Everything at once was tangled in blood—
each face, each idol, red everywhere.
Blood swept over the sun, washing away its gold.
The moon erupted with blood, its silver extinguished.
The sky promised a morning of blood,
and the night wept only blood.
The trees hardened into crimson pillars.
All flowers filled their eyes with blood.
And every glance was an arrow,
each pierced image blood. This blood
--a river crying out for martyrs—
flows on its longing. And in sorrow, in rage, in love.
Let it flow. Should it be dammed up,
there will only be hatred cloaked in colors of death.
Don’t let this happen, my friends,
bring all my tears back instead,
a flood to fill my dust-filled eyes,
to wash this blood forever from my eyes.
এই কবিতার নাম 'বাংলাদেশ' । লেখা হয়েছিল আমাদের জন্মযুদ্ধকাল ১৯৭১ এ। কবিতার ছত্রে ছত্রে ব্যক্ত হয়েছে সেই ভয়ংকর সময়ের গাঁথা যখন সবকিছু রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে-নদীর জল, গাছের ফুল, ভোরের সূর্য, চোখের অশ্রু ।
এই কবিতার কবিকে নিশ্চয়ই আমরা শ্রদ্ধা জানাবো । শ্রদ্ধা জানানোর আগে একটু থমকে দাঁড়ান । লোকটা যে 'পাকিস্তানী'!
নাম তাঁর ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ । সেই বিভীষিকাময় সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্রোতের প্রচন্ড বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই লোক বাংলাদেশের পক্ষে কবিতা লিখেছিল ।
সে একা নয় । তাঁর কবি বন্ধুদের আরো ক'জন । হাবিব জালিব,আহমেদ সালিম, শেখ আয়াজ, আজম খাট্টক ।
না । আমরা নিশ্চয়ই এই 'পাকিস্তানী'দের এবার আর শ্রদ্ধা জানাবোনা । বরং ঘৃনার পেয়ালা উপচে দেবো তাঁদের জন্য । 'তোদের সেনাবাহিনী যখন গনহত্যা চালায় এই দেশে তখন ওদের পথ রোধ না করে ঘরে বসে কবিতা লিখলেই হয়ে গেলো? সব শালাই মাদারচোদ'
নির্বিচারে ঘৃনার অধিকার নিশ্চয়ই আমাদের আছে । আমাদের হাতে তো আর ওদের মতো রক্ত লাগানো নেই । নেই?
দুদশক আগে যখন রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা রক্ষার নামে পাহাড়ে পাহাড়ে হত্যার উৎসব করেছিল আমাদের জলপাই বাহিনী তখন আমরা সকলে মিলে এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলাম তো? আমরা বলেছিলাম তো- আমাদের নামে তোমরা গনহত্যা চালাতে পারবেনা' ।
নাকি নিহতের সংখ্যাটা ৩০ লক্ষে পৌঁছালে পরে, ধর্ষনের সংখ্যা অন্ততঃ দু লাখ হলে আমরা অবশ্যই মানবিক হয়ে উঠতাম । নাকি রাওয়ালপিন্ডি থেকে ঢাকা যতদূরে ছিলো, ঢাকা থেকে পার্বত্য চট্রগ্রাম তার থেকে অনেক অনেক দূরের পথ ছিলো? অত দূরে কান্নার আওয়াজ ঠিক মতো পৌঁছোয়নি যে!
আমরা কি তবে স্বীকার করে নেবো পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্রের বেশীরভাগ মানুষই আসলে 'মাদারচোদ'? কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনী কি করছে সেটা জেনে ও বেশীরভাগ 'মাদারচোদ' ভারতীয় ই তাদের সেনাবাহিনীকে সমর্থন জোগায়, ইরাকে কি ঘটছে জেনে ও বেশীর ভাগ মার্কিন 'মাদারচোদ' বুশকে ভোটে জিতিয়ে আনে আর বেশীর ভাগ বাংলাদেশীই মেতে উঠে নিজেদের সেনাবাহিনীর বন্দনায় । রাষ্ট্রযন্ত্রের পাশবিকতা এইভাবে গ্রাস করে অনেক ব্যক্তিমানুষের স্বাধীন বিবেচনা বোধ ।
তবু কিন্তু ঐ ভারতীয়দের মধ্যে একজন অরুন্ধতী রায়, মার্কিনীদের মধ্যে একজন নোয়াম চমস্কী স্রোতের প্রতিকুলে দাঁড়ান, লেবাননে আগ্রাসন চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জেলবন্দী হন ইসরাইলী সৈনিক ইটামার শাপিরা ও আমির পাস্তিয়ার,বাংলাদেশের কোন কোন কাপুরুষ কবি সেনা আগ্রাসন থামাতে না পারলে ও পাহাড়কে ভালোবেসে কবিতা লেখেন, কবিতায় ক্ষমাপ্রার্থনা করেন একজন কল্পনা চাকমার কাছে ।
একটু কি থমকে গেলেন?
একজন চমস্কীর অজুহাতে সকল মার্কিনীদের, একজন সার্জেন্ট ইটামারের অজুহাতে সকল ইহুদীদের,একজন ফয়েজ আহমেদের ধোঁয়া তুলে সকল পাকিস্তানীকে ঘৃনা করার অধিকার থেকে আপনাকে বঞ্চিত করতে চায় কোন মাদারচোদ?
তাকে ও না হয় ঘৃনা করুন , তার প্রতি থুথু নিক্ষেপ করুন , তার কাছ থেকে প্রত্যাহার করুন সকল কল্যান ও শুভকামনা ।
কিন্তু তার আগে দয়া করে ঘৃনা করুন আরেক মাদারচোদ'কে, আপনাদের পবিত্র থুথু নিক্ষেপ করুন তার উদ্দেশ্যে । এবং আপনি অবশ্যই তা করবেন, কেননা সকল পাকিস্তানীর মতো সকল বিহারীকে ও নিশ্চয় আপনি ঘৃনা করেন ।
অবশ্যই আপনি সকল বিহারীকে ঘৃনা করেন, যদি সে একজন বীরপ্রতিক হয় তবু ও ।
তাঁর নাম বীরপ্রতীক সৈয়দ খান
মন্তব্য
বড় দরকার ছিলো এই সময়ে এই লেখাটার। অনেক ধন্যবাদ।
মোরশেদ, কৃতজ্ঞতা।
তারপরেও , ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি ই । ব্যক্তির কার্যক্রমের জন্য জাতিবিদ্বেষ মুছবে কি??
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
বক্তব্যের বিষয়বস্তু পরিষ্কার - রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ খুবই স্বাভাবিক কিন্তু কখনই তা যেন মানুষের প্রতি বিদ্বষে পরিণত না হয়।
হাসান মোরশেদকে ধন্যবাদ সময়োপযোগী লেখাটার জন্য।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হুম!
স্যালুট হাসান মোরশেদ ।
জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামতে পেরে জেনেও এরকম সাহসী উচ্চারন করতে পারেন বলেই আপনি অন্যদের থেকে আলাদা ।
যারা বলেন ইহুদী মাত্রই ঘৃন্য তারা কি ইসরাইলী আগ্রাসন বিরোধী একজন ইহুদীকে ও ঘৃনা করবেন? যারা বলেন পাকিস্তানী মাত্রই ঘৃন্য তারা কি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ কে বাদ দিয়ে ঘৃনা করেন?
যতো যুক্তিই থাকুক এইরকম চিন্তা সুস্থ হতে পারেনা । হিটলারের নাজি বাহিনী ও ভাবতো ইহুদী মাত্রই ঘৃনিত । এখনো আমাদের দেশে অনেক মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে যারা হিটলারকে সমর্থন করেন কেবলমাত্র ইহুদী নিধনের জন্য ।
নারে ভাই, আলাদা কিছু না । আর জনপ্রিয়তা? ওটা দিয়ে আমার কি কাজ? আমি তো নাটক সিনেমার লোক না । নিজের ভাবনা প্রকাশ করার সুযোগ পাওয়াটাই আমার জন্য যথেষ্ট ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দেখলেন তো, আপনার এই লেখা অন্য সব লেখার তুলনায় পাঠকের কাছে লো-রেটেড
মুখে যতোই প্রগতিশীলতার বুলি আওড়াই-খোলস ছেড়ে আমরা বেরিয়ে আসিনা ।
এই সব ধার একটু কম ধারাই, ভাই।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কিছু মানুষ থাকে একা এবং একক। আর বাকীরা সব গড্ডাল-সারিতে। সেই মানুষগুলোর দেবগুণ অথর্বগুলোকেও মহিমান্বিত করে।
তবে এতে করে ভেড়াদের আইডেনটি পাল্টায় না।
সেই একা মানুষগুলোর দিকে দৃষ্টি ফেলবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কি খবর শাপলু?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
প্রিয় হাসান মোরশেদ, কুন্ঠার সাথে বলতে হচ্ছে আমি আপনার অবস্থান বুঝতে পারিনি। আপনি ইচ্ছে করলে ব্যাখ্যা করতে পারেন।
এই ধরনের দ্বান্দ্বিক ব্যাপারগুলোতে সভ্য ও সংবেদনশীল মানুষের অবস্থান কি হওয়া উচিত তা মনে হয় খোলাখুলি এবং স্পষ্টভাবে বলা উচিত। তাতে আমার মত স্বল্পবুদ্ধির, স্বল্পশিক্ষিত লোকের পক্ষে ন্যায়-অন্যায়ের ফারাক করা সম্ভব হয়।
পাঠককে ক্রমাগত ধাঁধা ধরনের প্রশ্ন করা বা ডাইকোটমী ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি করে দেয়া আপনার লেখার স্টাইল হতে পারে। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে তাতে আমি আরো বিভ্রান্ত হচ্ছি। আমি আপনার লেখার স্টাইল নিয়ে কথা বলার অধিকারী নই। তবে আমি জানতে চাইতেই পারি, তাই না? বলা না বলা, আপনার ইচ্ছে।
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দাদা আপনি যদি 'স্বল্পবুদ্ধির স্বল্প শিক্ষিত' লোক হন তাহলে তো আমি কোন ছার!
আমার লেখায় আপনি বিভ্রান্ত হচ্ছেন জেনে দুঃখিত ।
অবস্থান আসলে খুব পরিস্কার ।
রাষ্ট্রশক্তির নৃশংসতার দায়ভার সমস্ত জনগোষ্ঠীর উপর বর্তায় কিনা? হলোকাষ্টের জন্য আমরা হিটলার ও নাৎসীজমকে দায়ি করবো নাকি নির্লিপ্ততার অজুহাতে তৎকালীন সকল জার্মানকে অভিযুক্ত করবো? প্যালেষ্টাইন দখলদারীত্বের জন্য জায়নিজমকে দায়ি করবো নাকি নির্বিচারে সকল ইহুদীকে? '৭১এর গনহত্যার জন্য পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী, পাক আর্মি ও তাদের দোসরদের জাতিগত ঘৃনা ও আগ্রাসী মনোভাবকে নাকি তৎকালীন সকল পশ্চিম পাকিস্তানীকে?
যদি তাই হয় সে ক্ষেত্রে আমরা প্রস্তুত আছি কিনা আমাদের নিজেদের রাষ্ট্রের সকল শোষনকামী আচরনের দায়িত্ব নিতে?
ব্যক্তি আমি পাহাড়ে গনহত্যার দায় নিতে রাজী নই যদি ও এর প্রতিবাদ আমি করতে পারিনি, আমার মতো আরো অনেক অনেক আছেন যারা এই দায় নেবেননা । তাহলে?
আমরা যখন সার্বজনীন ঘৃনার কথা বলি তখন ব্যক্তির স্বাতন্ত্রকে কি অস্বীকার করছিনা?
জাতীয়তাবাদের নামে এরকম কিছুর সাথে আমি মাদ্রাসা পাশ হুজুরদের ইহুদী নাসারা বিদ্বেষ কিংবা ভারতীয় বজরং দলের মুসলিম বিদ্বেষের কোন পার্থক্য দেখতে পারিনা ।
হতে পারে সেটা আমারই ব্যর্থতা ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
প্রিয় হাসান মোরশেদ, সময় করে ব্যাখ্যা দেবার জন্য ধন্যবাদ। আমার এক শিক্ষক বলতেন, "বাবারা, দেশের উন্নতি করার দরকার নেই। আগে নিজের উন্নতি কর, তাহলে দেশের উন্নতি আপনা থেকেই হবে"। বিষয়টি হয়তো এত সরল নয়, তবে তা সর্বাংশে ভুল নয়, বরং বহুলাংশে সঠিক। একজন বাঙালীই রাজাকার হয়েছিল, তাই বলে কি বাঙালীরা রাজাকারের জাত? আমি মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া দেশের নাগরিক। আমার আচরণ কোনভাবেই অন্য আর দশটা দেশের নাগরিকের মত হতে পারেনা। আমাকে হতে হবে মানবিক ও ন্যায়ানুগ, জাতিয়তাবাদী হবার আগে। আমি জাতিয়তাবাদীও বটে (বিএনপি অর্থে নয়), তবে সেখানেও মনে রাখতে হবে অন্যেরও জাতিয়তাবাদী হবার পূর্ণ অধিকার আছে। আমার চেহারা ও আচরন এমন হতে পারে না যাতে দ্বিতীয় কেউ বিপন্ন বোধ করে। এর আগে একবার বলেছিলাম, আবারো বলি, পাকিস্তানী হায়নারা দানব হলে আমার মানবিক হতে বাধা কোথায়?
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এরকম দুয়েকটা ছিটেফোঁটা ঘটনা ব্যতিক্রম। সমস্যা হলো ব্যতিক্রমকে উদাহরণ বানিয়ে প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাবার ধান্দা করে।
ব্যক্তির সাথে সমষ্টির চরিত্রের পার্থক্য আছে। এরকম হাতেগোণা ব্যক্তিরা, যারা যুদ্ধের সময় অত্যাচারের বিপক্ষে কথা বলেছে, তাদেরকে কে ঘৃণা করতে যাচ্ছে? কিন্তু এই হাতে গোণা ২/১ জনের বরাত দিয়ে পাকিস্তান প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার ফতোয়া জায়েজের চেষ্টাও অনেকে করে। সেই ট্রেন্ডটা খারাপ, জাতি হিসেবে আমাদের আত্মমর্যাদার জন্যই খারাপ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সমস্যাটা এই জায়গাতেই । ব্যক্তিই সমষ্টি তৈরী করে এবং সমষ্টির আচরনের বিপরীতে ও ব্যক্তির নিজস্ব আচরন থাকে । মুল্যায়নটা যখন কেবল সামষ্টিক অর্থে হয় তখন সেই ব্যতিক্রমী ব্যক্তিস্বত্বাকে অস্বীকার করা হয় ।
এই প্রসংগটা বোধ করি এই পোষ্টের সাথে যায়না । বরং গনহত্যার জন্য যারা দায়ী ছিলো তাদেরকে আরো আলাদা ভাবে চিহ্নিত করার জন্য ফোকাসটা করতে হবে সঠিক জায়গায় ।
যুদ্ধটা কি পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের মধ্যে হয়েছিল? পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের উপর কি আক্রমন কারা করেছিল? পাকিস্তান আর্মি ও তাদের দোসর একটি বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকজন যাদের মধ্যে বাংগালী ও ছিলো নাকি পশ্চিম পাকিস্তানের জনগন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পূর্বপাকিস্তানের জনগনের উপর?
তাহলে কিন্তু জামাতী শাহ হান্নানের 'সিভিল ওয়ার' থিওরিতে বাতাস দেয়া হয় । খেয়াল কইরা ।
----------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
'অস্বীকার' শব্দটা একটু বেশি হার্শ। ব্যক্তিই যেহেতু সমষ্টি তৈরি করে, সেহেতু সমষ্টির আচরণে ব্যক্তির আচরণেরই প্রভাব থাকে, ব্যক্তিকে 'অস্বীকার' করা হয় না। এই সমষ্টির চরিত্রে যাদের ব্যক্তিক চরিত্রের রিপ্রেজেন্টেশন থাকে না, তারা সাধারণত সংখ্যালঘু এবং এক্সসেপশন। সমাজ বা রাষ্ট্রকে স্বীকার করলে সমষ্টির চরিত্রকেও তাই আমরা স্বীকার করি, তা কোনো ইনডিভিজুয়ালের চরিত্রের সাথে কনফ্লিকটিং হোক বা না হোক।
আমার কাছে ঠিক উলটোটা মনে হয়। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দল বা গোষ্ঠীকে না দেখে ইনডিভিজুয়াল বিচার করতে গেলে শাহ হান্নান খুশীতে বগল বাজাবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা জামাতের একটি দলগত সিদ্ধান্ত। যে কোনো দলগত সিদ্ধান্তের পিছনের লোকদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য থাকতে পারে; কিন্তু দলের সিদ্ধান্তই 'সকলের' সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। ইনডিভিজুয়াল ব্যক্তির জন্য সাক্ষীসাবুদ জোগাড় করতে গেলে জামাতের রাজনীতির বৈধতা দেয়া হয়, গোলাম আযম, নিযামী, মুজাহিদদের মত কালপ্রিটদের অনেকেও ওই 'ব্যক্তি চরিত্রের' ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়।
যুদ্ধটা জনগণেরই, যদিও পশ্চিম পাকিস্তানী বেসামরিক লোকদেরকে গণহত্যায় অংশ নিতে হয় নি। যুদ্ধটা প্রথমে হয়েছে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে, পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করলে পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের সিংহভাগ তাতে দুঃখিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হলে পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের সিংহভাগের কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই, বন্দুকের নলের সামনে বুক পেতে দিয়ে গুলি খাওয়ারও কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। এজন্যই শেখ মুজিব বিপুল, আই রিপিট 'বিপুল' ব্যবধানে জয়ী হয় পূর্ব পাকিস্তানে আর ভুট্টো 'বিপুল' সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় পশ্চিম পাকিস্তানে। বিভাজনটা এখানে পুরোপুরি স্পষ্ট। এটাকে অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই।
এখন আসি গণহত্যায়। নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যার জন্য জাহাজে চেপে বেসামরিক পাকিস্তানীকে আসতে হয় নি, কারণ তাদের সেনাবাহিনীই সেকাজে এনাফ ছিলো। আপনি যদি 'সেনাবাহিনী ভার্সেস জনগণ' সমীকরণ দেখাতে চান, তাহলে সেনাবাহিনীর বাঙালি অংশের কতজন গণহত্যায় অংশ নিয়েছিলো, সে পরিসংখ্যানটা কাজ দিবে। বাঙালি অফিসারদের সিংহভাগই গণহত্যায় অংশ নেয় নি, কারণ ওইটাই সামষ্টিক অর্থে তারা বাঙালি জাতীয়তাবোধকেই প্রাধান্য দিয়েছে। যুদ্ধটা শেষ পাকিস্তানী ভার্সেস বাঙালিই।
পাকি সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সমর্থনের পরেও, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পরেও রাজাকার, শান্তিকমিটির লোকসংখ্যা কতো? এরা নিতান্তই সংখ্যালঘু। এজন্যই একজন রাজাকার সামষ্টিক অর্থে একজন বাঙালির চরিত্র রিপ্রেজেন্ট করে না, একজন রাজাকার একজন ব্যতিক্রম। একই ভাবে ব্যতিক্রম ফয়েজ আহমেদের জন্য পাকিস্তানকে ঘৃণা করা নাজায়েজ হয় না, ব্যতিক্রম বীর প্রতীক সৈয়দ খানের জন্য বিহারীদের অত্যাচারের প্রতি থুথু নিক্ষেপ করা পাপ - এমন ফতোয়া দেয়া কোনোভাবেই জায়েজ হয় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এইখানে যুক্তিটা আবার পুনঃবিবেচনা করা যেতে পারে ।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে 'গৃহযুদ্ধ' প্রমান করার জন্য কোন সমীকরনটার উপযোগ বেশী?
পশ্চিম পাকিস্তানের জনগন VS বাংলাদেশের জনগন
(পাঞ্জাব,সিন্ধু,সীমান্তপ্রদেশ,বেলুচিস্তান)
নাকি
পাকিস্তান সরকার VS বাংলাদেশের জনগন
(ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল,সেনাবাহিনী,সহযোগী অন্যরা)
গৃহযুদ্ধের সংজ্ঞায় কিন্তু বলে 'A civil war involves two-sided violence; for example, a massacre of civilians by the state is not a civil war.'
স্টেট যখন বেসামরিক জনগনের উপর হত্যাকান্ড চালায় সেটা গৃহযুদ্ধ নয় । ২৫ মার্চ রাতে শুরু হওয়া গনহত্যা পাকিস্তান 'স্টেট' কর্তৃক বলেই সেটা গৃহযুদ্ধ নয় ।
পাকিস্তান স্টেট ও পাকিস্তানী জনগনকে আলাদা রাখা জরুরী ঠিক একারনেই, পাকিস্তানের জনগনকে যুদ্ধের একটা পক্ষ চিহ্নিত করলে সেটা গৃহযুদ্ধ হয়ে যায়, যা জামাতীদের প্রচারনা । এই প্রচারনা উদ্দেশ্য কি? 'জনগন' একটা বিশাল ছাতা ।এই ছাতার নিচে সবার মুখ ঢাকা পড়ে যায় । যুদ্ধ ও গনহত্যার জন্য দায়ী তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার, সেনাবাহিনী, এস্টাবলিশমেন্ট, ধর্মীয় রাজনৈতিক গোষ্ঠী জনগনের আড়ালে নিজেদের লুকিয়ে ফেলতে পারে ।
স্টেট ও স্টেটের জনগন সবসময় সমার্থক নয়, এই কথাটা না বুঝলে পোষ্টের অর্থ অস্পষ্ট থেকে যাবেই ।
আর ৭০ এর নির্বাচন বিচ্ছিন্নতার মেন্ডেট দিয়েছিল , গনহত্যার নয় । একটা ছোট তথ্য-বেলুচিস্তান প্রদেশে ও ভূট্টোর ভরাডুবি ঘটেছিল । ৪১% ভোট পেয়েছিল ওয়ালী খানের ন্যাপ-যারা শেখ মুজিবের রাজনৈতিক মিত্র ছিলো ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই লেখাটা কি বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানী আক্রমণে ব্যথিত-উচ্চকণ্ঠ পাকিস্তানীদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতার অব্যাহত/নীরব যে-প্রকাশ তারই পক্ষে নয়? পড়ে তো তেমনই মনে হচ্ছে। ভুল বুঝলাম না তো মোরশেদ? যদি ভুল না বুঝে থাকি তাহলে তো সমস্যার কিছু দেখি না।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
না । একটু ও ভুল নয় ।
কোনই সমস্যা নেই
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সৈয়দ খানের প্রথম পরিচয় তিনি একজন অন্যায়ের বিরুদ্ধের যুদ্ধা। প্রতিবাদী যুদ্ধা। তার যে সাক্ষাতকার থেকে আপনি তথ্য নিয়েছেন সেখানে তিনি বলেছেন জালেমের বিরূদ্ধে তিনি যুদ্ধে গিয়েছিলেন।
ফয়েজ আহমেদ ফয়েজও তাই। যার মানুষ পরিচয় পাকিস্থানি পরিচয়ের চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় তাকে শ্রদ্ধা না করার কোন কারন নেই।
এই প্রসঙ্গটা আসার পর থেকে একটা যুক্তি খুব বেশী করে চর্বিত হচ্ছে, পাহাড়ীদের প্রতি আমাদের অন্যায়।- আমাদের সরকার (বা আর্মি বা আমরা, যাই বলুন) যা করেছি, করছি অবশ্যই তা লজ্জার। আমি ব্যক্তি সিদ্ধার্থ অন্তত ক্ষমা চাই তাদের কাছে। সং্গে এও বলি আজম, নিজামীদের সঙ্গে পাহাড়ী আদীবাসি রাজাকারদেরও বিচার হওয়া উচিত। ৭১-এ চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় (বর্তমান রাজা দেবাশীষ রায়'র পিতা), তার হেডম্যানরা সহ বেশীরভাগ আদীবাসি পাকিস্থানীদের সহায়তা করেছিল। তাদের প্রতি আমার ঘৃনা।
কিন্তু এতো কিছুর আয়োজন করে, সময় নিয়ে, গুছিয়ে যিনি প্রমান করার চেষ্ঠা করছেন পাকিস্থানিদের ঘৃনা করা উচিত নয় সেই মহান মানব, আপনার প্রতি ততখানি ঘৃনা।
এই যে বাবু সিদ্ধার্থ,
আপনি মহাশয় বিভিন্ন পোষ্টে বিভিন্ন নামে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ থেকে । সে করতে পারেন । সিদ্ধার্থ নামের পেছনে আপনি অর্জুন, কৃষ্ণ,যুধিষ্ঠির যে কেউ থাকতে পারেন-আমার চেনা কিংবা অচেনা কেউ ।
আপনি যেভাবে ব্যক্তি হাসান মোরশেদকে ঘৃনা করতে উচ্চকিত হয়ে উঠছেন মনে ত হচ্ছে পুরনো অসুখ । ঐ সব অসুখ বিসুখ ব্লগে টেনে আনার দরকার কি? বাইরে মিটানো যাবে সময় করে, ঠিকাছে?
ব্যক্তি হাসান মোরশেদকে ঘৃনা জানাতে আপনার যতোটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, সকল পাকিস্তানীকে কোন যুক্তিতে ঘৃনা করতে হবে সেটা পরিস্কার করতে আপনার অনাগ্রহ ঠিক ততোটাই ।
একজন ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ গনহত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন তার পাকিস্তানী পরিচয় অক্ষুন্ন রেখেই, একবাল আহমেদ গনহত্যার মুল কারিগরকে কিসিঞ্জারকে অপহরন করার পরিকল্পনা করেছিলেন তার পাকিস্তানী পরিচয় অক্ষুন্ন রেখেই, একজন সৈয়দ খান মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন তার বিহারী পরিচয় বিসর্জন দিয়ে নয় ।
ঘৃনা করার সময় এক কাতারে সকলের জাতীয় পরিচয় ধরে টান দেবেন আর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সময় জাতীয় পরিচয় গোপন রেখে অন্যায় বিরুদ্ধে যোদ্ধা ইত্যাদি বলে পার পেয়ে যাবেন । এইটা তো ঠিক রাজপুত্র সিদ্ধার্থ কিংবা ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির অথবা লক্ষ্যভেদী অর্জুনের সাথে ঠিক মানায়না দাদা ।
ভালো থাকেন । দেখা হবে
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
"ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির" নামে আমার পরিচিত একজন অতিথি সচল আছেন যিনি আপনার লেখার শুরুর দিকেই মন্তব্য করেছেন। আলোচ্য "সিদ্ধার্থ" এবং "ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির" একব্যক্তি নন বলেই জানি। এব্যাপারে সরলীকরণটি আপনার অনবধানতাবশত হয়ে থাকলে দয়া করে "ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির" নামটি আপনার এই মন্তব্য থেকে ডিলিট করুন।
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জ্বি ,সেটা আমি ও জানি ।
আমি যে সেটা জানি ,এবং এই মন্তব্যের 'ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির' যে তিনি নন- সেটা আমাদের সহব্লগার 'যুধিষ্ঠির' ও জানেন বলে ভরসা রাখছি ।
মন্তব্যের পেছনে অন্য ইতিহাস আছে । সিদ্ধার্থ বাবু আশা করি বুঝতে পেরেছেন । তাকে বুঝানোর জন্য যুধিষ্ঠিরের আগমন । অন্য কিছু নয় ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বেশীরভাগ আদীবাসি পাকিস্থানীদের সহায়তা করেছিল। তাদের প্রতি আমার ঘৃনা।
ভাই, এই কথার মানেকি? বেশীরভাগ আদীবাসি পাকিস্তানীদের সহায়তা করেছিল , এই তথ্য আপকি কুথায় পেলেন । এই মনগড়া তথ্য দিয়ে আপনি এইদেশের আদীবাসিদের অপমান করলেন , এটা কি বুঝতে পারলেন?
আপনার ধ্যান ধারনা খুবই রেসিষ্ট ।
হাসান মোরশেদ আপনাকে ধন্যবাদ ভাই । আমাদের উপর যে নির্যাতন হয়েছে তা পাকিস্তান আর্মির নির্যাতনে চেয়ে কম নয় । সেটা বাংগালী ভাইয়েরা বুঝতে পারা দরকার ।
সিদ্ধার্থ বাবু,
ত্রিদিব রায় দেবাশীষ রায় বা বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরোরা কি আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব করেন? নাকি মানবেন্দ্র লারমার মতো লোকেরা করেন?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
এইসব উদাহারণ সামনে এনে লেখক কি বলতে চান? গোবরে ফোটা পদ্মফুলগুলোর কথা শুনে আমরা কোন সিদ্ধান্ত নেব?
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
“গোবরে ফোটা পদ্মফুলগুলোর কথা” মানতে পারলাম না স্যার ।
উনি মুক্তিযোদ্ধা , কথাটা কি আপনার স্মরনে ছিল ? থাক বা নাই থাক আমার তীব্র প্রতিবাদ টুকু জানিয়ে গেলাম।
উনারে তো পদ্মফুল বলা হলো।
নাকি উনি পদ্মফুল বলে সেই অজুহাতে গোবরকে মেশকো জাফরান বলতে হবে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার বিরল রসবোধের উচ্চ প্রসংসা করছি।
ধন্যবাদ। প্রশংসা মাথা পেতে নিলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মেরেছো কলসির কানা, তা বলে কি প্রেম দোবো না ?
হাঁটুপানির জলদস্যু
- পোস্টের মূলভাবের সঙ্গে সর্বাংশে সহমত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শচিন টেন্ডুল্কারকে বিয়ে করার জন্য পাগল বাংলাদেশী বালিকা হোটেলের সামনে কেঁদে বুক ভাসাল। সে জানত না ভারত মুক্তিযুদ্ধে আমাদের মিত্রদেশ ছিল। সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করল।
'আফ্রিদী, ম্যারি মি' ব্যানার নিয়ে সুন্দরী তরুণীরা মাঠে গেল। অমনি চারদিকে ছি ছি ধ্বনি উঠল - পাকির জন্য ভালবাসা!
আফ্রিদী বা শচিন কারো জন্ম হয় নি মুক্তিযুদ্ধের সময়।
আমারও ধারণা ঘৃণার শক্তিটাকে ভুল জায়গায় ব্যবহার করছি আমরা।
পাকিস্থানের জায়গায় যদি অন্য কোন জাতি (ধরুন নেপালি বা ভুটানি বা থাই) থাকতো তারাও একই কাজ করতো। প্রাকৃতিকভাবেই মানুষ গোষ্ঠিবদ্ধ জীব ... আর বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতির সম্পদের দখল নিয়ে ভিন্ন গোষ্ঠি রক্তারক্তি করে আসছে শুরু থেকেই।
আমার ঘৃণা হয় সেই সব নিকৃষ্ট-মানুষদের, যারা এই জাতির অংশ হয়েও বাঙালিদের হত্যা করেছে। নিজেদের মধ্যে মারামারি করার সময় পরষ্পরকে মারা আর জাতিগত যুদ্ধের মধ্যে পার্থক্য আছে। বৃহৎ স্বার্থ উপস্থিত হলে ক্ষুদ্র স্বার্থ বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়াটাই মানুষের স্বভাব। কিন্তু এরা (রাজাকার/আলবদর ইত্যাদি) কী করেছেন?। ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল কাদের সাথে!
তাই আমার ঘৃণা রাজাকার এবং আজও তাদের অনুসারী জামাত/শিবির-এর প্রতিই থাকবে। একই ভাবে ঘৃণা করবো পলাশীর যুদ্ধের মীরজাফরকে। কোন জাতিতেই বিশ্বাসঘাতকের স্থান নাই। সর্বগ্রাহী ঘৃণাই তাদের প্রাপ্য।
সম্পদের দখল নিয়ে বাঙালিদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে এই পয়েন্টে ঘৃণা করতে চাইলে তো মুঘল, বৃটিশ, পাকিস্থানী, ভারতীয় কেউই বাদ যাবে না। এছাড়া, অন্য কৌশলে (মুক্তবাজার/পূঁজিবাদ) সম্পদ দখল করার জন্য ইউরোপ/আমেরিকা/এশিয়ার সমস্ত দেশকেই ঘৃণা করতে হবে। আমি যতটুকু বুঝি, শোষন/দখলের কৌশলটা খুনাখুনি/হত্যা থেকে ধর্মের নিয়ন্ত্রণ এবং সেখান থেকে অর্থনীতি/বাণিজ্যতে এসে বিবর্তিত হয়েছে। এই কৌশলগুলোর পারমুটেশন/কম্বিনেশনও ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশের ৩০ লক্ষ্য শহীদের হিসাব আমরা জানি, তাঁদের রক্ত আমরা দেখেছি কিন্তু একই রকম কারণে অন্য কেউ আফ্রিকার হাড্ডিসার মানুষগুলোর রক্ত যে ভেতর থেকে চুষে নিয়েছে সেটা কি দেখতে পারি না।
দেশে বা বিদেশে কোন পাকিস্থানীকে দেখলে তাকে টেনে বুকে লাগাই না আমিও। বরং সাপকে যেমন সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয় সেভাবেই করি। এই একই কথা প্রযোজ্য অন্য সব দেশের নাগরিকদের জন্যও। কারণ সুযোগ পেলে কেউই ছোবল দিতে ছাড়বে না। আমিও ব্যতিক্রম নই .... ল্যাং দেয়ার জন্য পা বাড়িয়েই রাখি।
পরিচিত বিদেশি প্রতিবেশিদের মধ্যে পাকিস্থানি ছেলেদের দেখতাম খুব উগ্র। উগ্রতাকে অপছন্দ শুরু থেকেই .... তার উপর পাকিস্থানি। উপরে খারাপ ব্যবহার না করলেও ওকে পছন্দ করতাম না। আবার জে.এস.পি.এস. পাওয়া পাকিস্থানি একজন সার্ক গোল্ডমেডেলিস্টও ছিলেন ... উনি পশতুন ... এবং উর্দুও জানেন না বলে বলেছিলেন।
একই ভাবে ভারতীয়দের মধ্যে কয়েকজনকে পছন্দ করতাম। ভারত প্রেমের কারণে নয় .... আমার সাথে বাংলায় কথা বলতো বলে (ওদের বাড়ি অরুনাচল, ত্রিপুরা এবং ভূবনেশ্বরে)।
অন্যরা উর্দু বা হিন্দিতে কথা বলার চেষ্টা করলে আমিও বাংলাতে উত্তর দিতাম ... তারপর না বুঝে হা করে তাকিয়ে থাকলে ইংরেজিতে বলতাম। বুঝিয়ে দিতাম ঐ ভাষা জানি বলেই যে বলতে হবে এমন কোন কথা নাই ....
যা হোক, প্রসঙ্গান্তর হয়ে যাচ্ছে .... আমার কথা হল, পাকিস্থানিদের ঘৃণা করে যত শক্তি খরচ করছি, সেটা একটু বন্ধ করে নিজেদের দেশের রাজাকার ও রাজাকারপন্থীদের পেছনে ঘৃণার শক্তিটা যদি খরচ করতাম তাহলে এতদিন এরা এদেশে টিকে থাকতে পারতো না। ....
আমারতো সন্দেহ হয় যে এই কারণে নিজেদের আমাদের রোষ থেকে রক্ষা করতে ছদ্মবেশী ও সুচতুর কোন রাজাকার/রাজাকারপন্থী, আমারদের ঘৃণার শক্তিটাকে নিজেদের দিকে থেকে সরিয়ে পাকিস্থানের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। এটা ছাড়া যে তাদের বাঁচার কোন রাস্তা ছিল না ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আমি মহা মানব নই।কোনো লেখা আমাকে আমার ঘৃণা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারবেনা।
পাকিস্তান এবং পাকিস্তানী এই দুটি শব্দ অভিধান থেকে মুছে যাক।সুণামী অথবা পরমাণু বোমা যাই হোক..এদের ধ্বংস্বাবশেষ এও আমি ঘৃণা করেই যাবো।
মোরশেদ ভাই,মানব পরিচয় থেকে বাঙালী পরিচয় টাই আমার কাছে প্রিয়।
ঘৃণা ঘৃণা ঘৃণা শুধুই ঘৃণা প্রতি টি পাকিস্তানীর প্রাপ্য।
ক্ষমা করো ...।
-বহতা
সমস্যা নাই । এই লেখা কাউকে কারো ঘৃনা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য নয় । এটা নিজের ভাবনা প্রকাশের জায়গা মাত্র ।
সুনামী কিংবা পরমানু বোমায় যদি কেবল মাত্র পাকিস্তান রাষ্ট্র কিংবা তার দানব আচরন ধ্বংস হতো আমি ও সেই প্রার্থনা করতাম । সমস্যা হলো রাষ্ট্রের ভেতরে মানুষ থাকে, যে মানুষদের বেশীরভাগ কেবলই মানুষ ।
মানব পরিচয়ের চেয়ে বাঙ্গালী পরিচয় অধিক প্রিয়? দুই পরিচয়ে সংঘাত কেন হে? জাতীয় পরিচয় সে তো মানুষেরই হয়, নাকি?
'বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনে বাঙ্গালী হ' - টি শার্টে এইসব লিখে আমরাই তো চক্কর মারতাম, নাকি?
ব্যক্তিগত কাসুন্দিগাঁথা আমার পছন্দের কাজ নয়, তবু বাধ্য হয়েই জানাই- আমি জীবনে কোনদিন পাকিস্তানী পণ্য ব্যবহার করিনি, সুযোগ অহরহ আসলে ও কোনদিন কোন পাকিস্তানীর সাথে কথা বলিনি-বন্ধুত্ব তো দূর অস্ত । আমার মতো এরকম অনেকেই । আমাদের এই আচরন স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে জাতিঘৃনার ঘোষনা যে কোন অর্থেই ফ্যাসিজম ।
পাকিস্তান ক্রিকেট টীমের সবচেয়ে নান্দনিক সময়ে ও এদের সাপোর্ট করতে পারিনি, যারা করেছে তাদের সাথে মনোমালিন্য ও হয়েছে কিন্তু ভূমিকম্পে পাকিস্তানের হাজার হাজার মানুষ মারা গেলে ফান্ড কালেকশনে আমি ও গিয়েছি । কেউ যদি অতি দেশপ্রেমের ঝোঁকে এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন- আমি তার সুস্থ বিবেক বুদ্ধির জন্য প্রার্থনা করতে পারি এর বেশী কিছু নয় ।
ঘৃনাটা দরকার, খুব দরকার কিন্তু জ়ায়গাটা ফোকাস হওয়া জরুরী । পাকিস্তানী মাত্রই ঘৃন্য আর আমার বাঙ্গালী ভাই মাত্রই চুমোর যোগ্য তাহলে তো গোলাম আজম, নিজামীকে ও চুমো দিতে হবে । এই ঘাতকদের নৃতাত্বিক পরিচয় কিন্তু বাঙ্গালী, তাদের এই পরিচয় ঘৃনা দিয়ে মুছা যাবেনা ।
------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বাকরুদ্ধ আমি...
I think , therefore i am - Descartes
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ভাই আমি অনেকক দিন পর 100% এক মতের মানুুষ পেলাম.face book a amar id add dien..........valo thaiken
নতুন মন্তব্য করুন