দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ তুমি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ,
তুমি ভাঙ্গলে কেন? পড়লে কেন? দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
তুমি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
ইয়াসমিনের সঙ্গে তুমি দিনাজপুরের বাসে
তুমি ও বাড়ি যাচ্ছিলে তো ইয়াসমিনের পাশে ।
কুত্তারা সব ঝাঁপিয়ে পড়ে-কাপড় ধরে টান ।
খুবলে খেয়েছিল মেয়ের গোলাপ এবং প্রান ।
তখন তুমি করতে কিছুই পারলে না তো মানুষ!
তাই কি তুমি ভাঙ্গলে মানুষ?
তাই কি তুমি পড়লে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
তুমি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ ।
তুমি ভাঙ্গলে কেন? পড়লে কেন? দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
শাহজালালের দেশে বাবার মেয়ে নূরজাহান ।
সমাজ বলে অসতী সে! বিচার অনুষ্ঠান !
সেই বিচারে পাথর মেরে হত্যা করার রায়!
আর কারো নয় নারীর প্রান নূরজাহানের যায় !--
তখন তুমি করতে কিছুই পারলে না তো মানুষ!
তাই কি তুমি ভাঙ্গলে মানুষ?
তাই কি তুমি পড়লে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
তুমি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ ।
তুমি ভাঙ্গলে কেন? পড়লে কেন? দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
জাহাজ ভেড়ে চট্রগ্রামে মাল হচ্ছে খালাস ।
বন্দরে আজ পড়ে আছে মেয়ে মানুষের লাশ ।
ধর্ষিতা সে মেয়ে মানূষ- নাম ছিল তার সীমা ।
ভগবানের দিকেই ঘৃনায় তুই তাকালি মা !
তখন তুমি করতে কিছুই পারলে না তো মানুষ!
তাই কি তুমি ভাঙ্গলে মানুষ?
তাই কি তুমি পড়লে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
তুমি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ ।
তুমি ভাঙ্গলে কেন? পড়লে কেন? দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
অসতী আজ আমার মেয়ে যদিও সতী সে!
ধর্ষিতা আজ আমার বোন একলা যদি সে!
ধর্ষকেরা লাফিয়ে বসে সিঙ্ঘাসনে আজ ।
আল্লা তোমার চক্ষু তুলে খাচ্ছে শকুন বাজ ।
তখন তুমি করতে কিছুই পারলে না তো মানুষ!
তাই কি তুমি ভাঙ্গলে মানুষ?
তাই কি তুমি পড়লে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
তুমি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ ।
তুমি ভাঙ্গলে কেন? পড়লে কেন? দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ তুমি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ ।
ইয়াসমিনের পাশে তুমি,নুরজাহানের পাশে তুমি,
সীমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলে মানুষ ।
অপমানের বোঝা মাথায় অপঘাতেই শেষ ।
তারপর ও কি বলবে তুমি সমাজ,মানুষ,দেশ?
তারপর ও কি মায়ের দিকে চোখ ফেরাতে পারো?
মাতৃভূমি,মাতৃভাষা বলতে তুমি পারো?
বলতে তুমি পারো মানুষ দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ?
দাঁড়িয়ে ছিলে ভাঙ্গছো কেন পড়ছো কেন তুমি?
দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ তুমি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ ।
তুমি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ ।।
সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা
মন্তব্য
সচলায়তনের সুহৃদ স্নিগ্ধা এই কবিতাটা চেয়েছিলেন । তুলে দিলাম তাঁর জন্য ।
স্নিগ্ধা- সিগনেচারের লাইন দুটো নির্মলেন্দু গুনের কোন এক কবিতা থেকে । কবিতার নাম মনে করতে পারছিনা ।
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ...............
স্নিগ্ধা
সৈয়দ হকের এই কবিতার নাম দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষ হওয়াটাই বোধ করি সঙ্গত ছিলো - - - - - -
দুঃখিত, ওপরের মন্তব্যে initial লিখতে ভুলে যাওয়ায়
ss
সেঁজুতি,
পুরুষ- সে ও তো মানুষ ।
ইয়াসমিনকে ধর্ষন করে যারা তারা ও পুরুষ,বিচার চেয়ে জীবন বিলিয়ে দিতে যারা দ্বিধা করেনি তারা ও কিন্তু পুরুষ ।
সমলিংগের বর্বরতার গ্লানিতে দগ্ধ হয়ে যে লিখে- 'আমি ও পুরুষ বলোনা আমায় কতোটা ঘেন্না করো?'
সে কি পুরুষ নয়? নয় মানুষ?
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
খুব চোট পেলেন? হেলাল হাফিজের ক্ষমার সজীব রুমালে মুছে আ্যন্টিসেপটিক দু'টো চুমু দিয়ে কি ইয়াসমীনের চোট মোছা যায় সুহৃদ?পুরুষ হওয়ার শৌর্যটাকে বরং সেলিব্রেট করি, চলুন। তাতেও কাজ না হলে সিক পাপিস এর free hugs তো রইলোই, ভালো থাকুন, পুরুষমানুষ হিসেবেই :) : )!!!
শুভাশীষ।
চোট? একদমই না
পুরুষের বর্বরতার কারনে কেউ গোটা পুরুষপ্রজাতিকে গালি দিলে আমি গায়ে পড়ে নেইনা কারন আমি দুনিয়াসুদ্ধ পুরুষ প্রজাতির প্রতিনিধিত্ব করিনা । তাই বর্ববরতার দায়ভার নেয়া কিংবা পুরুষ হওয়ার শৌর্য সেলিব্রেট করা কোনটাতেই যুক্ত হবার দরকার মনে করিনা ।
নারীর উপর সংগঠিত বর্বরতাকে কেন্দ্র করে যারা নারী-পুরুষকে মোটা দাগে আলাদা করে ফেলেন,তাদেরকে আমার বেশ ক্লিশেই মনে হয় । যেনো না জেনে অথবা জেনশুনেই ইচ্ছে করেই তারা খন্ডিত করছেন,গোটা সত্যের বদলে প্রচার করছেন অর্ধসত্যকে ।
আমি এরকম অর্ধসত্যে চোখ ডুবাই না । নারীর উপর যে নির্যাতন, সে নির্যাতন বিশ্বব্যাপী মানুষের উপর চালানো অনেক নির্যাতনেরই একটা । ইয়াসমীনের জন্য রাস্তা নিরাপদ নয়,তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষন করে হত্যা করা হয় । হত্যাকারীদের লিঙ্গ পরিচয় পুরুষ নিঃসন্দেহে । চলেশ রিচিল নামের একজন পুরুষকে ও যখন পিটিয়ে হত্যা করা হয়? পুরুষ বলেই কি পৃথিবী আমার জন্য খুব নিরাপদ? আমি পুরুষ, আমি ও কি আক্রান্ত নই অন্য কোন পরিমাপে? আমার লিংগ পরিচয় তাহলে এবসুলেট কোনো বর্ম নয় আমার জন্য?
নারীর উপর নির্যাতন শেষপর্যন্ত মানুষের উপর নির্যাতন বলেই-এর প্রতিরোধ ও কোন বিচ্ছিন্ন বিশ্লেষনে সম্ভব নয় । অন্য সব নির্যাতনের মতো এটা ও প্রতিরোধ করতে মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে- নারী মানুষ এবং পুরুষ মানুষ দুজনকেই ।
সকল পুরুষই নির্যাতনকারী- এরকম সরল সিদ্ধান্ত তেমন কার্যকর কিছু নয় ।
ইয়াসমীন হত্যার বিচার চেয়ে যে পুরুষেরা প্রান বিসর্জন দিতে দ্বিধা করেনি-তাদের ভূমিকা 'ক্ষমার সজীব রুমালে মুছে আ্যন্টিসেপটিক দু'টো চুমু ''র চেয়ে একটু বেশীই ছিলো বলে মনে হয়
শুভাশীষ আপনার জন্য ও ।
ভালো আছি । মানুষ হিসেবে । পুরুষ মানুষ হিসেবেই :)।
ভালো থাকুন । মানুষ হিসেবে । মেয়ে মানুষ হিসেবেই ।
নিজের পরিচয় মুছে দিয়ে সম্মিলন ঘটানো,সবিশেষ ফলদায়ক বোধ হয়না ।
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বাহ। ভালো একটা আলাপ জমে গিয়েছিল।
সূবর্ণা সেঁজুতি - মেয়ে হয়েও আমাকে বলতেই হচ্ছে আমি আসলে মনে করি ব্যাপারটা নারী পুরুষ বিভেদের চাইতে বেশী নির্ভর করে ‘ক্ষমতা’ কার হাতে তার ওপর । দূর্ভাগ্যবশতঃ ক্ষমতা পুরুষের হাতেই রয়ে গেছে ইতিহাসের বেশীর ভাগ সময় - অতএব মেয়েদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ও ঘটেছে অনেক বেশী। কিন্তু তার মানে আবার এই না যে মেয়ে হিসেবে আমি যতোটা অনিরাপদ আমাদের দেশের একটা রিকশাওয়ালা বা অন্য কোন খেটে খাওয়া মানুষ আমার চাইতে একটু ও বেশী নিরাপদ, বরং উল্টোটাই সত্যি বলে আমি মনে করি। কে সমাজের কোন শ্রেনীতে অর্থাৎ কার হাতে ক্ষমতার কতখানি ভগ্নাংশ পৌছয় সেটাই নির্ধারন করে সে কতোটা নিরাপত্তা আশা করতে পারে। আমার কেমন যেন মনে হয় - বিশেষত পৃথিবীর অবস্থা টবস্থা দেখে - যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ। আসুন সবাইই ভালো থাকার চেষ্টা করি - মেয়ে মানুষ/পুরুষ মানুষ হয়ে হতে পারলে তো ভালোই নাহলে গাছ টাছ টেবিল চেয়ার ইত্যাদি হয়েই নাহয়? ঃ)
স্নিগ্ধা
অসাধারণ একটা কবিতা। একটুখানি পেয়েছিলাম আগে আপনার মন্তব্যে, পুরোটা পেয়ে ভালো লাগলো খুব। ----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আলাপটা ভালো লাগলো।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমিও। মানবতার বিরুদ্ধে নির্যাতন - এটাকে রুখতে হলে ফেমিনিস্ট, ম্যাসকুলিনিস্ট - ইত্যাদিদের আলাদা আলাদা মিছিল না করে একটা ঐক্যবদ্ধ মিছিল হলেই শক্তিটা বাড়বে।
আরেফীন
আপনি তো দারুণ লোক হে মশাই!একটু বোধ করি touchy ও। চোট তাহলে দিয়েই ফেললাম !!
সমগ্র পুরুষ জাতিকে গালি দেইনি মোটেও,বরং পুরুষের অনেক কিছুই আমার বেশ পছন্দের, বিশেষতঃ সুদর্শন এবং সুভাষী পুরুষের, সুবাসী পুরুষের ও। however,
নারী হবার ব্যাপারটা আমি দারু-----ণ উপভোগ করি, ভীষণ ভাবেই। লাখ টাকা দিলেও আমি পুরুষ হচ্ছি না।:)দুষ্টুমি থাক,সময়াভাবে কাজের কথাটা বলি। মোদ্দা কথাটা এই যে ক্ষমতা যার হাতে,নির্যাতন তার দ্বারাই- mostly. আমি,আপনি স্নিগ্ধা- সকল সুহৃ্দই মেনেছি।সবাইকে প্রতিহত করতে হবে,সেটাও। আবার স্নিগ্ধার বক্তব্যের জের ধরে যেহেতু গাছ পাথর হয়ে সময় কাটানো টা কোনো কাজের কথা নয়,সুতরাং নারী এবং পুরুষ হয়েই ইন্টারেস্টিং জীবন যাপন টাও কাজের। শুধু যেটুকু যোগ(অথবা বিয়োগ) করতে চাই, সেটা হলো নারী হবার এবং শুধুমাত্র নারী লিঙ্গ পরিচয়েই আমাদের অনেক গুলো বাস্তবতা,চলেশ রিছিল এবং ইয়াসমীনের নির্যাতনের যৌন নিপীড়ন অংশটুকু যেমন ভিন্ন। তাই এই কবিতাটাকে পুরুষ তুমি ভাঙলে কেন বললে আমার কাছে বেশী সঙ্গত হতো বলে বোধ হয়েছে, সেটার মানে এরকম করাটা বোধ করি একটু harsh হয়ে যায় আমার ওপর যদি আপনি বলেন খন্ডিত করা মানে ক্লিশে অথবা নারী পুরুষের ওপর নির্যাতন শুধুই ক্ষমতার। কখনো কখনো তা বোধ করি শুধু লিঙ্গেরও,ক্ষমতার এক কাতারে(অথবা ইয়াসমীন বা রিছিলের মতো ক্ষমতাহীনের এক কাতারে) থেকেও, কি বলেন? যদি এর পরও দ্বিমত থাকে, তাহলে আমি ক্ষমা দেই, কারণ দৃষ্টিভঙ্গীর এটুকু পার্থক্যে খুব বড় বিভেদ ঘটার নয়,যখন basic ব্যাপারটাতে সবাই একমত,- নির্যাতন বন্ধ করা। মানুষের।
on a lighter note, পুরুষের শৌর্য সেলিব্রেট করতে দোষ কোথায়, মোরশেদ? আমাদের চারপাশের কত কিছুই তো সেলিব্রেট করি, নারীর সৌন্দর্য, বন্ধুর চাকরি, নতুন শিশুর আগমন,বসন্তের বাতাস----
রজার ফেডেরার এর দুর্দান্ত ফোরহ্যান্ড এবং তেজস্বী ঘোড়ার মত টগবগিয়ে কোর্ট দাপিয়ে ছুটে চলার একটা ভীষণ প্রাণবন্ত আমেজ আছে আমার কাছে, বুঝি: সেটার কতকটা খেলা পছন্দ করি বলে, আবার কতকটা তার পুরুষালী সৌন্দর্যের মুগ্ধতাও বইকি!এই শৌর্য সেলিব্রেট করতে গেলে আবার ঝগড়া বাঁধাতে আসবেন না তো?
তর্ক থামুক? এখানেই?
আ্যান্টিসেপটিক চুমুটা না হয় থাক ক্ষমার সজীব রুমাল টা বের করে সবাইকেই না হয় তার পরশ দেয়া যাক?
শুভাশীষ।
ss
প্রিয় সূবর্ণা সেঁজুতি - সত্যি সত্যি গাছ বা পাথর হয়ে থাকতে পারলে কি আর আপনার কবিতা পড়ে আলোড়িত হই? আসলে ফাজলামি করছিলাম। ঠিকই - তর্ক থাকলো- বরং আপনার সুন্দর, সংবেদনশীল, স্পর্শী লেখার অপেক্ষায় থাকি........................
স্নিগ্ধা
ওক্কে-ওম শান্তি আসসালাম
on a lighter note- পুরুষকে শৌর্য্য আর নারীকে সৌন্দর্য্য,মমতা এইসব প্রেজুডিস থেকে একটু মুক্তি দেয়া যায়না?
আমার তো মনে হয় শৌর্য,বাহাদুরী এইসবের আলগা চাপেই পুরুষত্বের প্রথমে নার্সিজম আর পরে ফ্যাসিজমে রুপান্তর । আর নারীর ক্ষেত্রে ও তাই-কমনীয়,নমনীয়,রমণীয়! এই না হলে কি আর নারী?
।তারচেয়ে নারী ও আরেকটু শৌর্যবতী হোক, পুরুষ ও হয়ে উঠুক আরেকটু মমতাময় ।
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অনেকদিন পরে আবার সেই কবিতাটা, নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হয়।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন