আমাদের দেশে প্রচলিত লোক-গল্পের মধ্যে মিথ্যাবাদী রাখালের গল্প অন্যতম। এই গল্পে রাখালের যে চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে তাই যেন আমাদের সমাজের আজকের প্রকৃত অবস্থার স্বার্থক র্বননা। আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ রাখাল বালকের মত মিথ্যা আহ্বানের মাধ্যমে জাতীকে উত্তেজিত করেন এবং পরিনামে জাতীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার হতে হয়। আমার মনে হয় ছোট বেলায় শোনা মিথ্যাবাদি রাখালের গল্পের প্রভাব থেকে আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ বের হতে পারছেন না। তাই আসুন আগামী প্রজন্মের কাছে মিথ্যাবাদীর পরিবর্তে দুরদর্শী রাখালের গল্প বলি, আশা করা যায় এর মাধ্যমে তাদের চরিত্রে দুরদর্শীতার প্রভাব বৃদ্ধিপাবে।
এক গ্রামে ছিল এক রাখাল ছেলে। সে গ্রামের সবার গরু জঙ্গলের পাশের এক মাঠে ঘাষ খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যেত। একদিন সে জঙ্গলের মধ্যে বাঘের গর্জন শুনে ভাবল এই বাঘ যে কোন সময় তার গরুগুলোর উপর আক্রমন করতে পারে। তাই সে একটা গাছের উপর উঠে 'বাঘ' 'বাঘ' বলে চিত্কার করতে লাগল। তার চিত্কার শুনে কিছু চাষি খালি হাতেই ছুটে আসল। সে সবাইকে বল্ল-"তোমরা যে কজন খালি হাতে ছুটে এসেছ তারা কি বাঘের সাথে লড়াই করে পারবে? আজ বাঘ আসেনি সত্যি কিন্তু যে কোন সময় বাঘের আক্রমন হতে পারে। তাই সবাইকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তৈরী থাকতে হবে। আর আমি যখনই ডাক দিব তখনই সেই অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ছুটে আসতে হবে।" তার কথার গুরুত্ব সবাই বুঝতে পারল এবং তার পরামর্শমত প্রস্তুতি নিয়ে রাখল। রাখাল বালক মাঝে মাঝে চিত্কার করে মহড়া দিচ্ছিল আর দেখছিল যে সবাই প্রস্তুত আছে কি না। একদিন যখন সত্যি সত্যি বাঘ এল তখন রাখালের চিত্কার শুনে এত বেশি মানুষ এত বেশি অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ছুটে আসল যে বাঘ ভয়েই পালিয়ে গেল। রাখাল ছেলের দুরদর্শীতার ফলে গ্রামের সবার গরু বাঘের আক্রমন থেকে রক্ষা পেল, তাই সবাই রাখাল ছেলের প্রশংসা করতে লাগল।
শিক্ষা: জাতীয় বিপর্যয় রোধে জনসচেতনতা ও প্রশিক্ষনের বিকল্প নেই।
লেখক-
নিক নাম: সুখ পাখি(এই নামে কমেন্ট লিখছি)
মন্তব্য
এই গল্পের ন্যায় ঘটনা বাংলাদেশে ঘটার সম্ভাবনা ০ পার্সেন্টের চাইতে ও কম।
কি মাঝি? ডরাইলা?
জনাব দ্রহী
এধরনের নেতিবাচক মনোভাব লালন করলে সেই সম্ভাবনা আরও কমে যাবে। আমারা পারছি না বলে আগামী প্রজন্মও পারবে না এমটি ভাছেন কেন। আগামী প্রজন্মের শিশুদের আজকে থেকে এই গল্প বলা শুরু করুন, দেখবেন তাদের সময়ে তারা এটা করে দেখাবে।
যেভাবে হুজুরতন্ত্র আর রাজাকারতন্ত্র বিস্তার লাভ করছে তাতে করে ভবিষ্যতের শিশুদের এইসব গল্প বললেও ধর্মের অবমাননা হতে পারে।
আগামী প্রজন্মের সবাই মাশাল্লাহ মোল্লা-মাশায়েখ হয়েই জন্মগ্রহণ করবে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন