সেই গ্রামে বাস করতো এক ধনী রুটিওয়ালা। কেন পাখি এসে তার রুটির দোকানের সামনে বসলো, কিভাবে আরেকটা পাজি পাখি রুটি চুরি করে নিয়ে গেল এমন অনেক কষ্টে প্রায় সময়ই তার মন থাকে দারুন বেজার। দোকানের পাশেই থাকতো এক গরীব লোক। কাজ নেই, বাড়ি নেই, পরিবার নেই। হাতে টাকা বলতে আছে জমানো কটা পয়সা। লোকটা বেশ ভদ্র, হাসি খুশী স্বভাবের। এজন্য সবাই ওকে পছন্দ করে। উদার মনের গ্রামবাসী এটা ওটা খাবার এনে দেয়, তাই খেয়েই কোনমতে ওর দিন চলে যায়।
নারাই নদীর পাশ দিয়ে চলে যাওয়া বড় পাথরের রাস্তাটা যেখান থেকে শুরু হয়েছে সেখানেই ছিল সেই রুটিওয়ালার দোকান। গ্রামের দিকে যাবার সময় গরীব লোকটা প্রতিদিনই দোকানের সামনে খানিক্ষন দাঁড়ায়। খোলা জানালা দিয়ে রোজ ওর নাকে এসে লাগে মজার মজার সুস্বাদু খাবারের গন্ধ আর প্রানটা যেন জুড়িয়ে যায়।
সোমবার গুলোতে ও পায় ঘরে বানানো আপেল পাইয়ের সৌরভ, মঙ্গল বারে মিষ্টি ডোনাটের জিভে জল আনা সুবাস, বুধবারে মসলাদার মাংসের চপ, বৃহস্পতিবারে দারুচিনি দেয়া লোভনীয় বিস্কিটের মিষ্টি গন্ধ, শুক্রবারে পায় ঘন চকলেট কেকের রসাল ঘ্রান, আর শনিবার গুলোতে ও পায় ঘরে সেঁকা নরম রুটির কি যে এক চমৎকার সৌরভ!
“আহ!” ঘ্রান নিতে নিতে ভাবে সে, “টাকা নেই তাতে কি, খাবারের এতো মজার গন্ধ পাচ্ছি, এই বা কম কিসে।” ঘ্রান নেয় আর কল্পনা করে যেন রাজভোজ করছে।
রোজ এভাবে ঘ্রান নিতে নিতে একদিন সে রুটির দোকানীর কাছে ধরা পড়ে গেল। দোকানী বেরিয়ে দেখে, লোকটা তার নিজ হাতে বানানো কষ্টের ফসল সব খাবারের গন্ধ নিচ্ছে আর ভীষণ মজা পাচ্ছে।
“অ্যাই, এখানে কি? আমি আরো ভাবলাম পাখী টাখী কিনা, এ দেখি জলজ্যান্ত মানুষ! তুমি আমার খাবারের গন্ধ চুরি করছ!”
“কি বললেন?” ভয় পেয়ে বলে উঠল লোকটা। “গন্ধ চুরি করছি… … এ কি উদ্ভট কথা! লোকে যা ইচ্ছে তাই গন্ধ নিতে পারে। গন্ধ তো গন্ধই!"
"দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা," বলল দোকানী। "এই কে আছো, পুলিশ ডাকো …পুলিশ ডাকো, এই লোকটা আমার দোকান থেকে গন্ধ চুরি করছিলো!"
কিন্তু কেউই পুলিশ ডাকলোনা। দোকানী তখন রেগে মেগে দৌড়ে গেল উকার আদালতে। উকা ছিলেন সেখানকার নগর রাজ, বিচার কাজেও তিনি বিখ্যাত। সবার অভিযোগ উকা খুব মন দিয়ে শুনতেন আর কাউকে আশাহত করতেননা। তাই তিনি অনেক জনপ্রিয়ও ছিলেন। কত জায়গা থেকে যে কত আজব আর জটিল সব নালিশ আসতো। তবে উকার অভিযোগের খাতায় সবচেয়ে আজব অভিযোগটা ছিল কিন্তু ঐ রুটিওয়ালার টা।
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছঃ সেই "বিখ্যাত গন্ধ চুরির কেস।"
যে শুনলো সেই হাসলো। “গন্ধ চুরি! গন্ধ আবার চুরি হয় কি করে!” সবাই হাসে আর ভাবে উকা হয়তো এখনি লোকটাকে বের করে দেবে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে উকা রুটি ওয়ালার কেসটাও লিখে নিতে বলল। সবাইকে সে বোঝালো, “দ্যাখো..., নগরের সবার জন্যই আদালতের সময় বরাদ্দ আছে। এই রুটির দোকানী লোকটার নিশ্চয়ই ততটাই মনে হয়েছে যে কেউ একজন তার খাবারের গন্ধ কেউ চুরি করছে, যতটা মনে হলে সে এই আদালত পর্যন্ত আসতে পেরেছে। নগর প্রধান হিসেবে আমার কি উচিৎ, বলো? আমার উচিৎ বেচারার বক্তব্য শোনা এবং ওকে ন্যায্য বিচারটা দেয়া।”
এরপর রুটির দোকানীর কথা সবটা শুনে উকার আদালত গরীব লোকটাকে তলব করলো।
চিঠি পেয়ে ভীষন মন খারাপ হলো হতভাগার।
বিচারের দিন নির্ধারিত সময়ে লোকে আদালতে উপস্থিত হতে শুরু করলো। রুটির দোকানী আর গরীর লোকটাকে মুখোমুখি কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো। বিচারক উকা এসে আসন গ্রহন করলেন। একে একে দু জনের দিকে তাকালেন। বললেন, “তো, শুরু করা যাক?”
রাগে অন্ধ দোকানী বলতে শুরু করল, “এই লোকটা, মহামান্য আদালত, এই লোকটা আমার জিনিস চুরি করে আসছে।”
“আচ্ছা...!” বললেন বিচারক। “কি জিনিস চুরি করছে সে?”
“প্রতিদিন এই লোকটা আমার দোকানের সামনে আসে, মহামান্য আদালত,” বলল দোকানী। “আমার নিজ হাতে তৈরি খাবার, এখনো পর্যন্ত কোনোদিন টাকা দিয়ে কিছু কেনেনি এ, অথচ সেগুলোর থেকে ও খুব মজা নিচ্ছে!”
“কি ভয়ঙ্কর কথা,” বললেন বিচারক। “তার মানে ও আপনার দোকান থেকে খাবার চুরি করছে!”
“না, ঠিক তা নয় হুজুর,” বলল দোকানী। “ও আসলে দোকানের ভেতরে কখনো ঢোকেওনি।”
“ঠিক বুঝলামনা, তাহলে চুরি টা হচ্ছে কিভাবে?”
“ইয়ে, ব্যাপারটা হয়েছে কি হুজুর, এই লোকটা আমার দোকানের খাবারের গন্ধ নেয়, কিন্তু কোনো টাকা দেয়না।”
“ও এতক্ষনে বুঝলাম, আপনার দোকানের খাবার থেকে ও সুবাস নেয় অথচ তার জন্য একপয়সাও পরিশোধ করেনা!”
“জ্বি জ্বি, ঠিক বলেছেন মহামান্য আদালত, একদম ঠিক বলেছেন,” সায় দিল দোকানী।
বিচারক উকা এবার গরীব লোকটার দিকে তাকালেন, কঠোর গলায় জানতে চাইলেন, “কি? ঘটনা সত্যি? সত্যি হলে তোমাকে গন্ধ চুরির দায়ে অভিযুক্ত করা হবে, নিজের জন্য কিছু বলার আছে তোমার?”
“মহামান্য আদালত,” কাঁদো কাঁদো গলায় বলল অভিযুক্ত ব্যক্তি, “কথা সত্যি। আমি প্রতিদিন ওনার দোকানের সামনে দাঁড়াই। দোকানটা থেকে খাবারের যে অসম্ভব সুন্দর গন্ধ আসে, সেটা কিছুক্ষনের জন্য হলেও আমার জীবনের কষ্টগুলো ভুলিয়ে দেয়। অন্তত মুহূর্তের জন্যে আমি স্বপ্ন দেখি মজার সব খাবার খাচ্ছি। আমি তো জানতামই না যে এটা একটা অন্যায় কাজ, মহামান্য আদালত!”
“তাই নাকি!” বললেন উকা। “কিন্তু জানতেনা বললে তো হবেনা। আইন কানুন জানতেনা, এটা বলে পার পাবে মনে করেছ?”
রুটির দোকানী বিচারকের কথায় সন্তুষ্ট হয়ে মাথা নাড়ল।
অপরাধীর দিকে ফিরে বললেন উকা, "দোকানীর এত বড় ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আদালত তোমাকে একদিন সময় দিচ্ছে। বাড়ি গিয়ে তোমার সব জমানো টাকা নিয়ে কাল সকালে এখানে উপস্থিত হবে," বলে বিচার সেদিনের মতো শেষ করলেন।
নিঃসহায় লোকটা বাড়ি ফিরল। ওর কাঠের ছোট্ট বাক্সটা খুলে দেখে জমানো বলতে আছে কেবল পাঁচটা সোনার মুদ্রা, সবে ধন নীলমণি। কিন্তু আদালতের কথা যে না শুনলেই নয়।
পরদিন পয়সা গুলো ছোট্ট একটা পুঁটলিতে ভরে সময়মত আদালতে পৌঁছে গেল ও। গিয়ে দেখে, দোকানীও এসেছে।
বিচারক উকা ওর হাত থেকে পুঁটলি টা নিয়ে নিলেন, দোকানীর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, "কই, এদিকে আসুন।"
তড়িঘড়ি করে এগিয়ে গেল দোকানী।
উকা পয়সার পুঁটলি তার সামনে ধরে জোরে জোরে ঝাঁকাতে লাগলেন। জিজ্ঞেস করলেন, “কি, কিছু শুনছেন?”
দোকানী খুশিতে ডগমগ। বলল, “জ্বি হুজুর, সোনার মুদ্রা মনে হচ্ছে!”
“তাহলে এই ‘শব্দ’ গুলো আপনি নিয়ে নিন, আপনার দোকান থেকে চুরি হওয়া ‘গন্ধ’র বিনিময়ে।”
নগরবাসীর কাছে আগে উকা পরিচিত ছিলেন ‘বিখ্যাত’ আর ‘জনপ্রিয়’ বিচারক হিসেবে। এই ‘গন্ধ চুরি’র কেসটার পর সবাই উকা কে সব থেকে ‘জ্ঞানী’ বিচারক হিসেবেও জানল।
[জাপানে এডো যুগের মাঝামাঝি সময়ের ন্যায় বিচারক উকা ট্যাডাস্যুক এর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দূর থেকে বহুদূরে। তাঁর জনপ্রিয়তা, বিচক্ষণতা, ন্যায়পরায়ণতা দেশ, কালের সীমা পেরিয়ে তাকে করে তুলেছে কিংবদন্তী। ‘সলোমনের মত বিচক্ষণ’ বলে খ্যাত সেই উকা কে নিয়ে রচিত হয়েছে এশিয়া, ইউরোপ সহ উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অনেক লোককথা, নাটক ও নৈতিক কাহিনী। মূল গল্পঃ উকা কে নিয়ে লেখা আই.জি. এডমন্ডস্ এর ‘কেস অব দ্য মার্বল মন্সটার অ্যান্ড আদার স্টোরিস’। বাংলা করলাম মিচ ওয়াইস ও মার্থা হ্যামিল্টন এর গল্প কথন এবং মেরিলিন কিনসেলা’র ‘দ্য থেফ্ট অব স্মেল’ এর সাহায্য নিয়ে।]
/justify][/justify]
জে এফ নুশান
মন্তব্য
আপনার প্রথম অনুবাদটির তুলনায় এই লেখাটি খানিকটা দুর্বল। গল্পটিও বাঙালি পাঠকদের জন্য নতুন নয়। সম্ভবত নাসিরুদ্দিন হোজ্জা অথবা বীরবলের গল্পে এ কাহিনীটি আমরা অনেকেই পড়েছি। আপনার জন্য কাজটি তাই বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিলো। অনেকটা নতুন বোতলে পুরনো মদ পরিবেশনের মতো। এক্ষেত্রে বোতলটা আরও যত্ন নিয়ে বানাতে পারতেন। সেই ক্ষমতা যে আপনার রয়েছে তার প্রমাণ আপনি রেখেছেন আগের গল্পটিতে। আপনার বর্ণনার শক্তি ঈর্ষা জাগায়। এই গল্পে তার পুরোপুরি ব্যাবহার করেছেন বলে আমার মনে হয়নি। শুরুটা অবশ্য দারুণ ছিলো।
লিখতে গেলে আমি মাঝে মাঝেই একটা সমস্যায় পড়ি। কালবাচক (শব্দটা ঠিক কিনা জানিনা) শব্দের ব্যাবহার নিয়ে। এই যেমন ধরুন, 'এক দেশে ছিলো এক রাজা। সেই রাজার রয়েছে তিন রাণী'। প্রথম অংশটায় অতীতের কথা বলছি, কিন্তু পরের বাক্যেই আবার চলে এলাম বর্তমানে। কেমন যেন কানে লাগে। কিন্তু যদি বলি, 'এক দেশে ছিলো এক রাজা। সেই রাজার তিন রাণী', তাহলে আর কানে লাগে না। আপনার লেখায়ও এই সমস্যাটি (যদি এটিকে সমস্যা বলতে চান) লক্ষ্য করলাম।
সে যাই হোক নুশান, আপনার লেখা আমি অনুসরণ করছি। একটা শক্তি রয়েছে আপনার। আশা করি আরও লিখবেন।
---মোখলেস হোসেন।
ধন্যবাদ মোখলেস হোসেন। হোক না একেকটা বর্ণনা একেক রকম। নইলে আপনার মন্তব্য পাব কি ভাবে? এরকম মন্তব্য আমার চিন্তা ও শব্দ ভান্ডার কে শানিত করে।
--জে এফ নুশান
- এই বয়ানটি কার, আপনার? ওকা তাদাস্যুকে (১৬৭৭ - ১৭৫২)-কে নিয়ে কিছু গল্প (জাপানে), কিছু টিভি সিরিজ (তাও জাপানে), কিছু ইংলিশ বই (তাও জাপানীদের উদ্যোগে), কিছু গোয়েন্দা গল্প (একেবারে ইদানীংকালে) হয়েছে বটে কিন্তু আপনি যেমন বললেন তেমন "এশিয়া, ইউরোপ সহ উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অনেক লোককথা, নাটক ও নৈতিক কাহিনী" নির্মিত হবার কোন উদাহরণ তো দেখতে পাচ্ছি না। আপনি কি উদাহরণ দিতে পারেন? উপরে মোখলেস হোসেন যেমন নাসিরুদ্দীন হোজ্জার গল্পের কথা বললেন তেমন এই গল্পটি ওকা তাদাস্যুকে'র জন্মের আগে থেকে দুনিয়ার নানা জায়গায় নানা ফর্মে প্রচলিত আছে। তাছাড়া ওকা'র জন্মের আগে থেকে তার মৃত্যুর একশ' বছর পর পর্যন্ত জাপান বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। তাহলে ওকা'র কাহিনী বাকি দুনিয়ার লোককথায় কখন এবং কী করে জায়গা করলো?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পড়ার ও মন্তব্যের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ ষষ্ঠ পাণ্ডব। ‘A History of the Japanese People - From the Earliest Times to the End of the Meiji Era’ নামের একটা প্রবন্ধে ওকা তাদাস্যুক কে ‘সলোমন অব জাপান’ নামে আখ্যা দিতে দেখেছিলাম।
ওকার গল্প নিয়ে জাপানী উদ্যোগের ইংলিশ বই প্রথম আবির্ভূত হয় গত শতকের প্রথম দশকে। খুব সম্ভবত সেই সময় থেকে তার গল্প বাকি দুনিয়ার লোকে জানতে শুরু করে।
তবে ওকার গল্পগুলোকে নিয়ে ১৯৫৬ সালে একটা আমেরিকান সামরিক সংবাদপত্রের উদ্যোগে প্রকাশিত হয় আই. জি. এডমন্ডস সংগৃহীত জাপানী ওকা কাহিনীর বই ‘সলোমন ইন কিমোনো: টেলস্ অব ওকা’। পরবর্তীতে ‘সলোমন ইন কিমোনো: টেলস্ অব ওকা’ বইটিকে স্কুলের শিশুদের উপযোগী করে স্কলাস্টিক কর্পোরেশন নামের একটা আমেরিকান প্রকাশনা সংস্থা ‘ওকা দ্য ওয়াইজ’ এবং ‘দ্য কেস অব মার্বল মন্সটার’ নামে দুটি বই প্রকাশ করে। এডমন্ডস এর ‘সলোমন ইন কিমোনো: টেলস্ অব ওকা’ থেকে অনুপ্রানিত হয়ে ডাচ লেখক ব্যেরত্যুস আফিউস, ওকা’র কিংবদন্তী কে আশ্রয় করে আইনি ও নৈতিক কাহিনী ভিত্তিক তার নিজের রচিত গল্প নিয়ে ‘বিচারক ওকা’ সিরিজের পাঁচটি উপন্যাস লেখেন (১৯৬৯-১৯৭৩)। যতদূর জানা যায় জার্মান ভাষায় সেগুলোর দুটি উপন্যাসের অনুবাদ হয়েছে।
ওকার প্রশাসন এবং আইনি সিদ্ধান্তের খ্যাতি বাকি দুনিয়ার গল্প-কাহিনীতে ছড়িয়ে পড়াটা তার মৃত্যুর দেড়শ বছরেরও পরের ঘটনা যা বোঝা যাচ্ছে। কিছু কিছু কৌশলী লোকগল্পে সারা বিশ্ব থেকে গল্প গ্রহণ করার ছাপ দেখতে পাই কখনো কখনো। লোকসাহিত্য পণ্ডিতদের মধ্যে কেউ কেউ 'থেফ্ট অব স্মেল' গল্পটা ওকা তাদাস্যুক এর গল্প হিসেবে কৃতিত্ব দেন, আবার কেউ কেউ মনে করেন এটা তুরস্কের সুকৌশলী কৌতুক বীর নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গল্প।
--জে এফ নুশান
আমি যা বলেছিলাম আপনার দেয়া তথ্য সেটাকেই এনডোর্স করে। অর্থাৎ জাপানের বাইরে ওকা তাদাস্যুকে ও তার কর্মের পরিচিতির বয়স খুব একটা বেশি নয়।
ওকা তাদাস্যুকের কাহিনীর অনুবাদ হওয়া বা সেটার ভিত্তিতে অন্য সৃষ্টিশীল কর্ম নির্মিত হওয়ার মানে এটা না যে, এশিয়া, ইউরোপ সহ উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অনেক লোককথা ও নৈতিক কাহিনী তাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে। একটি লোককথা বা নৈতিক কাহিনী একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনেক বছর ধরে নির্মিত হয়। বাইরে থেকে আসা একটা গল্প চেহারা পালটে রাতারাতি একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর লোককথা হয়ে যায় না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাহ!! সুন্দর গল্প। আপনার কাছে প্রত্যাশা কিন্তু বেড়েই চলেছে।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
অনেক ধন্যবাদ সোহেল ইমাম।
--জে এফ নুশান
বাহ্ কেমন ঝরঝরে শিউলি ফুলের মতো ভাত! থুড়ি লেখা। একদম মনে হয়নি অনুবাদ। আরো লেখুন নুশান।
অনেক ধন্যবাদ আয়নামতি। আপনার উপমাটাও সুন্দর।
--জে এফ নুশান
আরো আসুক, আসতে থাকুক।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনেক ধন্যবাদ।
--জে এফ নুশান
গল্পটি আগে কোথাও পড়েছিলাম অন্য কোন ফরমেটে। আপনার এই অনুবাদটিও চমৎকার লাগলো পড়তে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী।
--জে এফ নুশান
নতুন মন্তব্য করুন