।।
দূর্গা এলো না এবার ।
দূর্গা বাড়িতে শুরু হয়ে গেছে মন্ডপের কাজ। শ্যামাপদ এর বাড়িতে আলো জ্বলতে ও দেখলাম না কাল রাতে। লোড শেডিং ছিলো। দূর্গা আসেনি জানি তবু দেয়াল ঘেরা ঐ বাড়ির সামনে একটা চক্কর দিয়ে এসেছিলাম। ঘুটঘুটে অন্ধকার, ভেতরে কুকুরের চিৎকার। ওদের জোড়া কুকুর। শ্যামাপদের কুকুরগুলোকে আমার বড় ভয়।
দূর্গা তার ছোট মেয়ে। বাজারের সবচেয়ে বড় আড়ত ওদের, সবচেয়ে বড় ফার্মেসী, সবচেয়ে বড় কাপড়ের দোকান। শিলিগুড়িতে ও নাকি ওরা বাড়ি কিনেছে, ব্যবসা করেছে। হরে ফিসফিসিয়ে আমাকে শুনিয়েছে এইসব- ‘দেখিস শ্যামা শালা একদিন পাততাড়ি গুটাইয়া ঐ পাড়ে যাইবোগা’।
হরের বাবা শ্যামাপ্রসাদের আড়তে কাজ করে। আমি, হরে আর দূর্গা একসাথে স্কুলে পড়তাম। আমি এখন মফস্বলের কলেজ, দূর্গা ঢাকায় বেসরকারী মেডিকেল আর হরে কিছুইনা- দূর্গাবাড়ির পেছনের গাঙ্গের ভাঙ্গা ঘাটে বসে গাঁজা টানে।
গতবার পূজোর আগের সপ্তাহেই দূর্গা চলে এলো। ঢাকা থেকে নাইটকোচ ছেড়ে সকালবেলা এসে পৌঁছে আমাদের এই আটপৌরে মফস্বলে। আমি জানতাম দূর্গা আসবে, সকাল বেলা বাসস্টেন্ডে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। প্রথমে ওর ছোটভাই রঞ্জন, রঞ্জনের পেছনে নেমে এসেছিলো ও। সাদা জামা গায়ে, রাতের ক্লান্তি চোখে। তবু বাসের দরজা থেকে যখন লাফিয়ে নেমেছিলো , মনে হয়েছিলো যেনো এই মাত্র আমাদের পিয়াইন গাঙ্গের পানি থেকে শূন্যে উড়াল দিলো সাদা রাজহংসী । আমার ইচ্ছে হয়েছিলো তার নরোম গলায় হাত বুলাই, দূর্গার নরোম গলায়।
দূর্গা-আমার কেউ না।আমি ধর্মে মুসলমান।
।।
সপ্তাহ অধিক কাল দূর্গা আমার ফোন ধরেনা। ডাক্তারী পড়ার অনেক চাপ- আমি মফস্বলে থেকে এতো বুঝিনা। মাস তিনেক আগে শেষবার যখন এলো ও, দূর্গা বাড়ির পেছনের পিয়াইন গাঙ্গের ভাঙ্গা ঘাটে বসেছিলাম আমরা। ও বলেছিলো- ‘আমি মুসলমান হবো, তুমি আমারে বিয়া করো। ‘
শ্যামাপদের অনেক টাকা, হিন্দু হলে ও অনেক ক্ষমতা। ইলেকশনে সব পার্টিরেই চাঁদা দেয়। দুর্গা আমাকে কথা শুনায়- ‘ ডরাও কেন? তুমি না মুসলমান পোলা। এইটাতো তোমাদের দেশ।‘
আমার আব্বাজান ভূমি অফিসে দলিল লেখেন, আমি টিউশনি করি, আমার বড় আপার বিয়ে হয়নি এখনো। আমরা ভাড়া বাসায় থাকি। শ্যামাপদের দেয়াল ঘেরা দোতলা বাড়ি, শিলিগুড়ির বাড়ি নাকি পাঁচতলা।
।।
দূর্গার খবর আর কেবল জানতে পারে হরে। শ্যামাপদের বাড়ির সব খবরে ওর অনেক আগ্রহ। শ্যামাপদ কোরবানীর ঈদের আগে আগে ভারত থেকে গরু আনানোর ব্যবসা করে কাদের মোল্লার সাথে- এই খবর ও হরে জানে। কাদের মোল্লা ইলেকশনের রাতে নমশুত পাড়ায় আগুন ধরায়।
আমি দূর্গাবাড়ির দিকে সাইকেল ঘুরাই।
প্যান্ডেল বাধা হচ্ছে, নানা রংয়ের আয়োজন। বেশ রঙ্গীন সব। স্পিকারে গান বাজছে। ছেলেপেলের অনেক ব্যস্ততা। নান্টু’দা আমাকে দেখে হাত নাড়ে , আমি ও হাসি। দূর্গার মুর্তি দেখিনা। হয়তো মুর্তি দূর্গা আসবেন দু একদিন পর।
আমাদের ছোটবেলা এই দূর্গাবাড়ি পুরো টিলা জুড়ে কি ভীষন সবুজ ছিলো, অসংখ্য গাছ, পাখীদের কিচিরমিচির-পেছনে পিয়াইন গাঙ্গ। পাহাড় থেকে নেমে আসা গাঙ্গ বছরের এই সময়ে কেমন জলবতী হয়ে থাকতো। স্কুল থেকে কতোদিন আমি, হরে আর দূর্গা এসে বসেছি ভাঙ্গা ঘাটে। পরে হরে’টা খসে পড়লে কেবল আমি আর সে। আমরা তখন বড় হয়ে উঠেছি।
এখন পুরো টিলাটা বস্তির মতো। কমিটির লোকেরা বিক্রী করে দিয়েছে মন্দিরের আশে পাশের জায়গা। গাছ নেই, কেবল ভাঙ্গা সিঁড়িটা আছে। গাঙ্গে পানি আসেনা আগের মতো।
টিলা ঘুরে সিঁড়ির দিকে নামতে নামতে হরে’ কে দেখি। গাঙ্গের দিকে মুখ করে বসে আছে। আমি গিয়ে পাশে বসি। ওর হাতে পাতার বিড়ি। চোখ টকটকের লাল। বুঝি বিড়ির ভিতর গাঁজায় ঠাসা।
ধোঁয়া ফুসফুসের ভেতর টেনে নিয়ে যেতে যেতে হরে বলে- ‘তোর দুগগার তো বিয়ে হয়ে গেলো রে!’
কথা বলিনা। হরে বিড়ি এগিয়ে দেয়। আমি টান দিতে দিতে বলি- কার লগে?
-শিবঠাকুরের লগে। শিবঠাকুরটা মুসলমান
-ও!
-তয় তোর মতো ফ্যাঁপড়া মুসলমান না। দুগগার লগে ডাক্তরী পড়ে, শ্যামাপদের চেয়ে ও বেশী ট্যাকা। শ্যামা হের বাল ও ছিড়তে পারবোনা ।
হরে’র লাল চোখে পানি দেখি।আমি ধাতানি দেই
-তুই কান্দোস কেন?
-ক্যান কান্দি তুই বুঝোছনা চ্যাট। দুগগারে যে আমি ভালো পাইতাম, এইটা জানতি না তুই? জাইনা ও শালা তুই দুগগার লগে প্রেম করলি? আমি কিছু কই নাই।
-হ
-তাও যদি বাল শিবঠাকুর হইতে পারতি। তুই ও আমার মতো ফকিন্নীর পোলা
-হ
হরে এরপরে খগেনের এর গল্প বলে। বাজারের সব থেকে পুরনো নাপিত খগেন। কাদের মোল্লা তার জায়গা জমি দখল নেয়ার ‘এই বালের দেশে আর থাকুম না’ বলে সে ইন্ডিয়া চলে গিয়েছিলো। খগেন ফিরে এসেছে। হরে’কে নাকি বলেছে- ফকিন্নীর পুতেগো লাইগা সবদেশই সমান, ইন্ডিয়াতে ও অনেক অনাচার, ট্যাকা পয়সা নিয়া যাইতে না পারলে অনেক 'পব্লেম' ।
বিড়ির গোড়ায় টান দিতে দিতে জিজ্ঞেস করি - তুই আমারে এই গল্প শুনাছ কেন?
হরে হাসে- এমনেই গুরু, কোন কার্য কারন নাই । দশটা ট্যাকা দে। আরো গাঞ্জা নিয়া আসি। দুই বন্ধু’য় সারাদিন গাঞ্জা টানি।
আমি টাকা দেইনা। কথা বলিনা। অনেক দূরে নীল নীল পাহাড় দেখা যায়। ঐ পাহাড় আমাদের দেশ না। আমি ঐ দেশে কোনদিন যাইনি। আমি ঐ পাহাড়ে কোনদিন যাইনি। আমার পাসপোর্ট নাই। ভিসা নাই।
-ঐ হরে তোগো মা দুগগা এইবার কিসে চড়ে আসে রে?
-নৌকা চড়ে আসবে বেটি
-নৌকা চলবে কোন গাঙ্গে ? পিয়াইন তো শুকাইয়া গ্যাছে, দেখ পানি নাই।
-পানি নাই কেন? আমগো গাঙ্গ শুকায় কেন?
-ইন্ডিয়া নাকি বাঁধ দিছে উজানে
উত্তরে’র নীল নীল পাহাড়ের দিকে প্রনামের ভঙ্গিতে হাতজোড় করতে করতে হঠাৎ করেই মুঠো পাকায় হরে। বিড়বিড় করে বলে-' কামটা তুমি ঠিক করলানা শিবঠাকুর ! '
মন্তব্য
মন খারাপ হল...।
তুচ্ছ এ লেখক ক্ষমাপ্রার্থী
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গল্পের নায়ক আর হরে হইলাম আমরা, দুর্গা হইলো বাঘ, সামনে দিয়া চইলা যায় ধরতে পারিনা, শিন্নি তো এখানেও দেয়া উচিৎ
তারপরও তারা
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
ঠিক বুড়া ভাই, ঠিক!
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দুর্গা'য় হ্রস্ব উ কার লাগে দাদা।
দুগগা দুগগা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গল্পের বুনোট ভালো লেগেছে...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
কৃতজ্ঞতা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভালো লাগলো খুব।
কৃতজ্ঞতা খুব
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
_____________________________________________
তুমি হতে পারো একটি স্বার্থক বিষাদের সংজ্ঞা। স্বার্থক নদী, স্বার্থক ক্লান্তি অথবা স্বার্থক স্বপ্ন।
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
আমার কেন জানি গল্পটা তেমন ভালো লাগল না বস। একবার মনে হল--চুপচাপ চলে যাই পড়ে।আবার মনে হল-- জানিয়ে যাই।
আপনি হিন্দু বা মুসলমান চরিত্র নিয়ে লিখলে তাদের চিত্রণ যেমন হবে বলে অনুমান হয়, এ গল্পে তেমনটিই হয়েছে শুধুমাত্র শেষ বাক্যটি ছাড়া। কিন্তু শেষ বাক্যটিও কেন যেন মনে কোন দাগ কাটে না--হয়ত কাহিনীটি আরও বিস্তার অথবা চরিত্রগুলো আরও বিকাশ দাবি করে।
ভালো থাকবেন প্রিয় লেখক।
রাজিব মোস্তাফিজ
আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছে পুরোটাই। বিশেষ করে বন্ধুর সাথে কথোপকথনটা পড়ার সময় পুরো আন্তরিকতাটাই উপভোগ করতে পারলাম।
@ রাজিব- চুপচাপ চলে গেলে মার খেতেন
এই যে আপনি পড়লেন, সময় করে মন্তব্য করলেন-ভালো লাগলোনা-কেনো ভালো লাগলোনা জানালেন, লেখা প্রকাশের প্রাপ্তি অতোটুকুই কিন্তু।
অনেক কৃতজ্ঞতা।
আরো বিস্তার, আরো বিকাশ তো হতেই পারতো
@সাফি- ধন্যবাদ পাঠের জন্য।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
চমৎকার!
দূর্গা না আসার কারণ তো 'শিবঠাকুর'-ই! 'কামটা তুমি ঠিক করলানা শিবঠাকুর ! ' নাকি 'আমি'-রও কিছুটা...
ভেতরের এই দ্বন্দ্বগুলোই শেষ পর্যন্ত গঠন করে স্বতন্ত্র মানুষ। সবকিছুর শেষে মানুষকে 'বস্তুবাদী'-ই হতে হয়। গল্পটাকে ধরে অনেক কিছুই আলোচনার আছে... ব্যর্থ এই আমি, যার তা করার সামর্থ নেই।
'আমার মতো ফকিন্নীর পোলা' তাই শেষ পর্যন্ত ইর্ষা করে আপনার, যে দৃষ্টি দিয়ে আপনি দেখেন সমাজকে... মানুষকে, তার! একটা দাগ কেটে রেখে গেল গল্পটা মনে।
'চমৎকার' একটা শব্দই, যা মাথায় আসছে।
ভাল থাকবেন!
অনুপম
কি বলবো? একজন সামান্য লেখকের জন্য এরকম মন্তব্য অনেকটুকু পাওনা।
আপনি ও ভালো থাকুন।
কৃতজ্ঞতা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
খুব ভালো হয়েছে লেখাটা
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ভালো লাগলো পড়ে। দুর্গা চরিত্র আর দুর্গাবাড়ির মা দুর্গা মাঝে মাঝে ঝামেলা পাকিয়েছে। মানে পড়তে গিয়ে আর কি।
গল্পে একটা অচেতন ভাবনা থাকে লেখকের। প্রায় প্রত্যেক ভালো গল্পেই। পাঠককে সব বুঝিয়ে কি গিলিয়ে দেয়া লেখকের কাজ না। আপনার গল্পে অচেতন ভাবটা বেশ এসেছে। অন্ততঃ পাঠক হিসেবে আমার তাই লেগেছে।
গল্প চলুক আরো।
এই টুইষ্টটা ইচ্ছেকৃত ছিলো, ইচ্ছে ছিলো আরো শক্ত টুইষ্ট। লেখনীর দুর্বলতায় ততোটা হয়নি।
আপনার আমার পাঠরুচিতে মিল আছে। পাঠক হিসেবে আমিও যে কোন লেখায় অংশীদারিত্ব চাই।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য, আপনি মনোযোগী পাঠক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার ভালো লাগার লেখক ভালো কিছু লিখলে সত্যিই ভালো লাগে। মোরশেদ ভাইকে আলাদা করে কিছু বলার নেই
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আরে মাসতুতো দাদা, অনেকদিন পর।
আছেন কেমন? ব্যস্ততা কমলো কিছু?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন