বছর আষ্টেক আগের ঘটনা। ঘটনাস্থল বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও এক বিভাগের প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ক্লাস রুম। ছাত্র ছাত্রীরা অধির আগ্রহে বসে আছে, যথা সময়ে বিভাগের প্রবিণতম শিক্ষকদের মধ্যে একজন, হাতে লেকচারশিট ও হাজিরা বই নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হলেন। ছাত্র ছাত্রীরা তটস্থ হয়ে দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক অপেক্ষা করতে লাগল কখন শিক্ষক মহাশয় তাদেরকে বসতে বলেন সেই জন্য। মহাশয় তার টেবিলে বসলেন এবং হাজিরা বই খুলে একে একে নাম ডাকা শুরু করে দিলেন। ক্লাসের ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা খুব বেশি না ২৫/৩০ জন মাত্র, কাজেই নাম ডাকতে বেশি সময় লাগার কথা না।কিন্তু উনার আবার নিজস্ব স্টাইল ছিল নাম ডাকার। উনি শুধু নামই ডাকতেন না, সাথে নামের অর্থটাও জানতে চাইতেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেকে নামের অর্থ ঠিকমত বলতে পারতোনা, আবার অনেকে ঠিক বললেও হয়তো সেইটা উনার পছন্দ হত না। এরপর শুরু হত ঝারি, কেন আজকালকার ছেলে মেয়েরা নিজেদের নামের অর্থটাও ঠিকমত বলতে পারেনা এই বিষয়ে। এতে করে নাম ডাকতেই প্রায় ক্লাসের অর্ধেক সময় শেষ। পেছনের বেঞ্চের অনেকেই ধৈর্যহারা হয়ে বসে পড়লেও সামনের বেঞ্চে যারা ছিল তাদের আর উপায় কি দাড়িয়েই থাকতে হল, যতক্ষণ না উনি বসতে বলেন। নাম ডাকা শেষ হলে উনি নড়ে চড়ে বসলেন, তারপর, যেন এই প্রথমবার ছাত্র ছাত্রীদের দিকে দেখলেন এমন ভঙ্গিতে বললেন-
-ও!! এহনও দাড়াইয়া আছ কেন? আমি কি সার্কাস দেখাইতে আসছি? বস। নামের অর্থও-তো ঠিকমত কইতে পারণা আবার খড়াইয়া থাক।
এই ক্লাসটির সাথে ঐ মহান ব্যক্তির সেদিন ছিল দ্বিতীয় দিনের মত সাক্ষাৎ। প্রথম দিন কোনও এক অজানা কারণ বসত উনাকে স্বরূপে দেখা যায়নি। কাজেই উনার এহেনও আচরণের মর্মার্থ না বুঝতে পেরে পুরা ক্লাস বেক্কলের মত এর ওর দিকে তাকাতে লাগল। এবার মহোদয় তার ষাটের দশকের পুরাতন লেকচারশিট গুলো খুলতে শুরু করলেন। মরচেধরা লোহার মত লেকচারশিট গুলো হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে, এখানে সেখানে স্কচ-টেপ দিয়ে জোড়া লাগানো। একেকটা পাতা উল্টানোর সময় কোমর ভাঙ্গা বৃদ্ধের মত পাতগুলো নিশ্চয় মড়মড় শব্দে আর্তনাদ করে উঠত। উনি এবার তার লেকচারশিট থেকে চোখ তুলে ক্লাসের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন-
-গত ক্লাসে তোমাগো কি পড়াই ছিলাম?
-স্যার, পাললিক শিলা।
সামনের বেঞ্চের একজন জবাব দিল।
-আইচ্ছা, এইবার কও পাললিক শিলা কারে বলে?
পুরা ক্লাস চুপ, কেউ কথা বলে না।
-কি হইল আমার কথা কি তুমরা বুঝনাই? তুমাগ মত এমন খারাপ ব্যাচতো আমি আমার ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে দেখিনাই। লেহাপড়া কিছু কর নাকি খালি ঘুইরা বেড়াও?
এহেন অবস্থায় সামনের বেঞ্চের একজন হাত তুলল। তা দেখে উনি বলে উঠলেন-
-হাত তুলছ কেন? জানলে কও আর না জানলে ক্লাস থাইকা বের হইয়া যাও।
তারপর সেই ছাত্রটি আমতা আমতা করে গত ক্লাসে ঐ শিক্ষক মহোদয়ের লিখে দেওয়া লেকচার থেকে পাললিক শিলার সংজ্ঞাটি হুবহু বলে গেল। উনি মনোযোগ দিয়ে শুনলেন, তারপর-
-এইডা কি কিছু অইল? আমি কি তোমারে তোতা পাখির মত মুহস্ত কইতে কইছি? পাললিক শিলা কারে কয় এইডা বুঝাইয়া কও, পারবা?
ছাত্রটি না সূচক মাথা নাড়ে।
-পাখির মত মাথা নাড়াও কেন? আল্লায় মুখ দিছে কতা কওনের লাইগা কতা কইতে পারনা?
উনি রেগে গিয়ে বললেন।
-কেও কি পারবা পাললিক শিলা কারে কয় বুঝাইতে?
উনি তাচ্ছিল্যের সাথে জিজ্ঞাসা করলেন।
এইবার পেছনের বেঞ্চ থেকে একজন দাড়িয়ে বলল-
-স্যার, মনে হয় আমি পারব।
-মনে হয় কি? হয় পারবা নয় পারবা না এতে আবার মনে হওয়ার কি আছে? ঠিক আছে বল।
উনি জবাব দিলেন।
তো এইবার সেই ছাত্রটি পূর্বের সংজ্ঞাটিকেই একটু ঘুড়িয়ে পেঁচিয়ে বলল। এইবার শিক্ষক মহাশয় বেজায় খুশি।
-এইতো তুমি পড়া পার। পেছনে বসছ কেন? সামনে আস, আর সামনে থেকে একজন পেছনে যাও। পড়া পারনা আবার সামনের বেঞ্চে বসছ।
এই কথা বলে উনি সামনের বেঞ্চ থেকে প্রথমে জবাব দান কারি ছাত্রটিকে পেছনে পাঠিয়ে দিলেন। আর পেছনের ছাত্রটিকে সামনে নিয়ে আসলেন।
-তা তুমি-তো মনে হয় একটু লেখা পড়া কর। কোন হলে থাক?
উনি অতি আহ্লাদের সাথে জিজ্ঞাসা করলেন।
-স্যার, ফজলুল হক হলে।
ছাত্রটি খুশিতে আটখানা হয়ে জবাব দিল।
-ও, তা একরুমে কয়জন থাক?
উনি আবার প্রশ্ন করলেন।
ছাত্রের জবাব "স্যার, ছয়জন"।
-ও তুমিত তাইলে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা।
পুরা ক্লাস হো হো করে হেসে উঠল, আর সেই ছত্রেরত পুরা আক্কেল গুড়ুম অবস্থা।
-হাসির কি হইল? আমি কি হাস্যকর কিছু কইছি নাকি? লেহা পড়ার বেলায় ঠনঠন, কিন্তু হাসিতে উস্তাদ। এইবার কও ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা কারে কয়?
রেগে গিয়ে শিক্ষক মহোদয় জিজ্ঞেস করলেন। আবার পুরা ক্লাসে পিনপতন নীরবতা। মিনিট খানেক পর উনি নিজেই নীরবতা ভঙ্গ করলেন-
-এইডাও-তো পারণা। আইচ্ছা আমিই কইতাছি শুন, ছাগলের যহন তিনডা বাচ্চা হয় তহন সবল দুইডা দুধ খায় আর দুর্বলডা চাইয়া চাইয়া দেহে। বুঝলা কিছু? একরুমে ছয়জন থাকলে ব্যাপারটা কি হয়, চারজন বিছানায় ঘুমায় আর দুইজন ফ্লোরে ঝিমায়। যাইহোক ওত তাও পড়া পারে তুমরাত তাও পারনা।
এরপর থেকে সেই ছেলেটির নাম হয়ে গেল ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। সে যাই হোক, উনি আবার জ্ঞান বিতরনে মনোনিবেশ করলেন। উনি তার লেকচার শিট রিডিং পড়ে যাচ্ছেন আর ছাত্র ছাত্রীরা সেটা লিখে নিচ্ছে। একপর্যায়ে উনি হঠাৎ কিছু একটা মনে পড়েছে এই ভঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করলেন-
-গত ক্লাসে তুমাগো যে বইটা কিনতে কইছিলাম, অইটা কিনছ? যারা কিননাই তারা দাড়াও।
পেছনের বেঞ্চের সবগুলো হাত উপরে উঠে গেল। আর যায় কোথায়, উনি ঝারি দেওয়া শুরু করলেন-
-চেহারা দেহাইতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আস, একটা বই পর্যন্ত কিন্তে পারনাতো এইখানে কি করতে আইছ? মাস্তানি করতে? বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কি দরকার ছিল, আর্মিতে যাইতা, দুইদিন পরে মেজর হইয়া যাইতা, শরিল স্বাস্থ্যতো একেকজনের মাশাল্লা খারাপ না। তুমাগো এইসব কইয়া লাভ কি, বস।
এই কথা বলে উনি সামনের বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন-
-তুমরা বই কিনছ-তো ক্লাসে আসার কি দরকার, বই পড়লেই পার। আমি যে ক্লাসে আহি, কষ্ট করে লেকচার দেই এইডা কি কিছুই না? বিদ্বান হয়ে গেছে একেকজন।
উনি আরো কি কি সব গজ গজ করে বলতে লাগলেন তার পুরাটা বুঝা গেল না। উনার এহেন পরস্পর বিরোধী আচরণে পুরা ক্লাস হাসবে না কাঁদবে দিশা পেলনা। তারপরেও পেছন থেকে দুই একবার চাপা হাসির শব্দ শোনা গেল।
উনি আবার পড়ানোতে মন দিলেন। এইবার যে বিষয়টি পড়াচ্ছিলেন সেটি ছিল বালির আকৃতি। তো উনি স্ফেরিকেল বালির কণা বিষয়টি বুঝাতে সরিষার উদাহরণ টানলেন। এবং পরক্ষনেই ক্লাসের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন যে ছাত্র/ছাত্রীরা সরিষা চেনে কিনা।
এবার ক্লাসের মাঝখান থেকে এক ছাত্রী জবাব দিল
-জি স্যার, চিনি।
উনি সেই ছত্রিটিকে জিজ্ঞাসা করলেন-
-আইচ্ছা বলত সরিষা দিয়ে কি করে?
-স্যার বালিশ বানায়।
ছাত্রীর তড়িৎ জবাব।
-স...র্ব...না...শ!!!!
শিক্ষক মহাশয় প্রায় আঁতকে উঠলেন, এরপর বলতে লাগলেন-
-আল্লায় বাচাইছে তুমি মেয়ে, নইলে বেঞ্চের উপর দাড় করাইয়ে দিতাম। জীবনে এমন কথা শুনি নাই আমি, সরিষা দিয়ে বালিশ বানায়। তাইলেতো তুমারে এখন জিগাইলে কইবা শিমুল তুলা দিয়ে সরিষার তেল বানায়।
বহু কষ্টে সবাই হাসি চাপে বসে ছিল, একেবারে পিনপতন নীরবতা। এইবার উনি ক্লাসের দিকে তাকিয়ে বললেন
-এখন হাসো না কেন? আমিযে এখন একটা হাসির কথা কইলাম, এহন হাসবানা, অকারনে হাসবা।
আর পায় কে, সারা ক্লাস হু--হু শব্দে ফেটে পড়ল।
উনি এবার ধমকে উঠলেন
-হাসতে কইছি দেখে এত জোড়ে হাসতে হবে, মুচকি হাসতে পারনা? চুপ কর।
সবাই নিমিষেই চুপ। উনি আবারো পড়ানোতে মনোযোগ দিলেন। পললের উৎস সম্পর্কে বলতে গিয়ে উনি হিমালয়ের কথা বললেন। বলেই জিজ্ঞাসা করলেন-
-বলত বাংলাদেশের কোন অঞ্চল থেকে হিমালয় দেখা যায়?
একজন জবাব দিল- "লালমনিরহাট"
উনি খুশি হয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলেন-
-এইবার বল ঐখান থেকে হিমালয়ের কোন চূড়াটা দেখা যায়?
আরেক ছাত্রী মাঝখান থেকে দাড়িয়ে তড়িৎ জবাব দিল-
-স্যার, কিওকারাডং
আর পায় কে? এইবার শিক্ষক মহাশয় তার ফাইল-পত্র গুছিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার আয়োজন করতে করতে বলতে লাগলেন-
-তুমাগো পড়ানো আমার কাম না। তুমরাতো লেহাপড়া কিছু জানইনা, সাধারন জ্ঞানটুকুও নাই। একজন কয় সরিষা দিয়ে বালিশ বানায়!! আরেকজন কয় কিওকারাডং হিমালয়ে!! আমি আর তুমাগো ক্লাস নিমু না।
কথা শেষ করে উনি ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলেন। সাথে সাথে সারা ক্লাস আনন্দে সদ্য চাপ মুক্ত স্প্রিংয়ের মত লাফাতে লাগল। দুই একজন আবার আফসোস করতে লাগল বিনা টিকেটে এইরকম জোকারির শো অকালে শেষ হওয়াতে। কিন্তু এই আনন্দ বা আফসোস কোনটাই দীর্ঘস্থায়ী হলনা। মিনিট-খানেক পরেই উনি আবার ক্লাসে ফিরে আসলেন। এসে বলতে লাগলেন-
-দেখলাম আমি না থাকলে তুমাগো খুব আনন্দ, এইটা হইতে দেওয়া যায়না। আমার দায়িত্ব আমি পড়ামু, তুমরা পড়লে পড় না পড়লে আমার কি।
একথা বলে তিনি আবার বসলেন। বসেই বলতে লাগলেন-
-আইচ্ছা এইবার তুমাগো একটা সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞ্যাস করি, দেহি পার কিনা। বলত বাংলাদেশ কোন গোলার্ধে অবস্থিত?
এবার কেউ জবাব দিল উত্তর গোলার্ধে, কেউ জবাব দিল দক্ষিণ গোলার্ধে।
উনি এবার রাগ না করে আফসোসের সুরে বললেন-
-দেখছ তুমাগো অবস্থা, এইটাও পারনা। ঠিক আছে বারান্দায় একটা ম্যাপ আছে, সবাই অইটা দেখে আস।
যথারীতি সবাই ম্যাপ দেখে আবার ক্লাসে প্রবেশ করল। এবার উনি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন যে সবাই ম্যাপ দেখছে কিনা। সবাই হ্যাঁ সুচক জবাব দিলে, উনি একজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলেন-
-এইবার বল বাংলাদেশ কোন গোলার্ধে দেখলা?
ছাত্রটি আমতা আমতা করে জবাব দিল-
-স্যার, আমারতো মনে হইল পুর্বগোলার্ধে।
আর যায় কোথায়। এইবার তো আর ছাত্রী না ছাত্র, শিক্ষক মহোদয় তাকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বললেন। ছাত্রটি অতি বিনয়ের সাথে বলল "স্যরি স্যার, উত্তর গোলার্ধে"।
এবার উনি বললেন-
-ঠিক আছে, কিন্তু আমি যেহেতু তুমারে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বলছি, তুমি বাইরে যাও গিয়া দরজায় দাড়ায়া স্যরি বল তারপর ক্লাসে আস।
কি আর করা সে তাই করল।
এইভাবে কোনও রকমে সেইদিন তার ক্লাস শেষ হল। এরপর থেকে তার ক্লাসে নাম ডাকার সময় সবাই হাজীর থাকলেও নাম ডাকা শেষ হতে না হতেই ক্লাস অর্ধেক হয়ে যেত। উনি মাঝে মাঝে করুন চোখে পেছনের শূন্য বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে দেখতেন আর গজ গজ করতেন।
(বিঃদ্রঃ উপরের ঘটনা এবং চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক (?), তারপরেও যদি কেও নিজের অভিজ্ঞতার সাথে এর মিল খুঁজে পান তাহলে সে নিশ্চয়ই উক্ত বিভাগের ছাত্র/ছত্রি ছিলেন)
মাহফুজ খান
মন্তব্য
ও রে বাবা, হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম।
এ যে নাসিরুদ্দিনরে কয় ওদিক থাক।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হা হা হা
এরকম ক্লাশ কেউ ফাঁকি মারে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুর্শেদ ভাই, তুলিরেখাদি এবং ধুগোদা আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ, হাসির জন্য।
মাহফুজ খান
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আহারে লোকটারে খুব মিস করি।
থার্ড ইয়ারে থাকতে উনি আমাদের পুরা ক্লাসকে বেঞ্চির উপর কানে ধরে দাঁড়া করায়ে রাক্সিলেন পুরা ৫০ মিনিট।
ভাই আমিও খুব মিস করি, ইশ কি যে মজার ছিল সেই দিন গুলো তখন বুঝি না।
মাহফুজ খান
মজা পাইলাম। সচলে স্বাগতম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হা হা... ইনি সত্যিই গুরুদেব লোক!
"প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণী" - অনার্স অর্থাৎ স্নাতক শ্রেণী বলতে চাইছেন কী?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওররে... হাহাহাহাহা...
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
সব ভার্সিটিতে মনে হয় এরকম দুই একজন থাকে। আহারে কি মধুময় সেই সব ক্লাস । আমাদের লেভেল ফোর এ যিনি ছিলেন ,তার কোড নাম ছিল গুল...... । নাম বলা নিষেধ আবার মনে হয় পরজন্মে আসবে এরকম সুখের দিন
আরিফিন সন্ধি
আরে এইরম এটটা তো আমাদের বিভাগেও ছিল!!!
হা হা হা। বহুত মজাক পাইলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
খুব ভাল লাগলো
হাহা...হাসতে হাসতে শেষ।
গুরু ভাই
খুব মজা পেলাম। প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টেই মনে হয় এরকম একজন প্রবীণ জোকার থাকেন।
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
জটিল ...............
দারুণ লেগেছে। হঠাৎ মনে হচ্ছে সেই দিনগুলো আর আসবেনা
দারুণ লেগেছে। হঠাৎ মনে হচ্ছে সেই দিনগুলো আর আসবেনা
বিপ্লবী স্বপ্ন।
-অতীত
তাকে অনেক মিস করি. One of my favorites.
নতুন মন্তব্য করুন