মার্কিন মুলুকে যারা গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট (graduate student) তাদের জন্য শুক্রবারটা সপ্তাহের আর ছয়টা দিনের চাইতে আলাদা। পাঁচ দিনের খাটুনির পরে দুদিনের বন্ধের শুরু হিসেবে শুক্রবার রাতটা একটা অন্যরকম আবহাওয়া নিয়ে হাজির হয়। বেশিরভাগ জায়গাতেই যেখানে জনাকয়েক বাংলাদেশী ছাত্র আছে সেখানে শুক্রবার রাতটা একটা উৎসবের মত। রাতে পছন্দের কোন খাবারের দোকানে ভরপেট খেয়ে বসা হয় কারো বাসার ছোট্ট বৈঠকখানায়। আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে উঠে আসে সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গ। এসবের মাঝে যেটা ইদানিং যেটি বেশ গুরুত্ব পায় সেটি হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীতা। অভিবাসীদের নিয়ে নানা ট্রাম্পের নানা মন্তব্যে আপনারা যারপরনাই চিন্তিত। ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হলে H1B, গ্রীন কার্ডের স্বপ্নটাকে বিসর্জন দিয়ে ক'দিনের মাঝেই পাততাড়ি গুছিয়ে দেশে ফেরত যেতে হবে ভেবে চিন্তিত আপনারা সবাই। ট্রাম্প সত্যিই রাষ্ট্রপতি হতে পারবে কি না অথবা ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হলেও এসব ভয়ের কোনটা সত্যি হবে কি না তা এখনই নিশ্চিৎ করে বলা মুশকিল। তবে এ কথা সত্যি যে আপনারা সবাই চিন্তিত।
সত্যি কথা কি জানেন, এই আলোচনাগুলো আমার খুবই চেনা। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি আশেপাশে এ আলোচনাগুলোই শুনে বড় হয়েছি। শুধু ট্রাম্পের জায়গায় আপনাদেরই কারো নাম শুনেছি। তাই আলোচনাগুলো শুনলে নিজের অজান্তেই একটা বিদ্রুপের হাসি বেরিয়ে আসে। ইচ্ছে করে বলি, আপনিও বাংলাদেশে ট্রাম্পই ছিলেন ভায়া। এখন ভয় পাচ্ছেন অন্য দেশে এসে আপনি ট্রাম্পের দলে নেই বলে?
১. কোন হিন্দুকে গরুর মাংস খাওয়াতে পারলে অনেক সওয়াব।
২. কোন হিন্দুকে মুসলিম বানাতে পারলে জান্নাত নিশ্চিৎ।
৩. তুই নিশ্চয়ই ক্রিকেটে ভারত সমর্থন করিস।
৪. তোদের কি! সুযোগে পেলেই তো ভারত চলে যাবি।
সংখ্যালঘুমাত্রই উপরের বাক্য কয়টি শুনেছে। সংখ্যালঘুমাত্রই আপনারা এমন ভাবতে অভ্যস্ত। ক্রিকেটে ভারত সমর্থন করি কি না সেই প্রশ্ন মার্কিন মুলুকে পিএইচডিরত "বন্ধু"র কাছ থেকেই শুনতে হয়েছে। নির্বাচনের আগে আগে কোন সরকার জিতলে পাততাড়ি গুটিয়ে দেশ ছাড়তে হতে পারে সে ভয় পেতে হয় না এমন বুকের পাটা খুব কম সংখ্যালঘুরই আছে। বলুন আজ যখন আমি আপনাদের কাছ থেকে সে একই ভয় শুনি আর আমার যদি হাসি পায় সে কি আমার দোষ?
সংবিধান একটি দেশের নিজের ও তার নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করে। বাংলাদেশের সংবিধানের শুরুতে "বিস্মিল্লাহির-রহ্মানির রহিম" আছে এ নিয়ে আপনারা বাংলাদেশী মুসলমানমাত্রই সচেতন। সংবিধান পড়া শুরু করতে হলে নিজের ধর্মের ঈশ্বরের নাম নিয়ে শুরু করতে হয় এ নিয়ে আপনাদের গর্বের শেষ নেই। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যে আপনি একজন সংখ্যালঘুকেও আপনার ধর্মের ঈশ্বরকে স্মরণ করতে বাধ্য করছে সেটা নিয়ে কি আপনি বিন্দুমাত্র সচেতন? “হিন্দুদেরও আল্লাহ্ এর নাম নিতে বাধ্য করলাম”-- ভেবে আত্মপ্রসাদ অনুভব করেন আপনাদের মাঝে এমন নাগরিক কম নেই সেও জানা। তাদের কথা নাহয় বাদ দিলাম। আপনাদের যারা দেশ কিংবা দেশের মানুষ নিয়ে সচেতন তাদের মাঝে কয়জন আছে যারা এই জবরদস্তিটুকু অনুভব করেন। সংখ্যালঘুর সমান অধিকারই যদি হবে তাহলে এই জবরদস্তিটুকু কিভাবে আপনাদের চোখ এড়িয়ে যায় বলতে পারেন?
শুক্রবার রাতের আড্ডায় উঠে আসে জেএমবি, আইসিস এরাও। কোরআনের আয়াত মুখস্ত বলে ইসলাম সব ধর্মের মানুষের সমান সহাবস্থান নিশ্চিত করে প্রমাণ করে হাত ধুয়ে ফেলতে আপনাদের জুড়ি নেই। দুঃখের বিষয় সেগুলো আমরা শুধু শুনতে পাই যখন আপনাদের হাত ধুয়ে ফেলতে হয় তখনই। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আমার বিপদে কি কখনো সেই আয়াতটি মনে করে আমাকে সাহায্য করতে এসেছিলেন? যতদূর মনে পড়ছে পাততাড়ি গুটিয়ে ভারতে চলে যেতে বলেছিলেন। আজ নিজের কোণঠাসা অবস্থায় আপনার কোরআনের আয়াতের অভাব হয় না। বলুন তো আপনার এই কথাগুলো যদি আমার অভিনয় মনে হয় সে কি আমার দোষ?
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন আপনি জন্ম থেকেই ট্রাম্প ছিলেন। কম করে হলেও ট্রাম্পের দলেরই লোক ছিলেন। শুধু সংখ্যায় আপনারা বেশী ছিলেন বলে বুঝতে পারেন নি। সত্যি বলতে কখনো বুঝতে চানও নি। আজ মার্কিন মুলুকে আপনি আর আমি একই দলে। নিজেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে হচ্ছে? ভয় হচ্ছে আপনাকে যেকোন সময় মার্কিন মুলুক ছাড়তে হবে? আমিই সবচাইতে ভালভাবে আপনার ভয়টা বুঝতে পারি। আপনি কি আমার মত সংখ্যালঘুদের সারাজীবনের ভয়টা বুঝতে পারছেন? বুঝতে পারছেন যে আপনিও ট্রাম্প?
দূরের বাতিঘর
২৪ আগস্ট ২০১৬
মন্তব্য
লেখাটা ভালো লাগলো বেশ। শেয়ার করলাম।![হাততালি হাততালি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/41.gif)
ভাল লাগল জেনে ভাল লাগল!
-দূরের বাতিঘর
এদের আমি বলি আমেরিকা প্রবাসী ট্রাম্পমনস্ক বার্নি সমর্থক। এই গ্রুপে নির্জলা ছাগু আছে, আবার সিউডো প্রগতিশীল আছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এরা বার্নিকে সমস্রথন করে বাঁচার তাগিদে হাসিব ভাই। ভিতরে যেই লাউ সেই কদু।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
@ইয়ামেন, আমার অভিজ্ঞতাও একই। খুব অবাক হয়েছিলাম যখন এক আত্মীয়কে দেখলাম বার্নিকে ভোট দিতে, যিনি পারিবারিকভাবে জামাত এবং নিজে শিবির করা, বর্তমানে আমেরিকায় সপরিবারে থাকেন। বার্নি থাকলে মধ্যবিত্তের ওয়েলফেয়ার আরেকটু বাড়বে, আর এন্টি-মুসলিম মনোভাব মাথা-চাড়া দেবেনা, এই আশায় বার্নিকে ভোট দেন।
আসলে নিজের ঘাড়ের ওপর না পড়লে সাম্প্রদায়িকতার কুৎসিত রুপ অনুভব করা অনেকের জন্যই মুশকিল, ঠিক যেমনটা লেখক বললেন। লেখককে থাম্বস আপ। দেশে থাকতে "ক্যাজুয়াল সাম্প্রদায়িকতা" চোখে পড়ত এতো বেশী, যে অনেকে এটাকে স্বাভাবিক কথাবার্তা হিসেবেই ধরে নিতেন। আমেরিকার ইতিহাসে রেস-রিলেশন নিয়ে বড় বড় ঝড় বয়ে গেছে, তাই এটা নিয়ে এখানে আলোচনা অনেক বেশী, এটা নিয়ে সচেতনতাও বেশী। এই সচেতনতার কিছু সুফল আমেরিকান-মুসলিমরাও পায়, অন্য মাইনোরিটিদের মতই।
---কৌতুহলী
ধন্যবাদ কৌতুহলী!![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
-দূরের বাতিঘর
হাহা, নামটা বেশ দিয়েছেন! মার্কিন মুলুকে যারা আসে তারা সিউডো প্রগতিশীলতা দিয়ে ছাগুত্বটা অনেকটাই ঢেকে ফেলতে পারে। তবে বোটকা গন্ধটা নানা ইস্যুতে বের হয়েই যায়।
-দূরের বাতিঘর
পার্ডুতে পিএইচডি করার সময় সম্মানিত 'প্রগতিশীল' হিসেবে পরিচিত বড় ভাইকেও বাচ্চা সদ্য আন্ডারগ্রাজুয়েট করতে আসা হিন্দু ছেলেটাকে বলতে শুনেছি 'এই জোর করে ধরে তাকে একটু গরুর মাংস খাওয়ায় দাও তো!' প্রতিবাদ যখন করেছি উল্টো আমাকেই 'আরে ঠাট্টা বুঝো না, কি বেরসিক ছেলেপেলে আজকাল' শুনতে হয়েছে।
প্রবাসী বাঙালী মুসলমান (যদিও আমি নিজেও একজন) -দের সিঙ্ঘভাগ ট্রাম্প। কোন সন্দেহ নাই। লেখকের লেখা পড়ে যতটা ভালো লেগেছে, তার থেকে বেশী মনে খারাপ হলো, কারন এটাই বাস্তব চিত্র।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা সাম্প্রদায়িকতার মতই একটা প্রক্রিয়া। এটা একদিনে হয় না। দেশের পরিবেশটাও অসাম্প্রদায়িকতাকে কোন উৎসাহ দেয় না। তাই আমি ঢালাওভাবে দোষ দিতে চাই না। চাই যেন সবার চোখটা যেন একটু খোলে। শুরুটা হোক এখান থেকেই।
হ্যা, ক্ষোভ থেকেই শুরু করেছিলাম লিখতে লিখতে কিভাবে যেন দুঃখটাই বেরিয়ে এল। ধন্যবাদ পড়বার জন্য।
- দূরের বাতিঘর
কী চমৎকার ভাবে সত্যগুলো তুলে ধরেছেন। আমার কিশোর বয়সে এই প্রশ্নগুলোই আমি আমার পরিচিতজনদের করেছি অসংখ্যবার। উত্তর দেয়ারই কেউ প্রয়োজনবোধ করতো না। হেসে উড়িয়ে দিত 'অবাস্তর' প্রশ্নগুলো। রাষ্ট্র ধর্ম যখন ইসলাম ছিল, তখন আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম রাষ্ট্র তো শুধু মুসলিমদের নিয়ে গঠিত না। এখানে অন্য ধর্মের মানুষও রয়েছে। তাহলে তাদের কি তাদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে না? কেউ কেউ কটমট করে তাকাতো, কেউ হাসতো।
বড় হবার পর আর প্রশ্নগুলো করি নি কাউকে। কেন জানেন? ততদিনে আমিও বুঝে গিয়েছি আমাদের পুরা সমাজটাই ট্রাম্প দিয়ে গঠিত। এই যে দেখুন, আমরা বিদেশে গিয়ে বড় বেতনে চাকুরী করি বা খুঁজি। অথচ, পত্রিকায় যখন পড়ি আমাদের দেশে বাহির থেকে এসে কেউ চাকরী করছে, তখন আমরা 'দেশের সব টাকা প্রবাসে' চলে গেলো বলে রব তুলি। সমস্যাটা দূরের কোন তারায় নয়, সমস্যাটা আমাদের নিজেদের।
খুবই ভালো লাগলো লেখাটা। কঠিন কিছু সত্য ছোট আকারে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।
টুইটার
ধন্যবাদ পড়বার জন্য! লেখাটা পড়ে যদি গুটিকয় মানুষও প্রশ্নগুলো করতে শেখে সেখানেই সার্থকতা।
- দূরের বাতিঘর
মার্কিন মুল্লুকে বসে যারা আজ ট্রাম্পের চৌদ্ধগুষ্টি উদ্ধার করছে তাদের প্রায় প্রতেক্যেই দেশটা ভারতের হয়ে গেলো, সরকারের সব প্রশাসন মালাউনে ভরে গেলো, দেশে ইসলাম টা নাই হয়ে গেলো, পাঠ্য পুস্তকে মুসলমানদের লেখা সব বাতিল করে দিলো বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে যে কোন বাঙালি মিলনমেলায়। আমি যতগুলো আমেরিকার সংখ্যালুঘু মুসলমান বাঙালি পরিবার চিনি, জানি তাদের প্রায় সবাই এ ধরনের। তাই একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে বাঙালি মুসলমান-রাও একেকজন ট্রাম্প। সবচেয়ে দু:খজনক হলো নিজেদের এমন দ্বিচারিতময় আচরণ, ভন্ডামি কে এরা কখনো অনুধাবন করে না, করবে ও না হয়তো।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
সবাই এক ধাঁচের সেটার সাথে একটু দ্বিমত পোষণ করছি। একটা বড় অংশ দেশ নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করে সেটা সত্যি। পিএইচডির মত পিয়ার রিভিউড (peer reviewed) ডিগ্রী হয় বটে কিন্তু কেউ নিজেদের এই মানসিকতাটাকে প্রশ্ন করার সাহস অর্জন করতে পারে না। তাই কেউই নিজেদের বর্ণ পরিবর্তনটুকু দেখতে পায় না।
সিরাম লাগল লেখাটা--
শুভেচ্ছা জানবেন !
ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা আপনাকেও।
-দূরের বাতিঘর
হুম দাদা দুঃখজনক এবং সত্যি বলে মানছি এই ধরণের আচরণগুলো আমাদের দেশের হর হামেশা করে। কিন্তু দাদাভাই আপনার যখন এই দেশের উপর আস্থা রাখতে পারেননা, তখন কিছুটা হলেও তো আমাদের ব্যথিত করে, তাই না। আমরা তো নিজের দেশ মক্কা বলে কিংবা লাফাই না, কিন্তু আপনারা তো ভারত বলতে অজ্ঞান হয়ে যান।
বাংলাদেশের আলো হাওয়া খেয়ে বড় হোন, দেশের ভালো স্কুল কলেজে পড়েন কিন্তু বিয়ে করার সময় একটু খোঁজ লাগান, হ্যাঁ রে ওপারের মেসো মশাই কে বল, আমাদের বুয়েট পাস ভোলার জন্য একটা সুন্দর মেয়ে দেখ তো। কেন বাবু, আমাদের দেশে কি আপনার জাতের মেয়ের অভাব? নাকি এই ফাঁকে ওপারে কিন্তু শক্ত আত্মীয় হল, বলা যায় না এই মেলেচ্ছদের উপর তো ভরসা নেই , সময় থাকতে থাকতে টিন নাম্বারটা হয়ে যাবে
আমার নিজের চোখে দেখা।
আমাদের দেশে সবাই নিশ্চয় খারাপ না, আমিও যেমন জানি আপনাদের সবাই এই রকম না। তবে জানেন কি, আপনাদের অনেকই মনে করেন ওপারে সর্বসুখ কিন্তু যারা গেছেন তাঁদের কিন্তু সেই ভুল ভেঙ্গে যায়। মনের মধ্যে যদি থাকে আগেই দেশের প্রতি একটা দোটানা, তাহলে শুরু থেকেই তো ওপারে যেতে পারেন, তাই না। এই দেশের সুযোগ নেবেন, আবার পরে ওপারেরটা নেবেন সেটা কেমন দেখায় বলুন তো।
আপনার লেখাটা যেহেতু সাম্প্রদায়িকতার কথা তুলেছেন, তাই আমার মন্তব্যটা একটু ঠোঁটকাঁটা
মাশাল্লাহ, এমন আন্তরিজাতিক মানের নিরপেক্ষ মন্তব্যর জন্য কয়টা লাইক হবে, ফ্রান্স?
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
অন এ সিরিয়াস নোট, এমন মন্তব্য দেখলে কিন্তু ভালোই লাগে। বুঝা যায় যে লেখকের লেখাটা সফল, একেবারে জায়গামত পুটুতেই আগুন জ্বলেছে।![হো হো হো হো হো হো](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/21.gif)
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
আজ্ঞে
তবে, কিন্তু, চউ-দা?![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
আজ্ঞে না, দুঃখও পাচ্ছেন না, মানছেনও না। এর পরের লাইন থেকে কিন্তু বলে যে জে বিষ্ঠা প্রসব করবেন এ কেবলই তার উপর এক ফোটা মধু ঢালার চেষ্টা আরকি।
আজ্ঞে না, ব্যথিত করে না, বরং আনন্দিত করে। আর আপনার মতো লোকেরা শুধু মক্কা না, গাজা, রোহিঙ্গা, ইরান, তুরান, তুর্কী সব বলেই অজ্ঞান হয়। সেইসাথে নিজ দেশের মানুষকে জোর করে অন্য দেশের জন্য অজ্ঞান বানানোরও চেষ্টা করে। আপনার সাথে তার পার্থক্য বোধহয় এক টুকরা চামড়ার। সেই এক টুকরা চামড়া ফেলে দেবার গর্বে কত সহজে ভাইকে দাদাভাই বানিয়ে ফেলা যায় তাই না?
চোখটা আরেকটু খুললে হয়তো নিজ চোখেই আর অনেক কিছু দেখতে পারতেন। টুপি দাড়িওয়ালা মুমিন ভাইকে কাগজের লোভে খেরেস্তান বিয়ে করতে দেখতেন। বুয়েট পাশ মকবুলকেও বিনা কষ্টে আম্রিকা যাবার লোভে গ্রিন কার্ড ওয়ালা মেয়ে খুঁজতে দেখতেন। তার সাথে কি আর মেজরিটি মাইনরটির কোন সম্পর্ক আছে? ভোলা মেজরিটি হলে মকবুলক হতো, মকবুলক মাইনরিটি হলে ভোলা হতো।
আজ্ঞেন না, আমাদের দেশের সবাই খারাপ না। শুধু আপনার মতো বেশ কিছু লোক খারাপ। মনের মধ্যে দোটানা সংখ্যালঘুদের নেই। আপনাদের আছে। সেই অখণ্ড পাকিস্তানের স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট কি সহজে ভোলা যায়?
আজ্ঞেন না, ঠোঁটকাটা না। বরং পুটুকাটা বলতে পারেন নিজেকে। পুটু একেবারে ছিলে কেটে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে তো? এই কারণেই এই লেখাটা সফল।
"আজ্ঞেন না, ঠোঁটকাটা না। বরং পুটুকাটা বলতে পারেন নিজেকে।"
মইরা গেলাম।![গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/24.gif)
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
চরম উদাস অন ফায়ার!
- দূরের বাতিঘর
এই ন্যান ।
সচলে একটা তবে / কিন্তু / যদি অ্যালার্টের ইমোটিকন যোগ করার দাবী জানায়ে গেলুম ।
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
==========
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
..................................................................
#Banshibir.
এই তালি পাওয়ার জন্য ক্লিনটন ফাউন্ডেশানে আপনি কত টাকার চাঁদা দিসেন??
ফারাসাত
শুকরছানাঘটিত গিয়াঞ্জামে আছি তাল পাকায়েন্না![মন খারাপ মন খারাপ](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/2.gif)
..................................................................
#Banshibir.
হাহা! ধরুন তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম কিছু সংখ্যালঘুর মানসিকতা এমন। তাই বলে আপনি বোঝাতে চাইছেন আপনাদের দায় কমে গেল?
অন এনাদার সিরিয়াস নোট, মার্কিন মুলুকে গ্রীন কার্ডধারী ছেলে/মেয়ের দেশে চাহিদা জানেন?
-দূরের বাতিঘর
না রে ভাই দায় কমে নাই, সেটা তো প্রথমে স্বীকার করলাম। আমি খালি আপনাকে অন্য পাশটা দেখালাম। আপনি দেখেন, এইখানে আপনার কত সমর্থক, এদের কি আপনি ট্রাম্প বলে গালি দিবেন? আমি কি আপনার ধর্মের সবাইকে গালি দেবো? না দেবো না। কারণ মানুষ তার জন্মের জন্য দায়ী না। আপনি যে ধর্ম বিশ্বাসীর ঘরে জন্ম নেবেন, আপনি সেটাই সাধারণত পালন করেন। এই খানে সবাইকে রেসিস্ট বলার তো দরকার নেই।
বলেন তো, দেশে একটা ভালো বন্ধু আপনার ছিল না ? সবাই আপনাকে সংখ্যালঘু বলে বুলিং করতো ? দেখেন তো এইখানে কত লোক আপনাকে ডিফেন্ড করার জন্য নিজের নিচু মানুসিকতা দেখিয়ে গালি দিল, সবাই কি আপনার ধর্মের ছিল? তাইলে সবাইকে ট্রাম্প কেন বলেন ?
@ সত্যপীর, বুয়েট পাস কিংবা পিএইচডি করলেই যে ভালো মানুষ হওয়া যায় না, সেইটার তুমি একটা উদাহরণ দেখাইলা
, তুমি বাসায় কি শিক্ষা পাইছো সেটা এখানে বোঝা গেল। এনি ওয়ে, তোমারে শিখানোর দায়িত্ব আমার না, তোমার বাবা মায়ের ছিল, তারা কি শিখাইছেন সেটা আর নাই বললাম ।
সচলায়তনকে মনে করা হত মানুষ যুক্তি দিয়ে কথা বলবে, খণ্ডন করবে। কিন্তু তুমি এটার মান নিচে নামাই দিলা। কোন প্রব্লেম নাই, তবে আমি আর কাউকে বলবো না যে এটা খুব মানসম্পন্ন ব্লগ।
হ্যাপি উইকএন্ড সবাইকে
![গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/24.gif)
আমি বুয়েট পাসও না পিএইচডিও করিনাই ভালো মানুষও না। দূরে গিয়া মরেন শালা শুয়ার।
..................................................................
#Banshibir.
হ্যা, সমস্যাটা ঠিক এখানেই। আপনার প্রথম কমেন্টে অন্য পাশ দেখাতে গিয়ে আমার উদ্দ্যেশ্যে যে সরলীকরণটা করলেন সেটার মুখোমুখি হয়েছি দেশে থাকার পুরোটা সময়। আর সে কারণেই লেখাটি লেখার সময় সরলীকরণ নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলাম। লেখাটি আরেকটু সময় নিয়ে মনযোগ দিয়ে পড়লে দেখবেন আমি ঢালাওভাবে সবার প্রতি আঙুল তুলিনি, আঙুল তুলেছি খুবই সুনির্দিষ্ট একটি টাইপের মানুষের বিরুদ্ধে। তাদেরকেই ট্রাম্প বলেছি। আর লেখাতে ব্যালেন্স আনার চাইতে একটি মেসেজ দেবার উদ্দেশ্যটাই মুখ্য ছিল, তাই আমার বন্ধুদের ফিরিস্তি দেবার প্রয়োজন বোধ করি নি।
এখন ধরুন দুটি গ্রুপের মানুষ আছে, ক এবং খ। ক গ্রুপের মানুষ খারাপ কোন কাজ করল। এখন ক গ্রুপের কর্মকান্ডের সেই আলোচনায় খ গ্রুপের অপ্রাসঙ্গিক কোন খারাপ কাজের ফিরিস্তি টেনে আনলে সেটা দিয়ে ক গ্রুপের দোষগুলো কমে যায় না। আর যেহেতু আলোচনাটি অপ্রাসঙ্গিক সেটি ক গ্রুপের গিল্টি কনশায়েন্সেরই (guilty conscience) পরিচয় দেয়। যেটি আপনি দিয়েছেন। আপনার যদি মনে হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেকেই এ দোষে দুষ্ট সেটি নিয়ে আলাদা একটি লেখা লিখুন। আর সেটি তারা কেন করে তা বুঝতে চাইলে তাদের ভিক্টিমাইজ (victimize) করে ঢালাও দোষ না দিয়ে তাদের এ মানসিকতাটি হবার পেছনের কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। যদি নির্মোহভাবে দেখতে পারেন, বুঝতে পারবেন যাদের মাঝে এ মানসিকতা তৈরি হয়েছে তার পেছনে আপনাদের অবদান কম নয়। আপনার সেই আলোচনা দেখার অপেক্ষায় থাকব।
- দূরের বাতিঘর
আরে ভায়া একটু সোজা বাংলায় বলেন তো! এত ক-গ্রুপ / খ-গ্রুপ করলে অনেক নামগুপ্ত-ডাকচেনাদের মাথার উপর দিয়ে চলে যেতে পারে।বিশেষ করে তথাকথিত স্বঘোষিত "ঠোটকাঁটা"-রা প্রাওই খানিকটা মাথা-কাটাও হয় কিনা। আপনার কথা যেখান দিয়ে রিসিভ করার কথা, সেখানে আদপে কিছু নাও থাকতে পারে।ছোটবেলায় হাজামরা ভুল করে অনেকসময় শরীরের উলটা দিকে খৎনা করে ফেললে এই অবস্থা হয়। যাজ্ঞে, এবারের মত তাই আমিই আপনার লাইনটার বঙ্গানুবাদ করে দিচ্ছি --
বাংলায় এইসব লোকের জন্য এত সোজা আর এমন মোক্ষম ডেস্ক্রিপ্সহন (ইডিওম) থাকতে আপনি কিনা "ক-গ্রুপ / খ-গ্রুপ"-এর জটাজালে পড়ে গেলেন! হে হে!
****************************************
![](http://farm6.static.flickr.com/5201/5238901770_07cdea183b_m.jpg)
মুহতারাম "নাম নাই" সালাম,
জ্বী আপনি কি বলতে চাইছেন তাহা তাহলীল করতে না পারার কোন কারণ নাই। দেশে সহীহ খিলাফা কায়েম না হলে সংখ্যালঘুদের উপর এরকম জুলুম (বুলিং, কোপ, কিসাস ইত্যাদি) চলতেই থাকবে, আর কথায় কথায় খালি বেআক্কেলদের মত "হিন্দুস্তান হিন্দুস্তান" করতেই থাকবে। এরা সহীহ খিলাফত বুঝে না, জিজিয়া কর বুঝেনা, এরা কিছুই বুঝেনা। এরা বুঝেও না যে "হিন্দু জেনানা" এই মুল্লুকে না পাইলে এক লাইনের কলমা পড়লেই হাজার হাজার খুবসুরত মুসলিম জেনানা নিকাহ করতে পারে।
এইসব কি এই সত্যপীর আর চরম উদাসদের মত অভাগারা বুঝবে? বুঝবে না।
বারাকাল্লাহু ফিক।
নাম নাই না তো, আপনার নাম আছে। আপনার নাম শুয়োরের বাচ্চা।
..................................................................
#Banshibir.
ঠিক আছে।
..................................................................
#Banshibir.
বোঝা গেল, আপনার পারিবারিক কোন পরিবেশে বড় হয়েছেন , আশা করি আপনারা হর হামেশা এভাবেই কথা বলেন![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
নিজের নামটা এইবারও ভুল লিখলেন।
..................................................................
#Banshibir.
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমার মামা এখনো বিশ্বাস করেন যে বঙ্গবন্ধু একজন হিন্দুর সন্তান ছিলেন। একারণেই ভারতের টাকা খেয়ে উনি পাকিস্তান ভেঙ্গেছেন। তিনি এটাও বিশ্বাস করেন পাকিস্তানি আর্মি যে খুন-ধর্ষণ করেছে সেটা ধর্মের দৃষ্টিতে জায়েজ। আমি ছোটবেলায় অন্যধর্মের কোন বন্ধুর বাসা থেকে খেয়ে আসলে আমার মা আমাকে সোনা-রূপা পানি দিয়ে গোসল করে পবিত্র হতে বলতেন। আমাদের কে শেখানো হতো অন্যধর্মের কার সাথে বন্ধুত্ব করা পুরোপুরি হারাম। স্কুল লাইফে সনাতন ধর্মাবলম্বী যেকোন বন্ধুকে গরুর মাংস খাওয়ানো ছিলো আমাদের কাছে নিছক মজা। অস্বীকার করবো না যে আমিও তাদের মধ্যে একজন ছিলাম। মালাউন তো ছিলো আমাদের সবচাইতে ফেভারিট গালি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবীদের কে নিয়ে কুৎসিত যৌন আক্রমণ করা ছিলো ডালভাতের মতই স্বাভাবিক ব্যপার। এগুলো কিন্তু পারিবারিকভাবে এবং সামাজিকভাবেই আমারা শিখেছি এবং এখনো শিখছি। আমি কিন্তু নিজে নিজেই চেঞ্জ হয়েছি। এবং উপরের প্রতিটি কৃতকর্মের জন্য খুবই লজ্জিত হয়েছি ও হচ্ছি প্রতিনিয়ত। জানি আপনি চেঞ্জ হবেন না।
আপাতত কানাডাতে আছি। এখানেও দেখি বাংলাদেশি মুমিনগণ বিয়ের সময় বাংলাদেশ থেকেই পাত্রী বিয়ে করে আনেন। আমার নিজের চোখে দেখা। কিন্তু কেউ আপনার মত বলেনা "কেন বাবু, কানাডাতে কি আপনার জাতের মেয়ের অভাব?"
সত্যপীর আপনাকে শুয়োরের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছেন। আমি কিন্তু এই গালিটা দিবো না। কারণ একজন ডোনাল্ড ট্রাম্প অথবা একজন তেঁতুল শফীর তুলনায় একটা শুয়োরের বাচ্চা নিতান্তই নিষ্পাপ ও নিরীহ। তাই "আপনি একটা ট্রাম্প-শফী" এইটা বলে গেলাম। আশা রাখি খুশিই হবেন।
বিনীত
ফারাসাত
তো কি সমস্যা তাতে , বাংলাদেশী লোকজন বাংলাদেশে বিয়ে করলে ? হিন্দু ছেলেদের মত বাংলাদেশে বড় হয়ে ভারতে যেয়ে বিয়ে করতে যায় না
আমি গালি দিলাম না, কারণ তাতে আপনার রুচিবোধের সমান আমারটা চলে আসে, আর এই সচলায়তনে দেখলাম, মডারেটররা নিজের লোকজনদের কমেন্ট প্রকাশ করে, আর যুক্তি দেখালে অন্যেরটা প্রকাশ করে না, তাই আপনারা নিজেরা একসাথে সু নাপিত আরেক দিকে ট্রাম্প। এই সব হিপোক্রেট থেকে আমি দুরে থাকি।
বাংলাদেশের হিন্দু ছেলেরা নেপাল বা মালয়েশিয়ার হিন্দু মেয়ে বিয়ে করলে কি আপনার দু'আ পাবে? নাকি তাদেরও লা'নত দিয়ে দূরে ঠেলে দেবেন?
মুসলিমাহ শাকিলা জাফর দেখলাম মুম্বাইবাসী রবি শর্মাকে বিয়ে করেছেন। ভারতীয় মুসলিমাহ সানিয়া মির্জাও পাকিস্তানী শোয়েব মালিককে বিয়ে করেছেন। ওনারা কি কাজটা ঠিক করেছেন?
হিমু ভাই, দোয়া মাহফিল পরে, আগে বলেন এই লেখা কেমনে মডু থেকে পাস হইলো
, বড় নীতিমালা লিখে রাখছেন, মার্কিন ভিসা নেওয়ার কাগজের মত
, ১ আর ৩ নম্বর পড়ে আমারে বলেন, আমি বুঝতেছি না ![চিন্তিত চিন্তিত](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/39.gif)
আপনার কাছে কেউ কৈফিয়ত দিবে না। কারণ আপনার নাম নাই। সচলায়তন পছন্দ না হইলে পইড়েন না।
"নাম নাই" নামের প্রাণীটা মনে হয় এলিয়েন। ভিনগ্রহ থেকে সদ্য ধরাধামে অবতীর্ন হয়েছেন। আপনাকে দুনিয়াবি কিছু তথ্য দেওয়া মানবিক দায়িত্ব মনে করছি।
সিলেটে আমাদের বাড়ীওয়ালা ছিল "কথাবন্ধু" টাইপের। "স্লামালাইকুম" বলে ব্যস্ততার ভঙ্গিতে পাশ কাটিয়ে যেতে না পারলে মহাবিপদ। একবার ব্যর্থ হয়ে উনার দীর্ঘ বয়ান শুনতে হয়েছিল। মনে আছে সেদিন তিনি বড়সড় এক জায়গা দেখিয়ে বলেছিলেন দশ কি আরো কিছু বছর আগেও সেখানে হিন্দুরা থাকত। এলাকার প্রভাবশালী এক নেতার কারণে তারা জায়গা জমি ফেলে চলে যায়। কোন দলের নেতা? আসলে ফেলে যাওয়া এ জায়গা-জমি দখলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাব প্রায় একই। ১৯৯৫ সালে ১১.৫% দখল করেছিল আওয়ামী লীগ আর ৭১.৬% বিএনপি/জামাত। আবার ১৯৯৭ এর হিসাবে হিন্দুদের সম্পত্তির ৪৪.২% আওয়ামী লীগ আর ৩১.৭% বিএনপি/জামাত দখল করেছিল [১] । তার মানে জমি দখলের হিসাব সরকার বদলানোর সাথে সাথে বদলে যেত।
১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তানের ১৭ দিনের যুদ্ধ শেষে জারি করা একটা অধ্যাদেশ পরবর্তীতে "শত্রু সম্পত্তি আইনে" পরিণত হয়। এই আইনের ফলে ভারতে চলে যাওয়া "অমুসলিমদের" সমস্ত সম্পত্তি হয়ে যায় "শত্রু সম্পত্তি"। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে আইনটির নাম বদলে হয় "অর্পিত সম্পত্তি আইন"। ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬০ লক্ষ হিন্দু এই আইনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় ২৬ লক্ষ একর জমি অর্পিত হিসাবে তালিকাভুক্ত হয় যার মূল্য দুই লক্ষ বাহান্ন হাজার কোটি টাকা [২] ।
১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার প্রস্তাব করেছিলেন। একাত্তরের ২৯ মার্চ রাত দেড়টায় ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং তার ছেলেকে পাকিস্তানী মিলিটারি কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে ধরে নিয়ে যায়। তারা আর কোনোদিন ফিরে আসেনি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাড়ি অর্পিত (শত্রু) সম্পত্তিতে পরিণত হয়। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাষ্টারদা সুর্য সেন কিংবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেবের বাড়ি হয়ে যায় অর্পিত সম্পত্তি। বাংলা গানের কিংবদন্তীতূল্য শিল্পী শচীন দেববর্মণ আর সুচিত্রা সেনের বাড়ীও এই তালিকাতে আছে! এ তো পরিচিতদের কথা। অপরিচিত এক সংখ্যালঘু সুকুমার দাশ জীবন বাঁচাতে দুই ভাইকে নিয়ে ভারতে চলে গেলে তাদের সব সম্পত্তি অর্পিত হিসাবে রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে পরিবারের সবাই দেশে ফেরত আসলেও আইনের কারণে জমি ফেরত না পেয়ে তারা অন্যের জমিতে কাজ করা শুরু করে। সুকুমার দাশ নিজে বালু নদীতে মাছ ধরতেন।
কোন কোন দিন সকালে ভার্সিটি যাবার পথে দেখতাম বাসার সামনে ধানক্ষেতের পাশে কারা যেন কলাপাতায় ফুল আর চাল ফেলে গেছে। আমি জানি হিন্দু বাবা-মার বার্ষিক শ্রাদ্ধতে সন্তানরা কাজটা করে। সেখানে একসময় তাদের প্রিয় মানুষগুলোর শ্মশান ছিল। এখন তা ডোনাল্ড ট্রাম্পদের দখলে। বর্ষায় সিলেটের বিখ্যাত বৃষ্টিতে কলাপাতার চাল আর ফুলেরা ধানক্ষেতের পানিতে ভেসে ভেসে যেত।
তথ্যসূত্রঃ
১। An Inquiry Into Causes and Consequences of Deprivation of Hindu Minorities in Bangladesh Through the Vested Property Act: Framework for a Realistic Solution, Abul Barakat, PRIP Trust, 2001.
২। Deprivation of Hindu Minority in Bangladesh:Living with Vested Property, Abul Barakat et al., Pathak Shamabesh, 2008.
৩। Human Rights, Democracy and Governance, Pearson Education India, 2010.
_________________________________
সৌমিত্র পালিত
জনাব ট্রাম্প-শফি,
সমস্যা এক্টাই - এরা তো আর বাংলাদেশি নাই, তারা এখন কানাডিয়ান। তো ওরা কানাডা থেকে বিয়ে করেনা কেন? কেন ওরা কানাডাতে টাকা কামিয়ে সেই টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়? আচ্ছা হুদাই তর্ক করছি কেন? আপনি বা আমি কোত্থেকে এবং কাকে বিয়ে করবো সেটা অন্যদের মাথাব্যথা হবে কেন অথবা সেটা দিয়ে আমাদের দেশপ্রেম যাচাই করা হবে কেন? (আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনার মানসিকতা দেখে কেউ আপনাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না আর সেই ঝাল আপনি ঝাড়ছেন একজন সংখ্যালঘুর উপর)।
সচল মডুরা খুব খ্রাপ। ওরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাইতেও খ্রাপ। ওরা ডোনাল্ড ডাক। ওরা ভিন্নমতের কমেন্ট প্রকাশ করে না যেমন আপ্নারটাও করেনাই। তেমনি আমিও আপনার 'যৌক্তিক' কমেন্টের অযৌক্তিক রিপ্লাই দিতে পারলাম না বলে এখন ভ্যাঁভ্যাঁ করে কাঁদছি।
বাই দি রাস্তা, আমার বাকি কমেন্টের সাথে আপনি একমত ধরে নিচ্ছি যেহেতু সেটার কোন জবাব আপনি দেননি। ধন্যবাদ।
বিনীত
ফারাসাত
কারণ বাংলাদেশ তাঁদের দেশ, তাই পাঠায়, এই বার বলেন এই প্রশ্নটা আপনার মত করি তাইলে বাংলাদেশে থেকে কাজ করে ভারতে টাকা পাঠায় , সেটা কি অগো দেশ নাকি ? নাকি বাংলাদেশ হইলো গিয়া তাগো কাছে কানাডা, আর ভারত হইলো নিজের দেশ? এই বার এইটা মিলাতে থাকেন। সচলে এত আবুল আগে দেখি নাই
, আমার মনে হয় আপনি গ্রিন কার্ডের লোভে ফিরিঙ্গি মাইয়া বিয়া কইরা পস্তাইতেছেন, তাই দেশ থেকে কেউ বিয়ে করে আসলে জ্বলে ![হো হো হো হো হো হো](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/21.gif)
মুহতারাম "নাম নাই",
ভাই হাজার হাজার বাঙ্গালী মুমিন মুসলমান বাটী-ঘটী জমি-জমা বেইচ্যা মের্কিন মুল্লুক, ক্যানাডা মুল্লুক যাইতাছে, আমি কই হুয়াই? বিকজ, হেরা সবাই যাইতাছে ঐ কাফির মুল্লুকে দীন কায়েম করতে। কিন্তু এই হিন্দু মুশরিকরা খালি হিদুস্তানে টেকা-টুকা পাঠায় ক্যান? হুয়াই?
এই লাইগাই আমি কইতাছি ভাইজান, হালা সব মালাউনরে কিসাস কইরা ফালান, এরা কুটি কুটি টেকা হিন্দুস্তানে পাছার কইরা দিতাসে, কিসাস কইরা ফালান কিসাস, আল্লাহু আকবর বইলা শুরু করেন ভাইজান।
জাজাকাল্লাহ খায়ের ভাই জান।
হ। ট্রাম্প সোসাইটি
একেবারে!
-দূরের বাতিঘর
সেই সুদূর কোরিয়া থেকে কানাডা, আমার দোস্তগোর চোখে কারো ঘুম নাই ট্রাম্পের দুশ্চিন্তায়, যদিও ইনারা নিজ দেশের ট্রাম্প গোর বেলায় কূম্ভকর্ণের ঘুম দেন.
গুডরিডস
- দূরের বাতিঘর
বিলো দ্যা বেল্ট। চলুক লেখা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
-দূরের বাতিঘর
-দূরের বাতিঘর
আমি তো চাকুরি করতে এসে শুনলাম আমি একজন সংখ্যালঘু অফিসার! বিস্ময়ের ধাক্কাটা হজম করতে অনেক সময় লেগেছে। যারা আমাদের সম্পর্কে এইসব কথা মনের মধ্যে সবসময়ই পোষণ করে তারাই আবার ট্রাম্পের চিন্তায় নিজেদের ঘুম হারাম করে ফেলে।
...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”
সংখ্যালঘু অফিসার; এইটা জীবনের পয়লা শুনলাম
আমিও পয়লা শুনেছি। এতদিন হয়ে গেল, কথাটা হজম হলো না।
...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”
আমার এক বড়ভাই বিসিএস এর ভাইভা দিতে গিয়েছিলেন। উনার জীবনের লক্ষ্যই ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়া। সেটা ছিল তার শেষ বিসিএস, সেও আবার এক "অসাম্প্রদায়িক" সরকারের সময়ে। ভাইভা বোর্ডে শুনেছিলেন, "আপনি হিন্দু হয়ে প্রশাসন প্রথম পছন্দ দিয়েছেন। আপনার সাহস তো কম নয়!"
এ অভিজ্ঞতা যে সবার হয় তা নয়। তবে যাকে এ কথা শুনতে হয়ে তার অনেক কিছুই উলট-পালট হয়ে যায়।
-দূরের বাতিঘর
এসব কথা যে শোনে সেই বোঝে এর প্রভাব কতখানি। ঠিক বলেছেন দূরের বাতিঘর, এসব কথা যাকে শুনতে হয় তার অনেককিছুই ওলট-পালট হয়ে যায়।
...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”
জন্ম থেকে ট্রাম্প কথাটার অর্থ বুঝি নাই। বাকিটা ঠিকাছে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ।
আমাদের দেশের পরিবেশটা সহজাতভাবেই এমন যে ট্রাম্পের মত মানসিকতাটা তৈরি হবার প্রক্রিয়াটা জন্ম হবার সময় থেকেই শুরু হয়। এটাই বুঝাতে চেয়েছি।
-দূরের বাতিঘর
দূরের বাতিঘর দূর থেকেও একেবারে ঠিক জায়গায় ঘা দিয়েছেন। আমার আশে পাশে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের নিয়ে ঠিক এ ধরনের কথা প্রায়ই শুনি। এধরনের কথা বার্তা যারা বলেন তাদের ভেতরের মালমশলা খুব বেণি থাকেনা ফলে যখনই প্রতিবাদ করি উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিই দেখি তারা জবাব খুঁজে পায়না। বুঝতে পারি এরা সমমনাদের সাথে অন্যধর্মাবলম্বীদের ছোট করে যে আত্মতৃপ্তিতে অভ্যস্ত সেই টুকু ছাড়া কারোই বিশেষ কোন যুক্তি টুক্তির বালাই নেই। এদের জন্য পীর সাহেবের (সত্যপীরের) চাঁচাছোলা ভাষাই আসল দাওয়াই।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
আমার অভিজ্ঞতায় মুসলমান বাঙালীর একটা বড় অংশ,(হতে পারে এই সংখ্যাটাই অধিক)
জাতিহারা এবং ধর্মহারা। তারা ধর্মের নামে নিজের ভাষা এবং ঐতিহ্যকে গাল দিতে গিয়ে পূর্ব পুরষের অভিজ্ঞতার পরম্পরা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করেছে।
অন্যদিকে ধর্মকে স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার কাজে (সম্পত্তি দখল,প্রতিবেীর হক হরণ, বিদ্বেষমূলক প্রবৃত্তি চর্চা- যেটা পবিত্র কোরআনে সুরা নাস-এ খান্নাস নামে বলা হয়েছে,বলা হয়েছে- মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু এটা)- ব্যবহার করে নিজেকে ধর্মহীন করেছে।
আমরা ছোটবেলায় শুনে বড় হয়েছি, হিন্দুর মুরগি কারও মুরগি নয়। অর্থাৎ ওটা ধরে খাওয়া যায়।
আমি বড় হয়েছি, হিন্দুদের প্রতি গাল শুনে শুনে।
া্আমি বড় হয়ে দেখেছি, হিন্দু সম্প্রদায়েরর মানুষের সম্পত্তি রক্ষা করা এই দেশে অনেক কঠিন। সে রক্ষা যেমন করতে পারে না, বিক্রি করতে গেলেও অদ্ভুত সব সমস্যায় পড়ে।
এমন অবস্থায় কোন সংখ্যালঘু যদি স্বীয় এবং সন্তানের জীবন রক্ষা করার জন্য পাশের দেশে চলে যায় তাহলে এর জন্য দায়ি কে?
আমরা যদি সেই সংখ্যালঘুর দোষ খুঁজি তাহলে আমাদের ছোটবেলায় পড়া বাল্য শিক্ষা আবার পড়তে হবে।
মানুষের মধ্যে যখন ধর্ম চলে যায়, তখন ধর্ম চলে আসে পোশাকে।
এটাকেই কোরআনে বলা হয়েছে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে অনেক ধর্ম বিনষ্ট হয়ে গেছে।
এই পোস্টের কয়েকজনের প্রতিক্রিয়ায় তেমন উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়।
আমার ধারণা তারা কোরআন পড়েন নি। শুধু তাই নয়, তারা আসলে ধর্মটা জানেন না। হৃদয়ে ধারণ করেন না।
ইসলামের একটা বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সে বঞ্চনা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে ন্যায় ও সমতার আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা বলে। পবিত্র কোরআনের আয়াতে আছে, তোমরা মন্দির, গীর্জা বা অন্য উপসানালয় ধ্বংশ করো না কেননা সেখানে সবচেয়ে বেশি স্মরণ করা হয়।
কোরআনে আছে, তোমার যদি কোন বিষয়ে সন্দেহ লাগে তাহলে তোমরা নিজের অন্তর বা আত্মাকে (এটাকেই প্রচলিত অর্থে আমরা বিবেক বলি) জিজ্ঞেস করো। সেখানে এর উত্তর দেয়া আছে। তুমি যদি তোমার অন্তরের যা বলবে তা করার জন্য তুমি দায়ি নও।
অর্থাৎ ইসলামে বিবেকের ধর্মকে সর্বোচ্চ স্থান দেয়া হয়েছে। বিবেক যা বলে, অন্তর যা বলে সেই অনুসারে কাজ করার জন্য দায়মুক্তি বা ইমডেননিটি দেয়া হয়েছে।
এরকম আরও অসংখ্য আয়াত আছে- যেখানে ধর্মের প্রকৃত স্বরূপকে কীভাবে পাওয়া যাবে তার নির্দেশনা আছে। কিন্তু বেশিরভাগ মুসলমান আমরা এটা জানি না।েআমার চারপাশে বেশিরভাগ মুসলমানকে যারা ভারতকে গালি দেয়া, হিন্দুদের প্রতি ঘৃণা, মুসলমানত্বকে জাহির করার জন্য উদ্বেল হয়ে ওঠেন তারা এমনই মুসলমান পাঠ সক্ষমতা স্বত্ত্বেও তারা কোরান শরীফে কী বলে তা দেখার জন্য জানার জন্য সময় েব্যয় করতে রাজি নন। অথচ ইসলামে অজ্ঞানতাকে পাপ হিসেবে বলা না হলেও এর কাছাকাছি রাখা হয়েছে। যে জন্য শহিদের রক্তের চেয়ে বিদ্বানের কলমের কালিকে পবিত্র এবং নির্বোধের সারারাতের ইবাদতের চেয়ে জ্ঞানীর নিদ্রাকে ইসলাম ধর্মে উত্তম হিসেবে দেখা হয়। ধর্ম প্রচারের জন্য নয় জ্ঞান অর্জনের জন্য চিন দেশে যেতে উৎসাহিত করা হয়।
যারা কোরাণকে বোঝার চেষ্টা করেছেন, হৃদয়ে স্থান দিয়েছেন- এরকম মুসলমান হওয়ার চেয়ে আমরা চেষ্টা করেছি মুসলমানের নামে খান্নাসকে প্রতিপালন করেছি। আমাদের কাছে ইসলাম মানে, সৎ হওয়া নয়,অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে সুবিচার প্রতিষ্ঠা নয়।
আমাদের কাছে ইসলাম মানে আমরা কতটা বিধর্মী বিরোধী সেটা।
এটাই খান্নাস চর্চা।
খান্নাসের কথাটা আবার চলে এলো। কারণ আমরা আসলে ধর্মের নামে যেটা চর্চা করি, সেটা আসলে ইসলাম নয়- খান্নাস চর্চা। খান্নাসের প্রথম বৈশিষ্ট্য হলেঅ- ঘৃণা। বিদ্বেষ। ঈর্ষা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক মসজিদে গিয়ে বয়ান শুনতে পছন্দ করি। এটা খুব দুঃখজনক অভিজ্ঞতা যে বেশিরভাগ মসজিদেই ধর্মের নামে খান্নাস চর্চা করা হয়। সমাজের সবচেয়ে অসৎ লোকেরা মসজিদ নিয়ন্ত্রন করেন। এবং এসব প্রতিপত্তিশালী দুষ্টলোকদের আশ্রয়ে প্রতিপালিত ইমাম (শব্দটি যদিও তারা ধারণের অনুপযুক্ত) মানুষের মধ্যে বিভেদ আর বিদ্বেষ চালনা করেন।
আমাদের সমাজে প্রচলিত কয়েকটি ধারণা রয়েছে। আমার অনেক আত্মীয়, যরা হিন্দু বিরোধী, ভারত বিদ্বেষী তারা মিষ্টি কেনার সময়, বা বাজারে গিয়ে হিন্দুদের দোকান থেকে জিনিষ কেনেন। কেননা হিন্দুদের দোকানের জিনিষ ভালো। ওরা খাটি জিনিষ দেয়। কম মারে। ঐ ধর্মপ্রাণ আত্মীয়দেরই অনেককে দেখেছি। তার প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক হিন্দুকে নিয়োগ দিতে। হিসেব একটাই। তারা তুলনামূলকভাবে মূল্যবোধ মেনে চলে। মুসণমানদের মূল্যবোধ কম। চিৎকার বেশি।
এটা ঠিক মুসলিম বাঙালী (যারা মুসলমান পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করে) খাবারে বিষ মেশানো প্রবর্তন করেছি। পৃথিবীর আর কোন দেশে সামাজিকভাবে খাবারে বিষ মেশানোকে মেনে নিয়েছে কি না আমার জানা নেই। আমার ধারণা- নেই।
কেন? আমরা যখন ধর্ম হারাই, তখন যেটা হারাই তা হলো সাধারন বোধ। কমন সেন্স। এটা কাজ করে না তখন। এর ফলে আমরা নিজেদের খাবারে বিষ মেশাতে পারি।
এ বিষয়ে আমার একটি অভিজ্ঞতা রয়েছে যা আমাকে খুব ভাবিয়েছিল। ভারতে আমাদের কিছু আত্মীয় আছেন। এমন এক ভাই তিনি ভারতে জমিয়তে ইসলামী হিন্দের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজে থাকতে পছন্দ করতেন না। তিনি একবার ঠিক করলেন, তিনি বাংলাদেশে চলে আসবেন। তার মুসলিম ভাইদের মধ্যে বাস করবেন। দ্বীন ধর্ম পালন করবেন। তিনি ৩ বছর এদেশে থাকলেন। তারপর ভারতে ফিরে গিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, তোমরা সমাজ বোঝো না। তোমরা কোনো কিছু মানো না।
সর্বহারার অনেক সংজ্ঞা আমরা জানি দরিদ্র- শ্রমিক কৃষক যাদের কোন সহায় সম্পত্তি নেই।
আমার কাছে আমাদের,মুসলমান বাঙালীদের সর্বহারা মনে হয়। জাত-ধর্ম কোনটাই যার নেই- তার আর কী আছে?
সম্পাদনা করা যাচ্ছে না, তাই আরেকটি মন্তব্য করতে হলো।
দূরের বাতিঘরের মাধ্যমে সকল সংখ্যালঘুর কাছে একজন বাঙালী মুসলমান হিসেবে ক্ষমা চাই,
যারা ধর্মের নামে নিজের অজ্ঞতা প্রদর্শন করার মোধ্যমে
আল্লাহ্রর সৃষ্ট বৈচিত্রের প্রতি বিদ্বেষমূলক খান্নাসবৃত্তি চর্চা করতে গিয়ে
স্বীয় আল্লাহকে ছোট করেছেন, ক্ষুদ্র করেছেন, সংকীর্ণ করেছেন-
নিশ্চয় তারা একদিন অধর্মের পথ থেকে ফিরে আসবেন,
নিজেকে সুন্দর মুসলমান হিসেবে মানুষকে ভালবাসার তৌফিক আল্লাহ তাদের দান করবেন
ধর্মের নামে নিজের প্রবৃত্তি ব্যবসা বন্ধ করার পথে হেদায়েত প্রাপ্ত হবেন
মঙ্গলময় আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।।।।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার চাওয়া এটুকুই যদি সত্যিই আপনারা মনে করেন আপনারা উল্টোপথে যাচ্ছেন তবে দায়টুকু নিয়ে তার সমাধানে কাজ করবেন।
- দূরের বাতিঘর
অনেক সুন্দর লিখেছেন।
- দূরের বাতিঘর
স্পট অন। আমার আশেপাশে তো ট্রাম্পই দেখি বেশি ...![মন খারাপ মন খারাপ](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/2.gif)
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
- দূরের বাতিঘর
আমি যদি বলি, আজ থেইক্কা ৬০০ বছর আগে আপনার ব্রাহ্মণ দাদা আমার শুদ্র দাদারে পিটায়া আধামরা বানাইছিলো, অজাত কুজাত বইলা গালি দিসিলো এই কারণেই আমাদের দাদারা গণহারে মুসলমান হইছিলো। আর আজ দুনিয়া উল্টায়া যাওয়ায় আপ্নারা উচুজাত থেকে সংখ্যা লঘু হইয়া গেলেন ।
বুজলেন কিছু?
না বুজলে থাক, ধর্ম দিয়া নিজেরে আলাদা করা ছাইরা দেন, সংখ্যা গরু, ছাগল কিছুই হবেন না ।
আরেক বরাহ শাবক লেইট টু দ্যা পার্টি![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
পার্টি গৌজ অন।
..................................................................
#Banshibir.
৬০০ বছর আগে কে কি খারাপ করেছিলো তার জন্য আজকে সেই একই ধরেণের খারাপ কাজ করা জায়েজ? এইতো বলতে চাচ্ছেন? নাকি?
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
As per your logic whoever in power by virtue of time cycle will thrust brutality on powerless. Great ! Wish you get well soon. So that after 100 years some people ( like you ) should not blame you and oppress your grand children !!
সেই পিটান খায়া আপনার পুর্ব পুরুষ জঙ্গলে থাকা অবস্থায় কোনো জংলী জানোয়ারের সাথে সম্পর্ক করছিলো মনে হয়। নইলে এমন আবজাব দুনিয়াতে আসার কথা না!
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ভাল বলেছেন। আমি এবং আমরা অনেকেই এক একজন বাংলাদেশী ট্রাম্প।
- দূরের বাতিঘর
সামনে দূর্গা পূজা, এখনই বেশ কয়েক জেলায় মন্দিরে আক্রমন, প্রতীমা ভাংচুর এবং পূজা না করার হুমকী সহ চিরকুট দেয়া হচ্ছে। আর এইদিকে নাম নাই, গ্রামের পরিবহন টাইপ শুয়রের পাল তাদের জারজ বাপেদের শেখানো বুলি আউড়ে যাচ্ছে। তা, কার কোন বাপে দৈনিক মুসলমান খেদাইতো যে আজকে আপনারা অন্য ধর্মাবলম্বী খেদানোর জন্যে উশখুশ করেন? আবার জান বাঁচাতে পালাইলে 'ঐ দেখ মালুর বাচ্চা ভারত যায়' বলে ওয়াজ মারান!
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
- দূরের বাতিঘর
আমরা মানুষ হ্ইলাম না!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
চমৎকার লেখা।![মিজান, পিষে ফ্যালো মিজান, পিষে ফ্যালো](http://www.sachalayatan.com/files/pishefelo.png)
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
- দূরের বাতিঘর
আমি যদি ট্রাম্প হয় তবে ভায়া ডাকলেন ক্যানো? তারমানে ট্রাম্প আপনার ভায়া। চোরে চোরে মাসতুতু ভাই
নতুন মন্তব্য করুন