বাসায় ঢুকতে যেয়ে কলিং বেলের কাছে হাতটা আপনা থেকেই থেমে গেলো। দেয়ালে সুইচটার উপরে নতুন একটা শোপিস ঝুলছে, আরবি কিছু শব্দ-বাক্য লেখা তাতে। কোন সুরা-দোয়া হবে নিশ্চয়ই, পাঠ করলে অশেষ সওয়াব অথবা শয়তানের প্রবেশাধিকার ক্ষুণ্ণ করে গৃহস্থের কল্যাণকামী কিছু। ক’দিন আগেও তো সেখানে কার্জন হলের সামনে থেকে কেনা টেরাকোটার নারীমুখটার লাজুক হাসি দেখেছিলাম, কবে বদলে গেলো মনে করতে পারছি না একেবারেই। অবশ্য আমাদের বাসার কলিং বেলটা চাপলেই একেকবার এমন বিতিকিচ্ছি সুরে চেঁচিয়ে উঠে যে সচরাচর আমি বেল বাজানোর ঝামেলায় যাই না, চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে ঢুকে যাই। নতুন বাসায় ওঠার সময় মা খুব শখ করে এই ভয়াবহ জিনিসটা কিনে এনেছিলেন, প্রতিবাদের পথও তাই একরকম রুদ্ধই বলা চলে। আজ ভেতর থেকে ছিটকিনি বন্ধ দেখে বাধ্য হয়ে কলিং বেল চাপতে গিয়ে এই নতুন সংযোজন চোখে পরলো। শেষ কবে টেরাকোটা নারী দেখেছিলাম ভাবতে ভাবতে বেল বাজালাম, জিঙ্গেল বেলস ক্যারলের সুর সর্বশক্তি দিয়ে বাড়িসুদ্ধ সবাইকে জানান দিলো কেউ একজন এসেছে, ভেতরে আসার জন্য দরজা খুলে দেয়া হোক। দরজায় আরবি সুরা ঝুলিয়ে জিঙ্গেল বেলসের সাথে গৃহপ্রবেশের আমন্ত্রণ খারাপ কি, বেশ একটা মাল্টিডাইমেনশনাল ভাব আছে।
ঘরে ঢুকে দেখি আমার বোন আজ আগেই অফিস থেকে ফিরে এসেছে। বেশিক্ষণ হয়নি বোধহয়, বিছানায় জামাকাপড় ছড়িয়ে আছে এখনও। এমনিতে সে গুছানোর বাতিকগ্রস্ত মহিলা, নিজের কোনকিছু গোছানোর না থাকলে সে আমার জিনিস গুছিয়ে উল্টাপাল্টা করে, সেটাও শেষ হয়ে গেলে গোছানো জিনিস আবার নতুন করে গুছায়। এখন সে বুয়াকে কাপড় ধোয়ার এসাইন্মেন্ট বোঝাতে ব্যস্ত। এই বুয়ার কাজকর্ম অদ্ভুত, হন্ত দন্ত হয়ে এসে ঝড়ের গতিতে কাজ করে চলে যায়। আজকেও সে নিঃশ্বাস ফেলার অবসরটুকুও না নিয়ে বলতে শুরু করলো, ‘আপা, কাপড় যা আছে এখনই দেন, ধুয়া তাড়াতাড়ি যামুগা।’ দেখলাম আমার বোন তার হিজাবের কালেকশন নিয়ে বসেছে, বেছে বেছে কিছু ধোয়ার জন্য দিচ্ছে। তার হিজাবের পরিমাণ দেখে ভিড়মি খেলাম রীতিমত! এত্তো রঙের এতো ডিজাইনের হিজাব দিয়ে কি করে মানুষ! মনে পরলো সেও হিজাব ধরেছে বেশিদিন হয়নি। কোথায় নাকি পড়েছে মুহম্মদের উম্মতরা তাদের গায়ে একটুকরো কাপড় টেনে রাখে আর তাতেই তাদের অন্য সবার থেকে আলাদা করে চেনা যায়, সম্মান করা হয়। এই মূল্যবান তথ্য তাকে সরবরাহ করেছেন এক মুমিন ভাই, যিনি হয়তোবা অদূর ভবিষ্যতে দুলাভাই হওয়ার গৌরব অর্জন করবেন। এরপর থেকেই তার এই ‘স্বেচ্ছা’ পর্দা পালন এবং তার কিছুদিন পর থেকে আমাকে একা করে দিয়ে মা ও লাইনে চলে আসলেন। অথচ আমার নানী-দাদী কাউকেই কোনদিন হিজাব-বোরকা পরতে দেখিনি, আর তাদের কাজের ক্ষেত্র যে খুব কম ছিলো এমনও নয়। আগের আমলের গৃহস্থের বাড়িতে প্রতিদিন চেনা অচেনা নানান লোক আসতো, তাদের মধ্যে মেহমান, সাহায্যপ্রার্থী থেকে শুরু করে ক্ষেতে-খামারে-বাড়িতে যারা কাজ করতো তারাও থাকতো। তাদের দেখভাল করা বা কাজের হিসাব নেয়া ঘরের কাজের মধ্যেই পরতো আর তা বাড়ির কর্ত্রী হিসেবে তারাই করতেন। নানীর চেয়ে দাদীকেই কাছ থেকে বেশি দেখেছি, শৌখিনতায় তিনি ছিলেন আমার থেকেও এগিয়ে, বৃদ্ধ বয়সেও তিনি কোথাও যাওয়ার আগে চুলবেণী করে ক্লিপ আটকিয়ে, মুখে পাউডার বুলিয়ে আর মাঝেমধ্যে শাড়ির উপর একটা ওড়না জড়িয়ে বের হতেন। তারা যে তাই বলে কম ধার্মিক ছিলেন এমনটাও নয়, নামায-রোযা সবই করতেন। এক প্রজন্মে নারী উম্মতদের সম্মান রক্ষার ধারণা কি করে এতটা বদলে যেতে শুরু করে আমার বোধগম্য হয়না।
আমার আরেক আত্মীয়া সম্প্রতি হজ্জ করেছেন, আবায়া গাউন নামে একটি অতীব অদ্ভুত পোশাক পরে (আমার কাছে এটাকে অনেকটা প্রমিথিউস ব্যান্ডের বিপ্লব যেরকমটা পরে গান করতেন সেরকম আর আলিফ লায়লায় ছোটবেলায় দেখা জ্বিনের পোশাকের মিশ্রণ দেখতে লাগে, দৈর্ঘ্যে প্রস্থে আরেকটু লম্বা আরকি) তিনি যখনই বাসায় আসেন তখনই আমি ইসলাম ধর্মের সচরাচর একটি প্র্যাক্টিসের নতুন কোন ব্যাখ্যা শোনার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাই। কোনদিন তিনি বলেন কি করে শবে বরাত ইসলামবিরুদ্ধ বিদাত, কি করে নামাযে সঠিক পদ্ধতিতে সিজদাহ দিতে হয়- কি ভাবে সিজদাহ দিলে কুকুরের মত করে সিজদাহ দেয়া হয়, কিভাবে সহিহ উপায়ে অযু করতে হয়, কিভাবে আমরা এতদিন বেদুঈনদের নিয়মে অযু করে আসছি ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপক জ্ঞানগর্ভ কথা। উনি যে কেবল বলেই যান এসব তা কিন্তু নয়, নিজে বিশ্বাস তো করেনই, পালনও করেন। তার এধরনের বেশিরভাগ কথার রেফারেন্স পিস টিভি আর তার মাস্টারপিস জাকির নায়েক। এসব কথার মুগ্ধ শ্রোতার সংখ্যা নেহাতই কম নয়, কেউ কোনবিষয়ে দ্বিমত করা মাত্রই ঐশীবাণীতে জর্জরিত করে থামিয়ে দেয়া হয় তাকে।
এর বাইরে পরিবারের আরেক অংশ আছে ‘ব্যাঙেও ঠ্যাং মেলে’ গোত্রের দ্বীনের মোলায়েম সমর্থক, অনলাইন নেকি হাসিলকারক। শর্টকাটে হাসিল করা যায় এমন কোন নেকি তাদের বাদ যায়না। হ্যালোর বদলে আসসালামু আলাইকুম, থ্যাঙ্কিউএর বদলে যাযাকাল্লাহ খায়রান, কি করে ইংরেজি হরফে অর্থ ঠিক রেখে ইনশাল্লাহ লিখতে হয় এসব শরিয়াসম্মত টোটকা বহনকারী গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট শেয়ার করতে দেরি হয়না মোটেই। গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে রয়েছে রেডিওমুন্নার আকুল আহ্বান, এই আল্লাহর কালামটিতে কয়টি লাইক, আজেবাজে কত ছবিতেই তো লাইক হয় মুমিন ভাইরা এড়িয়ে যাবেন না। নাহ, আমার আজেবাজে ছবিতে লাইক দেয়া মুমিন ভাই-বোনেরা এড়িয়ে যাননা। আল্লাহকে ফেসবুক সেলিব্রিটি বানাতে তাদের সর্বশক্তি দিয়ে ক্লিক করে যান। পূণ্য হোক বা না হোক পাপের হাত থেকে তো নিস্তার পেলো মাকরুহপ্রেমী অসাধারণ প্রজন্ম আমার।
এদের কেউ কেউ প্রায়ই বলার চেষ্টা করেন মুসলমানদের কপালে টিপ পরতে হয়না, একা একা ঘুরতে যেতে হয়না- গেলে বাবা-মার গুনাহ হয়, হিন্দুদের বাড়ি ভাড়া দিলে তারা পূজা করবে, হরিবোল-প্রতিমার উপস্থিতিতে নামায হবেনা, ফেরেশতা আসবেনা, তাই তাদের বাড়ি ভাড়া দিতে হয়না। কখনই পাত্তা দেইনি এসব কথায়, কিন্তু কদিন যাবত কেবলই মনে হচ্ছে আমি নাহয় পাত্তা না দিলাম, আমার পরিবারের অন্য কেউই যে পাত্তা দেবে না তাতো নয়! ধর্মের নামে এইসব চাপিয়ে দেয়া বিষাক্ত রীতি যে আর কাউকে নার্ভাস করবে না এমনটাও তো নয়। কেউ যদি সত্যি পহেলা বৈশাখ পালন ছেড়ে দেয়, কপালে টিপ পরা ছেড়ে দেয়, হিন্দুদের বাড়ি ভাড়া না দেয়ার পেছনের অমানবিক দিকটা দেখতে না পায় তখন কি হবে! ধর্মভীরু একটা জাতিকে ধর্মান্ধ বানানোর চেষ্টা কতটা গভীরে পৌঁছে গেছে ভাবতে অবাক লাগে, প্রবল শংকা আচ্ছন্ন করে ফেলে। হাসিনা-খালেদা-আমেরিকাসহ যাকে তাকে দোষ দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা আমাদের মজ্জাগত অভ্যাস। আমরা কি আদৌ কোনদিন বুঝবো যে এই করে কারো দায় শেষ হয়ে যায় না? নিজের সাংস্কৃতিক পরিচয় ধরে রাখার এই যুদ্ধটা তো অন্য কেউ এসে করে দেবেনা, করতে হবে নিজেকেই এবং শুরুটা করতে হবে পরিবার থেকেই। পরিবারেই শেখাতে হবে হিন্দু-মুসলিম-নারী-পুরুষ-বাঙ্গালি-আদিবাসী হওয়ার আগে মানুষ হতে হবে।
বিচিত্র সব জায়গায়, বিচিত্র সব পরিস্থিতিতে আমার এইসব আবঝাব বেলাইনি চিন্তা-ভাবনা চলে আসে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম যখন আবার নতুন করে বহাল হলো, তখন একবার বাসে করে বাসায় যেতে যেতে মনে হয়েছিলো পাবলিক বাসের মহিলা সিট আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ব্যাপারটা একই। কিছু বীর পুঙ্গব প্রায়ই হাত পা ছড়িয়ে মহিলা সিটে বসে থাকে, কেউ তাদের সরতে বললেই জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে দেয়, ‘মহিলারা আমাগো সিটে বয়া রইছে ক্যা, ওই ব্যাটা সিট নাই মহিলা তুলছস ক্যা, আমি খাড়ায়া যামু ক্যা, ভাড়া কি আমি দেই নাই ইত্যাদি ভ্যাদর ভ্যাদর ভ্যাদর...।’ এমনই এক পরিস্থিতিতে মনে হল হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান তো বটেই এর বাইরে বাঙালি সংস্কৃতি যা রয়েছে সবই সংরক্ষিত মহিলা আসন, ধর্মের দোহাই দিয়ে দখল করে বীরেরা অশালীন কুযুক্তি চাপিয়ে দিতেই পারে। এইসব সংখ্যাগুরু মাথামোটা বকধার্মিকদের ভীরে জিঙ্গেল বেল ক্যারল বা পূজোর নাড়ু খাওয়ার যে প্রচলনটুকু এখনও রয়ে গেছে তাকে সযত্নে লালন করার সময় এসেছিলো আরো আগেই, এখন বোধহয় যেকোন মূল্যে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন এসেছে। আরো দেরি করলে নিজের পরিবারটাই না অচেনা হয়ে যায়!
_________________
নুড়ি
মন্তব্য
লেখা ভালো হয়েছে।
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
ধন্যবাদ
ভালো লাগলো। সুন্দর লিখেছেন। আমরাও চারপাশে একই দৃশ্য দেখছি।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
আমার জানামতে আন্ডারলাইন করা স্থানে "মুহম্মদের পত্নীগণ/পরিবারবর্গ" হবে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মিশটেক হয়েছে এটা, মুহম্মদের পরিবার/পত্নীগণই হবে। এডিট করার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না
১। অতিথি মোডে সম্পাদনার সুযোগ নাই। ব্যাপার না, এই মন্তব্য তো থাকছেই।
২। আর হ, ডরাইয়েন না, লিখতে থাকেন। লেখা ভালৈছে কইতে ভুলে গেছিলাম।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ অভয় দেয়ার জন্য।:D সচলে এত্তোদিন ঘাপটি মেরে পড়ে যেতাম আপনাদের লেখা, এই প্রথম কিছু লেখার সাহস করলাম। দুইবার মুছে ফেলে শেষমেষ দিয়েই দিলাম, নীতিমালা দেখেছি লেখা খারাপ হলেও বাইন্ধা পিটানোর নিয়ম নাই কোন
বাইন্ধা পিটানোর কোন নিয়ম নাই। লিখতে থাকেন হাত খুলে।
..................................................................
#Banshibir.
ঐ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভালো লিখেছেন। এই পরিবর্তন এত দ্রুত ঘটে চলছে সবখানে যে অবাক লাগে রীতিমতো।
...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”
ধন্যবাদ। আমিও অবাক হয়ে কয়দিন খুব অশান্তিতে ছিলাম। কিছু কিছু জায়গায় নীরবতা ভাঙ্গা খুব প্রয়োজন।
সুন্দর করে গুছিয়ে একদম মনের কথাগুলো বলেছেন।
দরকারী লেখা, সুন্দর লিখেছেন। আরো লেখা পাবার আশায় রইলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ
সচলে স্বাগতম।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
আপনার মন্তব্য আগে পড়লেও লেখা এই প্রথম পড়লাম। এই চিত্রটি এখন সমস্ত বাংলাদেশের পরিচিত দৃশ্য। হিজাব হুজুগটি এদেশে কতদিন টিকবে জানি না। কিন্তু খুব বেশীদিন টেকার কথা না। বাঙালীকে খুব বেশীদিন এক লাইনে রাখা যায় না। ফ্যাশানের নতুন লাইন এসে এটাকে উৎখাত করবে বলে মনে হয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুধুমাত্র ফ্যাশন হলে সমস্যা ছিলো না, কত আজগুবি ফ্যাশনই তো আসলো আর গেল। কিন্তু হিজাবের পেছনে ধর্মের ব্যাকআপটা এটাকে জটিল করে ফেলছে। অনেককেই দেখেছি ফ্যাশন করে, একটু 'ডিফরেন্ট লুক' আনার জন্য হিজাব শুরু করেছে কিন্তু পরে আর ভালো না লাগলেও ছাড়েনি, গুনাহ হবে বলে, মানুষ/পরিবার কি বলবে ভেবে। হিজাব ধরেও পরে ছেড়ে দিয়েছে আমার দেখা এমন মেয়ের সংখ্যা শুন্য আর তার বিপরীতে হিজাব থেকে আবায়া টাবায়া নামের সফিস্টিকেটেড বোরকায় কনভার্ট হয়েছে এমন দৃষ্টান্ত কম নয়। তাদের অন্যদেরকে এ ব্যাপারে কাউন্সেলিং এর প্রবণতাও লক্ষণীয়। সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে যে পরে না, সে জোর গলায় মানা না করে চুপ থাকাটাকেই বাঞ্ছনীয় মনে করে, এখানেও ধর্মের ধোঁয়াই কাজ করে।
-নুড়ি
নতুন মন্তব্য করুন