ক্যারোলিনা খুব উদ্বেলিত হয়েছিলো ।
বছর ২২ এর তরুনী ক্যারোলিনা । লিথুনিয়ার ছোট্ট গ্রামে তার জন্ম ও বেড়ে উঠা । এই গ্রামের গন্ডী পেরিয়ে খুব দূরে কোথাও যায়নি সে আগে ।
কিন্তু এই প্রথম, সেপ্টেম্বর ২০০৫ এ সৌভাগ্য তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকলো । ক্যারোলিনার সুযোগ এলো লন্ডন যাওয়ার, যেখানে তার জন্য ভালো বেতনের চাকুরী অপেক্ষা করছে ।
পূর্ব ইউরোপের দরিদ্র দেশ লিথুনিয়ার আরো দরিদ্র নাগরিক সে । মুলতঃকৃষিপ্রধান ঐ দেশে বেকারত্ব বড় বেশী তীব্র । ছোট দুই রুমের একতলা বাড়িতে গাদাগাদি করে থাকতে হতো তাকে, মা-বাবা আর অন্য সব ভাইবোনের সাথে । বাড়ির দেয়ালগুলো নুনা ধরা । আসবাবপত্তর বহু পুরনো ।কক্ষগুলো অন্ধকার,লিথুনিয়ার বর্তমানের মতোই । সহসা আলোকিত হবার সম্ভাবনা নেই আর তাই যে যেভাবে পারছে দেশ ছাড়ছে ।
এবার সুযোগ এলো তরুনী ক্যারোলিনার ।
বাড়ীর পিছনের এক সব্জী খামারে সে কাজ করছিল তখন । লম্বা সময় কিন্তু খুব কম পারিশ্রমিকের কাজ । খামারে বেড়াতে এসেছিল, খামার মালিকের এক আত্নীয় । মধ্যবয়স্ক লোক । সেই লোকই তাকে জিজ্ঞেস করেছিলো- সে লন্ডনে যেতে চায় কিনা? লন্ডনে গেলে তার মতো সুন্দরী তরুনী সহজেই বারট্রেন্ডারের কাজ পেয়ে যাবে, আর পারিশ্রমিক পাবে এরচেয়ে অন্তঃত বিশগুন বেশী ।
দ্বিধা ছিলো,সংশয় ছিলো । তবু পারিশ্রমিকের বিশাল অংক আর ছোট বেলা থেকে শুনা লন্ডনের চাকচিক্যময় জীবনের গল্প, সিদ্বান্ত নিতে তাকে খুব বেশী দেরী করালোনা ।
সেই লোকটাই তাকে লন্ডনে নিয়ে এলো । বাসভাড়া লোকটাই দিল । দীর্ঘ পথভ্রমনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো লিথুনিয়ার ক্যারোলিনা ।
লন্ডন পৌঁছার পর একটা হোটেলে তাকে পেটপুরে খাওয়ালো সেই লোকটাই । সেখানেই দেখা হলো এক আর্মেনিয়ান লোক আর দুই লিথুনিয়ান মহিলার সাথে । ক্যারোলিনা জানলো, এরাই তার চাকুরীর সব বন্দোবস্ত করে দেবে । এদের সাথেই সে চলে এলো তাদের ফ্লাটে ।
মন্তব্য
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন