তাঁবু থেকে লেক পর্যন্ত সহজ কোন রাস্তা নেই। অনেক খুঁজে পেতে সরু একটা ঢাল মিলেছে কিন্তু এবড়ো থেবড়ো পাথরে বোঝাই সে পথ। পাথরের চাঁই গুলো পেরিয়ে নেমে আসতেই পায়ে ঠেকল নরম বালি। সামনেই ইংরেজি এস এর মতো আঁকাবাঁকা সরু লেক, পরিষ্কার টলটলে পানি, খানিকটা নীলচে সবুজ। লেকের একটা বাঁক ঘিরে রয়েছে এভারগ্রিনের জঙ্গল। উপর থেকে জঙ্গলটা চোখে পড়েনা। আশেপাশের ধূসর বালি, রুক্ষ পাথর আর পাতাঝরা গাছেদের ভিড়ে দারুণ বেমানান এই কনিফারের সারি।
ঃ ট্রাঊট ধরার জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা হয়না।
ঃ কোন জায়গার কথা বলছ?
ঃ কনিফারের জঙ্গলটা।
ঃ তা তো বটেই! এখান থেকেই দেখতে পাচ্ছি গাছের ডালে ডালে কেমন দোল খাচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ট্রাউট।
আমার রসিকতা গায়ে মাখলো না হামফ্রে।
ঃ একটু রোদ উঠলেই দেখবে পানিতে কেমন ছায়া পড়ে। লেকের অন্য অংশের তুলনায় এই জায়গাটা বেশ ঠাণ্ডা থাকবে, ট্রাউটের জন্য একেবারে আদর্শ। আমাদের জন্যও, সারাদিন রোদে পুড়ে সানবার্ন হবার টেনশন নেই।
ঃ হা হা হা, নভেম্বরে সানবার্নের টেনশন! ভালোই বলেছ তুমি।
ঃ সারাদিন রোদের মধ্যে বসে তো থাকোনি কখনও, সানবার্নের তুমি কী বুঝবে?
ঃ সারাদিন বসে থাকার কী দরকার? ঝটপট কয়েকটা মাছ ধরে চলে গেলেই হয়! দুজনে আর কটাই বা খাবো?
উত্তর না দিয়ে মাথা নাড়তে নাড়তে পা চালায় হামফ্রে।
সূর্যের দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি। বাতাসে এখনও সোঁদা একটা গন্ধ, শিশিরের। গাছের ডালে, পাথরের খাঁজে, আর ঘাসের ডগায় জমে রয়েছে মুক্তোর দানার মতো বিন্দু বিন্দু জলের কণা। হামফ্রে যে ওস্তাদ মেছুরে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই, কুশলী হাতে ঝটপট গুছিয়ে ফেলেছে সব কিছু। চারটে ছিপ, কয়েক বাক্স টোপ, একতাড়া বড়শি, দুটো বালতি, দুটো জাল, দুটো ফোল্ডিং চেয়ার - একটা টেবিল আর ছাতা বসানো দুটো পানীয়ের গ্লাস থাকলেই আর দেখতে হতোনা।
লক্ষ্যভেদ করার ক্ষমতা সকলের থাকেনা। আমার নেই, কোন কালেই ছিলনা। হামফ্রেকে বলতেই হো হো করে হেসে উড়িয়ে দিলো।
ঃ তোমাকে তো তিরান্দাজি করতে বলছিনা যে লক্ষ্যভেদ করতে হবে। পুরো লেকটাই তোমার টার্গেট। বাম হাতে ছিপটা ধরে ডানহাতে সুতোয় বাঁধা বঁড়শিটা ঘোরাবে, এক, দুই আড়াই। দুটো ফুল টার্ন আর একটা হাফ। আড়াই বলে হাত থেকে সুতোটা ছেড়ে দিলেই ব্যাস, লেকের কোন না কোন একটা জায়গায় গিয়ে পড়বে ওটা।
আমাকে দিয়ে হবেনা, কিছুতেই হবেনা জানি। কিন্তু হামফ্রের হাসিটা গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে। ছিপের সুতোটা হাতে নিয়ে দাড়াতেই অদ্ভুত একটা অনুভূতি হোলো। সুতোটা যেন একটা ল্যাসো, আমার সামনে দিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে একদল বুনো ঘোড়া।
মন্ত্রমুগ্ধের মতো সুতো ঘুরিয়ে চলেছি আমি, আমার মাথার উপর বন বন করে ঘুরছে ল্যাসোর ফাঁস। কতক্ষণ বলতে পারবোনা, হঠাৎ কানের কাছে খেঁকিয়ে উঠলো হামফ্রে
ঃ বলি সুতোটা ছাড়বে নাকি ছাড়বেনা?
ওহ তাইতো! সুতোটা তো ছাড়ার কথা। কিন্তু কখন ছাড়বো? ফুল টার্নে নাকি হাফে? আর তাছাড়া কোনটা যে ফুল আর কোনটা হাফ সেটাও ঠিক বুঝতে পারছিনা। সব কিছু তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। বুদ্ধি করে ফুল আর হাফের মাঝামাঝি একটা টার্নে সর্বশক্তি দিয়ে ছুড়ে মারলাম বঁড়শি। পাশ থেকে ‘অ্যাঁই বাপ’ বলে চিৎকার দিয়ে এক লাফে সটান মাটিতে শুয়ে পড়েছে হামফ্রে। ঠিক ‘অ্যাঁই বাপ’ নয়, মাতৃভাষায় কিছু একটা বলেছে সে, কিন্তু আমি নিশ্চিত ওটা ‘অ্যাঁই বাপ’ না হয়ে যায়না। হামফ্রের কান ঘেঁষে, গোঁত্তা খাওয়া বোলতার মতো ছুটে গিয়েছে আমার বঁড়শি। আটকেছে কনিফারের একটা ডালে।
ঃ তোমাকে আগেই বলেছিলাম আমার হাতের টিপ ভালো না।
ঃ সমস্যা তোমার হাতে নয়। খামাখা দুটো ডলার ঝুলিয়ে দিলে গাছের ডালে।
গজগজ করতে করতে নিজেই সবগুলো বঁড়শি ছুঁড়ল হামফ্রে।
হ্যামিল্টন শহর ছেড়ে বের হবার মুখেই একটা চীনা দোকান চোখে পড়েছিল। ড্রাইভ করে গেলে এতক্ষণে ঠিক ঠিক সেখান থেকে মাছ কিনে ফিরে আসতে পারতাম। বসে থাকতে থাকতে পায়ে খিল ধরে গিয়েছে। কোন দুঃখে যে মানুষ মাছ ধরতে আসে! কই, গরুর মাংস খেতে ইচ্ছে করলে কেউ তো ছুরি চাপাতি নিয়ে বাথানে দৌড়য় না।
ঃ তুমি কি নিশ্চিত এই লেক এ মাছ আছে?
ঃ সব লেকেই মাছ আছে আহমেদ।
ঃ তাহলে দু ঘণ্টায় একটারও দেখা পেলামনা কেন?
ঃ তুমি পাঁচ মিনিট পরপর ‘ওই যে, ওই যে’ বলা না থামালে দুই ঘণ্টা কেন, দুই দিনেও কিছু মিলবেনা।
এখন সমস্ত দোষ আমার। হামফ্রে বলেছিল ফাতনার দিকে নজর রাখতে। এতো বড় লেকের মাঝে ওইটুকুন ফাতনার দিকে নজর রাখা কি চাট্টি খানি কথা! দুর থেকে কেমন করে বুঝবো ওটা বাতাসে নড়ছে নাকি মাছের ঠোকরে?
তিন মিনিটও যায়নি, মনে হোলো একটা ফাতনা যেন দুলে উঠলো। বলবো না বলবো না ভেবেও বলেই ফেললাম,
ঃ ওই যে! ওই যে!
হামফ্রের হাতে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেলো। কোন হ্যাঁচকা টান নয়, অর্কেস্ট্রার কন্ডাক্টরের মতো আলতো একটা ঝাঁকুনি কেবল, তাতেই ছিপের ডগাটা বেঁকে গিয়ে সুতোটা টানটান হয়ে গিয়েছে। কিছু একটা রয়েছে অপর প্রান্তে। একহাতে ছিপটা ধরে আরেক হাতে ধীরে ধীরে হুইল ঘুরিয়ে সুতো গুটিয়ে আনে হামফ্রে। মাছটাকে দেখা যায়, জলের ঠিক তলায়, ক্ষীণ একটা রেখা এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে।
ঃ জালটা তৈরি রাখো, কাছে এলেই আটকে ফেলবে।
উত্তেজনায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। হাতজালটা পানিতে ডুবিয়ে অপেক্ষা করছি কখন সে আসে।
ঃ একটা মজা দেখবে?
আমি জবাব দেবার আগেই হামফ্রে আলগোছে একটা টান দিয়ে মাছটাকে পানির উপর তুলে ফেললো। পানিতে নেই টের পেতেই মাছটা ছটফট করে ওঠে। আমি মুগ্ধ, হা করে দেখছি মাছটা কেমন বেঁকেচুরে শরীর মুচড়ে প্রাণপণে লড়াই করছে অমোঘ নিয়তির সাথে। মাছ ধরা সার্থক।
ঃ এই যে এইভাবে মাছের মাথাটা চেপে ধরতে হয়।
তর্জনী আর বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে মাছটাকে বঁড়শি থেকে ছাড়িয়ে নেয় হামফ্রে।
ঃ ভালো করে দেখে নাও আহমেদ, দেখেছো কি? এবার ছেড়ে দিচ্ছি।
ছেড়ে দিচ্ছি মানে! বদমাইশি নাকি? মাছ ধরে ছেড়ে দেওয়া আর লটারি জিতে টিকিট ছিঁড়ে ফেলার মধ্যে তফাৎ আছে কোনো?
ঃ আমি তোমার কথা বুঝতে পারছিনা হামফ্রে। যতদূর জানি আমরা মাছ ধরতেই এখানে এসেছি। তোমার সমস্যা কি?
ঃ মাছটা ছোটো, নয় ইঞ্চির নীচে ট্রাউট ধরা বেআইনি। এটা বড় জোর ইঞ্চি আটেক হবে।
ঃ তুমি কী করে জানলে এটা নয় ইঞ্চির চেয়ে ছোট, রুলার দিয়ে মেপে দেখেছো?
ঃ ও আমার আন্দাজ আছে।
নিজের কানকে আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা। আট ইঞ্চি মানেতো তিনটে কই মাছ, নিদেন পক্ষে চারটে পুঁটি! চওড়ার দিকটা না হয় নাই ভাবলাম। আমার মৎস্যলোভী বাঙালি মনটা আকুলি বিকুলি করে ওঠে। শেষ চেষ্টা হিসেবে বললাম,
ঃ না হয় হোলোই খানিকটা ছোটো, দেখছে কে? কে আসছে এই ধ্যারধেরে জঙ্গলে আইন ফলাতে! আমি মানিনাকো কোন আইন।
হামফ্রে অবাক হয়ে সরু দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকায়। বোঝাই যাচ্ছে নজরুলের কবিতার মর্মার্থ ওর হৃদয়ে প্রবেশ করেনি।
গেল, চলেই গেল। আমার জীবনের প্রথম শিকার, জলজ্যান্ত একটা ট্রাউট যার কিনা থাকার কথা ছিল বারবিকিউএর গ্রিলে, তেলে মশলায় আবৃত হয়ে এই বাঙালির ওষ্ঠ ছুঁয়ে জিভে জড়িয়ে হৃদয় জুড়ে, সে চলে গেল সাঁতার কেটে, যেমন চলে যায় প্রথম প্রেম, বুকের ভেতর চিরস্থায়ী একটা ক্ষত রেখে।
অ্যালেন লোকো ভালোই লেখেন, "পেসেন্সঃ দ্যা আর্ট অফ পিসফুল লিভিং” পড়ে মন খানিকটা শান্ত হয়ে আসছে। আমার ছিপে মাছের দেখা নেই, হামফ্রে আরও ডজন খানেক মাছ ধরে ছেড়ে দিয়েছে। বলাই বাহুল্য, হামফ্রে কাজী নজরুলকে পছন্দ করেনা।
ঃ নাহ, কৃত্রিম টোপে বড় মাছ ভজবে না। জ্যান্ত টোপ লাগবে, কেঁচোর বাক্সটা কোথায় দেখতো।
ঃ তোমার পায়ের কাছে।
ঃ ওহ, তাই তো। আমার বঁড়শির প্যাকেটে একটা ব্লেড রয়েছে, ওটা বের কর।
ঃ ব্লেড দিয়ে কী করবে?
ঃ আমি কিছু করবোনা, ব্লেড দিয়ে একটা কেঁচোকে একটু চিড়ে দাও। ছটফট না করলে মাছ টোপ গিলবেনা।
হামফ্রে নিশ্চয়ই আমার সাথে রসিকতা করছে। ওসব কেঁচো টেচোর মধ্যে আমি নেই।
ঃ পারবোনা, তুমি কেটে নাও।
ঃ কিন্তু আমিতো কেঁচো ছুইনা! ভেবেছিলাম তুমি এটা করতে পারবে। আচ্ছা কেঁচো বাদ। সাদা তেলাপোকার বাক্সটা কোথায়?
ঃ আবার তেলাপোকা কেন? তোমার কি ধারণা তেলাপোকায় আমার আপত্তি নেই?
ঃ আরে না চিন্তা করোনা। তেলাপোকায় আমি অভ্যস্ত, কাটাকুটির ঝামেলা নেই, বঁড়শিতে গেঁথে দিলেই হোলো । সবচে ভালো হোতো বুলফ্রগের বাচ্চাগুলো দিতে পারলে।
তেলাপোকার বাক্সটা খুঁজে পাওয়া গেলনা।
ঃ তুমি ছিপগুলোর দিকে নজর রাখো, আমি তাঁবুতে গিয়ে বাক্সটা নিয়ে আসছি।
ঃ কী দরকার? যেভাবে চলছিল চলুক না। আর তাছাড়া কতটা পথ ঘুরে যেতে হবে ভেবেছ? তোমার যেতে আসতে অনেকক্ষণ লেগে যাবে। আমি একা একা কী করবো যদি মাছ টাছ পেয়ে যাই?
ঃ বেশিক্ষণ লাগবেনা। ঘুরে যাবো বলল কে? পেছনের পাথুরে খাড়াইটা টপকে চলে যাবো। আর মাছ টোপ গিললে স্রেফ হালকা একটা টান দেবে ছিপে, আমাকে দেখলে না?
খাড়াই টা দারুণ খাড়া, হামফ্রে তারপরেও কেমন করে যেন একটার পর একটা পাথর টপকে অনায়াসে উঠে যাচ্ছে। ভুলেই গিয়েছিলাম উপত্যকায় বড় হওয়া ছেলে সে।
হামফ্রে প্রায় উঠে গিয়েছে, হঠাৎ দেখি একটা ছিপ সড়সড় করে পানির দিকে চলে যাচ্ছে। মাছ! টোপ গিলেছে। আমি লাফ দিয়ে উঠতে না উঠতেই ছিপ পানিতে। কী যেন হয়ে গেল আমার, আলসে আমি, ভীরু আমি পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে চেপে ধরলাম ছিপ। সেকি টান মাছের! নির্ঘাত বড়সড় একটা ট্রাউট।
ঃ হামফ্রে, নেমে আস জলদি। বড় কিছু একটা পড়েছে, টেনে ধরে রাখতে পারছিনা।
বলতে না বলতেই হঠাৎ পানির অতল থেকে বেরিয়ে এলো সে। লাফিয়ে উঠলো শূন্যে। চারিদিকে যেন হাজারটা রংধনুর ছটা। মাছের ভেজা শরীরে দুপুরের রোদের স্পর্শ, চোখ ধাঁধিয়ে যেতে চায়। বিশাল একটা ট্রাউট।
হামফ্রের চোখেও পড়েছে। খাড়াই বেয়ে সে নেমে আসছে পাহাড়ি ছাগলের ক্ষিপ্রতায়।
ঃ ছিপ ছেড়ো না আহমেদ। টানাটানি না করে হুইল ঘুরিয়ে সুতো ছেড়ে দাও, আমি আসছি।
হামফ্রে তর তর নামতে থাকে। আর মাত্র বিশ কি তিরিশ ফুট।
হামফ্রে কি লাফিয়ে পড়লো? অত উঁচু থেকে! হামফ্রের শরীরটা শূন্যে। একটা, দুটো, তিনটে পাঁক খেয়ে পড়লো নিচের পাথর গুলোর উপর। একটা শব্দ হোলো, নারকেল ফাটলে যেমন হয়।
আমি ঠিক ধরে উঠতে পারছিনা কী হয়ে গিয়েছে। একবার মনে হোলো ভুল দেখেছি। আবার ভাবলাম, রসিকতা নয় তো! হামফ্রে কে বিশ্বাস কী?
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম, এই বুঝি হা হা করে হাসতে হাসতে কনিফারের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হামফ্রে।
ঃ হামফ্রে? হা……ম……ফ্রে……? তুমি ঠিক আছো?
কোন সাড়া নেই।
আমার সারা শরীর যেন সীসার মতো ভারি হয়ে গিয়েছে। স্রেফ ইচ্ছেশক্তি দিয়ে কোন মতে পা টেনে টেনে পৌঁছুলাম খাড়াইটার কাছে।
ওই যে হামফ্রে। উপুড় হয়ে পড়ে আছে একটা পাথরের উপর, মুখটা পিঠের দিকে অদ্ভুত ভাবে ঘোরানো। মাথার একদিকে থেঁতলে গিয়েছে। সেখান থেকে ছোপ ছোপ রক্ত এসে জমে রয়েছে চোখের কোনে। চোখ দুটো খোলা, প্রাণহীন। কেনিয়ার রিফট ভ্যালিতে বেড়ে ওঠা, কালিনজানদের তাড়ায় পালিয়ে আসা কিসি গোত্রের ছেলে, আমার বন্ধু হামফ্রে কিসিম্বে লাশ হয়ে পড়ে আছে লেক অন্টারিওর একটা দুর্গম বাঁকে, আফ্রিকা থেকে হাজার হাজার মাইল দুরে। আমি দুঃস্বপ্ন দেখছি।
আমি কি জানতাম দুঃস্বপ্নের কেবল শুরু!
--মোখলেস হোসেন
মন্তব্য
গল্প ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ রকিবুল ইসলাম কমল
-----মোখলেস হোসেন
এরকম টুইস্ট আশা করিনি। খালি মনে হচ্ছে এটা কি হল! সার্থক ছোটগল্প।
অর্ণব
ধন্যবাদ অর্ণব।
--মোখলেস হোসেন
বাহ, ঝরঝরে ভাষা দেখেই মনে হচ্ছিল এটা মোখলেস ভাইয়ের লেখা।
নিচে নেমে দেখি সত্যিই। ভালো লাগল। আরও বেশি বেশি লিখুন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ সাক্ষী সত্যানন্দ। লিখছি তো বটেই, কিন্তু লেখাটি অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। কিছুটা পাঠিয়েছিলাম, তা ধরেন পঞ্চাশ পাতার মতো হবে। পাত্তাই দেয়নি সচল। আমিও কি কম ধুরন্ধর? মাঝখান থেকে একটা অংশ কেটে ঠুকে দিলাম। সচল ধরতে পারেনি, প্রকাশ করে দিয়েছে হা হা হা। ঠিক এর পরের অংশটাও, মোটামুটি একইরকম সাইজ, অতিথির কীর্তিকলাপে ঝুলিয়ে রেখেছি। দেখি প্রকাশ করে কিনা।
---মোখলেস হোসেন।
নিজে পড়েছি কয়েকবার, গিন্নীকে পড়ে শুনিয়েছি। আমি আপনার সচলে লেখার সাথে পরিচিত, তাই মোচড়টার জন্য প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু শ্রোতা পুরাই হায় হায় করে উঠেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ আপনাকে, এক লহমা।
শেষটায় গিয়ে শিউরে উঠলাম!
লেখাটা জবরদস্ত!
ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ।
--মোখলেস হোসেন
বেশ ভালো।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ।
--মোখলেস হোসেন
নতুন মন্তব্য করুন