আমার জন্ম ঢাকাতেই, এখন জানি এরশাদ বাবাজীর সূর্য তখন মধ্যগগনে, গনতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচনে তিনি নাকি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে রাজাসনে স্থায়ী হয়েছিলেন। ক্ষমতার মসনদে অস্থিরতা নেই বটে, নাকি? কিজানি, তখনতো দেশ চিনি না।
হাঁটতে শিখলাম কবে, বলতে শিখলাম কবে, সে কি আর মনে আছে? মনে আছে শুধু মালিবাগের এক চারতলা ক্ষুদ্রাকৃতির ভাড়া বাসায় জানলার গ্রীল কামড়ে আমার আকাশ দেখা শুরু। কি দেখতাম তখন? সকাল বেলায় কাকেদের অনর্গল কের্তন, দুপুর বেলায় চিল। বিকেলে কিন্তু রঙ্গমঞ্চে হাজারো রঙের আবির্ভাব হতো। কি মনে আছে কারো, ঢাকায় বিকেলের আকাশে শুধু ঘুড়ি আর ঘুড়ি! কেটে যাওয়া ঘুড়ি কেমন উদাস ভঙ্গীতে দুলতে-দুলতে কোথায় চলে যায় না? অমন বেখেয়ালী কিংবা টিভি এ্যান্টেনায় ফেঁসে যাওয়া বন্দী ঘুড়ি দেখে কি ভাবতাম সে আর মনে নেই। মনে আছে শুধু দুপুরবেলা খন্ড-খন্ড মেঘস্তুপের মিশেলে দৈত্যাকৃতির ঘন জলধর দেখে কি ভাবতাম, বলছি সে কথা, হাসবেন না কিন্তু।
জন্মের পরপরই কেউ আজান দিয়ে আল্লাহ শব্দটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন নিশ্চই, আমি সুবিশাল মেঘস্তুপকে সৃষ্টিকর্তার রূপ কল্পনা করে করে সময় পার করতাম, হাত-পা-মাথা মিলিয়ে কেমন বিস্ময় জাগতো যেন আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন এক দৃষ্টিতে! জায়গা বলতে চিনি সেই এক রুমের বাসা, আরেকটা জায়গাও চিনি বটে, ‘দেশ’। না, বাংলাদেশ নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আকানগর গ্রামের দাদুবাড়ি, আমাদের ‘দেশ’, যেখানে শুধু ঈদে যেতে হয়।
আমি তখনও দেশ চিনি না। নরসিংদী সাটিরপাড়া কালী কুমার স্কুলের এসেম্বলীতে ক্লাশ ওয়ান থেকেই সোনার বাংলা গেয়ে আসছি, মনে আছে। শপথ বাক্যের মুহুর্মুহু প্রতিজ্ঞায় দেশ ছিল, সেও বেশ মনে আছে। একুশে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষ্যে ফুল চুরির কর্তব্য ছিল, ছিল প্রভাতফেরী। ২৬এ মার্চে জাম্বুরী ছিল, ছিল ১৬ই ডিসেম্বরেও। কিন্তু তখনও আমি দেশ চিনি না।
ফাজিল টিভিটাতে ম্যাক্গাইভারটা শেষই হয়ে গেল! আমার ফেলুদাকে নিয়ে সত্যজিৎ রায় চলে গেলেন, সেই থেকে তোপ্সে ব্যাটাও উধাও, চিত্রনায়ক জাফর ইকবালও বুঝি তখনই। রাজীব গান্ধীর মৃত্যু নিয়ে কথাবার্তা শুনেছি মনে আছে। ছোট্ট একটা লাল রঙের বোন এল আমার, হাসপাতাল থেকে। ইমরান খান লোকটা কে? প্রেসক্লাবে কী কী যেন হয়ে গেল না, বাকের ভাইকে নিয়ে খুব হাঙ্গামা চারিদিকে, দেয়ালে দেয়ালে ‘তসলিমার ফাসী চাই’ কত সালের ঘটনা? বেসরকারি স্কুল-শিক্ষকরা কি যেন এক দাবিতে পড়ানো বন্ধ করে দিলেন, মতিয়া চৌধুরী খুব ধোলাই খেলেন বুঝি একবার, খুব মনে আছে। ম্যারাডোনা বিশ্বকাপে কেলেংকারী করে নাকের জল চোখের জল এক করলেন। তখনও আমি দেশ চিনি না।
স্কুলে সোনার বাংলা চলছে। কথাগুলো অস্পষ্ট, ফাগুনে আমের বোলের ঘ্রাণ ছাড়া। আমাদের টারজান বাহিনীর যে অভিষেক তখন সবে! আম-কাঠাল, চালতা-বড়ই আর জামে ঝুলেঝুলে বাড়িওয়ালী বুড়ির শাপশাপান্ত শুনি, জঙ্গলে ফাঁদ পাততে গিয়ে বিছার কামড়, শেষে মায়ের রিমান্ড। সোফার ফোম দিয়ে তৈরী ঘর-বাড়ি, বর-বধু খেলায় আমার পানিপ্রার্থীনি সকলের অধিক! মুসলমানীর গায়ে-হলুদ অনুষ্ঠানে বোন মহলের ‘এরপর বিয়ে বাকি’ শুনে লজ্জায় কুটিকুটি! দেয়ালে ‘আবাহনী দখল’, অতঃপর মোহামাডান বেদখল, কায়সার হামিদ-আসলাম, কে জিতবে আজ? পরের মাসেই আকরাম-বুলবুল, ব্যাপক উত্তেজনা। টেনিস বল দিয়ে ফুটবল-ক্রিকেট দুইই চলে, বড় ভাইদের দানে একটি ছেঁড়া ব্যাডমিন্টনের ফুল, সবেধন নীলমনি কাঠের র্যাকেট, আনন্দের, বড় আনন্দের সময়। কিন্তু...ঠিকই ধরেছেন, তখনও আমি দেশ চিনি না।
খালেদা জিয়া গদি ছাড়বেন, কিন্তু কী কী যেন বায়নাক্কা। ‘এই মুহূর্তে দরকার, তত্ত্বাবধয়াক সরকার’ কানে আসে। নির্বাচন হয়, মিছিল থামে না। ‘থামলে ভালো লাগে’ কেউ-কেউ বলেন, আমার ভালো লাগে না থামলেই। জনতার মঞ্চে অভুতপূর্ব সাড়া, বাবা বলেন। আবার নির্বাচন হয়। ‘কার্টুন নেই কেন’ আমার অনুযোগে মায়ের প্রলেপ, সংসদ দেখাও মজার। স্পীকার রাজ্জাক আলির সঙ্গে কিসের কাজিয়ায় বদরুদ্দোজা বাহিনী নিয়ে প্রস্থান করলেন, না বুঝলেও মজা পেলাম বটে। ক্ষণকাল পরেই নতুন শব্দের আবির্ভাব, ‘শেয়ার বাজারে ধস’, ঝরে কুঁজো বুড়ির বেড়ার ঘরটা ধসে পরেছিল চোখের সামনেই, এমন কিছুই হয়েছে বোধহয় শেয়ার বাজারে। বুঝেছেন নিশ্চই...তখনও আমি দেশ চিনি না।
ন্যাথান এ্যাস্টেলের ম্যাজিক দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু, পরমুহূর্তে শচীন, জয়সুরিয়া যে মানুষ না, তুফান! আমি কার দলে যাই? এ্যামব্রোস-ওয়ালস্দের দেখলে ভয় লাগে, কেনিয়ার সাথে হেরেও আফ্রিকার সাথে জিতল কি করে? বিনোদ কাম্বলির কান্না দেখে অশ্রু রোখা দায়। ফাইনালে ডি সিলভা দুপুরের আকাশে দেখা সেই অরোধ্য সোনালি সোনালি চিল। কি বুঝলেন(না বুঝলে DGM)?... তখনও আমি দেশ চিনি না।
সময়টা আস্পষ্ট। কেমন যেন এক আনন্দ সর্বত্র। মানুষ রেডিওতে খেলা শোনে কিন্তু ঝগড়া করে না কেন? আবাহনী-মোহামেডান সমর্থকরা এত শান্তিপূর্ণ ছিল কবে? ধুর, স্কুলে যাই। পিটিতে ভাইয়াদের আলাপে শুনি পাইলট নাকি শেষ দুই বলে ‘দুইডা ছক্কা মারছে’। বাংলাদেশ জিতেছে, দুয়েকদিন পরপরই কানে আসছে। বিকেলে আমাদের ভেন্যুতে গিয়ে দেখি গড়ের মাঠ, ব্যাপার কি? সবাই চায়ের স্টলে। গাদাগাদি ভীড়ে জূটে যাবার চেষ্টা করি, কিন্তু নিষ্ঠুর জনতা ‘গুড়া-গাড়া খেদাইয়া’ দেয়। ভজনদার ওয়ার্কশপ শেষ আশ্রয়। সবার মুখ আমসি! উইকেট সব পরে গেছে, বাকি আছে আকরাম, সঙ্গী ‘ব্যাট ধরতারে না’ সাইফুল, হল্যান্ডের বোলিং ভালো। সাইফুল কিন্তু ব্যাট ধরতে পেরেছিলেন, আকরাম খেললেন জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ইনিংস, ‘আকরামে আকামডা করছে কী’ সবাই বলে। এবার স্কটল্যান্ডের সাথে জিতলে বিশ্বকাপ নিশ্চিত। সেমিতে