তবে তো রবীন্দ্রনাথ আশা আছে,তুমি আছ কলকাতা থেকে দূরে গ্রামে
যেখানে সমস্যা আর সমাধান পাশাপাশি শুয়ে থাকে প্রকৃতি রয়েছে।
ব্যর্থকাম চিমনির গ্লানি রোজ আকাশের রাঙা গালে কালিমা লেপন
সেখানে করেনা; তুমি শিখেছ কেমন ভাবে কথা বলে বিবাহিতা নদী।
এত জল নিয়ে ও সে অতি অকপটে চায় কার্তিকের কিছুটা শিশির
তুমি সেইখানে থাক নদীর ভিতরে, তীরে কাশবনে হাত বোলাতেই
দেখা গেল তুমি এক বিরাট পুরুষ আহা হাজার মাইল লম্বা, তবে
তোমাকে তো এখানেই থেকে যেতে হবে এই গ্রমাঞ্চলে মরন অবধি।
তোমার অভিজ্ঞ ছন্দ,হৃদয়ের রস যারা মুখোমুখি ব'সে পায় তারা
তোমার কবিতা বোঝে শুধু তারা----এইসব নভোচারী ধবল বলাকা।
এদের রটনা শুনে শালিকেরা দায় প'ড়ে মনে নেয় তুমি এক কবি।
কে না জানে পৃথিবীকে খুব বেশী দূর থেকে অন্য গ্রহ থেকে দেখলেই
একটি নক্ষত্র ব'লে মনে হয়, এই সত্য চিরদিন মনে ক'রে রেখে
কী যেন করেছ তুমি--এই বলে শালিকেরা আরো দূরে স'রে যেতে যেতে!
মন্তব্য
সবিনয় রবীন্দ্রনাথ।
আগেও পড়েছি। আজ এই দিনে পড়ে বেশি ভালো লাগলো।
মন্তব্যের ঘরে তাইলে আমিও একটা দিয়ে যাই... জীবনানন্দের রবীন্দ্রনাথ
তারপর তুমি এলে
এ পৃথিবী সলের মতন তোমার প্রতীক্ষা করে বসেছিল
সলের মতন দীর্ণ ক্ষুব্ধ এই দানব পৃথিবী
শক্তিমান রাজার মতন রূঢ় রূপবান রক্তাক্ত নক্ষত্র এই আমাদের
ঝলমল আলম্বিত চোপা পরে প্রবল উষ্ণীষ শিরে রেখে দিয়ে
কঠিন অসির 'পরে ভর ক'রে
অসীমের অনাবৃত হলঘরে ক্ষণিকের দম্ভ ভুলে ক্যাম্পের নিষ্ঠুর ধাতব বাদ্য
ইশারায় স্তব্ধ ক'রে দিয়ে
চোখ বুজে অধোমুখে
এ পৃথিবী মুহূর্তের কাজ তার ভুলে গিয়েছিল
মুহূর্তের চিন্তা এসে কখন হঠাৎ তারে সচকিত শীত করে দিয়ে
চ'লে গিয়েছিল ব'লে
মুহূর্তের স্বপ্ন এসে লক্ষ-কোটটি বছরের সম্পন্ন কাজের সমৃদ্ধির শিরস্ত্রাণ
নিজের পায়ের তলে রেখে দেয় ব'লে
আমাদের এ পৃথিবী নিজেরে ব্যথিত বোধ করেছিল
পরাহত-পাণ্ডু-ক্ষুব্ধ;
অবসাদে হিম নীল জর্জরিত হয়েছিল,
হয়েছিল না কি?
তুমি এলে।
(ভাবছিলাম পুরোটা দিবো। কিন্তু কবিতাটা একটু বড়। তাই প্রথমাংশই দিলাম)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন