সময় কাউকে কাছে এনেছিলো, সময়ে কেউ দূরে সরে গিয়েছিলো- তেমন কারো সাথে, কারোকারো সাথে বহুদিন/বহুবছর পর দেখা হয়ে যায়।
না-দেখা নয় আসলে, দৃষ্টির সীমানায় আসা কিংবা থাকাটা আর জরুরী ও নয়।
হয়তো আকাঙ্ক্ষা ছিলো, মনে পড়া ছিলো একেবারেই অকারন- বড়াপানি লেকের জলে পা ডুবিয়ে নির্জলা বেকার্ডির চুমুক সঙ্গী কিংবা গতশতাব্দীর শেষবর্ষগুলোতে নরোম অক্ষরের চিঠি বুনতো যারা তাদের কেউ কেউ;
যেমন শীতের নির্দিষ্ট রাতে হনন কিংবা মুক্তিপিয়াসী পাখীদল খুঁজে নেয় ঝাটিঙ্গা পাহাড়, তেমনি এই শতাব্দীর প্রথমার্ধের ঠিকানা তৈরী করে ফেসবুক। দেখা হয়না আর-না হোক; অক্ষর বুনা হয়না আর- না হোক; এক কাপ চায়ের অংশীদারিত্ব নাই বা থাকুক আর তবু নেটওয়ার্কিং তো হলো শেষপর্যন্ত- সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং!
কিন্তু ঐ যে বহুদিন ধরে অকারন মনে পড়াটুকু ছিলো,পুরোনো চিঠির মতো ঘ্রানময় আকাঙ্ক্ষা ছিলো,না দেখার স্মৃতিময়তা ছিলো- সে সব বুদ্বুদ আর অবশেষ থাকেনা। সুখী সুখী সাজানো মুখ, ঘন্টায় ঘন্টায় বদলে যাওয়া স্ট্যাটাসে জানিয়ে দেয়া ভালো থাকা,মন্দ থাকা। ঐ যে ওটা, হৃদয় ছাড়া যা আর কিছু নয়- তার অলিন্দে কিছুই ধরে রাখার কোন দায়বোধ নেই আর।
বীজ বুনন থেকে শস্য উদগম-এই সময়টুকু ও ফুরিয়ে যাচ্ছে মানুষের জন্য মানুষের।
মন্তব্য
পুরাটাই ভালো লেগেছে, তবে প্রথম ছয় লাইন অসাধারণ!
ঝাটিঙ্গা পাহাড় জিনিসটা কী?
কয়েকটা বানান-বিভ্রাট, বিরাম চিহ্নের পরে স্পেস, আর ড্যাস-সংক্রান্ত সমস্যা আছে (সম্প্রতি কপি-এডিটিংএর কাজ করেছি তো, তাই সবাইকে জ্বালাচ্ছি।)
বুনো কই গেল?
আচ্ছা, ঝাটিঙ্গা কি কোনো পাহাড়ের নাম?
অথবা ঝাটিঙ্গা একটি সংস্কৃত শব্দ হতে পারে। বাংলা ঝাড় (সমূহ, রাশি, ঝোপ) শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ঝাট থেকে, তাইলে ঝাটিঙ্গা পাহাড় বলতে ঝোপঝাড়পূর্ণ পাহাড় বা রাশি রাশি পাহাড় বোঝানো হয়ে থাকতে পারে।
(দ্যাখেন বকলমের অবস্থা, কী বুঝতে বুঝেসি কে জানে!)
কুটুমবাড়ি
এইখানে দ্যাখেন ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
অ, এই জন্যই শব্দটা এত চেনা চেনা লাগসিল!
কুটুমবাড়ি
- কঠিন সত্য কথা।
- এই লাইনটি হৃদয় ছুয়ে গেছে। যদিও পুরো লেখাটাই অসাধারণ।
- শেষ কবে দেখেছি জানি না। আর দেখা হবে কিনা তাও জানি না। শুধু দেখি তার মুখ খানি অন্তর্জালে। তাও কালে ভদ্রে শুভেচ্ছা বিনিময় যখন হয়। কিন্তু এতে থাকে না হৃদয়ের উত্তাপ। এটি শুধু মনে করিয়ে দেয় কখনো সে বন্ধু ছিল আমার...
অনন্ত
যতই মোবাইল-ইমেল-ফেসবুক থাক,চিঠি প্রাপ্তির আনন্দ আর কোথাও নেই! সেই আনন্দটা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে আমাদের যাপিত জীবন থেকে। হাসান,আপনার লেখাটা পড়ে যেন ফেলে আসা সময়ের একটা ঘ্রান ফিরে পেলাম।
সুমিমা ইয়াসমিন
এখন সবকিছুই শর্টকাটে চলে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শর্টকাট না শর্টসার্কিট?
লেখায় তারা ... শেষ লাইনের জন্য
______________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ঘুরে ফিরে এই ভাবনা গুলি খুব ভাবাচ্ছে ইদানিং... একদিক থেকে আমাকে এই ভার্চুয়াল জগৎ খুব সহজে আর কম যন্ত্রণায় কারো কারো সাথে যোগাযোগ রাখতে সাহায্য করে... আর অন্যদিকে কেউ কেউ যে আরো অনেক দূরে চলে গেছে তা টের পাই... হঠাৎ আপডেট করা ছবি দেখে মনের কোথায় যেন একটু কেমন লাগে আর মন্তব্য করতে গিয়ে হাতটা উঠিয়েও নামিয়ে নেই... কী হবে এই বিমূর্ত জগতে দূরত্ব ঘুচিয়ে? অথচ এই বিমূর্ততার সাথেই কত জন যে কেমন করে অনেক আপন হয়ে গেছে... বাস্তব জীবনেও কী তারা অমনই হত কাছাকাছি এলে?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ফেসবুকম্যানিয়া থেকেও একটা লেখার রসদ জুটলো .... বেশ তো....
নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন