সাঁঝের মায়ায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৮/০১/২০১১ - ৩:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল থেকে বেশ কর্মব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়ে বিকেল নাগাদ যখন বাড়ি ফিরি তখন পুরো শরীর জুড়ে এক ধরনের তিক্ত অবসাদ নেমে আসে। এ সময়টা না ভালো লাগে ঘুমিয়ে কাটাতে আর না ভালো লাগে চুপচাপ বসে থাকতে। তাই প্রতিদিনই এ সময়টায় বাইরে বেরিয়ে পড়ি। বাসার কিছুটা দূরেই ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ রেল পথ। রেল লাইন ধরে হাঁটার মজাটা পেয়েছিলাম সেই ছোটবেলায়। প্রতিদিন বিকেলে বাবার হাত ধরে এই রেল লাইন ধরে হাঁটতাম। অবশেষে এটি একটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এখন যদিও বাবা নেই কিন্তু অভ্যাসটা ছাড়তে পারি নি। তবে কখনোই মনে হয় নি আমি একা হাঁটছি। সবসময় আমার পাশে বাবার উপস্থিতি টের পাই। মনে হয় বাবা আমার হাত ধরে পাশেই হাঁটছেন আর বলছেন, “ শিপু, এই যে লোহার পাত দেখছ এর উপর রেলের চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে চলে। যদি কখনো এই পাত থেকে চাকা খানিকটা বিচ্যুত হয়ে যায় তবে আর রক্ষে নেই। মানুষের জীবনটাও ঠিক তেমনি। যেই পথে তোমার চলার কথা তা থেকে খানিকটা সড়ে দাঁড়ালেই ভারসাম্য হারাবে, কখনোই লক্ষে পৌঁছতে পারবে না। তোমার মা নেই, আমিও যে চিরদিন বেচে থাকবো তাও নয়। হয়তো একা একাই তোমাকে পথ চলতে হবে তাই সাবধানে পথ চলবে।” কে জানতো বাবার সেদিনের কথাটা এত শীঘ্রই ফলে যাবে। বাবা যে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তা কখনোই জানতে পারিনি। তবে বাবাকে প্রায়ই বেশ চিন্তিত দেখতাম। হয়তো ভাবতেন নিজের অবর্তমানে এই বোকা ছেলেটা কী করবে? বিপদে কে পাশে এসে দাঁড়াবে? একদিন শরতের বিকেলে ঠিকই সকল ভাবনার অবসান ঘটিয়ে বাবা বিদায় নিলেন। আর আমি একূল ওকুল হারিয়ে মাঝ নদীতে হাবুডুবু খেতে লাগলাম। বাবার কথা ভাবতে ভাবতে চোখদুটো ভিজে উঠেছে।

বাসা থেকে মাইল দুয়েক দূরে বশির চাচার চায়ের দোকান। এই লোকের চা বানানোর হাত দারুণ। প্রতিদিন বিকেলে ওনার হাতের এককাপ চা না খেলেই নয়। তাই সেদিকেই হাঁটছি। রেল লাইনের দুপাশে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা হৈ হুল্লোড় করে যাচ্ছে। এদের আবাস পাশের সারিবাঁধা ছোট ছোট ঘর গুলোয় যাকে আমরা বস্তি বলে থাকি। দারিদ্রতা এদের জন্য অভিশাপ। আর এ অভিশাপকে মনের মাঝে পুষে রেখেই দারিদ্রতার প্রতীক হয়ে এরা বেচে থাকে।

অনেকটা পথ চলে এসেছি। সকল হৈ-চৈ পেছনে ফেলে এদিকটায় নীরবতার মূর্তি ধারণ করেছে। পাশের ধানি জমিতে হালকা বাতাসে ঢেউ খেলে যাচ্ছে। আর সেই ঢেউয়ের তালে তালে একটি ফিঙেও উড়ে চলছে মনের আনন্দে। এই সুন্দর পরিবেশে এসেও আজ কেন যেন হরেক রকম চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। যার কোনই অর্থ নেই আবার হয়তো নিগুঢ় অর্থ আছে। হঠাত পেছন দিক থেকে একটি ডাক আমার ভাবনায় ছেঁদ ফেলে। ছেলেটির বয়স আমার মতই হবে। পঁচিশ কি ছাব্বিশ। একটি সাদা পাঞ্জাবী আর জিন্টস পড়ে আছে। চুল উস্কো খুস্ক। চেহারায় কেমন একটা হতাশার ছাপ। ছেলেটি কাছে এসে জিজ্ঞেস করল-
- আপনি কি প্রতিদিন এখনটায় হাঁটেন?
- হ্যাঁ। কেন বলুন তো!
- না মানে, গত তিনদিন যাবত আপনাকে এই সময় এখান থেকে হেঁটে যেতে দেখি তো তাই। তা কোন কাজে যাচ্ছিলেন? তাহলে আর দেরী করাচ্ছি না।
- না না। তেমন কোন কাজ নেই। এখানটায় হাঁটতে ভাল লাগে। তাই প্রতিদিন বিকেলে বের হই।
- ও! তাহলে আপনার সাথে কিছুক্ষণ হাঁটতে পারি। কি বলেন? নাকি বিরক্তি বোধ করবেন।
- না না। ঠিক আছে। সামনে একটা চায়ের দোকান আছে। আমি ওদিকেই যাচ্ছি। চলুন কথা বলতে বলতে যাওয়া যাক।
- ঠিক আছে তাই চলুন।
মনে হল ছেলেটির আবেদনে সাড়া দেয়াতে সে বেজায় খুশী হয়েছে। ছেলেটিকে দেখে ভদ্র বলেই মনে হচ্ছে। মনে অন্য কোন দুরভিসন্ধি আছে কিনা জানি না। তবে কিছু কিছু সময় মানুষ নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য কারো না কারো সঙ্গ পেতে চায়। সে হোক পরিচিত বা অপরিচিত কেউ।

ছেলেটি রেল লাইনের মাঝ দিয়ে মাথা নিচু করে হাঁটছে। মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকায় আবার নিচের দিকে চোখ ফেলে হেঁটে চলে। হয়তো বিরক্তি বোধ করবো ভেবে কথা বলছে না। আমিই যেচে জিজ্ঞেস করলাম-
- আপনিও কি রোজ এদিকটায় আসেন?
ঠোটের কোণে খানিকটা হাসি টেনে-
- না। গত তিনদিন ধরে আসছি। এদিকটা আমাদের মেকী শহরের ভেতরে হলেও একটু ভিন্ন রকম। কেমন যেন মায়া জড়ানো। এখানে এসে নিজেকে নতুন করে চেনা যায়। আর যাই হোক নিজেকে ইট কাঠের খাঁচায় আবদ্ধ কোন জন্তু বলে মনে হয় না।
ছেলেটির কথা শুনে আমি হেসে ফেলি। সে উৎসুক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞেস করল-
- আমি আপনাকে গত দুদিন যাবত লক্ষ করছি। মনে হল আপনি খুব সুখী মানুষ। দুশ্চিন্তার সকল বেড়াজাল ডিঙিয়ে যেন শুভ্র মেঘেদের সাথে পাখা মেলে দিয়েছেন।
- শুভ্র মেঘেও কিন্তু কষ্ট পুঞ্জীভূত হতে দেখা যায়। আর তখন কিন্তু তা মানুষের নজর কাঁড়ে না। আসলে সুখ বা দুঃখকে আমি কখনোই তেমন করে ভেবে দেখি নি। এটা অনেকটা আপেক্ষিক ব্যাপার। আপনি নিজেকে সুখী ভাবুন, দেখবেন মনের মাঝেও সুখানুভব হচ্ছে। আর নিজেকে দুঃখী ভাবুন, দেখবেন পরক্ষণেই চোখের কোণ জল এসে হাজির হয়েছে।
- তা হয়তো ঠিক।

আমরা বশির চাচার দোকানের কাছাকাছি চলে এসেছি। দূর থেকে আমাকে দেখেই উনি পান খাওয়া লালচে দাঁত বের করে হাসলেন। এই লোকের সবচে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের একটি হচ্ছে এর হাসিমাখা মুখ। কোন ছেলেপুলে নেই। দুই বুড়োবুড়ির সংসার। ওনার কথা হচ্ছে, “ সবাই সবকিছু চাইলেই পায় না বাজান। কপাল লাগে। কপালে না থাকলে পামু কই? দুই দিনের এই জীবন কোন রকমে গেলেই অইলো। চোক্ষের পানি ফেইলা কি অইবো? এই মুখে হাসি বাইন্দা রাখছি বইলাই বাইচা আছি তা না অইলে হেই কবেই---।”
- কি বাজান, ভালা আছ?
- জ্বী চাচা। ভালো। আপনি ভালো আছেন?
- হে! হে! আমার আর ভালো। শেষ জীবনে এহন দুইডা খাইয়া পইড়া যাইতে পারলেই অইল।
একটি নড়বরে বেঞ্চিতে আমরা দুজন বসলাম। হঠাত খেয়াল হল এখন পর্যন্ত আমার এই ক্ষণিকের অতিথির নামটাই জানা হল না।
- এই দেখুনতো! কথার ভিড়ে কেউ কারও নামটাই জানতে পারলাম না।
- ওহ! স্যরি। আমি জোবায়ের হাসান।
- আমি মুশফিকুর রহিম। নিক নেম শিপলু। আপনার চা খেতে আপত্তি নেই তো?
- না। তবে না হলেও চলতো।
আমি কিছু বলার আগেই বশির চাচা বলে উঠলেন-
- খান খান। শিপলু বাবাজী খাওয়াইতাছে খান। হেয় অনেক ভালা মানুষ।
বলেই উনি দুটি কাপ আমাদের দিকে বাড়িয়ে দিলেন। জোবায়েরকে সেই প্রথম থেকে লক্ষ করছি, সারাক্ষণ ভাবনার মধ্যে আছে। তাই চায়ের কাপ এগিয়ে দিতেও সে প্রথমে খেয়াল করে নি। চায়ের কাপটা জোবায়েরের হাতে দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলাম-
- আপনাকে বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছে, অনেকটা হতাশাগ্রস্তও।
- নারে ভাই। হতাশা নয়। নিজের প্রতি ক্ষোভ, বিতৃষ্ণা। জীবনের একটা মুহূর্তে এসে সব কিছু অর্থহীন মনে হয়। এই জীবন, প্রিয় কিছু মুখ, এই সুন্দর পৃথিবী সবই যেন অর্থহীন।
- কিছু মনে না করলে আমি কি আপনার সম্পর্কে জানতে পারি? আপত্তি থাকলে দরকার নেই।
বুকের মাঝে চেপে থাকা পাথরটাকে দীর্ঘ নিঃশ্বাসে ঝেড়ে নিয়ে সে বলতে লাগল-
- বাবা মা’র বড় সন্তান আমি। আমার পরে একটি বোন আছে। বাবা স্বল্প বেতনের সরকারী কর্মচারী ছিলেন। গত তিন বছর হল অবসরে গিয়েছেন। এখন পেনশনের যে ক’টি টাকা পান তা দিয়ে খুব কষ্টে দিন চলছে। বড় ছেলে হিসেবে আমার প্রতিই বাবা মা’র আস্থা ছিল। অথচ ভাগ্যের বিড়ম্বনায় এখন পর্যন্ত চার বছরের গ্রাজুয়েশনই শেষ করতে পারলাম না। সেশনজট আমার জীবনের অর্ধেকটাই যেন কেড়ে নিয়েছে। এমন অবস্থায় নিজে যে সংসারের হাল ধরবো তারও উপায় নেই। চাকরীর জন্য এখানে সেখানে ধরনা দিতে লাগলাম। কিন্তু কোন লাভ হলো না। এদিকে ছোট বোনটির বিয়ে দেবার জন্য বাবা বেশ ক’বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। জন্মগত ভাবেই ওর একটি পা অচল। ক্র্যাচে ভর দিয়ে হাঁটতে হয়। তাই পাত্র পাওটা মুশকিল ছিল। অবশেষে যাও পেলেন পাত্রপক্ষ মোটা অংকের উপঢৌকন দাবি করে বসল। বাবাও কিছু না ভেবেই রাজী হয়ে গেলেন। বিয়ের দিনক্ষণ সবই ঠিক হয়ে ছিল। গত সোমবার ওকে নিয়ে যাবার কথা। কিন্তু তখন পর্যন্ত বাবা বরপক্ষের দাবীকৃত টাকার যোগার করতে পারেন নি। তারপর আর তারা আমার বোনকে ওদের বাড়িতে নেবার প্রয়োজনবোধ করে নি। আমি আবার নেমে পড়লাম ঢাকার রাজপথে। বিদ্যার দুখানা অপুষ্ট সীলমোহর বগলে চাপিয়ে ঘুরতে লাগলাম চাকরির সন্ধানে। সারাদিন হেঁটে হেঁটে যখন ক্লান্ত হয়ে যাই তখন এই দিকটায় চলে আসি। ভালো লাগে। গত তিনদিন ধরেই আপনাকে লক্ষ করছিলাম। অবশেষে আজ কত কথাই না হল। এটা আমার একটা সৌভাগ্যই বলতে পারেন। নিজের মনের কষ্টগুলো আজ বহুদিন পরে কারো সাথে শেয়ার করতে পারলাম। এখন নিজেকে বেশ হালকা মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে বুকের উপর চেপে থাকা সেই পাহার সম পাথরটা এইমাত্র বুঝি সড়ে গেল।

কথাগুলো বলা শেষে খুব কষ্টে জোবায়ের ঠোঁটের কোণে হাসি টেনে বলল-
- আপনার অনেক সময় নষ্ট করলাম। তাই না?
- না না। তা হবে কেন! আসলে কাউকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে কে কতটুকু কষ্ট ধারণ করার ক্ষমতা রাখে। ধৈর্য হারাবেন না। একদিন না একদিন ঠিকই দেখবেন মেঘ কেটে গেছে।
এদিকে সন্ধ্যাও হয়ে আসছে এখন উঠতে হবে তা না হলে আজকের টিউশনিটাও মিস হবে। তাই আমি উঠে দাঁড়ালাম-
- জোবায়ের ভাই, আমার এখন উঠতে হচ্ছে। আমি ওদিকে যাব। আপনার পথ কোনদিকে।
- আমার পথ ভাই উল্টোদিকে। আপনার বোধহয় দেরী হয়ে যাচ্ছে। আপনি বরং চলেই যান। আমি কিছুক্ষণ পরে উঠছি।
- ঠিক আছে। ভালো থাকবেন। কিছুতেই ধৈর্যহারা হবেন না। আর হ্যাঁ, সময় পেলে আমার বাসায় চলে আসবেন। হোসেন মোল্লা রোডের মাথায় যে পোস্ট অফিস তার ডান দিকের ভবনের দোতলায় আমি থাকি। ওখানে গিয়ে আমার কথা বললেই হবে।
- ঠিক আছে শিপলু ভাই। আপনিও ভালো থাকবেন।

জোবায়েরকে বিদায় জানিয়ে আমি ফিরতি পথ ধরলাম। ওর কথাগুলো শোনার পর থেকে খুব খারাপ লাগছে। এতদিন কষ্টের তীব্রতা যতটা অনুভব করেছি আজ ওর কথাগুলো শুনে নিজের কষ্টগুলোকে বেশ তুচ্ছই মনে হচ্ছে। আমি কি ওর জন্য কিছু করতে পারি? যাতে করে সে তার বাবা, মা ও বোনের মুখে হাসি ফুটাতে পারে। ভেবে পাচ্ছি না। মাথার ভেতর ফাঁকা হয়ে আসছে। দূর থেকে ট্রেনের হুইশেল শোনা যাচ্ছে।

ট্রেনটা ঝক ঝক শব্দ তুলে আমায় পাশ কাটিয়ে চলে গেল। শব্দটা পেছন দিকে সরে যাচ্ছে। ট্রেনের ঝক ঝক শব্দ যত ক্ষীণ হতে লাগল একটা হৈ-চৈ রব তত বেশী কানে বাজতে লাগল। কী ঘটেছে দেখার জন্য পেছনে ঘুরে তাকালাম। দূর থেকেই দেখতে পাচ্ছি একটা বড় ধরনের জটলা, ঠিক বশির চাচার দোকানের সামনেই। মনের মধ্যে খটকা লাগল। তড়িঘড়ি করে জটলার দিকে পা বাড়াই। ভিড় ঠেলে সামনে এগিয়ে যা দেখলাম তাতে আমি স্থির থাকতে পারছিলাম না। মাথাটা পুরোপুরি থেঁতলে গেছে। তবে গায়ের সাদা পাঞ্জাবী আর জিন্টস দেখে লোকটিকে চিনতে অসুবিধে হল না। বশির চাচা আমায় দেখে এগিয়ে এলেন, তাঁর চোখে পানি টলটল করছে।
- পারলাম না বাজান। বাচাইতে পারলাম না। টেরেন আইতে দেইখাই সামনে গিয়া খাড়াইছে। আমি দোকান থেইকা দৌড়ায়া নামছি ধরতে যামু তার আগেই টেরেনের তলে মাতা গেছে গা।

ঠিক কখন যে চোখের কোণে পানি এসে জমেছে টের পাইনি। যখন তা গড়িয়ে গড়িয়ে পরছিল তখন বুঝতে পারলাম যে আমিও কাঁদছি। পৃথিবীতে মায়ার বাঁধনটা এতটাই জোরালো যে নিমেষেই সে যে কাউকে জড়িয়ে ফেলতে পারে। জোবায়েরের সাথে কত কথাই হল অথচ ওর বাড়ি কোথায় তাই জানা হয় নি। পরক্ষণেই পাশে ছিটকে পড়া একটি ফাইলের দিকে চোখ পড়ে। এতে ওর সার্টিফিকেটগুলো থাকার কথা। সেখান থেকে হয়তো ওর বাড়ির ঠিকানাটা যোগাড় করা যাবে।
ঈশান কোণে মেঘ জমে জমে ভারী হয়ে উঠছে। বেশ কিছুদিন একটানা খরা গেছে। আজ হয়তো বৃষ্টি হবে, সেই সাথে ঝড়ও।


মন্তব্য

সচল জাহিদ এর ছবি

ভাল লেগেছে।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই পোস্টের টিজার অস্বাভাবিক রকমের বড়। মুর্শেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর হয়েছে ভাই।
আরো গল্প লিখুন। নিশ্চয়ই আরো ভালো গল্প বেরিয়ে আসবে আপনার হাত থেকে।
সিগ্নেচার হিসেবে জিআইএফ ইমেজটা দৃষ্টি উৎপীড়ক।

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু নির্মম বাস্তবতা।

চমৎকার লিখেছেন।

-অতীত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।