আমি উঠে প্রবল অবিশ্বাসে আমাদের চুল, বালিশ, পোশাক শুঁকে শুঁকে দেখি
একান্ত নীরবতায় আমার বিস্ময়, বিহ্বলতা কাটিয়ে
ঘ্রাণটা কিসের, তাই ভাবি!
জানালার গাছ, পাতার গন্ধ, ফুলের গন্ধ নয়
কী নাম দেব সেই ঘ্রাণ, কী হতে পারে বন
ঘুমের ভেতর এ কোন ঘ্রাণের স্বপ্ন আরণ্যক?
উর্বর মাটি? মাটিরই মতো- কিন্তু মাটিও না,
গাছের কটিতে ঘর বাঁধা কোনো পাখির কচি পালক?
নিষ্প্রাণ কোনো শরীর?
নিষ্প্রাণ কোনো শরীরেরই হয়তো এমন গন্ধ হয়
এ চমৎকার ঘ্রাণ কি তবে মৃত্যুর কাছে থাকে
মরণের বাজিকর কি এতখানি প্রাণময়;
সমাহিত পৃথিবী নরম মমতায়
আনাড়ি স্বপ্নে এ
কোন গন্ধ লেপে দেয়!
অতল ঘুমের ভেতর থেকে আমি সেদিন
যে ঘ্রাণ পেয়েছিলাম,
তাকে কোন নাম দেব, কিসেরইবা উপমা?
আমিতো খুঁজিনি নিদ্রাপাড়ে পল্লবিত জলে
সাঁতারে সাঁতারে মাতৃ জঠরে
আমার নামডাক;
আমি ঘুমের গহনে
ফুলে মাখামাখি মৃত্যুর ঋণে ফিরে গিয়ে দেখি
আমার সময়কাল-
গাছের কটিতে ঘর বেঁধে আছে
সদ্য গজানো দুইটি ডানায়
মানব নামের একটি পক্ষী প্রাণ।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন