তখন বোখারীদের মধ্যে একজন চালাকচতুর নেতা আর্বিভূত হলো। এই নেতার নাম লতিফুর রহমান। বোখারার জনগণ ছিল খুবই আবেগপ্রবণ। যে কোনো কিছু বাড়িয়ে বলার প্রবণতা ছিল তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। ত্রিশ হাজার লোক মারা গেলে তারা বলতো ত্রিশ লক্ষ। গুনে দেখার পরিশ্রম করতে রাজী ছিল না।
লতিফুর রহমানের আগে তাদের নিজেদের কোনো একক নেতা ছিল না। লতিফুর খুব ভাল বক্তৃতা করতে পারতো। সে বোখারা ভাষার ফুলঝুরি তোড়ে অন্যসব নেতাদের ভাসিয়ে দিল। বোখরার আপামর জনগণ তাদের প্রিয় খাদ্য আলুর কথা ভেবে লতিফুর রহমাকে নাম দিল আলুবোখরা।
বোখারার চালাক চতুর নেতা লতিফুর রহমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রাথমিক অবস্থাতেই গাঞ্জাবীদের কাছে নিজেকে সমর্পণ করলো। তার চ্যালা-চামুণ্ডারা কিন্তু কাকস্তানে পালিয়ে গিয়ে বোখরার স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ শুরু করে দিল। কাকস্থানের সহায়তায় বোখরা স্বাধীন হওয়ার পরই আলুবোখরা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলো। বিলাতের প্রধানমন্ত্রী ১০ নং ডাইনিং স্ট্রিটে থাকে সুতরাং ১০ সংখ্যাটি আলুবোখরার জন্য উত্তম সংখ্যা ভেবে সে জানোয়ার মাসের ১০ তারিখে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলো। দেশের জনগণ তাতে রাজমুকুট পড়িয়ে দিল।
আলুবোখারা সিংহাসনে আরোহণের পরপরই কাকস্তানের রাণীর সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদী একটি চুক্তি সম্পাদন করলো। সারাদেশের সব যত কলকারখানা- ক্ষেত খামার সবকিছু সে তার নিজের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে বিলিবন্টন করতে শুরু বরলেন। সব মাঠের নাম রাখা হলো আলুবোখারা মাঠ। যেসব বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা হয় সেগুলিরও নাম রাখা হলো আলুবোখারা মাঠ। আলূবোখারার তিনটি পুত্র ছিলো। বড়টির নাম ছিলো কমলাকলি। তার দায়িত্ব ছিলো বোখারার সকল বিদ্যালয় মাদ্রাসা কলেজ টোল ইত্যাদি সর্বত্র ছাত্র ছাত্রীদের শাসন করা। সে শিক্ষকদের চড় থাপ্পড় দেয়া, ছাত্রীদের পশ্চাদ্দেশে হাত বোলানো ইত্যাদি কর্মকাণ্ড করতো। তার ভয়ে ছাত্রীরা সবাই দৌড়ে পালাতো যে ছাত্রীটি এই দৌড়ে সকলের আগে ছিলো এবং দ্রুততমা তকমা লাভ করেছিলো কমলাকলি তাকে বিবাহ করলো।
নিজের দ্বিতীয় পুত্রকে আলুবোখারা দায়িত্ব দিল বোখারার সেনাবাহিনীর ভবিষ্যত অধিপতি হিসেবে আবির্ভাবের। জামতলি নামের এই পুত্রও আলুবোখারার মতোই উগ্র মেজাজের ছিলো। কিছুদিনের মধ্যেই সেনাবাহিনীর সব স্তরে প্রচণ্ড বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লো। আলুবোখারা দেখলো অবস্থা বেগতিক। নিজের রক্ষার জন্য সে সে সেনাবাহিনীর সমান্তরাল রক্ষাবাহিনী নামে একটি বাহিনী গঠন করলো। এই রক্ষা বাহিনী গ্রামেগঞ্জে সকল যুবককে হত্যা করতে শুরু করলো। আলূ বোখারার বিরুদ্ধবাদী কিছু তরুণ নেতা ‘যুবকফোন’ নামে একটি টেলিফোন কোম্পানি গঠন করে সবাইকে ফোন করে জানাতে লাগলো যে আলুবোখারার অত্যাচারে দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে, কিশোরী ও যুবতী নারীরা আলুবোখারার বড় দুই পুত্র ও তাদের বন্ধুদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আলুবোখারার তৃতীয় পুত্রটি ছিলো খুবই ছোট তার নাম ছিলো রসকলি। অপকর্ম করার মতো বড় সে তখনো হয়নি।
১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট যেদিন কাকস্তান স্বাধীনতা লাভ করেছে সেদিন আলুবোখারা ও তার ৩ পুত্রকে হত্যা করা হয়। তাছাড়া আলুবোখারার অন্যান্য অনেক আত্মীয়কেও হত্যা করা হয়। রফিউল্লা নামে আলুবোখারার অনুগত যে সেনাপ্রধান ছিল তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিদেশে রাষ্ট্রদূত বানিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সৈন্যবাহিনীর উপ-প্রধান আবদুর রহমান সৈন্যবাহিনীর দায়িত্ব লাভ করলো।
আলুবোখারা স্থির করেছিল দেশে একটি রাজনৈতিক দল ও ৪টি দৈনিক পত্রিকা থাকবে। আবদুর রহমান স্থির করলো ২টি রাজনৈতিক দল থাকতে হবে এবং পত্রিকাও থাকবে ২টি। একটি দল হবে সরকারপন্থী এবং অন্য একটি দল থাকবে সরকার বিরোধী।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
এই কথিত গদ্যকবিতাখানি লেখা হয়েছিল ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারীর ৬ তারিখে ।
মন্তব্য
এখন পর্যন্ত ১৩ বার পড়া হয়েছে । জনগন সম্ভবতঃ মন্তব্য খুঁজে পাচ্ছেন না
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কেবল তাই না, এ লেখাটায় একতারা পড়ছে না কেন তাও বোধগম্য না।
চাকরি যাওয়া ঠিক আছে, তবে যে অভিযোগে গেছে সেটা যথাযথ হয়নি।
আমার প্রশ্ন একটাই -- এখানে কি এমন কেউ আছেন যিনি তাঁর মৃত বাবা-মা-ভাই নিয়ে কেউ এধরণের কথা বলার পর তাকে "তথ্য সচিব" হিসেবে বহাল রেখে প্রধানমন্ত্রীত্ব করতেন?
ব্যাক্তিগত প্রসঙ্গে যেতে না চাইলে নাই। "বঙ্গবন্ধুর নামে বললো তাই..." বলে ডাইভার্ট করা সহজ। বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে এমন যার দৃষ্টিভঙ্গি, তাকে কি কেউ তথ্য সচিব হিসেবে বহাল রাখতেন?
আবু করিমের বিরুদ্ধে আরো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এটা স্যাটায়ার না। এটা স্ল্যান্ডার। এটা ইতিহাস বিকৃতি। এর বিরুদ্ধে কিছু না করাটা উদারতা নয়, দুর্বলতা।
নিশ্চিতভাবেই এটা হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের একটি চিহ্ন মাত্র!
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
পড়ে তো মনে হচ্ছে ওনার চাকুরী নয়, সাজার ব্যবস্থা করতে হতো। কবিতায় লেখার স্বাধীনতা মানে তো এমন হওয়া উচিত নয়।
ব্যক্তিগতভাবে কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক না হলেও স্বীকার করতে দ্বিধা নেই আওয়ামী লীগ বা এর সমর্থকেরা এখন পর্যন্ত যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তাদেরকে সেজন্য বাহবা জানাই।
এইরকম বিকৃত একজন মানুষ তথ্যসচিব পদে থাকাটা একটি দেশের জন্য অসম্মানজনক বললেও কম বলা হবে। কবিতা(?)টি পড়া না হলে হয়তো একটি ভুল ধারনাই মনে মনে পুষে রাখতাম। মোরশেদ ভাইকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
- মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ হয়েছিলো যেদিন টিভি চ্যানেলে শাহ হান্নানের ইন্টারভিউ শুনেছিলাম। আশ্চর্য হয়েছিলাম, এই রকম সরীসৃপ রাস্ট্রের এতো গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছায় কী করে! এই গদ্য কবিতাখানি পড়ার পরে লকলকে জিভের আরেকটা সরীসৃপকেই মনে হলো রাস্ট্রের খুবই গুরুত্বপূর্ণস্থানে বহাল তবিয়তে বিরাজ করেছে এতোদিন।
সকালে জ্বীনের বাদশার পোস্টের পর মনে হচ্ছিলো ক্ষমতাচ্যুত করা হয়তো সমর্থন করিনা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই সর্পরাজদের শুধু ক্ষমতাচ্যুত না বরং সার্বভৌম বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা উচিৎ। এবং এটা করা উচিৎ কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে কটাক্ষ করার জন্য না বরং নিজের দেশের জন্ম নিয়ে স্যাটায়ার নাম দিয়ে ইৎরামো করার শাস্তি স্বরূপ।
সরকারী কর্ম কমিশন যখন নিয়োগ দেয়, তারা কি চোখে কালো পট্টি লাগিয়ে মানুষ যাচাই করে? যে দেশের সেনাবাহিনীতে যোগদানের পরীক্ষায় মুসলমান বিনা অন্য ধর্মাবলম্বীদের দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে নিজের 'দেশপ্রেম' প্রমাণ করতে হয়, সে দেশেরই জন্মের বিরোধীতাকারীরা কী করে রাস্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসীন হয়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যে লোক রাষ্ট্ররে বেজন্মা বলে তারে রাষ্ট্রের ম্যানেজার/ডেপুটি ম্যানেজার পদে রাখা নিরাপদ না। এব্যাপারে ইশতিয়াক ভুল বলে নাই।
কিন্তু একটা ফাক মনে হয় আছে। যেটা আগের জ্বীনের পোস্টে তীরন্দাজ ভাই বলছিলেন।
এখনকার প্রজন্ম, যারা আবদুর রহমান বা এরাদত আলীর আমলে জন্মেছে বা বড় হয়েছে, তাদের কানে কিন্তু ঐ লাল কালির কথাগুলাই গেছে বেশি বেশি।
তাই যদি ডেপুটি ম্যানেজাররে চাকরিচ্যুত কৈরাই দায়িত্ব সারা হয়, তাইলে আবু করিমের হাতেই লাঠি তুইলা দেওয়া হয়, সে এই প্রজন্মের কাছে মায়া কান্না করার সুজোগ বেশি পায়।
সেটা না কৈরা, আপনি যে লাল কালি দিয়া দাগায়া দিসেন, তাতেই ভাল হৈল মনে হয়। তবু যদি কারো প্রশ্ন থাকে, তাহলে তার গালে চড় না দিয়া প্রশ্নের উত্তর দিলেই সেইটাই বরং মনে গাইথা থাকব।
এই কথাটাতেই যত ভুল করে ফেললেন। এখনকার প্রজন্ম কিন্তু স্বাধীনতাকালীন বাংলাদেশের প্রজন্ম না। এখনকার প্রজন্ম আমার মত পোলাপান, যাদের জন্ম মুক্তিযুদ্ধের পরে। আপনারা অনেক কিছু দেখেছেন, অনেক রকম ভাবে নিষ্ক্রিয় থেকেছেন। এই নিষ্ক্রিয়তারই ক্রমযোজিত ফলাফল এই আস্ফালন।
আপনারা "অ্যাকশন"-এর বয়সে চুপ থেকেছেন, তাই এখন আত্মসমালোচনা ছাড়া আপনাদের কিছু করার নেই। "আমরা বাড়তে দিয়েছি বলেই এরা বেড়েছে" কথাটা আপনারা ভাববেন, ভাবা উচিত।
কিন্তু আমরা এখনও এতটা বুড়িয়ে যাইনি। পেশি তো শোকেসে তুলে রাখার জন্য না, বরং প্রয়োজনের সময় ব্যবহারের জন্য। আমাদের প্রজন্ম এসব ব্যাপারে অনেক বেশি আবেগপ্রবণ, অনেক বেশি সাহসী, অনেক বেশি অ্যাকশনে বিশ্বাসী।
"আবু করিম আঙ্কেল, আপনি কিন্তু কথাটা ঠিক বলেন নাই। খুব মাইন্ড খাইছি আপনার কথায়। আসুন একটা সমীক্ষা করে আপনাকে ভুল বুঝিয়ে দেই..." জাতীয় পদক্ষেপ অহেতুক সময়ের অপচয়। ধরে যে দুইটা থাবড়া দেওয়া হয় নাই, এটাই অনেক।
খেয়াল করবেন আরেকটা ব্যাপার। আমার আপত্তি কিন্তু লাল কালিতে লেখা প্রথম কথাটা নিয়ে -- মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা। বঙ্গবন্ধু গণহত্যা এড়ানোর জন্য এবং সময় নিয়ে প্রস্তুত হওয়ার জন্য অনেক কিছুই করেছিলেন যা রাজনৈতিক বা ব্যাক্তিগত বিশ্লেষণে ভুল। আমি বাকি "লাল" লেখাগুলো সেভাবেই দেখি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে ত্যানা প্যাঁচাতে আমি নারাজ।
ইশতিয়াক, ভাই ক্ষেইপো না, আমিও আব্দুর রহমান-এরাদত আলী প্রজন্ম। এই জাতির প্রসব যন্ত্রণা দেখার বা তার ভাগী হওয়ার সৌভাগ্য হয় নাই। শুধু বাপ-চাচার গায়ের ক্ষত দেইখা ঐ সময়ের জন্মযন্ত্রণা দুর থেইকা উপলব্ধি করার চেষ্টা করসি মাত্র।
আমি কিন্তু আবু করিমকে নিয়া চড় দেওয়ার কথা বলি নাই। বলসি, আমারই সমসাময়িক যারা, যারা এই জাতিরই সন্তান, এই জাতিরই ভবিষ্যত, তাদের মনে প্রশ্ন থাকলে চড় না দিয়া উত্তর দেয়া উত্তম। তাদের কি দোষ বল?
আর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়া আমরাই কিন্তু মাথা গরম কৈরা ঐসব বেজন্মাগো পানি ঘোলা করার সুযোগ দিতেসি। সংখ্যা নিয়া এই খামকা বিতর্ক আরো আগেও অনেক বার তুলবার সুজোগ এরা পাইসে। এদের মুখ বন্ধ করার উপায় হিসাবেই আমি বলতেসিলাম বিষয়টা তথ্য-প্রমাণ সহ উপস্থাপনের কথা। আমার তোমার বিশ্বাসে সমস্যা নাই। যাদের আসে তাদের ভালর জন্যই বলতেসিলাম।
আমি জামাতী ছানাপোনা ছাড়া আর কাউকে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে দেখিনি ।
আপনি কি সংশয়ী? @ গৃহান্তরী?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভাই আমি তো প্রশ্ন করার আগেই আমারে চড় দিলেন। আমারে তো দিলেন, আমার বাপেরেও দিলেন। আমি তো আগেই কৈলাম, তোমার আমার বিশ্বাসে সমস্যা নাই।
তবে একটা ব্যাপারে আমি দ্বিমত পোষণ করলাম। জামাতীরা যে আকাম করসে, তার দায়ে কিন্তু তাদের ছেলেপুলেরে দোষী করা যায় না। বরং ওরা এই জাতিরই সন্তান, ওদেরে সন্দেহমুক্ত করা এই জাতিরই দায়িত্ব।
জ্বি, জাতির বড় দায় ঠেকেছে বাপেদের ক্ষমা আর ছেলেপুলেদের সন্দেহ মুক্ত করার ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জামাতীদের ক্ষমা করা আর ছেলেপুলেদেরে মানুষ করা এক কথা হল কেমন করে?
বরং জামাতীদের নৃশংস াপকর্মের বিচার হলেই তো ছেলেপুলেদেরকে মুক্ত করা সম্ভব। নাকি এইটাও ভুল বললাম?
ভুল বলেন নাই । কিন্তু সংশয়টা কিসের?
এইসব কথিত সংশয়ীদের সাথে অনেক আলোচনাই হয়েছেরে ভাই । সকলই গরল ভেল ।
জামাতী ছানাপোনারা জেনেশুনে বুঝে সজ্ঞানেই সংশয় ছড়ায় ।
বাদ দেন ওদের কথা । আপনার নিজের কোন সংশয় আছে নাকি? থাকলে বইলেন ।
না থাকলে এই প্রসংগ বাদ যাক ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এমনি এমনি তো আর ক্ষেপি না রে ভাই... আমরা ক্ষেপি না বলেই এরা এক কদম এক কদম করে এতদূর এসেছে। আমার সাফ কথা। আর আধা ইঞ্চি মাটিও এদের ছাড় দেওয়া যাবে না।
আর, আপনি কি সত্যিই মনে করেন যে "এসো গান শিখি"র মত করে ইতিহাসের শিক্ষা দিলেই এরা সব মেনে নেবে? আর, ইতিহাসের কোন গবেষণা নতুন করে কিংবা পরিবর্ধিত আকারে দেখতে চান আপনি? দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য এটা যে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ। এখানে আর কী চাওয়ার থাকতে পারে?
এরা যা বলছে, তা ভুল জেনে সজ্ঞানেই বলছে। এরা কিছু জানে না, কিছু বোঝে না, ভুল জানতো দেখে এমন বলছে, এই ধরনের চিন্তা আমার কাছে খুব নাইভ মনে হয়।
আবু করিমের কবিতার লাইন তুলে দিলাম।
.....
বাংলা অনার্স পড়া কবিদের থেকে মনে হয় সবার সাবধান থাকা উচিত।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এইটা তুলে দিতে এসেই দেখি আপনি তুলে দিয়েছেন। হা হা ... কবি বটে!
- আমিও কবিতা লিখবো এখন থেকে, তবে বাংলায় অনার্স না করেই।
বাগানে হাটিতেছে পালে পালে,
বকরী আর গোবদা গোবদা খাসী,
চল সবাই, করিম আঙ্কেলের গালে-
বাম হাতে কইষা চড় মাইরা আসি।
আবু করিম সাব যদি ঐ বালছাল লেইখা নিজেরে কবি দাবী করতে পারে তাইলে আমি নিজেরে মহাকবি দাবী করলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রসঙ্গতঃ সংখ্যা নিয়া পানি ঘোলা করা বিতর্ক আগেও হৈসিল মনে হয়। তার একটা জবাব পাইলাম, মুক্তমনায়।
পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম বিস্ময়ে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আমি শুধু প্রথম দুটো লাল কালির লাইন নিয়েই বলে ক্ষ্যান্ত হবো। আবু করিম কি শুমারি করেছেন যে সংখ্যাটা ২৯ লক্ষ কিংবা ৩০ হাজার। করেননি। যদি শুমারি করতেন তবে আমরা তাকে আবু শুমারি বলতাম নিশ্চয়ই। এটা স্যাটায়ার হয়নি, কবিতা হয়নি, হয়েছে বিদ্বেষ প্রকাশের একটা আমলনামা। একজন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতার যেটা করা উচিত সেটাই করেছেন বঙ্গবন্ধু। সবার ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলার কথা বলে, আপন ভূমে বসে ছিলেন সদর্পে। তখন দেশ ছেড়ে গেলে দেশদ্রোহী এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমর্থ বলবার একটা সুযোগ তৈরি হতো। যাই হোক তবে আমাদের বোখারা বলবার কারণটা ঠিক বুঝলাম না। তিনি কি ইরান ফেরত কি না খবর নেওয়া দরকার। আমার ধারণা এটা পদোন্নতির জন্য তৈরি করা একটা আবেদনের অনুলিপি।
পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম।
ভাবতেই অবাক লাগে - এরকম একটা বাস্টার্ডকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল সচিব পদে!! না জানি আরো কতগুলা বাস্টার্ড আছে এখনো বহাল তবিয়তে !!
আবু করিমের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হওয়া উচিৎ। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ জাতির ইতিহাস নিয়ে এমন ঘৃন্য কিছু করার সাহস না পায়।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এই শালা তো পাগল । এরে তো পাগলাগারদে ভর্তি করা দরকার । সচিব পর্যায়ে যে দেশে এমন ছাগু বসে থাকে , সেই দেশ আল্লাহ তো বিশেষ এসাইনমেন্ট দিয়ে না চালালে গেছিল এতোদিনে !
কবিতা পড়ার আগে জ্বীনের বাদশার পোস্ট পড়া ঠিক হয় নাই।
এরে আসলে কি করা উচিত বুঝতে পারছি না। আসলেই বুঝতে পারছি না।
শুরুতে ভালোভাবে না জেনেই চাকরি যাওয়র ঘটনায় হতাশ হয়েছিলাম। এখন আগের মন্তব্যের কারণে নিজের কাছেই খারাপ লাগছে। ভাবতে পারছি না এমন একজন বাস্টার্ড সচিব পদে বহাল ছিল এতোদিন, যে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকেই মিথ্যে ভাবে।
রাগে গা কিড়মিড় করতেছে।
এর শাস্তি নেহাতই কম হয়ে গেছে, শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্যে সুপারিশ করা হোক।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমি অত্যন্ত লজ্জার সাথে আরেকটা পোস্টে আমার করা মন্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি।
এই হারামজাদার চাকরি নিয়ে খুব ছোট কাজ করা হয়েছে, ওর পোঁদে বাঁশ ঢুকিয়ে জিরো পয়েন্টে লটকে রাখা উচিত।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
একটা কথা না বলে পারছি না, ইদানিং শুনছি খুব বেশি, রাজাকারদের ছেলেপুলেদেরকে না-কি বাপেদের কারনে দোষি করা ঠিক না এমনকি টিভিতে নাটকও হচ্ছে এইসব নিয়ে! তর্কের আর গল্প হিসেবে খুব জমজমাট টপিক সন্দেহ নেই, কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা রাজাকার/জামাতি বাপের পোলা পাইলাম না যারা ভিন্ন গলায় কথা কয়!
এরা ভিন্ন স্ট্র্যাটেজিতে কথা কয় জানি যেমন ''নজরুল জাতীয় কবি (=কালি পূজা করা হিন্দুয়ানি কবি) হতে পারলে রবি ঠাকুর কেন আমাদের জাতীয় কবি হতে পারবেন না''
কিন্তু একটা শিবির ছানা-জামাত শাবককে শুনলাম না কোনদিন আওয়াজ দিতে যে আমারা এই দেশের সন্তান আমাদের বাপ-চাচার কুকর্মের জন্যে আমাদের দোষি কইরেন না। যতদিন এইটা না শুনবো, আমরা বিশ্বাস করেই যাব বাপ রাজাকার তো ২৮ গুষ্টি ফলোয়ার!
একটা কথা না বলে পারছি না, ইদানিং শুনছি খুব বেশি, রাজাকারদের ছেলেপুলেদেরকে না-কি বাপেদের কারনে দোষি করা ঠিক না এমনকি টিভিতে নাটকও হচ্ছে এইসব নিয়ে! তর্কের আর গল্প হিসেবে খুব জমজমাট টপিক সন্দেহ নেই, কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা রাজাকার/জামাতি বাপের পোলা পাইলাম না যারা ভিন্ন গলায় কথা কয়!
-যতদিন না শুনব আমরা বিশ্বাস করে যাব বাপ রাজাকার তো ১৪ গুষ্টি ফলোয়ার
আপনি শিক্ষানবীসের লেখা পড়েননি এখানে?
(আমি কোন তর্কে যাচ্ছি না কিন্তু।)
জ্বিনের বাদশার এই পোস্টে এই কবিতা ও কবিতার প্রতিক্রিয়া নিয়ে আরো কিছু পর্যবেক্ষণ আছে।
এটা কি কোন কবিতা? এটা যদি একটা কবিতা হয় তাইলে মুক্তিযুদ্ধকালীন আল বদর বাহিনির বানানো থ্রী ওয়ান থ্রীও একটা নাটক।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
মজার বিষয় হচ্ছে করিম কাগু কিন্তু মেয়েকে কাকস্তান সরকারের বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করে কাকস্তান থেকে পড়িয়ে এনেছেন।
এটা একটা মদ্যকপিতা। করিম বাংলার ছাত্র হলেও রূপক কাকে বলে জানেন না। নিকৃষ্ট মানের রচনার জন্যই তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।
খবরে প্রকাশ কবি আবু করিমকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র প্রথম আলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
??????!!!!!!!????
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
নতুন মন্তব্য করুন