১...
২০০৭ এর জানুয়ারীর ১৯ তারিখ ।
ইস্তাম্ব্বুল থেকে প্রকাশিত জাতিগত সংখ্যালঘু আর্মেনিয়ান দের সংবাদপত্র 'Agos' এর সম্পাদক 'HRANT DINK' নেমে এলেন তার পত্রিকা অফিসের নীচে ।
এবং তিনি নিহত হলেন ।
তাঁকে হত্যা করলো ১৭ বছরের এক তরুন এবং নির্বিঘ্নে চলে যাওয়ার সময় সে চিৎকার করে বললো- 'আমি এক ঘৃন্য আর্মেনিয়ান কে হত্যা করলাম'
১৯১৫ সালে অটোমান শাসকেরা(বিশ্বমুসলিমের শেষ গর্ব,শেষ খেলাফত)গনহত্যা চালায় সংখ্যালঘু আর্মেনিয়ানদের উপর । ৩বছর ধরে চালানো এ গনহত্যায় নিহত হয় অন্ততঃ এক মিলিয়ন আর্মেনিয়ান ।
তারপরের কয়েকদশকে এ গনহত্যা প্রায় বিস্মৃত হয়ে এসেছিলো । কিন্তু বিগত কয়েকবছর ধরে তুরস্কে ডানপন্থী উগ্রজাতীয়তাবাদী ও ইসলামিষ্টদলগুলোর পুরুত্থানের পাশাপাশি বিস্মৃতপ্রায় গনহত্যার প্রসংগ ও সামনে আসতে থাকে । আর্মেনিয়ান জনগন ও তুরস্কের উদারপন্থীরা এ বিষয়কে আলোচনায় ফিরিয়ে আনেন । এই আলোচনা উগ্র জাতীয়তাবাদীদের আরো খেপিয়ে তুলে । এই গনহত্যার ইতিহাসকে অস্বীকার করে এটাকে তারা 'তুরস্ক রাষ্ট্র' ও 'টার্কি জাতীয়তাবাদ' বিরোধী ষড়যন্ত্র বলে প্রচার করে ।
২...
আজ থেকে কয়েক দশক কিংবা কয়েক শতক পরে কি আজকের বিস্মৃত ইতিহাস পুনরুত্থিত হবে?
গত ৩৬ বছরে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুর অনুপাত ক্রমশঃ কমে এলো কেনো 'পিপলস রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ' এ?
আমাদের শৈশবে দেখা মফস্বল ও গ্রামের জেলেপাড়া,কুমোর পাড়া, পালপাড়া গুলো বাতাসে মিলিয়ে গেলো? মানুষগুলো কোথায় গেলো?
বাবরী ভাংগার পরের কয়েক সপ্তাহ কিংবা অক্টোবর ২০০১ এর পরের দিনগুলো ভোলা বরিশাল নোয়াখালীর চরগুলো?
সমতলের আদিবাসী সাঁওতাল,হাজংয়েরা?
জাফলং তামাবিলের খাসিয়াদের জায়গা দখল করে বালু পাথরের মহাল?
অথবা নানিয়ারচরের গনহত্যা? শান্তিবাহিনী দমনের নামে পাহাড়ী নারী ধর্ষন?
এইসব ঘটনাগুলো কি কোনো একদিন ইতিহাসের মুখোমুখি দাঁড়াবে?
সেদিন কি আমার জাতীয়তাবোধ আক্রান্ত হবে?
আমি হয়তো থাকবোনা সেই দশকে,সেই শতকে । আমার রেখে যাওয়া প্রজন্ম সেদিন কোন ভুমিকা নেবে? পুর্বপুরুষের অপরাধ ও প্রতিরোধহীন্তার লজ্জায় অধোবদন হবে নাকি ১৭ বছরের তরুন টার্কিশের মতোই সে হবে অন্ধ,বিবেকহীন ,উন্মাদ?
