রাতে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়, রাতটা অন্ধকারের জন্য। অন্ধকারের মিউজিয়াম।
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যে গাছ আছে অথবা হলুদ বাতি, যারা এই মিউজিয়ামে সবসময়
প্রদর্শিত, তারাও মাঝে মাঝে অন্ধকারে ডুঁব দেয়... মিউজিয়াম তখন একাকী হয়ে যায়,
আরো অন্ধকার হয়ে উঠে।
মিউজিয়ামে, কোনো রাতে একটা মায়াবী চাঁদ এসে আলো দিয়ে যায়, তখন অন্য সব তার আড়ালে লুকিয়ে নেয় নিজেদের। রূপালি হয়ে যায় সব অন্ধকার, মিউজিয়ামের হলুদ বাতি অথবা গাছ... উড়ে উড়ে আসে জোনাকিরা। তারা উড়ে যায়। আলো উড়ে যায়। রূপালি কাহিনী তখন শেষ পর্যায়ে,তারাও চলে যাবে বলে ঠিক করেছে, মিউজিয়ামকে একা রেখে
চাঁদ চলে গেলে, জোনাকিরা চলে গেলে- মিউজিয়াম আবার অন্ধকার, আগের মতো।
হলুদ বাতি জ্বলে আছে, গাছগুলো আছে। পাখিরা সব সুখনিদ্রায়। কেউ উঁকিঝুঁকি মারে। আবার ঘুমিয়ে যায়। তারপর কোথাও লক্ষীর পেঁচা ডেকে উঠে। প্রদর্শনী শুরু হয় পেঁচার ডাকের...
প্রদর্শনী শেষে ভোরের আলো আসার প্রস্তুতি শুরু করে। আর অন্যদিকে মিউজিয়াম চিন্তা করছে তার সাটার ফেলার। গাছেরা সব ঘুমোতে যাবে, হলুদও বাতিও ঘুমোবে।
আবার যখন রাত হবে। অন্ধকারে ডুঁবে যাবে চারপাশ, তখন তারা হয়তো মিউজিয়ামে যাবে। নতুন করে প্রদর্শনী শুরু হবে...অথবা হবে না
রাতে হাঁটতে গেলেই আমার মনে হয়, এই রাত-গাছ-পাখি-চাঁদ সবকিছুরই প্রদর্শনী চলছে
পুরো অন্ধকার জুড়েই যেন একটা মিউজিয়াম দাঁড়িয়ে আছে
জাকির জাহামজেদ
মন্তব্য