প্রলয়ের দিনে,
তেপনের চারপাশে মৌমাছি চরে
জেলে জোড়ে ঝকমকে জাল
সুখী তিমিকের দল লাফায় সায়রে
কিশোর চড়ুই খেলে ছাতের নালার কাছে
সাপগুলো সোনালিবরন, যেমন হওয়ার কথা।
প্রলয়ের দিনে,
ছাতা কাঁধে রমণীরা মাঠ ধরে হাঁটে
উঠোনের পাড়ে বসে ঝিমোয় মাতাল
সব্জিওয়ালা এসে চেঁচায় গলিতে
দ্বীপ ঘেঁষে আসে এক হলুদ পালের নাও
অফুরান বেহালার স্বরটা হাওয়ায়
নিয়ে যায় তারাভরা রাতে।
আর যাদের আশঙ্কা ছিলো বাজ-বিজুলির
তারা আশাহত।
আভাস আর দেবদূত-শিঙা ছিলো যাদের আশায়
বিশ্বাস করে না তারা, এমনটা ঘটছে এখন।
সূর্য আর চাঁদ ভাসে ঊর্ধ্বে যতক্ষণ,
যতক্ষণ অলি যায় গোলাপের কাছে,
রাঙা শিশুদের দল যতক্ষণ নিচ্ছে জন্ম
কেউ তো নেয় না মেনে, এমনটা ঘটছে এখন।
শুধু এক সাদাচুলো বুড়ো, হতে পারতো দৈবজ্ঞ
কিন্তু দৈবজ্ঞ নয়, কারণ সে মহাব্যস্ত,
টমেটো বাঁধার ফাঁকে জপে:
অন্য কোনো প্রলয় হবে না
অন্য কোনো প্রলয় হবে না।
চেসোয়াফ মিয়োশসহ আরও কিছু কবির কবিতা আসছে-দিনে অনুবাদ করার ইচ্ছা রাখি।
মন্তব্য
পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলুক।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমি মূল কবিতাটি পড়েছি বেশ অনেকদিন আগে। আপনার অনুবাদটি পড়ার পর সেটার কথা মনে পড়লো। যেহেতু মনে পড়েছে, তার মানে অনুবাদটি বেশ ভালো হয়েছে! কবিতার অনুবাদ আমার কাছে ভীষণ কঠিন এবং প্রায় অসম্ভব একটি কাজ বলে মনে হয়। এমনকি আমার নিজের লেখা ইংরেজি কবিতা বাংলায় অনুবাদ করার প্রয়োজন হলেও আমি বিপদে পড়ে যাই, কেননা কবিতাতে শুধু ভাষার যথাযথ অনুবাদই যথেষ্ট নয়। কবিতার অনুবাদে মূল লেখার অনুভূতিটার শাব্দিক চিত্রায়নটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে হয় আমার। আপনি শব্দ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সচেতন থাকার কারনেই হয়তো অনুভূতিটাকে স্পর্শ করেছেন। অভিনন্দন!
নতুন মন্তব্য করুন