দেশে ফোন করে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষের সাথে বাংলায় (অথবা ইংরেজিতে) কথা বলতে গেলে দুটি সমস্যা (আমার চোখে সমস্যা) কানে ঘা মারে। প্রথমত, বাংলা বাক্যের গঠন নিয়ে আমার ভাতিজা, ভাতিজি, ও ভাগিনাদের ধারণা অস্পষ্ট; সোজা কথায় তাদের বাংলা অসুন্দর। দ্বিতীয়ত, ওরা ইংরেজি মোটামুটি ভালোই পারে, কিন্তু শব্দচয়ন সীমিত বলে সবকিছুই হয় 'ফেন্টাস্টিক', নয়তো 'ডিসগাস্টিং'। যে ব্যাপারটা বারবার বলেও কোনো লাভ হয় না সেটি ভয়ানক: ওরা বই পড়ে না। একটা সুন্দর বাক্য বলতে গেলে মনের জমিনে আগাম কিছু সারপানি দিতে হয়, শুধু গেম খেলে বা সিনেমা-সিরিয়াল দেখে সেটার যোগান হয় না। বই কিনে হাতে ধরিয়ে দেওয়া পর্যন্তই আমার বা আমার ভাই/ভাবী-বোন/দুলামিয়ার দৌড়। গায়ের জোরে তো আর মানুষকে বই পড়ানো যায় না। দেশে আর প্রবাসে আমার অভিজ্ঞতা বলে, সুন্দর বাক্যের শক্তি অনেক। সবাইকে কবি-সাহিত্যিক হতে হয় না, খেটেখাওয়া মানুষও একটি গোছানো বাক্যে জটিল পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে।
দেশে আওয়ামী জোট আর বিএনপি জোটের মধ্যে সংলাপ হচ্ছে, তার অবস্থা জানতে অনলাইন কাগজ খুলে মনে হলো, আজকাল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আর সাংবাদিকরাও সাবলীল বাংলা বলায় বা লেখায় আর উৎসাহ পাচ্ছেন না। যেমন,
পরে মাহমুদুর রহমান মান্না বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুটো প্রস্তাবই আওয়ামী লীগ মেনে নেয়নি।’
বাক্যটি ত্রুটিপূর্ণ। বলা যেতো, দুটো প্রস্তাবের কোনোটিই আওয়ামী লীগ মেনে নেয়নি। কিংবা, দুটো প্রস্তাব করেছিলাম, একটিও আওয়ামী লীগ মেনে নেয়নি। নয়তো দুটো প্রস্তাবই আওয়ামী লীগ উপেক্ষা করেছে।
মাহমুদুর রহমান মান্নার ব্যাকরণগত ত্রুটিপূর্ণ কথা বাংলা ট্রিবিউন পত্রিকার সাংবাদিক সংশোধন করে দেবেন না, কিন্তু তিনি বন্ধনীতে [sic] লিখে বোঝাতে পারেন: বাক্যটি হয়তো ত্রুটিপূর্ণ, কিন্তু বক্তা এটি বলেছেন এবং তা অবিকৃত অবস্থায় উদ্ধৃত করা হলো। এটি শুধু ব্যক্তি মান্না বা কোন এক সাংবাদিকের প্রসঙ্গে অঙ্গুলি তুলে নির্দেশ করার ব্যাপার নয়, একজনের কথা বহুজনের কাছে পৌঁছানোর কাজটি সততার সাথে করার পথে প্রথম ধাপ।
সংবাদপত্রের খবর বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কথা পড়ে/শুনে যদি আমার নাবালক ভাতিজা, ভাতিজি বা ভাগিনার কথা থেকে আলাদা করা না যায়, তাহলে মনে সবার জন্য উদ্বেগ জাগে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।
--- মাহফুজ বাতেন
বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিজের ভুল নিজের চোখে বা কানে সহজে ধরা পড়ে না। তাই আমার এ তুচ্ছ লেখায় কোন ত্রুটি চোখে পড়লে সংশোধন করে দিতে অনুরোধ করছি।
মন্তব্য
প্রথম অংশ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের সন্তানরা বাংলা পারে না কারণ তারা বাংলা মাধ্যমে পড়ে না। এখানে আমাদের বললাম আমি যে শ্রেণীভুক্ত সে শ্রেণীর কথা মাথায় রেখে। এই শ্রেণীর বাইরে ছেলে মেয়েরা যারা বাংলা মাধ্যমে পড়ে তারা যে বাংলাটা পারে সেরকমও না। আমাদের সময়েও একই(?) অবস্থা ছিল। শুদ্ধ বানান ও ব্যাকরণে স্কুল পাশ দেয়ারা কেউ দুই পাতা লিখতে পারতো না। এই মুহুর্তে বাংলা এবং ইংরেজি মাধ্যম দুটোর ছাত্র ছাত্ররাই ক্ষ্যুল উচ্চারণে (অর্থাৎ আমেরিকান ইংরেজি উচ্চারণ) বাংলা বলতে অভ্যস্ত। এই গোটা জেনারেশনটা যখন বড় হবে তখন আমাদের বাংলা লেখাগুলো পড়ার কোন লোক থাকবে না।
দ্বিতীয় অংশ
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদেরা বাংলাদেশিদেরই অংশ। গুছিয়ে কথা বলা, গুছিয়ে লেখা -- এগুলো কোন প্রয়োজনীয়তা কেউ বোধ করে না। রাজনীতিবিদ/ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণীর মানুষ এই গুছিয়ে কথা না বলতে পারার জন্য পারিবারিক, পেশাগত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভোগান্তির স্বীকার হয়। এই ভোগান্তি কমাতে যে কিছু করা দরকার এই চিন্তাটাও কারও মাথায় খেলে না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
গুছিয়ে কথা বলা বা লেখার জন্য সামনে উদাহরণ থাকতে হয়। অগোছালো কথা বলে বা লিখে তিরস্কারের মুখে পড়াও জরুরী। এখন বোধহয় এসব আর খাটে না। আমার এক বিতার্কিক বন্ধুর কথা শুনে বরাবর মুগ্ধ হতাম, যেমন তার শব্দচয়ন, তেমন পরিবেশন। আজ তার কন্যাটির কথা দুই মিনিট শুনলে কান ঝা ঝা করতে থাকে, না আছে মাধুর্য, না আছে বুদ্ধির ছাপ। এ নিয়ে বন্ধুটির মনেও খেদ আছে, কিন্তু সঙ্গত কারণেই প্রসঙ্গটি নিয়ে সে বেশী আলাপে আগ্রহী নয়, তার স্ত্রী এ নিয়ে কথা একেবারেই বরদাস্ত করেন না।
- মাহফুজ বাতেন
শুধু উদাহরণে হয় না। সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা প্রশংসনীয় কাজ এবং এই প্রশংসার আলাপ সমাজে থাকা জরুরি। বাংলাদেশে এটা আছে হাতের লেখা নিয়ে। ভারতের বাংলা অংশে এটা নেই। বাংলাদেশে সুন্দর হাতের লেখা প্রশংসিত বলে অনেক লোকের সুন্দর হাতের লেখা দেখা যায়। যেসব সমাজে এটার আলাপ নেই সেসব সমাজে আমি এটা দেখিনি।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বাংলাদেশের রেডিও, টিভি বা মঞ্চে যারা কথা বলেন, উপস্থাপনা করেন তাদের মধ্যে অল্প ব্যতিক্রম ছাড়া বাকিরা বাংলা-ইংলিশ মিশিয়ে কথা বলেন। এর কারণ হচ্ছে তারা একটানা কয়েকটা বাক্য শুধু বাংলা বা শুধু ইংলিশে বলতে পারেন না। তাছাড়া তারা এই মিশ্রিত ভাষায় যা বলেন তার মিশ্রণদোষকে উপেক্ষা করলেও দেখা যাবে সেখানে অধিকাংশ বাক্য হয় ব্যাকরণগতভাবে ভুল, নয়তো অসম্পূর্ণ। সেখানে পুনরুক্তির পরিমাণ অতিধিক। অলঙ্কার ও উপমার ব্যবহার ভুল।
এই দোষ কেবল মিডিয়ার লোকদের নয়, এই দোষ সর্বস্তরে বিদ্যমান। সমাজের বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষের কথোপকথন একটু মনোযোগ দিয়ে শুনলে সেটা আরও স্পষ্ট হবে।
যারা অন্যের বলা/লেখা ইংলিশের ভুল বের করে গালমন্দ করেন তাদের নিজেদেরকে বাংলা বা ইংলিশে লিখতে দিলে প্রায় একই প্রকার চিত্র পাওয়া যাবে।
- এই কারণে প্রতিনিয়ত ভুল বোঝাবুঝি হয়, রিসোর্সের ক্ষতি হয়, সম্পর্ক নষ্ট হয় - তবু কারও হুঁশ হয় না। লোকজনের সাথে ঠিক মতো কথা বলতে না শিখে এই দেশে সর্বোচ্চ অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি নেয়া সম্ভব। বাকআচার্য্য নরেন বিশ্বাসের একটা উক্তি মনে পড়ে - 'আমরা নিজের মুখটাকে সুন্দর দেখাতে প্রতিদিন যতোটা চর্চ্চা করি, সেই মুখের ভাষাটাকে সুন্দর করার জন্য কোন চর্চ্চাই করি না'।
আমাদের মুখের ভাষার এমন দুরবস্থার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের ভাষাশিক্ষার পদ্ধতি ভুল। তাছাড়া এখনকার শিক্ষার্থীদের যারা শিক্ষা দেন, তাদের যারা শিক্ষক ছিলেন, তাদেরও যারা শিক্ষক ছিলেন - এইভাবে উপরের দিকে যত যাওয়া যাবে দেখা যাবে এই ভুলের পরম্পরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আচ্ছা, বিভিন্ন পেশার কয়েকজন পাব্লিক ফিগারের নাম করেন দেখি যারা এর ব্যতিক্রম এবং খুব ভালো বাংলা (প্রমিত উচ্চারণ, অমিশ্রিত শব্দচয়ন, শুদ্ধ বাক্য, সুন্দর বলার ভঙ্গি, ইত্যাদি) বলতে পারেন?
আমি দুয়েকটা নাম দিচ্ছি --
রাজনীতিবিদঃ
১। মখা আলমগীর।
২। মান্না (তবে অনেকদিন শুনি নাই)।
৩। ????
টিভি সাংবাদিক/রিপোর্টারঃ
১। ???
খেলোয়াড়ঃ
১। ???
****************************************
মওদুদ আহমেদ, তারানা হালিম, শিরীন আখতার। খেলোয়াড় বা টিভি সাংবাদিকদের কথা জানি না।
- মাহফুজ বাতেন
শিক্ষাঙ্গনে বিভিন্ন কোর্সের মধ্যে এ সংক্রান্ত শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করেও এ ক্ষেত্রে উন্নতি সম্ভব। যারা রাজনীতি করেন, তাদের জন্য প্রশিক্ষণ বেশী প্রয়োজন। কিন্তু কর্মক্ষেত্রেও নানা ছোট স্কেলের রাজনীতি ও কূটনীতি অপরিহার্য, সে বাবদ প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ অন্তত আমি দেশে শিক্ষাজীবনে পাইনি। এখন সেসব আছে, তেমনও মনে হয় না। বডি ল্যাংগুয়েজ, বাচনভঙ্গি, শ্রোতা বা আলাপসঙ্গীর প্রতি আচরণীয় ন্যূনতম সভ্যতা, ইত্যাদির ওপর প্রশিক্ষণ নেওয়ার মধ্যে লজ্জার কিছু নাই, বরং এসব অতি জরুরী। আমি নিজে কর্মসূত্রে এমন কিছু প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে লাভবান হয়েছি। বাংলাদেশে যদি স্কুল-কলেজ পর্যায়ে এসব শিক্ষা দেওয়া না যায়, তাহলে কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে।
- মাহফুজ বাতেন
এককালে আবৃত্তি, বিতর্ক ইত্যাদির প্রচুর কর্মশালা হতো। সেসব কর্মশালার সবগুলোই যে লোকদেখানো ছিল তা নয়। তবে সেসব কর্মশালার প্রডাক্ট যারা তাদের খুব কম জনের মধ্যে অধীত বিদ্যার ব্যবহার লক্ষ করা গেছে। ওসব কর্মশালা এখনো নিশ্চয়ই হয়, ফলাফল দৃশ্যমান। যেদেশে কেউ দৈনন্দিন জীবনে শুদ্ধ ভাষায়, শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বললে লোকজনের তামাশার পাত্রে পরিণত হয় সেদেশে মানুষকে এই বিষয়ে চর্চ্চায় আগ্রহী করে তুলতে নয় মণ ঘি পোড়াতে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কথা সত্য। তবে জটিল পরিস্থিতির কারণেও অনেক সময় শুদ্ধবাক্য অশুদ্ধ হয়ে প্রকাশিত হয়। মান্না যদি এখন আওয়ামী লীগে থাকতো, তাহলে তাঁর বাক্য গঠন আরো শুদ্ধ ও সাবলীল হতো। এখন মান্নার পেটে খিদে, মাথায় ঘুর্ণি। এখানে শুদ্ধ বাক্য আশা করা বাতুলতা। কামাল হোসেনের দুশ্চিন্তা কম, দেখেন তাঁর বাক্য এখনো শুদ্ধ। সংলাপ সফল না হলেও কামাল হোসেন কিছু হারাবে না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চিন্তা জাগানো পয়েন্ট।
- মাহফুজ বাতেন
আরেক সমস্য হল, প্রচুর ইংরেজি শব্দ ঢুকে পড়া। আমরা আরেকজনের ফেসবুকে জীবনের কাহিনী পড়ে 'ইন্সপায়ারড' হই, "অনুপ্রাণিত" হই না।
আমরা খাবারের দোকানে 'চেক ইন' দেই, "হাজিরা" দেয়া হয় না।
আর সাথে আছে ফেসবুকের বিখ্যাত সেলিব্রটিদের লেখা, "আমি ভাবলাম, কি করা যায় এই বিষয়ে। শেষমেষ, আই ডিসাইডেড টু ইগনোর দেম। ওদের কথামত চললে তো হবে না। আই নিড টু ডিসাইড মাই ডেস্টিনি, আই নিড টু বি মাই ঔন ম্যান। আমাকে সামনে যেতেই হবে, আই নিড টু মুভ ফরোয়ার্ড" _এই ধরণের লেখা।
আর, অনেকের লেখায় জায়গায় "য়" আর "ই" -এর অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিস্থাপন বিরক্তিকর। "কোন জায়গাই এটা?"
শুভেচ্ছা
আমার এক আত্মীয়া বেশীদূর লেখাপড়া করেননি, এ নিয়ে তাঁর মনে বোধ করি খেদ ও হীনম্মন্যতা আছে। তার চাপে বা যে কোন কারণেই হোক, তিনি সদ্য পরিচিতদের সাথে আলাপের সময় প্রচুর ছোটবড় ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেন, যেগুলো সবসময় লাগসই হয় না। এ নিয়ে পূর্বপরিচিতদের কেউ হাসছে কিনা, সেদিকেও তিনি তীক্ষ্ন নজর রাখেন। এ কারণে কারও কথায় ইংরেজি শব্দের অকারণ বাহুল্য দেখলে প্রথমেই বক্তার মাঝে আত্মীয়াটির ছায়া খুঁজে পাই।
- মাহফুজ বাতেন
এক্ষেত্রে কথা সাহিত্যিকদের কিছু প্রভাব আছে। উদহারন: প্রয়াত একজন লেখক তার একজন চরিত্রকে দিয়ে বলিয়েছিলেন 'মাছ খেতে খুব সৌন্দর্য্য হয়' এখন দেখি অনেকেই সুন্দর বলেন না, বলেন 'তোমাকে দেখতে সৌন্দর্য্য লাগছে' । আসলে শব্দ চয়ন, উচ্চারণ এগুলো নিয়ে সন্তানের সাথে আলাপ করা হয় না, আলাপ হয় নাম্বার নিয়ে, গ্রেড নিয়ে। প্রতিদিনের ছোট ছোট শব্দ শুধরে দিলে আজকের ৫ বছরের শিশুটি শিখে নেবে যা সারা জীবন তার কাজে লাগবে। ছোট বাচ্চা বলতেই পারে চা রান্না করব , আমরা তাকে বোঝাতে পারি কিন্তু এফ এম রেডিওতে যখন বলে, ডিয়ার লিসেনার্স আজ শহীদ দিবসে কে কে হাং আউটে যাচ্ছেন? চিল করবেন তখন সহ্য করা কঠিন হয়ে যায়।
বেসরকারী এফ এম রেডিও খুব বেশিদিন আগের জিনিস না। কিন্তু আপনি সব শেষে যে ভাষাটার উদাহরণ দিলেন সেটা বেসরকারী এফ এম রেডিওর আরও অনেক আগে থেকে অল্পবিস্তর প্রচলিত ছিল। টিনএজার বালক নিজের পৌরুষত্ব জাহির করার জন্য অনভ্যস্ত কায়দায় সিগারেটে টান দেয়, আর বহু বাঙালী নিজের স্মার্টনেস জাহির করার জন্য এমন জগাখিচুরী ভাষায় কথা বলে। তাছাড়া বিশুদ্ধ বাংলায় বা ইংলিশে একটানা কথা বলে যাবার জ্ঞান এদের নেই। কেন নেই সেটা নিয়ে উপরে একটু বলেছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন