যদিও অনেকে আজ পথটিকে ভুলে গেছে,
যদিও এইতো দেখি,কন্টিকারী ফেলে ফেলে পথটিকে কেউ
পথিকের জন্য বড় দুর্গম করেছে, এবং যদিও জানি
কেউ কেউ আমাদের পথের সম্বল সব খাদ্যপাত্রগুলো
মলভান্ডরূপে আজ ব্যবহার করে; বিষ্ঠায় পতিত হবে
অচিরে তারাই; আমি করতল থেকে খুঁটে খাবো; সঙ্গ দেবে
আমাদেরই পথের কবিতা; আমাদের গোষ্ঠীর পিতাকে যারা
একদিন হত্যা করে তাঁর জন্মগ্রামটিতে মাটিচাপা দেয়-
কতটুকু জানে তারা,কত ব্যর্থ?- জেগে ছিল তার দুটি হাত,
মাটির গভীর থেকে আজো সেই হাত- পরানকথার মতো-
স্মৃতির ভেতর থেকে উচ্চারনমালা, নদীর গভীর থেকে
নৌকোর গলুই: পথিকের পদতল কাঁটায় রক্তাক্ত যদি,
সেই রক্ত শোধ হোক তার কাছে ঋণ; মানব প্রসিদ্ধ কৃষি
খুব ধীরে কাজ করছে; পাখিরা নির্ভয়; আর আমি ও পৌঁছেছি;
আমারই ভেতর-শস্য টেনে নিয়ে এলো আজ আমারই বাড়িতে।।
পূর্বপুরুষদের কারো কারো শুনেছি, তাঁকে হত্যার পর নাকি তার ছবি ও নিষিদ্ধ হয়েছিলো তাঁরই অর্জিত দেশে। তবু শোক-স্তব্দ পুরুষেরা মাটির গভীরে পুঁতে পলিথিন মুড়ে সংরক্ষন করেছিলেন তার স্মৃতি।
এই হত্যার বিচার হবেনা-এমন আইন মুড়ে দেশকেও ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল অশ্লীল অন্ধকারে দীর্ঘ একুশ বছর।
প্রতিশোধ নয়, গোপন বিচার নয়, বিশেষ আদালত নয়- প্রচলিত আইনে প্রকাশ্য আদালতে এই বিচার আবারো জানিয়ে দিলো -কোন কোন মানুষ, কোন কোন সত্য আগুন পাখীর মতো ভাস্বর হয়ে উঠে সমস্ত তমসা ফুঁড়ে।
মন্তব্য
কবিতার লাইনগুলো হক সাহেবের।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আজকে তাঁকে নিয়েই একটা লেখার জন্য খুব খুব অপেক্ষা করেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
সৈনিকদের শাস্তি হল। এবার সেনাপতিদের পালা।
হবে, হবে, সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিলের রায়ের যে আপীল শুনানী চলছে তাতে যদি এই হত্যা মামলার রায়ের মতোই নীন্ম আদালতের রায়কে বহাল রাখা হয় তবে ৭৫ পরবর্তি উটকো সামরিক শাসন উয়ালারা কে কিভাবে ১৫ আগষ্টের হত্যাকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলো তার ইতিহাস সকলের সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে। এবং সেই সাথে জামাতী কুলাংগারদের নোংরা নেংটিও খসে পড়বে।
-----------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
বিচারের সাজা কার্যকর হোক অনতিবিলম্বে
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শাস্তি কার্যকর হোক তাড়াতাড়ি, সেই সাথে পালের গোদাদেরও শাস্তি চাই মরণোত্তর হলেও।
সমস্ত ঘৃণা তাদের জন্য যারা সেই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার আইন করে রুদ্ধ করে রেখেছিল। সমস্ত ঘৃণা সেই নরঘাতক মোশতাকের জন্য।
সমস্ত ঘৃণা তার জন্য যিনি সেই কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদে আইনে পরিণত করেছে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের জন্য।
সমস্ত ঘৃণা তাদের জন্য যারা সেই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার আইন করে রুদ্ধ করে রেখেছিল। সমস্ত ঘৃণা সেই নরঘাতক মোশতাকের জন্য।
সমস্ত ঘৃণা তার জন্য যিনি সেই কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদে আইনে পরিণত করেছে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের জন্য।
রুবেল শাহ
যাক সচলায়তনের পাঠক-লেখকেরা একেবারে শূন্যতায় বসবাস করেন না। জীবন-বাস্তবতাও এখানে প্রতিফলিত হয়।
হাসান মোরশেদকে কৃতজ্ঞতা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এখানে আইনের লোক আছেন কেউ? কেউ কি বলতে পারেন এখন আবার কী এক আপিলের কথা বলা হচ্ছে তাতে কি আবার একটা লেজিসলেচার পিরিয়ড পার করে দেওয়া যেতে পারে?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সুমন ভাই, প্রথম আলোতে প্রকাশিত ব্যারিস্টার আনিসুল হকের সাক্ষাত্কারটা পড়ে দেখতে পারেন---
http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2009-11-19
না, সুমনদা ওটা পারবেনা। এই আপীলকে দ্বিতীয়বার বিবেচনা করার জন্য তারা আবেদন করতে পারবে এবং এই বিষয়ের নিষ্পত্তি সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে হবে। আসামীরা যদি এই আবেদন করে তবে ঐ নিষ্পত্তি শেষে বা যদি আবেদন না করে তবে বর্তমান রায়ের কপি জেল কর্ত্রিপক্ষ (এবং আসামী পক্ষ) হাতে পাওয়ার দিন হতে ২১ দিনের কম নয় ও ২৮ দিনের বেশী নয় - এই সময়ের ভেতর কার্যকর হবে। তবে আসামীগন মাননীয় রাষ্ট্রপতির নিকট প্রানভিক্ষা প্রার্থনার জন্য ৭ দিন পাবে যা ঐ ২১ দিনের কম নয় ও ২৮ দিনের বেশি নয়-এই সময়ের মধ্যে ধরা হবে।
(এটর্নি জেনারেলের বক্তব্য থেকে তুলে ধরলাম।)
-----------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
উদ্ধৃতি:
প্রচলিত আইনে প্রকাশ্য আদালতে এই বিচার আবারো জানিয়ে দিলো -কোন কোন মানুষ, কোন কোন সত্য আগুন পাখীর মতো ভাস্বর হয়ে উঠে সমস্ত তমসা ফুঁড়ে।
-কথা সত্যি হলেও সন্দেহ আছে। এ দেশে কী না হয়। আগে ব্যাটারা ফাঁসের দড়ি পড়ুক তারপর না হয় পরদিন পত্রিকা দেখে বিশ্বাস করা যাবে।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
শুধু সৈনিক-সেনাপতি নয়, এই হত্যাকান্ডের বুদ্ধিবৃত্তিক ইন্ধনদাতা ছিলো কারা সেইসব ফেরেশতাদের ও নাম প্রকাশ হওয়া জরুরী।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মোরশেদ ভায়া, এইসব প্রকাশ পাইলে তো ঘাপলিং। ভোট দেওয়ার মতো পার্টির সংখ্যা তো এক্কেলে কইম্যা ১-২ এ চইলা আইবো। আবার বাকশাল কয়া তো তখন অনেক কিডনি পার্টি চিল্লাইবো। নাহ ভাই, আপনারা দেখি এই দেশটারে পুরাই নষ্টা কইরা দিবেন।
==========================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ফাঁসির কাষ্ঠে খুনিদের দেখার প্রতীক্ষায়......
এদেশে কখন যে কি হয়ে যায়, মাঝে মাঝে বড় অনিশ্চয়তা ভর করে সব ঠিক চলছে জেনেও......
-----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
সহমত ! *তিথীডোর
নতুন মন্তব্য করুন