এক বিষণ্ন বর্ষার সকালে আমরা কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছি বার্মার এক কারাগারের কনডেম সেলের সামনের খোলা জায়গাটায়। উঁচু পাঁচিলের উপর দিয়ে একপাশ থেকে আসছে সূর্যের মলিন হলুদ আলো। সামনের সারিবাঁধা সেলগুলো অনেকটা পশুর খাঁচার মতোই- একটা চৌকিখাট আর পানির পাত্র দিয়েই ভরে গেছে দশ ফুট বাই দশ ফুটের মেঝে। তারই কয়েকটার মধ্যে গায়ে কম্বল পেঁচিয়ে বসে আছে কয়েকজন মানুষ। এরা সবাই ফাঁসির আসামী, আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই ফাঁসি হয়ে যাবে এদের সবার।
এদের একজনকে আজ বের করে আনা হয়েছে। লোকটা হিন্দু। দেখতে ছোটখাটো, মাথাজোড়া টাক। তবে গোঁফটা দেখার মতো। ওইটুকু শরীরে অতবড় গোঁফসহ লোকটাকে দেখতে লাগে সিনেমার ভাঁড়দের মতো। ছয়জন ভারতীয় কারারক্ষী তাকে এখন নিয়ে যাবে ফাঁসিকাঠে। তাদের দুজনের হাতে বন্দুক, আগায় বেয়োনেট লাগিয়ে নিচ্ছে। বাকিদের একজন আসামীকে হাতকড়া পরিয়ে তার ভিতর দিয়ে একটা শিকল জুড়ে দিচ্ছে নিজের কোমরের বেল্টের সাথে। অন্যরা তার হাতদুটোকে চেপে ধরে রেখেছে শরীরের দুপাশে। সবাই মিলে একেবারে গায়ে গায়ে লেগে থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে লোকটাকে, অনেকটা পানি থেকে তুলে আনা জ্যান্ত মাছকে যেভাবে সাবধানে ধরে রাখে। তবে মাছের মত তড়পাচ্ছে না লোকটা, ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে রক্ষীদের সাথে।
ঠিক আটটায় দূরের ব্যারাক থেকে ভেজা বাতাসে ভেসে এল বিউগলের শব্দ। একটু দূরে দাঁড়িয়ে একটা লাঠি দিয়ে এক মনে মাটিতে কাঁকরগুলো খোঁচাচ্ছিল জেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট, শব্দ শুনে মাথা তুলল। লোকটা আগে ছিল সেনাবাহিনীর ডাক্তার, মুখে কাঁচাপাকা গোঁফ, কণ্ঠস্বর রুক্ষ। “তাড়াতাড়ি করো, ফ্রান্সিস,” বিরক্ত হয়ে বলল সে, “এতক্ষণে এর মরে ভূত হয়ে যাওয়ার কথা। তোমাদের হলো না এখনও?”
কারারক্ষীদের প্রধান ফ্রান্সিস, সাদা পোশাক আর সোনালী চশমা পরা মোটাসোটা লোকটা হাত তুলে বলল, “জি স্যার, জি স্যার, সব তৈরি। জল্লাদ অপেক্ষা করছে। চলুন এগোই।”
“চলো তাহলে, কুইক মার্চ। কাজটা শেষ হলে পরে কয়েদিদের খাবার দিতে হবে।”
আমরা এগোলাম। দুজন কারারক্ষী আসামীর পাশে পাশে যাচ্ছে, বন্দুকগুলো একটু কাত করে ধরা। আরও দুজন যাচ্ছে আসামীর হাত আর কাঁধ শক্ত করে ধরে। আর আমরা, মানে ম্যাজিস্ট্রেট আর অন্যান্যরা যাচ্ছি ওদের পিছন পিছন। দশ গজও এগোইনি, কোনও সাড়াশব্দ ছাড়াই আমাদের ছোট মিছিলটা থেমে গেল। কোত্থেকে কে জানে, একটা লোমশ বড়সড় কুকুর এসে হাজির। এসেই ঘেউ ঘেউ করে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরতে লাগল আমাদের চারপাশে। দেখে মনে হচ্ছে একসাথে এত মানুষ দেখে ফুর্তির শেষ নেই তার। কেউ ধরার আগেই হঠাৎ ওটা ছুটে গেল আসামীর দিকে, লাফ দিয়ে তার মুখ চেটে দিতে চাইছে। পুরো ঘটনায় আমরা এতই অবাক যে ওটাকে ধরতেও ভুলে গেছে সবাই।
“ওটা ভিতরে ঢুকল কী করে?” জেল সুপার বলল, “কেউ ওটাকে ধরো!”
একজন কারারক্ষী আসামীকে ছেড়ে কুকুরটার পিছনে দৌড়াল। কিন্তু কুকুরটা নেচে-কুঁদে-লাফিয়ে বারবার তার নাগালের বাইরে চলে যায়, যেন মজার খেলা পেয়েছে একটা। আরেক ইউরেশীয় কারারক্ষী একমুঠ কাঁকর তুলে ছুঁড়ে দিল ওটার দিকে, লাগল না একটাও। চারদিকের পাঁচিলে প্রতিধ্বনি তুলছে ওটার চিৎকার। আসামীটাও তাকিয়ে দেখছে ওটাকে, তবে কৌতূহল বা আগ্রহের ছিটেফোঁটা নেই তার চোখে। যেন এটাও তাকে ফাঁসি দেওয়ার প্রক্রিয়ারই একটা অংশ। শেষমেশ ওটার গলার বেল্টের সাথে আমার রুমালটা বেঁধে টেনে সরিয়ে নিয়ে এলাম, ওটা কুঁইকুঁই করছে তখনও।
আর চল্লিশ গজের মতো দূরেই ফাঁসিকাঠ। আমার ঠিক সামনেই খালি গায়ে হেঁটে যাচ্ছে আসামী। হাত বাঁধা থাকায় সে হাঁটছে এলোমেলো, কিন্তু ধীরস্থির পায়ে- ভারতীয়রা হাঁটু পুরোপুরি সোজা না করে যেভাবে হাঁটে। প্রতি পদক্ষেপে তার শরীরের পেশীগুলো নড়ছে, মাথার টিকিটা দুলে উঠছে একটু, ভেজা কাঁকরের উপর পড়ে থাকছে তার পায়ের ছাপ। দেখলাম, দুপাশ থেকে ধরে রাখার পরও মাটিতে জমে থাকা একটুখানি পানিকে পাশ কাটিয়ে গেল সে।
একজন সুস্থ, সজ্ঞান, সচেতন মানুষের জীবনটা শেষ করে দেওয়া যে কীরকম, সেটা ঠিক ওই মুহূর্তে আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল। লোকটার ওই পানিটুকু পাশ কাটিয়ে যাওয়া দেখে হঠাৎ করেই বুঝতে পারলাম, একজন মানুষের জীবনকে ঠিক মাঝপথে থামিয়ে দেওয়াটা কী বীভৎস একটা ব্যাপার। এই লোকটার মারা যাওয়ার কথা না, বেঁচে থাকারই কথা, ঠিক যেমন আমরা বেঁচে থাকব। তার শরীরটা জীবন্ত- হৃদপিণ্ডটা চলছে, পেটের ভিতর খাবার হজম হচ্ছে, পুরনো চামড়ার নিচে তৈরি হচ্ছে নতুন চামড়া, নখ আর চুল বাড়ছে- সব অর্থহীন হয়ে যাবে। ফাঁসিকাঠে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়, এমনকি ফাঁসিতে ঝুলে পড়ার মুহূর্তেও তার সব শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম চলতে থাকবে। সে যা কিছু দেখছে এখন, চারপাশের পাঁচিল, মাটিতে কাঁকর, সব তথ্য এখনও জমা হচ্ছে তার মস্তিষ্কে, সেটা এখনও সচল- মাটিতে জমে থাকা পানি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। এই যে আমরা এতজন একসাথে একই জায়গায় হাঁটছি, একই জিনিস দেখছি, শুনছি, অনুভব করছি, মাথার ভিতরে তৈরি করে নিয়েছি একই জগতের প্রতিচ্ছবি- আর দুমিনিট পরেই তাদের একজন থাকবে না। এক ঝটকায় থেমে যাবে একজনের জীবন- সাথে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তার মন, আর তার সাথে হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে একটা পুরো জগৎ!
কারাগারের মূল দালান থেকে একটু দূরে, খোলা জায়গাটার এক পাশে বসানো হয়েছে ফাঁসিকাঠ। জায়গাটা আগাছায় ভরা। তার মাঝেই একটুখানি জায়গায় তিনদিকে ইটের দেওয়াল তোলা। নিচে কাঠের তক্তা, আর উপরের কড়িকাঠের নিচেই ফাঁসির দড়ি ঝোলানো। ওখানে দাঁড়িয়ে আছে কয়েদিদের পোশাক পরা কাঁচাপাকা চুলের মাঝবয়সী জল্লাদ। আমাদের আসতে দেখে মাথা নোয়াল। ফ্রান্সিস নির্দেশ দিতেই দুজন রক্ষী আসামীকে উপরে নিয়ে গেল। জল্লাদও ফাঁসির মঞ্চে উঠে আসামীর গলায় ফাঁস পরাল।
গজ পাঁচেক দূরে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। রক্ষীরাও ফাঁসিকাঠ ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক তখনই, আসামী চিৎকার করে রামনাম করতে শুরু করল। ভয়ের চিৎকার নয়, হাহাকারও নয়, অনেকটা ঘণ্টাধ্বনির মতোই নিয়মিত ছন্দে, নির্লিপ্ত কণ্ঠে লোকটা বলে যাচ্ছে, “রাম! রাম! রাম!, রাম!” কুকুরটাও যেন যোগ দিল তার সাথে। জল্লাদ একটা কাপড়ের থলে দিয়ে তার মাথাটা ঢেকে দিল। কিন্তু তার ভিতর থেকেও একনাগাড়ে শোনা যাচ্ছে “রাম! রাম! রাম! রাম! রাম!”
জল্লাদ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নেমে এসে হাতলটা ধরে দাঁড়াল। মনে হল কয়েক মিনিট পার হয়ে গেল, কিন্তু লোকটার রামনাম চলছেই, এক মুহূর্তের জন্যও থামেনি সেটা। জেল সুপার তখনও মাথা নিচু করে মাটি খুঁচিয়েই যাচ্ছে, বোধ হয় গুনছে, পঞ্চাশবার কি একশোবার রামনাম শেষ হলেই থামিয়ে দেবে। এদিকে সবার চেহারা পালটে গেছে। ভারতীয় রক্ষীদের মুখ ফ্যাকাশে। বন্দুক ধরা দুজনের হাতে বেয়োনেটগুলো একটু কাঁপছে মনে হল। এদিকে গলায় ফাঁস আর মাথায় থলে নিয়ে লোকটা তখনও রামনাম ডেকেই যাচ্ছে, ডেকেই যাচ্ছে। প্রতিটা চিৎকারের সাথে এক সেকেন্ড করে বেশি বাঁচছে সে, আমাদের সবার মাথায় চেপে বসছে একটাই চিন্তা- ওকে এখনই ঝুলিয়ে দিয়ে এই অসহ্য চিৎকার বন্ধ করে দিচ্ছে না কেন!
হঠাৎ মাথা তুলল জেল সুপার। হাতের লাঠিটায় একটা ঝাঁকি দিয়ে “চলো!” বলে গর্জন করে উঠল সে।
একটা যান্ত্রিক আওয়াজ, তারপরই সব নিস্তব্ধ। আসামীটাকে আর দেখা যাচ্ছে না, দড়িটা টানটান হয়ে ঘুরছে ধীরে ধীরে। কুকুরটাকে ছেড়ে দিলাম। ওটা ছুটে গেল ফাঁসিকাঠের পিছনে, সেখানে থেমে ডাকল দুয়েকবার, তারপর খোলা জায়গাটার এক কোনে আগাছার মধ্যে দাঁড়িয়ে ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে রইল আমাদের দিকে। আসামীর মৃতদেহ দেখতে কাছে গেলাম আমরা, দেখলাম লোকটা ঝুলছে, পায়ের আঙুলগুলো নিচের দিকে। ঝুলন্ত শরীরটা ঘুরছে খুব ধীরে, মৃত।
সুপারিন্টেন্ডেন্ট লাঠিটা দিয়ে দেহটায় গুঁতো দিল একবার, সামান্য দুলে উঠল ওটা। “ঠিক আছে” লম্বা একটা শ্বাস ছেড়ে ওখান থেকে পিছিয়ে এল। মুখে সেই গম্ভীর ভাবটা আর নেই। হাতঘড়িটা দেখে বলল, “আটটা আট। যাক, আজ সকালের মতো কাজ শেষ, বাঁচা গেল।”
রক্ষীরা বন্দুক থেকে বেয়োনেট খুলতে খুলতে চলে গেল। কুকুরটাও গেল ওদের পিছন পিছন। আমরাও ওখান থেকে সরে কনডেম সেলগুলো পার হয়ে চলে গেলাম ভিতরের বড় উঠানে। ওখানে কয়েদিরা রক্ষীদের কাছ থেকে খাবার নিচ্ছে। লাইন দিয়ে উবু হয়ে বসে আছে সবাই, হাতে একটা করে টিনের বাটি। দুজন রক্ষী বালতি থেকে ভাত দিতে দিতে হেঁটে যাচ্ছে। ফাঁসি দেখার পর এমন একটা দৃশ্য দেখতে ভালোই লাগল। সবার মধ্যে একটা স্বস্তির ভাব। কেউ গান গাইছে গুনগুন করে, কেউ দৌড়াচ্ছে, কয়েকজন হাসছে এদিক-ওদিক।
সেই ইউরেশীয় ছেলেটা আমার পাশে পাশে হাঁটতে হাঁটতে বলছিল, “জানেন স্যার, যেদিন ও জানতে পারল ওর আপিল খারিজ হয়ে গেছে, ভয়ে ওর সেলেই হিসু করে দিয়েছিল একেবারে। … সিগারেট, স্যার? এই সিগারেটের বাক্সটা সুন্দর না, স্যার? সেদিন আড়াই টাকা দিয়ে কিনলাম। একেবারে ইউরোপিয়ান স্টাইল।”
বেশ কজন হাসল- কেন তা ওরা নিজেরাও জানে না বোধ হয়।
ফ্রান্সিস হাঁটছিল জেল সুপারের পাশাপাশি। মুখে কথার ফুলঝুরি ছুটছে তার। “ভালোয় ভালোয় মিটে গেল, তাই না স্যার? একেবারে দুম করে! সব সময় এমনটা হয় না। একবার তো ডাক্তারকে নিজে ফাঁসিকাঠের নিচে গিয়ে লাশের পা ধরে টেনেটুনে দেখতে হয়েছিল ঠিকমতো মরেছে কি না। একেবারে যা-তা অবস্থা!”
“তড়পাচ্ছিল খুব, না? আসলেই যা-তা অবস্থা!” বলল সুপার।
“হ্যাঁ স্যার, তবে এর চেয়েও বেশি ঝামেলা হয় যখন ওরা ফাঁসিকাঠে যেতেই চায় না। একজনের কথা মনে আছে, তাকে আনতে গেলে সে তার সেলের গরাদ আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়েই রইল। বিশ্বাস করবেন না স্যার, শেষে ছয়জন মিলে, তিন জনে এক একটা পা ধরে টেনে তবে তাকে ছাড়ানো গেল! কত বোঝালাম, ‘বাবারে, এত ঝামেলা করিস না, ভালোয় ভালোয় যা তো!’ তা সে কিছুতেই শুনবে না। এমন গোঁয়ার!”
খেয়াল করলাম, এসব কথা শুনে আমিও হাসছি জোরে জোরে। সবাই-ই হাসছে। এমনকি সুপারকেও হেসে ফেলতে দেখলাম। আমাকে বলল, “চলুন , বাইরে যাই। গাড়িতে একটা হুইস্কির বোতল আছে, সবাই মিলে সাবাড় করি গিয়ে।”
জেলখানার জোড়া গেট পেরিয়ে রাস্তায় বেরোলাম সবাই। “পা ধরে টানা!” বলে এক বার্মিজ ম্যাজিস্ট্রেট হাসতে শুরু করল, তার সাথে যোগ দিলাম আমরা সবাই। ঠিক ওই মুহূর্তে ওখানে দাঁড়িয়ে ফ্রান্সিসের গল্পটা হাসিরই মনে হচ্ছিল। সবাই মিলেমিশে মদ গিললাম একসাথে। আমাদের মাত্র কয়েকশো গজ দূরেই মৃতদেহটা তখনও ঝুলছে…
----------------
-উদ্দেশ্যহীন
মূল লেখাঃ A Hanging (জর্জ অরওয়েল, ১৯৩১)
মন্তব্য
আপনার নিক যে "উদ্দেশ্যহীন" সেটা চট করে বোঝা যায় না। হঠাৎ দেখলে মনে হয় উদ্দেশ্যহীন মূল লেখা ।
অজ্ঞাতবাস
হ্যাঁ, লাইন দুটো উপর-নিচ করে দিলে ভালো হতো।
চমৎকার।
..................................................................
#Banshibir.
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুবাদ পড়তে গেলে ইচ্ছে করে হাতের কাছে একটা কাঁচের গ্লাস থাকলে আছাড় মেরে ভাঙি, তাতে যদি মনটা একটু শান্ত হয়। ওই সব লেখকেরা শুধু অনুবাদই করেন। আপনি সেটা করেন নি। আপনি একটি গল্প বলেছেন, আর কী দুর্দান্ত ভাবেই না বলেছেন, উদ্দেশহীন! অনেকদিন এতো ভালো লেখা পড়িনি।
---মোখলেস হোসেন।
অনেক ধন্যবাদ মোখলেস ভাই। আপনি আরও দুর্দান্ত গল্প বলেন। আপনার লেখা দারুণ লাগে আমার!
বাহ্, সুন্দর
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ, ভাই
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ভালো লাগলো বিষণ্ন বর্ণনা আর জীবন মৃত্যুর মাঝখানে ঝুলতে ঝুলতে শেষ হয়ে যাওয়া।
শুভেচ্ছা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
গল্পটি চমৎকার। অনুবাদ ঝরঝরে। এমন লেখা পড়তে আরাম
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
উদ্দেশ্যহীন, গল্পটি সম্বন্ধে আপনার ব্যাখ্যা বা মূল্যায়ন কী? অনুবাদ অসাধারণ হয়েছে।
নতুন মন্তব্য করুন