সুরঞ্জিত সুরমূর্ছনার সুললিত শৈশব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১০/০১/২০১১ - ৬:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গান, অর্থাৎ সঙ্গীত। আহ! কী হৃদয়ব্যাঞ্জনাকর একটা বিষয়! কথা আর সুরের মায়াজালে আমাদের নিয়ে চলে সময় আর অনুভূতির সীমাহীন কল্পনার জগতে। এ নিয়ে আমার ছোটবেলা থেকেই ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু কেন জানি আমার কাছে সুরটাই বেশি ভালো লাগত। সেখানে গানের কথা কিংবা মর্ম বোঝাটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিলনা। আর তাই, স্বতস্ফুর্ত আবেগে এই বাজখাঁই গলার টোন টিউন না করে, কিংবা পরিবেশের আশু শব্দদূষণের সম্ভাবনার তোয়াক্কা না করে কেবলমাত্র লা-লা-লা অথবা উম-উম-উউউ করেই আমার সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যেতাম সারাদিন। আর একারণে প্রাণপণ চেষ্টায় এখন আগের শোনা অনেক গানের সুর মনে করতে পারলেও কথা স্মরণ করতে পারিনা। আমাদের একান্নবর্তী পরিবারের বাসায় তখন শুধু একটা রেডিও আর একটা ১৭ ইঞ্চি ফিলিপস্‌ টিভি ছিল। সেখানে ঐ সময় কেবল শুক্রবারে বাংলা ছিনেমা দেখাত আর সম্ভবত সোমবারে ছায়াছন্দ হত। তাছাড়া হিন্দী ন্যাশনাল চ্যানেল ধরত টিভিতে ডিশ না থাকলেও, বর্ডার এলাকায় গ্রামের বাড়ি থাকার সুবাদে। সেখানে কিছু গানের প্রোগ্রাম হত আলিফ লাইলার পাশাপাশি।

আর ছিল আমাদের পাশের বাসা। তাদের একটা ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল। সারাদিন ধুমধাড়াক্কা বেজে চলত সেটা তদকালীন হিন্দী আর বাংলা হিট সব হট আইটেমসং এ। বেশিরভাগই বাজত হিন্দী গান। এমনকি এখনও আমাদের গ্রামে এ অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। চা এর স্টলে কিংবা মুদির দোকানে এখনও সেসব গান চলে সমানে সময়কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। তো যাইহোক সেই রেডিও, টিভি আর ক্যাসেট প্লেয়ারকেই বলা চলে আমার সঙ্গীত সাধনার(!) হাতেখড়ির উৎস। আমিসহ আমার কাজিন্দের অত্যন্ত সৃষ্টিশীল এবং মনোযোগী অন্তকরণের কারণে এবং সর্বোপরি গানের প্রতি ভালবাসা থেকে সেই বালকবয়সেই অনেক রিমিক্স বের করে ফেলেছিলাম। যেমন- “দেখা হ্যায় প্যাহেলি বার, কটকটি (এক প্রকার গুড় দিয়ে তৈরি মিষ্টান্ন জাতীয় বস্তু) দ্যাড় (দেড়) টাকা স্যার (সের)” অথবা “ওহহ নদীরে, বারবারই মুতি শুধু তোর ধারে” অথবা “আই য়্যাম এ ডিসকো ড্যান্সার, বিড়ি খাইলে হয় ক্যান্সার” অথবা “নীল আকাশের নিচে আমি, ঘামছি রোদে একা” অথবা “সব সখীরে পার করিতে নেব আনা আনা, তোমার কাছে নেব সখী বদনা একখানা” ইত্যাদি ইত্যাদি।

স্কুলে আমার মত হেঁড়ে গলাধারীর গান গাওয়ার কোনো সুযোগ কিংবা নিয়ম ছিল না; ব্যাপারটা শারীরিক, সামাজিক আর পরিবেশগত সব দিক থেকেই বিপজ্জনক। আর তাই বাসাতে যতক্ষণ থাকতাম, প্রায়শই গুনগুন করতাম। সেখানেও অলিখিত সময়সূচী ছিল অবশ্য। অন্ততঃ পড়ার সময় সঙ্গীত সাধনা তো দূরে থাক, আমার হৃদস্পন্দনের পক্ষেও সম্ভব ছিল না অন্য কোনোদিকে মনোযোগ দিক। কারণ আব্বু থাকত সামনে মূর্তিমান। সমস্ত চিত্ত নিমজ্জিত আদর্শ ছাত্রের মূকাভিনয়ে আর সমস্ত ইন্দ্রিয় কেন্দ্রীভূত আব্বুর গর্জন কিংবা বর্ষণের অপেক্ষায়। আর শুধু খাওয়ার সময় যখন মুখ ব্যস্ত থাকত গলাধঃকরণ প্রক্রিয়ায় তখন বন্ধ রাখতে হত আমার গলাবাজি। তারপরও কিভাবে জানি একদিন ডিমপোচ দিয়ে ভাত খেতে খেতে মনের খায়েশে আনমনে সুর ধরলাম “বেদের মেয়ে জোছনা আমায়...”। কিন্তু কথা দেয়া শুরু না করতেই বিপত্তি। গানের মর্ম কিংবা গলার ভোকাল কর্ডের সাথে মুখে উপবিষ্ট ভাত ঠিক সুবিধা করে উঠতে না পারায় প্রায় অর্ধেক পরিমাণ মুখে ফসকে গিয়ে ছিটকে পড়ল সামনে বসা আম্মুর গায়ে। ভাবলাম এবার মনে হয় খবরই আছে। আমার সাধের গানেরে আম্মু এবার মনে হয় পিটিয়ে তক্তার তক্‌মা লাগিয়ে দেবেন। কিন্তু সেসময় মুখ দিয়ে যে আওয়াজ বের হল তাতে শুধু আম্মু কিংবা আশপাশের আর সবাই না, আমি শুদ্ধ চমকে উঠলাম। পুরা রাঁতা মোরগের ডাকের মত মনে হল আওয়াজটা- কঁকঁকঁ। আম্মু এমনভাবে তাকালেন আমার দিকে যেন মনে হল ডিমপোচ খেতে গিয়ে গলায় আটকে গেছে। মাছের কাঁটার মত। প্রাণ বাঁচাতে বাম হাত দিয়ে চোখমুখ বন্ধ করে পানির গ্লাস খোজার ভান করলাম যাতে কেউ বুঝতে না পারে ঘটনার উৎস কী। ভাবখানা এমন যেন বেদম একখান বিষম খেয়েছি ডিমপোচে। যাইহোক সেযাত্রা কোনোমতে রক্ষা হল সেদিন।

তবুও শেষরক্ষা হল না। এর পরে আর একদিন আমার চাচাত ভাই আমার গলার মানসম্মানের ফালুদা বানিয়ে দিল আম্মুর সামনেই। ছুটির দিন, বিকালবেলা। আমাদের উঠোনে আমরা কাজিনরা মিলে ঘোরাফেরা করছি। আম্মু বারান্দায় দাদু আর চাচীদের সাথে গপ্পে ব্যস্ত। পাশের বাসায় তখন হিন্দী গানের ক্যাসেট চলছিল। আমি আর আমার একবছরের বড় অনিক ভাই সে গানের সাথে গলায় তাল দিচ্ছিলাম আঁআঁ উঁউঁ লালা প্রভৃত শ্রুতিব্যাঞ্জনাময় সুরে। হিন্দী বুঝি না। প্রথম দুই এক কলি বারবার শোনায় মুখস্ত হয়ে গেলেও বাকিটুকুর জন্যে ঐ সুরই ছিল ভরসা। মনে হয় দূর থেকে আমাদের দুজনের এমন হেঁড়ে গলায় তারস্বরে চেঁচানো সহ্য করতে না পেরেই আম্মু একটু পরে ডাকলেন দুজনকে। গেলাম সুরের তালেই অনেকটা নাচতে নাচতে। আম্মু জিজ্ঞাসা করলেন- কী করছিস? থতমত খেয়ে বললাম- কেন গান গাচ্ছি। বুঝছেন না? বুঝব কীভাবে? আওয়াজ শুনে তো মনে হচ্ছে ফাঁপা তল্লাবাঁশ ফাটাচ্ছে কাঠমিস্ত্রী। গান গাচ্ছিস তো কথা কোথায় গানের? একটু দমে গেলেও আস্তে বললাম ভাব নিয়ে- কথা তো জানি কিন্তু সুর বেশি ভালো লাগে, তাই সুর দিচ্ছি। আম্মু বললেন- কয়টা গানের কথা জানিস? আমি বললাম তার কি ঠিক আছে? অনেক তো হবে নিশ্চয়ই। গুণিনি তো কখনও। আম্মু বললেন তবে ধর্‌ একটা। আমরাও শুনি। অন্যেরাও একে একে সায় দিল। আমি হঠাৎ নিজের মধ্যে গর্ব আর লজ্জার মিশ্র অনুভূতির টের পেলাম। এত অডিয়েন্সের সামনে কি ঠিক মত দেখাতে পারব আমার সুপ্ত প্রতিভা? “তোমাকেই খুজছে বাংলাদেশ” টাইপের মত অবস্থা। যাই হোক অনেকখানি দম নিয়ে একটু পরে গলা ছেড়ে হেঁকে উঠলাম- “তুত্‌ তুত্‌ তুউউ তুত্‌ তুত্‌ তারা; তোড়োনা-আ দিল হামারা। লালাল্লা লাআলা লালালা লাআলা...”। পুরাটা শেষ হয়নি তখনও। কিন্তু মাঝখানে হঠাৎ বেরসিকভাবে বজ্জাত অনিক ভাই একেবারে হোহো করে হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। আমার গানের কথা আর সুরের বেসুর ইন্দ্রজালে। এবং নিয়তির নির্মম পরিহাস! হাসি জিনিসটা বড়ই বিষদ রকমের সংক্রামক। মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়ল আশেপাশেও প্রায় সাথে সাথে। আমি তখনো ঠিক বুঝিনি কী হল। আম্মু কোনোমতে হাসি সামলে বললেন- “এই তোর গানের কথা? লালাল্লা লাআলা?” হায়রে দুনিয়া! সুরের মর্ম আর কী বুঝে? আমি হতভম্ব হয়ে রইলাম। আম্মুরা আশেপাশে না থাকলে ঠিকই সেদিন মনে হয় অনিক ভাইকে আমি জ্যান্ত ফাটা বাঁশে গেড়ে দিতাম। এর পর থেকেই আমি একটু একটু কথার দিকে নজর দেয়া শুরু করলাম সুরের সাথে। কিন্তু কেন জানি শুধু সুরটাই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেত। এখনো অনেকটা তাই। তবে আমার সুরবহুল গানচর্চা অব্যাহত থাকল।

দাদুবাড়ি ছেড়ে নতুন বাসায় উঠলাম কিছুদিন পর। এখানে আগের মত বড় উঠোন নেই। আর তাই আমার সঙ্গীত চর্চা ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল। নিজ তাগিদে বিনা পয়সায় ছোটভাইদের সুরের তালে আচ্ছন্ন করতে লাগলাম। বেশিরভাগ সময়ই তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। তবে সাপ্তাহিক শুক্রবার ছিল আমার জন্যে অনেকটা মানহানিকর দূর্বিষহ দিন। সকালবেলা পড়া শেষে প্রায়শই গুনগুন করে গান ধরতাম। আর একটু পরপর রান্নাঘর থেকে আম্মুর আওয়াজ ভেসে আসত- “এএই! ভিক্ষুক আসছে। পয়সা দে”। গ্রামাঞ্চলে কিংবা মফস্বল এলাকায় যারা থাকেন তারা মনে হয় জানেন যে এসব জায়গায় এলাকাভিত্তিক দিন বরাদ্দ করা থাকে ভিক্ষুকদের। নির্দিষ্ট দিনে ঐ এলাকায় আশপাশের প্রায় সমস্ত ভিক্ষুক ধর্ণা দেয়। আমাদের এলাকায় এমন দিন ছিল শুক্রবার। ঐদিন ভিক্ষুকের সয়লাবে প্রায় সরগরম হয়ে থাকত আমাদের বাসা। আর তাই ঠিক আম্মু বুঝতেন না কোনটা ভিক্ষুকের ডাক আর কোনটা আমার হাঁক। আমি ভাবতাম প্রথম দিকে যে আম্মু কি ইচ্ছা করেই করছেন এমনটা? কিন্তু নাহ্‌। কয়েকদিন রান্নাঘরে নিজে উপস্থিত থেকে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম, আম্মুর কোনো দোষ নাই, রান্নাঘরই যত নষ্টের গোড়া। আর তাই আম্মুকে নিজের অমৃতস্বর বোঝাতে রান্নাঘরে আয়োজন শুরু করলাম। কিন্তু দুদিন না যেতেই আমার গলাবাজিতে বিরক্ত হয়ে গলাখাঁকারি দিয়ে আম্মু তেড়ে আসলেন রুটি বানানো বেলন সমেত। আম্মুর উপর আস্থা থাকলেও সেই অসুর সাইজের বেলনের উপর আমার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস ছিল না। আর তাই বাধ্য হয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলাম। তবে লাগামহীন প্রাণান্ত চেষ্টার এই সুরমূর্ছনার একটা হতাশাজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে থাকল কিছুদিন পরেই। ভিক্ষুক আসলে আম্মু আগে টের পেতেন কারণ রান্নাঘর বাসার গেটের দিকে, আর আম্মু রান্নাঘরেই বেশিরভাগ সময় থাকতেন। ভিক্ষুকের আওয়াজ আমাদের কানে ঠিকমত যেত না। ভাই এরা ষড়যন্ত্র করে বলত আমার কারণেও হতে পারে এটা। তো যাইহোক কিছুদিন পর দেখা গেল আম্মুও ভিক্ষুকের ডাক শুনতে পাচ্ছেন না। গেটে জোরে ধাক্কা দিয়ে তার উপস্থিতি জানান দিতে হচ্ছে। মেটাল গেট হওয়ায় হড়াম হড়াম তীব্র শব্দে কানের ভবলীলা সাঙ্গ হওয়ার অবস্থা। কলিং বেল এর সুইচ ঠিকমত বুঝতে পারেনা। কি ব্যাপার? কারণ অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেল আর কিছুই নয়। নিত্যনৈমিত্তিক আমার গলা শুনে শুনে আম্মুর এমন অবস্থা হয়েছে যে ভিক্ষুক ডাকলে আম্মুর মনে হয় আমি গাইছি। আর তাই তিনি কোনো উত্তর দেন না। বাধ্য হয়ে ভিক্ষুক গেট ধাক্কায়। আমি তখন মেঝের ধূলিতে নিজের অস্তিত্ব খুজে বেড়াচ্ছি।

শেষকথাঃ আমার সুরসাধনা এখনও বিদ্যমান। তবে তা শোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সুরযুক্ত স্বরনির্গম করার সাহস অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি। সবাই তো আর আম্মুর মত নিরীহ নয়। তবে এখন আমি বাংলা গানই বেশি শুনি। এরপর ইংরেজি এবং তারপর হিন্দী। আমাদের নিজস্ব গানের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য যে কত সমৃদ্ধ তা তো বলার দরকার নেই মনে হয় কারও কাছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের আমার প্রিয় মিউজিসিয়ান অর্ণব। তার নিজে গাওয়া তো আছেই, এমনকি তার ও তার ব্যান্ডের কম্পোজ করা প্রায় প্রতিটি মিউজিক অনেক ভালো লাগে। এইখানে একটি নমুনা দিলাম। আশা করি ভালো লাগবে সবার।
শিরোনামঃ খোজ
এলবামঃ বুঝছ
ব্যান্ডঃ প্রেয়ার হল

-অতীত


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনে যে অনেক ভাল গান করেন সেইটা আমি জানি দেঁতো হাসি
লেখা ভাল হইসে। তবে শুধুমাত্র নিজের সংগীত প্রতিভা নিয়ে লিকলেই কি হবে? মাঝে মাঝে তারু ভাইয়ের সুনিধি চৌহান টাইপ কন্ঠ আর সাঞ্জুদা'র সানু নিগাম-কি তেরা আওয়াজ আর শ্রুক খান জেয়সা- চেহরে নিয়া লেকতে হবে ত। দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি
লেখার ব্যাপারে একটা জিনিস হল,বিভিন্নজনের উদ্ধৃতিগুলো আলাদা লাইনে স্থাপন করে কোট মার্ক ("...") এর ভিতর হান্দাইয়া দিতে পারলে মনয় ভাল হয়।
আর, প্রেয়ার হলের খোজ গানটার নাম শুধুমাত্র না লিখে, লিঙ্ক জুড়ে দিতে পারলে ভাল হইত।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্য পড়ে আন্দাজ করতেছি আপনি ধৈবত।

যাইহোক আমি ভাল গান করি এই অপবাদ শুনলেন কোথায়??? অ্যাঁ আমি শুধু গান শুনি এখন। গাওয়ার দুঃসাহস তো করিনাই। মাঝখানে লিঙ্কিন পার্ক এর সাথে গলা মেলানোর চেষ্টা করেছিলাম কিছুদিন হলে থাকতে। কিন্তু ঐটা রাতে টহলরত গ্রাম্য চৌকিদারের হাঁকের সাথে মিলে যেত প্রায়। ইয়ে, মানে...

আর এইখানে তারেক কিংবা সঞ্জয় কে ঢোকাই ক্যাম্নে? তারা তো আমার সাথে সেই সময় ছিল না। আর এইসব হাইপ্রোফাইলধারী ব্যাক্তিদের কথা লিখতে গেলে নিজের কথা লেখার জায়গা পাবো না তো। আত্মপ্রচারণায় এতটা কি উদার হওয়া যায়? চোখ টিপি তাছাড়া বিখ্যাত ব্যাক্তিদের কথা সবাই বলে, সময়ও বয়ে চলে। তারেক কিংবা সঞ্জয় এরকমই ব্যাক্তি। কিন্তু আমার ঢোল আমাকেই পিটাতে হবে। অন্য উপায় নাই। মন খারাপ

-অতীত

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে একবার একটা গানের মিউজিক ভিডুতে দেকসিলাম, সমবেত স্বরে গান গাইতেসিলেন। আপনি যে বস গানেওয়ালা, হের লাইগাই তো আপনার গানের মিউজিক ভিডু বানাইসে, নাইলে কি এমনে চোখ টিপি
তবে সাঞ্জুদারে নিয়া আলাদাভাবে না লিকলেই নয় দেঁতো হাসি

ধৈবত

মুস্তাফিজ এর ছবি

আত্মজীবনী লিখেছেন, তার মানে আরেকটা সিরিজ হচ্ছে নিশ্চয়ই? চালিয়ে যান।

...........................
Every Picture Tells a Story

অতিথি লেখক এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

সিরিজ হবে কিনা জানি না। লেখার যে ধাঁচ আর জীবনের যে ছাঁচ তা কোনো দিকদিয়েই তো চালানোর মত মনে হয় না। মনে হয় স্প্যাম হিসেবে লেখাটা প্রকাশ হয়ে গেছে সচলে। চিন্তিত যাইহোক একমাত্র শৈশব এর কথা বলেই সাহস পেয়েছি পোস্ট করতে। কথায় আছে না শিশুদের জন্যে হ্যাঁ বলুন। হাসি

-অতীত

অতিথি লেখক এর ছবি

মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। আজকাল অতিথি লেখক দেখলেই পোস্টে একবার ঢুঁ মারি। ভাবি, আপনার লেখা নয়তো?
গান গাওয়ার চেষ্টা করিনি কখনো হাসি । আমার লুইজ্জা লাগে লইজ্জা লাগে

---আশফাক আহমেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

হায়! হায়! এইবার তো তুমি আমারে লুইজ্জা দিয়া দিলা। ইয়ে, মানে...

-অতীত

ফাহিম হাসান এর ছবি

চমৎকার। লেখা ও সুরসাধনা দুটোই চলুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ফাহিম ভাই এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্যে। হাসি

তবে এরকম যাচ্ছেতাই আবজাব লেখা আর গলাবাজি বহাল থাকলে অচিরেই গণধোলাই এ প্রাণপাত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। তা যদি নাও হয় তবে নির্ঘাত লেখার জন্যে মনে হয় কোনো দলিল লেখকের পাশে, আর গলার জন্যে খামাখা এনার্জির অপচয় না করে কোনো আন্তঃনগর ট্রেনের হুইসেলের জায়গায় বসায় দিতে পারে। চিন্তিত

-অতীত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।