কে কোথায় নিভে গেছে তার গুপ্ত কাহিনী জানি।
নিজের অন্তর দেখি, কবিতার কোন পঙতি আর
মনে নেই গোধূলিতে; ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই।
অথবা গৃহের থেকে ভুলে বহির্গত কোনো শিশু
হারিয়ে গেছে পথে, জানেনা সে নিজের ঠিকানা
[সন্তপ্ত কুসুম ফোটেঃ বিনয় মজুমদার]
(উৎসর্গঃ- প্রিয় শিমুল, আনোয়ার সাদাত শিমুল'কে- যে একদিন বড় হয়ে, আরো বড় গল্পকার হবে)
২.
বাচ্চাদের স্কুলের সকালের শিফট শেষ হবার আগে আগে রাস্তার উল্টোপাশে এসে দাঁড়ায় হাসান।
পাড়ার ময়লা নিয়ে যাচ্ছে একটা ভ্যান। ভ্যানের পেছন থেকে ময়লা গড়িয়ে পড়ছে রাস্তায়। মাইকে প্রবল চিৎকার। মানুষের অহেতুক ছুটোছুটি। স্কুলের গেটে এসে ভীড় করছে অভিভাবকরা। হাসানের কোন তাড়া নেই। অফিস ছুটি সপ্তাহখানেকের। কোথাও তেমন যাওয়ার নেই।
বাচ্চারা সব বের হয়ে আসার পর একজন দুজন করে মিস্ট্রেস ও বের হতে থাকে। একেবারে পেছনে চৈতী। হাসান রাস্তা পেরোয়। চৈতী হাত নাড়ে। কলাপাতা রংয়ের জামা, চুল বেনী করা- ওকে বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনী বলে ভ্রম হয়।
চোখমুখে রোদ ঝলমল আলো ফুটিয়ে ও এসে হাসানের বাহু স্পর্শ করে।-‘ চলো আইসক্রীম খাবো’
কিছুটা দূর হেঁটে ওরা আইস ক্রীম পার্লারে ঢুকে। ফালুদার গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে চৈতী বলে- তোমার তো ছুটি, চলো কাল কোথাও বেড়াতে যাই সারাদিনের জন্য। আমি ছুটি নিতে পারবো।
আইস ক্রীম পার্লারের ঠান্ডায় হাসানের ঘুম পায়। থুতনীতে হাত ঠেকিয়ে বলে-কোথায় বেড়াতে যাবে? এই শহরে নিঃশ্বাস নেয়ার মতো কোন জায়গা খুঁজে পাইনা আমি
চৈতী জানায় শহরের ঠিক অদূরেই নাকি একটা বিনোদন পার্ক হয়েছে। পার্কের ভেতরে পাহাড় আছে। পাহাড়ের নির্জনতায় ছোট ছোট কুটির। চাইলে সারাদিনের জন্য ভাড়া নেয়া যায়। শহরের সব প্রেমিক প্রেমিকেরা নাকি পয়সা খরচ করে প্রেম করতে ভীড় করছে ঐসব ভাড়াটে কুটিরে।
হাসান হাসে- যাওয়া যায়, পুরো দিনের জন্য আমরা ও একটা কুটির ভাড়া নিতে পারি।তবে কাল না। অন্য দিন।
-কাল নয় কেন?
- কাল বিকেলে অথৈর ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট আছে।
-ওহ!
তারপর ক’মুহুর্তে শীতাতপ যন্ত্রের একটানা আওয়াজ ছাড়া আর কোন শব্দ থাকেনা।হাসান টেবিলে আঁকিবুকি কাটে। চৈতীই ফের কথা বলে
-কি অবস্থা মেয়েটার?
-ভালো না। ডাক্তাররা কিছুই ধরতে পারছেনা। ডায়াগোনোসিস চলছে একটার পর একটা।কিন্তু
-ওর বাবা একটা অমানুষ
-ওঁহু। সবই পরিস্থিতি।
-একমাত্র মেয়ের এই অবস্থায় সে বিদেশে পড়ে থাকতে পারলো?
-সে বিদেশে আছে বলেই অন্ততঃ মেয়েটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা যাচ্ছে
-বাচ্চাটাকে ওর বাবা চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারেনা?
-নাহ। ও নিজেই এখনো বৈধ হতে পারেনি।
-ও তোমার খুব ভালো বন্ধু ছিলো, তাইনা?
হাসান কথা বলেনা। বিরক্ত হয়। চৈতীকে আগে ও বলেছে, তবু কি এক অদ্ভূত কারনে এই প্রশ্ন সে বার বার করে। অথৈ’র বাবা ফয়সাল কখনোই ওর বন্ধু ছিলোনা। সহকর্মী মাত্র। হাসান যখন অফিসে জয়েন করে ফয়সাল তখন মাত্র ক’দিন হয় বিয়ে করেছে প্রেম করে। দু পরিবারেরই অসম্মতিতে।সে দুপুরের লাঞ্চ নিয়ে আসতো বাসা থেকে। হাসানকে জোর করে খাওয়াতো। একদিনের জন্য ও সে হাসানকে বাইরে লাঞ্চ করতে দেয়নি। বাসায় নিয়ে গেছে। ওর বৌ নীলার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, নীলার তখন বাচ্চা হবে। বাচ্চা হবার সময় প্রচুর রক্তপাত হলো, কাকতালীয় ভাবে রক্তের গ্রুপ মিলে গেলো হাসানের সাথে। হাসান রক্ত দিলো। বছর খানেক পর অফিসের এক প্রোগ্রামে আমেরিকা গিয়ে যখন ফয়সাল আর ফিরলোনা নীলা তখন হাসানকেই জানালো এটা তাদের পুর্ব পরিকল্পিত, আর্থিক দৈন্যদশা মেটানোর নাকি আর কোন পথ ছিলোনা।
আরো ক’দিন পর যখন অথৈ মেয়েটা অসুস্থ হলো- নীলা হাসানকেই জানালো, , আমেরিকা থেকে ফয়সাল ফোন করে অনুরোধ করলো ওর মেয়েটাকে নিজের মেয়ের মতো করে দেখতে, ওদেরকে দেখার আর কেউ নেই।
বন্ধন ভাল্লাগেনা, তবু জড়ায়-হাসান তবু জড়াতে থাকে নানা বন্ধন ও বিমুগ্ধতায়।
চৈতী হাসানের চুলে হাত ছোঁয়ায়। বলে- ‘আমার কিন্তু ভালো লাগে, এই যে একটা বাচ্চার জন্য তোমার এতো কেয়ার।তুমি খুব ভালো বাবা হবে, আমার চিন্তা নেই’
হাসান হাসে-‘ কি জানি, আমার বরং লালন ফকিরকেই ভালো লাগে।বলেছিলেন- জন্ম দিওনা, জন্ম দিলে আত্না খন্ডিত হয়ে যায়।‘
-'হয়েছে। তুমি লালন না। তুমি হলে হাসান। আমার হাসান'
প্রায় নির্জন আইসক্রীম পার্লারে চৈতী আরো ঘন হয়ে আসে, ঘন হয়ে আসে ওর চুলের ঘ্রান।
হাতের আঙ্গুল নিয়ে আনমনে খেলতে খেলতে ও বলে- যাবে এখন আমার সাথে? মেয়েটাকে দেখে আসি। ওর মা একেবারে একা।
চৈতীর হাত ফিরে যায়।
যেতে যেতে বলে - 'আজ আমার কাজ আছে।অন্য কোন দিন যাবো। আজ তুমি একাই যাও'
তারপর আর তেমন কথা এগোয়না। সমস্ত সুঘ্রান নিয়ে মেয়েটা চলে যাওয়ার পর ‘একা’ শব্দটা বড় ভারী ও তপ্ত হয়ে উঠে হাসানের জন্য।হিমহিম আইস ক্রীম পার্লারে ফিরে আসে সকালের হাসফাস, অসুখের ঘ্রান।
ক’বছর আগে কলেজের বন্ধু এন্টনীর সাথে ও বেড়াতে গিয়েছিলো খাসিয়া পল্লীতে। এন্টনীর দাদী থুত্থুড়ে বুড়ি নাকি হাত দেখে ভবিষ্যত বলে। কৌতুহলে সে ও বসেছিল বুড়ির পাশে। হাত ধরে রেখে দীর্ঘক্ষন, ফিসফিসিয়ে বুড়ি বলেছিল-‘ তোর তো শরীর ভরা অসুখ রে ব্যাটা!’
শরীর ভরা অসুখ নিয়ে গ্লাসডোরে ঠেলে বেরিয়ে আসে হাসান।
৩.
বাইরে প্রবল রোদ। থকথকে মানুষের দল। দলবদ্ধ জটলা। অথৈদের বাসায় যাবার জন্য রিক্সা, টেক্সী কিচ্ছু নেই।অলংঘনীয় জ়্যামে আটকে আছে গোটা শহর। জ্যামে আটকে আর্তনাদ করছে একটা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী। একটানা হর্ণ বাজাচ্ছে। একচুল নড়ছেনা কেউ। হাসান রাস্তায় নেমে এসে হাঁটতে থাকে।
ফুটপাত বলে কিছু নাই। মানুষের শরীরের উপর দিয়ে গড়িয়ে হাঁটছে মানুষ। ছুটছে আরেকদল। আরেকদিক থেকে হর্ণ বাজাতে বাজাতে চলে গেলো পুলিশের গাড়ী। কেউ একজন চিৎকার করে বললো-শহরের প্রধান বিপণীতে আগুন লেগেছে। বেশ উঁচুতে আগুনের শিখা। অনে দূর থেকে তার হল্কা এসে ধাক্কা দিলো।
হাসানের শরীর জ্বলছে। কাল ফেরার আগে পিঠে নখের আঁচড় বসিয়ে দিয়েছিলো নীলা।সারা রাত জ্বলেছে, এখন জ্বলছে আবার ।
শহর জ্বলছে। শরীর ভর্তি আগুন নিয়ে হাসান দৌড়ায় এবার।
দৌড়ের ভেতর অসুখের ঘ্রান পায় হাসান অথবা অসুখের ঘ্রান নিয়েই দৌড়ায়। দৌড়ায় অথচ চোখ খুলতে পারেনা, চোখ খুলে তাকাতে পারেনা। যেনো চোখের ভেতরে মুঠো মুঠো বালি ঠেসে দেয়া। কড়কড়ে অস্বস্তি।
মন্তব্য
অদ্ভুত সুন্দরভাবে শুরু হওয়া একটা গল্পের আচমকা সমাপ্তি ভালো লাগল না মোরশেদ ভাই। শেষটা অন্যভাবে করা যায় কী?
উঁহু যায়না। আমি লেখক এবং পাঠক দুজনেরই স্বেচ্ছাচারিতায় বিশ্বাসী :)।
লেখক তার যেমনে ভালো লাগবে লিখুক। পাঠক যেমনে খুশী পাঠোদ্ধার করুক। কোন পাঠকের কোন অংশ ভালো না লাগলে সে লেখককে গালি দিক, আফসোস করুক- ব্যাটা এইরকম লিখলোনা কেনো? সে ও লেখক হয়ে উঠুক।
লেখার বিনির্মান হোক পাঠক সংযোগে।
আচ্ছা শেষটা কি রকম হলে আপনার ভালো লাগতো? আপনার আইডিয়াটা শেয়ার করবেন?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আইলা! কনকি! গালি দিব ক্যান?
আপনার লেখায় নিস্পৃহ একটা ভাব খুঁজে পাই আমি, যে ধাঁচটা আমার বেশ প্রিয়। গল্পটা পড়তে পড়তে শমন শেকলের কথাও মনে পড়ে গ্যালো। দু'টো মিলিয়েই লেখাটা ডিটেইল্ড, আর সাথে অ্যাবস্ট্রাক্ট অংশটা আরেকটু সাবজেক্টিভ হবে, এটুকুই আশা করেছিলাম।
অ্যাবস্ট্রাক্ট যেকোনো লেখাতেই আমি খাবি খাই, পাঠক হিসাবে এটা আমার সীমাবদ্ধতা। আর তাই শেষটুকু পরিবর্তনের কথাটা তুল্লাম।
প্রশংসা করতে পারলে গালি দিতে পারবোনা ক্যালা
শাহেনশাহ'র সাব্জেক্টিভ মন্তব্য ভাল্লাগলো। পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনার খুব বেশি গল্প আমার পড়া হয়নি। সময় করে উঠতে পারি না, যদিও ইচ্ছে প্রবল। সেই কবে "কবি ও তার প্রেমিকাগণ" পড়েছিলাম। আজ এটা পড়লাম।
মানবিক সম্পর্ক এত জটিল, কুটিল হয়ে উঠে আসে আপনার লেখায়, আমি রীতিমত মুগ্ধ হই। সব বুঝে উঠেও বুঝে-না-ওঠার ভান করি মনে মনে। এই লেখাটাও তেমনি। খুবই ভালো লাগলো!
কৃতজ্ঞতা, পড়লেন এবং প্রতিক্রিয়া জানালেন বলে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কয়েকটা প্রশ্ন মনে উঁকি দিলো। হয়তো ঠিকমতো পড়া হয়নি (অফিসে তো), সেজন্যও হতে পারে।
প্রথমত: ফয়সল বিদেশে গেল সেটা নাহয় পূর্ব পরিকল্পিত, কিন্তু বিদেশে গিয়ে সে দেশে আর ফিরলনা সেটা কী? সেকি তবে বিদেশে গিয়ে বদলে গেল? তেমনটাই মনে হলো।
দ্বিতীয়ত: শেষে এসে পড়লাম নীলার আঁচড় পড়েছে হাসানের পিঠে। হঠাৎ করেই গল্পের মধ্যে আরেক গল্প চলে এলো মনে হয়। ভেতরের ঘটনাটা তাহরে আন্দাজ করে নিতে হবে?
একদম শেষ প্যারা পড়ে মনে হলো গল্পে যা বলা হলো সবই হাসানের কল্পনা বা স্বপ্ন। তার ঘুম তখনো ভাঙেনি। তাই কি?
অনেকগুলো প্রশ্ন করে বসলাম
এখন উত্তর না দিলেও হবে। সবাই পড়ুক আগে। পরে নাহয় উত্তর দিয়েন।
ঠিকাছে। পরেই উত্তর দেই। তবে একটা হিন্টস। বৌ-বাচ্চা ফেলে অনেকেই কি বাধ্য হয়ে প্রবাসী হয়না? বাচ্চার অসুস্থতায় সকলের কি ফেরার স্বাধীনতা থাকে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গল্প ভালো লাগলো। সমাপ্তি খুব আচমকা মনে হয়নি। এটাই ঠিক আছে মনে হয়। পাঠককে একটু ভাবনা চিন্তার অবকাশ দেয়া। কিংবা আরেকটু লিখলে হয়তো এই গল্পটাই অন্যরকম লাগতো।
এটাও ভালো।
সহমত। একই গল্প একেকে আঙ্গিকে একেক রকম মনে হতেই পারে।
ধন্যবাদ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দূর্দান্ত...
তয় একটা ফাইজলামি প্রশ্ন... নায়কের নাম হাসান ক্যান
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কৃতজ্ঞতা( সময় করে সমালোচনা করেন)
প্রশ্নের উত্তর হলো- এটা হাসানের গল্প, তাই নায়কের নাম হাসান( ট্যাগ দেখেন)। এখন এই হাসান, গল্পকার হাসান মোরশেদ না হবারই সম্ভাবনা প্রবল( আবার হতে ও পারে, কে জানে )। আসলে 'হাসানের গল্প' এই ট্যাগিং এ আমি আরো কিছু গল্প লিখেছিলাম। হয়তো পরে ও লিখবো আরো
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দারুণ গল্প!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সবিনয় কৃতজ্ঞতা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
চমত্কার গল্প!
ধন্যবাদ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপাতত কই , দুর্দান্ত !
একটা জিনিস কইতে নিছিলাম, তয় ওইটা একটু গুছায়া বলতে হবে। নাইলে ভজঘট পাকায়া যাইতে পারে
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
অপেক্ষায় থাকলাম
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গল্পটা ছিমছাম, গোছানো হয়েছে। সেদিন এক নেটবন্ধুনি বলছিলেন আমার কী একটা লেখা সম্পর্কে, ঢাকার গরমে আইসক্রীমের মতো, মুখে দিতে না দিতে শেষ হয়ে যায়। আমি সেই মন্তব্যটাই করতে চাই এই গল্প সম্পর্কে।
তবে পাঠক হিসেবে কড়া অভিযোগ রুজু করতে চাই। দুই প্যারার মাঝে স্পেস দেখতে চাই। দেতে হবে দেতে হবে।
আছে তো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গল্পটা পড়ে মুগ্ধতা বেড়ে গেলো হাসান মোরশেদ। তবে নজরুল ইসলামের সাথে একমত "নায়কের নাম হাসান ক্যান?"
বালক
কেন রে ভাই? 'হাসান' নামটা কি এতোই পঁচা ?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বাক্যে কি ইদানীং একটু পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে ? হুট করে মনে হলো , প্রমান করতে পারব না যদিও।
সচেতন কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা তো নাই। সময় করে বলিস- কি পরিবর্তন মনে হলো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গল্পের শেষে নীলার আচড় থাকবে এটা আমি শুরুতেই টের পেলাম। কেনু?
