• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

শুশুক (৪, আসলে এটি তিন হওয়া উচিৎ ছিল)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১৬ - ২:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্ব গুলোর লিংকঃ
তৃতীয় পর্বঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55738
দ্বিতীয় পর্বঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55688
প্রথম পর্বঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55630

তানবুর
প্যারিদেইশাতে নতুন একটা গাছ এসেছে, সেই সাথে পোড়ামাটির কিছু ফলক। ফলকের বর্ননা অনুযায়ী এই গাছের নাম পিপাল্লি, পাঠিয়েছেন ব্যাকট্রিয়ার সাত্রাপ বেসুস। পারস্যের আয়তন অকল্পনীয়, পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি মানুষ দারায়ুসের প্রজা, বাকিরা কৃপা প্রার্থী। সম্রাটের ছায়া পর্বতসম দীর্ঘ হলেও, প্রতিনিধি ছাড়া এতো বড় সাম্রাজ্য সামাল দেওয়া অসম্ভব। পারস্য জুড়ে তাই ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুগত প্রশাসকেরা। এঁদের পোশাকি নাম সাত্রাপ, প্রায় সকলেই দারায়ুসের আত্মীয়। বেসুসের দেওয়া উপহারটি সম্পর্কে দারায়ুস এ ক’দিন কোন আগ্রহ প্রকাশ করেননি। পৃথিবীর অধীশ্বরকে এত সহজে মুগ্ধ হলে চলেনা। কাল রাতে পোড়ামাটির ফলক গুলো নেড়েচেড়ে দেখতে গিয়ে তাঁর চোখে পড়েছে অদ্ভুত একটি বাক্য "পিপাল্লি পাতা পানিতে ভিজিয়ে শোবার ঘরে রেখে দিলে অনিদ্রার উপশম হয়”।

বেসুস আরও জানিয়েছেন, ব্যাকট্রিয়া নয়, পিপাল্লি এসেছে অনেক দুরের একটা জনপদ, যেখানে বর্বরদের বসবাস সেই ভারতবর্ষ থেকে। ভারতবর্ষ একটা ঘিনঘিনে জায়গা, দারুণ উষ্ণ আর আর্দ্র। পারসেপোলিসে উষ্ণতার অভাব নেই, কিন্তু গ্রীষ্মের ধোঁয়া উঠা গরমে আর্দ্রতা যেন সোনার পাথর বাটি। পক্ষান্তরে শীতকালটা ভিজে থাকে আকাশ উপচে পড়া বর্ষায়, ছেয়ে থাকে ধবল তুষারে। এমন পরিবেশে পিপাল্লির বেঁচে থাকা দুষ্কর। সম্রাট অবশ্য আশাবাদী, আসিরিয়ান মালীরা জানে কীভাবে শুষ্ক মাটিতে প্রাণের সঞ্চার ঘটাতে হয়।

পারসেপোলিস পারস্যের রাজধানী, তবে একমাত্র নয়। প্রথম রাজধানী চল্লিশ ক্রোশ উত্তর-পূর্বে অবস্থিত প্রাচীন নগরী পাসারগাদে। এখানেই একদিন পরাজিত হয়েছিলেন মিডিয়ার শেষ সম্রাট অ্যাস্টিয়েজেস। অথচ এমনটি হবার কথা ছিলোনা। অ্যাস্টিয়েজেস ছিলেন বিচক্ষণ, চির প্রতিদ্বন্দ্বী লিডিয়ার রাজা ক্রীসেস পর্যন্ত তাঁকে সমঝে চলতেন। লিডিয়ার মিত্রতা - অ্যাস্টিয়েজেসের বাবা পাঁচ বছর যুদ্ধ করে যা পারেননি - তিনি অর্জন করেছিলেন বিনা যুদ্ধে, বিনা রক্তপাতে, ক্রীসেসের বোন অ্যারিইয়েনিসকে বিয়ে করে। শত্রু বলতে বাকি ছিলেন কেবল ব্যাবিলনের রাজা নেবুচাদনেজার। সে আশংকাও দূরীভূত হয়েছিলো অ্যাস্টিয়েজেসের বোন অ্যামাইয়েতিসের সাথে নেবুচাদনেজারের বিয়ের পর। দুর্ধর্ষ যোদ্ধা নেবুচাদনেজার যুদ্ধ ভুলে তখন ব্যাস্ত নববধূর মন জোগাতে। অ্যামাইয়েতিসের বাগানের শখ রয়েছে জানতে পেরে নেবুচাদনেজার বানিয়েছিলেন অত্যাশ্চর্য এক বাগান, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান।

অ্যারিইয়েনিসের সাথে বিয়ের দশ বছর পর অদ্ভুত একটা স্বপ্ন দেখেছিলেন অ্যাস্টিয়েজেস, তাঁর অতি আদরের কন্যা মান্দানের কোলে ফুটফুটে একটি শিশু, পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল। অ্যাস্টিয়েজেস হাত বাড়াতেই সে শিশু তাঁর আঙ্গুল চেপে ধরল, হতচকিত সম্রাট আঙ্গুল ছাড়াতে গিয়ে টের পেলেন শিশুটি দেবতার মতো শক্তিমান।

মান্দানের বিয়ে হয়েছিলো মিডিয়ার প্রতিবেশী ক্ষুদ্র রাজ্য আনসানের নৃপতি ক্যাম্বাইসেসের সাথে। একদিন আনসান থেকে খবর এলো মান্দানে সন্তান সম্ভবা। সে রাতে আবারও স্বপ্ন দেখলেন অ্যাস্টিয়েজেস। দেখলেন পাসারগাদের ধুধু প্রান্তরে খেলে বেড়াচ্ছে একটি ছেলে, বহু বছর আগে দেখা সেই স্বপ্নের ছেলেটা। খেলাটি বড়ই বিচিত্র, একটা লাঠি আকাশে ছুড়ে দিয়ে আবার দৌড়ে গিয়ে লুফে নিচ্ছে, একবার, দুবার, অসংখ্যবার। লাঠিটা আর কিছুই নয়, মিডিয়ার রাজদণ্ড।

অ্যাস্টিয়েজেস তাঁর সেনাপতি হারপাগাসকে পাঠালেন মান্দানেকে হত্যা করার জন্য। হারপাগাস পৌঁছে দেখেন মান্দানে সদ্যজাত একটি শিশুকে বুকে জড়িয়ে কাঁদছে। সম্রাটের ক্ষোভের কথা আনসানে পৌঁছে গিয়েছে বাতাসেরও আগে। মান্দানেকে রেহাই দিলেও হারপাগাস শিশুটিকে নিয়ে যান মরুভূমিতে। বর্শা তুলে বুকে বসাতে গিয়ে হাত অবশ হয়ে আসে তাঁর, শিশুহত্যা সম্ভব নয়।

মান্দানের ছেলে সাইরাসের ঠাই মেলে মেষপালক মিত্রিদাতিসের ঘরে। মিত্রিদাতিসের স্ত্রী আগের রাতেই একটি মৃত ছেলে প্রসব করেছিল। হারপাগাস সেই মৃত শিশুটিকে নিয়ে গেলেন মিডিয়ায়, অ্যাস্টিয়েজেস কাছে।

সাইরাসের যখন দশ বছর বয়স তখন কোন ভাবে প্রকাশ পেয়ে যায় হারপাগাসের বিশ্বাসঘাতকতার কথা। রাজপুরোহিতের পরামর্শে সাইরাসের প্রাণ ভিক্ষা দিলেও ক্রোধন্মত্ত অ্যাস্টিয়েজেস হারপাগাসকে দিয়েছিলেন ভয়ঙ্করতম দণ্ড। এমন দণ্ডের কথা পৃথিবীর কেউ এর আগে কখনও শোনেনি (শাস্তিটি এতোটাই ভয়াবহ যে তা উল্লেখ করাও অসম্ভব)। হারপাগাস বেঁচে রইলেন জীবন্মৃত হয়ে। সাইরাস ফিরে গেলেন আনসানে, বাবা-মার কাছে।

পিতা ক্যাম্বাইসেসের মৃত্যুর ছয় বছর পর সাইরাস বিদ্রোহ করেন। মিডিয়ার তুলনায় আনসানের সৈন্যবল নগণ্য হলেও সাইরাসের ভরসা ছিল হারপাগাসের সমর কৌশলে। ক্যাম্বাইসেসের মৃত্যুর পর থেকে হারপাগাসই তাঁর মন্ত্রণাদাতা। বিদ্রোহের তৃতীয় বছরে পাসারগাদের ধুধু প্রান্তরে নিজের দৌহিত্রের মুখোমুখি হলেন অ্যাস্টিয়েজেস। সেদিন কোন এক বিচিত্র কারণে তাঁর সৈন্যেরা নির্দেশ অমান্য করে সাইরাসের শিবিরে ভিড়ে গিয়েছিলো। মিডিয়ার পতন ঘটেছিল এক অর্থে প্রায় রক্তহীন ভাবেই। অ্যাস্টিয়েজেসকে হত্যা করেনেনি সাইরাস, বরং নিজের সভাতেই রেখে দিয়েছিলেন সম্মান দিয়ে। আসলে অ্যাস্টিয়েজেসকে তাঁর প্রয়োজন ছিল অন্য রাজ্যগুলোর সাথে মিত্রতা বজায় রাখার জন্য। একদা দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সম্রাট শেষপর্যন্ত সেদিনের শিশু সাইরাসের হাতের খেলনা, মাঝে মাঝে অ্যাস্টিয়েজেসের বিশ্বাস হতে চায়না, কেমন যেন স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে।

মিডিয়ার রাজধানী একবাতানায় কয়েক বছর কাটিয়ে দেয়ার পর সাইরাস দ্য গ্রেট রাজধানী সরিয়ে নেন পাসারগাদে। তৃণভূমি পরিষ্কার করে গড়ে তোলেন আকিমিনেড বংশের প্রথম রাজধানী। শুরু হয় পারস্যের জয় যাত্রা।

কালের বিবর্তনে পাসারাগাদের গুরুত্ব এখন কমে এসেছে, সম্রাট এবং যুবরাজদের অভিষেক আয়োজন ছাড়া পারস্যের রাজনীতিতে পাসারাগাদের আর তেমন কোন ভূমিকা নেই। দারায়ুস তাঁর শাসনকার্য পরিচালনা করেন মূলত প্রাচীন সুমের রাজ্যের রাজধানী সুজা থেকে। সামরিক রাজধানী হিসেবে রয়েছে ব্যাবিলন। তারপরও পারসেপোলিস দারায়ুসের প্রিয়তম রাজধানী, এই শহরটি তাঁর পূর্বপুরুষেরা তৈরি করেছেন কুহে-রহমত পাহাড়ের দুর্গম উপত্যকায় পাথর কুঁদে। তিনদিকে পাহাড় আর একদিকে পুল্বার নদী, মাঝখানে দাঁড়িয়ে পারসেপোলিস, আড়াইশ বছর ধরে সূর্যের নিচে, সূর্যের মতোই দীপ্তমান।

পারসেপোলিসের রূপকার সম্রাট দারায়ুসের প্র-প্রপিতামহ, তিনিও দারায়ুস, দারায়ুস দ্য গ্রেট। তিরিশ কিলোমিটার দুরের পুল্বার নদী থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পানি আনিয়েছিলেন তিনি। সে পানি যুগ যুগ ধরে পূর্ণ রেখেছে শহরময় ছড়িয়ে থাকা উন্মুক্ত জলাধারগুলোকে। আহুরামাযদার আশীর্বাদে উষর ভূমিতে সৃষ্টি হয়েছে ভূস্বর্গ, পারসেপোলিসের প্যারিদেইশা। পৃথিবীর অধীশ্বরের শখের বাগানকে স্বর্গ না বলে আর কীইবা বলা যায়! ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান, সে তো আজ কিংবদন্তি, দারায়ুসের প্যারিদেইশা বাস্তব।

প্যারিদেইশার থেকে কিছুটা দুরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে পূর্বপুরুষ জেরিক্সিসের তৈরি একশো থামের একটি সভা কক্ষ, আপাদনা, যার এক একটা পাশ দশ হাজার পদক্ষেপের সমান দীর্ঘ। আপাদনা থেকে ধাপে ধাপে নেমে গেলে চোখে পড়বে 'সারা পৃথিবীর দরজা’। দুর দূরান্ত থেকে, হাজার ক্রোশ পাড়ি দিয়ে, এই দরজা দিয়েই পারস্যের সম্মানিত মিত্ররা যাত্রা শুরু করেন আপাদনার দিকে। অযুত নিযুত ধাপ ভেঙ্গে যখন আপাদনার ষাট ফুট উঁচু প্রবেশ দ্বারের সামনে এসে দাঁড়ান তাঁরা, পা ততক্ষণে সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুর মতো কম্পমান। দুর্বিনীততম রাজদূত কিম্বা মহাবলী সাত্রাপেরাও আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। পারসেপোলিস পারস্যের সম্রাটদের ক্ষমতা প্রদর্শনের রঙ্গমঞ্চ। দর্শনপ্রার্থীকে, শৌর্যে, বিত্তে, বৈভবে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে তবেই দেখা দেন সম্রাট। সে সম্রাট ঈশ্বরতুল্য।

দারায়ুসের মনটা আজ ভালো নেই। তাঁর ইচ্ছে করছে আপাদনায় না গিয়ে প্যারিদেইশার কোন একটা ঝর্ণার পাশে তানবুর নিয়ে বসে যেতে। আজকাল আর তানবুর ছোঁয়া হয়না। ছুঁলেও কেমন যেন বেসুরো লাগে। হাতের আঙ্গুল গুলোর দিকে তাকিয়ে কলজের নীচ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে তাঁর। কী আঙ্গুল গুলো কী হয়েছে! কেমন এবড়ো থেবড়ো আর গাঁটে গাঁটে ফুলে আসা, যোদ্ধার আঙ্গুল। কী একটা সময়ই না ছিল একদিন। প্যারিদেইশার জলপাই গাছ গুলোর পাশে যে ঝর্ণাটা - তাঁর তলায়, দারায়ুস তখন দারায়ুস হয়নি, তখন তাঁর নাম আর্তাশাতা, আহা আঙ্গুলের ছোঁয়ায় তানবুরে যেন ঝড় উঠে যেত!


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

পারস্য পর্ব দারুন লাগছে, কিন্তু দেশের জন্যও মন কেমন করে - এটা কি আমি কুপমণ্ডুক বলে নাকি উপন্যাসের প্রথম দিকে আমাদের পরিচিত দেশীয় ছবিটা আরেকটু দীর্ঘায়িত করার দরকার ছিল? উপন্যাস যেহেতু তাই লেখকের অভিপ্রায় হয়তো এখনই ধরা যাবেনা। উপন্যাস নিয়ে আমার এই এক সমস্যা গড়গড় করে সবটা পড়ে যেতে ইচ্ছে করে সবুর সয়না। পর্ব গুলো কি আরো একটু বড় করা যায়না। শেষকালে লেখকের হাতেই সব যদিও তবু ভালো লাগা থেকেই এসব বলা। চলুক, ভালো লাগছে। (পপ্পন)

সোহেল ইমাম

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সোহেল ইমাম। উপন্যাস কখনও লিখিনি, আমার লেখার দৌড় টুকটাক ছড়া আর গল্প পর্যন্তই। শুশুক মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু সময় পাচ্ছিনা লিখতে বসার। তিনটে সময় জুড়ে ছড়িয়ে আছে আমার ভাবনা। এখন অনেকটা স্কেচ করে যাচ্ছি। শেষ করার পর বিশাল একটা সম্পাদনার প্রয়োজন পড়বে।

---মোখলেস হোসেন

নজমুল আলবাব এর ছবি

আগের পর্বের লিংকগুলো লেখার শেষে দিলে ভালো দেখাবে সম্ভবত।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ নজমুল আলবাব। মাথায়ই আসেনি!
--মোখলেস হোসেন

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লাগছে! পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

রাজপুরোহিতের পরামর্শে সাইরাসের প্রাণ ভিক্ষা দিলেও ক্রোধন্মত্ত অ্যাস্টিয়েজেস হারপাগাসকে দিয়েছিলেন ভয়ঙ্করতম দণ্ড। এমন দণ্ডের কথা পৃথিবীর কেউ এর আগে কখনও শোনেনি (শাস্তিটি এতোটাই ভয়াবহ যে তা উল্লেখ করাও অসম্ভব)। হারপাগাস বেঁচে রইলেন জীবন্মৃত হয়ে।

মিডিয়ার তুলনায় আনসানের সৈন্যবল নগণ্য হলেও সাইরাসের ভরসা ছিল হারপাগাসের সমর কৌশলে।

এই দুই হারপাগাস কি একই ব্যক্তি?

Emran

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ এমরান। হারপাগাস একজনই। সাইরাসকে তাঁর বাবা-মার কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেবার আগে অ্যাস্টিয়েজেস জমকালো একটি ভোজের আয়োজন করেছিলেন। নিজের পাশে বসিয়ে হারপাগাসকে খেতে দিয়েছিলেন উৎকৃষ্ট মদ, সুস্বাদু মাংস। হতভাগ্য হারপাগাস যদি জানতেন খাবার টেবিলে তাঁর শিশুপুত্রটিও ছিল, খাবার হয়ে! জেনেছিলেন পরদিন।

----মোখলেস হোসেন।

এক লহমা এর ছবি

(পপ্পন)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ এক লহমা।
--মোখলেস হোসেন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।