তাকে পেরেক দিয়ে খুঁটির সংগে গেঁথে রাখা হয়েছিল আজমিরীগঞ্জ বাজারে । তখনো দেহ তার থির থির কাঁপছে, ক্রমশঃ ফুরিয়ে আসছে নিঃশ্বাসের আয়োজন ।
শত্রুদের আক্রমনে সহযোদ্ধারা যখন ছিন্নভিন্ন তখনো তিনি প্রিয় এলএমজি আঁকড়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন । যে চোখে স্বদেশের স্বাধীনতা আর শোষনমুক্তির স্বপ্ন দেখতেন সেই চোখ গুলিবিদ্ধ হলে ঘাতকদের হাতে ধরা পড়েন তিনি ।
এই মধ্যবয়সে এসে বহুদূরে ফেলে আসা শৈশবকে আমার কুর্নিশ করতে ইচ্ছে । আমার শৈশবের স্মৃতিকে পুন্য করেছে এই ছবির খুঁটিতে পেরেক দিয়ে গেঁথে রাখা মানুষটার বীরত্ব গাঁথা ।
ছোটবেলা মামার বাড়িতে ছিলাম । মুক্তিযুদ্ধের ফসল বাংলাদেশের বয়স তখনো একযুগ হয়নি । সুনামগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চলে তখনো মানুষের মুখে মুখে দাসপার্টি আর তার প্রধান জগৎজ্যোতি'র বীরত্ব রুপকথার মতো ফেরে । আমাদের পরিবারের কয়েকজন ছিলেন তার সহযোদ্ধা । সেই থেকে এই জগৎজ্যোতি, '৭১ এ যার এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিলো তিনি হয়ে উঠেন আমার বীরশ্রেষ্ঠ । বছর কয়েক আগে একটা গল্প ( ওমশান্তি-আসসালাম )লিখতে গিয়ে হঠাৎ করেই তিনি হয়ে উঠেন সেই গল্পের এক চরিত্র ।
আজ সামহোয়ার ইন ব্লগে সুনামগঞ্জের ব্লগার শামস শামীমের পোষ্টে দেখি আমার বীরশ্রেষ্ঠ, রাষ্ট্র যাকে কোন স্বীকৃতি দেয়নি তার গায়ে কোন উর্দি ছিলোনা বলে সেই শহীদ জগৎজ্যোতির ছবি । ১৬ নভেম্বর ১৯৭১ সালে আজমিরীগঞ্জ বাজারের খুঁটিতে পেরেক দিয়ে যাকে গেঁথে রাখা হয়েছিল পরে তার শরীর ছিন্নভিন্ন করে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল নদীর জলে । পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল সেই 'দুস্কৃতিকারী'র এই ছবি ।
শামস শামীম আপনি আমার অভিবাদন গ্রহন করুন ।
হাজার মাইল দূরে থেকে এই মাতাল মধ্যরাতে আমার গা কেঁপে উঠছে এই ছবি দেখে ।
শামীমের পোষ্টে তালেব ভাইয়ের কথা লেখা হয়েছে । তালেব ভাই আমার নানাবাড়ির পাশের গ্রামের । ছাত্রলীগ করতেন, সুনামগঞ্জ কলেজের জিএস ছিলেন । তার ছোটভাই মোতালেব আমাদের বন্ধু । স্বাধীনতার পর দিরাই থানার নামকরন করা হয়েছিল তালেবনগর । না টিকে থাকেনি , আমাদের এইসব টিকে থাকেনা ।
এই পোষ্ট লিখতে লিখতে হারুন মামার কথা মনে পড়ছে । বড়মামার বন্ধু ছিলেন । ঐ অঞ্চলের এক বিখ্যাত অভিজাত পরিবারের সন্তান যার আপন চাচারা রাজাকার ছিলো । এক গভীর রাতে আমার বড়মা( নানীর মা)র ঘরে এসে উঠেছিলেন এই গেরিলা যোদ্ধা । রাজপুত্রের মতো চেহারায় ক্লান্তি ও ক্ষুধার ছাপ ছিলো । একটানা অনেকদিন পেটে ভাত পড়েনি । বড় মা তাড়াহুড়ো করে মুরগীর মাংস রেঁধে দিয়েছিলেন । যাবার সময় ঘরের চৌকাঠে তার পা ঠেকে গিয়েছিল ।
পরদিন রসুলগঞ্জ বাজারে হারুন মামার টুকরো টুকরো শরীর লটকে রেখেছিল রাজাকারেরা ।
হারুন মামার মাকে দেখতাম ছোটবেলায় । সাদা শাড়ী পড়া অভিজাত মহিলা । তাঁর চেহারা এখন আর মনে পড়েনা । বহুবছর পর এক অস্থির রাতে বর্ননাতীত শোক, শোকের অধিক এক অব্যাখ্য অনুভূতি আমাকে গ্রাস করে ।।
মন্তব্য
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
এ লেখার ওপর মন্তব্য হয় না। এই অনুভূতি বিশ্বজনীন।
অ-বাংলাদেশীর এই প্রসঙ্গে অনুভূতি কী হয় সেকথা একদিন লেখার ইচ্ছা আছে।
জগৎজ্যোতি এই বীরের কথা সম্ভবতঃ কিছূদিন আগে সামু'তে পড়েছিলাম। আর আজ আপনার বর্ণনায় পড়া অনুভূতির অনুরণন সত্যি আমাদের গৌরবের সাক্ষ্য। তারপরও আমরা দ্বিধা বিভক্ত আসন আর ক্ষমতা নিয়ে। গতকাল সম্ভবতঃ একটা পোষ্ট ষ্টিকি করা হয়েছে সামু'তে যা আমাদের অনেক সত্য ইতিহাস তুলে ধরে সেই রাজাকারদের সাহায্যকারীদের। ২৯ এর স্বপ্ন কী সত্যি হবে! আমরা কী পারব সেই নরঘাতকদের শাস্তির সাজা দেখতে?
একজন জাঁদরেল স্কুল শিক্ষক তিনি তার পরিবার থেকে ছিন্ন হয়ে ভারত থেকে দেশে এলেন কিন্তু সময় ১৯৭১ এপ্রিল-মে আর দেখা হয়নি তিন সন্তান আর স্ত্রী'র সাথে; তাদেরও তাদের বাবা আর স্বামীর সাথে। এই কাহীনি দিনাজপুর সেন্ট জোসেফ স্কুলের একজন শিক্ষকের।
প্রতিটি রক্ত কণায় এদেশে ঘরে ঘরে জ্বলছে আগুন; তারপরও যখন শোষিতের হাতে থাকে শাসনের ভার তখন কি ভীষণ বিষ জ্বালা সাড়া শরীরময়। এমন সব হীন স্বার্থ রক্ষাকারী ধর্মীয় ভাব উন্মাদ ঘাতকদের বিচার হোক।
জয়তু সেই সব অজেয় বীরদের যারা এখনও অজ্ঞাত।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
শোকেরও অধিক, ক্রোধেরও অধিক, সর্বোপরি লজ্জারও অধিক - অস্থির এক প্রশ্নবোধ আমাকে বিস্মিত করে - কিভাবে, কী করে আমরা ভুলে যাই, ভুলে থাকি এঁদের কথা?!!
আপনার লেখা থেকেই জগতজ্যোতি'র কথা প্রথম শুনি, আজ ছবি দেখলাম। খুব দ্রুতপদে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের কানাগলি থেকে আলোয় আনা দরকার আমাদের সেরা সন্তানদের। সবার জানা সরকার, সবার দেখবার দরকার। আমাদের পুরোনো এবং নতুন প্রজন্ম সবার জানবার দরকার এগুলো ফিকশন নয়, এগুলো টানটান কোন রোমাঞ্চ উপন্যাস নয়। এগুলো সত্যি ঘটনা, এগুলো আমাদের দেশের জল-মাটি'তে বেড়ে ওঠা যে কোন দশটা ছেলের মতোই একটা ছেলে, প্রাণের টানে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া কিছু মানুষ। অদূর ভবিষ্যতে কেউ এদের ফিকশনাল চরিত্র বানানোর আগেই, এদের সত্যি গল্প সবার জানা দরকার।
আপনাকে এবং শামস'কে ধন্যবাদ।
বীরশ্রেষ্ঠদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। শুধু মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের বীরশ্রেষ্ঠরা সব উর্দি পরা কেন? সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, তাদের কারো মধ্যে কি শ্রেষ্ঠ বীর হবার যোগ্যতা ছিল না?
আমরা মনে হয় আমাদের কর্মফল পাচ্ছি। জগৎজ্যোতিদের অসম্মানের প্রতিশোধ।
অপারেশন সার্চলাইটের প্রথম দিককার শিকার হচ্ছেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বাঙালী পুলিশ আর পিলখানার বাঙালী ইপিআর সদস্যরা। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার ট্রেনার এই পুলিশ আর ইপিআর সদস্যরা। অসংখ্য সন্মূখ যুদ্ধের শহীদ এই পুলিশ আর ইপিআর সদস্যরা। ইপিআর-এর কতজন সদস্য বীরের খেতাব পেয়েছেন? পুলিশদের মধ্য থেকে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাও কি ছিলেননা যিনি বীরশ্রেষ্ঠর মর্যাদা পেতে পারতেন! তাদের মধ্যে কতজন বীরোত্তম, বীর বিক্রম আর বীর প্রতীক আছেন? সম্ভবতঃ উর্দি থাকলেই হয় না, সেখানেও শ্রেণীবিভাজন আছে।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পাশ দিয়ে যখন রিকশা করে যাই তখন শহীদ পুলিশ সদস্যদের স্মরণে নির্মিত মিনারের দিকে তাকালে গর্বে বুক ভরে ওঠে না। বরং নিজেদের অকৃতজ্ঞতার লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে আসে। নিচু করা চোখ দেখতে পায় মিনারের বেদীতে লাগানো ফলকে লেখা সারি সারি শহীদের নাম। ঐসব শহীদদের জন্য আমাদের শ্রদ্ধা জানানোর দৌড় ঐ শ্বেতপাথরের ফলকে ক্ষুদে অক্ষরে লেখা নাম পর্যন্ত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এটাই কী হওয়ার কথা ছিল?
অনুভূতিময় এ লেখার জন্য ধন্যবাদ মোরশেদ ভাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
..........
...........................................................
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
বারবার টের পাই, কল্পনার সীমানা ছুঁতে পারে না বাস্তবের নৃশংসতা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই পোস্টের ব্যাপারে মন্তব্য করার সামর্থ্য আমার নেই। হাসান মোরশেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা দরকারী এই পোস্টটা দেবার জন্য।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শ্রদ্ধা।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
...........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমার শ্রদ্ধা
...........................
Every Picture Tells a Story
বহুবছর পর এক অস্থির রাতে বর্ননাতীত শোক, শোকের অধিক এক অব্যাখ্য অনুভূতি আমাকে গ্রাস করে
.....
এ লেখার ওপর মন্তব্য হয় না। এই অনুভূতি বিশ্বজনীন।
নির্বাক হয়ে থাকি।
যারা মুক্তিযুদ্ধের সর্বব্যাপী যুদ্ধরূপকে বিশ্লেষণের চোখে ভাল করে দেখতে পান না, তাদের জন্য এই লেখা অবশ্যপাঠ্য।
"একাত্তুরের যীশু" সিনেমাটি তাহলে কেবল রূপক নয়!
আগাছা নেতা, আগাছা গল্প আর আগাছা ইতিহাস এগুলি নিয়েই বড় হয়েছি। প্রাইমারীতে পড়া দেশের ইতিহাস শ্রেণীতে শ্রেণীতে ভিন্ন হয়েছে। সেখানে 'আকাশ' থেকে হঠাৎ যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। "হানাদার বাহিনী" নামে এক প্রকারের মানুষ এসেছে সেই যুদ্ধে । "হানাদার বাহিনী" টা যে কে তা বলতে পারেনি পাঠ্যবই।
পাঠ্যবইগুলো কি এখন ইতিহাসের কথা বলবে? সেখানে কি এইসব আত্মত্যাগের মহিমা লিখিত হবে? নাকি আগের মতই লুকোচুরি লুকোচুরি চলবে?
ধন্যবাদ এই ইতিহাস জানানোর জন্য।
নদী
চোখ ভিজে যায় জলে...
শ্রদ্ধা...
এরা সবাই এরকম অচিহ্নিত অজানিতই থেকে যাবেন। আমরা কিছু করতে পারবো না। এই তো আমরা। এই আত্মমগ্ন বিপ্লবীরা।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
একমত ষষ্ঠ পাণ্ডব।
আবেগ প্রকাশের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বৈষম্য ও বিষ্মরণের দিকটিও বারবার তুলে ধরা দরকার।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
..................শ্রদ্ধা........................
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
...আমরা তোমাদের ভুলবো না!...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এখন আর এইসব ইতিহাস কেউ বলে না গল্পের ছলে।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে যাওয়া প্রত্যেকেই বীরশ্রেষ্ঠ। কত রক্তে, কত গর্বে, আর কত অবহেলায় এই বাংলাদেশ!
মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস আমাদের গৌরবের ইতিহাস আন্যদিকে কোনকোন মানুষের লজ্জার ইতিহাস। যাদের লজ্জার ইতিহাস তারাই বঞ্চিত করেছে আমাদেরকে আমাদের গর্বের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করতে। যাদের পক্ষে এখনো লেখা সম্ভব দয়া করে আমাদের জন্য লিখে যান বাচিয়ে রাখবে সময়।
স্যালুট!
..............
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বার কয়েক পরলাম তোর পোস্ট, মোরশেদ ।
এইরকম স্পর্শী পোস্টগুলোতে তুই অন্যন্য ... তুই আমার বন্ধু, এটা ভেবে ভালো লাগে !
জগত্জ্যোতি আমার মায়ের সবচেয়ে সাহসী সন্তানদের একজন, এটা ভেবে গর্ব লাগে !
শুধু অসীম সাহসের জন্যই নয়, যুদ্ধের ভেতর আরেক যুদ্ধ, 'মুক্তি'টা কে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন বলেও এই নায়ককে মনে রাখতে হবে বাঙলার !
পদক তো না মিলবারই কথা । সাহস, অস্ত্র, আর দেশপ্রেমের সঙে একটা 'লালপতাকা' ও যে যুক্ত ছিলো তাঁর সঙ্গে !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
এভাবেই রক্তে ভেজা এই বাংলার মাটি।
এরা আমাদের শাণিত উৎসধারা।
ভাষা নেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
জগৎজ্যাতির কথা কদিন আগেই জেনেছি প্রথম আলোর ছুটির দিনের মূল ফিচারে।
আগে জানতাম না।
আমারই ব্যর্থতা।
কিন্তু এখন আর কোনোদিন ভুলব না।
---------------------------------------------
আমাকে ছুঁয়ো না শিশু... এই ফুল-পাখি-গান সবই মিথ্যা!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
নতুন মন্তব্য করুন