কবিতা অন্য কেউ লিখে,আমি লিখিনা ।
বরং গোপনে পুষে রাখি অসম প্রতিদ্বন্ধিতা । লিখবো না কবিতা । অথচআরো গোপনে,আরো গভীর নিজস্বতায় আমার ব্যক্তিগত সমর্পণ শেষপর্যন্ত কবিতার কাছেই । উচ্ছ্বাস ও উল্লাসে,প্রেম ও অপ্রেমে,যুক্তি ও মাতলামীতে,উৎসব ও শোকগ্রস্ততায় আমি কবিতার শরীর আঁকড়ে ধরি । মুক্তি পাইনা,মুক্তি কি খুঁজি আসলে?
মউজদিন গেলেন ,প্রস্তুতির দীর্ঘ কালো রাত পিছনে ফেলে
তিনটি মানুষ চলে গেলো মৃত্যুর দিকে-একই দিকে চলে গেলো আরো হাজার মানুষ,তাদের সাথে আমার ব্যাক্তিগত কোন স্মৃতি নেই,তবু মানুষ তো,তবু তো স্বদেশের মুখ -সকালবেলা উঠেই আরেকপ্রস্ত বিষাদ্গ্রস্থতা ।সঞ্জীবচৌধুরীর সাথে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্মৃতিময়তা-চারন করতে ও ভর করছে ক্লান্তি ও বিষাদ । ফোন করে খবর নেয়া যায়,খবর নেয়া দরকার । ফোন করছিনা,খবর নিচ্ছিনা । ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক শোকে স্তব্দ হয়ে আছি ।
এ শূন্যসময় যখন কোন কিছুরই কোন মানে দাঁড়ায়না আর কোন কিছুই মুলত ঢাকেনা কোন কিছুকেই-কি এক অদ্ভূত নেশাগ্রস্থতায় আমি তখনো আঁকড়ে ধরে উদ্ধার খুঁজি কবিতার কোমল শরীর ।
********
********
মৃত্যু আমাকে নেবে,জাতিসংঘ আমাকে নেবেনা
আমি তাই নিরপেক্ষ মানুষের কাছে,কবিদের সুধী সমাবেশে
আমার মৃত্যুর আগে বোলে যেতে চাই
সুধীবৃন্দ শান্ত হোন,গোলাপ ফুলের মতো শান্ত হোন
কি লাভ যুদ্ধ কোরে,শত্রুতায় কি লাভ বলুন?
আধিপত্যে এতো লোভ? পত্রিকা তো কেবলি আপনাদের
ক্ষয়ক্ষতি ধ্বংস আর বিনাশের সংবাদে ভরপুর
মানুষ চাঁদে গেলো,আমি ভালোবাসা পেলুম
পৃথিবীতে তবু হানাহানি থামলোনা!
পৃথিবীতে আমার মতো তবু কেউ রাত জাগে
নুলো ভিখিরীর গান,দারিদ্রের এতো অভিমান দেখলোনা!
আমাদের জীবনের অর্ধেক সময়তো আমরা
সঙ্গমে আর সন্তানউৎপাদনে শেষ কোরে দিলাম,
সুধীবৃন্দ তবু জীবনে কয়বার বলুন তো
আমরা আমাদের কাছে বোলতে পেরেছি
ভালো আছি,খুব ভালো আছি?
[আবুল হাসান]
মন্তব্য
তাই ন্যা। তাইলে ক্যামনে কি?
জন্মেছেন যবে বঙ্গে, পীড়ন রবে সঙ্গে। তবুও এই-ই আমাদের দেশ।্এই-ই আমাদের সন্ধ্যার ঘর ফেরার ঠিকানা।
::::::::::::::::::::::::::::::::::::
বহুদিন হলো নিকষ কুঠার ফেলে এসে ভুলে
দাঁড়িয়েছি আজ মেঘের কিনারে এসে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
********
********
মৃত্যু আমাকে নেবে,জাতিসংঘ আমাকে নেবেনা
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
তবুও কবিতা।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
...একই দিকে চলে গেলো আরো হাজার মানুষ,তাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন স্মৃতি নেই, তবু মানুষ তো, তবু তো স্বদেশের মুখ -সকালবেলা উঠেই আরেকপ্রস্ত বিষাদ্গ্রস্থতা
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আসলেই ভালো আছি, খুব ভালো আছি আমরা!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
স্বপ্নময় মানুষগুলো হঠাৎ চলে যাওয়ার পথ ধরল কেন?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন