কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার সুবাদে আমি দেখেছি অনেক আর্টিস্ট বা গ্রাফিক ডিজাইনার আছেন যারা অ্যাডোবের নতুন কোনো ভার্সন বের হলে সেটি ইউজ করতে ভয় পান (কম্পিউটারের পারফর্মেন্সের ব্যপারটি বাদ দিয়ে)। আজকে থেকে প্রতি দিন আমি ৫টি করে মোট ৫ দিনে ২৫ টি ফটোশপ সিএস৫ এর টিপস নিয়ে আলোচনা করব আপনাদের সাথে। নতুনদের কাজে তো লাগবেই সেই সাথে নতুন ভার্সনের ফোবিয়াগ্রস্থরাও আশা করি নতুন ভার্সন ব্যবহার করার লোভে পড়ে যাবেন
--
৬. দ্রুত মুভ: অন্য কোনো টুল সিলেক্ট অবস্থায় দ্রুত মুভ টুল ব্যবহারের জন্য Command/Ctrl চেপে রাখুন। ক্লিক ছেড়ে দিলেই পূর্ববর্তী টুলে ফিরে যাবে।
৭. একসাথে সব ডকুমেন্ট প্যান ও জুম: একসাথে বেশ কয়েকটি ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করার সময় আনুপাতিকভাবে প্যান বা জুম করে কাজের কম্পেয়ার করে দেখা লাগে। এটি করার শর্টকাট হচ্ছে Shift + Ctrl + Space (Win) বা Shift + Command + Space (Mac) চেপে মাউস ক্লিক।
৮. সমস্ত প্যানেল লুকানো: আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি একটা ক্রিয়েটিভ কাজ শেষ করে যে কোনো আর্টিস্ট তার সফল কাজটির প্রিভিউ ফ্রেশভাবে দেখতে চাইবেন। এর জন্য আপনাকে শুধুমাত্র কিবোর্ডের Tab কি চাপতে হবে। লুকানো প্যানেল ফিরিয়ে আনতে আবার Tab কি চাপলেই হবে। অথবা ফটোশপের প্যানেলগুলোর কাছে মাউস রাখলে সাময়িকভাবে টুলস মেনু দেখা যাবে।
৯. অ্যাডোব ব্রিজে ফুল স্ক্রিন প্রিভিউ: ইমেজ ফাইল সরাসরি ফটোশপ বা অ্যাডোবের অ্যাপ্লিকেশনে ওপেন করার জন্য ছাড়াও অ্যাডোব ব্রিজের মাধ্যমে অনেক জরুরী কাজ করা যায়। কোনো ইমেজ ফাইল ফটোশপে খোলার আগে ইমেজটির ফুল স্ক্রিন প্রিভিউ দেখে নেয়ার জন্য Space চাপতে হবে। পরবর্তী ইমেজে যাওয়ার জন্য অ্যারো কি চাপতে হবে।
১০. টেক্সট সাইজ পরিবর্তন: টেক্সট সিলেক্ট করে Command/Ctrl + Shift + < বা > চাপলেই আকৃতির পরিবর্তন ঘটবে। শুধুমাত্র টেক্সট লেয়ার সিলেক্ট করলে এই শর্টকাট কাজ করবে না!
মন্তব্য
কয়েকটা আগে থেকেই জানা ছিলো। তবুও
মুর্শেদ ভাইয়া,
ধন্যবাদ দুটি লেখাতেই সাথে থাকার জন্য
--
তারিক সাইফুল্লাহ
আপনার দুটো পোস্টই দারুণ। খুবই কাজে আসবে শর্টকাট কিগুলো।
তবে আপনার প্রথম লাইনের ব্যাপারে আমার নিজস্ব কিছু পর্যবেক্ষণ আছে। আমার কাছে অতি সরলীকরণ মনে হয়েছে।
আমার অভিজ্ঞতা বলে ব্যাপারটা ঠিক ভয় না, বরং দ্বিধা। বেশিরভাগ আর্টিস্ট/ডিজাইনারের উপর মূল কাজের বাইরে একটা চাপ থাকে- তা হল ক্লায়েন্টের মনমত ডিজাইন তৈরি করা যা স্বকীয় এবং কার্যকরী। টুলটা মুখ্য না। আইডিয়াটাই প্রধান। আমার প্রশ্ন অ্যাডোবির একটা নতুন ভার্সন শিল্পীর চিন্তার ক্ষেত্রে কতটুকু বাড়তি মূল্য সংযোজন করে?
দ্বিতীয়ত, নতুন ভার্সন এর মূল্য থাকে আকাশ সমান। পাইরেটেড কপি ব্যবহার করা ছাড়া গতি নাই। এই নতুন ভার্সনগুলোর পাইরেটেড কপির নানা রকম সমস্যা থাকে। যেমন: photoshop cs4 যখন প্রথম দিকে বের হয় তখন অনেকগুলো layer নিয়ে কাজ করতে গেলে হঠাৎ করে আটকে যেত। চিন্তা করেন ব্যাপারটা - আপনি বিশ নাম্বার layer এ আছেন, হঠাৎ আটকে গেলেন (এই সমস্যায় অনেকেই পড়েছেন, এটা র্যামের সমস্যা না)। এছাড়া বাগ তো আছেই। ভাইরে, নতুন একটা ভার্সনে আগের workflow আনা কঠিন। আর গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে তো ডেডলাইনের ভিতরে কাজ করতে হয়, প্রিন্ট নিয়ে দৌড়াতে হয়।
কাজেই ব্যাপারটা ঠিক ভয় না, দ্বিধা। এই দ্বিধা অমূলক নয়, বরং অভ্যস্ততা ও বাস্তবতার যোগফল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভাইয়া,
বিশাল করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে আমি বোঝাতে চেয়েছি নতুন ভার্সন কতটা ইউজার ফ্রেইন্ডলি হতে পারে! অনেক শিল্পীই আছেন যারা এখনও ফটোশপ ৭ দিয়ে মাথা খারাপ করা কাজ করেন।
আপনার ২য় যুক্তি মেনে নিচ্ছি কারণ এরকম সমস্যায় আমাকেও পড়তে হয়! তবে আমার লেখার বিষয়বস্তু আসলে শর্টকাট, সমস্যাগুলি নয়। কিন্তু আপনার এই যুক্তি আমাকে ফটোশপের সমস্যা নিয়ে মৌলিক একটা লেখা তৈরির আইডিয়া এনে দিয়েছে! সেজন্য আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন
ফটোশপের সমস্যা নিয়ে মৌলিক লেখার অপেক্ষায় রইলাম, আমার ছোট-বড় পিচ্চি/বিশাল সব সমস্যা আছে, আশা করি সেখানে আলোচনা করা যাবে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আগে এই টপিকটা শেষ হোক তারপর থেকে শুরু করব
--
তারিক সাইফুল্লাহ
প্রিয় তারিক সাইফুল্লাহ:
আপনার লেখা "ফটোশপ সিএস৫ এর ২৫টি অসাধারণ কিবোর্ড শর্টকার্ট" এর দুই পর্ব [ইতিমধ্যে প্রকাশিত] এবং আগামী তিন পর্ব মূলত 25 Awesome Keyboard Shortcuts for Photoshop That You May Not Know লেখাটির অনুবাদ [এমনকী ছবিগুলোও মূল উৎস থেকে নেয়া হয়েছে]।
আমার জানামতে, যে কোন অনুবাদে মূল লেখার সূত্রের উল্লেখ থাকাটা খুবই জরুরী। আশা করছি আগামী পর্বগুলোতে সূত্র উল্লেখ করতে ভুল করবেন না।
আপনার কাছ থেকে গ্রাফিক্স এডিটিং নিয়ে অনুবাদের পাশাপাশি মৌলিক লেখা প্রত্যাশা করছি।
প্রিয় দ্রোহী ভাই,
ব্লগটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১. এটা ঠিক যে লেখাটি তৈরির প্রাথমিক ইন্সপিরেশন ওই লিঙ্ক থেকেই নেয়া। পরে আরো কয়েকটি লিঙ্কের সহায়তা নিয়েছি। তবে আমি যথেষ্ট চেষ্টা করেছি হুবহু অনুবাদ না করে মৌলিকভাবে নিজের মতো করে লেখার। আপনি নেট ঘাটলে দেখবেন এই টপিক নিয়ে শ শ টিউটোরিয়াল আছে। সুতরাং সেভাবে ভাবলে প্রতিটা লিঙ্ককেই সূত্র হিসেবে দেয়া লাগে। তবুও বিতর্কের সুযোগ না দেয়ার জন্য আপনার পরামর্শটি গ্রহণ করলাম।
২. ছবির কপিরাইট সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকার কারণেই ব্যবহৃত ছবিগুলো আমার নিজস্ব, আপনার উল্লেখিত লিঙ্ক থেকে ছবির মূল উৎস এবং আমার ছবির মূল উৎস দেখলেই বিষয়টি আপনার কাছে পরিস্কার হবে।
CS5 নিয়ে আমার নিজের বেশ ভীতি আছে, আসলে ফটোশপ দেখলেই ভয় লাগে আমার। আপনার লেখাটাকে তাই স্বাগত জানাই।
কিন্তু ভাই, আমি মনে হয় আপনার ব্যাখ্যাটা বুঝিনাই। আমি আপনার ছবির সোর্স দেখলাম, ফ্লিকার দেখায়; আর যে টিউটোরিয়ালটা দ্রোহীদা লিঙ্ক দিয়েছেন, সেখানে ছবির সোর্স cloudfront.net দুইটা ছবিতো আমার চোখে একই লাগছে, আপনি কি হুবহু একই ছবি তৈরি করে আবার ফ্লিকারে আপ্লোড করে এম্বেড করেছেন? বুঝলাম না ঠিক।
তবে লেখার তথ্যসূত্র বা রেফারেন্স জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, একজন লেখকের সেদিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। আপনি না দিলে, বা অন্য কারো চোখে পড়লেও যদি তাঁরা তা পয়েন্ট আউট না করেন, তাহলে সেটা ভবিষ্যতে অন্যদেরকেও তথ্যসূত্র জিনিসটাকে অবজ্ঞা করতে উৎসাহিত করে। মূল উৎস/ইন্সপায়ারেশন যে যে লিঙ্ক/সোর্স থেকে পেয়েছেন, তার প্রধাণ কয়েকটার সূত্র সবসময়েই দিয়ে দেয়া ভালো। বাংলায় সহজে CS5 এর টিপস পড়তে আমরা কম বেশি সবাই আগ্রহী মনে হয়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। আসলেই লেখার তথ্যসূত্র বা রেফারেন্স না দেয়াটা বোকামি হয়েছে। তবে আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে সবাইকে ফটোশপের প্রতি অ্যাট্রাক্ট করা প্লাস নতুনদের সহযে বুঝিয়ে দেয়া। এর বেশি কিছু নয়। এর থেকেও বড় ব্যপার হলো আমি আসলে লেখক না! তাই লেখা দূর্বল। আর সেজন্য আপনাদের এরকম মূল্যবান পরামর্শ খুবই জরুরী।
আপনার ধারনা সঠিক, আমি হুবহু একই ছবি তৈরি করে ফ্লিকারে আপ্লোড করে এম্বেড করেছি। সময়ের অপ্রতুলতার কারণে এদিক সেদিক করিনি। ইনশাল্লাহ নেক্সট থেকে দিব।
জানলাম। ফটোশপ ভালা পাই
বিপ্লবী স্বপ্ন
জানলেন জেনে ভালো লাগলো!
নতুন মন্তব্য করুন