প্রথম আলোর লিঙ্ক
http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=32&date=2009-07-05
আমার মেইন ছবি
আজকে সকালে (৫ই জুলাই, ২০০৯) ঘুম ভেঙ্গে চায়ের কাপের সাথে প্রথম আলোটা হাতে নিয়ে চমকে উঠলাম। আরিব্বাস, আমি যে বেশ ফেমাস হয়ে গেলাম। আমার তোলা ছবি ছাপা হয়েছে। আমি ত খুশিতে বাকবাকুম অবস্থা। কারন, আমি যেই ছবি তুলি, সেগুলা ছবি হিশেবে কেমন সেটা আর নাই বা বললাম। সখের বশে টুক টাক ছবি তুলি আর কি...ফ্লিকর এ আমার একটি অ্যাকাউন্ট আছে। ওখানে ছবি আপলোড দেই। যাইহক,
কিন্তু একটু পর টের পেলাম, সেখানে কোথাও আমার নাম উল্লেখ নেই। আমার ছবি কোনো এক গায়েবি উপায়ে তাদের কাছে চলে গিয়েছে। ইস, আমি কত্ত ফেমাস,আমার ছবি আকাশে বাতাসে উরাউরি করে, মানুষ গাছ থেকে আম পারার মত মনের আনন্দে ছবি পেরে মেরে দেয়। এইসব ভাবনা যখন ভাবছি, তখুনি খেয়াল হল, আরে...এটা ত চুরি। নিয়ম হল অন্তত আমার ছবি ইউজ করলে আমাকে একটু জানালেই হত । একটা মেইল ও করতে পারত। কিন্তু আমি যে ফেমাস মানুষ, তাই মনে হয় তারা আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার লোভ সামলাতে পারেনি।
আমি অভিভুত,আমি সারপ্রাইজড। তবে ছবি দেখে না,প্রথম আলোর মত পত্রিকায় ছবি চুরির চর্চা দেখে।
যারা সারাদেশে "বদলে যাও, বদলে দাও" স্লোগান তুলে তুলে মুখের থুথু ঘন করে ফেলেছে, তারাই এই চুরি করে। আমি বুঝিনা, কিছুই মেলেনা।
ওদের ফোন দিলাম, অপারেটর বেশ কয়েকবার আমাকে ঘুরাল, আমি কোন হেপ্ল পেলাম না। উপায়ান্তর না দেখে ওই পাতার এডিটর কে মেইল করলাম, এখনো কোন রিপ্লাই পেলাম না। ভাবছি , কাল সরাসরি অফিস এ যাব, দেখি কি হয়।
আমি এই সচলায়তন এর একজন নিয়মিত পাঠক। লেখার অভ্যাস কম। ভেবেছিলাম,এখানে লেখা শুরু করব ভাল কিছু দিয়ে, তার বদলে আমাকে লিখতে হচ্ছে এই চুরির কাহিনি নিয়ে। কি আর করা,ভাবলাম এখানে লিখলে মানুষ বেশি জানতে পারবে।
নাহ, মেজাজটা ঠিক হচ্ছে না। যাই, বারান্দায় গিয়ে একটু বসে থাকি। থাকি আমি ১০ তলায়।এখান থেকে আকাশটা বেশ কাছের লাগে। রাতের ঢাকাটাও খুব সুন্দর লাগে দেখতে। সে গল্প পরে করব। এখন যাই। তাড়া আছে। চা বানানো শেষ। বারান্দায় বসে চা খাবো। ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য
ব্যাপার না! আলুপেপারে ছবি চুরি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
দ্রোহী ভাই, নিত্যনৈমিত্তিক যে আর কি কি হবে তাই ভাবতেছি। শালারা এভাবে যে ছবি চুরি করে জানা ছিল না।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
এমন কত ঘটনা যে ঘটে। তারা দেখায় তারা দুধে ধোঁয়া তুলসি পাতা। আসলে যে কি তাতো বোঝাই যাচ্ছে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
চুরি গ্রহণযোগ্য নয় কোনভাবেই।প্রতিবাদ করেছিলেনতো?
অবকাশ
ঠিক !
নির্জন স্বাক্ষর
এটা এত বার হতে দেয়া যায় না।আমাদের কিছু একটা করা উিচত।
পলাশ ভাই, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কপিরাইট সাইন অনেকেই ইউজ করে, আমার কেন যেন দিতে ভাল লাগেনা...ছবিটা একেবারে ফ্রেস দেখতে ভাল লাগে। এখন মনে হচ্ছে দিতেই হবে...উপায় নাই।
তবে প্রতিবাদ অবশ্যই করব।
নির্জন স্বাক্ষর
পান্থ ভাই, আর কত লজ্জা যে সামনে আছে কে জানে...তবুও আশা রাখি, হয়ত তাদের বোধদয় হবে
নির্জন স্বাক্ষর
ভাল কইসেন খাইরুল ভাই। একদম সত্য।
নির্জন স্বাক্ষর
ওই অরন্য, আবার পার্টি চাও ???
মাথায় পানি ঢাল। আমি আবার "সেলিব্রেটি ফটোগ্রপার" হইলাম কবে?
তবে কথা কইসো সত্য
তোমার ছবি দেখে বরাবরের মতই মুগ্ধ!
তুমি ছবিতে embossed textured digital sign এর মত করে কিছু add করে রাখতে পারো।
আর অবশ্যই প্রথম আলো অফিসে প্রতিবাদ করো।
ছিঃ ছিঃ কী লজ্জার কথা।
প্রথম আলোর স্লোগান হল বদলে যাও, বদলে দাও। কিন্তু তারা যে বদলাবে তা তো কোথাও বলেনি।
আমরা নিজে যা করিনা অপরকে তা অনায়াসে করতে বলি, এই হছ্ছে আমাদের সমস্যা।
ভাই, একটা পার্টি দেন...
অরণ্য আনাম
প্রথম আলো অনেকেরই ছবি চুরি করে ছাপায়, যখন ধরা খায়, তখন ক্ষমা চেয়ে শেষ..তারপর আবার শুরু হয় চুরি....
আশরাফ ভাই, আপনি বললাম এখন আমাদের "সেলিব্রেটি ফটোগ্রপার" .
মামুন ভাই, এক্কেরে মনের কথা টা কইসেন। একটা হৈ চৈ বাধাতে হবে। নাহলে তাদের টনক নরবেনা।
@ রাসেল ভাই
বাহ, আপনার আর আমার নামের তো বেশ মিল আছে দেখছি।
আমার পুরো নাম আশরাফুল আলম। সে যাইহক, ব্যাপারটা সত্যি দু:খজনক। আসলে ব্যাপারটা কি জানেন...পুরোটাই মানসিক। চুরির মানসিকতা থাকলে এরকম ঘটনা ঘটটেই থাকবে।
বিশ্রী ব্যাপার, এত নামকরা পত্রিকা অথচ লাজ লজ্জা বলতে কিছু নাই। আপনি গিয়ে একটা হৈ চৈ বাধিয়ে দিয়ে আসেন।
ব্যাপারটা আসলেই দু:খজনক
আশরাফুল আলম রাসেল
ও আচ্ছা, আমার নাম ই ত লিখলাম না
নির্জন স্বাক্ষর