পানি নিয়ে ভাবনা আর না আর না (উৎসর্গ: ব্লগ একশন দিবস ২০০৭)!!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/১০/২০০৭ - ৩:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকে ইন্টারনেটে একযোগে পালিত হচ্ছে ব্লগ একশন ডে ২০০৭। এবার আয়োজকরা "পরিবেশ" কে বেছে নিয়েছে থিম হিসেবে। প্রায় ৭০০০ উপরে ব্লগার আজকের দিনে তাদের ব্লগে পরিবেশ বিষয়ক পোস্ট করবে। আমিও আজকে এই বিষয়ের উপরে একটা পোস্ট দিচ্ছি, এই দিবসকে উৎসর্গ করে।

ধন্যবাদ।
বাপ্পী
ওকাইয়ামা, জাপান
--------------------------------------------

পানি আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রত ভাবে জড়িত। পানি ছাড়া আমরা একটা দিনও কল্পনা করতে পারি না। ঢাকা শহরে থাকেন অথচ আপনি পানির ভোগান্তিতে ভুগেননি, এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না এই দুনিয়ায়। শুধু ঢাকা নয়, আমাদের অন্যান্য শহরেও অবস্থা একই। আসুননা একটু চিন্তা করি কিভাবে আমরা ওয়াসাকে একটু রেহাই দিতে পারি, সাথে ডেসা আর নিজের পকেটকেও!!

আচ্ছা চলুন একটা অংক করি। জটিল না খুবই সহজ।

ধরুন আপনি চার-তালা একটা বিল্ডিংয়ে থাকেন। সেখানে মানুষ বসবাস করেন ২০ জন এবং এই ২০ জনই প্রতিদিন টয়লেট ব্যবহারের পরে ফ্লাস করেন। অনেকেই হয়ত জানেন, একবার টয়লেট ফ্লাস করার জন্য প্রায় ২০ লিটার পানির প্রোয়জন হয়। তাহলে কি দাড়াল?

২০ গুনন ২০ = ৪০০ লিটার পানি লাগছে প্রতিদিন একটা এক ইউনিটের ৪তালা বিল্ডিংয়ে ২০ জন মানুষের জন্য। অবশ্য এই সংখ্যা আরও বেশি হবে।

যাইহোক এই পানিটা আসছে ওয়াসা থেকে। বিনিময়ে আমাদের বিল দিতে হচ্ছে। আবার এই পানিকে তুলতে হচ্ছে আমাদের বাড়ীর ছাদের ওভারহেড ট্যাংকে মটর ব্যবহার করে, যা কিনা প্রচুর কারেন্ট ব্যবহার করছে। কারেন্টের বিলটা আবার দিতে হচ্ছে ডেসা কে!!

অথচ আমরা যদি আমাদের বিল্ডিং প্লান একটু পরিবর্তন করি (ছবি দ্রস্টব্য) তাহলে কিন্তু আমাদের অনেক পানি আমরা সেভ করতে পারি। সাথে আমাদের কষ্টার্জিত টাকাও।

আমরা প্রিতিদিন অন্যান্য কাজে যেমন, রান্নাঘরের কাজে, বাথরুমে গোছল বা কাপড় কাচা বা হাত-মুখ ধোয়ার জন্য প্রচুর পানি ব্যবাহার করি। আমরা যদি এই পানি কে সরাসরি সুয়ারেজে ফেলে না দিয়ে প্রতি তালায় অন্য একটা রিসারভারে রাখি (ছবি দ্রস্টব্য) এবং এই পানিটাকে অন্য একটা লাইনের মাধ্যমে আমাদের কমোডের ফ্লাসে ট্রান্সফার করি, তাহলে অতি সহজেই এই পানিটাকে ব্যবহার করতে পারি টয়লেট ফ্লাস করার জন্য (ছবি দ্রস্টব্য)।

এই পদদ্ধতিতে আমরা আমাদের অর্থ, পানি, এবং ইলেকট্রিসিটি বাচাতে পারি।

আমি প্রকৌশলি না, একজন অনুজীববিজ্ঞানের ছাত্র। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি বলতে পারি এই পদ্ধতি ব্যবহরের জন্য সাস্থ্যগত কোন সমস্যা দেখা যাবার সম্ভবনা নাই বললেই চলে।

আমরা যদি এই সিস্টেমটা ডেভেলপ করতে পারি আমাদের বাসা-বাড়ীতে, অফিসে, এবং হালের হাই-রাইজ এপার্টমেন্টে তাহলে আমরা প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পানির বাচাতে পারব।


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপত্তি জানালাম। এটি একইসাথে সামহোয়্যারইন ব্লগে প্রকাশিত। অতিথি লেখকদের ক্ষেত্রে এই ধরনের লেখা সাধারনতঃ প্রথম পাতায় দেয়া হয় না।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার জানা ছিল না ব্যাপারটা। আমি ভেবেছিলাম মডারেশন পাস করতে পারি নি লেখাটা, তাই একটু অবাকই হয়েছিলাম।

ধন্যবাদ।

--বাপ্পী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।