২৮ মে ,২০০৮ তারিখে আন্তর্জাতিক সেক্রেটারিয়েট কার্যালয়ে এমনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশ করেছে ' বিশ্ব মানবাধিকার প্রতিবেদন ২০০৮'
এ প্রতিবেদনে,জানুয়ারী - ডিসেম্বর ২০০৭ সময়ে বিশ্বের ১৫০ টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে । এমনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবছরের এই সময়টাতে পুর্ববর্তী বছরের পরিস্থিতির উপর এই বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ।
তবে এবারের প্রতিবেদন অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশী স্পষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ন ।
প্রতিবেদনের শুরুতেই বিশ্বনেতৃবৃন্দকে মানবজাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানানো হয়েছে কারন ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ যে সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ ঘোষনা করেছিল ,গত ৬০ বছরে সেই সনদকে তারা ব্যর্থ প্রমান করেছেন । গত ৬০ বছরে অজস্র কথার ফুলঝুড়ি ছড়ানো হয়েছে কিন্তু বাস্তবতা হলো এই-মানবাধিকার সংরক্ষনকে সার্বজনীন করার কথা থাকলে ও এসময়ে মানবাধিকার লংঘনকেই বিশ্বায়িত করা হয়েছে ।
ভিডিওটি দেখুনঃ
পুরো রিপোর্ট পিডিএফ ফরমেটে আছে নিচের লিংকে । আগ্রহীরা ডাইনলোড করে নিতে পারেন :
বিশ্বমানবাধিকার প্রতিবেদন ২০০৮
পরিস্থিতি বাংলাদেশ
------------------
এই সময়ে বাংলাদেশ পরিস্থিতি কেমন ছিল?
প্রশ্নটা বোধ হয় পরিহাসের মতো শুনালো । তবু কিছু উপাত্তঃ-
১। এসময়ে নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে(!)মারা গেছেন শতাধিক মানুষ যাদের মৃত্যুর কোন কার্যকর তদন্ত হয়নি,বচার তো দূরের কথা । পার্বত্য চট্রগ্রামের রাং লি ম্রো, রাজশাহীর সাহিবুল্লাহ,ভোলার কবিরুল ইসলাম,মধুপুরের চলেশ রিচিল এরকম কিছু নাম ।
২। স্পেশাল এক্ট ১৯৭৪ ব্যবহার করে এই একবছরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৪০,০০০ জনকে ।
৩। কার্টুনিষ্ট আরিফকে গ্রেপ্তার করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অস্বীকার করা হয়েছে
৪। মানবাধিকার সাংবাদিক তাসনিম খলিল ও জাহাংগির আলম আকাশকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতএন্র মাধ্যমে তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা অস্বীকার করা হয়েছে
৫। কুষ্টিয়া জেলায় শুধুমাত্র জুনমাসেই ডমেষ্টিক ভায়োলেন্স এর শিকার হয়ে আত্নহত্যা করেছেন ১৯জন নারী,আরো ৬৫ জন আত্নহত্যা করতে চেয়েছিলেন
এই প্রতিবেদনে বেশ গুরুত্ব সহকারেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টা এসেছে । বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এক্ট(১৯৭৩) এ সম্মতি জ্ঞাপন করলে ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র এই সংগঠিত গনহত্যার বিচারের জন্য কখনোই কোন উদ্যোগ নেয়নি যদি ও এই বিচারের দাবীতে জনমত সব সময়ই প্রবল
আগ্রহীরা নিচের লিংক থেকে বাংলাদেশ প্রতিবেদন দেখে নিতে পারেনঃ
বাংলাদেশ মানবাধিকার প্রতিবেদন
বিশেষ সংযুক্তিঃ
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘে পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রমিলে 'সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ' ঘোষনা করেছিল । পৃথিবীর সকল সময়ের ,সকল মানুষের জন্য এই সনদ সার্বজনীন হবে, কোন পরিস্থিতিতেই সনদে বর্নিত ধারা সমুহ কেউ ভংগ করতে পারবেনা-প্রতিশ্রুতি এরকমই ছিলো ।
এই সনদের ৩০টি ধারা প্রতিটি দেশের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার,স্বাধীনতা, মর্যাদা,সম্মান ও সমতার নিশ্চয়তা দিয়েছিলো ।
গত ৬০ বছরে বাস্তবতা কি?
মন্তব্য
কী বলবো জানি না?
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
সব জমায়ে রাখলাম... দুইদিন পড়ে আয়েশ কইরা পড়বো... ধন্যবাদ তারা দিয়া দিলাম... ______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাসান ভাই, তথ্য সমৃদ্ধির সুযোগ করে দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা।
মানুষের স্বভাব হচ্ছে নিয়ম বানাবে কিন্তু মানবে না।
সমৃদ্ধ তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
অপেক্ষায় ছিলাম মোর্শেদের এই পোস্টটির জন্য। ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
লিংক গুলো পরে সময় করে পড়তে হবে।
অনেক ধন্যবাদ, মোরশেদ ভাই!
নতুন মন্তব্য করুন