।।১।।
ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনকে অনেকদিন পর হঠাৎ করে মনে পড়ে গেলো । বেচারা ব্যারিষ্টার এই তত্বাবধায়ক সরকারকে 'সেনানিয়ন্ত্রিত' সংজ্ঞায়িত করে ভালোই বাঁশ খেয়েছিলেন । 'গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন' জাতীয় কাব্য করে এবং জামাতী কানেকশন কাজে লাগিয়ে ও শেষ রক্ষা করতে পারেননি । রাজদরবার থেকে তাকে বিদায় নিতে হয়েছে ।
সে সময়ে সেনাপ্রধান মইন, তথ্যউজির মইনুলের বাগাড়ম্বরকে খারিজ করে জাতিকে নিশ্চিত করেছিলেন যে সরকার 'সেনা নিয়ন্ত্রিত' নয় বরং 'সেনা সমর্থিত'
সেই থেকে বেশ এক দ্বন্ধে আছি ।
'সেনানিয়ন্ত্রিত সরকার' না হয় বুঝলাম । সেনাপ্রধান নিজেই যখন সরকার প্রধান হয়ে যান অথবা সেনাবাহিনী যখন গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে নেয় তখন সেই সরকার সেনানিয়ন্ত্রিক সরকার- যেমন লেজেহোমো এরশাদ কিংবা তার পূর্বসুরী জেনারেল জিয়া । যখন সেনানিয়ন্ত্রিত সরকারের কথা বলা হয় হয় তখন আমরা বুঝে ফেলি এখানে আর কোন সংবিধান, আইন, সংসদের বিষয় নেই । এটা স্রেফ জোরজবদস্তি ।
কিন্তু মইনইউ জেনারেল যে নতুন সরকার পদ্ধতির কথা জানালেন ' সেনা সমর্থিত সরকার' তার মাজেজা কি প্রকার?
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সাংগঠনিক কাঠামো বা অর্গানোগ্রামে সেনাবাহিনীর অবস্থান কোথায়? সেনাবাহিনী কি নির্বাচিত সরকার তথা জাতীয় সংসদের নিয়ন্ত্রনাধীন এবং অন্তঃস্থ কোন অংগ নাকি সরকারের সমান্তরাল,বহিঃস্থ কোন কাঠামো? এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ব্যাখ্যা কি ?
যদি সেনাবাহিনী সরকারের অন্তর্গত ও নিয়ন্ত্রনাধীন কোন অংগ হয়ে থাকে তাহলে আলাদা করে তার আবার সরকারকে সমর্থন কিংবা অসমর্থনের সুযোগ থাকে নাকি?
আমরা কি কখনো বলি ' সরকারী কর্মচারী সমর্থিত সরকার'? নাকি এরকম বলা আইন ও সংবিধান সম্মত ?
।।২।।
'সেনাসমর্থিত সরকার' বলে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে 'সেনা অসমর্থিত' সরকার বলে ও কিছু আছে । আছে নাকি?
গত ৩৭ বছরের বাংলাদেশের নির্বাচিত , অনির্বাচিত, দখলদারিত্ব সরকারগুলোর মধ্যে কোন কোনটা তাহলে সেনাসমর্থিত আর কোন কোনটা সেনা অসমর্থিত?
জিয়া আর এরশাদ এর শাসনামল হিসেব থেকে বাদ । এই দু আমল তো সেনা সমর্থনের নয় একেবারে সরাসরিই সেনা শাসন । খালেদা জিয়ার নির্বাচিত দুই সরকার, শেখ হাসিনার নির্বাচিত একটি সরকার, চারটি অনির্বাচিত তত্বাবধায়ক- এগুলোর কোনটিকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অসমর্থন জানিয়েছিল বলে জানা যায়নি ।সেহেতু ধরে নেয়া যায় জিয়া থেকে শুরু করে বর্তমান তত্বাবধায়ক সব সরকারই ছিলো সেনাসমর্থিত ।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত সরকার কি সেনাসমর্থিত ছিলো?
এই একটি সরকারই বোধ হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সমর্থিত ছিলোনা । ছিলোনা বলেই এই সরকারের প্রধান ব্যক্তি, তার পরিবার এবং সহযোগী চার জাতীয় নেতাকে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী হত্যা করেছিল ।
।।৩।।
১৫ আগষ্ট ও ৩ রা নভেম্বরের হত্যাকান্ডের জন্য কি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়ী করা যায় ?
১৫ আগষ্ট ও৩ রা নভেম্বরের হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী কারা ? এ আলোচনায় বলা হয় 'সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্য' । কিন্তু ঐ বিপথগামী সদস্যের বিরুদ্ধে কোন শাস্তির ব্যবস্থা করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী?
৭ নভেম্বরের ক্যুর পরে কিন্তু শৃংখলা ভংগের অভিযোগে সেনাবাহিনীর কোর্টমার্শালের মৃত্যুদন্ড সহ নানা মেয়াদের শাস্তি পেয়েছিলেন কয়েক হাজার সেনা অফিসার ও সদস্য । তেমনি জিয়া হত্যাকণ্ডের পর ও কোর্ট মার্শাল হয়েছিল অনেকের ।
কিন্তু ১৫ আগস্টে একজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান ও তার পরিবারকে এবং ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল সেনাবাহিনীর যে কথিত 'কতিপয় বিপথগামী সদস্য'- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি তাদের কোন শাস্তির ব্যবস্থা করেছিল ?
উত্তর জানা আছে কারো?
৪।।
সেনা অসমর্থনের এই যদি হয় পরিনতি তাহলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আগামী সকল সরকারই হোক 'সেনা সমর্থিত' ।
বেঁচেবর্তে থাকাটাই তো বড় কথা ,নাকি?
মন্তব্য
ডরাইছি
ভয়ংকর সমীকরন ।
১. আসলে বর্তমান সরকারের 'কেয়ারটেকার প্যানেল'টিতে সেনাবাহিনী-র টপ-অর্ডারের সমর্থন রয়েছে। নেতা যখন বলেন জনগণ সন্তুষ্ট তার মানে তিনি নিজে খুশি। এগুলো খামাখা প্রশ্ন না করে বুঝে নিতে হয়।
২. সেনাবাহিনী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের ক্ষত্রিয় অংশবিশেষ। স্বাধীনতার পরে সেনাবাহিনীর মধ্যে নানা তত্ পরতা কাজ করেছে। তাদের স্ট্যাবিলাইজ করতে না পারার চরম মূল্য দিতে হয়েছে মুজিব-জিয়াকে। বারুদের স্তুপকে খুব কেয়ারফুলি হ্যান্ডল করতে হয়। এর্শাদকে এজন্য বাহবা দিতেই হবে।
৩. 'কতিপয় বিপথগামী সদস্য' সেনাবাহিনী থেকে মৃদু তিরষ্কার এবং সেনাবাহিনীর বাইরে থেকে পুরষ্কার পেয়েছিল। তবে টপ-অর্ডারের মৌন সমর্থন থাকলে কোর্টমার্শাল হয় কিভাবে?
১। সংবিধান সম্মত নয় ।
২। !?
৩। কোর্ট মার্শালের উদ্যোগ নেয়া চেস্টা/দাবি ছিল কিন্তু জেনারেল ওসমানির জন্য তা' সম্ভব হয়নি , এমনকি উনি এক সেনা কনফারেন্সে বলেন "মোশতাক সরকার" বিরুধী কো্ন তত্পরতা বরদাশত করা হবে না এবং তা ' ভারতের চক্রান্ত হিসেবে দেখা হবে ।
বী্র উত্তম খালেদের উদ্যোগকে "ভারতের চক্রান্ত "হিসেবে দেখা আর একই আশংকায় জেলে নেতাদের হত্যার দায় এড়াতে পারেন না জেনারেল ওসমানি তার ঐ সময়ের ভুমিকার জন্য ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আমাদের বোধহয় চিন্তার তেমন কিছু নাই, কারন পরবর্তী সরকার যে সেনাসমর্থিত হবেই তার আলামত কমবেশি আমরা সকলেই দেখতে পাচ্ছি...!!
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
এই চিন্তাটা আমিও ভেবেছিলাম যে , এই সরকার যদি সেনা সমর্থিত হয় , তাহলে সরকারী চাকুরিজীবি সেনারা কি অন্য সরকারকে সমর্থন করতে বাধ্য নয় ? সেগুলোও কি সেনা-সিভিল সমর্থিত সরকার নয় ?
পরে চিন্তা করে দেখলাম , গনতান্ত্রিক সরকার আসলে জনসমর্থিত সরকার , সেনা আর সিভিল সেখানে চাকর মাত্র । বাড়ির চাকর বেতনের বিনিময়ে কাজ করতে বাধ্য , সেখানে তার সমর্থন আর অসমর্থনের কোন প্রশ্ন নেই ।
কিন্তু যদি বাড়ির চাকর হঠাৎ করেই ঘরের সিদ্ধান্ত দেয়া শুরু করে , তখন সেটা আলাদা করে বলার প্রয়োজন আছে । পাড়ার লোকজন তখন সেটাকে " চাকর চালানো বাড়ি" বলে ফিসফাস করবেই । রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সেটাই শোভন ভাষায় "
সমর্থিত সরকার" হিসেবে বলা হয় আর কি ।
ঠিক, বেঁচে বর্তে থাকাটাই বড় কথা
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
চাকরদেরই তো বাড়ি চালানোর কথা কারণ বাংলাদেশ একটা গণপ্রজাতন্ত্র (চায়নার রাষ্ট্রনাম দেখে ব্যারিষ্টার আমীর আর তাজুদ্দীনের যে কি হল); প্রজারা দেশের মালিক, তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্দেশমত সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দেশ চালাবেন। প্রবাসী সরকারের প্লানিং সেলের রিপোর্ট এবং পরবর্তী কর্মচারি আইনগুলো সেকথাই বলে।
গোলটা বাঁধে তখোনি যখন চাকর ও প্রজাদের একটা অংশ নিজেদের মালিক মনে করে এবং জোরজবরদস্তি করে চালাতে শুরু করে। ইতিহাস জানে কেনজানি বাংলাদেশের মানুষের ওপর জোর করার ফল কখোনো ভাল হয়নি।
কিন্তু রিপাবলিকের 'পিপলস' আর 'পিপলস সার্ভেন্ট' তো দুটো আলাদা এন্টিটি ।
সেনাবাহিনী যদি 'পিপলস সার্ভেন্ট' হয়ে থাকে তাদের যেকোন সাংবিধানিক সরকারকে সমর্থন জানানোই তো তাদের বাইডিফল্ট দায়িত্ব ।
আলাদা করে সমর্থন , অসমর্থনের কোন সুযোগ আছে নাকি?
আমি আসলে জানতে চাইছিলাম সংবিধান অনুযায়ী-সেনাবাহিনী সরকারী কর্মচারী কিনা? সাধারন সরকারী কর্মচারীর চেয়ে সংবিধান তাদেরকে আলাদা কোন সুযোগ দিয়েছে কিনা ?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একটি সরকারই বোধ হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সমর্থিত ছিলোনা । ছিলোনা বলেই এই সরকারের প্রধান ব্যক্তি, তার পরিবার এবং সহযোগী চার জাতীয় নেতাকে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী হত্যা করেছিল ।
কারন শুরুতেই সেনাবাহিনী চলে গেছিলো পাকিস্তানপন্থীদের নিয়ন্ত্রনে (যদিও ওই গ্রুপেও কিছু মুক্তিযোদ্ধা ছিল) .....................................
উওরটি হলো নির্বাচিত সরকার প্রধান-ই এর জন্য দায়ী,কারন তিনি প্রথম যে কাজটি করেন তাহলো যুদ্ধ-পরাধীদের সাধারন খমা ঘোষনা করা এবং মজিব নগর সরকারের কথা না শুনে বাংলার মীরজাফর খন্দকার মোশতাকের কথা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা।আর সে-দিন ই বাংলার কোটি কোটি মানুষের জীবনে জনম জনম দুঃখ-কষ্টের ভাগ্্য নির্ধারিত হয়ে যায়। যে কোটি কোটি মানুষ যুদ্ধ করেছিল একবারও কি ঐ নেতা জন গনের মতামতের রায় নিয়ে ঔ রায় দিয়েছিলেন ?????????
আপনার মতামতের সাথে আমি নিজে ও খুব একটা দ্বিমত নই । কিন্তু এই পোষ্টে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলো ভিন্ন ।
আমি আবারো সামারাইজ করতে পারিঃ
১। আইন ও সংবিধান অনুযায়ী সরকার ও সেনাবাহিনীর সম্পর্ক কি? সেনাবাহিনী কি সরকারের অধীনস্ত কাঠামো- অন্য সব সরকারী কর্মচারী মতোই? সে ক্ষেত্রে ' সেনাবাহিনী সমর্থিত সরকার' এই টার্ম কি সেনানিয়ন্ত্রিত কিংবা সেনাশাসিত সরকারের মতোই অবৈধ নয়? অন্ততঃ আইনের দৃষ্টিতে?
২। যেহেতু বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত সরকার প্রধানের হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মধ্যম সারির অফিসারদের দ্বারা এবং সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী এই অফিসারদের কোন বিচার হয়নি সেহেতু এই হত্যাকান্ডের জন্য 'কতিপয় বিপথগামী অফিসার' এর বদলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী'কেই দায়ী করা যায় কিনা?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সংবিধানের প্যাঁচঘোচ জানি না, তবে নির্বাচিত সরকারের উচিত সেনাবাহিনীকে কন্ট্রোলে আনা, নিজেরা তাদের কন্ট্রোলে যাওয়া নয়। অযোগ্য নির্বাচিত সরকারের ওপরই ঘৃণার থুথুটা বেশি যায়। বাংলাদেশের মত যুদ্ধপরিস্থিতিবিহীন দেশে এরকম একটা সেনাবাহিনী পোষা আর গরীবের হাতি পোষায় কোনো পার্থক্য নেই। টাকা পয়সার দিক দিয়েই টাইটটা প্রথমে দেয়া দরকার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- বাংলাদেশের একমাত্র সেনা অসমর্থিত সরকার প্রধানকে হত্যাকারী বিপথগামী সেই সেনাদের বিচার করবে কে? কারা বসাবে কোর্ট মার্শাল?
রামের সুমতি-তে শরৎ বাবু লিখেছিলেন। যখন গোপাল ময়রার মিষ্টি খেয়ে ফেলায় রামের বিচার বসে গ্রামে। তখন রাম মাতবর দাদুকে এত্তেলা পাঠায় এই বলে যে গোপাল ময়রার মিষ্টি সেদিন দাদুও খেয়েছিলেন। সেই আসরে শেষমেশ বিচার হয় গোপাল ময়রার নিজেরই। কারণ, অভিযোগ ছিলো- সে মিষ্টিতে ভেজাল দেয়!
সেনার সমর্থন না থাকলে বেঁচেবর্তে থাকা যাবে না, সৎ লোক নিয়ে সরকার গঠন না করলে আল্লাহ্'র গজব ঠেকানো যাবে না- বাংলার মানুষ করবেটা কী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একটি দেেশ সেনাবাহিনী তখনই খমতা নেয় যখন ঐসব দেশে গনতানি্তক সরকার ও সরকারী ব্যবস্হা না থাকে। আর সেনাবাহিনীর খমতা তো সবসময় ই অবৈধ খমতা।
ধন্যবাদ।
সেনাবাহিনী জন গনের টাকায় চলে এবং রােষট সব বিভাগ-ই তা।তাই যে কেউ অবৈধ খমতা নিলে বা হত্যা করলে সকল হত্যাকারীর বিচার জরুরী।
আইন ও সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনী সরকারের অংশবিশেষ, মানে সরকার ইজ ইটসেল্ফ বাই ডিফল্ট আ সার্ভিং এনটিটি। এর মধ্যে টপ হলেন রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী তার ঠিক নিচের লেজিসলেচার বা পার্লামেন্ট ফর্ম ও ডিজলভ করতে পারেন। জনপ্রতিনিধিরা (বা কেয়ারটেকার প্যানেল) আইন করবেন, তাদের এজেন্ট হিসেবে দেশ চালাবে এক্সিকিউটিভ। পার্লামেন্ট'কে আমাদের কন্সটিট্যুশন এক্সিকিউটিভ পাওয়ার দিয়েছে, তবে গলার রশি কিন্তু "স্বাধীন" জুডিশিয়ারির হাতে। উল্লেখ্য, মিলিটারি ফোর্স কোন সাধারণ কর্মচারি নয় যতক্ষণ না তাকে কোন সাধারণ দপ্তরে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়। তাদেরকে রিক্রুট করা হয় মূলত যুদ্ধের জন্য, অথবা যুদ্ধ থেকে বাঁচানোর জন্য। এমনকি ডিফেন্স মিনিষ্ট্রি, যা কন্ট্রোল করে প্রাইম মিনিষ্টারের অফিস, তার কর্মচারিরাও কিন্তু সেনাবাহিনী নয়। সুতরাং তার পার্লামেন্ট বা কেয়ারটেকার প্যানেলকে সমর্থন বা অসমর্থনের কোন সুযোগ তাদের নেই।
তাহলে প্রশ্ন হল, সেনাবাহিনী কি? ওটা আসলে একটা জুজু যাকে সবাই দেখায় এবং আমাদের মত গরিব দেশে মাঝেমধ্যে নিজেই নিজেকে দেখায়।
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন:
৩। কোর্ট মার্শালের উদ্যোগ নেয়া চেস্টা/দাবি ছিল কিন্তু জেনারেল ওসমানির জন্য তা' সম্ভব হয়নি , এমনকি উনি এক সেনা কনফারেন্সে বলেন "মোশতাক সরকার" বিরুধী কো্ন তত্পরতা বরদাশত করা হবে না এবং তা ' ভারতের চক্রান্ত হিসেবে দেখা হবে।
-ভাইয়া এই বিষয়টা কোন বইতে পাব, একটু বলবেন।
এছাড়া সবার প্রতি অনুরোধ-
মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি বিষয়ক কিছু ভালো বইয়ের নাম দেওয়ার জন্য
নতুন মন্তব্য করুন