পাইলট-বুলবুলের মহাকাব্যিক পার্টনারশিপ, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে টলমলে বোলিং কিঞ্চিত পরেই ঋজু। স্কটল্যান্ড ‘বেদিশা’। আমরা বিশ্বকাপে, আমরা!! রঙবাজীর অভিষেক, আমি রঙবাজ! কত মিছিল দেখে এলাম, নৌকা-ধানের শীষ, আবাহনী-মোহামেডান, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, কিন্তু আজ একি! বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! বাকি আছে আরো, স্টিভ টিকোলোর যন্ত্রণা বাকি আছে, বাকি আছে কিলাত কিলাতের বৃষ্টি, ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস’ দুইটাকে যদি সেদিন পেতাম না, বাকি রাখতাম কিছু? জাফরুল্লাহ শারফাতের এমন উত্তেজিত স্বরে তুই ব্যাটা দূর্জয় প্রথম বলেই ক্যামনে আউট হয়ে গেলি? কচ্ছপ নান্নু এই পজিশনে কেন? তারপরেও বাকি আছে...বুলবুল-রফিকের দুটো করে ছয় বাকি আছে, বাকি আছে আকরামের বল হারিয়ে ফেলা...শারাফাতের এমন বাঁজখাই গলাটা তুই ছয় মেরে ভেঙ্গে দিতে পারলি পাইলট! পাঁচটা বল করতে তো অনন্তকাল লাগার কথা না, ঐ মার্টিন সুজী, তাড়াতাড়ি বল কর, হার্টটার কতটুকু বাকি আছে আর বলতে পারছি না কিন্তু! শেষ একটা বলের জন্যে কেন যে আমাকে নেয়া হলো না, শান্তর বিশ্বাস আছে নাকি? বাকি থেকে যায়...একটা লেগ-বাই রান, চিল্লাচিল্লিতে নগদ-বাকির হিসাব পাই না, আবার পাইও। বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফী চ্যাম্পিয়ন? স্বপ্ন দেখছি না তো, ঐটাতো বাকি ছিল না!! মাটি ফুড়ে আকাশ ছুয়ে চিৎকার করি, একজন-একজন করে মানুষ খুঁজে রঙ ঢেলে দিতে হবে, এখনই...হোক না অফিস ফেরত কোর্ট-টাইধারী আংক্যাল, সফেদ আলখাল্লার হুজুর, বোরখা-শাড়ী যাই থাকুক না আন্টির গায়ে, রঙবাজীতে বাকির কারবার নেই। কেন থাকবে...এই তো সবে আমি দেশ চিনেছি, আমার দেশ!
(ঘটনা পরম্পরা উল্টা-পাল্টা হয়ে থাকলে দয়া করে ক্ষমা করে দেবেন, স্মৃতি বড় প্রতারক)
- দিগন্ত বাহার
(diganta_bahar@yahoo.com)
মন্তব্য
অসাধারন। "দেশ চিনেছি, আমার দেশ!" ক্রিকেটে বিজয়ের সময়গুলোতে কেন জানি নিজেকে বড় দেশপ্রেমিক মনে হয়।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে আপনার লেখাটাকে মনে মনে পাচতারা দাগিয়ে গেলাম। আশাকরি আবার আসবে সেই সময়গুলো ফিরে। আমার প্রিয় ক্রিকেটিয় মুহুর্তগুলো ক্রমানুসারে ভাগাভাগি না করে নিতে পারলাম না:
১। আইসিসি ট্রফি জয়
২। ৯৯ এ পাকিস্তানের বিপক্ষের জয়
৩। ২০০৭ এ উদ্ধত ভারত কে গদাম
(আশা করছি ১ নম্বর এ পরিবর্তন আসবে এবার এভাবে: ২০১১ এ মিরপুরে চরম উদ্ধত ভারত কে গদাম।)
ধন্যবাদ।
-----------------------------------
অনঘ
অসংখ্য ধন্যবাদ অনঘ।
সেই ৯৭ এর পর ৯৯এ পাকি বধে রঙ ছিটিয়েছিলাম আবারও, ততদিনে তো দেশ চিনি।
তুলনা করা শক্ত বটে, ২০০৭ এ ভারতের মুখে ঝামা ঘষে যা আমুদটা পেয়েছিলাম না! পূনরাবৃত্তীতে রংবাজী করব আবারও, এই স্বপ্নে আছি।
ভালো থাকবেন।
- দিগন্ত বাহার
ভালো লেখা ।
------------------------------------
সবুজ পাহাড়ের রাজা ।
অনেক ধন্যবাদ সবুজ পাহাড়ের রাজা ।
ভালো থাকবেন।
- দিগন্ত বাহার
দুর্দান্ত লিখেছেন বস্
বাংলাদেশের জয় নিয়ে আনন্দের অতিশয্যে রঙ ছিটানো থেকে শুরু করে হলের লাইট, টেবিল, দরজার কাঁচ কী যে ভাঙ্গি নাই তার ঠিক নাই। তবে তা ইচ্ছাকৃত নয়। বাংলাদেশ জেতাতে সাথে সাথেই হলে ক্রিকেট শুরু হয়ে যেত। ধুমধাড়াক্কা পিটাইতে যাইয়া বারান্দার লাইট, দরজার কাঁচ, কোণায় রাখা টেবিলের পায়া সব গুড়ো কইরা দিছি। বাধ্য হইয়া কিছুদিন এর জন্যে হলে ক্রিকেট নিষিদ্ধ হইয়া গেছিল পর্যন্ত
-অতীত
অনেক ধন্যবাদ অতীত।
হা হা হা...আমাদের পাড়ায় একজনকে দেখেছিলাম রঙের স্টক শেষ হয়ে যাওয়াতে গোবড় ছিটিয়েছিলেন ...সেদিনের কথা আমাদের সকলের জীবনেই অন্যতম(আমার ক্ষেত্রে প্রধানতম) আনন্দময় স্মৃতি হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ভালো থাকবেন।
- দিগন্ত বাহার
দুর্দান্ত লেখা। সত্যি, এত দলাদলির ভিড়ে আন্তর্জাতিক খেলাগুলোই বোধহয় শুধুমাত্র আমাদের একাত্ব করে তোলে, এক কাতারে নিয়ে আসে। আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টা এত চমৎকার করে উপস্থাপন করার জন্যে।
খুব আশা করছি, এই বিশ্বকাপে আমাদের ক্রিকেট দলটা নতুন প্রজন্মকে দেশ চিনিয়ে দেবে, দেশ কি বুঝিয়ে দেবে।
-------------------------
মৌন কথক
আমারও তাই মনে হয়, একাত্মতা প্রকাশের আর খুব বেশি জায়গা এখনও আমরা তৈরী করতে পারিনি , নতুন প্রজন্ম নিয়ে আমিও আপনার মতোই আশাবাদী।
আপনাকে ধন্যবাদ মৌন কথক, ভালো থাকবেন।
- দিগন্ত বাহার
অসাধারন লিখেছিস রে, সম্মোহিত হয়ে পড়লাম এত সুন্দর বর্ণনা...সেই রংবাজীতে আমিও ছিলাম কিন্তু।
নাজমুল।
খুব মনে আছে...সেই মীনা রঙের দিনগুলি
ব্যাপক অবাক হয়েছি তোর মন্তব্য দেখে, ধন্যবাদ দোস্ত।
- দিগন্ত বাহার
খুব ভালো লিখেছেন। একটা ঘটনা খুব মনে পড়ে, বাংলাদেশ যেদিন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন হলো। আমি তখন খুলনা সেকেন্ড ডিভিশনে ক্রিকেট খেলি। সেদিন শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে (যেটা এবারের বিশ্বকাপের রিজার্ভ ভেন্যু) খেলছি। বাউন্ডারি লাইনের পাশে রেডিও, কারোরই যেনো খেলায় মন নেই, ফিল্ডাররা থেকে থেকে এসে খবর নিচ্ছে। আমরা ছিলাম ব্যাটিংএ। হঠাৎ করেই সব ক্লাইম্যাক্স শেষ, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। কে যেনো আচমকা নারায়ে তকবির ধ্বনি দিয়ে উঠলো। আবার অবাক হয়ে দেখলাম দুলালদা আল্লহু আকবার বলে গগণবিদারী চিৎকার দিলেন বিশাল এক লাফ মেরে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হা হা...আনন্দ প্রকাশের বিচিত্রতম সব প্রদর্শনী হিসেবেই স্মৃতিতে টিকে আছে আমাদের ক্রিকেটের মুল টার্নিং পয়েন্ট।
অনেক ধন্যবাদ রাতস্মরণীয়'দা...আপনার মাসুদ রানিয় ঘোরাঘুরি অব্যাহত আছে তো, নুতন ছবির অপেক্ষায় আছি কিন্তু...
নতুন মন্তব্য করুন