• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

অবন্তী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৬/২০১৬ - ৫:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সানগ্লাসটার জন্যই যা একটু মন খারাপ হয়।

ভারি ফ্রেম আর বড় কাঁচ, এইধরনের সানগ্লাস ক'টাই বা চোখে পড়ে আজকাল? মানুষের রুচি বদলায়, সেই সাথে প্রযুক্তি। এখন সময় মিনিয়েচারের। টুথপিকের মতো ফিনফিনে ডাঁটি, তার সাথে কোনমতে আটকে থাকা দুফালি সরু কাঁচ - রিমলেস। ওতে কি আর চোখ ঢাকে? সানগ্লাস তো নয়, যেন নাকের বিকিনি।

বলছিনা যে আমার সানগ্লাসটা খুব পর্দানশীন ছিল। আমি চোখ লুকিয়ে চলার মানুষ নই, সানগ্লাস পড়তাম অন্য একটা কারণে। কখনও ইঁদুর মেরেছেন কি? খাঁচায় আটকা পড়া ইঁদুরের চোখে চোখ পড়লে বুকের ভেতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে ওঠে। হাতের লাঠি হাতেই রয়ে যায়, জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দুলতে থাকা ইঁদুরটা বেঁচে থাকে আরও কিছুদিন। সানগ্লাসটাকে বলতে পারেন আমার আর ইঁদুরদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা অলঙ্ঘনীয় একটি দেয়াল।

অবন্তী তখন সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী। এই বয়সে কেউ চুলে বিনুনি বাঁধেনা। অবন্তী বাঁধত, সেই সাথে তাঁতের শাড়ি। তাঁতের শাড়ির কথা ভাবলেই চোখে ভেসে ওঠে পিঠ জুড়ে এলিয়ে থাকা একরাশ খোলা চুল, অথবা যত্ন করে বাঁধা খোঁপা। অবন্তীকে দেখে অবাক হয়েছিলাম খুব।

আমার তখন নতুন চাকরি। ঢাকা থেকে অনেক দুরের একটা জায়গায় পোস্টিং। শুনেছি কোন এক বুড়ি নাকি রেললাইনে গরু বেঁধে চলে গিয়েছিলো। ড্রাইভার ট্রেন থামাতেই আধপাগল এক ইংরেজ সাহেব ভাবলেন, একটু নেমে দেখা যাক। তারই ফলশ্রুতি ধ্যারধ্যারে একটি জনপদ, গাইবান্ধা। এখানে একটি কলেজে আমার আপাত নির্বাসন। কী আছে এইখানে, কে আছে? ঢাকায় অগুনতি মানুষ, হাজারটা যাবার জায়গা, অথচ বাঁক ফিরলেই চেনামুখের সাথে দেখা হয়ে যায়না। আমি চাইলেই জনারণ্যে হারিয়ে যেতে পারি, পারি ভেসে যেতে চেনা আড্ডায়। গাইবান্ধায় আমার চেনা কেউ নেই, তবে আমাকে অনেকেই চেনে। সরকারি কলেজের মাস্টারি তখন মুড়িমুড়কির মতো এতোটা সহজলভ্য ছিলোনা।

অন্য শিক্ষকেরা কেউ আমার বয়সি নন, একটা পঁচিশ বছরের ছোকরাকে আড্ডায় ডাকতে তাদের খুব একটা উৎসাহ নেই। ভালোই হয়েছে, একদল আধবুড়ো মানুষের সাথে কী আর গল্প হতে পারতো আমার! দিন কাটছে একা একা, কখনও বাড়িতে, কখনও নদীর পারে, কখনো বা স্রেফ কলেজের মাঠে হাঁটাহাঁটি করে।

এই নিস্তরঙ্গ জীবনে অবন্তী এলো ঝড়ের মতো, আমার খোলা ছুঁলের চিত্রকল্পটা দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে। ওর কোমর ছুঁয়ে যাওয়া বিনুনির সে কী মাদকতা, আহা!

সেদিন ছিল বুধবার। দুপুরের পর উপস্থিতি এমনিতেই কম থাকে, তার উপর বৃষ্টি বলে ক্লাসের অর্ধেকটাই ফাঁকা। যারা আছে তাদের সম্ভবত আর কিছু করার নেই। ব্ল্যাকবোর্ডটা চক দিয়ে লিখে প্রায় ভরিয়ে এনেছি, এমন সময় ঠক ঠক একটা শব্দ হল। পেছন ফিরে দেখি - অনিচ্ছুক জনতার কেউ ঝিমুচ্ছে, কেউ বা শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে বোর্ডের দিকে। একটু যারা সাহসী তারা আমার চোখ এড়িয়ে টুকটাক গল্প গুজবে ব্যাস্ত। ওদের দোষ দিতে পারিনা। আমি নিজেই আমাকে শিক্ষক হিসেবে পেটে চাইতাম কিনা সন্দেহ! পড়াতে ভালো লাগেনা, চাকরিটা করছি সে কিছু একটা করতে হয় বলেই।

দরজা খুলে দেখি অনিন্দ্য সুন্দর একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে। গায়ের সাথে লেপটে রয়েছে আধভেজা তাঁতের শাড়ি, মুখে বিন্দু বিন্দু জলের ছাঁট, হাত দুটো কাঁচের চুড়িতে ছাওয়া, যেন বুদ্ধদেব বসুর কবিতা থেকে উঠে আসা কোন চরিত্র।

ঃ আমি দুঃখিত, বৃষ্টির জন্য আসতে দেরি হয়ে গেলো। আমার নাম অবন্তী।

ক্লাসের সবাই যেন দম বন্ধ করে বসে ছিল নামটা শোনার জন্য। একটা মৃদু গুঞ্জন দানা বেঁধে উঠে, নামটা সবার পছন্দ হয়েছে।

ঃ বলুন কী করতে পারি আপনার জন্য?
ঃ আমি এই ক্লাসের ছাত্রী স্যার, আগে নাটোর কলেজে ছিলাম। বাবার বদলির চাকরি, আমরা পরশুদিন এখানে এসেছি। কলেজে আজই প্রথম।

কোন কারণ কারণ নেই, অথচ মনে হচ্ছে যেন গনগনে সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে আছি। কোনমতে ঢোক গিলে বললাম,

ঃ ঠিক আছে, এরপর যেন আর দেরি না হয়। যাও, বস গিয়ে।

অবন্তী পৃথিবীর সমস্ত আলস্য নিয়ে তিন পা হেঁটে আবার দাঁড়িয়ে পড়লো। বুঝতে পারছেনা কোথায় বসবে। ক্লাসে পিন পতন নিস্তব্ধতা। প্রতিটি ছেলের হ্রিদস্পন্দন টের পাচ্ছি আমি, প্রতিটি মেয়ের ঈর্ষা।

আমার ক্লাসে দুটো দরজা। লেকচারের একটা পর্যায়ে ছেলেরা পেছনের দরজা দিয়ে চোরের মতো বেরিয়ে যায়, আমি দেখেও না দেখার ভান করি। আজকে কেউ যায়নি। আর ক্লাসটাও কেমন দুম করে শেষ হয়ে গেলো। সময় কখনো কখনো বড়ই দ্রুতগামী, বড় নিষ্ঠুর।

সে আমলে ঘাঘট নদীর চেহারা ছিল অন্যরকম। বুক চিড়ে উড়ে যাওয়া ব্রিজটা হয়নি, নদীটাও ছিল বেশ হৃষ্টপুষ্ট। দুকুল ছাপানো কাশবন পেরিয়ে পায়ে চলা পথ, অনেকটা হাঁটলে তারপর বসতির শুরু। গাইবান্ধার আশেপাশে আরও দুটো নদী আছে, ব্রহ্মপুত্র আর বাঙালি। কিন্তু আমাকে টেনেছিল ঘাঘট, কী যেন একটা আছে ওই নামে!

সময় পেলেই ঘাঘটের তীরে গিয়ে বসে থাকি। একটা দুটো নৌকা চলে যায় পাল তুলে, নৌকার উপর চক্কর দিয়ে উড়তে থাকে তুষার শুভ্র বকের দল, কোন এক মাছরাঙার চকিত উল্লাস, একটি পানকৌড়ির টুপ করে ডুবে যাওয়া, আর আমার আকাশ পাতাল ভাবনা।

অবন্তীর দেখা মেলে শুধু বুধবারে, সপ্তাহে ওই একটাই ক্লাস। সে আসে বিনুনি দুলিয়ে, বসে থাকে, হাসে, কথা কয়। আমার সাথে না, কথা বলার মানুষের তো আর অভাব নেই। ক্লাস যেন উপচে পড়ে আজকাল। কিছু নতুন মুখ দেখি, এরা অন্য ক্লাসের, অবন্তীর অনুগামী। আনোয়ার এদেরই একজন। অবন্তীর সাথে ওর বেশ ভাব। প্রথম প্রথম উপেক্ষা করতাম। ইদানীং ইচ্ছে করে ঘাড় ধরে বের করে দেই। আনোয়ার এলেই অবন্তীর চোখে যেন কাশ ফুলের ঢেউ খেলে যায়। আমার অসহ্য লাগে। শুনেছি মেয়েরা নাকি অনেক কিছু বুঝতে পারে, অবন্তী বোঝে কী?

একদিনের কথা। ঘাঘটের তীরে বুঁদ হয়ে বসে থেকে টের পাইনি কখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। এমনিতে বেলা থাকতে থাকতেই চলে আসি, আমার আবার ভূতের ভয়টা একটু বাড়াবাড়ি রকমের। দোয়া দরুদ জপতে জপতে হনহন করে ছুটে চলেছি, অন্ধকারে জোনাকির মায়াবী আলোয় জায়গাটা দারুণ অপার্থিব দেখাচ্ছে। এমন সময়, যেন মাটি ফুঁড়ে সে বেরুলো।

জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমার পাশে হাত পা ছড়িয়ে বসে আছে আনোয়ার।

ঃ পাক্কা একঘণ্টা স্যার। খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। আসে পাশে কেউ নেই যে সাহায্যের জন্য ডাকি। আবার এই অন্ধকারে সাপখোপের মধ্যে আপনাকে রেখেও যেতে পারছিনা। আল্লার অসীম রহমত যে আপনার জ্ঞান ফিরেছে।

কাশের বনটা পায়ে চলা পথ থেকে বেশ উঁচুতে, তার উপর নিরেট অন্ধকার। নেমে এসেই আচমকা আনোয়ারের সামনে পড়ে গিয়েছিলাম। ছেলেটা ঘোর কৃষ্ণ বর্ণ, অন্ধকারে ওর মুখ দেখিনি। কেবল দেখেছিলাম একটা সাদা কাপড়, মানুষের অবয়ব নিয়ে শূন্যে ভেসে আছে।

ঃ আপনাকে অসুস্থ দেখাচ্ছে স্যার। বাসায় ফিরছিলেন বুঝি?
ঃ হু
ঃ চলুন আপনাকে পৌঁছে দেই।
ঃ আমি একাই যেতে পারবো, মাথাটা একটু ঘুরে গিয়েছিলো, এখন ঠিক আছি।

পরদিন সেই বুধবার। আগের রাতের ধাক্কা সামলে কলেজে পৌঁছুতে একটু দেরি হয়ে গেলো। আমাদের কলেজটা বেশ বড়, সামনেই একটা খোলা মাঠ, মাঠ পেরিয়ে পুকুর, তারপর দালান। অবন্তীকে দেখলাম পুকুর পারে দুটি মেয়ের সাথে গল্প করছে। আমার চোখে চোখ পড়তেই আঁচল দিয়ে মুখ চেপে হেসে উঠলো। অবন্তী জানে। ইচ্ছে করছে আনোয়ার কে খুন করে ফেলি।

যাকে ভালোবাসি, যার সান্নিধ্যে আসার জন্য প্রাণ হাহাকার করে, তার তাচ্ছিল্য যে কত বেদনার তা কেমন করে বোঝাই আপনাকে! আমার মাথাটা কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগলো। চলতে গিয়ে একটা হোঁচট খেলাম, ছোট্ট একটা হোঁচট। কিন্তু তাতেই ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলাম মাটিতে।

আনোয়ার যখন আমাকে হাত ধরে টেনে উঠাচ্ছিলো তখন চারপাশে রীতিমত একটা জটলা। জটলার শোরগোল ছাপিয়ে শুনতে পেলাম অবন্তীর হাসি, কী মধুর অথচ নির্মম সেই কিন্নর ধ্বনি!

ক্লাসে গিয়ে দেখি বোর্ডে চক দিয়ে বড় বড় করে লেখা, ধইঞ্চা।

ধইঞ্চা কী জিনিস তা আমি জানিনা।

জানতে পারলাম দুদিন পর, কেমিস্ট্রির শিক্ষক মাহবুব সাহেবের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে। দস্তরখানের চারপাশে রকমারি খাবার, একটা শাক দেখে অচেনা লাগায় জিগ্যেস করলাম,

ঃ এটা কী শাক মাহবুব সাহেব?
ঃ ধইঞ্চা শাক, চিনলেন না! আমি তো শুনলাম এইটা আপনের খুব পছন্দ। খুব ভালো জিনিস, মাথা ঠাণ্ডা রাখে।

অন্যান্য শিক্ষকরাও দেখলাম ধইঞ্চা শাকের বিবিধ গুণাগুণ নিয়ে যথেষ্টই ওয়াকেবহাল।

আমি আসগর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্র, দেখতে শুনতে খারাপ নই, একটা কলেজের মাস্টার, অপেক্ষা করছি কবে মার্কিন দেশে পড়তে যাবো, সেই আমার সমস্ত অর্জন মুছে গিয়ে জেগে উঠলো নতুন পরিচয়, ধইঞ্চা।

সব শিক্ষকেরই একটা নাম থাকে, ছাত্রদের দেওয়া। আমাদের প্রিন্সিপালের নাম যেমন মদন টাক। ছাত্রদের কল্পনা শক্তিতে আমি অভিভূত। লিকলিকে ঠ্যাং, প্রশস্ত মধ্যাঞ্চল, হঠাৎ জেগে উঠা নলখাগড়ার ছড়ির মতো কণ্ঠার হাড়, আর পিথাগোরাসের নিখুঁত বৃত্ত সম নিটোল তেল চকচকে একটি টাক - সার্থক নামকরণ। তবে এইসব নামতাম নিয়ে শিক্ষকেরা খুব একটা মাথা ঘামান না। আমিও ঘামাইনি, অন্তত শুরুতে।

