এই লেখাটা মার্চ ২০০৭ এর। আমাদের সচলায়তন সৃষ্টি'র আগে আগে। সিরাতের দাস ব্যবসা সংক্রান্ত লেখা দেখে পুরনো এই লেখাটার কথা মনে পড়লো। সচল আর্কাইভে লেখাটা থাকলে ও একটি পর্বে কেনো জানি প্রবেশ সংরক্ষিত দেখাচ্ছে।
তিনপর্বের এই লেখাটি তাই নতুন পোষ্ট হিসেবে একসাথে দিয়ে দিলাম।
এ বছর ২০০৭ সালে উদযাপিত হচ্ছে বৃটেনে দাসপ্রথা বিলুপ্তির ২০০ বছর। middlesex university'র আফ্রিকান স্টাডিজ বিভাগের এর ড: হাকিম আদি 'র সাথে এ সংক্রান্ত একটি আলাপচারিতা প্রকাশিত হয়েছে 'এমনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল' এর মাসিক ম্যাগাজিনে । এমনেষ্টি'র অনুমতিক্রমেই আলাপচারীতার বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে ।
এমনেষ্টি ম্যাগাজিন :: বৃটেনের প্রেক্ষাপটে দাসপ্রথার প্রভাব নিয়ে কি কিছু বলবেন?
ড: হাকিম: প্রকৃত অর্থে, আধুনিক বৃটেনের এমন কোনো দিক খুঁজে বের করা মুশকিল, যা কোনো না কোনো ভাবেই দাস ব্যবসা দ্বারা প্রভাবিত নয় । অস্ত্র উৎপাদন থেকে শুরু করে জাহাজ তৈরী, শিল্প বিপ্লব, ব্যাংক-বীমা ব্যবসা - যা কিছুই বৃটেনের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে তার সাথে দাস ব্যবসা কোনো না কোনো ভাবে জড়িত ।
বৃটেনের সকল বন্দর নগরী, উদাহরন হিসেবে ম্যানচেষ্টারের কথা বলা যায়, এর ৮০%অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে দাসব্যবসা থেকে ।
১৬ শতকের মাঝামাঝি থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত তিন শতাব্দী ধরে এটাই ছিলো এদের প্রধান বানিজ্য । বৃটিশরা মুলত: আফ্রিকার পশ্চিম উপকুল থেকে দাসদের অপহরন করে নিয়ে যেতো তাদের আমেরিকান ও ক্যারাবিয়ান কলোনী গুলোতে ।
এটা ছিলো খুবই লাভ জনক ত্রি-মুখি ব্যবসা । বৃটেনের বন্দর গুলো থেকে অস্ত্র , গোলাবারুদ সমৃদ্ধ হয়ে জাহাজ যেতো আফ্রিকান উপকুলে । অস্ত্র গোলাবারুদ খালাস করার পর জাহাজ গুলো ভরতো বন্দী দাস দিয়ে, তার পর যেতো আমেরিকা ও ক্যারাবিয়ান কলোনীতে । সেখানে দাসদের খালাস করে জাহাজ ভরা হতো পুরনো দাসদের দিয়ে উৎপাদন করানো খাদ্য শস্য দিয়ে । এই খাদ্য শস্য বোঝাই জাহাজ ফিরে আসতো আবার বৃটিশ বন্দরে ।
এমনেষ্টি ম্যাগাজিন :: বিনিময়ে আফ্রিকা কি পেলো?
ড: হাকিম: একটা বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী ১৬ শতকে ইউরোপিয়ানরা আফ্রিকা গিয়েছে এ কারনে নয় যে, আফ্রিকা অনুন্নত ও দরিদ্র ছিলো । বরং তারা গিয়েছে কারন আফ্রিকা অনেক সমৃদ্ধ ও সম্পদশালী ছিলো । ইউরোপিয়ান রা প্রথমে গিয়েছে সোনা হীরা ও অন্যান্য খনিজ আহরনের লোভে ।
লক্ষ্যনীয় এ সময়টাতেই ইউরোপে এক নতুন অর্থনৈতিক পদ্ধতি বিকাশ লাভ করছে, যা পরিচিতি পেলো ' পুঁজিবাদ ' নামে । এর উপজাত হিসেবেই শুরু হলো দাসব্যবসা ।
ইউরোপিয়ানরা আফ্রিকান মানুষদের কে ও সোনা হীরার মতো বিনিময় যোগ্য পণ্য হিসেবে বিবেচনা করলো, কারন এ সময়ে তারা আবিস্কার করেছে নতুন মহাদেশ আমেরিকা । তারা ভেবেছে এই নতুন মহাদেশ হবে তাদের ফসলের মাঠ, 'বাস্কেট অব ব্রেড' । আর এ কাজে লাগানো যাবে আফ্রিকার অত্যন্ত সবল, কর্মঠ কালো মানুষ গুলোকে ।
এ ভাবেই আফ্রিকান দেশ গুলোর সবচেয়ে সবল, কর্মক্ষম , উদ্যমী মানুষগুলো দাস হয়ে পাচার হয়ে গেলো । ফলে গোটা আফ্রিকা জুড়ে রয়ে গেলো দুর্বল ও অসুস্থ রা । এ ভাবে আফ্রিকা হারালো তার কর্মক্ষমতা, উদ্যম ও উদ্ভাবনী শক্তি ।
এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি এই সময়ে আফ্রিকা তার কি পরিমান জনশক্তি হারিয়েছে । দশ কোটি? বিশ কোটি? হতে পারে তারো বেশী ।
সংখ্যাটা যাই হোক, সিদ্ধান্ত টা এরকম, আজকের আফ্রিকার দরিদ্র, যুদ্ধ বিধ্বস্ত, অসুস্থ চেহারা মুলত: ইউরোপিয়ানদের তিনশো বছরের দাসব্যবসার পরিনতি ।
এমনেষ্টি ::তাহলে এই ব্যবসা আফ্রিকার জন্য কোনো সুফলই আনেনি?
ড: হাকিম :: না , একেবারেই না । এটা কেবল মাত্র ইউরোপ ও আফ্রিকার মধ্যে এমন এক সম্পর্ককে জোরদার করেছে যার পেছনে কেবল মাত্র শোষন ও বঞ্চনা ছিলো এবং আছে এখনো ।
এমনেষ্টি :: আছে এখনো?
ড: হাকিম :: নয়? গত ৫০০ বছর ধরে বাকী পৃথিবী আফ্রিকাকে তেমনি দেখছে, ইউরোপিয়ান রা যেমন দেখাচ্ছে ।
ইউরোসেন্ট্রিক আইডিয়া গুলো এতো বেশী প্রবল যে আজো আফ্রিকান দেশ গুলো তাদের আরোপিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মডেল থেকে মুক্ত হতে পারেনি ।
উদাহরন হিসেবে ধরুন সিয়েরা লিওন কে । ১৮০৭ সালে বৃটিশরা এটাকে নিরাপদ বন্দর ঘোষনা করলো যেখান এনে জড়ো করা হতো সকল দাসদের । তারপর জাহাজে ভরে পাচার করা হতো আমেরিকা ও ক্যারাবিয়ান কলোনীতে । ১৯২৯ সালে দাসব্যবসা বিলুপ্তি ঘোষনা করা হলো সিয়েরা লিওনে । অথচ বৃটিশ সেনাবাহিনী এখনো রয়ে গেছে ওখানে । ১৮০৭-২০০৭ , গত দুশো বছর ধরেই তো সিয়রালিওন বৃটিশ কলোনী যদি ও নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র । এমনই স্বাধীন যে পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশ গুলোর একটি অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী হীরা উৎপাদনকারী দেশ ।
এরচেয়ে বড় উপহাস কি হতে পারে?
এমনেষ্টি :: বৃটেনে দাসব্যবসা নিষিদ্ধকরন আন্দোলনের পেছেনের গল্পটা কেমন?
ড: হাকিম :: হুম ! সেই সময়টাতে দুটো মুভমেন্ট একসাথে কাজ করছিলো । একটা ছিলো পার্লামেন্টের ভেতরে । আরেকটা ছিলো পার্লামেন্টের বাইরে । ১৭৮০ থেকে ১৭৯০ সালের ভেতর পার্লামেন্টের বাইরে যে মুভমেন্ট গড়ে উঠে , তা ছিলো বৃটেনের ইতিহাসের সবথেকে বড় এবং গনসম্পৃক্ত আন্দোলন । অনেকগুলো গ্রুপ একসাথে কাজ করছিলো । মানবাধিকার গ্রুপ, নারী কর্মী এবং শিল্পী সাহিত্যিক গন ।শ্রমিকদের একটা বড় ভূমিকা ছিলো , ভূমিকা ছিলো বৃটেনে বসবাসরত আফ্রিকানদের যাদের অনেকেই মুক্তদাস ছিলো ।
পার্লামেন্টের বাইরে গড়ে উঠা এই ব্যাপক আন্দোলন, ভেতরের আন্দোলনকারীদের কে সহায়তা করেছিলো পার্লামেন্টে দাসব্যবসা নিষিদ্ধ করন সংক্রান্ত বিল উত্থাপন ও কার্যকর করাতে ।
অবশ্য এক পর্যায়ে এ মুভমেন্ট আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যায় কারন ১৭৯০ এর বৃটেন-ফ্রান্স যুদ্ধ কালীন সময়ে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয় ।
তবে মুভমেন্ট থেমে থাকেনি , বরং ১৮০৬ সালের দিকে প্রবল গনজাগরন ঘটে দাসব্যবসার বিরুদ্ধে ।
এমনেষ্টি:: তাহলে আমরা বলতে পারি, মুলত: জনসচেতনতাই সরকারকে বাধ্য করেছিল দাসব্যবসা নিষিদ্ধ করতে?
ড: হাকিম :: গনজাগরন নি:সন্দেহে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলো । তবে ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না যে, এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে বৃটিশ সরকারের নিজস্ব কিছু হিসাব -নিকাশ ছিলো ।
এমনেষ্টি:: হিসাব-নিকাশ? কি রকম?
ড: হাকিম:: দাসরা ছিলো বৃটিশদের জন্য খুবই লাভজনক পন্য । নিজেদের প্রয়োজন মিটানোর পর এ পণ্য তারা বিক্রী করতো ফ্রান্স , স্পেন ও অন্যান্য ইউরোপীয় দের কাছে । অজেয় সামরিক শক্তির কারনে দাসব্যবসায় তাদের ছিলো একচেটিয়া অধিকার ।
১৭৯০ ফ্রান্সের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে প্রশ্ন উঠতে থাকে -বৃটেন কেনো তার প্রতিদ্বন্ধীদের দাস সরবরাহ করবে? বৃটেনের নিজেদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক দাস ততদিনে সংগ্রহ হয়ে গেছে যারা পরবর্তী কয়েক প্রজন্ম ধরে সেবাদান করতে থাকবে ।
সে কারনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এরকম যে , বৃটেন দাস ব্যবসা বন্ধ করলে অন্য কেউ এ ব্যবসা শুরু করতে পারবেনা ।
আরেকটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও ছিলো এর পেছনে । যেহেতু দাসব্যবসা বন্ধ করার একটা 'প্রো-পিপল' দাবী ছিলো সে সময়ে , আর ফ্রান্সের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিলো নাগরিকদের নৈতিক সমর্থন ।তাই দাস ব্যবসা নিষিদ্ধকরনের ঘোষনা ছিলো অনেকটাই সাধারন মানুষকে পক্ষে আনার একটা রাজনৈতিক কৌশল ।
আরেকটা বিষয় এড়িয়ে যাওয়া যাবেনা । বিভিন্ন বৃটিশ কলোনীতে ততোদিনে দাসবিদ্রোহ শুরু হয়ে গেছে । ১৭৯০ এর হাইতি বিদ্রোহে দাসেরা বৃটিশ সৈনিকদের পরাজিত ও বন্দী করেছিলো ।
মুলত: এসব কিছু মিলিয়েই বৃটিশ এস্টাবলিশমেন্ট তাদের পলিসি বদলানোর চিন্তা ভাবনা করতে বাধ্য হয় । অমানবিক দাসব্যবসা নিষিদ্ধ করে বরং মানবিক ক্যামোফ্লজে শ্রমিক আমদানীর ব্যবস্থা করা হয় ততোদিনে দরিদ্র হয়ে যাওয়া দেশ গুলো থেকে । ততোদিনে এশিয়া আর আফ্রিকার দেশ গুলোতো দরিদ্র হয়েই গেছে । এবার আর জোর করে দাস আনতে হবেনা, শ্রমিকেরা স্বেচ্ছায় এসে শ্রম দান করবে ।
এমনেষ্টি:: দাসব্যবসা নিষিদ্ধ ঘোষনা র ২০০ বছর পুর্তিতে, পুরো ঘটনাকে আমরা কিভাবে মুল্যায়ন করতে পারি?
ড: হাকিম :: যারা ব্যবসা করেছে, গল্পটা তাদের কাছ থেকে না শুনেআরেকটু গভীরে ভাবতে হবে । ভাবতে হবে, দাসব্যবসা কি আসলেই বন্ধ হয়েছে?বৈধ এবং অবৈধভাবে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের গরীবদেশের মানুষদের কে এদেশে আসার যে সকল সুযোগ দেয়া হচ্ছে, তার পেছনের উদ্দেশ্য টা কি? প্রশ্ন তোলতে হবে গোটা আফ্রিকা মহাদেশকে নি:স্ব করে ফেলার, কয়েক কোটি মানুষকে দাস বানিয়ে একটা জাতি গোষ্ঠির স্বকীয়তা ধ্বংস করার ক্ষতিপুরন কেনো দেয়া হবেনা?
ভুলে যাওয়া অনুচিত হবে যে মানুষ ইতিহাসের অংশ । আজকের দিনটা কেবল গতকালের ধারাবাহিকতা মাত্র । তাই গতকালের হিসাব না চুকিয়ে আজকের আমরা একটা সুন্দর আগামীর দিকে এগিয়ে যেতে পারবোনা ।
মন্তব্য
ধন্যবাদ মোরশেদ ভাই।
১৮৫০ পর্যন্ত আমেরিকায় কালোদের লেখাপড়া করা নিষিদ্ধ ছিল। মাত্র ১৫০ বছরে সেখানকার কালোরা যে পরিমান উঠে এসেছে, সেটাই প্রমাণ করে যে গায়ের রং না, প্রকৃত শিক্ষা আর পারিপার্শ্বিকের আনুকুল্যই জাতিগুলোর উন্নয়নের মূল চলক।
দাসব্যবসা অনেকটা ক্যানিবালিজম-এর মত। মেকস সেন্স, সেভাবে দেখলে, কিন্তু হিউম্যান ট্র্যাজেডির দিক দিয়ে মূল্যটা বড় বেশি।
তা তো বটেই, কিন্তু সব হিসাব কি চুকানো যাবে? একটা পর্যায়ে সেটেরিস পারিবাস কি ধরে নিতেই হবে না? আজকের আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের মাত্রা বলে যে পেছনের এবং আজকের হিসাব ভারসাম্য রেখেই করতে হবে।
এই ভিডিওটা দেখছিলাম কিছুদিন আগে আমেরিকার দাস ব্যবসার না বলা ইতিহাসের জন্য, কিন্তু আমার কাছে কতকগুলো জায়গা পক্ষপাতদুষ্ট মনে হলো।
চমৎকার একটা লেখা, মনে পড়ে গেল অনেক কথা। আমি যখন লাইবেরিয়াতে ছিলাম, তখন পাশের দেশ ঘানাতে ভিসা আনতে গিয়ে ছিলাম। সে সময় কেপ কোস্ট নামে একটা জায়গায় গিয়েছিলাম। ধরে আনা মানুষকে দাস বানিয়ে এখান থেকে চালান দেওয়া হত। ১০০ বেশি মানুষ রাখা হত নিচের ঘরের মত ছোট একটা অন্ধকার ঘরে। তাদের পায়ে থাকত বেড়ী।
"ডোর অব নো রিটার্ণ" নামক এক দরজা ছিল যেটা পাড় হলে আর ফেরত আসা যেত না।
---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
আমারো একই প্রশ্নঃ দাস ব্যবসা কি আসলেই বন্ধ হয়েছে?
আবার অন্যভাবে (মার্ক্সের দৃষ্টিতে) দেখলে মানুষ এখন অর্থের দাসে পরিণত হয়েছে। যে কোন প্রতিষ্ঠানের চিফ এক্সিকিউটিভ থেকে শুরু করে একদম নীচের তলার মানুষটি পর্যন্ত অর্থের জন্য বা বিনিময়ে কাজ করে থাকেন। স্বাধীনতার পরিমান খুবই অল্প। একেও কি আমরা দাস প্রথা বলবো? নাকি যাঁদেরকে পর্যাপ্ত মুজুরী দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের বলবো?
আমার দৃষ্টিভঙ্গি হল দ্বিতীয়টি, অর্থাৎ আমার শ্রমের উপযুক্ত মুজুরী যদি আমি না পাই তবেই নিজেকে শোষিত মনে করবো। যেটা করা হয়েছিল দাস প্রথার আমলে, বা এখনো করা হচ্ছে আমদের দেশের কারখানার শ্রমিকদের বা গৃহপরিচারিকাদের। সুতরাং শোষন এখনো রয়ে গেছে।
কিন্তু তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল এই শোষনের হাত হতে মুক্তির পথ কি? শোষন কি অপ্রতিরোধ্য? আমি এখনো এর উত্তর খুঁজছি।
এখানে মনে হয় ১৯২৯ এর বদলে ১৮২৯ হবে। না হলে কেমন যেন লাগে।
লেখাটা পড়ে অনেক জানা হলো।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
লেখাটা চমৎকার! নানা অজানা জিনিস জানা হলো।
এরকম লেখা আরো আশা করি।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কেবল আফ্রিকা থেকে ধরে ইউরোপ-আমেরিকাতে বিক্রি করেই কি দাসব্যবসা চলত? অবশ্যই না। একসময় সারা দুনিয়া জুড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ-গোত্র-এলাকার মানুষকে সুযোগ বুঝে ধরে দাস হিসাবে বিক্রি করে দেয়া হত। যুদ্ধবন্দীদেরকে দাস হিসাবে চালানো বা বিক্রি করে দেবার ইতিহাসতো আরো পুরনো। আরব্য উপন্যাস বা ঠাকুমার ঝুলিতেও তাই দাস-দাসীরা অবধারিত ভাবে আছেন।
আর দাসব্যবসা কি বিলুপ্ত হয়ে গেছে? একেবারেই না। নানা ফর্মে, নানা ভাবে দাসব্যবসা এখনো বহাল তবিয়তে টিকে আছে। অন্নদাস, যৌনদাস রূপে আধুনিককালের দাস-দাসীদের খোঁজার জন্য বেশিদূর যেতে হবেনা, আমাদের চারপাশে তাকালেই চোখে পড়বে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ডরাইছি, ভাগ্যিস ২০০-২৫০ বছর আগে জন্মাই নাই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন