সামরিক তত্ত্বাবধায়ক আমলে বাংলাদেশের জনগণের অনেক প্রাপ্তির মধ্যে অন্যতম প্রাপ্তি ছিলো টিভি চ্যানেলগুলোর টকশোর মাধ্যমে রথি-মহারথীদের নানামুখী নছিহত শুনা।
এইসব রথী-মহারথীদের অন্যতম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক ডঃ আসিফ নজরুল। সম্প্রতি ফেসবুকে ঐ সময়ের তার এক টকশোর ভিডিও দেখা যাচ্ছে যেখানে তিনি রাজাকার মতিউর রহমান নিজামীর গ্রেপ্তারের( তত্ত্বাবধায়ক আমলে) সমালোচনা করছেন এবং অত্যন্ত জোর গলায় নিজামীর সততার সার্টিফিকেট বিতরণ করছেন।
এসব সার্টিফিকেট যে আসিফ নজরুল একাই বিতরণ করেছেন তা নয়, আরো অনেকেই নানাভাবে ঘাতক-দালালদের পিঠ বাঁচানোর দালালী করেছেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত।
তাহলে আসিফ নজরুলের এই দালালী বিষয়ে এতো কথা কেনো?
কথার কারণ আসিফ নজরুল গণআদালতের সংগঠকদের একজন ছিলেন, যে গণআদালত গঠিত হয়েছিল ১৯৯২ এ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠা আন্দোলনের ফসল হিসেবেই আজ দেড়যুগ পর ঘাতক-দালালদের সত্যিকারের বিচারের জোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
১৮বছর আগে যে আসিফ নজরুল গণআদালতের সংগঠক ছিলেন, জাহানারা ইমাম সহ যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করেছিলো তৎকালীন বিএনপি সরকার-তিনি তাদের একজন ছিলেন, আঠারো বছর পরে কেনো তার এই অবস্থান? নিজামীর সততার সার্টিফিকেট দানে এতো মরিয়া কেনো তিনি- অন্য অনেকের মতো এই প্রশ্ন আমারো ছিলো।
উত্তর খোঁজার জন্য ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এক বড়ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি যে সব তথ্য প্রদান করেন তাতে উত্তর মেলানো খুব কঠিন হয়না।
সহব্লগারদের সাথে সেই তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্যই এই পোস্ট।
'৯০ এর গণআন্দোলনের ঠিক আগে আগে আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, বিশেষ করে অভির সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিলো। গণআন্দোলনের পর তার প্রথম উপন্যাস 'ক্যাম্পাসের যুবক' এ অভির ছায়া পাওয়া যায় যেখানে ধিকৃত অভিকে তিনি নায়কের মর্যাদা দিয়েছেন।
'৯০ এর পর বিচিত্রায় প্রদায়ক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে শাহরিয়ার কবীরের সাথে পরিচয়। সাংবাদিক হবার অভিপ্রায়ে তিনি শাহরিয়ার কবীরের প্রিয়ভাজন হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। শাহরিয়ার কবীররা সেই সময় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রস্তুতি পর্যায়ে ছিলেন। মুলতঃ শাহরিয়ার কবীরকে খুশি করার জন্যই তিনি এই উদ্যোগে যুক্ত হন। বয়সে তরুণ এবং আইনের ছাত্র হিসেবে শাহরিয়ার ও তাকে গণআদালতের সাথে সম্পৃক্ত করেন। এভাবে আসিফ নজরুল জাহানারা ইমামের সান্নিধ্য ও লাভ করেন।
'৯২ এর ২৬শে মার্চ যে প্রতীকী আদালত বসে রমনায়- সেখানে আসিফ নজরুল গোলাম আজমের আইনজীবি হিসেবে ভূমিকা পালন করেন ( কাকতাল?)। নথিপত্রে অবশ্য তার নাম আসিফ নজরুল নয়, নজরুল ইসলাম খান।
পরবর্তীতে জাহানারা ইমাম, শামসুর রাহমান, কবীর চৌধুরী, ডঃ আহমদ শরীফ সহ যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয় সেখানে ও আসিফ নজরুল নয়, নজরুল ইসলাম খানের নাম পাওয়া যায়।
সরকার এই মামলায় প্রত্যেককেই হেনস্তা করে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার আসামী হিসেবেই জাহানারা ইমামকে মৃত্যবরণ করতে হয় এবং তাঁর মৃত্যুর পর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় সংসদে জোরালো দাবী উত্থাপন করেন এবং মামলা প্রত্যাহার হয়।
কিন্তু চমকপ্রদ বিষয় হলো আসিফ নজরুল গণআদালতের পরপরই কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে লণ্ডন চলে আসেন এবং পিএইচডি শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা মাথায় নিয়েও কমনওয়েলথ বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া- আসিফ নজরুলের পক্ষেই সম্ভব! যে সরকারের আমলে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলার আসামী সেই সরকারের আমলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের চাকরী বাগানো- এটি ও তার পক্ষেই সম্ভব!
