রাতের আঁধারে
হোসনে আরা মারে
হাইহুঁই ধুপধাপ।
ঘুমের আড়ালে
স্বপ্নের ময়দানে সে খেলে ফুটবল
বাস্তবের খাটে সে উল্টিপাল্টি খায় ঘনঘন তাহার মালিকানাধীন
কোলবালিশদুটি লয়ে
পাশে শুয়ে পেশাদার কবি আমি খেলায়েত খাঁ
টের পাই স্বপ্নেও হোসনে আরা প্রতিপক্ষের পায়ে পা পেচিয়ে অযথা
ল্যাং মারে সুদক্ষ ল্যাংচু হেন
সম্ভবত হলুদ কার্ডও পায়, কারণ বিবির হাসি-হাসি
বদনখানি মলিন হয়ে আসে ঘনঘন
স্বপ্নের ফুটবলে কে জানে কয়খানা হলদি মিলে শেষমেশ লাল হয়
বাস্তব সংসারে যেমন আমি হোসনে বিবিকে রোজই চারটি-পাচটি হলদি গছাই
মনে মনে
কিন্তু কথা সেটা নয়।
খেলার হকিকত বুঝতে আমি যেই না উহার আরেকটু নিকট ঘেঁষে
গেলারির সীমান্ত প্রদেশে শুয়ে নিবিড় নজর রাখতে গেনু
অমনি হোসনে বিবি শাকিরার মত কিলবিলিয়া আচমকা গদাম
লাথি হেনে চিক্কুরিয়া উঠে বলে দিলাম দিলাম
গোল গোল গোল
আমি সাবিনা আক্তার
অসহায় আমি
অজ্ঞান হয়ে যাই যেন
নিরিবিলি প্রসারিয়া হাত খোঁজ লই মম মিনি-মির।
একটি ত্যাজ্যপুত্র রাইনোসারস এসে গাছে উঠে যেন
ভর্তা করে দিয়ে গেল কাকের বাসার দুটি ডিম
সহোদরহারা হয়ে পড়ে রইল কাকের ছানাটি মোর।
কিংবা যেন মহাকাশ হতে একটি বেয়াদব উল্কাপিণ্ড
ঠুয়া দিয়ে চুরমার করে দিল বাঁয়া-তবলা
উহাদের মাঝে পড়ে রইলেন অভিমানী জাকির হোসেন।
যেন অকস্মাৎ ছাদ হতে টব পড়ে চেপ্টা হয়ে পড়ে রইল গুপী গাইন বাঘা বাইন
মাঝখানে বিস্ময়াহত ভূতের রাজাটি।
যেন উইলিয়াম ও হেরি রাজনাতি হুপিং কাশির চোটে শয্যা নিল দুটি খাটে
মধ্যখানে ফল্ডিং চেয়ারে বসে চার্লস।
কাঁথা দিয়ে অশ্রু মুছে অপর হস্তে কুনমতে
মাথার বালিশখানি টানিয়া বাঁচাই যাহা কিছু রইল পুঁজি
হোসনে আরা গোল দিয়া আরও যেন উৎসাহ পায়
সারাটি বিছানা জুড়ে রাতভর দাপাদাপি করে
কেন মোর নয়নের মণি এই দানবীটি
স্বপ্নে কুন ভদ্র খেলা, যেমন দাবা বা লুডু, না খেলিয়া খেলে ফুটবল?
দেট ইজ দি কুয়েশ্চন।
এভাবেই কেটে যায় পেশাদার কবিটির রাত; কাঁদিলাম খেলায়েত খান।
খাটের দুর্গম প্রান্তে কুনমতে
বালিশের অন্তরালে একা শুয়ে গাহিলাম যৌবনের বেদনার
জ্ঞান।
==============
নামঃ খেলায়েত
পেশাঃ কবি
মন্তব্য
পেশাদার কবি খেলায়েতকে হাচলত্ব প্রদান করা হউক জীবনের প্রয়োজনে...যেন তিনি কবিতা রেস্ট্রিক্ট করে প্রকাশ করতে পারেন আর কুনো এক অশুভ সকালে হোসনে আরা সচলে চোখ বুলিয়ে কিছু ধরতে না পারে। পাষান মডু নজর দাউ।
(প্রচারেঃ কবি খেলায়েত সংগ্রাম পরিষদ)
..................................................................
#Banshibir.
ঐ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এমন ঘটমা যে ঘটতে পারে সেই সন্দো আমি আগের কবিতাতে প্রকাশ করেছিনু। কবি নিজের ভাবের খেয়ালে এই প্রকার কবিতা লিখে যেতে থাকলে আর মডুরা রেস্ট্রিকশনের সুবিধা না দিলে ভবিষ্যতে পুঁজিপাটার ভান্ডারে সোনাদানা কিছুই থাকবে না গো!
---------------------------------------------
কোন কারণ নাই, তবু এই কবিতাটি মনে পড়লো -
"আমার জীবনে নাই কেন কোন ড্রামা
তাই দিব আমি কার্পাস ক্ষেতে হামা
আমার জীবনে নাই কেন কোন ড্রিম
টিকটিকি আমি, পোকা খাই, পাড়ি ডিম
আমার মরণে হয় না তো হেডলাইন
প্রাসাদ গাত্রে মুতিয়া ভাঙ্গিব আইন
আমার মরণে কাঁদিবে না কোন মেনি
লেডি ক্যানিং-এর নাম থেকে লেডিকেনি
এক পা স্বর্গে, এক পা নরকে, ঝোলা
একটি কামান, দুটি কামানের গোলা
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি এ ব্লগে নাগরিকত্ব চাই। পাশাপাশি বেকারত্ব ভাতা ও মাঝে মাঝে পঙ্গুত্ব ভাতাও দাবী করছি। তাছাড়া বিপদে আপদে এ ব্লগের নারীদের যেন কাছে পাই।
খেলায়েত তুলনাহীন। অবশ্য তাঁর অন্য একটি লেখার মন্তব্যে দেখলাম ষষ্ঠ পাণ্ডব প্রসঙ্গক্রমে আরও দুজনের কথা বলেছেন, 'দলছুট' এবং 'সবুজ ইয়ে'। এদের পরিচয় কী? লেখা পড়তে আগ্রহ হচ্ছে। বিস্তারিত জানালে বড় খুশি হই।
---মোখলেস হোসেন
তারাও কি পেশাদার কবি?
ক্রমাগত হোসনে আরার দোষ্কীর্তন
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনি কুন দল?
নতুন মন্তব্য করুন