মন্তব্য
জাতীয়তাবাদী উগ্রতা আসলে নিচুস্বরে কী বলে? অন্য সমস্ত জাতিকেই সে শত্রুর কাতারে ফেলে দেয়, নাকি? উগ্র খ্রিষ্টান গালি দেয় ইহুদি আর মুসলিমকে, উগ্র মুসলিম গালি দেয় হিন্দুকে, উগ্র হিন্দু গালি দেয় মুসলিম আর শিখকে, উগ্র পাকিস্তানী আর উগ্র ভারতীয় একে অপরকে গালাগালি করে। এই উগ্র কণ্ঠগুলি ব্যবহৃত হয় সবসময়। ব্যবহৃত হয় চরম ধান্দাবাজদের হাতে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমাদের দেশে মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মে বিশ্বাসীদের মাঝে যে ভীতি এবং নিরাপত্তাহীনতার আশংকা, সেটা আশংকা করার মতো।
এই ভয় থেকেই তারা কাউকেই বিশ্বাস করেনা।
রাষ্ট্রকে নয়, শাসনকাঠামোকেও নয়।
আর উগ্রতার ঘটনাগুলো প্রমাণ করে, তাদের ধারণা অমূলক নয়।
কিন্তু বিশ্বাসহীনতার যে শেকড়, তার দায়িত্ব কে নেবে?
------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
স্বজাত্যবোধের অহং মানুষকে কেমন করে এতটা নিচে নামাতে পারে আমার বোধে কুলায় না। আমার স্থির বিশ্বাস এই স্খলনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ একদিন পাথরে পা ঠুক ঘুরে দাঁড়াবেই। তবু এই নষ্টযুগের নিষ্ক্রিয় দর্শক আমি নিজেকেই ক্ষমা করতে পারি না, উত্তর পুরুষের ঘৃণা তো আমার প্রাপ্য।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
জাতীয়তাবাদের অনেক ভাল ভাল গুণ আছে, কিন্তু মুদ্রার অপর পিঠেই আছে তার সংখ্যালঘুগ্রাস নীতি। স্রেফ মেরে শেষ করার পলিসি। যেমন করে ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনীরা নিশ্চিহ্ন করেছে রেড ইন্ডিয়ানদের, "সভ্য" ইউরোপের হৃৎপিণ্ডে বসে বসে সার্বিয়ানরা কচুকাটা করছে বসনিয়ানদের, টার্কিরা মেরে শেষ করছে আর্মেনিয়ানদের, বাঙালি মারছে পাহাড়িকে। সবই জিঙ্গোইস্টিক জাতীয়তাবাদের কৃপায়।
এসব নিয়ে কত কত ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে আমরা থাকি! দৃষ্টান্ত দিই: আশির দশক থেকে বাংলাদেশে বাঙালি বনাম বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিতর্ক প্রকট হতে থাকে। তখন থেকেই দেখা গেছে, প্রগতিশীল মাত্রই বাঙালি জাতীয়তাবাদী, আর বিএনপি এবং তার পোষা বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জিগির তুলছেন। কিন্তু এই প্রগতিশীলরা কখনই ভাবেন নাই যে, বাঙালি জাতীয়তাবাদ যে অবাঙালি পাহাড়ি সংখ্যালঘুদের জন্য চরম অস্তিত্বের সংকট তৈরি করে! তাছাড়া বাঙালি জাতীয়তাবাদের ব্যানারে তাদের জায়গা হবে কোথায়, এরও ফয়সালা হয় নাই এই প্রগতিশীল বঙ্গদেশে।
আমি আশাবাদী মানুষ,এই আশংকায় ভীত নই।
আমার পরবর্তী প্রজন্ম এখানে গড়বে আরেক মালয়েশিয়া,তিন জাতির সহাবস্থান।
হয়তো কিছু সময় লাগবে,কিন্তু জাতি খুজে পাবেই তার ইস্পিত পথ।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
এখানে তুমি সংখ্যালঘু, ওখানে তুমি জমজমাট,
এখানে তুমি বস্তিবাসী, ওখানে চষো রাস্তাঘাট।
আশাবাদী হতে চাই কিন্তু বার বার থমকে দাঁড়ায়।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
সুমন রহমানঃ
বাংগালী জাতীয়তাবাদকে হঠিয়ে সামরিক শাসকদের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নামক বিকৃতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা- সেটা আসলে ভিন্ন গল্প ।
আমি বাংগালী,বাংলা ভাষায় কথা বলি,হাজার বছরের বাংগালী সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা আমি বহন করি- এর সাথে আমার বন্ধু ক্যাবুচিং মার্মা, যে পাহাড়ী, যার নিজস্ব ভাষা আছে,মুল্যবোধ আছে,সংস্কৃতি আছে- তার তো কোনো সংঘর্ষ হওয়ার কথা নয় ।
অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সাথে বাংগালী জাতীয়তাবাদ জড়িয়ে আছে আষ্টেপৃষ্টে । সেই সাথে এই ও সত্য স্বাধীন বাংলাদেশ সকল জাতি ও সকল ধর্ম সকল বিশ্বাসকে সমানাধিকার দেবে এরকম একটা প্রতীতি ছিলো ।
বাংগালী জাতীয়তাবাদের ব্যনারে তাদের জায়গা হবে কেনো? আধুনিক রাষ্ট্রগুলো কি বহুজাতির সমানাধিকার নিশ্চিত করেনা? করছেনা পৃথিবীর বহু সভ্য দেশে ?
আমি আমার পরিচয় ছাড়তে রাজী নই, অন্য জনকে তার পরিচয় ছেড়ে আমার পরিচয়ে মিশে যাবার আহবান জানানোর মতো ধৃষ্টতা দেখাতেও রাজী নই ।
আমি এমন এক দেশ স্বপন দেখি যেখানে সবাই সবার নিজের পরিচয়েই নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে বাস করতে পারবে ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমি আমার পরিচয় ছাড়তে রাজী নই, অন্য জনকে তার পরিচয় ছেড়ে আমার পরিচয়ে মিশে যাবার আহবান জানানোর মতো ধৃষ্টতা দেখাতেও রাজী নই ।
ধৃষ্টতা কি না আপনি বুঝবেন, তবে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিন্তু পাহাড়িদের ডেকে বলেছিলেন, "তোরা বাঙালি হয়ে যা।" নিজের একটা পুরনো লেখা থেকে একটা উদ্ধৃতি দিই:
সংখ্যাগুরুর আচরণ আর সংখ্যালঘুর ওপর নিপীড়নের ধরন বোধহয় পৃথিবীতে সার্বজনীন। নয়তো ‘সভ্য’ আমেরিকান-রা তাদের প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠীগুলোর ওপর যে নিপীড়নমূলক আচরণ চালিয়েছে, তৃতীয় বিশ্বের বাঙালিরাও তাদের পার্বত্যবাসী পাহাড়িদের ওপর তার চেয়ে কম যায় নি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে বাঙালি হিসেবে আমাদের যত উচ্ছ্বাস, বোধগম্য কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলোর ততটা হবার কথা নয়। কারণ, তাদের স্বায়ত্তশাসনের স্বপ্ন বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নের চেয়ে কম পুরনো ছিল না, এবং ১৬ ডিসেম্বর তাদের বিজয় দিবস নয়। ১৯৭২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে শেখ মুজিবুর রহমান সাফ সাফ বলে দিলেন যে, এসব হল বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা এবং এসব বাদ দিয়ে পার্বত্যবাসীকে ‘বাঙালি’ হয়ে যেতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধানেও সর্বব্যাপী বাঙালি জাতীয়তাবাদের দীর্ঘ ছায়ার নিচে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের ব্যাপারে ভিন্নতর কোনো নীতিই প্রস্তাবিত হল না। জেনারেল জিয়াউর রহমান এই ‘অভেদনীতির’ আরো বলদর্পী বিস্তার ঘটালেন। শান্তি বাহিনীর ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ তৎপরতা ঠেকাতে পাহাড়ে নামানো হয় আর্মি এবং অন্যান্য ফোর্স। এক হিসাবে, ১৯৮১ সালেই পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় দশ হাজার পাহাড়িকে হত্যা করা হয়।
ফলে, হাসান মোরশেদ, বাঙালি জাতীয়তাবাদের ব্যানারে আপনার স্বপ্ন পূরণ হয় নি, আর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে তো পুরণ হবার প্রশ্নই আসে নি।
সুমন রহমানঃ
শেখ মুজিবুর রহমান ঐ 'মিশে যাবার আহবান' টাকেই আমি ধৃষ্টতা বলি । যতো বড় নেতা হোন, যে জাতিরই পিতা হোন -কাউকে তার পরিচয় ভুলে যাবার আহবান জানানোটা ধৃষ্টতা । সে শেখ মুজিবের পাহাড়ীদের পরিচয় ভুলিয়ে দেয়ানোই হোক আর জিয়াউর রহমানের বাংগালীদের পরিচয় ভুলিয়ে দেয়াই হোক ।
মানুষ অনেক সাথেই আপোষ করে কিন্তু তার নিজের পরিচয়ের সাথে নয় । মানচিত্র ভাংলো কতো বার, হাত দিয়ে ভাত খাওয়া কিংবা বাংলায় প্রান খুলে কথা বলা কিন্তু ভুলেনি মাটিবর্নের বাংগালী ।
এই একটা ধারনায় আমার তীব্র আপত্তি হয় । পাহাড়ে যে নির্যাতন সেটা রাজনৈতিক । সেটা দুর্বত্তায়ন । সেটা আদিবাসীর উপর বাংগালী জাতীয়তাবাদের আগ্রাসন নয় । বরং সশস্ত্র আগ্রাসন তারাই চালিয়েছে যারা বাংগালী জাতীয়তাবাদের অস্তিত্ব মুছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নামে এক খিচুড়ীর উদ্ভব করেছে । যারা ভাষা ও সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র বুঝেনা কিংবা বুঝলেও স্বীকৃতি দিতে চায়না । 'বাংলাদেশের সকল নাগরিক এক জাতি - এটাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ' এটা একটা ফ্যাসিবাদী ধারনা ।
আর এম এম লারমার সায়ত্বশাসনের দাবী কখনোই স্বাধীনতার দাবী ছিলোনা । পাহাড়ীদের সশস্ত্র সংঘাতে ঠেলে দিয়েছে জিয়াঊর রহমানের সেটলার পুর্নবাসন আর ৭০ এর দশকের আঞ্চলিক রাজনীতি । ১৬ ই ডিসেম্বর কেনো আদিবাসীদের বিজয় দিবস হয়নি সেটা ও আমি বোঝিনি । একটা তথ্য স্বীকারে আমাদের উদার হওয়া উচিত - রাজাদের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্যের ধারা আদিবাসী চাকমা রাজা প্রথম ভেংগেছে ৭১ এবং মুক্তিযুদ্ধ্বের প্রশ্নে । রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করলেও সাধারন চাকমা ও অন্যান্য আদিবাসীরা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ্বে অংশগ্রহন ও করেছে , সে সময় ও নেতৃত্ব বাংগালী জাতীয়তাবাদই ছিলো তবু তারা দ্বিধা করেনি ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------------------
যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা,
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা॥
গুরু কি রেস্টে আছেন? আমিও একটু রেস্টে থাকি।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
'মানুষ দেখিতে এসেছিলাম ভবে'
দেখিতেছি প্রিয় ঝরা
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমি গান শুনতাছি।
ও যার আপন খবর আপনার হয় না।
একবার আপনারে চিনতে পারলে রে হবে অচেনারে চেনা।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
হাহাহা... শুনতে থাকো ।
আজকে আসলেই একটু রেষ্ট নিচ্ছি । কাল পুষ্টানোর ভরসা রাখি ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন