কবি হিসাবে আমার অপরাধ আমি জুনের সতারো তারিখে
আনমনে লিখেছিলাম একটি কবিতা। তাতে
ছিল না কুন পরনারীর প্রতি লালসা
ছিল না কুন নাইকা-মডেলের প্রতি মিষ্টি বচন
আমি শুধু হৃদয়ের সকল মধু ঢালিয়া খাতার পাতে রচেছিনু সুদুর আগ্নেয় দ্বীপ আইসলেন্ডের
প্রশস্তি। লিখেছিনু, হে বরফের মাঝে আগ্নেয়গিরি খচিত কাচা মাছের গন্ধে ভরা আইসলেন্ড
তুমি কি খাও?
কেন তুমার সন্তানদের পায়ে এমন মধুর জোর
কিভাবে তারা পারে জালেমের জালে বল জ্বালাইতে?
একটি বেবহৃত খামের উল্টা পিঠে এ কাব্য রচে সাত সকালে পিশাব করতে চলে যাই সেই কালপ্রভাতে।
টয়লেট হতে সুখী মানে ফিরিয়া আসিনু হাসিখুশি
বাতাসে তখনই যেন পাই সংঘাত-রক্ত-বারুদের গন্ধ
দেখি বিছানার পাশে চেস্টের উপরে রাখা খামটি যেন কিঞ্চিৎ দলিতমথিত
আর পাকঘর হতে ভেসে আসে প্রলয়ঙ্কর তরকারি কুটার শব্দ।
কিন্তু পাত্তা না দিয়া চলে যাই কবিতার দমকলে।
জুনের বাইশ তারিখ সকাল সকাল আবারও আমার মনে ভূগোলের প্রতি প্রেম দেয় ঘাই।
আরেকটি খাম এর মধ্যে কুথা হতে যেন আসিয়াছে তার উল্টা পিঠে লিখি
ক্রোয়েশিয়ার প্রতি প্রণয়কাব্য। হে ক্রোয়েশিয়া,
শুধু ক্রোয়েশিয়ান করেই রাখনি তুমার সন্তানেরে বরং করিয়াছ মানুষ
নাহলে তারা কি করে এইরূপ
সুরের আগুন লাগিয়ে দিল মোর প্রাণে? এ কি ফুটবল নাকি তানসেনের সেতারের তিন তারে বিলাবল প্যাঁওপ্যাঁও
যেন ভেপসা গরমের মাঝে যেন তিন তিনটি আইসক্রিমের গাড়ি মাগনা মাগনা আইসক্রিম
যেন এটিএমের সামনে দাড়ান তিনটি তরুনী খিলখিল হেসে বলল ভাইয়া আপনি আগে যান
বুঝিতে নারি লো।
কিন্তু এইবার পিশাব সেরে টয়লেট হতে আর বের হওয়ার সাহস পাই না
যখন দেখি যে ছিল আমার স্বপনচারিনী পত্নী হোসনে আরা
খামখানি দাতে কুটি কুটি করিয়া ছিড়িয়া ছত্রখান আর হাতে একটি ঝাড়ু ও একটি খন্তা যথাক্রমে
কিন্তু টয়লেটের দরজার ছিটকানি চুতমারানি বাড়িওলা ঠিকমত লাগায় নাই
আগেও উহা লয়ে পশুটি বরাবর করিয়াছিলেম কমপ্লেন। সে শুধু মিটিমিটি
হেসে বলেছিল টোনাটুনির সংসারে ছিটকানির
জরুরতই বা কেয়া হেয়?
এভাবেই সমাজের খুটিনাটি কারিগরি খুতের কারনে
আগামীকাল আসমানী সাদা বেন্ডেজ ইতস্তত
ধারন করিয়া অঙ্গে প্রাণপণে গোপন করিব
নাইজেরিয়ার প্রতি মোর ভৌগোলিক
ভালবাসা।
===========
নামঃ খেলায়েত
পেশাঃ কবি।
মন্তব্য
পেশাদার কবি খেলায়েত কে সচলের সদস্য পদ দেবার দাবী জানাই
আমাকে একবারে সচলায়তনের এডমিন পদ দেওয়ার দাবী জানাই। নির্যাতিত নিপিড়িত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসাবে আমি এ পদে ভাল করব। কথা দিচ্ছি ঘুষ খেয়ে কুন পুরুষ কবিকে সচলে ঢুকাব না।
হা ঈশ্বর!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঈশ্বরের হা
আহা! কী অসাধারণ বিলাবল প্যাঁও প্যাঁও!
---মোখলেস হোসেন
পৈশাচিক ।
মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
========================
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি
****************************************
খেলায়েত নামে যেন নুরু মুন্সি নুরু মুন্সি গন্ধ!
দেখান, নাইজেরিয়ার প্রতি আরও ভালোবাসা দেখান। হোসনে বিবি বত্রিশ দাঁত বের করে হাসতে হাসতে আপনাকে সান্ত্বনা দেবে; ঝাড়ু-খুন্তি ছাড়াই আদর করে তেলছাড়া পরোটা ইজিকল্টু রুটি আর ডিম্পোচ বানিয়ে খাওয়াবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কথায় বলে ফিক্স দ্য রুফ হোয়াইল সান ইজ শাইনিং। সেকেন্ড রাউন্ডের আগেই চুতমারানি বাড়িওলারে দিয়ে ছিটকিনি সারায় ফেলেন খেলায়েত সা'ব, কেননা আরও দিন আছে। এই দিন দিন না। কিছু একটা হয়ে গেলে পরে কবি খেলায়েতের বিলাবল প্যাঁওপ্যাঁও পাব আর কুথায়।
..................................................................
#Banshibir.
কবির কি পেশায় মন্দা যায়? সুইসাইড করার জন্যই মনে হয় হোসনে হারারে খ্যাপানোর জন্য ভূগোলের কবিতা লিখে যাচ্ছেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হোসনে আরার কিলে কি এখন জোর নাই?
নতুন মন্তব্য করুন