জালালের গল্প কিংবা থ্রোয়িং শিট ইন দ্যা মিক্স

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১১/০৬/২০১৬ - ৪:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জালালের গল্প মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। যত দূর মনে পড়ে, প্রথম সপ্তাহেই দেখেছিলাম। তখনও সচলায়তনে লেখা শুরু করিনি, তাই জালালের গল্প নিয়ে কিছু লেখা হয়নি। গত মাস থেকে সিনেমাটির একটি হাই কোয়ালিটি প্রিন্ট ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে যেটির লিঙ্ক সিনেমাটির ফেইসবুক পেইজেই শেয়ার করা হয়। ইদানীং কোন কাজ না থাকার সুবাদে এবং কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করছিল বলে, এছাড়াও, জালালের গল্প সাম্প্রতিক সময়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সিনেমা হিশেবে বিবেচিত হয়, এটি গননায় নিয়ে, ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে, ঠাণ্ডা মাথায় দেখে- এই লেখাটি লিখে ফেললাম।
*

সিনেমাটি বাংলাদেশের ড্রামাটিক সিনেমার একটি পুরনো রোগের আরেকটি নমুনা মাত্র। বাংলাদেশের সিনেমায় ‘ভরাট’ গল্পের/চিত্রনাট্যের অভাব দীর্ঘদিনের। সিনেমা দেখতে দেখতে, দেখা শেষে, মনে হয় একটি সামান্য গল্পকে কেবলমাত্র ‘পূর্ণ দৈর্ঘ্য’ করার খাতিরেই টেনে-হিঁচড়ে বড় করা হয়েছে। সিনেমা বড় হালকা হালকা লাগে। দ্যা আনবিয়ারেব্‌ল লাইটনেস অফ বাংলাদেশী সিনেমা, যেখানে লাইটনেস হল দ্যা স্টেইট অফ হ্যাভিং লিট্‌ল ওয়েইট, অর লিট্‌ল ফোর্স।

আমরা যেমন প্রায়ই কোন ঘটনা দেখে বা শুনে হঠাৎ মনে করি, ‘আরে! এটা নিয়ে তো একটা সিনেমা বানানো যায়!’- চিত্রনাট্যকার/পরিচালকেরা যেন তেমন ভাবেই হঠাৎ নাজিল হওয়া এক একটি অতি সংক্ষিপ্ত আইডিয়া থেকেই খুব দ্রুত এক একটি আস্ত সিনেমা নির্মাণ করে ফেলতে মরিয়া হয়ে পড়েন। এবং ভরাট চিত্রনাট্য রচনা করার মানসিক/শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাবে তারা সেই সংক্ষিপ্ত আইডিয়াটিকে টেনে টেনে হাবিজাবি ভরে টরে সেটিকে পূর্ণ দৈর্ঘ্য হয়ে উঠতে বাধ্য করেন। হবি না মানে! তোর বাআপে হবে!

প্রায় চল্লিশ মিনিট দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সিনেমাকে সাধারণত স্বল্প দৈর্ঘ্য সিনেমা হিশেবে গননা করা হয়। জালালের গল্প সাধারণ মানের একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য সিনেমা হতে পারতো, আ বিগিনার’স ওয়ার্ক। সেটিকে করা হয়েছে প্রায় তিন গুণ বড়! ফলে যা হবার তা-ই!

সিনেমাটির বড় বড় দুর্বলতাগুলো এই টানাটানিরই ফসল।
*

তবে সে আলোচনায় যাবার আগে একটি কথা স্পষ্ট জানাতে চাই।

বাংলাদেশে ড্রামাটিক সিনেমা নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বাজেটের অভাব, আন্তর্জাতিক মানের কারিগরি সাপোর্টের অভাব ইত্যাদি বাস্তবতা সম্পর্কে আমার স্পষ্ট ধারণা আছে। আমি সেসব এড়িয়ে আলোচনা করবো। আমি কেবল সিনেমাটির গল্প/চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনা করবো। কারণ এই প্রসঙ্গে অজুহাত দেয়া কঠিন। ভাল চিত্রনাট্য রচনার জন্য টাকা-পয়সার প্রয়োজন পড়ে না। কাগজ-কলম বা কম্পিউটার এবং মানসিক যোগ্যতা, যেটি আসে শিক্ষা থেকে, চর্চা থেকে, জীবনকে পর্যবেক্ষণ করা থেকে, সর্বোপরি সদিচ্ছা এবং চেষ্টা থেকে। ইন্টারনেট আছে- প্রচুর সিনেমা দেখো। ইন্টারনেট আছে, গ্রন্থাগার আছে- প্রচুর পড়ো। জীবন আছে- চোখ মেলে যত্ন নিয়ে আন্তরিকতার সাথে খোলা মনে দেখো, শোনো, ভাবো।

কিন্তু হায়! কেবলমাত্র পরিষ্কার, গভীর শিক্ষার অভাবই যে আমাদের সিনেমার দুর্দশার সবচেয়ে বড় কারণ তা এখন কেন্ট পিউরিফাইয়ার দিয়ে বের হওয়া জলের মতই পরিষ্কার। না, কেন্ট কোম্পানি আমাকে কোন টাকা দেয়নি। মাগনা-ই মার্কেটিং করে দিলাম শালাদের।

আলোচনায় যাই।

ভাল কথা, জালালের গল্পের চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক একই ব্যক্তি- জনাব আবু শাহেদ ইমন।
*

সিনেমাটি অহেতুক বড়। দৈর্ঘ্যে এত বড় হয়েও এটি বিশেষ কিছু বলে উঠতে পারে না।

সিনেমাটি বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তিতে ভরপুর। পূর্ণ দৈর্ঘ্য হওয়ার জন্য সময় কাটানোর খাতিরে এটি অতীব সাধারণ কথা বারবার বলতে থাকে।

সিনেমাটি বিভ্রান্তিকর। প্রিকনসিভ্‌ড আইডিয়া অনুসারে কাহিনী চালাতে গিয়ে এবং তার সাথে পূর্ণ দৈর্ঘ্য টানাটানি মিলে কাহিনীর যৌক্তিকতা এত এত বার অদৃশ্য হয়ে যায় যে – প্রায়ই মনে হয় সিনেমাটি কি হয়ে উঠতে চায় তা এটি নিজেই ঠিকঠাক বুঝতে পারছে না।
*

যেমন, প্রথম অংশে-

শুরুতেই নদীতে একটি ‘ড্যাগে’ ভেসে একটি শিশুর প্রবেশ। তার প্রায় তিরিশ মিনিট পরে আবারও ড্যাগে ভেসে শিশুটি সিনেমার পরবর্তী অংশের দিকে রওনা দেয়।

তিরিশ মিনিটের এই প্রথম অংশে কি হয়?

শিশুটিকে নদীতে ভাসমান অবস্থা থেকে আমিন নামের একজন উদ্ধার করে মিরাজ নামের আরেকজনকে দেয়। পরে নদীতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে যার প্রভাবে গ্রামবাসী বিশ্বাস করে নেয় শিশুটি সৌভাগ্য বয়ে এনেছে এবং তারা টাকার বিনিময়ে তার পা ধোয়া পানি খেতে চায়। মিরাজ সুযোগ বুঝে ব্যবসা ফেঁদে বসে এবং ভাল টাকা কামায়। এরই মাঝে শিশুটির নাম দেয়া হয় ‘জালাল’। আমিন মিরাজের কাছে টাকার ভাগ চায় এবং মিরাজ ভাগ না দেয়ায় ক্ষেপে গিয়ে জালালকে কুফা ও মিরাজকে ভণ্ড হিশেবে চিহ্নিত করে গ্রামে আওয়াজ তোলে, সালিশ বসায়। সবার চাপে মিরাজ জালালকে আবার ড্যাগে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

পা ধোয়া পানি, পানি-পড়া খাওয়া ইত্যাদি কুসংস্কারের শত-হাজার গল্প আমাদের জানা আমাদের দেখা। চিরচেনা গল্প কি কোন নতুন আঙ্গিকে কোন নতুন আলোয় উপস্থাপন করা হয়েছে? নাহ্‌! প্লেইন এন্ড সিম্পল। অতি সাধারণ, জেনারিক সংলাপের সহায়তায় অত্যন্ত সাধারণভাবে দেখানো হয়েছে সবকিছু।

চরিত্রগুলো কি কোনোভাবে নতুন? বা নুআন্সড্‌? নাহ্! মিরাজ মানুষ খারাপ না, অভাবের কারণে স্বভাবে লোভী, টাকা কামানোর সুযোগ দেখে হাতছাড়া করতে চায় নি, একরোখা লোভীর মত ধান্দা করে গেছে একটি শিশুকে ব্যবহার করে। আমিন লোক খারাপ না, কিন্তু মিরাজ যদি ভণ্ডামি করে টাকা কামায়-ই, তাহলে সে কেন ভাগ পাবে না? সুতরাং ‘ভিলেনে’ রূপান্তরিত হয়। মিরাজের বউ মরিয়ম, অভাবের সংসারে শিশুটিকে উটকো ঝামেলা বিবেচনা করে প্রথমে বিরক্ত হয়, পরে সহজাত মাতৃত্ব-বোধ থেকে শিশুটির প্রতি যত্নবান হয়ে ওঠে, মায়া করে।

দ্যাট্স ইট! চরিত্রগুলোর কোন লেয়ার নেই, কাহিনীর কোন সাবটেক্সট নেই। এবসোলুটলি বোরিং। নাথিং নিউ। নাথিং স্পেশাল। নতুন বা বিশেষ কিছুই এক্সপ্লোর করা হয়নি।

কেবল দুটি জিনিস করার চেষ্টা করা হয়েছে, সংলাপ বা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হিউমারাস মুহূর্ত সৃষ্টি করার এবং দৃশ্যায়ন ও আবহ সঙ্গীতের সাহায্য দর্শকের আবেগের কর্ড ধরে টানাটানি করার।

হয় দর্শক হাসাও, নয়ত দর্শক কাঁদাও। এতটুকুই এ্যামবিশান।

আর পুনরাবৃত্তি।

একই তথ্য, একই এক্সপোজিশান, একই সংলাপ বারবার বারবার উপস্থাপন করা হয়। সিংহভাগ সংলাপই কাহিনীতে নতুন কিছু যোগ করে না। বরং যা আমরা ইতিমধ্যেই জানি, দেখেছি, তা-ই বারবার করে জানাতে থাকে।

আর বিভ্রান্তি! ওএমজি!

আমিন শিশুটিকে ড্যাগ থেকে তুলে মিরাজকে দিয়েছিল। মিরাজের পানি-পড়ার ব্যবসা ফুলে ফেঁপে ওঠায় আমিন টাকার ভাগ চায়। মিরাজ টাকার ভাগ দিতে না চাইলে আমিন ক্ষেপে গিয়ে প্রচার করতে থাকে শিশুটি কুফা।

বিস্তারিততে না যাই- সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর দৃশ্যটি নিয়ে কথা বলি কেবল, যেটি দেখা যায় শেষের দিকে যখন নেতৃস্থানীয় লোকেরা সালিশ বসায়।

সালিশে নেতার প্রথম যে বক্তব্য আমরা শুনতে পাই তা হল- 'আমিন যেহেতু শিশুটিকে উঠিয়েছে প্রথমে, তাই মিরাজের মত আমিনেরও শিশুটির উপর ‘হক’ আছে।' অর্থাৎ শিশুটির উছিলায় আয়কৃত টাকার উপরও সমান হক আছে। অর্থাৎ আমরা টাকা ভাগাভাগির দিকে এগোচ্ছি? ওহ নো! নো স্যার! নট এ্যাট অল!

এই বক্তব্যের ঠিক পরপরই সংলাপ চলে যায় শিশুটি যে কুফা, সেই আলোচনায়। যে প্রসঙ্গে সবার সিদ্ধান্ত- শিশুটিকে নদীতে ভাসিয়ে দিতে হবে। আবার তার পরই কুফা প্রাসঙ্গিক আলোচনার মাঝখানে আবার মিরাজ যে ধান্দা করেছে শিশুটিকে ব্যবহার করেছে সেই আলোচনা ঢুকে পড়ে!

এই আজব বিভ্রান্তি, শিশুটির কুফা চরিত্র নাকি মিরাজের ধান্দা কোনটি যে সমস্যা সে ব্যাপারে আমিন ও গ্রামবাসীর মনস্থির করতে না পারা- এই প্যাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, যদি মিরাজের ধান্দাই ইস্যু হতো তাহলে শিশুটিকে আবার নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার প্রয়োজন পড়তো না, মিরাজের ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমেই এই অধ্যায় শেষ হতে পারতো, কিন্তু তখন সিনেমা এগোতো না! আবার যদি শিশুটি কুফা-ই হবে, তারমানে সে একসময় ‘সুফা’ ছিল অর্থাৎ মিরাজ কোন ভণ্ডামি ব্যবসা করেনি, স্রেফ পানি-পড়া দিয়ে দানের টাকা গ্রহণ করেছে। কুফা এবং ধান্দা দুটো একই সাথে হওয়া সম্ভব নয়।

শেষের দিকে একটি সংলাপে বিভ্রান্তির মায়াজাল চূড়ান্তে পৌছায় যখন শিশুটিকে, জালালকে, নদীতে ভাসানোর প্রস্তুতি চলছে এবং আচমকা সালিশের নেতা বলে ওঠে, ‘মিরাজ, ব্যাপারটা চাইপা যা। সামনে ইলেকশান। নদীতে যে নতুন চর উঠসে সেইখান থেকে তুই তিন কানি লইয়া লইস।’ হোয়াদ্দা মাদারফাকিং ফাক? হালায় কি কইলো?

একটু আগেই একই নেতা মিরাজকে ‘একঘরে’ করার হুমকি দিল, পুরো সালিশটাই ছিল ওয়ান সাইডেড, এটা কোন নেগোসিয়েশান ছিল না, মিরাজ সম্পূর্ণ পরাস্ত, তার কাছে অফার করার মত কিছুই নেই, সবার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে সে সম্পূর্ণ বাধ্য- এতটাই দুর্বল সে।

তাহলে আচমকা ইলেকশান ঢুকল কেন? আর নেতা-ই বা তাকে চরের জমি অফার করার ঠেকা বোধ করলেন কেন? যার অভাবের সংসার, ঘরে ঠিকঠাক ভাত থাকে না সে কিভাবে এত ক্ষমতাবান হল যে কোণঠাসা হয়ে সালিশের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য হলেও তাকে নেতা লোকেরা সেধে সেধে জমি অফার করে?

এই সংলাপটুকু কেন ঢোকানো হয়েছে তা স্পষ্ট। জোর করে কাহিনীতে রাজনীতি ঢোকানোর একটি অকার্যকর প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় পুরো সিনেমা জুড়েই।

রাজনীতি দেখানোর মাধ্যমে সিনেমাটি গুরুত্বপূর্ণ সিনেমার জাতে উঠতে চায়, সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে সচেতন সিনেমা হয়ে উঠতে চায়। কিন্তু রাজনীতি ঢোকানোর প্রক্রিয়াগুলো এতটা ব্যানাল এতটা শিশুতোষ এতটা হাস্যকর যে এক এক সময় মনে হয় দশ এগার বছরের শিশু নেচে নেচে বলছে, বাজান আমি ভুট দিমু! আমি ভুট দিমু! স্মিত হেসে, সস্নেহে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে ইচ্ছে করে, ঠিক আছে বাবা, তুমি ভুট দিও, হিলারি ট্রাম্প কুনো ঘটনা না, যারে মুঞ্চায় দিও। না রে বাবা, কনভেনশানের কেঁথা পুড়ি, স্যান্ডার্স কিসু পাইব না!

প্রথম অংশে, এই শেষ বিভ্রান্তিকর সংলাপে রাজনীতি।

দ্বিতীয় অংশে, এক লোক, চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাঁড়াবে কিন্তু তার সন্তান হয় না তা-ই লোকের সাফুট নাই, লোকে তাকে আঁটকুইড়া বলে, তাই তার একটা পয়দা করা দরকার। মাঝে মাঝে কিছু মিছিল দেখা যায়, যেখানে সকলের বক্তব্য- তারা ‘আঁটকুইড়ারে’ ভোট দিবে না। এতটুকুই রাজনীতি।

তৃতীয় অংশে, এক লোক, ইয়েট এ-গেইন, নির্বাচনে দাঁড়াবে। কিছু সমাবেশের টুকরো টুকরো চিত্র, কিছু অত্যন্ত ব্যানাল সংলাপ। এতটুকুই রাজনীতি।
*

দ্বিতীয় অংশটিও প্রায় তিরিশ মিনিটের, যার প্রায় বিশ মিনিটই স্রেফ এক পাঙ্ক কবিরাজের ‘কাপঝাপ’ এর দৃশ্যায়ন।

জালালের বয়স এখানে নয় বছর। তার পাতানো বাপ, তৌকির আহমেদের চরিত্রটি, চেয়ারম্যান হতে চায়, কিন্তু তার সন্তান হয় না তাই গ্রামের লোকে তাকে ভোট দেবে না। তৌকির শর্মিমালা কে নতুন বউ করে এনেছে, তাকে বুলডোজ করে বাচ্চা পয়দা করবে, চেষ্টা করে বেশ কিছুদিন, পারে না। কবিরাজের দ্বারস্থ হয়, কবিরাজ কাপঝাপ করে, কারসাজি করে নতুন বউয়ের সাথে সেক্স করে। ইন দ্যা মিন টাইম জালাল চুপচাপ ঘুরে বেড়ায়, হাঁসের প্রতি মায়া দেখায় এবং প্রথমে বাপকে ও পরে কবিরাজকে নতুন বউয়ের সাথে সেক্স করতে দেখে। ওহ! দ্যা এবসোলুট ক্লিশেজ!

এই-ই। এতটুকু দেখাতেই আরও তিরিশ মিনিট। আগের মতই, আমাদের চির পরিচিত গল্প, নতুনত্বহীন, প্রিটি বোরিং। চরিত্রগুলো হয় ওয়ান ডাইমেনশানাল নয়তো বিভ্রান্তিকর।

যেমন শর্মিমালা, তার বয়স কম, সে ফ্লার্টেশাস একটি চরিত্র। ঠিক আছে।

কবিরাজের ব্যাপারে সে শুরু থেকেই ভিজিব্‌লি ডিজগাস্টেড। কিন্তু একটা দৃশ্যে কবিরাজ ঘরের পেছনে বাঁশবনে তাকে পেয়ে প্রায় আক্রমণ করে বসে শারীরিকভাবে, কিল-ঘুষি দিয়ে নরম করার চেষ্টা করে তাকে। বলে, 'বাচ্চা কি এমনে এমনে পয়দা হয়?' অর্থাৎ সেক্স করতে হয়। ওকে, সেক্স এডুকেশান। প্রয়োজন আছে।

ততক্ষণে শর্মিমালা আতঙ্ক এবং ঘৃণায় কুঁকড়ে গেছে। হঠাৎ কবিরাজ তাকে সিগারেট অফার করে। চেখের পলকে শর্মিমালা সাবিত্রী থেকে সাভিতা ভাবী মোড-এ চলে যায়, বেশ পার্ট নিয়ে সিগারেটে সুখটান দেয়, ফ্লার্ট করে কবিরাজের মুখে ধোঁয়া ছোড়ে।

অর্থাৎ সে কবিরাজের সাথে তরল হতে সম্মত? আরে ধুরোওও! তরল এত সরল নয়! নো স্যার!

পরে একটি দৃশ্যে তৌকিরের অনুমতি সাপেক্ষে কবিরাজ শর্মিমালা নিয়ে দরজা বন্ধ করে সময় কাটায়, তখন শর্মিমালার হাবভাবে মনে হয় সে আবার সাবিত্রী মোড-এ ফেরত গেছে, সেক্সুয়্যালি হ্যারাস্‌ড হবার আতঙ্কে অস্থির এবং ডিজগাস্টেডও। আচ্ছা, ডিজগাস্টেড বাংলা কি হবে?

আমার সন্দেহ, শর্মিমালা একজন থার্ড ওয়েভ ফেমিনিস্ট। সম্ভবত ক্যানাডিয়ান।

এই অংশেও সেই- স্রেফ হাসানোর কিংবা কাঁদানোর প্রচেষ্টা। নাথিং মোর, নাথিং লেস।

কবিরাজ শেষে জালাল কে, ইয়েট এগেই-ইন, ‘কুফা’ চিহ্নিত করে তাকে আবারও আবারও নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার জন্য তৌকিরকে প্ররোচিত করে। একটি মজার দৃশ্যের অবতারণা হয়।

জালালকে বস্তায় বেঁধে দুজন লোক আলগি দিয়ে নদীতে নিয়ে যাচ্ছে ভাসিয়ে দিতে। শর্মিমালা রণ-মোড ধারণ করে গাছের ডাল নিয়ে তাদের দিকে তেড়ে যায়। তাদেরকে মারে কি? নাহ্! হাতের ডাল নাচিয়ে ভয় দেখায়, মারার ঢঙ করে। তার পেয়ারের জালালকে গাঙে ভাসিয়ে দিতে নিয়ে যাচ্ছে, সে গলার রগ ফুলিয়ে চিৎকার করে আকাশ ফাটিয়ে ফেলছে, কিন্তু লোক দুটিকে মারার বেলায় তার সে কি রঙ্গ!
*

এতটুকু আসতে আসতে এটুকু পরিষ্কার হয়ে যায়, চিত্রনাট্যকার/পরিচালকের ‘বিল্ডআপ’ সম্পর্কে কোন জ্ঞানই নেই। তিনি মনে করেছেন হঠাৎ হঠাৎ করে ইমোশানালি চার্জ্‌ড পরিস্থিতি উপস্থাপন করলেই আমরা কান্নাকাটি শুরু করে দেব। আবেগে স্পর্শ করতে হলে যে সময় নিয়ে পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হয়, ধীরে ধীরে তার বীজ বুনতে হয়, একটা সার্টেইন টোন ধরে রাখতে হয়, ইমপারসেপটিব্‌ল তরিকায় ভলিউম বাড়াতে হয়- সে ধারণা তার নেই।

টোটাল রানটাইমের যে গুরুত্বপূর্ণ মিনিটগুলো পরিচালক উল্লেখিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় ব্যয় করতে পারতেন, হুইচ আলটিমেটলি উড হ্যাভ লেড টু স্ট্রং, ইমোশানালি এঙ্গেইজিং মোমেন্টস- সেই সময়টুকু তিনি অপ্রয়োজনীয় বাইচলামি করায় ব্যয় করেছেন। পুরো সিনেমাটিই শর্মিমালার চরিত্রের মত ফ্লাকচুয়েইট করেছে, হ্যাপিনেস, স্যাডনেস, গ্রেইভ ইমোশান আর হিউমারের মধ্যে। যত্ন নিয়ে গড়া কোন ডিটেইলড স্ট্রাকচারাল ডিজাইন লক্ষ্য করা যায়নি চিত্রনাট্যে।

এই ঘনঘন টোন বদলানোর প্রভাব গিয়ে পড়েছে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের উপরে। ‘চিরকুট’ ব্যান্ডের বেচারারা হয়ত এতটাই বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিল, হায়!

এরকমও দৃশ্য হয়েছে, যে দৃশ্যগত লক্ষণ থেকে আমি নিশ্চিত জানি মুহূর্তটি সিরিয়াস, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বলছে হাসতে। আবার দৃশ্যটি হিউমারাস, স্কোর বলছে বি সিরিয়াস। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের রেলেন্টলেস উপস্থিতির পরে একটা দৃশ্যে লম্বা সময় ধরে তার অনুপস্থিতিতে অত্যন্ত মজা পেয়েছি। দৃশ্যটি এতটাই বিভ্রান্তিকর ছিল যে হয়ত চিরকুটও বুঝতে পারেনি কি মিউজিক করবে, তাই চেপে গেছে। ওদেরকে আগামী নির্বাচনে বুড়িগঙ্গার চর থেকে তিন কানি জমি দেয়া হবে।

তবে হ্যাঁ, সর্বোপরি, এখানে নির্মাতা একা-ই দায়ী নন, চিরকুটেরও ব্যর্থতা আছে। যাইহোক।

সিনেমা ফ্লাকচুয়েইট করতে পারে, কারণ তা মনুষ্য নির্মিত। মানুষ এতো পটাপট পারে না, মানুষ সুইচ অন অফের, বাটনের চাপে মোড পরিবর্তনের রোবট না। মানুষ মনুষ্য নির্মিত না। মানুষ ভিনগ্রহবাসী নির্মিত। বিস্তারিত জানতে রিড্‌লি স্কটের পরমিথিউস দেখুন।
*

তৃতীয় অংশটিও সিনেমাটির ট্রেডমার্ক ‘লাইটনেস’, ‘পুনরাবৃত্তি’ এবং ‘বিভ্রান্তি’ ধরে রাখে।

এখানে জালাল টিনএজার। মোশাররফ করিমের চরিত্রটি এলাকার পাণ্ডা ধরণের। জমি দখল, চাঁদাবাজি ধরণের কর্মকাণ্ড করে। জালাল তার চেলা। যদিও কেন, তা আমি জানি না। হ্যাংলা পাতলা জালাল, যাকে কয়েকটি দৃশ্য দেখা যায় গাছের সাথে বাঁধা কিছু লোকজনকে তার ম্যাচের কাঠির মত হাত দুটো দিয়ে কাঠবিড়ালির মত খামচাখামচি থাবড়াখাবড়ি করে মারতে, যখন পাশেই বেশ কয়েকজন বডিবিল্ডার দাঁড়ানো- সেই জালাল কেন মোশাররফ করিমের মত 'ভাই'এর কাছে গুরুত্বপূর্ণ তা বোধগম্য হয় না।

মোশাররফ করিম হুদা-ই যখন তখন জালালকে কপালে চুমু খায়, সে চায় তার মৃত্যুর পরে জালালই তার সকল সহায় সম্পত্তি পাক ইত্যাদি ইত্যাদি। বাট হোয়াই? খেনু? হোয়াই ইজ জালাল মোশাররফ করিমের ‘মাই প্রেশাস’?

এই অংশে জালাল এবং আরও কয়েকজন যাত্রা থেকে একটি মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে আসে মোশাররফ করিমের সেক্স স্লেইভ করার জন্য। মৌসুমী হামিদ। মোশাররফ করিম তার সাথে কিছুদিন নটাঙ্কি করে, মেয়ে প্রেগন্যান্ট হয়। এই যে সময়টাতে মৌসুমী হামিদ বন্দি, সে কিন্তু পালানোর ন্যুনতম চেষ্টাও করে না। দরজা খোলা, পাহারায় দুবলা-পাতলা জালাল, কিন্তু না, তার পালানোর মুড নাই। কারণ, সেক্স রক্‌স, দ্যাট্‌স হোয়াই! আরে তার বাপ-মা? আছে? নেই? কোন পরিবার? হু কেয়ার্স! যাউগ্গা।

এইদিকে মোশাররফ করিম নির্বাচনে দাঁড়াবে তাই অবিবাহিত মেয়ের পেটে তার বাচ্চা একটি পিআর নাইটমেয়ার হিশেবে দেখা দেয়। তাই মৌসুমি হামিদকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ইভেনচুয়ালী বাচ্চা জন্ম দিয়ে সে মারা যায় (ওহ! দ্যা ক্লিশেএএ)। মোশাররফ করিম বাচ্চা হাওয়া করে দিতে বলে চেলাদের। এরপরে . . . এরপরে . . .

আই হ্যাভ টু ওয়ার্ড ফর ইয়্যু। ড্যাগ। নদী। গেট দ্যা পিকচার?

তো ইতিমধ্যেই জালালের মৌসুমী হামিদের সাথে একটি এটাচমেন্ট গড়ে উঠেছিল, ফলে বাচ্চার প্রতিও তার একটি মায়া কাজ করে, তাই ড্যাগে ভাসমান বাচ্চাকে বাঁচাতে সাঁতার না জানা জালাল নদীতে ঝাঁপ দেয়। সিনেমার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অংশে দুটি দৃশ্যে এই তথ্যটি ইনসার্ট করা হয়েছিল যে জালাল সাঁতার জানে না। ক্লেভার গাই, দ্যাট আবু শাহেদ ইমন। উইঙ্ক উইঙ্ক!

তো, সাঁতার না জানা জালাল নদীতে ঝাঁপ দিলে . . ওয়েল . . যা হওয়ার তা-ই হয় . . ইয়্যু নো . . জাস্ট ওয়ান অফ দোওজ থিংস . . দ্যাট হ্যাপেনস . . সেইম শিট . . ডিফারেন্ট ডে। এনিওয়ে।

ক্রাই বেইবি! ক্রাই ইয়োর আইজ আউট। বাট। বাট, হোয়াই ডোন্ট আই ফিল লাইক ইট?

ইতিমধ্যে এই সামান্য জিনিস দেখাতে আরও প্রায় পঞ্চাশ মিনিট বের হয়ে গেছে। পঞ্চাশ মিনিটে কিছু ঘটনা ঘটেছে কেবল। বিশেষ কিছুই ঘটেনি। মোশাররফ করিম যখন জালালকে বোঝায়, জীবন শক্ত না, জীবন নরম, তখন ঠাঠা করে হেসে দিই। কার্টুন নেতা মোশাররফ করিম শেখাবে জীবনের কাঠিন্য!

জালালের প্রতি ন্যুনতম কিছু বোধ করি না। হালকা চোখ রোল করে, প্রায় ইনডিফারেন্টলি কারসরটা টেনে নিয়ে উইন্ডোটা ক্লোজ করে দিই।
*

কারণ ‘জালালের গল্প’ আদতে জালালের গল্প নয়। এটি তথাকথিত 'আমাদের গল্প'ও নয়। এটি কোন গল্পই নয়। এটি কিছু ফ্যামিলিয়ার ঘটনাবলির সাধারণ দৃশ্যায়ন, তার সোজাসাপ্টা গাঁথুনি মাত্র।

জালাল কে? জালালের চরিত্র কি? ওর মানসিকতা কি? ওর স্বপ্ন? ওর দুঃখ, প্রেম? জালাল কি? কিছু প্যাথেটিক ক্লিশে ছাড়া, আর কি সে? জালালের কী গল্প বলা হয়েছে সিনেমায়? কারও-ই বা কী গল্প বলা হয়েছে? মিরাজের? আমিনের? মরিয়মের? চেয়ারম্যান কিংবা তার নতুন বউয়ের? নেতা-মাস্তানের বা যৌন-দাসীর?

এমন কোন চরিত্র আছে যার ভূমিকাটি অত্যন্ত সীমাবদ্ধ ক্লিশে নয়?

জালালের প্রথম মা মরিয়ম, অভিযোগ করে আর জালালের জন্য কান্নাকটি করে।

জালালের দ্বিতীয় মা শর্মিমালা, ফ্লার্ট করে, সেক্স করে, শেষে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে জালালের জন্য কান্নাকাটি করে।

জালালের তৃতীয় এ্যাপারেন্ট মা, এ্যাপারেন্ট প্রেমিকা মৌসুমী হামিদ, বন্দিনী, রেইপ্‌ড হয়, ফ্লার্ট করে, বিয়ে-বাচ্চা'র জন্য কান্নাকাটি করে, বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়।

এই-ই? বাংলাদেশের নারীর কোন অধিকার নেই, ক্ষমতা নেই? অত্যাচারিত দাসী-বান্দী তারা? দ্যাট্‌স ইট?

সো, হোয়াট‌্স নিউ?

নতুন কি?

বা পুরনোই হোক, নতুন ভাবে কি? নতুন আয়োজনে? নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে? নতুন কোন কার্যকর তরিকায়?

না।

জাস্ট সাম বোরিং ক্লিশেজ।
*

নানা রকমের শতাধিক বিভ্রান্তিকর প্লট পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এই লেখা আপনারা কেউ পড়বেন না। ইতিমধ্যেই কি অনেক বড় হয়ে গেছে? আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু পুল আনাদার 'আন্ডার কন্সট্রাকশান'!

আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি সিনেমা আছে, ডেভিড ম্যামেট এর ‘স্পার্টান’। ভ্যাল কিলমারের চরিত্রটির একটি সংলাপ আছে, ‘তুমি তোমার সারা জীবন পেয়েছ এই মুহূর্তটির প্রস্তুতির জন্য। তুমি তৈরি নও কেন?’

সেটাই ভাবি।

সিনেমা বানতে মরিয়া মানুষগুলো, তারা তৈরি নয় কেন? নাটক বানানো, টিভিসি বানানো, ডকুমেন্টারি বানানো, বছর বছর ধরে গুরুস্থানীয়দের এ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টরি করা, পোডুছার খোঁজার পেছনে এত এত সময় দেয় তারা। পড়াশোনাদেখাভাবার পেছনে সময় দেয় না কেন? তারা কি জানে না যে কন্টেন্ট ইজ স্টিল দ্যা কিং? একটি সলিড স্ক্রিনপ্লে তারা রচনা করতে পারে না কেন? তাদের চিত্রনাট্যে, কাহিনী-সংলাপ রচনায় পাঁড় আলসেমির কড়া সিল থাকে কেন অল দ্যা টাইম, এভরি টাইম?
*

. . আর কি লিখব? বুঝতে পারছি না। অনেকক্ষণ ঝিম মেরে বসে আছি। গুড হিউমার ধরে রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে।
*

. . এখনও কিছু আসছে না মাথায়। আই এ্যাম ড্রঅইং এ্যান এবসোলুট ব্ল্যাঙ্ক। উইয়ার্ড।

পাঠক, দুঃখিত। এ্যাব্রাপ্টলি শেষ করতে হচ্ছে লেখাটি। ঘরে একটি মাছি প্রবেশ করেছে। একটি কাজ পাওয়া গেল আপাতত।

আনটিল নেক্সট টাইম।
*

সিনেমা দেরীতে


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

বার্ন!

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়াআহ! চাল্লু
*

সিনেমা দেরীতে

Ash এর ছবি

মুভি রিভিউ সাইডে রেখে বলি, আপনার লেখার ভঙ্গী চমৎকার!

জালালের গল্প আদতে জালালের পিতাগণের গল্প; এইখানে একই গল্প তিন কিস্তিতে বলা হয়েছে, এবং আমার নোভিশ চোখে প্রতিবারেই গল্পটি দূর্বলতর হতে থেকেছে। শেষের অংশে অনেক গোঁজামিল, কাস্টিং থেকে শুরু করে। মৌসুমী হামিদ যে হঠাত কোত্থেকে উদয় হলো, সেটা বুঝতেই অনেকক্ষণ কাটিয়ে দিয়েছিলাম।

যাই হোক, সিনেমার প্রথম কয়েক মিনিট বেশ কৌতুহলোদ্দীপক। আমি ধারণা করছিলাম যে ধর্ম-কর্ম-কুসংস্কারাদি নিয়ে হয়তো কোন জোরালো বক্তব্য থাকতে পারে এই সিনেমার। পরে দেখা গেল, নেই। মাঝের পর্বটা যেন কবিরাজি চিকিতসাপদ্ধতির উপরে ডকু-ফিকশান।

আশাহত।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

'জালালের পিতাগণ' থেকে নাম পরিবর্তন করে নাম 'জালালের গল্প' রাখা এবং সিনেমায় জালালের গল্পের চেয়ে জালালের 'পিতা' দের গল্প(!) বেশী থাকাই প্রমাণ করে সিনেমাটি কতটা লুজলি লেখা হয়েছিল!

শেষের অংশটিতে আসলেই গোঁজামিল ছিল সবচেয়ে বেশী!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

অতিথি লেখক এর ছবি

'জালালের গল্প' দেখার পর আমার কাছে আহামরি কিছু মনে হয়নি। বেশ অ্যাভারেজ একটা প্রজেক্ট বলা যায়। কিন্তু অবাক হয়েছিলাম যখন দেখলাম চারপাশে, বিশেষত ফেসবুকের সিনেমা বেইজড গ্রুপ এবং ব্লগগুলাতে একে প্রশংসার বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। "অনেকদিন পর একটা সিনেমা দেখলাম", "তৃপ্তি পেলাম", "বিশ্বকে জানান দেওয়া" ... আরো হাবিজাবি। এর পেছনে সিনেমাটা কতখানি ভূমিকা রেখেছিল আর পর্তুগাল বা ইউরোপিয়ান কোন এক উৎসবে মোশাররফ করিমের প্রাইজ পাবার ভূমিকাটাই প্রধান ছিল কিনা ... কে জানে! বাইরের দেশের প্রশংসাই ত আমাদের মূল উৎসাহের জায়গা!

ফারুকীর 'টেলিভিশন' দেখেছিলাম। এখানেও প্রতিক্রিয়া 'মোটামুটি'। কিন্তু একই অঞ্চলে গড়ে ওঠা আরেক 'জালালের গল্প' দেখার অর টেলিভিশনটাই বেটার মনে হয়েছে। আর পরিচালক ইমন সাহেব কি কোনভাবে ফারুকীর সাথে রিলেটেড? কারণ তার গল্প বলার ধরন, সংলাপ, সিনেমেটোগ্রাফি অনেকটাই ফারুকীকে অনুসরণ করে করা। সিনেমা দেখাকালীন এ জিনিসটাই সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর লাগছিল। ফারুকীকে তাঁর স্টাইলে মেনে নেওয়া যায় ... অন্যকে মানাবে কেন?


☼ মানুষিক সৈনিক ☼

Ash এর ছবি

টেলিভিশনের সাথে তুলনা করলে আমিও টেলিভিশনকেই এগিয়ে রাখব - অন্ততঃ টেলিভিশনে পরিস্কার একটা বক্তব্য থাকার কারণে। মোশাররফ করিমের ওভার-এক্টিং এবং নানাবিধ দুর্বোধ্যতা জালালের গল্পের তৃতীয় অংশকে, এবং ফলতঃ পুরো সিনেমাকেই কাঁচা কাজের পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে। তবে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বেশ ভাল লেগেছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আবু শাহেদ ইমন ফারুকীর বেশ কাছের লোক,

অতিথি লেখক এর ছবি

মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী ‘জালালের গল্প’ এর এসোসিয়েইট প্রোডিউসার। তার উদ্যোগেই ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ‘বুটিক সিনেমা’ প্রজেক্ট শুরু করেছিল, যে প্রজেক্টের প্রথম সিনেমা হল জালালের গল্প।
*

সিনেমা দেরীতে

Emran  এর ছবি

শিল্পকলায় "ইকোনমি" এবং "আণ্ডারস্টেটমেন্ট"-এর গুরুত্ব সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নন। আর কোন অজানা কারণে অনেক চিত্রনাট্যকার/পরিচালক মনে করেন সিরিয়াস ছবি = বোরিং ছবি!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভেরি ট্রু।
*

সিনেমা দেরীতে

শেহাব এর ছবি

একটি ‌ব্যাপারে একমত হতে পারলাম না। ঠিকমত চিত্রনাট্য লিখতে খরচ লাগে। এটি ফ্রি ভালভাবে লেখা সম্ভব নয়। কেউ যদি নয়টা পাঁচটা অন্য চাকরী করে, তারপর আবার বাসায় এসে বাসা পরিষ্কার করতে হয় গুছাতে হয়, বাচ্চা থাকলে বাচ্চা দেখতে হয় তাহলে সেটি একটা স্ক্রিপ্ট কিভাবে ঠিকমত লিখবে? স্বাভাবিক গতিতেই তো একটি ভাল স্ক্রিপ্ট লিখতে তো এক বছর লেগে যাওয়ার কথা।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহা!

আপনি কিন্তু ‘খরচ’ এর কথা বলে ‘সময়’ এর উদাহরণ দিয়েছেন!

আপনি যদি, কখনও কখনও চিত্রনাট্য লেখার জন্য প্রয়োজনীয় রিসার্চ/ট্র্যাভেল/ইত্যাদির জন্য যে খরচ হতে পারে, সে কথা বলতেন, মানতাম, যদিও সেটি খুব স্পেশালাইজ্‌ড বিষয় নির্ভর গল্পের বেলায় হয়, সব সময় নয়।

চিত্রনাট্য লেখার সময়টিতে জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় খরচকে আপনি চিত্রনাট্য লেখার খরচ হিশেবে গননা করতে পারেন কি? চিত্রনাট্য না লিখলেও, জীবিকা নির্বাহ তো করতেই হতো, নাকি?

বিষয়টিকে কবিতা লেখার মত করে দেখুন। কবিতা লিখতে কি টাকা-পয়সা খরচ হয়? না। আপনি সকালে অফিসে যাচ্ছেন, গাড়ীতে বাসে বসে আছেন, কবিতার লাইন ভাবছেন, অফিসে একটু নিরিবিলি সময় পেয়েছেন, ভাবছেন, লাঞ্চের সময় ভাবছেন, বাসায় ফেরার সময় ভাবছেন, বাসা পরিষ্কারের কাজ করতে করতে ভাবছেন, বাচ্চাকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে ভাবছেন – ইয়্যু সি হোয়াট আই মিন? ভাবার জন্য বিশেষ কোন ‘আলাদা’ সময়ের প্রয়োজন হয় না, ডিপেন্ড করে আপনি কতটুকু ইনভলব্‌ড তার উপরে। কোন পয়সা খরচ হয় না।

এরপর লিখে ফেললেন, কাগজে, ল্যাপটপে . . হেল! . . স্মার্টফোনে!

অবশ্যই, আপনি যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ বা প্রাসঙ্গিক/কাছাকাছি কোন কাজে প্রফেশানালি জড়িত না থাকেন, কেবল এনথুজিয়াস্ট ধরণের হন, তাহলে অবশ্যই কাজটা করা দূরহ, অস্বীকার করবো না। সময়সাপেক্ষ। কিন্তু ব্যয়বহুল? আমি তা বিশ্বাস করি না।

ভাবতে এবং লিখতে অর্থ খরচ হয় না। হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

সোহেল ইমাম এর ছবি

খুবই যথার্থ বলেছেন।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

অ এর ছবি

লেখকের নামটা জানবার কৌতুহল হচ্ছে । আপনার লেখা আগে কোথাও পড়েছি মনে হচ্ছে ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি 'সিনেমা দেরীতে' নামে লিখি। সচলায়তনে আগেও সিনেমা নিয়ে লিখেছি, পড়ে থাকতে পারেন।
*

সিনেমা দেরীতে

মেঘলা মানুষ এর ছবি

চিত্র সমালোচনার সময় প্লট আসতেও পারে আবার না ও পারে। 'স্পয়লার অ্যালার্ট'' থাকা দরকার ছিল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মন খারাপ পরবর্তীতে থাকবে।
*

সিনেমা দেরীতে

উদাস আমি  এর ছবি

বাহ... আপনি দেখা যায় বেছে বেছে ফারুকী, রুবাইয়্যাত, বা আবু শাহেদ ইমনদের মত নির্মাতাদের নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা প্রকাশ করছেন। আপনার লেখনী থেকে একটা বিষয় ক্লিয়ার আপনি ওদের ব্যাপারে জেলাস অথবা ওদের শত্রু ভাবছেন! উনারা কি আপনার কোন ক্ষতি করেছে বা করছে? না করে থাকলে কেন এত বাজে রিভিউ লিখছেন? এইটা রীতিমত বীভৎস একটা লেখা হয়েছে! আপনাদের মত লোকেদের কারনেই বাংলাদেশের সিনেমার কোন উন্নতি হয় না। জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজিত ছবিগুলো নিয়ে লেখেন না কেন? আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে জালালের গল্প ছবিটি অনেক ভালো লেগেছে। অনলাইনে আপনার এই রিভিউ ছাড়া এ যাবত আর কোন বাজে রিভিউ চোখে পড়ে নাই। এত এত ভালো রিভিউ ও দর্শকের সাছে সমাদৃত একটা ছবিকে এইভাবে অপদস্ত করে লেখা সচলায়তনের মত ব্লগে লেখা হচ্ছে দেখে খুবই খারাপ লাগল। মানুষকে উৎসাহিত করুন। আপনার লেখাটা এত হিংসাত্মক আর আক্রমণাত্মক আপনার প্রতি শ্রদ্ধা চলে যায়। লিখেন... গঠনমূলক সমালোচনা করেন! সব কিছুকে আস্তাকূড়ে ফেলে দিলে সেই গন্ধে নিজেকেই বাস করতে হবে কিন্তু ... ভালো থাকবেন !!!!

যাইহোক এর ছবি

শুরুতেই বলে নেই আমি অযথা লেখকের পক্ষপাতিত্ব করছিনা। আপনার মন্তব্যের দুর্বলতা গুলো নিয়েই বলতে চাচ্ছি।

উদাস ভাইয়া, লেখায় পরিচালকের প্রতি জেলাসি বা এন্মিটি প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে হয় না... লেখকের মতামত সিনেমাকে ঘিরে। আর আপনার কথার মধ্যেই আপনার প্রশ্নের জবাব আছে। ওই জাজ মালটিমিডিয়া নিয়ে লেখক লিখে নাই বলেই তাকে পরিচালকের শত্রু হতে হবে কেন? খেয়াল করে দেখুন, এই মুভিটা আপনার ভালো লেগেছে, কিন্তু জাজ মালটির গুলো লাগে নাই, ঠিক উল্টো হয়ত এই লেখকের ক্ষেত্রে। তাই তাকে একপেশেভাবে দোষারোপ করা ঠিক হবেনা। আর এই রিভিউটি ছাড়া অন্য কোন ঋণাত্মক রিভিউ নেই বলেই যে লেখা যাবেনা তা তো হউয়া উচিৎ না, তাইনা? লেখায় যদি কোথাও 'হিংসা' আর 'আক্রমণ' প্রকাশ পেয়ে থাকে তবে সেটা সিনেমার দুর্বলতার জন্যই। আর 'সব' কিছুকে লেখক কোথায় আস্তাকুড়ে ফেলেছেন? আপনিই তো বলেছেন জাজ মালটি নিয়ে লেখক কিছু লিখেন নাই... হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

@ উদাস আমি

আপনি দেখা যায় বেছে বেছে ফারুকী, রুবাইয়্যাত, বা আবু শাহেদ ইমনদের মত নির্মাতাদের নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা প্রকাশ করছেন।

আপনি শুরুতে ‘বেছে বেছে’ বলে শেষে ‘মত’ লাগাতে পারেন না! আমি ‘চিন্তা’ প্রকাশ করছি, দুশ্চিন্তা নয়। এছাড়াও, আমি মাত্র ছয়টি লেখা লিখেছি যার চারটিই ভিন্ন ভিন্ন পরিচালকের সিনেমা নিয়ে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত খবর কিংবা সিনেমা মুক্তির সূত্র ধরে- বাছাবাছির কি দেখলেন? ইয়্যু আর রিচিং জনাব উদাস!

একটা বিষয় ক্লিয়ার আপনি ওদের ব্যাপারে জেলাস অথবা ওদের শত্রু ভাবছেন!

লেখার কোন অংশ থেকে ‘ক্লিয়ার’ হলেন আমি তাদের ব্যাপারে জেলাস কিংবা তাদের শত্রু ভাবছি? উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করুন।

উনারা কি আপনার কোন ক্ষতি করেছে বা করছে? না করে থাকলে কেন এত বাজে রিভিউ লিখছেন?

আমার কি তাহলে কেবল মাত্র তাদের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হলেই তাদের সিনেমার ‘বাজে রিভিউ’ লেখা উচিত? অর্থাৎ, শুড আই মেইক ইট পারসোনাল? আমি যে ব্যক্তি মানুষগুলোকে নিয়ে কোন মন্তব্য করছি না, কেবল তাদের কাজ নিয়ে মন্তব্য করছি, অবজেক্টিভ থাকছি, থাকার চেষ্টা করছি, তাতে আপনার পোষাচ্ছে না?

জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজিত ছবিগুলো নিয়ে লেখেন না কেন?

হার্ডকোর বাণিজ্যিক সিনেমা দেখি না, তাই লিখি না।

আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে জালালের গল্প ছবিটি অনেক ভালো লেগেছে।

চমৎকার! দ্যাট ইজ এবসোলুটলি ফাইন! আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে ভাল লাগেনি। আমাদের সহাবস্থানে সমস্যা কোথায়? দ্যা কিই ওয়ার্ড ইজ – ব্যক্তিগত!

সচলায়তনের মত ব্লগে লেখা হচ্ছে দেখে খুবই খারাপ লাগল।

কর্তৃপক্ষকে আপনার অসন্তোষ জানান।

মানুষকে উৎসাহিত করুন।

মানুষকে উৎসাহিত করতে চাই, কিন্তু তোষামোদের মাধ্যমে ভ্রান্ত ভাবে নয়, বাস্তবতা উপস্থাপনের মাধ্যমে, ম্পষ্ট কথা বলে। প্রথমটি অত্যন্ত ড্যামেজিং। পরেরটি কাজে লাগলেও লাগতে পারে, সম্ভাবনা থাকে।

আপনার লেখাটা এত হিংসাত্মক আর আক্রমণাত্মক আপনার প্রতি শ্রদ্ধা চলে যায়।

শ্রদ্ধা দিয়ে আমি কি করবো? আমার দরকার আলোচনা। আপনি যদি, কেন আপনার কাছে জালালের গল্প ভাল লেগেছে তা ব্যাখ্যা করে মন্তব্য করতেন এবং আমার লেখার কোন কোন বক্তব্য আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি এবং কেন তা জানাতেন- তাহলেই বরং উত্তম হতো।

সব কিছুকে আস্তাকূড়ে ফেলে দিলে সেই গন্ধে নিজেকেই বাস করতে হবে কিন্তু

গন্ধে এখনই বাস করছি! টিকে আছি, কারণ ইন্টারনেটের কল্যাণে সমগ্র পৃথিবীর সেরা কন্টেন্টগুলো এক্সপেরিয়েন্স করতে পারছি। পৃথিবী উন্মুক্ত হয়ে গেছে। ডিডেন্ট ইয়্যু গেট দ্যা মেমো?

ভালো থাকবেন !!!!

ঠিক আছে।
*

সিনেমা দেরীতে

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার লেখনী থেকে একটা বিষয় ক্লিয়ার আপনি ওদের ব্যাপারে জেলাস অথবা ওদের শত্রু ভাবছেন!

না। বিষয়টা মোটেই ক্লিয়ার না। আপনার মতো করে হিসেব করলে দুনিয়ার সকল সমালোচক লেখক/কবি/নির্মাতাকে শত্রু মনে করেন। গ্রো আপ।

উনারা কি আপনার কোন ক্ষতি করেছে বা করছে? না করে থাকলে কেন এত বাজে রিভিউ লিখছেন?

এই কথার কোনো জবাব নেই। আপনার যেসব নির্মাতাকে পছন্দ তাদের কোনো কাজের সমালোচনা/রিভিউ পড়া উচিত না। আবেগ জিনিসটা বিচার-বিবেচনা ঘোলাটে করে দেয়।

আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে জালালের গল্প ছবিটি অনেক ভালো লেগেছে।

আপনি যদি আপনার ভালো লাগা নিয়ে টেকনিকাল একটি রিভিউ লিখতেন তাহলে সেটি এই লেখাটির জবাব হতে পারত। আপনার মন্তব্য এই লেখাটির জবাব হয়নাই। আবেগে কেঁদে ফেলে "তুমি দুষ্টু" বলা হইছে!

আপনার লেখাটা এত হিংসাত্মক আর আক্রমণাত্মক আপনার প্রতি শ্রদ্ধা চলে যায়।

হ্যাঁ, লেখার টোনটা আক্রমনাত্মক। কিন্তু সেটা লেখকের স্টাইল। লেখকের পছন্দ। বাহ বাহ খুব ভালো হয়েছে সোনা, পরেরবার আরো ভালো হবে গানের গীতিকারদের যন্ত্রণাতেই বরং এদেশের সিনেমার উন্নতি হবে না। পায়খানাকে পায়খানা বললেই তার বাজার কমে, পায়েস বললে বাড়ে।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফারুকী দেরীতে এর ছবি

ভাইয়া আপনি ফারুকীকে কিছু বলেন না, লক্ষ্য করেছি। মাঝেমধ্যে মিষ্টি মিষ্টি মন্তব্য করে ফারুকীকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন আর নতুন যোগীদের তুলাধুনা করছেন। বেপারটা কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্রাদার! একজন বলছে বেছে বেছে ফারুকীকে গালাগাল দিচ্ছি, আপনি বলছেন ফারুকীকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি! ঘটনা কি বুঝতে পারছি না!

আমি সাম্প্রতিক সংবাদ বা মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার প্রসঙ্গে লিখছি। ফারুকীর পরবর্তী সিনেমা 'ডুব' মুক্তি পেলে দেখবো এবং লিখবো। ভাল লাগলে প্রশংসা করবো, ভাল না লাগলে 'তুলোধুনা' করবো।

ফারুকীর কাজ নিয়ে, কিংবা কোন নির্দিষ্ট নির্মাতার কাজ নিয়ে আমাকে বিশেষভাবে ব্যস্ত হতে হবে কেন? আমি বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে লিখছি।

ধন্যবাদ।
*

সিনেমা দেরীতে

উদাস আমি  এর ছবি

সমস্যা নাই ভাই লেখেন! বাংলাদেশের সিনেমা আপনার লেখায় উল্টে যাবে! পারলে যৌথ প্রযোজনা নিয়ে লেখেন! পারলে নতুন দিনের ছবির স্বপক্ষে কয়েক লাইন ভালো কথা লিখেন। আমার কি কি কারনে ভালো লেগেছে সে ব্যাখ্যায় গিয়ে আপনার সাথে লাভ নাই। আপনি যেইভাবে সমালোচনা করেছে এইটা কোন সমালোচনার মধ্যে পড়েনা! এইটাকে বলে নোংরামি! আপনার কাছে যেইটা অনেক হাল্কা লেগেছে আমাদের অনেক সাধারণ দর্শকের কাছে সেইটা অনেক অসাধারণ লেগেছে! আবু শাহেদ ইমন একজন তরুণ নির্মাতা! উনার নিশ্চয়ই ভালো কিছু করবার সম্ভাবনা আছে! প্রথম ছবিতে আপনি যে সব ভুল তুলে ধরে এত বড় একটা লেখা লিখলেন এইটা দিয়ে উনার কোন কিছু ছিঁড়বে বলে আমার মনে হয় না! আমার বন্ধুরা মিলে আমরা বলাকায় ৩ বার দেখেছি ছবিটা! ফেসবুকে সাধারণ অনেক দর্শকের প্রশংসা পেয়েছে ছবিটি! পাশাপাশি বুসান, কেরালা, গোয়া, ম্যানহেইম-হেইডেল্বার্গ, মন্টিয়াল ওয়ার্ল্ড সহ অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে। একটা মুভি আপনার ভাষায় যা একটা ট্র্যাশ সেইটা কেন এত ফেস্টিভ্যাল ট্রাভেল করলো? বুসানের নিউকারেন্টস এ হাওয়া থেকে মুভি সিলেক্ট হয়না! "থ্রোয়িং শিট ইন দ্যা মিক্স"-টাইপ হলে এত এত দর্শক নন্দিত আর ফেস্টিভ্যালে কেন সিলেক্ট হল? আপনার লেখা পড়ে মনে হয়েছে এই ফিল্মটার চাইতে পৃথিবীতে আর কোন ট্র্যাশ মুভি নাই! আপনি পারলে পরিচালকের উপর আল্লাহর গজব প্রার্থনা করছেন! একি এটিচুড ছিল আপনার রুবাইয়্যাতের ছবিটা নিয়ে লিখবার সময়! আমি নিশ্চিত আপনি ফারুকীর ডুব সিনেমা দেখে এসে সবার আগে ভাগ্যে লিখবেন এইটা কি রকম বাজে হইছে... এবং আপনি বিরাট বড় বোদ্ধা হয়ে আরও তালি পাবার আশায় লিখবেন ফারুকীর বিপক্ষে! ব্লগে আপনাদের এই ধরনের আচরণের কারনে উৎসাহিত বোধ করবার কোন কারন নাই কোন! বিদেশ বসে দুই লাইন সিনেমা বোঝার অভিজ্ঞতা নিয়ে এত বড় বড় লেখা লিখাই হবে আপনার এক জীবনের পাওয়া! রিয়েল ফিল্ডে কি হয় সেইটা বোঝাপড়ার কোন যোগ্যতা আপনার আছে কিনা আমার সন্দেহ হয়! যাই হোক তালি যা পাবার পেয়েছেন! আমি এত বিরক্ত হয়েছি আপনার টাইটেল দেখে! আরেকটা মানুষকে এত ছোট করতে চাইবার প্রয়াস দেখে! জালালের গল্প কোন ভাবেই শিট কোন ছবি না! সচলায়তনে নিকের বাপের দেয়া নাম লুকিয়ে এই কথা বলা সম্ভব! সাহস থাকলে নিজের আসল পরিচয় দিয়ে রিভিউ লিখুন! দেখি আপনি কত বড় বোদ্ধা হইছেন!

সত্যপীর এর ছবি

সাহস থাকলে নিজের আসল পরিচয় দিয়ে রিভিউ লিখুন! দেখি আপনি কত বড় বোদ্ধা হইছেন!

লিখেছেন উদাস আমি

হো হো হো

..................................................................
#Banshibir.

স্যাম এর ছবি

দেঁতো হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অনেকদিন পর এরকম জিনিস দেখে খুব ভাল্লাগতেছে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

@ উদাস আমি

একটি রেটোরিকাল প্রশ্ন করি।

আপনি কি জানেন যে ২০১৪ এর এসিয়ান সিনেমা ফান্ডে পোস্ট প্রোডাকশান ফান্ডের জন্য আবেদন করে নির্বাচিত হবার পরে তাদের শর্ত অনুযায়ী ‘জালালের গল্প’ এর প্রযোজকেরা বাধ্য ছিলেন সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে করাতে?

আপনার মন্তব্য হতে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে আন্তর্জাতিক ফেস্টিভাল সার্কিট কিভাবে ওয়ার্ক করে তা সম্পর্কে আপনার ন্যুনতম কোন ধারণা নেই।

বুসানের নিউকারেন্টস এ হাওয়া থেকে মুভি সিলেক্ট হয়না

এই বাক্যটি বুসান উৎসব কর্তৃপক্ষ তাদের প্রোমোশানের কাজে দারুণ করে ব্যাবহার করতে পারেন।

আপনাকে আর জ্ঞান দেব না।

আপনার সাথে, যে কারও সাথে- আলোচনায় যেতে প্রস্তুত আছি, কাইজ্জাকাটি চুলাচুলি করতে নয়।

টাটা। ভাল থাকুন।
*

সিনেমা দেরীতে

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

প্রথম ছবিতে আপনি যে সব ভুল তুলে ধরে এত বড় একটা লেখা লিখলেন এইটা দিয়ে উনার কোন কিছু ছিঁড়বে বলে আমার মনে হয় না!

না ছিঁড়লে আপনি চ্যাতেন ক্যান ভাইয়া? আপনার কি কিছু ছিঁড়লো? যে লেখায় জগতের কাহারো কিছু ছিঁড়িলো না সেই লেখায় "উদাস আমি" জ্বলিলে লোকে সন্দেহ করবে যে!

এই লেখার লেখক,

না পাওয়ার বেদনা থেকে

লেখাটা লিখেছে তাতে কারো কোনো সন্দেহ নেই! সে আর না বললেও হবে চোখ টিপি

আপনারে অনুরোধ করি, আপনি এবং আপনার সাঙ্গপাঙ্গরা আবু শাহেদ ইমন'দের থেকে একটু দুরত্ব বজায় রাখেন। নয়ত এরা কখনো জাতে উঠবে না। তাতে ক্ষতিটা বাংলা চলচ্চিত্রেরই হবে।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আশা ভরসা  এর ছবি

উদাস সাহেবের এত উত্তেজিত হয়ে যাওয়াটা বুঝলাম না! সিনেমা দেরিতে সাহেব তো ভালই লিখেছেন! লিখতে দেন! সিনেমা নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে এই বিষয়টাই ভালো লাগছে! আমার নিজেরও ব্যক্তিগতভাবে সিনেমাটি ভালো লেগেছে! কিন্তু ক্রিটিক্যাল থিংকিং বিষয়টি খারাপ না! আর বাপের দেয়া নাম নিয়ে প্রকাশ্যে বড় বড় কথা বলবার সময় এখন নয়! কাজেই আমরা ছদ্মনামে লিখব ... এইটাতে দোষের কিছু নাই ! তবে সিনেমা দেরিতে ভাই ... এই ছবিটার কোন কিছুই কি আপনার কাছে পজিটিভ লাগে নাই? আপনার লেখাটি পড়ে ব্যক্তিগত ভালোলাগা নিয়ে একধরনের ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে পড়ে গিয়েছি! ছবিটি নিশ্চিতভাবেই আরও ভালো হতে পারত ... কিন্তু একটা সৎ প্রচেষ্টা ছিল পরিচালকের পক্ষ থেকে এইটা আমার মনে হয়েছে... সৎ প্রচেষ্টা সাধুবাদ পেলে সিনেমার জন্য ভালো। আপনার লেখায় যে ক্ষোভ লক্ষ করলাম তা সত্যিকার অর্থেই শিশুতোষ হাসি আর সিনেমা লিখতে পয়সা লাগেনা এই থিয়োরি আপনার জন্য প্রযোজ্য হলে সবার ক্ষেত্রে এক নাও হতে পারে। আপনি কিভাবে ভালো চিত্রনাট্য লিখা যায় এই বিষয় নিয় কিছু লিখবেন প্লিজ! আর একটা প্রশ্ন আছে... বাংলাদেশের কাদের কাদের সিনেমা আপনার কাছে ভালো লাগে বা লেগেছে? আগামী দিনে কাদের কাছ থেকে ভালো সিনেমা পাবো বলে আপনি আশা করেন? আর সব শেষ প্রশ্ন... আপনার নাম সিনেমা দেরিতে কেন? সিনেমা ভেরিতের সাথে মিল রেখে রেখেছেন? নাকি আপনার নিজের এখন অন্যের ছবির গুষ্টি উদ্ধারই কেবল চলছে? নিজেরটা মনে হয় দেরি হবে তাই দেরিতে রেখেছেন... তাই না? সর্বপরি আপনার লেখা ভালো... আপনার কাছ থেকে ভালো সিনেমা প্রত্যাশা করতে পারি আমরা। সুস্থ থাকুন। আর ভাই উদাস আপনি নিদের জেই নাম দিয়েছেন এইটাও তো আপনার বাবার দেয়া নাম মনে হচ্ছে না খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

এই সিনেমার অনেক কিছুই আমার কাছে পজিটিভ লেগেছে, সিনেমাটি সম্ভাবনাময় ছিল, চিত্রনাট্যটি এত দুর্বল হওয়াতে সকল সম্ভাবনা এভাবে জলে ভেসে যাওয়ায় আমি নিজেই প্রচণ্ড হতাশ হয়েছি। তবে লক্ষ্য করবেন, আমি কেবল কাহিনী/চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনা করেছি, অন্য কোন কিছু নিয়ে নয়। তার কারণও ব্যাখ্যা করেছি।

দয়া করে কোন ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগবেন না! আপনার সিনেমাটি ভাল লাগার কারণ হতে পারে- সার্বিক বিবেচনায় সচরাচর এই মানের বাংলাদেশী সিনেমা আপনি দেখতে পাননি, দেখার অভ্যাস নেই, কারণ সিনেমাটি সার্বিকভাবে আসলেই বিশেষ মানের। লক্ষ্য করবেন, বলেছি- সার্বিক বিবেচনায়। উল্লেখিত অনভ্যাস এবং অপ্রত্যাশিত বিশেষ মানের কারণে সিনেমাটি আপনার বিশেষভাবে ভাল লেগে থাকতে পারে।

আপনি সামগ্রিক ভাবেই সিনেমাটি দেখেছেন। কিন্তু সিনেমার বিভিন্ন পৃথক পৃথক অংশ যেমন চিত্রনাট্য, সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং, প্রোডাকশান ডিজাইন, সাউন্ড ডিজাইন ইত্যাদি সম্পর্কে আমার যথেষ্ট জানাশোনা-ভাবনার কারণে আমি একই সাথে সামগ্রিক ভাবে আবার টুকরো টুকরো করেও সিনেমাটি এক্সপেরিয়েন্স করেছি। এটাই বাস্তবতা যে একজন সাধারণ দর্শক এবং সিনেমা নির্মাণের জ্ঞানসম্পন্ন দর্শক ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিতে একটি সিনেমা দেখবে। দেয়ার ইজ নো ওয়ে এরাউন্ড ইট!

এছাড়াও, এই সব আলোচনা পাশে রেখে, সিনেমাটি আপনার জাস্ট ভাল লেগে থাকতেই পারে। তাতে তো কোন সমস্যা নেই, তাই না?

পরিচালকের সৎ প্রচেষ্টা অবশ্যই ছিল! তিনি সিনেমাটি নির্মাণ করতে গিয়ে যথেষ্ট সংগ্রামও করেছেন! সচলায়তনে আমার প্রথম লেখায় তিনি মন্তব্য করেছিলেন, আমাদের বাতচিত হয়েছিল, আমি নিজে তাকে বলেছিলাম- “আমার মনে হয়েছে আপনি একজন সিম্পল মানুষ যার আসলেই সৎ চেষ্টা আছে উন্নত চলচ্চিত্র নির্মাণের।” সচলায়তনে ‘সিনেমা আসিবার পূর্বেই’ লিখে খোঁজ করুন, মন্তব্য ১০ থেকে ১৩ লক্ষ্য করুন।

কিন্তু তার প্রচেষ্টা কিংবা সততার প্রভাবে চিত্রনাট্যটির দুর্বলতা এবং এর অন্তর্নিহিত কারণ অদৃশ্য হয়ে যায়না! সিনেমাটির দুর্বলতাগুলো রয়ে-ই যায়!

আই উইল স্ট্যান্ড বাই মাই স্টেইটমেন্ট। সিনেমা লিখতে পয়সা লাগে না! এই বিষয়ে অবশ্যই কিছু লেখার চেষ্টা করবো, শীঘ্রই।

আমি এমনকি জনাব আবু শাহেদ ইমনের কাছ থেকেই অনেক উন্নত সিনেমা আশা করি! তিনি চিত্রনাট্যের প্রতি আরও মনোযোগী হলে অবশ্যই তার পরবর্তী কাজটি অনেক ভাল হবে। তার 'দ্যা টেইল অফ আ পোলিসম্যান' এর একটি কাহিনীসংক্ষেপ আমি পড়েছি। যথেষ্ট সম্ভাবনাময় একটি কাহিনী। সেটির চমৎকার সিনেমারূপ দেখতে আমি খুবই আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছি।

কামার আহমেদ সাইমন, ইশতিয়াক জিকো, মেজবাউর রহমান সুমন- আমি আশা করে আছি ইনারা প্রত্যেকেই দুর্দান্ত সিনেমা বানাবেন।

‘সিনেমা দেরীতে’ নামটি এসেছে তারেক মাসুদের কাছ থেকে। তার 'আদম সুরত' নির্মাণের দেরী দেখে সকলের ঠাট্টা-তামাশার জবাবে তিনি বলতেন সিনেমা ভেরীতে’র মতই তিনি সিনেমা দেরীতে আন্দোলন করছেন। তার প্রতি ভালবাসা থেকেই নামটি ধার নেয়া। নামটির সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন সংযোগ নেই। বাংলাদেশে উন্নত সিনেমার আগমনে যে দেরী হচ্ছে, সেটিও বিবেচনায় ছিল নাম ধার-করণের সময়।

সিনেমা নির্মাণের জ্ঞান/প্রশিক্ষণ থাকলেও আমার সিনেমা নির্মাণের প্রবল কোন ইচ্ছে/উদ্দেশ্য নেই, আমি দর্শক হিশেবেই অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এছাড়াও, আমি ভিন্ন একটি পেশায় নিয়োজিত।

আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। এরকম আরও আলোচনার আশা রাখি। হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

অতিথি লেখক এর ছবি

সিনেমা দেরীতে'র লেখাটিতে কোন গালাগাল খুঁজে পেলাম না। কয়েকজন পাঠকের মন্তব্য পড়ে যা বুঝলাম সংক্ষেপে তা হচ্ছেঃ
১. ভদ্রলোক/মহিলা কেন নিজের নামে লেখেননি।
২. তিনি কেন প্রশংসা করতে পারছেন না।
৩. যেখানে অন্য অনেকেই বলেছে ভালো সেখানে তিনি কেন এতো সমালোচনা করছেন।
৪. কেন শুধুই এক-দু'জন নির্মাতাই তাঁর লেখায় ঘুরে ফিরে আসছে।
৫. হিংসাত্মক এবং আক্রমণাত্মক লেখা বাদ দিয়ে কেন গঠনমূলক কিছু বলছেন না।

লেখক নিজেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন তাই আমার আর তেমন কিছু বলার অবকাশ নেই। তবে হাতে যখন কিছুটা সময় রয়েছে এবং এই মন্তব্যের জন্য কোনও ট্যাক্স দিতে হবেনা, তাই কিছু একটা বলার লোভ সংবরণ করতে পারছিনা।

নামের বিষয়টিই ধরা যাক। আচ্ছা, যদি জানা যায় লেখাটি স্বয়ং আলি যাকের ছদ্মনামে লিখেছেন তাহলে কি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে? কে লিখেছেন এটি নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যাথা নেই, কী লিখেছেন এবং লেখার ধরন কেমন তাই নিয়েই আমি আছি। লেখা গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে সিনেমা দেরীতে নামেই খুঁজে নেব। বাজারে গিয়ে আমি শওকত ওসমান কেই খুঁজি, আজিজুর রহমানকে নয়।

তিনি কেন প্রশংসা করতে পারছেন না! এটি তাঁর লেখাতেই কি পষ্ট নয়? তাঁর নিজের একটি মানদণ্ড (কথাটি ইংগিত পূর্ণ নয় মোটেই) রয়েছে, তার নিরিখেই তিনি বিচার করেন। তাঁর সাথে আমার দ্বিমত হলেই তিনি ভুল কিম্বা আমি সঠিক নই এটি কেমনতর কথা?

যেখানে অন্য অনেকেই ভালো বলেছে..............। অন্য অনেকেই তো গল্প লিখছে, আমার তাহলে আর নতুন করে সচলে লেখা পাঠিয়ে হা করে অপেক্ষায় থাকা কেন? কেন আবার, জীবনকে আমি আমার মতো করে দেখি তাই। সেই দেখা অন্যের সাথে মিলবেই এমনতো কোনও কথা নেই।

এক-দু'জন নির্মাতাই কেন.........। হুম, জটিল ভাবনা। বাংলাদেশ কেন ষড়ঋতুর দেশ? বৈশাখেই কেন শীত-গ্রীষ্ম-শরৎ-বসন্ত একসাথে আসেনা! হয়তো লিখবেন ভবিষ্যতে, হয়তো নয়। আমার তাতে কী এসে যায়? ইবনে মিজান কেন সাইন্স ফিকশন মুভি বানান নি? স্পেশালাইজেশন বলে একটা কথা আছে, হতেই পারে সিনেমা দেরীতে আপাতত এদিকটাতেই বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছেন।

হিংসাত্মক এবং.........। হিংসাত্মক কিছু চোখে পড়েনি। আক্রমণাত্মক লেখা সন্দেহ নেই, ক্ষেত্র বিশেষে ধ্বংসাত্মক মনে হলেও বিচিত্র নয়। কিন্তু দিনের শেষে এটিতো একটি লেখাই। পছন্দ না হলে বলুন পছন্দ হয়নি। লেখক যদি মিথ্যে তথ্য দিয়ে থাকেন তাহলে প্রতিবাদ করুন সেটার। সময় এবং সুযোগ পেলে স্বীয় শাহনামাই নামিয়ে ফেলুন না, মানা করছে কে? আর গঠনমূলক সমালোচনা যে কী বস্তু তা আমার জানা নেই। সমালোচনা সে সমালোচনাই। কাউকে তুষ্ট করা বন্দনা করা, বা উৎসাহ দেয়া এটির লক্ষ্য নয়। সে জন্য চিত্রালির সাংবাদিকরা আছেন, রয়েছেন রংপুর থেকে ইলা-বিলা-নিলা, ঈশ্বরদী থেকে রিপন-শিপন-লিখন, ঢাকা থেকে সেন্টূ-ঝন্টু-মন্টু.........।

সিনেমা দেরীতের লেখা আমার ভালো লাগছে।

----মোখলেস হোসেন (পিতামহের দেয়া নাম, দুইটি ছাগলের প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া।)

অতিথি লেখক এর ছবি

কে লিখেছেন এটি নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যাথা নেই, কী লিখেছেন এবং লেখার ধরন কেমন তাই নিয়েই আমি আছি।

জীবনকে আমি আমার মতো করে দেখি তাই। সেই দেখা অন্যের সাথে মিলবেই এমনতো কোনও কথা নেই।

তাঁর সাথে আমার দ্বিমত হলেই তিনি ভুল কিম্বা আমি সঠিক নই এটি কেমনতর কথা?

চলুক
সময় নিয়ে, ব্যাখ্যা করে মন্তব্যটি করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

Emran  এর ছবি

অনেক দিন পর সচলায়তনে একটা ছোটখাটো কমেন্টযুদ্ধ দেখলাম! খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

উদাস আমি  এর ছবি

আন্তর্জাতিক ফ্যাস্টিভাল কিভাবে ওয়ার্ক করে আমাকে একটু বুঝান... আপনি এই মন্তব্য দিয়ে কি বুঝাতে চাইছেন? বুসানের সিলেকশনে কোন মেধার যাচাই না হয়েই আল-বাল-ছাল যা খুশি তা সিলেক্টেড হবে। গোয়া ফেস্টিভ্যালে চাইলেই সিলেকশন পাওয়া যায়? ম্যানহেইম-হেইডেলবার্গ ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে এদের সিলেকশন সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে? কেরালার মূল প্রতিযোগিতায় যাওয়া এবং সেরা নবাগত নির্মাতার পুরষ্কার পাওয়া কি হাওয়া থেকে পাওয়া? ইরানের ফজর উৎসবে যার-তার ছবি সিলেক্ট হয়? কানাডার মন্ট্রিয়াল ওয়ার্ল্ড ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ থেকে কত বছর পর এইবার জালালের গল্প আর আন্ডার কন্সট্রাকশন সিলেক্টেড হয়েছে আপনার ধারণা আছে?

ভাই আপনার মত গোয়াড় লোকের সাথে তর্ক করে লাভ নাই! বুসানে পোষ্টপ্রোডাকশন ফান্ড পাওয়া কি মামুর বাড়ির আবদার। নিউ কারেন্টস কম্পিটিশনে এ যাবত কালে বাংলাদেশের একমাত্র ছবি এইটা নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়? বুসানের সিলেকশনের ব্যাপারে যেই উত্তরটা দিলেন, এত হাস্যকর উত্তর আমি আমার লাইফে শুনি নাই! প্রযোজকরা বাধ্য ছিলেন মানে কি? আমার তো মনে হয়েছে প্রযোজকরা সৌভাগ্যবান ছিলেন! আপনার বাক্য বিন্যাসে এত লুকানো ক্ষোভ কেন? ড্রামাটিক সিনেমার পুরানো রোগ, গভীর শিক্ষার অভাব, জালালের গল্প আমাদের গল্প নয়… আদতে এটা কোন গল্পই নয়...... এইরকম নানান বিশেষণে জর্জরিত আপনার লেখাটি ইমন ভাইয়ের প্রতি আপনার ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই লিখেছেন বলেই আমার মনে হয়েছে। যেই আক্রোশ একইভাবে ছিল রুবাইয়্যাতের ছবির বেলায়। আমি নিশ্চিত আপনি ফারুকী ভাইয়ের ছবির সময়ে একি কাজ করবেন! আই বিলিভ সেইম উইল গো ফর সায়মন, সুমন বা জিকো ভাইয়ের বেলায়!

আপনার লেখা পড়ে আমার কাছে আপনাকে প্যাথেটিক একজন লোক বলেই মনে হয়েছে! আপনার আরও লেখাগুলোতেও খেয়াল করেছি আপনি উনার বা রুবাইয়্যাতের ছবির সাথে সাথে উনাদের ব্যক্তিগত সব অবদান আর প্রাপ্তিকে এত ছোট করে দেখার চেষ্টা করছেন যে সত্যি অবাক হয়ে যেতে হয়! কামার আহমেদ সায়মন, জিকো বা সুমন উনাদের কাজ ও আমার ভালো লাগে। নিশ্চিতভাবেই উনারা ভালো কাজ করবেন আমি বিশ্বাস করি ! আমি নিজে জিকো ভাইয়ের ছাত্র ছিলাম কয়েক বছর আগে! কিন্তু ইমন ভাইয়ের সাথে দেখা হবার সৌভাগ্য হয় নাই … আর উনার ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে নেটঘেটে যতটুকু জেনেছি বা ইন্টার্ভিউ থেকে যতটুকু জেনেছি তাতে উনাকে আমার কাছে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নির্মাতাদের একজন বলেই মনে হয়েছে! জালালের গল্পের কাহিনী চিত্রনাট্য সংলাপ এমনকি সম্পাদনাও উনি নিজে করেছেন! প্রথম ছবি সর্বোপরি আমাদের দেশের সিনেমার বর্তমান অবস্থায় যেখানে অনেক নির্মাতারা একটা ছবি শেষ করতেই পারেন না সেইখানে “অতোর” একজন নির্মাতা হিসেবে উনার বিকাশ আমাকে আশাবাদী করে! ইমনভাই একাডেমিক্যালিও দূর্দান্ত এচিভমেন্ট করেছে।
এত এত ভালোবাসা পাওয়া একটি ফিল্ম এবং সম্ভাবনাময় একজন নির্মাতার মুভিকে আপনি যেই “হেডলাইনে" অপমানসূচক ভাবে লিখার প্রয়াস চালালেন তাতে সত্যি আমার ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত খারাপ লেগেছে! দিস ফিল্ম ডোন্ট ডিজার্ভ ইট!!!!

উদাস আমি  এর ছবি

আর একটা পয়েন্ট যোগ করতে চাই ... আপনার লেখা আমার আসলে ভাল লাগে নাই বলেই আমি এত সময় নিয়ে মন্তব্য করছি! আমার মনে হয়, সত্যিকারের ভালো রিভিউ বাংলাদেশে খুব কম লোকই লিখতে পারে! সবাই কাহিনী সংক্ষেপ আর নিজেদের ভালোবাসা জানানোতেই ব্যস্ত থাকে। কিন্তু আপনার লেখায় ক্রিটিক্যালি ভাবনার চেষ্টা দেখা যায়! আপনার কাছ থেকে গঠনমূলক সমালোচনা তো প্রত্যাশা করতেই পারি তাই না? এই লেখা কি গঠনমূলক বলবেন আপনি? আর আবু শাহেদ ইমন কিন্তু আপনার "সিনেমা দেরিতে" হবার আদর্শ তারেক মাসুদের সহকারী ছিলেন বলেই জানি! আমি এই লেখা লিখছি এত ডিফেন্ড করে কারণ...যদি কোনদিন এই লেখা ইমন ভাইয়ের চোখে পড়ে উনি যেন অন্তত ভালো ফিল করে যে... উনার কাজ তীব্র অপছন্দ করবার লোক যেমন আছে...তেমনি পছন্দ করবার লোকও আছে অনেক! আপনার লেখার ভাষায় একজন তরুণ নির্মাতার প্রতি যেই অবজ্ঞাসূচক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা অবিবেচকের মত আমার মনে হয়েছে!

আর সর্বশেষ আরেকটি কথা আমি নিজেও সিনেমা বানাই না। জীবনের চক্করে সিভিলে মাস্টার্স করছি আমেরিকাতে ... বাট সিনেমা নিয়ে মনে অনেক প্রেম! কেননা আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এশিয়ান ওয়ার্ল্ড ফেস্টিভ্যালে লস এঞ্জেলেসে বসেই এই ছবিটি দেখবার। বাংলাদেশের ছবি বিখ্যাত আইপিক থিয়েটারে দেখার সৌভাগ্য হয় আমার। বড় পর্দায় আমার দেশের একজন তরুণ নির্মাতা আমায় সেদিন কাঁদিয়েছে। দেশের প্রতি আবেগ থেকেই হোক আর ছবির ভালো লাগার থেকেই হোক এত কান্না আমি অনেকদিন কাঁদি নাই। শুধু আমি না ... আমার পার্টনার ও তার বান্ধবী আরও দুইজন গিয়েছিল আমরা প্রত্যেকে ছবি দেখে বের হবার প্রায় ১ ঘণ্টা পর পর্যন্ত বাকরুদ্ধ ছিলাম। আমি এর পর থেকে ইমন ভাইয়ের ফেসবুক ফলো করি... উনার সব লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ি। ইমন ভাইয়ের এই কাজ একটি বিরাট প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে আমার জন্য! ভবিষ্যতে একদিন অনেক তরুণ আমার মত যারা সিনেমা বানানোর স্বপ্ন লালন করেন কিন্তু নানান কারনে পারছেন না তাদের জন্য একটা আইডিয়েল ছবি বলে আমার মনে হয়! আর যাবার আগে আপনার আকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে মন চাইছে। কেননা মনের ভেতর আপনার যেমন বাংলা সিনেমা নিয়ে অনেক সম্ভাবনা বা ক্ষোভ খেলা করে তেমনি আমার নিজেরও করে। প্রচণ্ড আবেগ নিয়ে দেখা... ভালোবাসা-ভালোলাগা নিয়ে অনুভব করে দেখা একটা ছবি নিয়ে আপনার এত বাজে রিভিউ দেখে সত্যি অত্যন্ত খারাপ লেগেছে! তাই আমার মনে হয়েছে ইমন ভাইয়ের এই সত্য চেষ্টাকে একটু হলেও ডিফেন্ড করা উচিত। সিনেমা দেরিতে সাহেব ভাল থাকুন। নাথিং পারসোনাল ! (আমি আসলে ততটা গুছিয়ে লিখতে পারিনা আপনার মত! আপনার তাই আরও লেখা উচিত ... তবে সেটা হওয়া উচিত অবজ্ঞাহীনভাষায় ... সুস্থ সমালোচনা! অসুস্থ-অবজ্ঞা দিয়ে শিল্প বদলায় না বলে আমি বিশ্বাস করি!!! )

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনি খানিকটা লাইনে চলে এসেছেন বলে মনে হচ্ছে।
আপনার মন্তব্যের সুর যদি প্রথম থেকেই 'শেষের মতো' হতো তাহলে বরং চমৎকার একটা আলোচনা পড়তে পারতাম। সে তো হলো না। দেখাইলেন তেজ! সঙ্গে থাকলো প্রচ্ছন্ন হুমকি। আপনারে একটা তথ্য দেই, এইসব কথা বলে সচলাতনে টিকবেন না। স্রেফ ভেসে যাবেন।

যৌক্তিক ব্যাখ্যা করলে বরং টিকবেন। যৌক্তিক ব্যাখ্যায় যদি "সিনেমা দেরীতে'কে" একটা হিংসুক সমালোজক প্রমাণ করতেন, তাইলে আমিও আপনার সঙ্গে গলা মেলাইতাম। সেইটা খুব ভাল্লাগতো।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আশা ভরসা  এর ছবি

আপনার মন্তব্যের জন্যও ধন্যবাদ।
যাই হোক সত্য কথা হল আমি নিজেও আসলে সিনেমাটি দেখবার সময় অনেক ভালোলাগা অনুভূতি পেয়েছি। সিনেপ্লেক্সে ছবিটা দেখার সময় দেখেছি আমার আসে পাশের দর্শকও অনেক আনন্দ নিয়ে দেখছেন! আমি যেইদিন দেখি সেদিন পুরো হাউজফুল ছিল। আমি অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে এই জীবনে বাংলা সিনেমা দেখি নাই। আমি এই সিনেমার অনেক দুর্বল দিক নিজেও পেয়েছি... কিন্তু সেটা আসলে মাফ করে দেবার মত! আপনি ভাল ভালো লেখা লিখুন আর ভবিষ্যতে আবু শাহেদ ইমনের মত নতুন নির্মাতারা আরও ভালো কাজ করুক এইটাই প্রত্যাশা করি! বাংলা সিনেমার নতুন দিনের সিনেমায় চিত্রনাট্যের ব্যাপারে কি কি করা যায় বলে আপনি মনে করেন? পারলে একটু বলবেন প্লিজ! ধন্যবাদ সময় করে মন্তব্য করবার জন্য!

