প্রবাস জীবন যত দীর্ঘ হচ্ছে, ততই মনে হচ্ছে আমার জন্মভূমিতে নতুন প্রজন্ম এক অদ্ভুত, আত্মঘাতী আশকারার ভিতর দিয়ে বড় হচ্ছে।
এই আশকারার ফল, সন্ধ্যা আর রাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণরত বিমানের ককপিটে বসা পাইলটের চোখে লেজার মারা। এই কাজ এখন একটি সান্ধ্য বিনোদনে পরিণত হয়েছে। কুর্মিটোলার আশেপাশের উচ্চ ভবনের ছাদে বসে কিশোর যুবক মধ্যবয়স্ক লোক এই 'খেলা' খেলে অথবা খেলতে দেখে মজা নেয়।
একটি বিমান কয়েকশ যাত্রী নিয়ে রানওয়ের আশেপাশে কোন ভবনে আছড়ে পড়ে জানমালের বিকট ক্ষতিসাধন না করা পর্যন্ত কারু কি টনক নড়বে না? সামাজিক কোন শাসন কি এখন আর চলে না? কোন মুরুব্বি কি নিজ নিজ ভবনের ছাদে এই ইতরামি বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে পারেন না?
এই কুকাজের শাস্তি দেশের আইনে নাকি কড়া। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর কড়া হয়ে কি কোন লাভ আছে?
যদি নিজের আঙগিনা লোকে নিজে শাসন করতে না পারে, সেই শাসনের ভার বাইরের লোকের হাতে চলে যায়। প্রতি সন্ধ্যার এই বিকৃত বিনোদনে যারা অংশ নেয়, গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন চাইলে টেলিফটো লেন্স অথবা ড্রোন প্রযুক্তির সাহায্যে দূর থেকে তাদের ছবি তুলে নিয়ে মামলা করতে পারে। দ্রুত দশ-বারটি অপরাধী পক্ষ হাজতে ঢুকলে অনেক বেকার লেজারও খাপে ঢুকবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কাণ্ডজ্ঞান দিন।
(মাহমুদ)
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন