বাংলা জয়নাল স্যারের কথা মনে আছে তৃণা তোর? কিভাবে তার নাম মরাচড়া স্যার হয়েছিল? প্রাইভেট পড়া শেষে ফিরার পথে লুঙ্গি পড়া স্যারকে সালাম দিতেই উনি আবৃত্তি স্বরে বলে ছিলেন "আরে তোমরা, বাজার বসে গিয়েছে এখনো বাসায় যাওনি?"
[মরাচড়া স্যার ও মাছ ওয়ালা]
-তেলাপিয়ার মূল্য কত ভাই?
-১৩০ টাকা স্যার।
- কি বলছো ! একে তো মরা, তার উপর দাম চড়া ! দেখেছো মেয়েরা।(আবৃত্তি ভঙ্গিমায়)
আমিই বলছি, আমিই হাসছি। কিন্তু যাকে হাসাতে এই স্মৃতিচারণ, সেই তৃণার মুখে হাসির রেখাটা টানতে পারছিলাম না। সেই হাসোজ্জল তৃণাকে আমি পাচ্ছিলাম না। আমরা তিনজন খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। আমি, সায়েম, তৃণা । এখনো আছি তবে সেই সময়ের মত কারণে-অকারণে যোগাযোগ আর হয় না। ভাবলাম সায়েমের কথা বলি যদি একটু প্রান খুলে হাসে। আমাদের ক্লাস পার্টিতে জয়নাল স্যারের গলা নকল করা সায়েম অভিনয় করেছিল। আমি তো মনে পড়লেই নিজে নিজে হাসি।
" বাংলা, বিহার, উড়িস্যা আমি দেখিতে চাই না, আমি ঘোমটা তুলিয়া তোমার মুখখানা দেখিতে চাই। দোহাই তোমার ওগো সোনা বউ। কে আমায় আশা দিবে, কে আমায় ভরসা দিবে। চারদিকে দূর্যোগের ঘনঘটা, তুমি লজ্জা পাইলে, আমি যাব কোথা?"
মেয়েটা কেমন যেন একেবারে ঘুটিয়ে গেছে। ডিভোর্স হয়েছে কিছুদিন আগে, এখন তৃণা ভাই-ভাবী সাথে আছে। গত বছরের আগের বছরের সেপ্টেম্বরে মাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বুকের কষ্ট আর চোখের কোনের জল লুকানোর মত আশ্রয়টা যেন সাথে নিয়ে গেলেন। তৃণার জীবনের পরিবর্তনটাও শুরু হয়েছিল তখন থেকেই। ওর দ্বিতীয় বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায় তখন। তারপর শুরু হয় শরীর নিয়ে নানা জটিলতা। ডাক্তারের সাফ কথা " আর মা হতে পারবেন না, হলেও পরিপূর্ণ হবে না"। শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জটিলতাও। জানতে চাইলাম শাহেদ ভাই ডিভোর্সের পর যোগাযোগ করেছে কিনা। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছিল " কাল একটা মেসেজ দিয়েছিল, আমি যেন কোন দরকারে আগে তাকেই স্মরণ করি। যার কাছে আমারই দরকার ফুরিয়ে গেছে । তাকেই আবার আমি আমার দরকার জানাবো। কলমের খোঁচায় সেই অধিকারের জায়গায় থেকে তো সে আমাকে ছেটে ফেলে দিল"।
কথার মাঝখানে ভাবী এসে পড়ে। তৃণাকে ভাইয়া ডাকছে । শাহেদ ভাই নাকি একাউন্টে কাবিনের টাকা পাঠিয়েছে। ভাইয়া এই ব্যাপারে ওর সাথে একটু কথা বলতে চায়। সে চলে যেতেই ভাবী আমাকে এক বাটি সেমাই এগিয়ে দিয়ে বলছিল-
ভাল করেছো এসে। মেয়েটা ঘুরে ঘুরে একই ভাবনা নিয়ে থাকে । বুঝি, হয়ত ভাবতে চাই না। তবু সেই সময় গুলো বার বার মনে ঊঁকি দিয়ে যাচ্ছে। কারো তো হাত নেই। কেউ যে কিছু করতে পারবে, তাও না। শরীর তো সে নিজের হাতে গড়েনি। বাচ্চা আসে আবার চলে যায়, কত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেড রেষ্ট, এমন করতে করতে মাঝখানে গ্রাজুয়েশন টাই শেষ করতে পারল না। শেষ পর্যন্ত শাহেদের সাথে সম্পর্কটাই শেষ হয়ে গেল। সারাদিন বুঝায় যেন এখন আবার শুরু করে দিয়ে, সব ভুলে থাকে। কি হবে মন মরা হয়ে থেকে। সব ছেলেই তো বংশধর চাই। তোমার কি মনে হয়, আমি যদি তার ভাইকে বাচ্চা দিতে না পারতাম । তার ভাই আমাকে নিয়ে সংসার করত? করত না। চুপচাপ শুনে যাচ্ছিলাম, কথা যেন কিছু বলার নেই। কি বলব ! "খেয়ে যেও রান্না করছি আমি" বলে ভাবী চলে গেলেন।
আর আমি জানালার পাশে দাড়িয়ে আনমনে দেখছিলাম রাস্তায় কয়েকজন বান্ধবী মিলে কত মজা করে যাচ্ছে । এভাবে আমি আর তৃণা কত মজা করে কলেজে যেতাম। চোখে মুখে অনেক কিছু বুঝি আর বড় বড় ভাব এসে গেছে ওদের। কি দেখছিস সামা? পিছন থেকে এসে তৃণা জানতে চায়। বললাম -কিছু না। তুই আসছিস না দেখে ভাবীর দেয়া চা খেতে খেতে মেয়েগুলোকে দেখছিলাম।
-হুম। এখনো ওদের চাহিদা আছে। উপযোগিতাও ভরপুর আছে। কিন্তু কেউ জানে না। কার উপযোগিতা কখন আবার কমে যাবে।
-কি বলছিস এসব।
- সামা তোর মনে আছে একবার অর্থনীতি স্যার আমাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন উপযোগিতা কাকে বলে? দাম সাধ্যের ভেতর এবং যোগান থাকা সত্ত্বেও কখন চাহিদা থাকে না?
-হুম । মনে আছে । তোকে উদাহরণ সহ চিত্র বোর্ডে এঁকে দেখাতে বলেছিল। তুই পারিসনি।
-জানিস, আমি এখন খুব ভাল ভাবে বুঝি উপযোগিতা কি জিনিস। ইচ্ছে করছে এখন গিয়ে স্যারকে উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা দিয়ে আসি। জীবন থেকে নেয়া খাটি উদাহরণ।
-কি উদাহরণ?
-তোর মনে থাকার কথা। শাহেদের পরিবার বিয়ের কাবিন দিতে চেয়েছিল পাঁচ লাখ । আর আমার বাবার দাবি ছিল দশ লাখ। বাজারের দরকষাকষির মত দুই পক্ষ সাত লাখে রাজি হয়েছিল। তখন আমার চাহিদা ছিল ওদের কাছে। আর বাবা ছিল যোগানদাতা । ক্রেতা স্বরুপ পাত্র পক্ষ সেদিন আমার জন্য যে সাত লাখ দিতে রাজি হয়েছিল। সেই সাত লাখ হল চাহিদা আর যোগানের ভারসাম্য বিন্দু। আমি ছিলাম কাংখিত সেই প্রোডাক্ট। যা ঔদামে লেনদেন হয়েছিল। পাত্র পক্ষে ভেবেছে তারা জিতেছে, কনে পক্ষ ভেবেছে যাথার্থ মুল্য পাওয়া গিয়েছে। মেয়ের ভবিষ্যত সুরক্ষিত। আমি কি আসলে সুরক্ষিত?
-বাদ দে না ওসব। চল বাইরে যায়। ঘুরে আসি কোথাও থেকে। দেখি সায়েমকে ফোন করে।
-না। আগে উদাহরন শেষ করি। শুন, প্রথমে যে তারা রাজি ছিল না। তারা ভেবেছিল আরো অনেক মেয়ে পাওয়া যাবে। পরে হয়তো ওদের দেখা মেয়েদের ভেতরে আমি ছিলাম সেই, যে তাদের এবং ছেলের বৌবাহিক উপযোগিতা মিটাতে সক্ষম। তারপর আসি ওদের উপযোগিতা কি কি ছিলঃ ধর, ১) মেয়ে ফর্সা, সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাবে। ২) লম্বা না হলেও খাটো না। ভবিষ্যত প্রজন্ম বামন হবে না। ৩) শিক্ষিত আছে, সবাইকে বলা যাবে আবার বাচ্চা নিয়েও চিন্তা নাই। শিক্ষিত মা শিক্ষিত জাতি। ৪) সংসারের দায়িত্বগুলো ভালভাবে পালন করতে পারবে। দুঃসময়ে চাকরি করে সহযোগিতা করতে পারবে। ইত্যাদি ইত্যাদি। বিয়ের সাত বছর পরও যখন কোন বংশধর আসল না। তখন তাদের কাছে আমার উপযোগিতা কমে গেল।
আমি থাকতে চাইলেও, শাহেদ থাকতে চাইলেও, তার পরিবার চাইল না। কিংবা শাহেদ নিজের কথা পরিবারকে দিয়ে বলেছে। অর্থাৎ যোগান আছে কিন্তু চাহিদা নাই। কারণ উপযোগিতা নাই। এটাই স্যারের সেই উত্তর। সে হিসেবে আমি এখন উপযোগহীন একজন প্রাণী।
-হুম' বুঝলাম। আচ্ছা মানুষ হিসেবে তোর উপযোগিতা কি শুধু মাতৃত্বে?
-বুঝি বুঝি। সমাজ কি বুঝে? আমি সফল চাকুরীজীবি হলেও, তারা ঠিকই আঙ্গুল উঁচিয়ে বলবে আমি সন্তান দিতে পারিনি। আমার নারী জীবন ব্যর্থ। আর অন্যদিকে সেটাকে পুজি করে শাহেদের জীবনে আসবে অন্য কেউ। যদি সেও আমার মত হয়। হয়ত শাহেদ আবার বিয়ে করবে। এভাবেই চলতে থাকে উপযোগিতার খেলা। আমার উপযোগিতার উদাহরণ কেমন লাগল তোর বললি না।
- আগে সচলরাই বলুক। তারপর আমি।
এ্যানি মাসুদ
মন্তব্য
ভালো লেগেছে সমাজে বাস করা মানুষের ছবি ফুটিয়ে তোলাটা।
মা হতে না পারা মেয়ের যতটা 'অপরাধ(?)' সমাজ ধরে, ছেলেদের বেলায় সেটা নিয়ে তেমন একটা শোরগোল হয় না। আমাদের সমাজ বিয়ের সাফল্যের (!!!) মাপকাঠি হিসেবে সন্তানসংখ্যা বিচার করে। বিয়ের ১০ বছর পরেও যদি কোন সন্তান না থাকে, তবে সেই পরিবারকে ব্যর্থ, অসুখী বলে কানকথা ছড়ায় সমাজ। আর, ৪ সন্তানের মা যখন জামাইর হাতে প্রহৃত হয় তখন সমাজ চোখ বুঁজে থাকে।
সম্প্রতি পড়া/দেখা একটা ভিডিও আর্ট প্রাসঙ্গিক মনে হল (২০১১ সালের)। আগ্রহী পাঠক দেখতে পারেন:
বিস্তারিত: ""‘তাহলে ডিমের সাথেই বিয়ে হোক’"
ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য এবং মেরি মাই এগ" ভিডিওটার লিংকের জন্য। শিল্পের ভিন্নধর্মী একটা বিষয় জানলাম।
এ্যানি মাসুদ
লিখার মাঝ্খানে এই চিত্র দেওয়া যেতো মনে হয়। লিখার মূল বিষয়কে যেভাবে অর্থনীতির কার্ভে কল্পনা করেছিলাম।
এ্যানি মাসুদ
সোহেল ইমাম
অনেক ভালো লাগলো ।
এমন ক্ষেত্রে অনেকেই বাচ্চা দত্তক নেয়। এছাড়া সারোগেট মায়ের মাধ্যমেও বাচ্চা নেওয়া যায়।
আবার সমস্যাটা যদি ছেলের হতো তাহলেও স্পার্ম ব্যাঙ্কের সাহায্য নেওয়া যেত।
ছেলের সমস্যার কারণেও এ ধরনের ডিভোর্স ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
যাইহোক। অন্যরা যেভাবেই দেখুক। মেয়েটা নিজে কেন নিজেকে উপযোগিতাহীন ভাববে?
আর সত্যি বলতে "অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ" প্রথাটাই একটু বর্বর।
সেটা করাই হয় নানান রকম উপযোগিতার চেক এন্ড ব্যালান্স করার জন্য। পাঁচজনকে দেখে একজনকে যখন বিয়ে করা হয় তখন ছেলে-মেয়ে-উভয়ের পরিবারই জানে যে তারা কি করছে বা কি অপটিমাইজ করছে।
গল্পটা বেশি ডেভাস্টেটিং হতো যদি ভালোবেসে বিয়ে করার পরে এই কারণে বিচ্ছেদ হতো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আসলে কি জানেন, বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের ভেতরের প্রত্যেক রুমে অর্থাৎ পারিবারিক বিয়ে বা প্রেমের বিয়ে , ডু মারলে দেখা যায় কোথাও কেউ অনেক সম্মানের সাথে আছে আবার কেউ তার উলটো জীবন পার করছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তি আর চিন্তা নির্ভর। আমার এক পরিচিত পরিবার যারা তুমুল রকমের প্রেম-ভালবেসে বিয়ে করা, দুই সন্তানের মা-বাবা হয়েও এখন আর একসাথে নেই। অন্য একটি পরিবার আমার প্রতিবেশি, বিয়ে হয়েছে ১৪ বছর ,পারিবারিকভাবে, এখনো কোন সন্তান আসেনি তাদের কোল জুড়ে। তবু দেখে মনে হয় এই নিয়ে তারা ভাবছেন না। দুইজন দুইজনকে নিয়ে বেশ আছেন।
আর সমাজ তো এমন নীতি বানিয়ে ফেলেছে যে নারীর জীবন যেন ডিম্বানু নির্ভর। শরীরের অনান্য অঙ্গের কোন মূল্য নেই।
এ্যানি মাসুদ
মধ্যবিত্ত সমাজের নিদারুণ বাস্তব চিত্র। একদিন এই চিত্রের পরিবর্তন হবে বলে আশা রাখি। অফটপিকে কয়েকটা কথা বলি। সমাজের অন্য একটা চিত্র তুলে ধরি । এই পৃথিবীতে কিছু ছেলেরাও সত্যি করে ভালবাসে, তারপর একদিন কাক ডাকা ভোরে নিজেকে আবিষ্কার করে চাওয়া পাওয়ার এক জটিল সমীকরণের সামনে। সমীকরণের কখনও সমাধান হয় কখনও হয়না। সমীকরণের সমাধান মিলাতে না পারা ছেলেগুলোর মাঝে অনেকেই একটা ভয়াবহ জীবনের মাঝে বাস করে। জৈবিক তাড়না, সামাজিক চাপ আর অনেক কিছুর হিসাব মিলাতে গিয়ে বিবাহ নামক একটা প্রতিষ্ঠানে নাম লেখায়। সম্পর্ক টিকে থাকে নামে, আত্মা ছাড়া দেহের মত। আরেকদল আছে যারা আর কোন সম্পর্কে যেতে চায়না, ক্ষোভে, ভয়ে, ঘেন্নায়। এই বাংলাদেশের সমাজে তাদের জীবনটা হয় আগাপাশতলা নিঃসঙ্গতায় ঘেরা। পরিবার, আত্মীয় স্বজন, এদের কথা বাদই দিলাম, কাছের বন্ধুরা পর্যন্ত উপদেশ বিলি করে - একটা গেছে তো কি হয়েছে?......... । এই দুই দলের সাথেই ব্যাক্তিগত পরিচয়ের সূত্রে একটা কথাই কেবল মনে হয়। এদের কথাগুলি শোনার বা বলার জন্য কেউতো নেই।
আপনার এই চমৎকার লেখাটায় অনেক অযাচিত বকবক করলাম। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
অপ্রাসঙ্গিক কিছু তো বলেননি। শুধু আশাতে পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না। আমি ভাবছি, নিজের পরিবারের ভেতর কারো সাথে এমন হলে ,তাকে/তাদের কতটুকু বুঝাতে সক্ষম হবো। "আমার জীবন, তুমি নাক গলানো কে" জাতীয় বাক্য অনেক শক্তিশালি। ধন্যবাদ আপনাকে।
এ্যানি মাসুদ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দাদা কি হল?
এ্যানি মাসুদ
এখনকার দিনেও অনেক ঘরেই এমন গল্প থাকে। তুলে এনেছেন বলে ভালো লাগলো।
...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”
বিষয় ঠিক আছে। সমস্যা পুরাতন এবং জটীল। যত লেখাখি হয় ততই ভালো।
গল্পটা আরও ধারালো ভাবে উপস্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেই সম্ভাবনা নিয়েই শুরুও হয়েছিল। মাছের দরদাম, বিয়ের বাজারে মেয়ের দরদাম, মরা মাছের দাম কমে যাওয়া, সন্তান দিতে না পারা মেয়ের দাম কমে যাওয়া, সে মেয়ে মাতৃত্বই একমাত্র মূল্য নয় বিধায় নিজের উপযোগিতা এখনও আছে মনে করে নিজের দাম কমাতে না চাইলে সমাজের চোখে তার মরাচড়া বনে যাওয়া, শৈশবে মরাচড়ার হিসেব করা ক্রেতাকে নিষ্পাপ হাস্যরসের সাথে সহ্য করে নেওয়া যেত, বড় হয়ে গোটা সমাজটাকেই মরাচড়ার নির্মম দরদামকারী হিসেবে দেখতে পাওয়া ---> ছকটা চমৎকার ---> আর একটু গোছগাছ করতে ... ... ... আবার কখনো এই গল্পকে নিয়ে বসলে ভেবে দেখতে পারেন।
পরের লেখার জন্য সাগ্রহ অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দাদা প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর ও গুছালো নিরীক্ষন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য। আমি চেষ্টা করব, খেয়াল রাখবো। আপনার লিখা কবে পাচ্ছি?
এ্যানি মাসুদ
নতুন মন্তব্য করুন