এইটাকি হাসানের লেখার লগে আমার বেশি বেশি পরিচয় বলে? নাকি সে এই গল্প আগেও করেছে অন্য মোড়কে?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সুমনের(সুপান্থ) সাথে কথা হচ্ছিলো এ নিয়ে অনেক কথার পর আমরা সম্মত হলাম- প্রথম থেকে আসলে আমরা( আমরা মানে আমি,তুমি,সে) সেই একই গল্পই লিখে যাচ্ছি- নানা চরিত্র, নানা বাক্য, নানা ভঙ্গিমায়।
কেনো এটা হচ্ছে? হয়তো আমাদের মনোটনাস জীবনযাপনের জন্য। আমরা কেউই তেমন আলাদা অভিজ্ঞানের মধ্যে নেই। ঘুরে ফিরে সেই একই। তাহলে হঠাৎ আলাদা গল্প আসবে কোত্থেকে।
তাহলে কি হবে? এরকম একঘেঁয়ে গল্পই লিখে যাবো আমরা? হতে পারে- একই গল্প আমরা আর লিখবোনা বলে ঠিক করলাম অথবা জেদ করলাম- আমার যেমন ভাল্লাগে আমি লিখে যাবো শেষ পর্যন্ত!
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসানের গল্পের হাসান আমার অনেক দিনের চেনা, অনেক প্রিয়। এই হাসান এবং তার অনুভূতিগুলো প্রবল ঈর্ষাযোগ্য। আর প্রতীতি, চৈতি কিংবা অন্যান্যরা? এদের আমি তেমন করে খুঁজে বেড়াই, যেমন করে চেয়েছিলাম সুনীলের নীরা কিংবা আবুল হাসানের স্বাতীকে।
কোনোদিন ভাবিনি - হাসানের গল্পের স্রষ্টা মোরশেদ ভাই কখনো এমন করে একটি গল্প তুলে দেবেন আমার হাতে। তাই, সকাল থেকে এ গল্পের ভূমিকা পড়ার পর একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে নিজের মধ্যে। এমন স্বস্নেহ আশীর্বাদ তুলে নিলাম কৃতজ্ঞতায়, ধন্যবাদে...।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনার লেখার ভংগী আমার সবসময়েই ভালো লাগে, সেকথা বলেছিও আগে। এই লেখাটিও তার ব্যতিক্রম নয়।
কিন্তু এই লেখাটিকে আমার কাছে ছোটগল্পের চেয়ে বরং একটি উপন্যাসের প্রথম অধ্যায় বলে মনে হয়েছে। অনেক কিছু বলা হয়েছে কিন্তু তার পর? যেহেতু এটি একটি গল্প, তাহলে গল্পটা কি? হাসান যে নীলা এবং বাচ্চাকে কেয়ার করে তাই? নাকি চৈতী তাতে মনক্ষুন্ন, সেটি? নাকি হাসানের শরীরে অনেক রোগ বাসা বেঁধেছে, সেটা? গল্পের শেষে হাসান শরীরে রোগের ঘ্রাণ নিতে নিতে দৌড়ুচ্ছে। কেন? কোথায় যাচ্ছে সে? নীলাদের বাড়িতে? নাকি অন্য কোথাও?
পাঠক হিসেবে আমি খানিকটা হতভম্ব হয়ে বসে থাকি। আরো কত কি জানবার ছিল যার কোনটাই মেলে না। হোয়াট ইজ দ্য টেক হোম মেসেজ? গল্পটির একটা শেষ তো থাকবে, সেটা যত অস্পষ্টই হোক না কেন। আমার কথাগুলো খুব সেকেলে শোনাচ্ছে কিনা জানিনা।
তবে আপনার লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ি বলেই এই কথাগুলো লিখলাম।
আশাকরি তাতে আপনি অসন্তুষ্ট হবেন না। ভালো থাকুন।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
জাহিদ ভাই,
অসন্তুষ্ট হবার প্রশ্নই উঠেনা বরং অনেক কৃতজ্ঞ মনোযোগ দিয়ে পাঠ করেন জেনে। কৃতজ্ঞতা- এই প্রশ্নগুলো তুললেন বলে। আমি আমার অবজার্ভেশন শেয়ার করতে পারিঃ-
মানুষের জীবনযাপনের গল্প কি আসলে একরৈখিক? একটি গল্পের ভেতরে আরেকটি গল্প, সেই গল্পের ভেতরে আরো উপগল্প, তার চারপাশে অনেকগুলো সহগল্প- পরস্পর আঁকড়ে থাকে, তাইনা? আপনি যতোটা পয়েন্ট বলেছেন- তার প্রতিটিই এক একটি গল্প। এমনকি হাসানের পিঠে নীলার নখের আঁচড়- সে ও তো গল্প আরেক। এই আঁচড় কি সম্মতিতে? নাকি প্রতিরোধে? সম্মতিতে হলে গল্প হতে পারে একরকম- প্রতিরোধে হলে গল্প আরেকরকম। অথচ গল্পকার কিছুই বলে দিচ্ছেনা কেবল ইংগিতটুকু ছাড়া। ইংগিতটুকু ও স্পষ্ট নয়- এটা ও হতে পারে, ওটা ও হতে পারে।
পাঠক হিসেবে হয়তো আপনি প্রত্যাশা করেছেন- গল্পের একটা শেষ তো থাকবে! হোয়াট ইজ দ্য টেক হোম মেসেজ?
অথচ নেই। আসলেই নেই। কেমন একঘেঁয়ে, মনোটোনাস- তাইনা? গল্পের নির্মান দেখেন। শুরু হয়েছে যে বাক্যগুলো দিয়ে শেষে আবারো প্রায় সেই বাক্যগুলোই- কোন পথ নেই, একটা বৃত্তের মতো ঘুরপাক কেবল।
আপনি বলছেন- গল্প পড়ে পাঠক হিসেবে আপনি খানিকটা হতভম্ব হয়ে বসে থাকেন। হয়তো আরেক পাঠক বিরক্ত হন, খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়ালো গল্পে?
গোপনে বলি- সামান্য এই গল্প থেকে আরো সামান্য এই লেখকের প্রাপ্তি হয়তো এটাই, পাঠককে একটা পরিনতিহীন মনোটনাস ঘুরপাকে ঠেলে দিয়ে নিরাপদ সরে যাওয়া
জানিনা আসলে, আমি ঠিক নিশ্চিত না। অন্য কিছু ও হতে পারে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মহৎ আর্টের আবেদন সীমাবদ্ধ হতে বাধ্য- সে কথা মানি । মানি , পৃথিবীতে সব মানুষের, কি পাঠকের ইন্দ্রিয় সমান তীক্ষ্ণ হতে পারে না । আবার এ ও মানছি, সর্বজনরঞ্জনের বিদ্যায় পারদর্শীতা লাভের চেষ্টা করতে হয় কেবল খবরের কাগজের রিপোর্টার আর কমার্শিয়াল্ আর্টিষ্টদের। অধুনা আমদের `সাহিত্যিক`রা যেমন করে যাচ্ছেন ! ________ আমার নয় কথাগুলো । আবার আমারও । নোবেল পুরষ্কার গ্রহণকালে আবেগ-স্পন্দিত ছোট্ট এক বক্তৃতায় কথাগুলো বলছিলেন উইলিয়াম ফক্নার । কবে জানি সেটা পড়ে, মাথায় ঢুকে গিয়েছিলো । নিজের লেখালেখিতে, ফক্নারের এই কথাগুলো `দণ্ড` হয়ে ঝুলে আছে মাথার উপর !!!
কিন্তু আবার এ ও ভেবেছি, নিছক আত্মকেন্দ্রিকতাকেই কি আর্টের শেষ পরিনতি বলে ভাববো ? তোর এই গল্পটা পড়ে যেমন মনে হলো, মোরশেদ।
এই গল্পে তোর ভাষা-ভঙ্গি বদলেছে কিছুটা ( আরিফ যেটা বললো ),মনে হয়েছে তোর নয়, অন্য কারো লেখা পড়ছি । ভালো লাগলো সেটা । কিন্তু বিষয়, নির্মাণের কৌশল,বুনন কেন একই থাকলো ? অভিযোগ নয় । প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি বলতে পারিস । গল্প/কথাসাহিত্য মাত্রই শ্লোগান নয় , সমাজ বদলের হাতিয়ার নয়- ঠিক আছে; কিন্তু গল্পটা কী নিয়ে এই বিভ্রম যদি তৈরী হয়ে যায়, তখন আমার মতো নাবালক পাঠকের সঙ্গে সাবালক লেখককেও যে দায় নিতে হয় কিছুটা !
এত দ্রুত সব কিছু শেষ করে আনা_____এর জন্য, দীর্ঘদিন ছোট ছোট ফিচার লেখা, নাকি ব্লগোপযোগী লেখা নামানোর তাগদা; কোনটা বেশী দায়ী ? তুই ভালো বলতে পারবি । আজ সন্ধ্যায় তোর সঙ্গে কথা বলে যেমন মনে পড়লো, একদিন আমরা `ষাট` কে উলটে দিয়ে নতুন গল্পভাষা খোঁজে নেবো ভাবছিলাম !
আহা, প্রতারণা নিজের সঙ্গে !
তোর এইসব ভালো জানবার কথা । বুঝে নেবার ও ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
মনোটোনাস রিপিটেশন!
কথা হচ্ছিলো এ নিয়ে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল! গল্পের বাইরে আসতে মন চাইছিলো না!
........................................
......সবটুকু বুঝতে কে চায়!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
বের হয়ে না আসলে কবিতা লিখবে কে?
ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
"শেষ হয়ে হইলো না শেষ"
মনে হলো গল্পটা কেবল শুরু হলো, লেখক তার অদ্ভুত মুনশিয়ানায় গল্পের সুতোটা তুলে দিলেন পাঠকের হাতে, এখন এক সুতো শত শত হাজার হাজার হয়ে গেল, যে যার নিজের মতন করে গল্পটা এখন এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আমি যেমন নিয়ে যাবো নীলার চোখের অথৈ শ্রাবণের ভিতর দিয়ে আস্তে আস্তে আশ্বিনের সোনারোদের দিকে, আমার বন্ধু রুমন হয়তো নিয়ে যাবে হাসানের ভাসনডুবনের মধ্য দিয়ে, আরেক বন্ধু সন্দীপা হয়তো নিয়ে যাবে চৈতীর চোখ দিয়ে, আরেকজন হয়তো নিয়ে যাবে ফয়সালের চোখ দিয়ে, আরেকজন হয়তো সেই ভবিষ্যত দেখা বুড়ীর চোখ দিয়ে। এইভাবেই গল্পটা চলতে থাকবে, চলতে থাকবে, কখনো ফুরাবে না। চলতে চলতে হয়তো নামগুলো বদলে যাবে, রুহান, ডোয়ানা অ্যান্ড্রু, কবিতা, সুলিভান, শামসু, আজিম, অদ্রিকা রা দেখা দেবে, আসবে যাবে নতুন নতুন সব মুখ, জীবনের মতন।
লেখক, আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ এমন এক অফুরাণ গল্প দেবার জন্য।
আরো অনেক লিখুন, ভর্তি ভর্তি লিখুন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আরো অনেক লিখতে চাই, ভর্তি ভর্তি লিখতে চাই(আসলেই চাই কি?)- পারি না।
ধন্যবাদ তুলিরেখা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মোরশেদ ভাই, এটাকে টেনে আরেকটা উপন্যাস বানান। জাহিদ ভাই যেমনটা বলেছেন। আর ওই উত্তরে আপনি যা বলেছেন তা আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। অতএব এরকম বোঝার ভুল ভাঙাতেই আপনাকে এটা নিয়ে বড় কিছু লিখতে প্রণোদনা দিচ্ছি।
যত ভুল, ততো ফুল . প্রণোদনার জন্য ধন্যবাদ হে প্রকৃতিপ্রেমিক ভ্রাতঃ
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সুন্দর একটি গল্পের জন্য ধন্যবাদ।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
পাঠের জন ধন্যবাদ যূথচারী।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসান মোরশেদ ভাইয়ের লেখা আগে পড়া হয়নি বললেই চলে, বুঝতে পারছি খুব ভুল হয়ে গেছে। সচলে আমি অন্ততঃ সকলের গল্পগুলো মন দিয়ে পড়বার চেষ্টা করি। প্রত্যেকের ধারাই আলাদা। বেশ বুঝতে পারছি, আপনার লেখনীও বেশ স্বতন্ত্র।
গল্পের প্লট/বর্ণনা নিয়ে আমি আপনার সাথে একমত, আপনি স্বেচ্ছাচারী হতেই পারেন। তবে আপনার ভাষাটা ঠিক প্রচলিত গল্পের মত ঠেকলো না। ... চমৎকার একটা গল্পের জন্যে ধন্যবাদ।
... এবং শিমুল ভাইকে এই মন্তব্যে একটু অভিনন্দন দেই। শিমুল ভাই, আপনার গল্পের আমি একজন খুবই বড় পাঙ্খা...। কাজেই আশা রাখি ভবিষ্যতেও হতাশ করবেন না...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকে ও ধন্যবাদ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
পড়া শেষ হলেও "গল্পের ঘোর" এ বেশ কিছুক্ষণ আচ্ছন্ন থাকবে পাঠক। গল্পটা ঠিক এরকম।
জুয়েইরিযাই মউ- ধন্যবাদ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গল্পটা অদ্ভুত সুন্দর। যেমন আছে, তেমনই অনেক ভালো লাগল।
যেমন আছে, তেমনই ভালো , প্রহরীকে ধন্যবাদ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
(চলুক)
নিঃশব্দে কমেন্টই সবচে সহজ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নিঃশব্দে ধন্যবাদ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গল্পের আকার আর বক্তব্যের ভারসম্য যতটুকুর দরকার ছিল, ঠিক ততটাই দিয়েছেন।
চোখ কড়কড়ে অসুখ শুধু শরীর বা মনের হতে হবে তা তো হয়, আত্মা-বিবেকের অসুখেও চোখ কড়কড় করতে পারে, গায়ে জ্বর আসতে পারে।
---
হাসানের গল্পগুলোতে সে কথায় না হোক, কাজে একটা একটা করে সত্যকে সামনে নিয়ে আসে। এ সত্যগুলো তাকে একজন ভালো মানুষ করে নাকি একজন খারাপ মানুষ করে, তা আমি জানিনা। তবে হাসান একজন রক্তমাংশের মানুষ, তার শরীর ও কর্ম রিপুর অন্তর্গত সেটা পরিস্কার। তার আত্মায়ও যে এখনো কিছুটা বিশুদ্ধতা থেকে গেছে, সেটাও টের পাই। এই থেকে যাওয়া বিশুদ্ধতাটা তাকে পীড়া দেয়, এবং এই পীড়া থেকে এক একটা গল্পে এক এক ধরনের ভারসম্যের খেলা হয়। এই খালাগুলোই হাসানের গল্পের টান, সে বেশ জোড়ালোই বটে।
---
সমাজের নিয়মে নীলার ওপর হাসানের অধিকার নেই। চৈতিকে ভালবেসে হাসানের অন্য নারীর নখের দাগ পিঠে বয়ে বেড়ানোটাকে কোন কোন সমাজ নাও মানতে পারে। কিন্তু সমাজের সব নিয়মই কি মানতে হবে?
দুর্দান্ত-আপনার নামের মতোই এই মন্তব্য-- অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যতটুকু লিখেছেন ততটুকুই প্রয়োজনীয় বলে মনে হল, এত বোদ্ধা নই যে আপনার লেখার ধাঁচ আর আঙ্গিক নিয়ে আলোচনা করব, তবে এটুকু বলব যে পাঠক ভাববে, ভেবে নিজের প্রশ্নের জবাব নিজেই বের করবে এরকমই হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি গল্পের ব্যপারে। সবার ইন্দ্রিয় সমান প্রখর না, সবার মানসিকতাও একই রকম নয়। আমরা ব্লগাহীন ভাবে আমাদের কল্পনাটাকেই প্রসারিত করি নাহয় এই গল্পের নিজস্ব ব্যাখ্যা খুজে নিতে! বুঝাতে পারলাম কিনা জানিনা... তবে বলার আছে আসলে দুটো শব্দই, ভাল লাগল।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমি ও ছোট্ট করে বলি- ধন্যবাদ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জানাবো, এখন শুধু পড়লাম -- --
ঠিকাছে।জানার প্রতীক্ষায়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার কাছে পুরোদুস্তুর ঠিক, দুর্দান্ত এবং পারফেক্ট লাগলো! মুগ্ধ হ'লাম সরল বিস্ফারিত চোখে। ওইসব এতসব প্রশ্ন জাগেনি আমার, এটা হয়তো হ'তেও পারে আমার হাসানমোরশেদপাঠ নিতান্ত অপ্রতুল ব'লেই! সচেতন সরলরেখায় আমি কেবল নিঃশর্ত নিশ্ছিদ্র মুগ্ধতাই ব'লে গেলাম।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কি আর বলি! আমি ও কেবল ধন্যবাদটুকু বলে গেলাম।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সংশোধনী: পুরোদুস্তুর লিখে ফেলেছিলাম দেখছি! হ'তে হ'তো পুরোদস্তুর।
[বানান-প্রমাদ চোখে পড়তে পড়তে আপনি রিপ্লাই দিয়ে দিয়েছেন ব'লে ওখানে সম্পাদনা করতে পারলাম না]
ভালো থাকেন মোরশেদ ভাই, বা গল্পীয় হাসান ভাই।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ফেসবুকে এক বন্ধুর দেয়া লিংক ধরে এই গল্পটি পড়া হলো। গল্পের 'গল্প' হয়তো তেমন আলাদা কিছু নয় কিন্তু আপনার গল্প বলার ভঙ্গীটি আটপৌরে নয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে।
গল্পের নায়কের অনুভূতিগুলো পাঠকের মধ্যে ও ছড়িয়ে দেয়।
নতুন মন্তব্য করুন