অতিথি লেখক এর ছবি

চিত্রনাট্য প্রসঙ্গে লেখার চেষ্টা করবো। হাসি

ধন্যবাদ।
*

সিনেমা দেরীতে

সৌরভ মণ্ডল এর ছবি

সিনেমা দেরিতে সাহেব আপনার লেখা পড়ে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছিনা !
জালালের গল্প নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ ছবি! আমার কাছে তো সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম একটি ভালো ছবি মনে হয়েছে! আমি প্রতিটি মুহুর্তই এঞ্জয় করেছিলাম দেখার সময়।
এত বড় লেখা দিয়ে আর কিছু হোক না হোক একটা বিরাট আলোচনার জন্ম দিলেন। দেখুন ভালো-খারাপের মানদণ্ড করা খুব কঠিন। আমি নিজে একজন নির্মাতা হবার স্বপ্ন দেখি। ব্লগে সিনেমা নিয়ে তাই আপনার লেখা অব্যাহত থাকুক।
তবে লেখাটা ক্ষেত্র বিশেষে আক্রমণাত্মক আর যথেষ্ট আক্রোশে জর্জরিত মনে হয়েছে। তবুও আপনার সাথে দ্বিমত করব না। জালালের গল্প নিয়ে এত আলোচনা এখনো হচ্ছে দেখে ভালই লাগলো। বেশি বেশি লিখুন। আপনার কাছ থেকে ফারুকীর ছবিগুলো নিয়ে একটা লেখা চাই। বিশেষ করে পিপড়াবিদ্যা আর টেলিভিশন নিয়ে। হাসি ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কাছে জালালের গল্প কেন ভাল লেগেছে অনুগ্রহ করে একটু ব্যাখ্যা করবেন কি? আলোচনার জন্যই তো আমার লেখা। আপনারা যদি ব্যাখ্যা না করেন তাহলে তো আলোচনা হবে না। মন খারাপ

আমি যখন থেকে লিখছি, নতুন মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা কিংবা প্রকাশিত খবরের প্রসঙ্গেই লিখছি। এটি বজায় রাখতে চাই। তাই, পুরোনো সিনেমার দিকে যাবার ইচ্ছে নেই। ফারুকী'র 'ডুব' মুক্তি পেলে অবশ্যই কিছু লিখবো। হাসি

আপনাকেও ধন্যবাদ!
*

সিনেমা দেরীতে

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

তবে লেখাটা ক্ষেত্র বিশেষে আক্রমণাত্মক আর যথেষ্ট আক্রোশে জর্জরিত মনে হয়েছে।

আমারো সেরকম মনে হলো। তবে আমি এইটাকে লেখকের স্বাধীনতা হিসেবে ধরে নিয়ে এড়িয়ে গেছি। লেখাটার কোনো যুক্তি/ব্যাখ্যা না থেকে যদি পয়তল্লিশবার সিনেমাটা খারাপ সে বলা হইতো, তাহলে বরং লেখকের উপর বিরক্ত হতাম।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধ্রুব আলম এর ছবি

সিনেমা দেখিনি, কিন্তু চিত্রনাট্যর কথা শুনে তো লালসালু আর হাজার বছর ধরে, সাথে কিছু কলকাতার সিনেমার ৩য় শ্রেণীর সংমিশ্রণ মনে হচ্ছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সংমিশ্রণ? আই থট ইট ওয়াজ সং-বিভ্রম! খাইছে
*

সিনেমা দেরীতে

মিতা চার্বাক এর ছবি

“জালালের গল্প” দেখতে বসে আমার শুধু মনে হয়েছে “ আম্রে কেউ ক্রুসিফিকাশনে নিয়ে গ্যাছে ” ! এ যাবত কালের বিভিন্ন বাঙলা সিনেমার গল্প, কাহিনী, দৃশ্য ধার করে যেন ভেবিকল লাগিয়ে তৈরি হয়েছে “জালালের গল্প”... আর তাতেও ছিলো দারুন অসঙ্গতি। এ যেন পুরোনো মদ নতুন বোতলে আপ্যায়ন !
ইটস আ পার্ফেক্ট রিভিউ অব “জালালের গল্প” ।

অতিথি লেখক এর ছবি

'ক্রুসিফিকশান'! আই সেকেন্ড দ্যাট।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

সবুজ এর ছবি

১) আগ্রহী হয়ে মাত্রই সিনেমাটা দেখলাম।আমি অত্যন্ত নিম্নমানের দর্শক এটা স্বীকার করে অতিবিনয়ের সাথেই বলছি এটা কি ছিল! পরিচালক গল্প দিয়ে মালা গাঁথতে চেয়েছেন কিন্তু বোধহয় খেয়ালও করতে পারেননি যে সুঁই একটা ফুলকেও গাথেনি।তাই সিনেমাটা আমাকে একটুও ইনভলব করেনা।সিনেমাটার ইমশোনের সাথে নিজেকে একাত্ম করতে পারিনা।তাই সিনেমাটা বিরক্তিকর লেগেছে।হয়ত আমি দেশপ্রেমী নই।
২) অতিবিরক্তিকর লেগেছে চিরকুটের নেপথ্য সঙ্গীত।ভুল বললাম অতিহাস্যকর লেগেছে।মনে হচ্ছিল মোশাররফ করিমের সিনেমাটার ডায়লগের মতো

তুই একটা ভোদাই আমি নিজেও একটা ভোদাই

স্যরি এটা দেখে ওনার পরবর্তী সিনেমা নিয়ে খুব আশান্বিত হতে পারছিনা।
৩) তবে অভিনয় ভালই লেগেছে যা করার সুযোগ ছিল আরকি তার মধ্যে। ঘাসফুল নামে একটা সিনেমা দেখেছিলাম গতবছর।সেখানে যা অভিনয় ছিল না পুরা মাইরি! সিনেমাটোগ্রাফি মোটামুটি ভাল লেগেছে।
৪) কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্ট টু নো শরমীমালা আর মৌসুমী হামিদ কেন খাইতে দিলে যৌন ইংগিত দেয়?
৫) সিনেমা দেরীকে ধন্যবাদ এইভাবে বাস্তবটা নরম না,বাস্তবটা শক্ত তুলে ধরার জন্য।আর এতে যদি এনাদের কিছু ছেড়ে তাহলে আমরা 'উনাদের' মতো তিনবার টিকিট কেটে নাহক তিনবার যেকোনভাবে দেখতে পারব।আরো লিখুন। প্রশংসা বা তুলোধোনা করুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

শরমীমালা আর মৌসুমী হামিদ কেন খাইতে দিলে যৌন ইংগিত দেয়?

হো হো হো!! গড়াগড়ি থামাতে বেশ কিছুক্ষণ লেগেছে! হায়! এই লাইনটি যদি আমি লিখতে পারতাম!

সত্যিই, আপনার একটি স্বদেশী সিনেমা পছন্দ না করাটা, সেটি যত বালছালই হোক না কেন, অত্যন্ত গর্হিত, দেশবিরোধী কাজ হয়েছে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ! লেখা চলবে।
*

সিনেমা দেরীতে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

জালালের গফ দেহি নাইক্যা, পোস্ট নিয়া তাই আপাতত কথা নাই। চাল্লু

তয় কমেন্ট (নাকি কমেন্টযুদ্ধ) নিয়া আছে। ইয়ে মানে, বেনামী উদাস ভাইয়ারে নিয়া চিন্তায় পইড়া গেলাম! রুবাইয়াতের ছিনামা ভাল না লাগলে কইতেও পারুম না নাকি? রুবাইয়াত ভাইয়া ভাল ছিনামা বানাইলেই তো পারে। উনাকেও একটু ভাল ছিনামা বানাতে বলে দ্যান না, পিলিজ লাগে! লইজ্জা লাগে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে, মানে... রুবাইয়াত আপুকে কে কি বলবেন! উনি তো ঘোষণা দিয়েই দিয়েছেন- উনি কারও কথা শোনেন না! শ্রদ্ধা
*

সিনেমা দেরীতে

উৎস এর ছবি

ছি:নেমাটা যে ফাউল, এই কথাটা আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে বহুবার বলেছেন।
আপনি কই অ্যাপ্রোস করলেন শেষতক?
বাজে সিনেমা ধারালো হতে হতে, হতে পারেনি, এমন রিভিউ

অতিথি লেখক এর ছবি

ইনিয়ে বিনিয়ে তো কথা বলি না জনাব! প্রয়োজন পড়ে না। . . . তবে আপনার মন্তব্যটা ঠিক ধরতে পারলাম না, "কই অ্যাপ্রোস করলেন" দ্বারা কি বোঝাতে চেয়েছেন? চিন্তিত
*

সিনেমা দেরীতে

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমার কাছে রিভিউ ভাল্লাগছে।
তবে লেখাটায় বিরক্তির প্রকাশ একটু কম থাকতে পারত। তাতে আমরা যারা পড়ছি তাদের জন্য লেখাটার অর্থ উদ্ধার নির্ঝঝ্ঞাট হতো।
আমার বাংলা লেখায় অপ্রয়োজনিয় ইংরেজির ব্যবহার খুবই অপছন্দ। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম উপুর্যপরি ইংরেজি ঢেলেও লেখক লেখাটারে বাঁচায় নিয়ে আসছেন! সাধু।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

"বিরক্তির প্রকাশ" এর বিষয়টা আমিও বুঝতে পারছি, কমানোর চেষ্টা করছি/করবো। হাসি

কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম উপুর্যপরি ইংরেজি ঢেলেও লেখক লেখাটারে বাঁচায় নিয়ে আসছেন!

হাহা! ভাল লাগলো! দেঁতো হাসি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
*

সিনেমা দেরীতে

মাসুদ সজীব এর ছবি

দুটো মুরগী হাঁটছে, তিনটে কুকুর শুয়ে আছে, সূর্যাস্তে গ্রামের পথ দিয়ে মানুষ বাড়ি ফিরছে, সকালের শিশির ভেজা ঘাস, কিছু হাঁস পানিতে সাঁতার কাটছে.... এগুলো কি বলতে পারেন?

অনেকদিন পর সেইরাম একখান সিনেমা দেখলাম বইলা চিক্কুর পারা পাবলিকের সেইমাত্রার কেলাসিকাল ছি:নেমা ’জালালের গল্পের’ অনন্য অসাধারণ দৃশ্য গুলির কিয়দাংশ। সম্পর্কহীন অসমাপ্ত সংলাপ, এলোমেলো দৃশ্যায়ন, জোড়তালির চরিত্রায়ন, জগাখিচুড়ি মার্কা আজগুবি গল্পায়ন, অপ্রাসঙ্গিক আর অবাস্তব যৌন সুড়সড়ি... উফ বিরক্ত হওয়ার কি নেই এই ছি:নেমাতে? অবশ্য সময় কে কাজে লাগানো মানুষজন গল্পের টানটান নিরুত্তাপতায় ছি:নেমার মাঝখানে ঘুমিয়ে পড়লেও পড়তে পারেন!

একটা চলচ্চিত্রে যা থাকার দরকার ছিলো তার কিছুই নেই, যার নামে এ ছি:নেমা সেই ব্যক্তি জালাল কেই খুঁজে পাওয়া যায়নি পুরো ছি:নেমা তে! জালালের গল্পের ছবিতে জালালের জীবন নেই, কোথায় থেকে এলো, কিভাবে নানান জীবনে জড়ালো, জালালের ব্যক্তিগত দু:খ-সুখ-প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এমন কি কোন অনুভূতির কথাই নেই! তারপরও এর নাম জালালের গল্প হয় কিভাবে আল্লাহ মালুম?

ফারুকী এন্ড গং-রা খন্ড নাটক কে চুইংগামের মতো টেনেটুনে লম্বা করে ছি:নেমা নাম দিয়ে চলচ্চিত্রের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছে ‘জালালের গল্প’ তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ঘাত-লতা-পাতা-ফুল আর কিছু গ্রামেরে দৃশ্য দেখানোর নাম যদি হয় অন্যধারার ছবি তাহলে ও ‘জালালের গল্প’ ফাষ্ট কেলাস!

’জালালের গল্প’ সত্যিকার অর্থে কারো গল্প হয়ে উঠতে পারেনি, অনেকগুলো বিষয় কে জোড়াতালি দিয়ে সবাই কে তাক লাগানোর চিন্তাধারা থেকে জন্ম নেওয়া এ ছবি শেষ পর্যন্ত একথালা আবর্জনা থেকে উৎকৃষ্ট কিছু হয়ে ওঠেনি। ছো্ট্র একটা বিষয় নিয়ে ও পরিচালকের গুণে একটা ছবি কতোটা অসাধারণ হতে পারে তা জানতে এ সমস্ত কাঠবলদ-রা ’তারেক মাসুদের’ মাটির ময়না, রানওয়ে দেখতে পারে। আর না হলে আবার ময়ুরী-মুনমুনদের দিয়ে ছি:নেমা বানিয়ে বসে বসে মুড়ি খেতে পারে।

ছবি দেখার আগে রিভিউ কে একটু আক্রমনাত্নক মনে হলেও ছবি দেখার পর মনে হলো এরচেয়ে নরম করে লেখা আমার নিজের পক্ষেও সম্ভব হতো না। শেষ কবে কোন ছি:নেমা দেখে এতো বিরক্ত হয়েছি মনে পড়ছে না।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই "চুইংগাম টানাটানি" ই মনে হয় বাংলাদেশের সিনেমার সবচেয়ে বিকট সমস্যা, যেটির ধারেকাছে আর কিছু পড়ে না। মন খারাপ

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি
*

সিনেমা দেরীতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।