আমার ছেলেটার শরীর ভালো না। জ্বর গায়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে জুবুথুবু হয়ে শুয়ে আছে বিছানায়, ঘুমুচ্ছেনা কিছুতেই। বললো,
“বাবা একটা গল্প বলো।”
“কী গল্প শুনবি?”
“রাক্ষসের গল্প বাবা।”
নয় বছরের ছেলেরা সাধারণত রাক্ষসের গল্প শুনতে চায় না। তাদের পৃথিবী আরও অনেক বড়, তাদের গল্পগুলোও অন্য রকম।
“লালকমল আর নীলকমলের গল্পটা বলি?”
“অনেকবার শুনেছি বাবা, নুতুন একটা বলো দয়া করে”
অমিয় কেন যেন ‘নতুন' না বলে বলে নুতুন। নুতুন গল্প আর কোথায় পাবো! তাই বানিয়ে বানিয়ে বলা শুরু করলাম—
এটা একটা ভেজিটেরিয়ান রাক্ষসের গল্প। রাক্ষসটার নাম রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক। তার মনে অনেক দুঃখ। রাক্ষস নগরের সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। যখন সে ছোট ছিল তখন অত দুঃখ টুক্ষ ছিলোনা, তার বাবা-মা ও এই নিয়ে তেমন একটা ভাবেননি কোনোদিন। রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক এখন বড় হয়েছে, কিছুদিন পরেই কলেজে যাবে। বাবা-মা এবার চিন্তিত না হয়ে পারলেন না। জন্মাবধি এই একশ কুড়ি বছরে কোনোদিন মাংস খায়নি তাদের একরত্তি ছেলেটা। কলেজে গিয়ে না জানি কী বুলিং এর শিকার হয় সে! অনেক ভেবে চিন্তে তাঁরা ঠিক করলেন যা হবার হবে, মাংস না খেলে ছেলেকে আর ঘরে ঢুকতে দেবেন না।
শুনে রামুহুয়ান্তোকরিমন্তকের সেকি কান্না! রাক্ষসদের কাঁদতে নেই, কিন্তু ভেজিটেরিয়ান বলেই তার মনটা খুব নরম। কাঁদতে কাঁদতেই সে বেরিয়ে পড়লো ঘর ছেড়ে।
তিনটে বাড়ি পরেই তার স্কুলের ম্যাডামের বাসা। কান্না শুনে দাঁত খিচিয়ে বেরিয়ে দেখেন রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর হাঁটছে, হাঁটছে আর কাঁদছে।
“কীরে তুই কাঁদিস কেন?”
“বাবা-মা বলেছে মাংস না খেলে আর বাড়িতে যেতে দেবেনা, তাই।”
“হুম, ওদেরকে তো চিনি! ওরা যা বলে তাই করে। মাংস তোকে খেতেই হবে।”
“কিন্তু মাংস দেখলেই আমার গা কেমন ঘিন ঘিন করে। আচ্ছা, মাছ খেতে কেমন?”
“মাছও মন্দ নয়, কিন্তু এখানে মাছ পাবি কোথায়? তাছাড়া পেলেই কি আর ধরতে পারবি? তোর যা বুদ্ধি! তুই বরং পাখি খা”
“কিন্তু পাখি তো উড়ে যায়!”
“তাতে কী, লাফ দিয়ে ধরে ফেলবি একটা।”
“লাফ দিতে পারবো না, আমার পায়ে খুব ব্যাথা। কাল সন্ধ্যায় তাল গাছ থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। আমাদের তালগাছের ডাল গুলো যা মজা!”
“ছি ছি ছি, আমার ছাত্র হয়ে তুই কিনা তাল গাছের ডাল চিবিয়ে বেড়াস! যা ভাগ, ভাগ বলছি। সোজা পাশের জঙ্গলে চলে যা। মেলা জীব জন্তু পাবি। কপাল ভালো থাকলে এক দুটো বাঘও জুটে যেতে পারে।”
“উঁহু, বাঘের গায়ে গন্ধ”
“তাহলে হরিণ খা।”
“শিং দেখলে আমার ভয় করে”
“খরগোস?”
“অনেক বেশি লাফায়, বললাম না আমার পায়ে ব্যাথা!”
“কী যন্ত্রণা! এক কাজ কর, জঙ্গল পার হয়ে উত্তর দিকে হাঁটতে থাক। ওখানে মানুষ থাকে, ওরা ওড়েও না এমনকি লাফায়ও না। শিং নেই, আর দাঁত-নখ যা আছে, হা হা হা হা। তবে খেতে খুব মজা, একদম টুসটুসে”
“হেলেঞ্চা শাকের মতো টুসটুসে?”
“তুই দুর হ আমার সামনে থেকে”
রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক মন খারাপ করে হাঁটতে শুরু করলো। তার আবারও কান্না পাচ্ছে। কিছুদূর হেঁটেই ফিরে এলো ম্যাডামের বাড়িতে।
“ফিরে এলি যে?”
“মানুষ দেখতে কী রকম ম্যাডাম?”
“কী রকম আবার! আমাদের মতোই, তবে চেহারা একেবারে যা তা, যাকে বলে কুৎসিত। কুতকুতে চোখ, কাঠির মতো দুটো হাত, আর প্যাকাটির মতো দুটো পা। কান আছে কি নেই সে বুঝতেও পারবিনা, হি হি হি।”
এই পর্যন্ত বলে আড় চোখে তাকালাম ছেলের দিকে, ক্ষীণ একটা আশা ছিল সে ঘুমিয়ে গিয়েছে। কোথায় ঘুম! চোখ দুটো গোল গোল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। একটু হতাশ হয়েই বললাম,
“আমি তো ভেবেছিলাম তুই ঘুমিয়ে পড়েছিস!”
“ঘুমাইনি বাবা, আর শোন মানুষের চোখ মোটেই কুতকুতে নয়। মানুষ দেখতেও বিচ্ছিরি নয় মোটেই।”
“আহা, সেকি আমি বলেছি? রাক্ষসদের কথা এত ধরতে নেই।”
“তারপর কী হোলো বাবা?”
“ও হ্যাঁ তারপর………
রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক তো চললো। যেতে যেতে, যেতে যেতে, যেতে যেতে, জংগল পাড়ি দিয়ে গিয়ে পড়ল বিশাল একটা মাঠের ধারে। মাঠ জুড়ে কচি কচি ঘাস। মনের ভুলে কয়েকটা ছিঁড়ে মুখে দিয়ে ফেলল, ভেজিটেরিয়ান কিনা। ঘাসগুলো অন্য রকম, ভেতরটা ভারি রসালো আর মিষ্টি। সব ভুলে সে খেতে শুরু করলো। খেতে খেতে , খেতে খেতে, খেতে খেতে, হঠাৎ সে দ্যাখে আমি দাঁড়িয়ে আছি।”
“তুমি!?”
“হ্যাঁরে, আমিই। বেড়াতে গিয়েছিলাম। দেখি একটা রাক্ষস কোত্থেকে হুড়মুড় করে এসে আখের ক্ষেত দুমড়ে মুচড়ে ফেলছে। আমি যে কেন অজ্ঞান হয়ে যাইনি সেটাই এক বিস্ময়! ভয়ে আমার কলজে শুকিয়ে কাঠ, হাত দুটো চাদরের তলায় অথচ বরফের মত ঠাণ্ডা, আবার ঘেমে নেয়ে একাকার। পা দুটো একটার সাথে আরেকটা সেঁটে এটেনশন হয়ে এমন ভাবে মাটির সাথে আটকে গিয়েছে যে নড়তেও পারছিনা”
“তারপর কী হল বাবা?”
“ও হ্যাঁ, তারপর……
আমার দিকে তাকিয়ে রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক বিড়বিড় করে বললো,
“এটা আবার কী? চোখ দুটো কুতকুতে, কান প্রায় দেখাই যায় না। কিন্তু পা যে দেখছি একটাই, আর হাত দুটো গেলো কই? নাহ মানুষ আমার চোয়ালে নেই। এখন কী হবে!”
সেকি কান্না তার! চোখের পানিতে আরেকটু হলে ভেসেই যেতাম আমি।
কান্না থামিয়ে আমাকে জিগ্যেস করলো,
“এদিকে কোথায় মানুষ পাওয়া যাবে বলতে পারো?”
আমি ততক্ষণে বুঝে গিয়েছি এই রাক্ষসটা অন্যদের মতো নয়, বুকের সাহসটা তাই বুকে ফিরে এসেছে। পাল্টা জিগ্যেস করলাম,
“মানুষ দিয়ে কী হবে শুনি?”
“পেলে খেতাম, আগে কখনো খাইনি কিনা। আমি আসলে মাংসই খাইনি কোনদিন। আমার নাম রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক, আমি ভেজিটেরিয়ান।”
ফ্যাচফ্যাচ করে ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলে গেলো তার কথা। সব শুনে টুনে আমি বললাম,
“ওই যে পাহাড়টা দেখছ?”
“কই? ও এই ঢিবিটার কথা বলছ?”
“আচ্ছা ঢিবিই সই। ঢিবিটার পেছনেই দেখবে একটা খোলা মাঠ, সেখানে কী বলব তোমাকে! বিশ্বাস করবেনা, হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। দুটো হাত দুটো পা নিয়ে ভাবছো তো! দুটো কি, অনেকের দেখবে তিনটে চারটে করেও আছে।”
শুনে রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক কী খুশি! খা খা করে হাসতে হাসতে চলে গেলো ঢিবি, মানে পাহাড়ের দিকে। আমিও প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম, এসে দেখি তোর জ্বর।
“এখন কী হবে বাবা?”
“কী হবে, মানে?"
“রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক যদি ফিরে আসে?”
“খুব তাড়াতাড়ি ফিরবে বলে মনে হয়না। পাহাড়ের পেছনে আছে ক্যাকটাসের একটা জঙ্গল। মাইলের পর মাইল জুড়ে কেবল ক্যাকটাস আর ক্যাকটাস, মানুষ মানুষ সাইজ এক একটার। খেয়ে শেষ করতে অনেক অনেক দিন লেগে যাবে”
“কিন্তু একদিন তো সব খেয়ে শেষ করে ফেলবে, তখন যদি আসে?”
“ধুর বোকা, রাক্ষসদের এক একটা দিন আমাদের এক একটা মাসের সমান। তত দিন আমরা এই দেশে থাকবো নাকি? বাংলাদেশে চলে যাবো।”
“আমার বাংলাদেশে যেতে ইচ্ছে করছে না বাবা।”
“তাহলে তো মুশকিল!”
“ভেবোনা বাবা, আমি একটা লেজার গান বানাচ্ছি।”
“আচ্ছা তুই বানাতে থাক। আমি এখন চললাম, গুড নাইট।”
“গুড নাইট বাবা। একটা কথা বলি?”
“বল।”
“তুমি ভারি মিথ্যে কথা বল। টরন্টোতে বড় বড় ক্যাকটাস নেই।”
মন্তব্য
প্রিয় মডারেটর, আগের লেখায় কয়েকটি বানান ভুল ছিল। সংশোধন করে দিলাম। দয়া করে পুরনোটা মুছে ফেলবেন।
--মোখলেস হোসেন।
ভেজিটেরিয়ান হলে মন নরম হয় কে বলে! আমার পরিচিত এক কঠিন হৃদয় আছেন, ভেজিটেরিয়ান।
রাক্ষসের নামটা তো খাসা! আকারটা তুলে নিন পায়ের ব্যথা কমবে খানিক।
বানানো গল্পটা পড়ে মজা পেয়েছি। সময় মত এটি ঝেড়ে দেয়া হবেক
রাক্ষসদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা। ওরা তো আর মানুষ নয়! পড়ার জন্য ধন্যবাদ আয়নামতি।
--মোখলেস হোসেন
পাঁচে পাঁচ তারা। প্রচুর আনন্দের সাথে পড়া শেষ করেই গিন্নীকে পড়ে শোনালাম। অনবদ্য শেষের শেষে দুজনে হা হা করে হাসলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ এক লহমা। রাক্ষসপুরির কাছাকাছি আটকে আছি বহুদিন।
---মোখলেস হোসেন
প্রতিবারের মত এবারও মুগ্ধ। শুভেচ্ছা রইলো।
বিঃদ্রঃ আপনার ধারাবাহিক দু'টো মাঝপথে আটকে আছে। অন্যায়, অন্যায়।
- ইকরাম ফরিদ চৌধুরী
ধন্যবাদ ইকরাম ফরিদ চৌধুরী। লেখাগুলো মাথায় আছে, কিন্তু ডটগুলো যোগ করার জন্য প্রচুর পড়াশুনা করা দরকার। সময় করতে পারছি না।
---মোখলেস হোসেন
আপনি যাই লেখেন গোগ্রাসে গিলে ফেলি। অদ্ভুত রূপকথাটা অদ্ভুত সুন্দর লাগলো। নরম সরম রাক্ষসটাকে ক্যকটাসের ভেতরে ফেলে দিলেন মোখলেস ভাই? নামটা বড়ই কঠিন লাগলো মনে মনে উচ্চারণ করতে গিয়েও মনের দাঁত ভেঙ্গে ফেললাম।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
ধন্যবাদ সোহেল ইমাম। আপনি বাঁচলে বাপের নাম ভাই!
---মোখলেস হোসেন
গল্পটার গাঁথুনি সাবলীল। তবে টরেন্টোতে বড় হওয়া ৯ বছরের বাচ্চার মুখে "দয়া করে" বাক্যবন্ধটা (যদি না এটা সে ইংরেজিতে বলে থাকে) একটু কৃত্রিম লেগেছে। পরের লেখার অপেক্ষায় থাক্লাম
রাজিব মাহমুদ
ধন্যবাদ রাজিব মাহমুদ। বাড়িতে আমরা ইংরেজি বলিনা। আমার ছেলে খুব ভালো বাংলা বলে। একটা উদাহরণ দেই। সেদিন রাতের খাবার শেষ না করেই অমিয় উঠে যাচ্ছিলো। আমি আমার স্ত্রী কে বললাম তুমি উপরে যাও আমি দেখছি। তারপর ছেলেকে বললাম খাবার শেষ করতে। এই বয়সে বাচ্চারা জেদ করতে শিখে যায়, সেও জেদ ধরলো খাবেনা। আমিও না খেয়ে যেতে দেবো না। কিছুক্ষণ পর ছেলে আমার হাল ছেড়ে দিয়ে ফোঁপাতে ফোঁপাতে বললো,
"আমি আমার মাকে চাই। তোমাকে চাই না।"
"ঠিক আছে মা'র কাছে যাবি কিন্তু খাবার শেষ করে"
"এই খাবার টা ভালো না, এই মানুষটা ভালো না (আমার দিকে আঙুল তুলে), আমার জীবনটা ভালো না, এটা সরাও (কেটে রাখা পেঁয়াজের দিকে তাকিয়ে), এটার গন্ধ ভালো না। আমি ঘুমাতে চাই, আর অপেক্ষা করতে পারছিনা, ই ই ই ই ......।"
---মোখলেস হোসেন
তাই না-কি? দারূণ ব্যাপার তো। এরকম সব বাবা মা'রা হলে খুব আনন্দের ব্যাপার হতো।
রাজিব মাহমুদ
ধন্যবাদ
---মোখলেস হোসেন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ সাক্ষী সত্যানন্দ।
--মোখলেস হোসেন
গল্প ভালো লেগেছে। কিন্তু ভালো রাক্ষসটাকে ক্যাকটাসে ফেলে দিয়ে মনটা খারাপ করে দিলেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ও তো নিরামিষ খেতেই ভালবাসে। মোটা মোটা রসাল ক্যাকটাসগুলো খেতে কি মজা! ক্যাকটাসের সামান্য কাঁটা ও টের-ই পাবে না। ওর জন্য এর থেকে ভাল জায়গাই আর হয়না। কিন্তু, টরন্টোতে যে আসলে বড় বড় ক্যাকটাস নেই, তার কি হবে!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক টের পেতে পেতে অমিয়র লেজার গান তৈরি হয়ে যাবে। তারপর অইটে টিপে ওকে মানুষের সাইজে নিয়ে আসতে আর কতক্ষণ!
---মোখলেস হোসেন
ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি। যেমনটা এক লহমা বলেছেন, রামুহুয়ান্তোকরিমন্তক ভালোই থাকবে।
---মোখলস হোসেন
খুব মজার গল্প।
আমার ৭ বছরের ছেলেরও ঘুমের সময় এই আবদার। তার পছন্দ আমার ছেলেবেলার গল্প। ছেলেবেলার গল্প করতে করতে সব বলা শেষ। তবু সে নাছোড়বান্দা, আরো গল্প বলা চাই। আমি একদিন 'আর কোন গল্প বাকী নেই' বলে রেহাই পেতে চাইলে সে আমাকে পরামর্শ দিল - 'দরকার হলে তুমি বানিয়ে বানিয়ে ছেলেবেলার গল্প বলো, আমি কিছু মনে করবো না'।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী। রাতের বেলা গুটুর গুটুর করে গল্প বলার সময়টা বাবা-ছেলের একান্ত নিজের। প্রয়োজনে আমার ছেলেবেলাটা নতুন করে তৈরি করবো। যতদিন পারি বলে যাবো একটার পর একটা না ঘটে যাওয়া কাহিনী।
----মোখলেস হোসেন।
অনেকদিন পর একটা দারুণ বানানো গল্প পড়লাম। একটানা পড়ার মতন। খুব মজার!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
অনেক ধন্যবাদ তারানা_শব্দ। আপনার প্রোফাইলে গিয়ে দেখলাম লিখছেন না বহুদিন। নতুন লেখার প্রত্যাশায় থাকলাম।
---মোখলেস হোসেন
নতুন মন্তব্য করুন