-------চলবে, যদি সচল চলতে দেয়।


মন্তব্য

সোহেল ইমাম এর ছবি

চলুক, আপনার লেখার শেষে চলুক মানেই অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকা। (পপ্পন)

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

অতিথি লেখক এর ছবি

অকাজে ব্যাস্ত ছিলাম সোহেল ইমাম। লেখার সময় কিম্বা শক্তি কোনটাই আর অবশিষ্ট ছিলোনা। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---মোখলেস হোসেন।

Sohel Lehos এর ছবি

লেখা ভাল লাগল। এমন লেখা হলে সচল অবশ্যই চলতে দেবে। এটা কি বড় কোন গল্প হতে যাচ্ছে? শুরু দেখে আপাতত তাই মনে হচ্ছে। লেখা চলুক। শুভাচ্ছা।

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল :)

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সোহেল লেহস। খুব একটা বড় হয়তো হবেনা। সময় পেলেই লেখাটা শেষ করে ফেলব আশা করছি।

---মোখলেস হোসেন

দেবদ্যুতি এর ছবি

আপনার লেখা মানেই অন্যরকম কিছু। বরাবরের মতোই অনবদ্য। পরের পর্বটা শিগগির দেবেন আশা করি। আর ঘাঘট আমারও নদী, সেই ছোটবেলায় গ্রাম পেরিয়ে শহরে যাওয়ার আনন্দের দিনের নদী, নামটাও খুব টানে এখনও। ধন্যবাদ জানবেন ঘাঘটের জন্য।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রতি রীতিমত ঈর্ষা অনুভব করছি। গাইবান্ধায় কখনও যাওয়া হয়নি। সৌভাগ্য হয়নি ঘাঘটের তীরে গিয়ে দাঁড়ানোর। নামটা অদ্ভুত সুন্দর, তাইনা? পরের পর্বটা তৈরি কিন্তু কেন জানিনা নিজের ফাইল থেকে কপি করে সচলে পেস্ট করতে পারছিনা। সচলের সাইটে গিয়ে নতুন করে টাইপ করতে হবে। অতিথির কত বিপদ! ক্লান্ত লাগছে দেবদ্যুতি।

---মোখলেস হোসেন।

দেবদ্যুতি এর ছবি

আমি ঘাঘট দেখেছি রংপুরে, গাইবান্ধা আমারও যাওয়া হয়নি কখনও। অতিথি হয়ে আর বেশিদিন থাকতে হবে না নিশ্চয়ই আপনাকে, শুভকামনা থাকলো। আপনার ক্লান্তি কেটে যাক তাড়াতাড়ি।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

অতিথি লেখক এর ছবি

যাই হোক, পুরোটা টাইপ করার ধৈর্যে কুলালো না। খানিকটা দিলাম।

--মোখলেস হোসেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালোই তো লিখছেন। আশীর্বাদ রইলো।

সাইয়িদ রফিকুল হক

অতিথি লেখক এর ছবি

কী করব বলুন! কেমন করে যেন এক-দু'টা ভালো হয়ে যাচ্ছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ সাইয়িদ রফিকুল হক।

----মোখলেস হোসেন

মেঘলা মানুষ এর ছবি

সাবলীল লেখা, পড়তে আরাম লাগছিল। পরের পর্ব আসুক। :)

শুভেচ্ছা :)

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে খুব শখ ছিল সহজিয়া ঢঙে একটা গল্প লেখার। শুধুই গল্প, কোন পণ্ডিতির চেষ্টা নয়। হোক সে সস্তা অনুভূতির, সেবা রোমান্টিক মার্কা, গল্প হলেই আমি খুশি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ।
----মোখলেস হোসেন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার গল্পের ধরণটা আকর্ষণীয়। গড়গড় করে পড়তে ভালো লেগেছে। এটা যদি গল্প হয়, তাহলে একসাথে দেয়াই ভালো ছিল। উপন্যাস জিনিসটা ধারাবাহিক চললেও গল্প এক পর্বে দেয়াই উত্তম।

তবে বুঝলাম না আপনি অতিথি হলে সচলের পোস্টে কপি করতে কী সমস্যা? কপিপেস্ট তো বন্ধ থাকে না অতিথির জন্য। লেখার মধ্যে কিছু সহজ বানান ভুল আছে, পরেরবার লেখা দেবার সময় বানানগুলো দেখে নিয়েন।

লেখালেখি চলুক।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী।
---মোখলেস হোসেন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

(ইটা)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।