এক।
যদি ব্যাংকারই বোঝে ডাক্তারি, আর
ডাক্তার সব খেলা।
যদি হো মো এরশাদ নিজেকেই ভাবে
নেলসন ম্যান্ডেলা।
যদি মনোবিদ বোঝে অর্থের নীতি
ইন্টারনেট ঘেঁটে।
যদি অর্থনীতির হামবড়াগুলো
খায় দর্শন বেঁটে।
যদি আমলায় রাখে গামলাতে ভরে
অধ্যাপনার জ্ঞান।
যদি মাস্টার করে মালকোঁচা মেরে
মন্ত্রিগিরির ধ্যান।
যদি জগতের রীতি এটাই হবে
ভাবনা তবে কী!
আমি দিলামই না হয় পান্তা ভাতে
একটু খানি ঘি।
দুই।
যতই বলুক হকিং
যতই করুক তাঁর ডিজিটাল
মেশিন দিয়ে টকিং
আর কি আছে বেঁচে!
কি ছাই হোলো অষ্টপ্রহর
জ্ঞানের সাগর সেঁচে?
তাইতো বলি ভায়া
যেই কটাদিন বাঁচি থাকি
ডুগডুগি বাজায়া।
লাভ কী বলো ভেবে!
এই জগতের সকল খবর,
সব আছে কেতাবে।।
মন্তব্য
ভাই কিছু বলার নাই
বৃদ্ধ কিশোর
বলতে হবে না, পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
--মোখলেস হোসেন
মজা পেলাম।সুকুমার রায় টাইপের ফ্লেভার ছিল ছড়াগুলোয়!
হা হা হা। রায় ঠাকুর্দা নয় বরং বড়ুয়াদার প্রভাব আছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---মোখলেস হোসেন
আরও আসুক, ঘি পড়ুক আরো!
নববর্ষের শুভেচ্ছা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও।
--মোখলেস হোসেন
নিশ্চয়! নিশ্চয়!
যদি ছিঃনেমা পরিচালকেরা সাপ্তাহিক পত্রিকার পুরষ্কার পেয়ে দাবি করে আন্তর্জাতিক ফেস্টিভালের জুরি পুরষ্কার পেয়েছে, কানের নামে কানকাটার মতো মিথ্যে দাবি করতে কান কাটা না যায়, তাহলে পান্তা ভাতে একটুখানি কিম্বা অনেকখানিই ঘি মিশালে দোষ কি তাতে!!!
****************************************
যা বলেছেন ভাই।
---মোখলেস হোসেন
ধন্যবাদ
--মোখলেস হোসেন
এক কালে চায়ের দোকানে, পুকুর ঘাটে, গঞ্জের হাটে বা কল তলায় যে আলোচনা হতো; অথবা এখনো সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় যে কথাগুলো হয় সেগুলোই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে চলে আসছে। অবিশেষজ্ঞদের বিশেষজ্ঞ মতামত দেবার অধিকার থাকলেও সেটা মানার বাধ্যবাধকতা কর্তৃপক্ষের থাকে না। কারণ সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের বিধিবদ্ধ পদ্ধতি আছে। তবু ধারা-উপধারার শ্বাসরোধকারী আইনী সীমার বাইরে যতটুকু নিঃশ্বাস ফেলা যায় তাতে সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা বজায় থাকুক। তাতে একশ'টা আবর্জনার ভেতরে যে একটা/দুটো কাজের জিনিস থাকে সেটা বের হয়ে আসতে পারে। শ্বাস বন্ধ করার প্রতিবাদটাও তৈরি হয়। ফেসবুক/ব্লগ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের তকমা লাগানো জার্নাল নয়। যারা আসলেই বিশেষজ্ঞদের গবেষণালব্ধ জিনিস জানতে চান তারা ফেসবুকে/ব্লগে না গিয়ে ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের তকমা লাগানো জার্নাল পড়তে পারেন।
*********
বহু মত, বহু পথ, বহু রীতি, বহু নীতি, বহু কথা, বহু কর্ম - মানতে না পারলে চোখ-কান-মুখ বন্ধ করে বদ্ধ ঘরে থাকলে বাকিরা শান্তিতে থাকতে পারবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ছোটো বেলায় একটা খেলা খেলতাম। এই সেদিনও আমার ছেলের সাথে খেলেছি। খেলার নাম, "আমি যা দেখি তুমি কি তা দেখো?"।
-আমি দেখছি একটা পাখি
- ওই যে, ওই তো! আমিও দেখেছি।
- এবার তোমার পালা।
সহজ খেলা। পাখিটা দেখা দিয়ে কথা। সে পাখি গান গায় কিনা, গাইলে তা সে কোন রাগে সেটি এখানে মুখ্য নয়। আমি পাখিটি দেখেছি।
ধন্যবাদ ষষ্ঠ পাণ্ডব।
--মোখলেস হোসেন
গল্প নেই !! পদ্যের আপনাকে পেয়েও ভালো লাগলো।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
গল্প আছে। লিখছি, কাটছি, কাটছি, লিখছি।
--- মোখলেস হোসেন
মজার।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ সুলতানা সাদিয়া। বই বের করেছেন শুনলাম। কোথায় পাওয়া যাবে? কতো তার হাদিয়া?
মোখলেস হোসেন।
অনেকদিন পর সচলে ঢুঁ মারলাম। অন্যান্যদের গুলো সহ আপনারো অনেক গল্প/লেখা দেখি জমে আছে। হাতে এই মুহুর্তে সময় কম। তাই আপনার "আগডুম বাগডুম" ছড়া পড়ে আপাততঃ খ্যান্ত দিলাম। সময় নিয়ে গল্পগুলো পড়া যাবে। ভালো লেগেছে আপনার ছড়া দুটো। উপন্যাস, গল্প, ছড়া সব মিলে বেশ একটা সব্যসাচী ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। অভিনন্দন।
-ইকরাম ফরিদ চৌধুরী।
ধন্যবাদ ইক্রাম ফরিদ চৌধুরী। আসলে একঘেয়েমি কাটানোর জন্য লেখা। মন যখন যা চায় আর কি।
---মোখলেস হোসেন
নতুন মন্তব্য করুন