মম গৃহে পালিত সে
রহস্যময় কুয়ান্টাম কাজের
ছেলে।
সারাদিন সে কি করে, কি খায়, বেড়ায় না ঘুমায়, আমি কুন খবর রাখি না।
শুধু জানি রাত্তির ঘনালে
টিভি-ফেসবুক সব বন্দো করে আমি ও আমার পত্নী প্রাণপ্রিয়া হোসনে আরা
যখন মশারি
চারখানি অসমান রশির নির্মম জট ফরমুলা ছাড়িয়ে টাঙ্গিয়ে পড়ি শুয়ে
কুয়ান্টাম কাজের ছেলে সব দ্বিধা দুর করে আচম্বিত ফুঁয়ে
দুদ্দাড় দউড়িয়ে সে অন করে মম লেপ্টপ
খুলে ফেলে সকল পাসওয়ার্ড
ঢুকে পড়ে আমার ফেসবুকে
আর ফর্সা ও কিঞ্চিৎ মাংসল রমনী আছেন যারা আমার ফ্রেন্ড
লিষ্টে
কেবল ফর্সা মুটা নন তারা, একই সাথে ভীশন বিদুষী
কুয়ান্টাম কাজের ছোকরা তাদের মেসেজ করে, চুনিয়া মুনিয়া তুমরা এইবার তবে মোরে দেহাউ তব পুশি।
জানি না কেন এ ছোড়া গ্রাম ফেলে এসেছে শহরে
গ্রামে কি বিলাই কিছু খুলা আকাশের তলে আজকাল ঘুরেঘারে না?
কেন সে কার্নিশে যত হুলুগুলু আছে তাগোরে কদাপি পুছে না
শুধু রাত্র সাড়ে বারোটায় তার বিলাইয়ের সন্ধানে ঢুকতে হয় মম ফেসবুকে
আর বান্ধবীরা শুধু ভুল বুঝে।
সকাল ঘনালে যবে জাগ্রত হোসনে আরা কাউকাউ করে
বলে মিনশে এইবার রুটিভাজি খেয়ে
তবে বেড়িয়ে পড় তব কাজে
তখন ফেসবুক খুলে হাই তুলে দেখি যত ফর্সা-মুটা বান্ধবীরা করে রাগারাগি
কেউ বলে খেলায়েত ভাই
চামড়া দিয়া চপ্পল বানাই
কেউ দেয় তার পোষ্য বিড়ালের শতেক ক্লোজাপ।
কেউ দেয় অভিশাপ।
কেউ কেউ কেন্দে বলে হোসনে আরা আপাকে সব কয়ে দেব অসভ্য ইতর ইবলিস হদ্দাফাক।
আমি হতবাক।
কিন্তু দুয়ে দুয়ে মিলে যায় চার
আতিপাতি করে খুজি কুথায় গেল সে কুয়ান্টাম কাজের ছেলে, সব দুষ যার
পাই না।
সে একই সাথে কনা ও তরঙ্গ
সকালে সে রনে দেয় ভঙ্গ
উবে যায় তার পুশিকৌতুহল সঙ্গে লয়ে, কে জানে কুথায়
কুয়ান্টাম কাজের ছেলেরা এ জগতে ভোর হলে যেখানে লীলায়
সেখানে গিয়েই হয়তো সে অন্য অন্য কুয়ান্টাম কাজের ছোকরার সাথে
বসে তার হিসাব মিলায়
কে রাখে সে খুঁজ?
নারী তুমি বড়ই অবুঝ।
------------------------------
নামঃ খেলায়েত
পেশাঃ কবি
মন্তব্য
মেলা যন্ত্রণার একটা দিনে অনেকক্ষণ হাসাইলেন। আমি জানি এই লেখাটা আমি ফিরে ফিরে এসে পড়ব!
ব্লগের সেই দিন নেই আর। তবু আপনি অনেক লিখবেন সেই আশা রইল।
সচলায়তনে স্বগতম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনাকেও সচলায়তনে স্বাগতম। আপনিও কি পেশাদার কবি? আসেন একজন আরেকজনকে লাইক দেই।
পিষে ফেল খেলায়েত!
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাসতে হাসতে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো। পুরনো ব্লগ দিনের স্মৃতি মনে পড়ল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমারো পুরনো ব্লগ দিনের কথা মনে পড়ল এই লেখাটা পড়ে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমারও।
চরম উদাস ভাই আপনি এখনো আছেন?
ছিলাম না। এই লেখার কারণে ফিরে আসলাম। এরকম লেখা আবার নতুন করে লেখালেখি শুরু করার অনুপ্রেরণা জাগায়
কবিতা মারাত্মক
অফটপিক: @ চরম উদাস, ফিরে আসেন।
কি কি করলে আপনে আসবেন,বলেন।
নাইলে একটা লেখা নামায়ে ফেলি:
How to: কিভাবে চরম উদাসের থেকে লেখা বাইর করবেন?
"উদাস ভাইয়া আর লেখে না, আমার কিচ্ছু ভালো লাগে না। মিসিং ইয়ু !"
আরও অনেক কিছু মাথায় আছে, কিন্তু এলিমেন্ট অভ সারপ্রাইজ-টা থাকুক।
শুভেচ্ছা
হা হা হা। ক্লাসের ব্রেকে পড়লাম। ফিরে এসে অর্থনীতির তত্ত্ব ছাপিয়ে কেবল কোয়ান্টাম তত্ত্বই ভর করছিলো মাথায়।আলোচ্য রচনার প্রধান চরিত্র আমার পছন্দের মানুষদের একজন। কিন্তু শ্রোয়েডিঙ্গারের বাক্স খোলার পর দেখতে পাচ্ছি বেড়াল মরে গিয়েছে অনেক আগেই।
----মোখলেস হোসেন
আগের লেখায় পাঁচে পাঁচ দিছি এইবার দশে দশ। পরের লেখায় একশতে একশ দিবার অপেক্ষায় লুঙ্গিতে গিঁট দিয়া বসলাম।
..................................................................
#Banshibir.
আগের লেখার লিংক দেন। প্রতিটা লাইন কোট করার মতো। তবে নিচের দুই লাইনের তুলনা নাই:
কুয়ান্টাম কাজের ছেলেরা এ জগতে ভোর হলে যেখানে লীলায়
সেখানে গিয়েই হয়তো সে অন্য অন্য কুয়ান্টাম কাজের ছোকরার সাথে
বসে তার হিসাব মিলায়
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ওহ গুগুল করে পাইলাম। আহা!
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ফাটাফাটি!
****************************************
"খেলায়েতের কুয়ান্টাম ঘুড়া" এর পরের পর্বে।
অনেক দিন পরে একটা লেখা পড়ে ঠাঠা করে হাসলাম। খেলায়েতের খেলা চলুক।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
নাহ, খেলায়েত ভাইয়ের আসলে কোন জুড়ি নাই। কি এক লেখা দিলেন ভাইডি, একদম সচলের বাঘা বাঘা-দের কমেন্ট এসে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে গেল।
এই প্যারা-খানার তুলনা নাই। ^:)^
অন্তরা রহমান
হে কুয়ান্টাম মডু, হদ্দাফাকের ইমোটিকন এখন সুমায়ের দাবী।
(প্রচারেঃ কবি খেলায়েত সংগ্রাম পরিষদ)
..................................................................
#Banshibir.
কবিতা পড়তে পড়তে কখনো মনে পড়ে দলছুট অথবা সবুজ ইয়ের কথা। কী ভাষায়, কী বানানে, কী শব্দ চয়নে, কী উপমায়! এমন কবিতায় দিয়েও মন ভরে না!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লে ঘিরে লে!
facebook
এইটা কিতা? মানিগুনি লুকদের নিয়া কিতা চলতেছে এইসব। পতিবাদ জানায়া গ্লাম
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হা হা হা দারুণ !!!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
ভালো লাগলো
লাইক দিয়ে পাশে আছি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আহা, "একই সাথে কনা ও তরঙ্গ" কুয়ান্টাম কাজের ছেলেটাকে কি আর পাওয়া গেলোনা!
নতুন মন্তব্য করুন