আগন্তুক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১২/০১/২০১১ - ৫:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এইটা কি আদৌ কোন গল্প হইল কিনা- জানিনা। গল্প লেখার চেষ্টাও বোধ হয় করিনি। শব্দ নিয়ে কিছু খেলা করলাম মাত্র।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

মায়া বসে আছে। সামনে পেন্সিল আর কাগজ নিয়ে। পেন্সিল স্কেচ ওর এক নম্বর শখ। কিন্ত আজ কোন কিছুতেই মন নেই তার। আনমনে কয়েকটি হালকা আঁচড় কাটল কাগজে। তবে দৃষ্টি তার আর্ট পেপারের ওপর নয়। সে মায়াবী চোখের উদাসী দৃষ্টি... ওই আর্ট পেপারের কী সাধ্য তাকে আবদ্ধ করে? কিন্তু সে চাহনিও একসময় অসীম থেকে সসীমে ফিরে আসে; চোখদু’টির বুঝি কিছুটা করুণা হয় আর্ট পেপারের প্রতি! আনমনে আঁকা পেন্সিলের দাগগুলোর দিকে তাকিয়েই চমকে ওঠে সে! ও কে, এমন করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে? গভীর কাল চোখদু’টি যেন জ্বলজ্বল করছে! এই চোখ কি সেই এঁকেছে, নাকি ও কাগজের কারসাজি? এই দীর্ঘ অমনযোগের প্রতিশোধ তুলছে কাগজ? ওই তীক্ষ্ণ চোখদুটি যেন মায়ার বুক ভেদ করে চলে যাচ্ছে! ওই কাগজে আঁকা চোখদুটির কাছে যেন সম্মোহিত হয়ে পড়ছে সে! মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল ওরা একে অপরের দিকে। চোখে চোখ; শুধুই চোখে চোখ! মুখ, নাক, কান, হাত-পা কিছুই আর আঁকা হয়নি।

আজ প্রথম পিরিয়ডের পর আর কোন ক্লাস হয়নি। ইদানিং শুধু ছাত্ররাই নয়, শিক্ষকরাও ধর্মঘট ডাকা শুরু করেছেন। কোন শিক্ষক কোন প্যানেলের রাজনীতি করেন- সেটা জানলে কোন পিরিয়ড হবে, আর কোনটা হবেনা- সেটা আগে থেকেই আন্দাজ করে নেয়া যায়। মায়া অতশত বোঝেনা। প্রতিদিনের অভ্যাসে যন্ত্রচালিতের মত ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে ক্লাসে এসেছে সে। ভার্সিটির প্রথম বাস ১২টায়। অখন্ড দু’ঘন্টা অবসর। করার মত কাজ শুধু একটাই আছেঃ গাছের নীচে ঘাসের ওপর আড্ডা আর ঝালমুড়ি। হাসির দমকে কেঁপে কেঁপে উঠছে ওর শরীর। এত হাসাতে পারে ওরা! মায়া কৌতুক বলতে জানেনা। কোন মজার কথা বলে কাউকে হাসায়নি কখনো। কথাই বা কয়টা বলে ও দিনে? শুধুই শোনে। ও শুনতে ভালবাসে। শোনে, আর হাসে। চোখদু’টো দিয়ে একদৃষ্টে চেয়ে থাকে বক্তার দিকে। কখনো সে দৃষ্টি হারিয়ে যায় দূরে কোথাও। মুখে শুধু একটু হাসির রেশ লেগে থাকে। কিন্তু ওর মন তখন ওই আড্ডা থেকে শতসহস্র মাইল দূরে অবস্থান করছে।

গাঢ় কাল। কাকের চোখের মত কাল। কিংবা অমাবস্যার রাতের মত কাল। নিশ্চ্ছিদ্র অন্ধকারের মধ্যে হঠাৎ দু’একটা কালচে বাদামী ছোপ ছোপ। একটুকরো নীল, একটা লম্বা খয়েরী টান। আরো অনেকগুলো খয়েরী টান! আরেকটু নীল! জ্বলজ্বল করছে নীল বিন্দুদুটো! গ্রীষ্মের সূর্যের সবটুকু আলো যেন ঠিকরে পড়ছে ওই নীল বিন্দুদুটো থেকে! মর্মভেদী একজোড়া নীল চোখ! চমকে ওঠে সে! খয়েরী দাগগুলোও রুপ পেতে থাকে। রোদে পোড়া বাদামী বর্ণের, দীর্ঘ খয়েরী এলোমেলো চুলের এক অদ্ভুত মুখ। কোথায় দেখেছে সে একে? প্রায়-সকালের প্রায়-ভুলে যাওয়া স্বপ্নের মতই অস্পষ্ট। কিন্তু, তবুও অগ্রাহ্য করার কোন উপায় নেই! সেই চোখের দিকে তাকাতেই মাথাটা ঝিমঝিম করে ওঠে। এক টানে সে নিজেকে নামিয়ে নিয়ে আসে গাছের নীচে ঘাসের ওপর। আজ সে হারিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। ওই চোখদুটোর দিকে তাকালেই তার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়! কি অদ্ভুত আকর্ষণ! কোন রক্তমাংসের পুরুষের প্রতি এ আকর্ষণ সে কখনো অনুভব করেনি।

বাসায় এসে কাঁপা কাঁপা হাতে সে আর্টপেপারটা খুলে দেখে। হ্যাঁ! এইতো সে! এই চোখদু’টোকে তো কাল সে-ই এঁকেছিল! এ তো তারই সৃষ্টি! কিংবা... সত্যিই কি তাই? সে তো কাল কোন অজানা বালকের অচেনা মুখের ছবি আঁকতে বসেনি! কখন কিভাবে সে এ ছবি আঁকা শুরু করেছে সে নিজেও জানেনা। কাগজে শুধু দুটো চোখ, আর কয়েকটা এলোমেলো দাগ। আর কিছুই নেই। কিন্তু ওর চিন্তার জগতে সে হানা দিচ্ছে একটা পূর্ণাঙ্গ চেহারা হয়ে! এমন একটি চেহারা, যা সে কখনো দেখেনি। স্বপ্নেও নয়, বাস্তবেও নয়। বাস্তবে না দেখে থাকলে স্বপ্নে কিভাবে দেখবে? স্বপ্নের প্রতিটি চেহারা তো বাস্তব থেকেই ধার করা! তাহলে এই অপরিচিত চেহারাটি কোথা থেকে বার বার উঠে আসে? রাতে ঘুমোতে দেয়না, ক্লাসে কিংবা আড্ডায় বারবার ওকে ও’র কাছ থেকেই কেড়ে নেয় এই স্বপ্নের মানুষ! কোন কথা নয়, একটা মৃদু হাসি নয়.. শুধুই চেয়ে থাকে।

আজকাল মায়া ছবিও আঁকেনা। হাতে পেন্সিল আর সামনে কাগজ থাকলে মুহুর্তের মধ্যে তার হাতের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেই ওই ছেলেটি; বারবার কাগজের ওপর নিজের চেহারাই আঁকতে চায় সে। কিছুক্ষণ পর সম্বিত ফিরে পেলে মায়া অসহায় অভিমানে ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলে কাগজটা। অভিমান? কার প্রতি? একটা স্বপ্নের প্রতি? শেষ পর্যন্ত কি ও পাগল হতে বসেছে? নিজের মনেই হাসে। পরক্ষণেই রাগে-দুঃখে দু’চোখ টলমল করে ওঠে। এক জোড়া বড় মায়াবী চোখ!

===================================================================================

সকালবেলা নাস্তা করতে করতে খবর শোনা আনিস সাহেবের স্বভাব। খবর মানে শুধুই শিরোনাম। পুরো সংবাদ শোনার মত সময় তাঁর নেই। মাঝে মাঝে পরিবারের প্রতি বিশেষ কিছু বলার থাকলে সেগুলো নাস্তার টেবিলেই সেরে নেন। পরিবার বলতে তো শুধুই মায়া আর তার মা। আজকেও তাঁর কিছু বলার আছে পরিবারের প্রতি। কোনরকম ভণিতা না করেই আসল কথা পাড়লেন। ভণিতা করার মত লোক নন তিনি। সে সময়ও তাঁর নেই। “মায়ার জন্য একটা প্রস্তাব এসেছে। ছেলের বাবা রিটায়ার্ড ব্রিগেডিয়ার। এখন একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ডিরেক্টর”। মা জিজ্ঞেস করেন, “ছেলে কি করে?” আনিস সাহেবের উত্তর, “কিছু না!” ব্যাস। ওইটুকুই। এর বেশি বলার তিনি প্রয়োজন মনে করেননা। আর তাঁকে জিজ্ঞেস করার সাহস মা-মেয়ে কারোরই নেই। তবুও, খানিকটা দয়াপরবশ হয়েই বোধহয় টেবিল থেকে উঠতে উঠতে আরেকটা কথা যোগ করেন, “কি আর করবে? কেবল তো পাস করল। তাছাড়া বাবার একমাত্র ছেলে। ঢাকার ওপর দু’টো ফ্ল্যাট। আরো কয়েকটা জমি আছে। বাড়িভাড়া খেয়েই জীবন চলে যাবে। এমন ছেলে সারা জীবনে কিছু না করলেই ক্ষতি কি?” “তা, তুমি হ্যাঁ বললে?” “দেখতে আসবে কাল। কালকে ওকে ভার্সিটি পাঠানোর দরকার নেই। আমি অফিসে গিয়ে সাথে সাথেই ড্রাইভারকে ফেরত পাঠিয়ে দেব। যা কিছু কেনাকাটা করতে হয়- করিয়ে নিও। রাতের খাবারের দরকার নেই, তবে ভাল নাস্তাপানির ব্যবস্থা কোরো”। বেসিনে হাত ধুলেন, তোয়ালেতে হাত মুছলেন। তারপর নিজের ঘরে চলে গেলেন। End of discussion!

ব্যাপারটা অবশ্য মায়ার জীবনে বিনা-মেঘে বজ্রপাত নয়। কিছুদিন ধরেই ওর বিয়ের ব্যাপারে চেষ্টাচরিত্র করছেন তার বাবা। মায়ারও এ ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই। কোন ব্যাপারেই বা আপত্তি থাকে ওর? যে যা বলে, সবকিছু সে মাথা পেতে মেনে নেয়। সাত চড়ে রা কাড়ে না। তবুও, মনে মনে কিন্তু সে বেশ স্বস্তিই পেল এ খবরে। চোখের সামনে একটা রক্তমাংসের মানুষ পেলে মনের ভেতরের অচেনা লোকটাকে ভুলে যাওয়া যাবে নিশ্চয়! মনে হচ্ছে আজ অনেকদিন পর ও শান্তিতে ঘুমোবে। এখন তার স্বপ্নে হানা দেবে অন্য একটা মুখ। যে মুখ রক্তমাংসের একটা মানুষের। ঘুমের মাঝে তাকে দেখবে, ঘুম থেকে উঠে আবার তাকে দেখবে। স্যারের লেকচার কিংবা বন্ধুর আড্ডা একঘেয়ে হয়ে গেলে চোখ বুজলেই তাকে দেখতে পাবে। বাসায় ফিরে এসে তার জন্য অপেক্ষা করবে। সে ফিরে এলে তার বুকে মাথা রেখে নিজের পুরো জগৎটাকে সমর্পণ করবে তার কাছে। সাধ্য কি ওই ভিনগ্রহের বালকের ওর এ জীবনের মাঝে ভাগ বসায়?

আজ সারা দিন মায়া উড়ে উড়ে বেরিয়েছে। মাটিতে পা পড়েনি যেন একবারও। মনটা বেজায় ফুরফুরে। ওই অজানা অচেনা বালকের হাত থেকে নিস্তার পাবার আনন্দ! বহুদিন পর মুক্তির আনন্দ। আজ অনেক দিন পর মনের আনন্দে ছবি আঁকবে সে। চোখ বুঁজে মনটাকে আবার হারিয়ে যেতে দেবে। চাই কি শেষবারের মত একটা বোঝাপড়াও করে ফেলা যাবে অচেনা আগন্তুকের সাথে। এখন সে আর কোন কিছুতেই ভয় পাবেনা।

বাসায় ফিরে সে নাওয়া খাওয়া ভুলে বসে পড়ল খাতা-পেন্সিল নিয়ে। যা ইচ্ছে তাই আঁকবে! আচ্ছা, ওই ছেলেটার ছবি আঁকলে কেমন হয়? গত কয় মাসে সে যে কতবার তার অসমাপ্ত ছবি ছিঁড়ে কুটি কুটি করেছে- তার ইয়ত্তা নেই। আজ একবার তাকে সামনাসামনি দেখা যাক! যেই ভাবা সেই কাজ। পেন্সিলের প্রতিটা টান জীবন্ত হয়ে উঠতে থাকে। যেন বহুদিন পর বন্দিত্বের শেকল ছিঁড়ে মুক্ত হচ্ছে কোন প্রাণ। একে একে ফুটে ওঠে চোখ, নাক, ঠোঁট। বাদামী চেহারা আর কালচে খয়েরী চুল। একদৃষ্টে মায়া তাকিয়ে থাকে ছবিটির দিকে। চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারে- এটা তার আঁকা শ্রেষ্ঠ ছবি। কিন্তু, এ ছবি কি আসলেই তার আঁকা?

রাতে কোলবালিশটাকে বুকে চেপে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে সে। মুখের কোণে এক টুকরো হাসি লেগে থাকে। আজ সে মনে প্রাণে চাইছে স্বপ্নে আসুক আগন্তুক। বোঝাপড়াটা হয়েই যাক। নির্ভয়ে পূর্ণ দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকাবে সে। একটুও ভয় পাবে না। শরীরের লোমকূপে শিহরণ জাগবে না। শুধুই চেয়ে থাকবে ওর দিকে। আর মৃদু হাসবে। তাচ্ছিল্যের হাসি। আজ আগন্তুকের পরাজয়ের দিন। কাল থেকে ওর পুরো মনরাজ্যে বিচরণ করবে আরেকটা মুখ, আরেকজোড়া চোখ।

চোখ বুজতেই আগন্তুক আসে। আজ সে শুধু মুখ নয়; আজ সে পূর্ণাঙ্গ। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে মায়ার দিকে। পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা অদেখা সমুদ্র। পানির রং হালকা নীল। আকাশেরও! ধু ধু দ্বীপে আর কেউ নেই। মায়া আর সে। একেবারে মুখোমুখি। চোখে চোখ। একে অন্যের নিঃশ্বাস পাচ্ছে। একে অন্যের চোখের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে। মায়ার চোখে তাচ্ছিল্লের হাসি নয়। অদ্ভুত একটা বেদনা বুক ঠেলে বেরিয়ে আসে! চোখদুটোতে অনেক প্রশ্ন। অনেক আকুতি। যেন বলতে চাইছে, “তুমি রক্ত-মাংসের মানুষ হলে না কেন? কেন তুমি শুধুই স্বপ্ন হলে?” আগন্তুক যেন ওর কথা বুঝতে পারে। কিন্তু কোন উত্তর করেনা। মৃদু হাসে। সে হাসি অপার্থিব। সে হাসি স্বর্গীয়। এরকম করে তো কখনো কাউকে হাসতে দেখেনি কেউ! কোথায় পেল সে এই হাসি? ... হঠাৎ করে সবকিছু ছাপিয়ে ঠিকরে পড়ে আলো। অসহ্য তীব্র আলো! আগন্তুকের মুখ আর ভাল করে দেখা যাচ্ছেনা! আগন্তুক আবার হাসে। অভয়ের হাসি। না বলেও যেন বলে যায়, “আমি আবার আসব! সাধ্য কি কারো- আমাকে তোমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়?”

এভাবেই সকাল হয়। সেই ফুরফুরে মেজাজটা আর নেই। সব কিছু পানসে লাগছে। কাল পর্যন্ত ওর এ বিয়েতে কোন আপত্তি ছিল না। আজ কি হল? যেন কেউ ওকে ধরে বেঁধে, জোর করে একটা পিশাচের সাথে বিয়ে দিচ্ছে! তার পছন্দের পাত্রটিকে যেন কিছুতেই মেনে নেননি তার বাবা! পছন্দের পাত্র? কে সে? আধ-সকালের আধা অস্পষ্ট স্বপ্নের সেই অবাস্তব অপার্থিব আগন্তুক? হঠাৎ হেসে ওঠে সে। কারো হাসিও কি এত করুণ, এত বিষণ্ণ হয়?

====================================================================================

দামাদামি, কথা চালাচালি সব হয়ে যায়। বিয়েও হয়ে যায় একদিন। একে একে কেটে যায় পঁচিশটা বছর। এই পঁচিশ বছর স্বামীর চোখে সেই আগন্তুকের ছায়া দেখার চেষ্টা করে এসেছে মায়া। প্রতিটা দিন। প্রতিটা মুহুর্ত। পারেনি। তার স্বামী কোনভাবেই আগন্তুকের স্থান নিতে পারবেননা। সে চেষ্টাও কি তিনি করেছেন কখনো? প্রথম কয়েক বছর শারীরিক সম্পর্কটা ছিল একটা প্রাত্যহিক রুটিনের মত। তারপর সেও অনিয়মিত। আজকাল তো একদমই নয়! শেষ কবে ওসব হয়েছে- মায়া তাও ভুলে গেছে। এমনকি, চোখে চোখ রেখে এক-আধটা মিষ্টি কথাও বলেননি বরসাহেব কখনো। বলেছিলেন হয়তো, প্রথম কয়েক মাস... সেসব আর মনে নেই আজ কারো। মায়াও প্রাত্যহিক রুটিনের সবটুকু পালন করে যায়। যন্ত্রমানবের মত। স্বামী, ছেলে-মেয়ের নাস্তা বানানো থেকে শুরু করে সারাদিনের গৃহিণীর সবগুলো দায়িত্ব পালন করে যায় বিনা বাক্যব্যয়ে। এখনো সে সাত চড়ে রা কাড়ে না।

আগন্তুক আজো আসে। ঘুমের মাঝে। স্বপ্নে। সেই একই ভেন্যু। ধূ ধূ বালি, পেছনে ব্যাকগ্রাউন্ডে সাগর আর আকাশ। হালকা নীল। ওদের চোখে চোখ, হাতে হাত, ঠোঁটের কাছে ঠোঁট। একে অন্যের প্রতিটি নিঃশ্বাস প্রাণভরে উপভোগ করে। প্রতি রাতে, প্রতিটি স্বপ্নে। এ স্বপ্ন আজো পুরোনো হয়নি। এ স্বপ্ন কখনো পুরোনো হয়না।

অনীক_ইকবাল


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ভালো লেগেছে। আরও লিখুন। গল্প হলো কি হলো না, সেই বিচার পাঠকের। আপনি কেবল লিখে যান।

কিন্তু ভাই, এতোগুলো ট্যাগ কেনো? এতোগুলো ট্যাগ ব্যবহার না করে ওখানে আপনার ব্যবহার করলেও আপনার পরের লেখাগুলো খুঁজে পাওয়া যেতো সহজে। 'অণুগল্প' আর 'ছোটগল্প' কি এক জিনিস?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি ঠিক লেখক না। সাহিত্যের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ। কাজেই, কি ট্যাগ দিব, বুঝতে পারছিলামনা। পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। সচল না হওয়া পর্যন্ত খুব বেশি একটা লেখা পোস্ট করব না। মাঝে-মধ্যে দু'একটা। হাসি

অনীক_ইকবাল

হিমু এর ছবি

অনীক ইকবাল ভাই, মাঝে মধ্যে দুয়েকটা লিখলে সচল হবেন কীভাবে? বরং বাবুলকে বলেন চায়ের পানি চড়াতে। তারপর মুষলধারে লিখতে থাকেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

তাইলে আরো কয়েকটা লেখা পোস্ট করছি কিছুদিনের মধ্যেই। হাসি ইন ফ্যাক্ট, আগামী তিনদিন ধরে পোস্ট করার মত সরঞ্জাম আমার ভাঁড়াড়ে এখনই আছে। stay tuned!!

অনীক_ইকবাল (darrel7756@gmail.com)

আতিথাইল এর ছবি

একেবারে প্রথম তিনটি লাইন আর ২য় পর্বের 'End of discussion' ছাড়া বর্ণনাভঙ্গী অতিশয় চমৎকার লেগেছে ! চালিয়ে যান... হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

অনীক_ইকবাল (darrel7756@gmail.com)

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা বড়ই ভাল্লাগলো।

আপনার ভান্ডারের প্রতিক্ষায় রইলাম।

-অতীত

ফাহিম হাসান এর ছবি

শদ নিয়ে খেলাধুলা চলুক! হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।