তান্ত্রিকদের যুগ পার হয়ে এসেছি আমরা তবে এই একবিংশ শতাব্দিতে এসে কি আবারে সেই তন্ত্র-মন্ত্রে পিরতে হবে কিনা সন্দেহ জাগে । তবে যে জামানাই হোক না কেন , জীবন বাচানো ফরজ । পিতৃ প্রদত্ত সেই সম্পদ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত । সেই জীবনের হিসেব নিকেষ চলছে , শুরু হয়েছে হালালের খোজে শুমারি । বাজারের এরোম্যাটিক সোপ ছাড়া হালালের বড় অভাব । তাই চলছে এরোম্যাটিক ঘষামাজা । কিন্তু কয়লা ধুলে কি আর ময়লা যায় ?? তাও যদি আবার শষ্যের মাঝেই থাকে ভূত । তাই ভুত ছাড়াতে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ওঝার । শেষ ভরসা আর কি !!
যতো গর্জে ততো নাকি বর্ষে না । হয়তো বাংলা প্রবাদের সত্যতা রাখকতই ব্যস্ত । আরো ব্যস্ত বলতে .........আমি কলা খাই না । তবে খেলটা কে ?? নিশ্চয়ই আমাদের সুয়োরাণি আর দুয়োরানি । চটপটে জবাব দেয় বীরবল আর গোপাল ভাড়ঁ । প্রবচন থেকে ইতিহাস টেনে নামান সভাসদরা । সামান্য রিপু করে চালায় নতুন পর্দা অথচ ফাক-ফোকর গড়িয়ে বেরিয়ে পড়ে এটা-সেটা । তারপরও কি থামে সংস্কার ??
রেসের ঘোড়া জিততেই মড়িয়া বাজিকর । যেন মানসম্মান সবাই উজাড় হয় বাজিতে । তবু তো বাজি!!
থামে না নাগরিক বন্ধূগণ । এবার তারা নরসুন্দর হলো , সবার মস্তকে বসিয়ে দিল কদমফুল । তারপর সমস্বরে গেয়ে ওঠে ...'বাদল দিনের্ও প্রথম ও কদম ফুল...' আর আকাশে তখন বৈশাখের রৌদ্র প্রকপ । নিজেদের সৃষ্টির বিস্ময়ে চোখে জাগে সামান্য মোহরের ঝিলিক । আর নিজেকে অভয় দেয় হোক নরসুন্দর , পরিবারতন্ত্র থেকে বেড়িয়ে , ছা-পোষা কেরানীগিরি ছেড়ে সে তো দুপয়সার বনিক হতে পারল । শরীর থেকে যদি মদ্যবিত্তের গন্ধ গেল !!! কিন্তু সুগন্ধী এরোম্যাটিক সোপও কি পারে সেই গন্ধ দূর করতে ??
পারে কি তবু ভয় দিয়ে অভয় দিতে ?? পারে কি আর কোন সার্ফ এক্সেল রক্তের দাগ মিলাতে ??
নির্বিকার হয়ে বসে থাকে একজন, মা-বোন কারো বধু .... প্রতীক্ষায় থাকে ..... ৭১ এ ফিরে আসা যুদ্ধজয়ী সন্তান ৭৫-এর পর আর ফেরেনা । যার চির উন্নত ছিল মম শীর তার মাথা কাটা যায় কোন ক্ষমতা লোভীর দম্ভে ।
ছোট ছেলে ফিরবে অনাকাংক্ষিত ছুটিতে । তার আর ফেরে হয় কি ?? কোন অজানা ব্ল্যাক হোলে মাধ্যকর্ষন শক্তির বিপরীতে লম্বা হয়ে ঝুলে থাকে । আর তখন আমরা বসে বসে ব্লগাই; স্রোতের বিপরীতে কে আ গা ভাসায় ??
ঠিক তখন একজন বেহুদা নিজের সম্পদ হারিয়ে পিতৃপ্রদত্ত সম্পদ বাচাতে ব্যস্ত । মন্ত্র তন্ত্রে আর ভরসা হয়না । তাই ছোটে কবিরাজের কাছে । স্বপ্নে পাওয়া গাছের লতাপাতায় বানায় রাষ্ট্রযন্ত্র মহৌষধ ।
রাহা
মন্তব্য
দুঃখিত রাহা ছুটিতে সবাই অন্য কাজে ব্যস্ত। তাই হয়ত মডারেশন কিউ লক্ষ্য করা হয়নি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দারুন। আগে কি কোন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো? পড়েছি বলে মনে হচ্ছে তো।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ধন্যবাদ মাহবুব মোর্শেদ ।
না ঝরাপাতা , শুধুমাত্র সচালয়তনের জন্য লেখা ।
স্রোতের বিপরীতে কে আ গা ভাসায় ??...................
আসলেই ।
রাহারে মেম্বার করা হোক! তার লগে আমার একটা তর্ক পেনডিং আছে।
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
জামাল ভাষ্কর আর রাহা'র তর্কটা দেখতে চাই।
তবে রাহাকে মেম্বার করার আগে শর্ত দিতে হবে যে সে "আমার ছেলেবেলা' নামে একখান লেখা আমারে দিব।
আর জামাল ভাষ্কর,আপনার খবর কী?
বাসায় গিয়া ঢিল মারবো নাকি?
আপনেরে ফোনাইতেছি আর খানিক্ষণের মধ্যেই...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
ভাস্করদা , নটরডেম ডিবেটিং ক্লাব এরপর এই তর্কের ভয়ে ডিবেট ছাইড়্যা অর্গানাইজার হইছিলাম , অহন আবার আপনি তর্কের ডর দেখান ....
পুরা ফন্ডোডাস লেখা!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
রাহা, খুব সুন্দর লিখেছেন তো!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
রাহাকে ৫ তারা ।
জেনারেলের ৫ তারা নয় কিন্তু ।
অভিনন্দন এবং ভালো লাগার ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ , লেখাটা পড়ার জন্যে । রাহা
রাহা, আহা!
ভালো হইছে..... কিন্তু এরোমেটিক এ সৌন্দর্য ও বাড়ে ...???
ভালো হইছে .. এরোমেটিক এ কি সৌন্দর্যও বাড়ে ??
অফলাইনে পড়েছিলাম। জাঝা দিয়ে গেলাম।
নতুন মন্তব্য করুন