ও শহরতলীর মধ্যে যোগাযোগের রক্ষা করতে গিয়ে সেই ধারণক্ষমতার মাত্রা অতিক্রম করে। আধুনিক নগরায়নের ধারণায় এ সমস্যা মোকাবেলায় ব্যবহৃত হচ্ছে Mass Rapid Transit, জীবাশ্ম জ্বালানীর পরিবর্তে বিদ্যুৎ কিংবা সৌ্র শক্তির ব্যাবহারে বাস (Bus Rapid Transit, BRT) এবং ট্রেন (Light Rail Transit, LRT) যোগাযোগ ব্যাবস্থা। এই LRT অধিকাংশ জায়গায় মেট্রোরেল নামেই বেশি পরিচিত।
ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের কারণে ইদানিং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সোস্যাল মিডিয়া সরব হয়ে উঠেছে। প্রস্তাবিত তিনটি রুটের একটি, MRT-4 নিয়ে বিমান বাহিনীর অভিযোগের কারণে প্রথম প্রকল্পটি জটিলতার মুখে পড়ে। সেই জটিলতা কাটিয়ে উঠেতেই MRT-6 রুটটি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কি অভিযোগ থাকতে পারে তা কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছিল না। প্রবাসে যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়েছে তার একটির ঠিক পাশেই ট্রেন স্টেশন ছিল। সেই ট্রেন নিয়ে ছাত্রদের অনেক অভিযোগ ও অভিমান দেখেছি, কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত কারণে, এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো ঐ স্টেশনে দাঁড়াতো না এবং প্রতিদিন পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রেন ছিল না বলে। পশ্চিমা ও দূর প্রাচ্যের দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিকল্পিত ভাবেই Mass Rapid Transit এর ব্যবস্হা থাকে ছাত্রদের যাতায়াতের কথা বিবেচনা করেই। নেটে একটু ঘাটাঘাটি করলেই অজস্র উদাহরণ পাওয়া যাবে।
বস্টন ইউনিভার্সিটি মেট্রো স্টেশন
Source www.wbur.org
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি এল, এ, মেট্রো স্টেশন
Source: www.amoeba.com
যেখানে পৃথিবীর অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেট্রোরেলের ব্যবস্হা আছে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক ছাত্র-শিক্ষকের আপত্তির কারণটা তবে কি হতে পারে? অন লাইন নিউজ পোরটালগুলো খবর সার্চ করে যা পাওয়া গেল তা হল এই রকমঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, মেট্রোরেলের রুটটি যদি ঢাকা বিশ্ববিদালয় দিয়ে যায়; তাহলে হুমকিতে পড়বে গোটা ক্যাম্পাসের শিক্ষা পরিবেশ। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চারুকলা, টিএসসি ও দোয়েল চত্বর এলাকা। মেট্রোরেলের কারণে কাঁপবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আইকন-স্থাপনা কার্জন হলের একেকটি ইট।সমাবেশে যোগ দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান বলেন, ‘মেট্রোরেল হলে চাপা পড়বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকারান্তরে চাপা পড়বে দেশের মেধা-মনন। এই ধরণের উন্নয়ন ধারণার সবচেয়ে বড় গলদ হচ্ছে অপরিণামদর্শীতা। ইতিহাস গড়ার বিদ্যাপীঠে এধরণের হঠকারী উন্নয়ন অজস্র জটিলতা নিয়ে আসবে।’
সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘এই প্রজেক্ট আসলে ফাঁকিবাজির উন্নয়ন। এত বড় একটি প্রকল্প ঢাবি দিয়ে হবে; অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই পাশ কাটিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেলো। এই রেলের কারণে যে কম্পন হবে তাতে কোনোভাবেই বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোতে গবেষণা কাজ চালানো যাবে না। মেট্রোরেলের তীব্র শব্দে চমকে উঠবে সবাই’।
মানববন্ধনের আয়োজকদের একজন প্রাণ-রাসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তাইসা তাশরীন বলেন, মেট্রোরেলের রুটটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে গেলে হুমকিতে পড়বে গোটা ক্যাম্পাসের শিক্ষা পরিবেশ। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চারুকলা, টিএসসি ও দোয়েল চত্বর এলাকা।
সোস্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবিও প্রচার করছে একটি গ্রুপ। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে মেট্রোরেলের পিয়ার/কলাম রাজু ভাস্কর্যের বেদীর ওপর দাঁড়িয়ে আর ভায়াডাক্ট চলে যাচ্ছে টিএসসির ওপর দিয়ে।
ফটোশপ করে এবং অবান্তর তথ্য দিয়ে যখন কোন বার্তা উপস্হাপনের চেষ্টা করা হয় তখন বুঝতে হবে যে এর পেছনে কোন আসৎ উদ্দেশ্য আছে। Dhaka Transport Coordination Authority এর দেয়া বর্ণনা অনুযায়ী মেট্রোরেলের এ্যালাইনমেন্ট হবে রাস্তার মেডিয়ান বরাবর। সে অনুযায়ী ঐ ছবি পুরোপুরি মিথ্যা এবং প্রকৌশলগত বিবেচনায়ও তা সম্পূর্ণ অবান্তর। মেট্রোরেল এবং সাধারণ রেলগাড়ির মধ্যে তফাৎ অনেক। Light Rail বিদ্যুৎ ও সৌর শক্তি চালিত, জীবাশ্ম জ্বালানী নয়, এর গতি ও Acceleration Rate অনেক বেশি, এর দ্বারা শব্দ এবং পরিবেশ দুষণ সর্বনিম্ন। বলা যায় একটি প্রাইভেট কারও এর চাইতে বেশি পরিবেশ দূষণ করে। সুতরাং শব্দ দুষণের যে অভিযোগটি করা হচ্ছে সেটিও খুব দুর্বল। নিচের ছবি দুটো তুলনা করলেই বোঝা যাবে যে ময়লাবাহী ট্রাকও মেট্রোরেলের চাইতে বেশি শব্দ দূষণ করে।
মেট্রোরেলের অফিসিয়াল কনসালটেন্ট Delhi Metro Rail Corporation শব্দ দূষণ কমাতে রেলের বাঁকগুলোতে Self Lubricating Wheel প্রযুক্তি ব্যাবহার করে। ধরনা করি এক্ষেত্রেও তারা একই প্রযুক্তি ব্যাবহার করবে।
এবার মেট্রোরেল জনিত ভূ-কম্পনের সমস্যায় আসা যাক। Light Rail এ Vibration Mitigation হয় বিভিন্ন ভাবে ও বিভিন্ন স্তরে। Super Structure Level এ ইলাস্টোমেরিক ও পলিমার প্যাডিং এবং Sub Structure Level এ Mass Spring ও Hydraulic Arm এর সাহায্যে কম্পন মোকাবেলা করা হয়।
ছবিঃ Jakarta Metro Rail Project
Source: www.RailJournal.com
এখন কথা উঠতে পারে বাংলাদেশে কি এতসব দূষণ প্রতিরোধ ব্যাবস্হার প্রয়োগ হবে কিনা। MRT-5, 4 এবং 6 এ Light Rail প্রযুক্তি, আর এই প্রযুক্তিতে এসব প্রতিরোধ ব্যাবস্হার প্রয়োগ বাধ্যতামূলক। যদি এসবের প্রয়োগ না হয় তখন তাকে Light Rail না বলে সাধারণ রেলগাড়ি বলা উচিত। আমরা যদি পদ্মা সেতুর বাস্তবতায় বিশ্বাস করতে পারি তবে শব্দ ও কম্পন দূষণমুক্ত মেট্রোরেলের বাস্তবতায় অবিশ্বাস করার মত কোন কারণ আমি দেখিনা। এখনো পরযন্ত মেট্রোরেলের বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ শুনেছি তার সবগুলোই মনে হয়েছে Mass Rapid Transit সম্বন্ধে না জানার কারণ অথবা নিছক উদ্দেশ্য প্রণোদিত অকারণ। কত ডেসিবলের শব্দে ল্যাবরেটরিতে গবেষনায় অসুবিধে হবে সে হিসেবটা সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষিকা না করে রসায়ন বা পদার্থ বিদ্যার শিক্ষক-শিক্ষিকারা করুক। প্রযুক্তির চিন্তাটা করুক প্রকৌশলীরা, আর রেলের এ্যালাইনমেন্ট কোন পথে হবে সেটা করুক নগর পরিকল্পনাবিদরা। আশা করছি এই মেট্রোরেলে চেপেই বিদেয় হবে শিক্ষাঙ্গনে জড়ো হওয়া সব প্রাগৈতিহাসিক চিন্তা চেতনা।
মন্তব্য
যা বুঝলাম মেট্রো রেলের স্টপেজ টিএসসি/দোয়েল চত্বরের হওয়া না হওয়া দিয়ে সমস্যা। ওখানে একটা স্টেশন হলে একটা বিরাট এলাকার লোক ওখানে নামবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটা ফার্মগেটের সূচনা হবে। ধুলোবালি আছে, অন্যান্য দুষণও আছে। পৃথিবীতে বহু জায়গায় এই কারণে এসব প্রজেক্ট সংশোধন ও বাতিলও হয়। ঢাকার বুকে এক চিলতে সবুজ জায়গা ভুলে থাকতে আধুনিকমনাদের এতো সমস্যা কেন?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
শুরুতে অতিউৎসাহীরা কিছু ভীড় করলেও করতে পারে, কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে হয় না। ফার্মগেট বাস টেম্পুর একটা জটিল হাব, টিএসসি-দোয়েল চত্বর তা না। মেট্রোরেল থেকে ধূলো বালি হবার কোন রকম সম্ভাবনাই নেই। অন্যান্য দেশে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও ইআইএ লেভেলে বাতিল হয়। এখানে সেটা হয়ে গেছে। এখন গ্রাউন্ড ব্রেকিং এর ঠিক আগ মুহুর্তে এসব অভিযোগ একেবারেই অকারণ।
এই মনে না হবার বেসিসটা কী? কোন জ্যাম ছাড়া পুরনো ঢাকা, মেডিকাল, সচিবালয়ে যাওয়া যাচ্ছে — এই সুযোগ ছাড়বে কেন লোকে? ওখানে কতো লোকের দৈনিক সমাগম হবে এটার কোন এস্টিমেট আছে?
কেন নেই? মেট্রোরেল একটা বাতাস প্রবাহিত করবে চলার সময়। এই বাতাসে ধুলো উড়ে কার্জন হলের মাথায় ওঠার কোন সম্ভাবনা কীভাবে বাতিল করা হলো?
অন্যান্য দেশে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও ইআইএ লেভেলে বাতিল হয়। এখানে সেটা হয়ে গেছে। এখন গ্রাউন্ড ব্রেকিং এর ঠিক আগ মুহুর্তে এসব অভিযোগ একেবারেই অকারণ।
অন্যান্য দেশের দিকে আমাদের সবসময় তাকাতে হয় কেন? জার্মানি কি আমেরিকা কী করলো সেই অনুযায়ী তাদের মহা, উড়াল ইত্যাদি সড়ক ডিজাইন করে? স্টাডি যদি অপরিণত হয়, অথবা প্রজেক্ট-পাশ-করিবার-স্বার্থে-ফিজিবল এইরকমটা হয় তাহলেও কি আমরা বাইরের বিশ্বের দিকে তাকিয়ে থাকবো? আরেকটা কথা, ইআইএতে সবধরণের ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার কথা আনা হয়েছে? জানেন কিছু?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এখানে একাধিক পক্ষ সংশ্লিষ্ট। জাইকা, ঢাকা কমিউটার ট্রানজিট অথরিটি, দিল্লী মেট্রোরেল কতৃ পক্ষ, তার ওপর বুয়েটের 'বিজ্ঞ' শিক্ষকবৃন্দ। যেনতেন প্রকারে করা রিপোর্ট এতগুলো রিভিউয়ারকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। যে কোন উন্নয়নের জন্য কিছুনা কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়। রাস্তার পাশে যে ড্রেন থাকে সেটিও কিন্তু পথচারীর জন্য সেইফটি হ্যাযার্ড। প্রশ্ন উঠতে পারে কস্ট বেনিফিট রেশিওর হিসেব নিয়ে।
যেমন আবাসনের ক্ষেত্রে স্ট্রাকচারালি সবচেয়ে সেইফ হল কুঁড়েঘর, বাহনের ক্ষেত্রে গরুর গাড়ি।
EIA রিপোর্টের সবটুকু পড়ে বোঝার মত বিদ্যা আমার নাই এটা স্বীকার করেই একটা কথা বলি। EIA রিপোর্টের ১০৯ নং পৃষ্ঠায় একটা ড্যাটা টেবিল আর গ্রাফ আছে। দুটো ভেরিএবলের মধ্যে কোরিলেশন দেখার জন্য লাইন গ্রাফ করতে আমি আগে কাউকে দেখি নাই। জাইকা, ঢাকা কমিউটার ট্রানজিট অথরিটি, দিল্লী মেট্রোরেল কতৃপক্ষ এদের কথা বাদই দিলাম, বুয়েটের 'বিজ্ঞ' শিক্ষকবৃন্দের তত্ত্বাবধানে যেসব আন্ডারগ্রাড ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রজেক্ট করে তারাও এই ধরনের শিশুতোষ ভুল করবে বলে মনে হয় না। এই রিপোর্ট যারা তৈরি করেছেন আর যারা রিভিও করেছেন হয় তারা তাদের কোর্স কারিকুলামের পরিসংখ্যান-১০১ কোর্স থেকে কিছুই শিখেননি অথবা চোখ বন্ধ করে রিপোর্ট তৈরি আর রিভিও করেছেন।
-আতোকেন
অমুক দেশের রেলপথ তমুক জায়গায় দিয়ে গেল-ঘরের ভেতর দিয়ে গেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে গেল--সুতরাং আমাদের দেশের মধ্য দিয়ে গেলে সমস্যা কি----এধরনে যুক্তি হাস্যকর।প্রতিটি দেশের প্রতিটি জায়গা নির্দিষ্ট সিগনিফিকেন্ট বহন করে যা ইনডিভিজুয়্যালী আলচ্য,তুলনামূলক না।১।জাদুঘর,গ্রন্থাগার,রাাজু ভাষ্কর্য,টিএসসি,কার্জন হল,বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট, বাংলা একাডেমী,বইমেলা,মঙ্গল শোভাযাত্রা,যে কোন প্রগতিশীল আন্দোলন।।ইত্যাদি নিশ্চয়ই আপনার উদাহরনকৃত ক্যালিফোর্নিয়া কিংবা সিওল ইউনিভার্সিটির রেল পথের ধারে পাবেননা।সো তুলনা করলে এসব নিয়েই করা উচিত। ২। এ রাস্তাটা পুকুর খনন করে কিংবা বিল্ডিং উঠিয়ে বন্ধ করে দিলে এদেশের অধিকাংশ লোক,বিশেষ করে আমলারা খুশি হবে এবং তাই করতে চাইবে (কিছুদিন আমলাগিরী করেছি বলে আমলাদের সম্পর্কে ভাল ধারনা আছে)-কারন এটা বন্ধ করে দিতে পারলেই এ দেশের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য অনেক বৃদ্ধি পায় ।উন্নয়নের দোহাই দিয়ে কিংবা দলীয় লেজুড়বৃত্তি করে আমরা কি সেই কাটা শামুকেই পা দিচ্ছিনা? ২।বোস্টন স্টেশনের ক্রাউড ডেনসিটি আর দোয়েল চত্বরের ক্রাউড ডেনসিটি একই ভাবে তুলনা করা হাস্যকর। ৩।রেল শাহবাগ পর্যন্ত আসলেই ছাত্রদের যথেষ্ট উপকার হয়, একে বারে হলের সামনে,ক্লাসের সামনে নামিয়ে দিতে হবে এমন দাবীত কেহ করে নি। ৪। কাগজে-কলমে-কিতাবের হিসাব প্রয়োগের কিছুদিন পর যে আমাদের দেশে উল্টে যাবে তা চিন্তা না করাটাই অবাস্তবিক।
মেট্রো রেল ঢাবির ভেতর প্রস্তাবিত রুট দিয়ে গেলে প্রগতিশীল আন্দোলন ঠিক কীভাবে বিনষ্ট হবে?
অন্য দেশে হচ্ছে বলেই আমাদের দেশে হতে হবে, সেই যুক্তির ব্যাখ্যা এখানে দেয়া হয়নি। স্যাচুরেটেড রোড নেটওয়ার্কে যানজট কমানোর একটা উপায় হিসেবে এর প্রয়োজনীয়তা শুরুতেই বলা হয়েছে। অন্য দেশের কথা এসেছে উদাহরণ হিসেবে।
গজ-ফিতা-দড়ি দিয়ে রাজু ভাষ্কর্যের সাথে আইনস্টাইনের স্ট্যাচু তুলনা করতে পারবেন বাট আবেগ যদি মেজার করতে পারতেন তবে হয়ত তেল জল এক করে মেশানোর কথা বলতেননা।
মেট্রোরেলের ৫০টি স্টেশনের মধ্যে দোয়েল চত্বর একটি। বাদবাকি ৪৯টি স্টেশন ছেড়ে শুধুমাত্র দোয়েল চত্বরে বাংলার ভূখা নাংগা মানুষ কি ভীড় করবে দোয়েল পাখিদের দেখার জন্যে?? কিন্তু মেহনতি মানুষের ভীড়ে বাংলার চে গুয়েভারাদের তো খুশি হবার কথা!
যে কোন ভাল জিনিস পেতে হলে কিছুটা ছাড় অবশ্যি দেওয়া উচিত। সবকিছুতে এভাবে ঢালাও ভাবে আপত্তি করতে থাকলে সরকারের পক্ষে কোন উন্নয়ন করা সম্ভবপর হবেনা। আমার মনে হয়, মেট্রোরেলের অবস্তান নিয়ে আপত্তি না করে, প্রতিবাদকারিদের উচিত, মেট্রোরেল এর ক্ষতিকর দিক গুলো যাতে ভার্সিটিতে প্রভাব না ফেলে, সরকারের কাছ থেকে সেই নিশ্চয়তা আদায় করে নেওয়া।
"বলদ মানুষ"
//।১।জাদুঘর,গ্রন্থাগার,রাাজু ভাষ্কর্য,টিএসসি,কার্জন হল,বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট, বাংলা একাডেমী,বইমেলা,মঙ্গল শোভাযাত্রা,যে কোন প্রগতিশীল আন্দোলন।//
ওনাদের প্রস্তাবিত লাইন হলো রোলার কোস্টারের জন্যি প্রযোজ্য। থা ওনার পথেই ওনার প্রশ্নের উত্তর দেই -
তারা বলছেন শাহবাগ থেকে ঘুরে শিশু পার্ক হয়ে রম্নার পাশ দিয়ে মৎস্য ভবনের দিকে নিয়ে যেতে। তাহলে কি এই লাইন বারডেমকে দুই দিক থেকে ঘিরে ধরবে না। শিশু পার্কের পাশ দিয়ে নিয়ে গেলে কি শিশুরা ক্ষতি গ্রস্থ হবে না?? মঙ্গল শোভাযাত্রা এক ঘন্টার ব্যাপার তো, তার চেয়ে সারাদিন ব্যাপী রমনার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বেশী গুরুত্বপূর্ন নয়??
এখন কথা হলো বারডেম, শিশুপার্ক, রমনা কেন ঢাবি থেকে বেশী গুরত্বপূর্ন নয়??
"মেট্রোবলদ"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভেতর দিয়ে যে পরিমান যানবাহন চলে,আপনার উল্লেখিত কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভেতর দিয়ে তার অর্ধেক বা সে পরিমান যানবাহন চলে কি?? প্রতিদিন যে পরিমান বহিরাগত মানুষজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যাবহার করে,তার অর্ধেক লোকজন ও কি এইসব বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভেতর দিয়ে চলাচল করে? প্রতিদিন কি সেসব বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভেতর কি জ্যাম-জট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মত লেগেই থাকে,জ্যাম লাগিয়ে সবাই অনবরত হর্ন বাজাতেই থাকে?? তাদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কি আমাদের মতই করুণ?? রাজনৈতিক সভা সমাবেশে এসে ক্যাম্পাস নোংরা করে যায়?? বহিরাগত লোকজন দ্বারা ছাত্রীরা নিয়মিত ইভ-টিজিং এর শিকার হয়? বহিরাগত লোকজন ক্যাম্পাসের যে কোন রাস্তার পাশে নিয়মিত প্রস্রাব করতে দাড়িয়ে যায়?,ক্যম্পাসের রাস্তায় রাস্তায় ভাসমান,নেশাখোরদের দখলে থাকে??ক্যাম্পাসের রাস্তায় ছিনতাইয়ের শিকার হয়???ক্যাম্পাসের ভেতরে পাবলিক বাস চলাচল করে,যার জন্য আলাদা রুটই আছে!!??ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে মেট্রো সুবিধা এগুলো কমাবে না বৈ কি,বরং বাড়াবে।
সন্ত্রআস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য ক্যাম্পাসের অন্যতম একটি নিদর্শন,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক,অধিকাংশ প্রতিবাদ সমাবেশ-প্রগতিশিল আন্দোলনেরই সূচনা রাজু ভাস্কর্য কেন্দ্রিক;শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র ছাত্রিরা না,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের স্থান হিসেবে অনেকেই এখানে জড়ো হন, সেই রাজু ভাস্কর্যের প্রায় পুরটাই ঢেকে যাবে মেট্রো রেলের জন্য নির্মিত উড়াল সেতুর নিচে!! অথচ রাজু ভাস্কর্যের জায়গাটা চাইলেই এড়িয়ে যাওয়া যেত!! আরও অনেক প্রশ্নই তোলা যায়!!
যতটুকু সুবিধা হবে তার চেয়ে অসুবিধাই যদি বেশী হয়, তাহলে তাকে সাদরে গ্রহণ করব কেন??
বিস্তারিত অনেক কিছুই এই নোটে আছে আশা করি পুরোটা পড়ে দেখবেন
লিঙ্কঃ
ঢাবির ওপর দিয়ে মেট্রো রেল গেলে এর ভেতর দিয়ে অন্যান্য যান চলাচল আরো কমে যাবে। তখন বরং পাবলিক বাস রুট বাতিলের জন্য চাপ দিতে পারবেন। আর ঢাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের গর্হিত আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মেট্রো রেলের রুট বাতিল তো কোনো সমাধান নয়, এখন তো তারা বিনা মেট্রো রেলেই সেগুলো করছে।
I agree with the point this article is trying to make, but there are some technical flaws in the article, which makes it weak.
Although there are no strict definitions, generally, LRT= Light Rail Transit = tram-ish system (often at grade, may or may not share the right of way with other vehicles on a road, lower capacity than MRT). MRT = Mass Rapid Transit = heavy rail (grade separated, higher capacity). Dhaka's system will be MRT.
Also, the major source of noise is not engine noise (electric engines are quieter), but the noise due to the friction between rail and wheels. MRT will be noisier than LRT, especially because it will be elevated (but of course there are remedial measures to minimize the noise). However, the claim that a private car is noisier is exaggerated.
Unless electricity is generated from renewable energy (e.g. solar, which is not the case in Bangladesh), fossil fuels still drive the trains indirectly.
While a photo-shopped picture by the anti-MRT campaign is definitely not acceptable, a median alignment will actually make reality somewhat quite similar to the picture (although MRT could be higher, or a bit further, but in essence it is not as wrong as claimed in the article).
There are quite a few such misinformation. Correction will be much appreciated.
(PS. I am not used to typing in Bangla)
১। প্রগতিশীল আন্দোলন বিনষ্টের কথা ত বলিনি।যেকোন আন্দোলন করতে চাইলে সেটি নোয়াখালী সোনাপুরের রেলের চিপা থেকেও করা যায়,ফেনীর মহুরীর চর কিংবা ভোলার চর কুকরী-মুকরী থেকেও করা যায়।কিন্তু যে বিষয়টি বলতে চাচ্ছিলাম: এখানে ছোট্ট একটা জায়গায় অনেকগুলো ইতিহাস-ঐতিহ্য,আন্দোলন,সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এবং নিজস্ব বৈশিষ্ট্য তৈরী করে ফেলেছে।এ ছোট্ট জায়গা টা তার নিজস্বতা নিয়েই থাকনা।২।শাহবাগে এই উন্মুক্ত জায়গাটিতে কাদের মোল্লার ফাসির জন্য জেলা শহর থেকে নতুন চাকরী ছেড়ে চলে এসে নীরবে জয়বাংলা স্লোগান দিয়েছিলাম,সে জায়গা টি ঢেকে যাওয়া দেখাটা নিজের জন্য খুব কষ্টকর মনে হয়,মনে হয় সে ইতিহাসটিকে কেহ চাপা দিয়ে মেরে ফেলছে----এএ ইমোশনটা আসলে অন্যের পক্ষে লজিক্যালী বা টেকনিক্যালী মেজার করা সম্ভব না।
সবাই চায় তার চেনা ল্যান্ডস্কেপটা টিকে থাক। কিন্তু একবার চিন্তা করে দেখুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্তর বা আশির দশকের ছাত্রেরা যদি একই গোঁ ধরতেন, আজ হয়তো অনেক ছাত্র অবকাঠামোর অভাবে ঢাবিতে ভর্তির সুযোগও পেতেন না। ঢাবির "নিজস্বতা" তো ঢাবির ভেতরে যে কোনো নির্মাণ প্রকল্পের পরই পরিবর্তিত হয়েছে।
ঢাকার মানুষ যানজটে কষ্ট পায়। কোটি কোটি কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। মেট্রো রেলের কল্যাণে বহু লোকের কষ্ট প্রশমন হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে যদি নগরের মানুষের এই কষ্টের কথা বিবেচনায় না নেয়, তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার সাথে ঢাবির কোনো পার্থক্য থাকে না। ঢাবিতে যখন কোনো দাবিতে আন্দোলন হয়, তার ছোঁয়াচ তো শহরের অনেক অংশে ছড়িয়ে পড়ে। কখনো কি মানুষকে বলতে শুনেছেন, তোমাদের কাজকারবার দিয়ে আমাদের নিজস্বতা পণ্ড কইরো না?
ঢাবির নিজস্বতা এর ভেতর দিয়ে যাওয়া মেট্রো রেলকেও অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারবে। চারুকলার সামনে মেট্রোরেলের স্থাপনাগুলো হয়তো নতুন নকশায় ভরে উঠবে বিভিন্ন পালা-পার্বণে। আরো কতো চমৎকার আইডিয়া ছাত্ররা বের করে ফেলবে, যেটা হয়তো আমাদের ভাবনায়ই আসবে না। নতুন কী করা যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা হোক।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপনি এত সুন্দর সুন্দর ছবি না দিয়ে একটা কাজ করুন। চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন মহাখালী বা সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ডের নিদেন পক্ষে কমলাপুর রেল স্টেশনের একটা অংশ দোয়েল চত্বরে বসিয়ে দিলে কেমন দেখাবে?
-আতোকেন
মহাখালী বা সায়দাবাদ বাসস্টেন্ডে তো শয়ে শয়ে বাস আসে যায়। দোয়েল চত্বরে কিছু সময় পর পর একটা করে ট্রেন আসবে। এক মিনিট থামবে, তারপর চলে যাবে। আর ঐটাতে মংগল গ্রহ থেকে এলিয়েন রা আসবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত বর্তমান ভবিষ্যত ছাত্রছাত্রীদের বাপ মা ভাই বোনেরা, যাদের খাজনার টাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গায়ে ফু দিয়ে কয়েক বছর কাটায় দিতে পারে, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা আশেপাশের কোন এলাকায় জরুরী কাজ করতেই আসবে। মেট্রো না হইলে ঐ কাজে তারা সিএনজি কিংবা গাড়ি নিয়ে কেম্পাসের ভিতর দিয়েই আসবে যাবে। বাইরের মানুষে এত এলার্জি থাকলে কেম্পাস থেকে আপনিও বের হইয়েন না।
সহমত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহরের বাইরের কোন মঙ্গল গ্রহ না, শহরবাসী যে চাপ নিচ্ছে শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেও ঠিক সেই চাপ সমানভাবে নিতে হবে।
..................................................................
#Banshibir.
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি এখনই সেই চাপ নিচ্ছে না? এক পাবলিক বাস আর ট্রাক ছাড়া সব কিছুইতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্য দিয়ে যায়।
২। মেট্রো রেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে না গিয়ে পাশ দিয়ে গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি চাপ নিবে না?
কারন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আসবেন তারা মাত্র পাঁচ মিনিটের হাটার দূরত্বে থাকবেন।
ঢাকার প্রানকেন্দ্রে যে অল্প কয়েক জায়গায় এখনো একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়া যায় সে জায়গাটাতেই কেন উন্নয়নের চাপ পুরোপুরি নিতে হবেই হবে এই বিষয়টা বুঝতে পারি না, হয়তো আবেগের জন্যই পারিনা। যেমন পারিনা সেনানিবাসে গেলে একে ঢাকার অংশ বলে মিলাতে। যারা এখন উন্নয়নের বাজনা বাজাচ্ছেন তাদের ঐ ব্যাপারে কোন কথা বলতে দেখি না, শুধু দেখি তাদের কোন এক গোপন ক্ষোভ উগড়ে দেবার জন্য কোথাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের গন্ধ পেলেই যুক্তি আবেগ সব মাথায় তুলে ব্যক্তিগত আক্রমনে নেমে পড়তে।
-আতোকেন
ও ভাই, আপনাগো ঢাকা ভার্সিটির বাস যে রং সাইডে সারা দিন চলাফিরা করে, পান থেকে চুন খসলে পোলাপান নাইমা পাবলিকের গাড়ি ভাংচুর করে, তখন কি তার চাপ ঢাকা শহর নেয় না? কেম্পাসের সব ছাত্রছাত্রী কি হলে থাকে? তারা যে শহরের নানা মাথা থেকে ঢাকা ভার্সিটি যায় আসে, তাগো চাপ ঢাকা শহর নেয় না? তাইলে পাবলিক দুই মিনিট কেম্পাসের উপর দিয়া গেলে এত হাউকাউ করেন কেন?
সেনানিবাসের ভিতর দিয়াও তো বাস চলে গাড়ি চলে। পড়েন ঢাকা ভার্সিটিতে আর মনে মনে হইতে চান সেনানিবাসী। ভার্সিটি ছাইড়া তাইলে হাবিলদার হন, লেফরাইট করেন।
ওরা অধম তাই বলিয়া আপনি উত্তম হইবেন না কেন?
..................................................................
#Banshibir.
এই প্রশ্নের কোনও উত্তর পাবেন না।
--
ঘুমকুমার
আপনি শুধু ঘুমান না। ঘুম থেকে উঠে স্বপ্নে পাওয়া সিধান্ত ও বিলি করে বেড়ান।
-আতোকেন
এটা আমার কথা না। একটা নগর কেমন হওয়া উচিত এই প্রশ্নের উত্তরে লুই কান বলেছিলেন। ঢাকা শহরে সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত যে অংশটুকু লুই কানের এই মানদন্ডে কিছুটা উৎরে যেতে পারে সেটুকুর অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য কথা বলা যদি অধমের পরিচায়ক হয় তবে এই অপবাদটুকু হাসিমুখে মাথা পেতে নিলাম।
-আতোকেন
মেট্রোরেল হলে বাচ্চাটা পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে বাপের হাত ধরে টুপ করে রেলে চড়ে উঠে কু ঝিকঝিক দেখতে দেখতে চিন্তা করবে বড় হয়ে সে কিভাবে সবকয়টা ক্যান্ডির দোকান কিনে নিবে। সমস্যা নাই।
..................................................................
#Banshibir.
যে কথা আমি বলি নাই তা আমার মুখে গুজে দিয়ে লাভ কি বলেন?? কে কার খাজনার টাকায় ফু দিয়ে দিন কাটায়, বাইরের মানুষে কার কত এলার্জি এই সব কথা আমার মুখে গুজে দিলে আপনার খুব সুবিধা হয় বুঝি? আপনার বাক্যবিন্যাস আর যে নামে লিখলেন এতেই আপনার সুরুচির চমৎকার পরিচয় পাওয়া গেল। মেট্রো রেল ফেল অনেক পরের ব্যাপার, আপনি আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিজের এলার্জির চিকিৎসা করান। এই রকম খোলা দগদগে ঘা নিয়ে লোকসমাজে ঘুরে বেড়ানোটা কোন কাজের কথা না।
-আতোকেন
যার নাম আতোকেন, তার উচিত না চেতোকেনের নাম নিয়ে চেতাচেতি করা।
যেই কথা পেটে নিয়া ঘুরেন, সেই কথা মুখে গুজে দিলে এত রাগেন কেন? আপনার বাপদাদারা কমলাপুর সায়দাবাদ সদরঘাট দিয়াই ঢাকায় ঢুকছে, উইড়া আসে নাই। কমলাপুর সায়দাবাদের সমস্যা তো এক জায়গাতেই, অনেক মানুষ। এই মানুষদের খাজনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন, আবার এরা কেম্পাসের উপর দিয়ে দুই মিনিট চলাফিরা করবে সেই নিয়া এত চেতাচেতি। পাবলিকের পয়সায় লেখাপড়া করে খালি বাক্যবিন্যাস আর সুরুচি কামাইলেই হবে না, পাবলিকের ভালমন্দ বুঝার আক্কেলও কামাইতে হবে।
নাম বিকৃত করে মজা নেয়া শিশুসুলভ কাজ কারবার। মেট্রো রেল নিয়ে আলোচনা করতে এসে এই সব শিশুসুলভ কাজ প্রমান করে আপনার মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হয়নি,হয়ত আয়োডিনের ঘাটতি। অবশ্য আরও একটা সম্ভাবনাও আছে। দুই লাইন আলোচনার পর বাপদাদার প্রসঙ্গ নিয়ে আসলেন বলে মনে হল। আপনার বাপদাদারা মনে হয় কোন একসময় জমিদার ছিলেন, কিন্তু আপনার জন্মের সময় সেই শানশওকত আর ধরে রাখতে পারেননি। ফলে দূর্ভাগা আপনি সেই গল্পই শুনেছেন আর ভেবেছেন পুরো দেশটা আপনার তালুক। তারপরও যতটুকু সম্পদ আপনার পূর্বপুরুষের ছিল সেটাও শেষ করেছেন নিজের জন্য সার্টিফিকেট কিনতে গিয়ে। শেষ পর্যন্ত যেটা রয়ে গেছে আপনার মধ্যে সেটা হল জমিদারদের অভ্যাসজাত একটা মানসিক বিকার। তাই পাবলিকের ভালমন্দ বুঝার ব্যাপারে নিজের কথাকেই বেদবাক্য মনে করেন, দুই চারটে বেয়াদব প্রজা দেখলে সকল প্রজাকে কষে একটা গালি দিয়ে মানসিক বিকার চরিতার্থ করেন, এই আরকি।
আপনার কেসটা যাই হোক না কেন আপনার জন্য ভবিষ্যতে আর একটা শব্দ খরচ করার অভিপ্রায় আমার নেই। আপনি বরং নিজের মানসিক দৈন্যতার ক্রমাগত প্রকাশ ঘটিয়ে যান। যেহেতু ঢাবি নিয়ে আপনার গোপন ক্ষত চুল্কে চুল্কে দ্গদগে ঘা বানিয়ে লোকসমাজে না ঘুরলে আপনার মানসিক বিকার চরিতার্থ হয়না তাই আমার উদ্দেশ্যে আপনার আগের ও ভবিষ্যতে করা সব মন্তব্যের প্রতি উত্তরে শুধু একটা কথাই বলার আছে -
-আতোকেন
আপনার বিরাট বক্তিতা শুনে বুঝলাম যে গায়ে খোস পাচড়া ঘা-ওয়ালা লোকজনের সঙ্গে মিশে বড় হয়েছেন। তাই যার কথা পছন্দ হয় না, মনে মনে তার কাপড় খুলে ভিতরে ঘা আছে ভাইবা সুখ পান। আরও বুঝলাম কমলাপুর আর সায়দাবাদের চেয়ে ভাল কিছু চিন্তা করে পাওয়ার শক্তি ঢাকা ভার্সিটি আপনারে দিতে পারে নাই। হয়ত ছোট বয়সে ঢাকা ভার্সিটিতে হাটতে হাটতে চিন্তার সুযোগ পান নাই, বড় হয়ে হইছেন সার্থপর সবজান্তা সায়দাবাদী। জমিদারি আচরন তো আপনার মধ্যেই বেশী দেখলাম, যাদের খাজনায় লেখাপড়া করলেন, তাদেরই নিজের শীশমহলের বাইরে রাখার জন্য পারলে লাঠি ধরেন। অপরের গা মনে মনে ঘা ভাইবা চুলকাইয়া সুখ লাভের এই রোগ হতে মুক্ত হন, মেট্রো রেলে উঠার উপযুক্ত হন। খাওয়ার আয়োডিনে উপকার পাওয়ার বয়স আপনার আর নাই, টিংচার আয়োডিন লাগাইয়া যদি উপকার পান।
গেট ওয়েল সুন
-আতোকেন
আমাদের মহল্লায় এক উলংগ পাগল ছিল, বাড়ি বাড়ি দরজায় ইটা মাইরা চিতকার দিয়া বলত, ভালা হইয়া যা। আপনার সাথে তার অনেক মিল পাইলাম।
টিংচার আয়োডিন সুন।
-চেতোকেন
গেট ওয়েল সুন
-আতোকেন
বুঝলাম
--
ঘুমকুমার
হ্যা দুটি বক্তব্যই আমার। আমি কিন্তু আপনার নাম বিকৃত করিনি। শুধু আপনার নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দুটি বাক্য লিখেছি। যদি জিজ্ঞাসা করেন- ইচ্ছা করে করেছি নাকি? হ্যা, ইচ্ছা করেই করেছি। এই পোষ্টে যে পরিমান আক্রমনের শিকার হলাম, তাতে কিছুটা রাগতো হয়েছিল। তার উপর আমাকে করা সত্যপীর ভাই এর প্রশ্নে আপনি দুম করে এসে বলে দিলেন
তবে এখন ঠান্ডা মাথায় বলছি আপনাকে উদ্দেশ্য করে এই বাক্যটি লেখা আমার উচিত হয়নি। খুব সম্ভবত এই পোষ্টে আপনাকে করা আমার অন্য একটি প্রতিমন্তব্যও অন্য ভাবে লেখা উচিত ছিল। আপনি যদি আমার এই দুটি মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকেন আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
-আতোকেন
আরেক লিখায় পবিত্র আতোকেন ভাই এর শত ভাগ ব্যাক্তি আক্রমন মুক্ত বানী:
"আপনি যে লেখাটা লিখলেন তাতে বড্ড ভাড়াটে ভাড়াটে গন্ধ।"
"এই সব বালখিল্য যুক্তি নিয়ে ত্যানা প্যাচানোর আগে দুইটা কাজ করেন এক- গুগোল করে যুক্তি শাস্ত্রের প্রাথমিক কিছু ধারণা নেন"
আর এইখানে নিজে ব্যাক্তি আক্রমনের শিকারে ব্যাথা পেয়ে হাউমাউ কান্দন।
এই লোকটির জন্য একটাই ঔশধ, তার নিজের পকেটের এক শিশি "গেট ওয়েল সুন"
-চেতোকেন
গেট ওয়েল সুন
-আতোকেন
কিসের সাথে কিসের তুলনা করেন? সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর স্টেশন হচ্ছে একটা আন্ত-জেলা টারমিনাল। আপনি যখন লোকাল বাসে চড়েন মতিঝিল থেকে উত্তরা যাওয়ার জন্য তখন কি শাহবাগে বাস থেকে নেমে পড়েন নাকি?
--
ঘুমকুমার
বোল্ড করা অংশটা কি চোখ এড়িয়ে গেছে জনাব? এর পর ঘুম থেকে উঠে ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে যেখানে সেখানে হামলে পড়ার আগে চোখ দুটো ভাল করে কচলে নিবেন। অবশ্য আপনি যদি জেগে জেগে ঘুমান তাহলে কোন কিছুতেই কাজ না হবার সম্ভাবনা খুব বেশী।
-আতোকেন
নতুন মন্তব্য করুন