প্লিজ ল্য করুন। আমাদের সাবেক ২ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও শেষ হাসিনা শাড়ি পড়ছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভূট্টো পড়তেন সেলোয়ার কামিজ। যা প্রমান করে দুই দেশের পোষাক সাংস্কৃতির ভিন্নতা।
পাকিস্থানের সাংস্কৃতিক প্রেেিত দেখা যায় তাদের মেয়েরা (বিবাহিতরা) সেলোয়ার কামিজ পড়ে থাকেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের নারীরা (বিবাহিতরা) পড়ে থাকেন শাড়্।ি
এগুলো আমার লেখার বিষয় নয়। বিষয়টা অন্যখানে।
বর্তমানে বাংলাদেশে একধরনের তাবলীগি মহিলাদের দেখতে পাওয়া যায় যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদেরকে ধর্মীয় দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তারা মহিলাদের ধর্মিয় দাওয়াত দেয়ার পাশাপাশি তাদেরকে সেলোয়ার কামিজ পরতে উৎসাহিত করেন। সেলোয়ার কামিজ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা তুলে ধরেন সেসব সহজ সরল নারীদের মধ্যে। হয় তারা এটা বুঝে করছে না হয় তারা না বুঝে কারো এজেন্ডা বাস্তাবায়ন করছে। (এরা মূলত তাবলীগী লেবাসে জামায়াতই কোন সংগঠন কিনা তা খুজে দেখা যেতে পারে)
মানানসই যে কোন পোষাক পরার আইনগত ও নৈতিক অধিকার আমাদের সবারই আছে। তাতে কোন সমস্যা নেই। সেলোয়ার কামিজ পড়া কোন অপরাধ নয়। তেমনি শাড়ি পড়তেও অপরাধ নেই। ধমীয়ভাবেও কোন বিধি নিষেধ নেই। পাকিস্থানে নারীরা তাদের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির বলয়ে সেলোয়োর কামিজ পড়ছে, আমরা শাড়ি পড়ব সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু যখন পাকিস্থানী পোষাক পড়তে উৎসাহিত করা হয় তখন তা ষ্পষ্টতঃই অন্য অর্থ বহন করে।
এ উপমহাদেশে ইসলামের বিস্তৃতি হওয়ার পরও দেখা গেল ধর্ম ঠিকই আছে কিন্তু অঞ্চল ভেদে পরিচ্ছদটা তাদেঁর সংস্কৃতিমত রয়ে গেল। ধর্মপ্রচারের পরে আমাদের পূর্বভারতীয় অঞ্চলে দেখা গেল, এখানকার মুসলিম নারীরা শাড়ী পড়ছেন। এবং তারা তাদের দীর্ঘ দিনের অভ্যাশবশে শাড়িকেও একধরনের অলংকার হিসাবে গ্রহন করলেন। যার প্রমান আমরা এখনো দেখতে পাই, জামদানী শাড়ি। বিয়েতে লাল জামদানী শাড়ি না হলে বাঙালির বিয়েই যেন অশুদ্ধ। ধর্মীয় প্রবণতায় এটা কখনো দেখা যায় নি যে, হিন্দুরা শাড়ি পড়ে তাই বাঙালি মুসলিমরা শাড়ি পড়ছে না বা তৎকালীন ইসলামী চিন্তাবিদরা শাড়ি পড়া যাবে না বা শাড়িতে পর্দা রা হয় না এরকম কোন ফতোয়াও দিয়েছেন বলে জানা যায় নি। উল্টো তাদের স্ত্রীদের শরীরে শোভা পেত হাজার বছরের বাঙালীর এতিহ্য, শাড়ি। বিয়ের পরে বাঙালি নারীদের প্রথম ও প্রধান পোষাক হলো শাড়ি। ঠিক একইভাবে পাকিস্থান অঞ্চলে সেলোয়ার কামিজই হলো তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। মুসলিম নারীদের বাইরে যাওয়ার জন্য বোরখা। সেখানেও রয়েছে অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভিন্নতা। যেমন আমাদের দেশেই এক বিশেষ ধরনের বোরখাকে বলা হয় পাকিস্থানি বোরখা।
সো, পোষাক ধর্মের জন্য কোন বাধা নয়।
ধর্ম প্রচারের নামে মূলতঃ আমাদের সংস্কৃতিকে নষ্ট করে পাকিস্থানী সংস্কৃতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠে পরে লেগেছে একটি কুচক্রি মহল। এভাবে একে একে আমাদের সংস্কৃতিকে নষ্ট করে দেয়ার চেষ্টা করছে।
তো, এখনই ঠিক করুন আমাদের করনীয় কী।
........
প্রাসঙ্গিক:
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, ম্যাগসাসাস সম্মানে ভূষিত শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার ম্যাগসাসাস পুরস্কার গ্রহন করার পরে দেশে এসে বাঙালির পোষাক সংস্কৃতি নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। আমাদের বাংলাদেশী পোষাক সংস্কৃতির ক্রম অবয়ের চিত্র তুলে ধরেছিলেন সে লেখায়। পোষাকের মাধ্যমে নিজেকে বাঙালি হিশেবে তুলে ধরতে না পারার যে ত তার হৃদয়ে তা প্রকাশ করেছেন সহজ ভাষায়। ভেবেছিলাম এবার একটা কিছু হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি বরং চলে সব উল্টো পথে উল্টো রথে।
................
. রেনেসা
মন্তব্য
রেঁনেসাকে ধন্যবাদ চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুসলিমলীগের দ্বি-জাতি তত্ব বাংগালীর অসাম্প্রদায়িক মানসিকতায় যেমন বিভাজন এনেছিলো,তেমনি তার ছাপ পড়েছিল পোষাক আশাকে । চল্লিশের দশক পর্যন্ত মুসলমান পুরুষরা ও ধুতি পরিধান করতেন । মাওলানা আকরাম খাঁ'র নামের আগে ও 'শ্রী' লেখা হতো । কিন্তু দ্বিজাতিতত্ব এসে এই প্রচারনা জোরদার করলো যে,মুসলমানরা আলাদা জাত- তাদের ভাষা ,সংস্কৃতি,পোষাক,খাদ্য সবই আলাদা ।
ধোপে টেকেনি যদি দুযুগের বেশী । তবু এই বিভাজনের অনেক চিহ্ন রয়ে গেছে ।
রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য এখনো ধর্মের আবরনে সেই পুরনো প্রচারনা চালানো হয় ।
হিজাব/নেকাব এইসব পরিধান না করেই বাংগালী মুসলমান নারীরা নিজেদের শালীনতা বজায় রেখেছেন যুগের পর যুগ ধরে । কিন্তু এই সময়ে এসে প্রচার করা হয়- হিজাব নাকি ইসলাম ধর্মের প্রায় মৌলিক একটা বিষয় ।এইভাবে ধর্মের নামে বিজাতীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া পুরনো কৌশল । লক্ষ্য সেই একই-বাংগালী নিজস্ব যা কিছু আছে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় ঐক্যের প্রতীক ,তাকে বিতর্কিত করে বিনষ্ট করে দেয়া ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জাঝা
কি মাঝি? ডরাইলা?
ভাল্লাগলো লেখাটা। আসলেই ভাবনার বিষয়!
হাসান মোরশেদের কমেন্টে বিপ্লব।
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...
আচ্ছা তর্কের খাতিরে বিপরীত পক্ষের ধারনাটা একটু আন্দাজ করার চেষ্টা করি।
সালোয়ার কামিজতো শাড়ির চেয়ে ভালো। চলাফেরার জন্য সুবিধাজনক, শালীন (শাড়ীর মত পেট দেখা যায় না ), দামে সস্তা, আর নামাজ পড়ার জন্যও ভাল। তাছাড়া বাইরের দেশের পোষাক যে আমাদের দেশে ঢোকেনি তাতো না। যেমন, শার্ট, প্যান্ট, স্যুট, টাই। এছাড়া লেহেঙ্গা, মেয়েদের শার্ট প্যান্ট এসব তো ঢুকেছেই। ইসলামীয় কিছুর চল শুরু হলেই আপনাদের গায়ে লাগে কেন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সমস্যাটা অন্য জায়গায়।
It is excusable to do the wrong thing for the right reason, but not the other way round.
ঠিক কারণে ভুল কাজ করা গেলেও ভুল কারণে ঠিক কাজ করা যায় না। ওরা ভুল কারণে সালোয়ার-কামিজ পড়তে বলে। কমফোর্ট যদি মুখ্য হয়, তাহলে সা-কা পেরিয়ে শার্ট-প্যান্ট-স্কার্ট পর্যন্ত যাওয়া জায়েজ থাকা উচিত। সেটা কি হবে?
পেট দেখা গেলে সমস্যা কি ?
ধুরো এই মন্তব্য সহ আপনার মন্তব্য গুলো মুছেন ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হা হা হা হা হা...হাসান ভাই দারুন লাগলো
Mahbub via,
Many thanks,
Waiting for your comment. then i will do .....
Renesa
@ arif, mahbub vai,
banglai likhte parsi, ki problem? bikolpo path thakle bolun
thanks and ...
renesa
* ইংরেজী টাইপ করতে Ctl+Alt+E বা Escape চাপুন
* ইউনিজয় পদ্ধতিতে বাংলা টাইপ করতে Ctl+Alt+U চাপুন
* বিজয় পদ্ধতিতে বাংলা টাইপ করতে Ctl+Alt+B চাপুন
* সামহোয়্যার-ইন ফোনেটিক পদ্ধতিতে বাংলা টাইপ করতে Ctl+Alt+P চাপুন
* প্রভাত পদ্ধতিতে বাংলা টাইপ করতে Ctl+Alt+V চাপুন
তাছাড়া বাংলা সমস্যা ও সমাধান দেখুন। অথবা প্রশ্ন উত্তরের আকারে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মাহবুব ভাই,
মানানসই যে কোন পোষাক পরার আইনগত ও নতৈকি অধকিার আমাদরে সবারই আছ।ে তাতে কোন সমস্যা নইে। সলেোয়ার কামজি পড়া কোন অপরাধ নয়। তমেনি শাড়ি পড়তওে অপরাধ নইে। ধমীয়ভাবওে কোন বধিি নষিধে নইে। পাকস্থিানে নারীরা তাদরে ঐতহ্যিগত সংস্কৃতরি বলয়ে সলেোয়োর কামজি পড়ছ,ে আমরা শাড়ি পড়ব সটোই স্বাভাবকি।
কন্তিু যখন পাকস্থিানী পোষাক পড়তে উৎসাহতি করা হয় তখন তা ষ্পষ্টতঃই অন্য র্অথ বহন কর।ে ’’
আমি লেখক হিশেবে দুর্বল। তাই হয়তো গুছিয়ে বলতে পারিনি।
আমার বক্তব্য কিšত্ত ঐতিহ্য নিয়ে। অবশ্যই সেলোয়ার কামিজ পড়া যাবে। এবং অনেক েেত্র তা শাড়ির চেয়ে কমফোর্টাবল। একটা কথা সাহিত্যে কিন্তু বাংলার চেয়ে উর্দুর অবদান অনেক। ভাষা হিসাবে বাংলার চেয়ে সম্পন্ন। কিন্তু আমরা উর্দু ভাষা গ্রহন করিনি। তার জন্য রক্ত দিয়েছি। কারণ বাংলা আমাদের ঐতিহ্য। আমরা প্রথম চাই নিজেদের পরিচয়। তার পর যে যা করুক কোন আপত্তি নেই। যেমন আমাদের অনেকেই উর্দু সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করেন। শতকরা ৭০ ভাগ পাকিস্তানীর চেয়ে উর্দু সাহিত্য ভাল জানেন। সেটা কিন্তু সমস্যা নয়।
’’কন্তিু যখন পাকস্থিানী পোষাক পড়তে উৎসাহতি করা হয় তখন তা ষ্পষ্টতঃই অন্য র্অথ বহন কর।ে ’’
আমার বক্তব্য এখানেই। যদি কেউ শিখিয়ে দেয় বাংলার চেয়ে উর্দু সম্পন্ন ভাষা তো তোমরা বাংলা ভাষা বাদ দিয়ে উর্দু শেখ, পড়। তখন কিন্তু প্রশ্নটা আসে। আমিও ঠিক ্ওই প্লাটফরম থেকে প্রশ্নটা করেছি।
আরে ভাই, সৌদি জামা পায়জামা সারা মুসলিম দুনিয়ার কয়জন পড়ে? খুব লিমিটেড লোক। তাই বলে তো চীন, কোরীয়দের মুসলমানিত্ব শেষ হয়ে যায়নি। আর তা যদি হয়েই থাকে তো বলবো- ইসলাম ধর্ম শুধু মাত্র সৌদিয়ানদের জন্য। আঞ্চলিক, পরিবেশ, শারিরীক গঠনত কারনে এক এক অঞ্চলের রুচি এক এক রকম হবে এবং সে কারনে পোষাকও ভিন্ন হবে। এটাই স্বাভাবিক।
তো যখন কেউ সুক্ষ্মভাবে আপনার রুচি, আপনার স্বকীয়তা কেড়ে নিতে চায়, তখন মুক্ত বুদ্ধি সম্পন্ন, প্রগতিশীল এই আপনি কি করবেণ?
- রেনেসা
আগুনটা আরেকটু উস্কে দেই।
সাস্কৃতিক আত্মীকরন একটা ক্রমশঃ চলমান প্রসেস। পেছনের কারন যাই হোক না কেন এটা চলতেই থাকে। ফ্যাশনের কারনে এখন গেটো সংস্কৃতির পাছা খোলা প্যান্ট পরছে নতুন বাঙ্গালী প্রজন্ম, যেখানে খোদ আমেরিকাতেই পাছা দেখা গেলে জরিমানা দিতে হচ্ছে। আপনি সাহিত্য, রুচি এইসব টানছেন কেন? পুরো ব্যাপারটা হচ্ছে একটা সিম্পল কজ এন্ড ইফেক্ট। ইফেক্টটা হল একটা সংস্কৃতিকে ধারন করা - কজটা হয়ত ধর্ম। কিন্তু তাতে কি যায় আসে? অন্য কজগুলোর ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি নেই। তাহলে এ ব্যাপারে আপত্তি কেন?
ফুটনোট: ভাই রেঁনেসা, সত্যিকার বলতে আপনার মতামতের সাথে আমার তেমন দ্বিমত নেই। শুধু তর্কের খাতিরে বলছি কথা গুলো।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার মনে হয় রেনেসা "উৎসাহিত করা" ব্যাপারটাতেই কেবল আঙ্গুল তুলেছেন। নিজস্বগতিতে সবকিছুই পরিবর্তনশীল। কিন্তু সে গতি প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হলে তার পেছনের রহস্য খুঁজতে হয়।
ফুটনোটঃ সেটা তো আপনার পূর্ব পোস্ট পড়েই বোঝা গেছে
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...
পাছা খোলা প্যান্ট পরে আরাম নাইরে ভাই! আমি কাল্লুগুলোর মতো একদিন জিন্স টেনে পাছা পর্যন্ত নামিয়ে হাঁটার চেষ্টা করে দেখেছি- বেদম ব্যাথা হয় পাছায়!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
রেনেসা ভাই বললেন, "সাহিত্যে উর্দুর অবদান বাংলার চেয়ে বেশী!" এ তথ্যের উপাত্ত চাচ্ছি! আমার কাছে হাস্যকর মনে হলো এ দাবী!
বাকি সব ঠিকাছে।
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...
আমাদের গ্রামে দেখেছি তাবলীগের কিছু মহিলারা উৎসাহিত করে সালওয়ার কামিয পড়তে কিন্তু এখানে সংস্কৃতি টাইপের বড় বড় চিন্তাভাবনা দেখি নি। পাকিস্তানি পোশাক বলেও উৎসাহ দেখি নি তার প্রমান হলো অনেক বয়স্কারাই শাড়ি ছেড়ে সালওয়ার কামিজ ধরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না তাই 'ম্যাক্সি' পরেন, যেটা পাকিস্তানি পোশাক না, ইউরোপিয়ান পোশাক। কিন্তু তবু তাবলীগিদের উৎসাহ থাকে। কারণটা স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি 'পর্দা পুশিদার' অসুবিধা হওয়া। শাড়ি পরতে যতগুলো পরত দিতে হয়, কাজ করার সময় যতটা সাবধান থাকতে হয় ঢেকে চলার জন্য, সালওয়ার কামিজে সেটা হয় না। শাড়ি পরে পর্দা করা মানে ফুল হাতা ব্লাউজ বানাও, আচল পেচিয়ে মাথায় সব সময়ের জন্য রাখার কোন পদ্ধতি আবিষ্কার করো, সালওয়ার কামিজ যে সব সমস্যা থেকে মুক্ত।
প্রধান মন্ত্রীদের দিয়েই সংস্কৃতি প্রমান করে ফেললেন, অথচ ঢাকায় চললেই সালওয়ার কামিজই বেশি চোখে পরে। শাড়ি এখন শখের পোশাক। আমাদের দেশের মেয়েরা যদি শাড়ি ছেড়ে সালওয়ার কামিজ ধরে, তার কারণ তাবলীগিদের বয়ান থাকে না নিশ্চিত থাকতে পারেন। থাকে বলিউডের নায়িকারা, যারা পাকিস্তানী না হওয়া সত্ত্বেও স্যালওয়ার কামিজ বেশি পরে থাকেন।
বাংগালী নারীরা হোক স্যালোয়ারময় ।
পুরুষের গতি কি হবে,কে জানে?
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
পুরুষেরা আপাতত প্যান্টের উপর জাঙ্গিয়া পরা শুরু করে দিতে পারে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ভার্সিটি হলে তাবলিগী ছেলেদের দেখতাম, মহিলাদের কথা জানা ছিল না। আপনার সাথে একমত, শুধু সাহিত্যের ব্যপারে আমি নিশ্চিত না।
---------------------------------------
তেলের শিশি ভাঙল বলে
খুকুর 'পরে রাগ করো,
তোমরা যে সব ধেরে খোকা
বাংলা ভেঙ্গে ভাগ করো !
তার বেলা?
==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
এখানে যে বিষয়টি দেখছি সেটা হচ্ছে পোশাকের স্বাভাবিক বিবর্তন।একে ধর্মীয় দিক থেকে দেখার চেয়ে সুবিধার দিক থেকেই দেখা ভালো।
ব্যবহারিক অসুবিধার কারনে ধুতি এখন আটপৌরে জীবন থেকে প্রায় নির্বাসিতই বলা চলে,আগামী জেনারেশনে শুধু পূজা অর্চনাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কেউ কেউ শখ করে পরতে পারেন হয়তো।ধুতির প্যাচগোচকে পিছে ফেলে লুঙি তার গিট্টু দিয়ে এগিয়ে গেছে।
একই ঘটনা ঘটবে শাড়ি'র বেলাতেও।মধ্যবিত্ত নারীরা বাইরে বেরুনো শিখেছেন মাত্র ১৫/২০ বছর ধরে।এই বাইরে বেরুনোটা এখন স্বাভাবিক হিসেবেই আসছে।
সুতরাং ব্যবহারিক দিক বিবেচনায় এখন সালোয়ার কামিজের চল আসবে।
শাড়ি বিলুপ্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।বড়োজোর হয়তো আরো তিরিশ বছর।তারপরই শাড়ি শুধু উৎসবের পোশাক হয়ে যেতে পারে।অথবা শুধুই জাকাতের আইটেম।
জেবতিক ছাব কি গ্রামে গ্যাছেন জীবনে?
-------------------------------------------------
'অত্তাহি অত্তনো নাথো, কোহিনাথো পরোসিয়া'
আমার লেখাটার নিচে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের আমাদের পোষাক সংস্কৃতি নিয়ে একটি লেখার কথা বলেছিলাম। তিনি তার সে লেখাটিতে বলেছিলেন যে, ম্যাগসাসাস পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি একটি কষ্ট অনুভব করছে। কষ্টটা হলো অন্য সব দেশের লোকেরা তাদের জাতীয় পোষাক পরে এসেছে। তিনি পারেননি।
কারন আমাদের কোন জাতীয় পোষাকই নেই।
আমাদের সে রকম একটা জাতীয় পোষাক হওয়া দরকার। যাতে কেউ সহজেই চিনতে পারে আমি বাঙালী। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রিয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান। বা .....
এবার কল্পনা করুন একটা মাস্টার প্লানের। ব্যপ্তি ৫০ বছর বা তদুর্দ্ধো।
প্রথমে ২০ বছর চলবে দাওয়াতী কাজ। যাতে উৎসাহী করা হবে সেলোয়ার কামিজ পড়তে। তার পর চলবে নিজেদের মধ্যে বাধ্যতা মূলক ২০ বছর। তাদের দেখা দেখি এবং সুবিধা হওয়ায় আমরাও শুরু করবো সেলোয়ার কামিজ পড়া। তখনই পালিত বুদ্ধিজীবি দিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করবো জাতীয় পোষাক নির্ধারণ নিয়ে। যখন সবাই বলবে হা এটা প্রয়োজন। তখন জিগির তুলবো যেহেতু শাড়ী এখন তেমন কেউ পড়ছে না বরং সেলোয়ার কামিজ পড়ছে তো সেলোয়ার কামিজই হোক জাতীয় পোষাক। ব্যাস প্লান বাস্তবায়ন। কোন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে আমাদের দেখে বলবে ও তোমরা পাকিস্তানী। তখন বাক্যবায় করে তাকে বুঝাতে হবে না রে ভাই, আমরা বাঙালী। আমাদের পূর্বপুরুষের দোষে এখন সবাই আমাদের পাকিস্থানী বলে মনে করে।
আমার লেখাটায় কোথাও বলা হয়নি সেলোয়ার কামিজ পড়া যাবে না। অবশ্যই পড়া যাবে। যাকে যাতে মানাবে শালীনভাবে সে সেটা পড়বে। এটাই আধুনিকতা। আধুনিকতাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। করলে নিজে ঠকতে হবে। ধর্মের দোহাই দিয়ে ইংরেজি না শিখে মুসলমানরা কত পিছনে পড়ে আছে তা এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।
তাই বলি কি। যে যা পরুক কোন সমস্যা নেই। আধুনিক যুগ। তাকে তার মত করেই থাকতে দাও। তবে দেশ হিসাবে রাষ্ট্র হিসাবে একটা ঐতিহ্য তো থাকা দরকার। তো সেটা যেন কেউ কৌশলে নিয়ে যেতে না পারে। এখনই আমরা পুরুষ ও মহিলাদের েেত্র জাতীয় পোষাক নির্ধারণ করে দেই। আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী। যাতে করে বাঙালী হিসাবে ট্রেড মার্ক হয়ে যাই। এবং সে েেত্র ঐতিহ্যগত শাড়ীই হতে পারে প্রথম পছন্দ।
বৃটেন এত আধুনিক তার পরেও তারা রাষ্ট্রিয়ভাবে তাদের পুরানো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
আমি নারীদের (বিবাহিত) কথাটা বল্লাম। ছেলেদের জন্য জাতীয় পোষাক কি হতে পারে তা নিয়ে আপনাদের পোষ্ট আশা করছি।
- রেনেসা
আপনার মতামত সমর্থন করি। পোশাক সংস্কৃতির বিষয়; ধর্মের নয়।
নতুন মন্তব্য করুন