ছোটবেলা থেকেই আকাঁআকির প্রতি ছিল অবাধ্য্ দূর্বলতা। যদিও শিল্পকর্ম বলতে যা বুঝায় তার ধারকাছ দিয়েও ওগুলো যেত না। “কি সব ছাই-পাশ….”, “অনর্থক টাকা নষ্ট”…, এধরনের অনেক শাণিত প্রশংসা শুনলেও আকাঁআকির প্রতি তীব্র অনুরাগের অতটুকু পরিবর্তন হয়নি আমার কখনও।
আমি তখন শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আমার আর্ট গুরু অরবিন্দু দাশগুপ্ত এক সন্ধ্যায় ফোন করে বললেন আগামী পরশু একটা Group Exhibition আছে, তুমি একটা পোট্রেট একেঁ কাল বিকেলের মধ্যে যেকোন ভাবেই হোক জমা দাও। অবজ্ঞা কর না। গুরু আদেশ শিরোধার্য। পোট্রেট আকঁব, কিন্তু মডেল তো লাগবে! আশেপাশে তো দেখতে পাচ্ছি না। ঐদিন রাতে নিকট প্রতিবেশী দীপা আন্টি বেড়াতে আসলেন উনার দু-জমজ বাচ্চা নিয়ে আমাদের বাসায়। সুমিত আর অমিত। বয়স ৮। তাদেরকে দেখামাত্রই পরিকল্পনা করতে দেরি করলাম না। ছবির নামও ঠিক করে নিলাম। “Dream”. আন্টিকে বলা মাত্রই অত্যু উৎসাহে সায় দিলেন। আমি তাদেরকে আমার রুমে নিয়ে আসলাম। সুমিত ভায়া, তুমি টেবিলে মাথাটা টেবিলে হেলান দিয়ে বস, আর অমিত ভায়া, তুমি বড়দার কাধেঁ হাত দিয়ে আমার দিকে একটু তাকিয়ে থেকো, কেমন! দাদাভাইয়া, হেলান কি? - অমিতের কৌতুহলী প্রশ্ন। যন্ত্রনার শুরুই যে তখন, আগে বুঝতে পারিনি।
(চলবে)
Ripon (ripon4t@yahoo.com)
আমার আরও কিছু তথাকথিত “ছাই-পাশ” এর প্রমাণকপি না দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এই আশা রাখি।
মন্তব্য