কমনওয়েলথ বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি জুটানোর জন্য কতোটুকু রাজনৈতিক লবিং দরকার সেটা সহজেই অনুমেয়।
তাহলে ঐ সময়ে আসিফ নজরুল এই সুযোগগুলো পেলেন কি করে? গণআদালতের একজন হিসেবে তো প্রকৃতযোগ্য হলেও বিএনপি আমলে তার এইসব সুযোগ পাওয়ার কথা নয়।
এই প্রশ্নের ও উত্তর মেলে।
গণআদালতের দিন ২৬শে মার্চ ১৯৯২ গণতদন্ত কমিশনের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় এবং ঘোষণা দেয়া হয় ১৬ ডিসেম্বর গণতদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ঘাতক দালালদের বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায় থেকে অসংখ্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিলো এবং আইনের ছাত্র ও তরুণ সংগঠক হিসেবে আসিফ নজরুলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো দ্রুততম সময়ের ভিতর এসব তথ্য যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার।
কিন্তু দেখা গেলো সমস্ত তথ্য হাতে পাওয়ার পর আসিফ নজরুল প্রায় লাপাত্তা। নির্মূল কমিটির অন্যদের সাথে তার দূরত্ব তৈরী হচ্ছে। এ সময় জাহানারা ইমামের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে নজরুলকে বারবার তাগাদা দিতে থাকেন কাজ শেষ করার জন্য। কিন্তু আসিফ নজরুল নানা বাহানায় কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
পরবর্তীতে অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায়- ঐ সময়ে তিনি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরী করেন আইন বিভাগের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান আব্দুল বারীর সাথে যে ছিলো জামাতী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গণতদন্ত কমিশনের মাঠ পর্যায়ের সব তথ্য হাতে রেখে, চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কাজ বিলম্বিত করতে করতে তিনি জামাতি বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে দেশ ছাড়েন- রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা মাথায় নিয়েই!
দেশে ছাড়ার আগে চূড়ান্ত মুহুর্তে তিনি নির্মূল কমিটিকে একটা প্রতিবেদনের যাচ্ছেতাই খসড়া ধরিয়ে দেন মাত্র। নির্মূল কমিটি এবং গণআদালতের সহযোদ্ধাদের সাথে এই তার শেষ যোগাযোগ।
এর ১৬ বছর পর ১/১১ এর পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে নিজেদের স্টেক ধরে রাখার জন্য আইএসআই যে ক'জন সুশীল বুদ্ধিজীবীকে বাছাই করে নেয় ডঃ আসিফ নজরুল তাদের অন্যতম যিনি গণআদালতের সাথে সম্পর্ককে পুঁজি করে ঘাতক দালালদের সততার সনদ বিতরণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
তথ্য পাওয়া যায়- আসিফ নজরুল যখন আইন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ঠিক তখনই ছিলো ডিন নির্বাচন এবং এরশাদুল বারীর জেতার সম্ভাবনা নিশ্চিত ছিলোনা। আসিফ নজরুলকে নিয়োগ দিয়ে এরশাদুল বারী তার একটি ভোটের নিশ্চয়তা পান- যদিও আসিফ নজরুল মেধাতালিকার শীর্ষে ছিলেননা।
মন্তব্য
দালালের প্রতি ঘৃণা।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
দালাল সবসময়ই দালাল। এদের জন্য মুখভরা থুথু!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
চরম লিখছেন হাসান ভাই।
এই চুরার দলগো থুথু মারলে কাম হইবো না, ওগো লাইথ্যায়া দ্যাশ থিকা বাহির করা দরকার।
এই সময়ে আমার একজন বন্ধুও এদের সঙ্গে ছিল--সেলিম ওমরাও খান। সেও বিচিত্রার প্রদায়ক ছিল। এই সুবাদে সেলিম রেডিও টিভিতে প্রতিবেদন করত হাসিনা সরকারের।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
ইদানিং আসিফ নজ্রুলের বক্তিমা শুনে মনে হয়েছিল সে আর অন্যান্যদের মতই পল্টি খাওয়া দালাল; কিন্তু না, সে তো দেখি রীতিমত পরিক্ষীত দালাল! ধন্যবাদ, মোরশেদ ভাইকে। এত কিছু জানতাম না আগে।
অনন্ত
প্রথমত দুঃখ প্রকাশ করছি যোগাযোগহীনতার জন্য। নানান ভ্যাজালে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করাই হয় না।
দুর্দান্ত একটা কাজ করেছেন। এটা খুব দরকার ছিলো। ফেসবুকে শেয়ার করছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যে পোষাকই পরানো হোক না কেন ভ্যা শুনেই বোঝা যায় জামাতি ছাগল কোনগুলো।
কি মাঝি, ডরাইলা?
আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে আইন বিভাগের প্রধানের নাম ছিল এরশাদুল বারী, আব্দুল বারী নয়। একটু চেক করে নেবেন। ইনি বিএনপি আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা উন্মূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন।
এই ধরণের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পড়লে আমার মনে একটি প্রশ্ন জাগে। ব্যক্তি মানুষের লোভসঞ্জাত উদ্যোগ কী দুর্বৃত্তদের সুযোগ করে দেয়, নাকি দুর্বৃত্তদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাতে লোভী ব্যক্তি জড়িত হয়?
অটঃ ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অসুস্থ্যতার জন্য আপনার প্রশ্নের উত্তর খোঁজায় সাহায্য করতে পারিনি। ক্ষমা করবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এরশাদুল বারীর কথা আলাদাভাবে জানতাম। সিন্ডিকেটে একবার জাতীয় সংগীত বদলে ফেলার প্রস্তাব তুলেছিল( সে নাকি আফতাব আহমদ?)
যে সোর্স থেকে তথ্য পেয়েছি, সেখানে বিভাগীয় প্রধানের নাম পেয়েছিলাম শুধু বারী। পুরো নিশ্চিত না হয়ে এরশাদুল বারী দিতে চাইনি।
তবে এটা হওয়ারই জোর সম্ভাবনা।
আপনি নিশ্চিত করলে নাম বদলে দেবো।
অটঃ- ঠিকাছে। শরীর ভালো হয়েছে তো?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আইন বিভাগের প্রধান এরশাদুল বারীই ছিলেন - এটা আমি নিশ্চিত। জাতীয় সংগীত পালটে ফেলার প্রস্তাবক প্রয়াত আফতাব আহমদ। ইনিও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন।
অটঃ ধন্যবাদ। অবস্থা কেরোসিন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ওনারে তো ভাল জানতাম। আসিফ নজরুল আর নিউ এজের নূরুল কবিরের টক শো দেখে ভাল লাগত। আর সেই কি-না জামাতি!! তীব্র ধিক্কার।
"হায় দেশ আমার, চোখ খুলোনা;
দেখবে তুমি সর্প হাতে
শাড়ি পরা এক ললনা।"
.......................................
শ্যামল
নর্দমার কীট... দেশের টিভি চ্যানেল গুলাতে অবশ্য মুখ দেখানো কোন ব্যাপার না এদের জন্য... চ্যানেল গুলার উপরে রাগ হয় এদের টক শো তে আনার জন্য
ঢাবিতে যোগ দেয়ার আগে উনি মনে হয় কিছুদিন বিসিএস ক্যাডার কিংবা সরকারী আইন কর্মকর্তা জাতীয় কিছুও ছিলেন, আমি অবশ্য শিওর না, বহু আগের কাহিনী, পুরা মনে নাই।
(১) আসিফ নজরুল ছাত্রদল সম্পৃক্ত ছিলেন।
(২) আসিফ নজরুলের উপন্যাসের নায়ক চরিত্রটি একজন সন্ত্রাসী।
(৩) রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা মাথায় নিয়ে তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি ও ঢাবিতে চাকরী পেয়েছিলেন।
(৪) ঢাবি আইন বিভাগের চেয়ারম্যানের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল।
(৫) গণআদালতের দ্বিতীয় রিপোর্টটি দেরীতে ও শুধুমাত্র খসড়া আকারে জমা দিয়েছিলেন।
ভিডিওর ভিত্তিতে অভিযোগঃ তিনি নিজামীকে যুদ্ধাপরাধী বললেও দুর্নীতির অভিযোগহীন ব্যক্তি বলেছেন।
এই পাঁচটি তথ্য হলো ও অভিযোগ তাকে দালাল হিসেবে চিহ্নিত করার মুল ভিত্তি। বাকী সবটুকু হলো তথ্যগুলোকে জোড়া দেয়ার জন্য কেবল ধারণাভিত্তিক কিছু ব্যাখ্যা। এভিডেন্স ও কনক্লুশনের যোগসুত্র তৈরীর জন্য অনেক অনেক অ্যাসাম্পশন দরকার হচ্ছে।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জ্বি। এভিডেন্স ও কনক্লুশনের যোগসুত্র তৈরীর জন্য অনেক অনেক অ্যাসাম্পশন দরকার হচ্ছেই।
মানুষ ঈশ্বরের মতো সর্বত্র বিরাজ করেনা যে স্বচক্ষে দেখে সকল বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব। অনেকক্ষেত্রেই ঘটনা পরম্পরায় তথ্য ও তত্বগুলোকে পাশাপাশি বসিয়ে একটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে।
আর পোষ্টের শিরোনাম লক্ষ্য করুন। ওটা সিদ্ধান্ত নয়, প্রশ্নবোধক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আসিফ নজরুল তো আর জামায়াতের রুকন সম্মেলনে গিয়ে বক্তৃতা রাখবেন না যে চিনে নেবার সুযোগ থাকবে। জামাতি বুদ্ধিজীবীরা মাঝে মধ্যে চিপা-চুপা দিয়ে এভাবে দুয়েকটা ম্যাৎকার ছাড়বে। এই ম্যাৎকারগুলো দেখেই বুঝে নিতে হবে বাকিটুকু। এখন তো দিন আরো খারাপ। এখন ম্যাৎকার ছাড়ার আগেও দশবার চিন্তা করতে হয়।
তবে আশা করছি নেতাদের পশ্চাতে আরো কয়েকটা সিদ্ধ ডিম ঢুকলেই মগবাজারি চাপে নতুন ম্যাৎকার ছাড়বেন। তখন চিনে নিতে পারবেন।
জামাতি ছাগু চেনার জন্য প্যান্ট খুলে দেখা লাগে না। পাছায় দুয়েকটা ঘা লাগালে ডাক শুনে চেনা যায়। আজ হোক কাল হোক এক সময় না একসময় এসে পাছায় ঘা লাগবেই।
অপেক্ষায় থাকেন।
তবে ওনার মুচকি হাসি দেয়া সাক্ষাৎকারের ভিডিওটা দেখলেই বোঝা যায় আর নতুন করে চেনার কিছু নাই। আসিফ সাহেব সৎ লোকের শাসন চান।
কি মাঝি, ডরাইলা?
গত রমজানে রমনা পার্কের একটা রেস্তোরায় জামাতিদের পেশাজীবি সংগঠনের একটা ইফতার পার্টি ছিল। আমরা কয়েকজন বন্ধু পাশেই ( একই রেস্তোরায় ) আরেকটা ইফতার পার্টিতে ছিলাম। জামাতিদের সেই ইফতারে আসিফ নজরুল ছিলেন, এবং তাকে ওখানে দেখে তখন আমরা স্বভাবতই অবাক হয়েছিলাম।
আমাদের এক বড় ভাই, একটি আবাসন প্রতিষ্টানের কর্ণধার, ব্যক্তিগত ভাবে উনার সাথে আসিফ নজরুলের সম্পর্ক আছে, ইফতার শেষে আমাদের কৌতুহল মেটাতে উনি আসিফ নজরুলকে প্রশ্ন করেছিলেন কেন উনি জামাতিদের অনুষ্টানে, আসিফ নজরুলের উত্তর ছিলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের আমন্ত্রণে তিনি এসেছেন, জামাতের জানলে এই ইফতারে তিনি নাকি আসতেন না !!!
একেবারে খাঁটি কথা।
অতি ভাল বলেছেন।
ওই দালালদের আর জায়গা দেওয়া যাবে না বাংলার মাটিতে। একবার ভাবুন কতটা খারাপ হইলে একজন মানুষ নিজ দেশ,মা,মাটি ও মানুষের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারে? যে দেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে, যে দেশের খেয়ে পড়ে, যে দেশের আলো-বাতাসে বড় হয়ে, সেই দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা কতটা গুনাহের কাজ, তা তো খুব সহজেই অনুমান করা যায়। ধন্যবাদ লেখক কে তার অতি মূল্যবান পোস্ট দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
পাকি ছাগল, সুবিধাবাদী, লোভী, ভণ্ড, প্রতারকের মুখোশ উন্মোচনের জন্য ধন্যবাদ।
একটাই দুঃখ নিজামিদের ফাঁসিতে ঝোলালেও এই দালালদের হাত থেকে রক্ষা পাবার কোন উপায় আমাদের নাই।
পোষ্ট জামাতী পিরিয়ডে এটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
দেখা যাবে কোন এক আওয়ামী আমলেই এই লোক গনআদালতের নাম ভাঙ্গিয়ে আইন উপদেষ্টা কিংবা মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হয়ে গেছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কি মাঝি, ডরাইলা?
ভালো এবং সময়পযোগি বিষয়ের অবতারণা করেছেন।
হের কতাবার্তার কোন মাথামুণ্ডু নাই। যা খুশি কোক। জনগণ হ্যারে ঠিকই চেনে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।এই বহুরুপীদের মুখোশ উন্মোচন করা খুব জরুরী আসলে।
এই টাইপের কুলাঙ্গারদের খালি চোখে চেনা যায় না , খুব বুদ্ধি খাটিয়ে জনপ্রিয় দুএকটা কথা বলে বাকপটু হিসেবে মানুষের পছন্দের তালিকায় ঢুকে যায় । যার ফল হলো এখন নিজামীকে পক্ষে মরা কান্না কাঁদার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করা।
আমাদের সব-সময় এই সব বিভ্রান্তিকর কীটদের ব্যাপারে সজাগ থাকা উচিত , কে কোন সময় কোন রাজনৈতিক অবস্থানে ছিল সেটা অবশ্যয়ই গুরুত্বপূর্ণ । আমার কছে তৃতীয় মাত্রার উপস্থাপক জিল্লুরকেও ভালো লাগে না , আসিফ নজরুল যখন এরকম সাফাই গাইছিলো সে তখন সায় দিচ্ছিলো, কোন প্রশ্ন উথাপন করলো না ।
আপনার কিছু কমেন্ট খুব বেশী জেনারেলাইজড হয়ে গেছে। যেমন:
কমনওয়েলথ বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী জুটানোর জন্য কতোটুকু রাজনৈতিক লবিং দরকার সেটা সহজেই অনুমেয়।[i]
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা কি সবাই রাজনৈতিক লবিং করে শিক্ষক হয়েছেন? কমনওয়েলথ বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া সবাই কি রাজনৈতিক লবিং করে বৃত্তি পেয়েছেন?
বেশী আবেগ নিয়ে লেখায় হয়তো এরকম হয়েছে। ধারণার প্রাবল্য লেখাটিকে কনক্লুশিভ করেছে চরমভাবে ।
ওলি
রাজনৈতিক লবিং ছাড়া এই যুগে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছে বা কমনওয়েলথ বৃত্তি পেয়েছে শুনলেই অবাক হতে হয়।
তবে উদাহরণ দেবার মত দুয়েকজনকে অবশ্যই খুঁজে পাওয়া যাবে। ঠিক তেমনি হাগুর ভেতর খুঁজলেও হজম না হওয়া তরকারীর দুয়েকটা টুকরো কিংবা দুয়েকটা মরিচের বিচি পাওয়া যাবে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
না। অনার্সে তার দ্বিতীয় শ্রেনী ছিলো এবং ওটা বিভাগের সেরা ফলাফল ছিলোনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অসাধারণ রেজাল্টধারীদেরই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করতে হয়। এই অসাধারণ বলতে সাধারণ অর্থে যোগ্য নয় এমন বলছি।
খুব ব্যস্ত পড়াশোনা নিয়ে, তাই আজকাল লগিন করা হচ্ছে না। পোস্টটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, কারণ আমরা ঢাবিতে পড়ার সূত্রে অনেক খবর পেলেও সবার জানা উচিত। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এই মুখোশগুলো উন্মোচন করার দরকার আছে, কারণ এনারাই টিভিতে নানান অভিমত দিয়ে আর পেপারে কলাম লেখে মানুষের বাহ্বা কুড়োচ্ছেন, প্রভাব বিস্তার করছেন এখনও।
আসিফ নজরুলের এই ভিডিওটি আমিও শেয়ার করেছিলাম। তখন কিছু ইন্টারেস্টিং কমেন্ট এসেছিলো। হাসান মোরশেদ ভাই পোস্টটি পোস্ট করার পরপরই আমি ঢাবি-তে আমার জুনিয়ার এক ফ্রেন্ডকে অনুরোধ করেছিলাম কিছু জানাতে। সঙ্গতকারণেই ওর নাম প্রকাশ না করে হুবুহু ওর কমেন্টটিই তুলে দিলাম (ও ইংরেজিতে করেছে আর আমি এখন কাজে যাচ্ছি, তাই বঙ্গানুবাদ করতে পারলাম না, মার্জনা করবেন)
"During his student life Asif Nazrul had an ally with the leftist student party as well as the terror golam faruq ovi. he always speaks with pride abt his realtionship with ovi..His novel “campus er jobuk” is based on ovi’s character. howevr he still speaks of leftist ideas as a mean of being culturally progressive. So you can guess his Hippocratic nature.. He joined civil service but continued only for seven days. He does not have that brilliant result in his hons and llm. he possess a second class and quite back position in his hons, and not too sure abt his llm, but surely not in the first class or first positions…..But still then he managed to join Chittagong University, as you can understand how. Allegedly he managed to join Cht university by showing his alliance to AL, since at that time Cht law dept was dominated by AL supported teachers. Just six/seven months after joining Cht university , there was circulation in Dhaka University and he accordingly applied. What many ppl don’t know is that in that intake the most competent person was a boy who secured first class in his both exams. But asif nazrul threatened him with the help of his terrorist friends that if he appears before interview board he will not be able to go home alive. And that boy never appeared in the interview board. Later on that boy joined civil service…. And with the blessing of renowned razakar Ersadul Bari he managed to join Dhaka university with the affiliation of white panel (BNP panel) and also managed to get the commonwealth scholarships. And he is regarded as the right hand of Ersadul bari…. So you see his shift from totally left to right. But mind it he still has good connections with some leftist leaders. After joining DU, he was also shown his affiliation with the Jamat in the last BNP regime. Allegedly he also took part in various discussion program of hijbut tahrir and the like organizations….And it is now an open secret that during the last caretake regime he as simply acted as an agent of the DGFI. After marrying rokeya parchi, who is reported to be an AL supporter, he also has very good terms with some of the AL leaders. So his AL friends will protect him in this regime….So he has a strategy to maintain good relation with everybody……Since he is a DGFI agent ppl also do not want to bother him…….so his recent activity for the Jamat is not something surprising to ppls who know his character…….…"
''ডিগবাজী'' মওদুদ বলি আমরা, তাইলে এনাকে কী বলা উচিত, ''বহুরূপী''?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আচ্ছা! দ্যাট এক্সপ্লেইনস দ্যা ভিডিও! অন্য অনেকের মত আমিও কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সবাই বিক্রি হয়ে যায়...
_______________________________
বৃত্ত ভাঙ্গার চেষ্টা করি বৃত্তে বন্দী থেকেই
মোরশেদ ভাই, অনেক ভালো এবং তথ্যবহুল একটা পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। এই পোষ্টটা না পড়লে হয়তো জানা হতো না, বুদ্ধিজীবির খোলস গায়ে লাগিয়ে আসিফ নজরুল যে আসলে জামাতি আর আইএসআই এজেন্ট এটা জানা হতো না হয়তো কোনোদিন।
এইরকম দালালদের মুখোশ উন্মোচন করার সময় এসেছে এখন।
এই মালকে আমি প্রায়ই দেখতাম আইডিবি ভবনের ইউএনডিপি অফিসে। কতো কোটি টাকা যে উনি কামিয়েছেন ইউএনডিপির কনসালট্যান্সি করে তা উনিই জানেন। ট্যাক্স ঠিকমতো দিয়েছেন কি না তা'ও উনিই জানেন। তবে উনি টিভির এক টক শোতে নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে উনি সব কনসালটেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ডিসক্লোজ করতেন না। নিয়মমতো বিশ্ববিদ্যালয় মোট কনসালট্যান্সি করা টাকার ১০% পায়। উনি এটা স্বীকার করেছিলেন অন্য শিক্ষকদের ডাউন দেওয়ার জন্যে যে কিভাবে শিক্ষকেরা দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে যে তাদের কেউই কনসালট্যান্সির কথা ডিসক্লোজ করেনা। তাছাড়া রেনাটা লক-ডেসালিয়েনের খাস কামরায়ও তিনি যেতেন। কি আশ্চর্য চরিত্র! চামে চামে ১/১১ এর অন্যতম হোতা রেনাটার দালালী করেছেন আর টক শো গুলোতে ১/১১র যৌক্তিকতা নিয়ে গলাবাজী করেছেন। বাপের প্রোডাক্ট হলে উনি বলুক রেনাটার বাসায় উনি মুজাহিদীর সাথে ইফতার করেনি?
আসলেই উনি একটা মাল!
রাতঃস্মরণীয়
এত দেখছি ভয়াবহ ব্যাপার! ডিম ট্রিটমেন্টের সাইড ইফেক্টস্বরূপ এখন কিছু ওজনদার ছাগুদের চেনা যাচ্ছে।
একটা দারুণ পোষ্ট!
অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই পেছনের নানান কথাগুলো সামনে নিয়ে আসার জন্যে।
আসিফ নজরুলের ঘটনা শুনে মনে হল ইনি প্রায় সব ক'টি নৌকায় পা দিয়ে রেখেছেন একই সাথে---যাতে করে একটি ডুবলেও বাকীগুলো তাকে ভাসিয়ে রাখতে পারে। সেজন্যে তিনি গন আদালতের সাথে যেমন জড়ান,ক্যাম্পাসের যুবকে অভিকে দেন বিয়োগান্তক নাটকের নায়কের মর্যাদা, তেমনি ভাবে যোগাযোগ রেখে চলেন জামাতীদের সাথে প্রকাশ্যে কিংবা অপ্রকাশ্যে। তার এই ভূমিকা তাকে ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান করেছে ঠিকই---আর এইটাই হয়ত তার মূল চাওয়া ছিল।
এইজন্যেই জামাতীদের চেয়েও মাঝে মাঝে এর মত মানুষদের আমার ভয় লাগে বেশি----জামাতীরা বা অন্য প্রতিক্রিয়াশীল দলের লোকেরা হয়ত গায়ের রঙ বদলায় না। রঙ বদলায় আসিফ নজরুলের মত লোকেরা। এরাই সাপ হয়ে কেটে ওঝার ভুমিকায় ঝাড়তে আসে।
মনুষ্যরূপী এই গিরগিটিগুলোর জন্য ধিক্কার---!!
গিরগিটি নজরুল!!
অসংখ্য ধন্যবাদ ধোঁয়াশা সরিয়ে জরুরি একটা আলাপ করার জন্য।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এই পোষ্টে যদি কোন তথ্যগত ভুল থাকে দয়া করে যে কেউ ধরিয়ে দেবেন।
কোন ব্যক্তির প্রতি বিদ্বিষ্ট হয়ে আক্রোশমুলক সিদ্ধান্তনয় বরং বিচ্ছিন্নভাবে নানাজনের কাছ থেকে শুনা তথ্যগুলো সন্নিবিষ্ট করে এই পোষ্টের অবতারনা। উদ্দেশ্য হচ্ছে তথ্যগুলোর যাচাই-বাছাই।
মুল পোষ্টে সংশোধনী এবং আপডেট দেয়া হয়েছে।
ভিন্নমত, ভিন্নতথ্য সাদরে স্বাগত
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
Bondhura,shuna kothay kan dibenna...
ভাই কান থাকলে তো কথা কানে আসবেই। কানকাটা হলে অবশ্য অন্য কথা
তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে, দেশের টাকা লুটপাট করেছে এগুলো কিন্তু শোনা কথাই। আমরা কেউ নিজের চোখে দেখিনি তারেককে দেশের টাকা চুরি করতে। তাই শোনা কথায়ও কান দিতে হয়, যদি সেই কথা তথ্যবহুল, যুক্তিসঙ্গত ও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।
এমন বুদ্ধি মাথায় না থাকলে একটা মানুষকে আমি বুদ্ধিজীবি বলতে না রাজ। যে দিক থেকে বৃষ্টি আসছে ছাতা সে দিকেই ধরতে পারার নাম বুদ্ধিজীবি। বুদ্ধিজীবিরা সার্থক পরগাছা।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
চমৎকার পোষ্ট। ফেইসবুকে শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ হাসান মোরশেদ ভাই।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
নজরুল ইসলাম খান (কথিত আসিফ নজরুল) আবার বুদ্ধিজীবী হল কবে? ওর একমাত্র গুণ হল ক্রমাগত কথা বলতে পারা। এই জিহ্বার জোরেই সে আজ বুদ্ধিজীবী। নইলে একই অনুষ্ঠানে সে বরের মামা কনের পিসে সাজে কী করে? লক্ষ করে দেখবেন, যে-কোনও প্রশ্নেরই জবাব তৈরি করা আছে তার, কেবল প্রশ্ন করলেই হল, চটজলদি জবাব দেবার জন্য সে একদম তৈরি। এ কারণে ভাল বক্তা হিশেবে নাম কুড়িয়েছে সে, আর আমাদের দীন মিডিয়া টিভিতে কেউ দু'চারটে বক্তব্য রাখলেই তাকে বুদ্ধিজীবী তকমা লাগিয়ে দেয়। নিজের আখের গোছাতে এই লোক নিজের বাপকেও বেচতে পারবে (রাজাকারদের যে-কোনও অজুহাতে যে-কোনও দৃষ্টিভঙ্গিতেই সমর্থন করা বাপ বেচার চেয়ে কম কী?), তার তুলনায় আইএসআই-এর এজেন্ট হওয়া বা জামাতীদের পক্ষে সাফাই গাওয়া এমন কোনও কাজই নয়। তবে নজরুল ইসলাম খান যে জামাতের পুরনো বন্ধু, এ তথ্য লোকে এতদিন পরে জানছে কেন? আমার তো ধারণা ছিল, এতদিনে সবাই জেনে গেছে। তার নামের আগে বিশেষণ যোগ করা হোক, 'বিশিষ্ট জামাতী বুদ্ধিজীবী (?)', আমরা যেমন সহজাত প্রবণতায় যোগ করি, 'স্বৈরাচারী এরশাদ' বা 'নরপশু গোলাম আযম', তেমনই।
this artile is probably based on lot of wrong information, assumptions and contradictions. As a contemporary student of the Dhaka University and his one time close associate, I just mention a few.
1. It is right that Asif Nazrul Joined the Law Department when Mr. Bari was Chairman. But it is also true that at that time the Dean was Prof. Kamruddin who was vetern Blue (Awami) teacher. At the same timw when Dr. Bari was chairman, Dr. Mizanur Rahman Khan, the present Chairman of the Human Right Commision also joined the Law Department. Does it mean Dr. Mizan was also Jamatee?
2. During his student life Asif Nazrul was actively involved with JSD Chatra league, not with Chatra Dol. I was in the same committee of the Science Annex JSD Charta League where he was probably organising secretary.
3. Asif Nazrul's Novel Campaser Jubok was based on a JSD carde and his love story. All around the campass at that time knew that story. He wrote the Novel about Ovi in another novel, I forget the name (may be Choyaa).
4. I heard many talk shows where he critisied the autocratic arrest of many Awami League and BNP leaders during 1/11. The VDO you posted here I saw the talk show. He was mentioning that Nizami could be tried for War crimes, not corruption. If his statement was wrong then why present AL government is doing the same thing. Why Al is not doing trial of Nijamees for corruption. Does it mean AL is also certifying that Nijamee and other jamat leader are war criminals, but honest.
5. I read a prothom-alo Eid- issue where Asif Nazrul wrote about the gonoadlot episode very detail with lots of Jahanara Imam's letter. this article suggest something different from what you are saying.
5. Yes he left Bangladesh to do his phd when the Rastrodohitra mamla was there. But before him, Jahanara Imam also went to US for her treatment. At that time the culture of Airport stopagge was not there.
6. Asif Nazrul Joined Bichitra long before 1990. I was a second year student and he was probably 2/3 years senior. he treated us in the canteen, it was probebly 1987/1988.
I protest the injustice you have done by publishing half truth and by making asumptions on that. I do not know whether you would publish my comments. I hope Hasan Morshed has the honesty.
ভাই সিরাজ,
জামায়াতে ইসলামীর নেতা হিসাবে রাজনীতি করছে বা করেছে এমন পাঁচজন রাজাকারের নাম বলেন দেখি। তারপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি।
কি মাঝি, ডরাইলা?
জনাব সিরাজ
জেনে ভালো লাগলো ডঃ নজরুল ইসলাম( আসিফ নজরুল) এর একজন ঘনিষ্ঠজন কষ্ট করে এখানে মন্তব্য করতে এসেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
আরেকটু কষ্ট করে যদি পোষ্টের শিরোনাম থেকে শেষপর্যন্ত পড়েন, বুঝতে পারার কথা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি কোন সিদ্ধান্ত কিংবা রায় ঘোষনা করিনি। শিরোনামের প্রশ্নবোধক চিহ্নটা চোখে পড়েছে তো আপনার?
তরুন বয়সে গনআদালতে সক্রিয় হওয়ার, শহীদ জননীর সান্নিধ্যলাভের গৌরব যিনি লাভ করেছিলেন-পরিনত বয়সে কেনো তিনি অন্যতম ঘাতককে সততার সনদ প্রদান করেন এই প্যারাডক্স বুঝতে গিয়ে আমি নানাজনের সাথে কথা বলে যে সব তথ্য, কানাঘুষা, এসাম্পশন পেয়েছি তাই এখানে তুলে ধরেছি যাতে এইসবের তথ্যের সত্যতা যাচাই, সংযোজন, বিযোজনের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যের কাছাকাছি যাওয়া যায়।
উপরে দেখবেন এক মন্তব্যে আমি জানিয়েছি যে কোন ধরনের সংশোধন এই পোষ্টে গৃহীত হবে।
এবার আসুন আপনার পয়েন্টগুলো নিয়ে কথা বলিঃ-
১। ডঃ মীজানুর রহমানের যোগদানের সাথে আসিফ নজরুলের যোগ দেয়ার পার্থক্য হলো- ডঃ মীজান অন্য কোথাও থেকে কেবল বদলী হয়ে এসেছেন আর আসিফ নজরুল একেবারে নতুন চাকরীতে যোগদান করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকরী এবং কমনওয়েলথ বৃত্তি দুটোর জন্যই নির্বাচিত হয়েছেন। আপনি কি নিশ্চিত করতে পারেন এই দুটো লাভের জন্য একাডেমিক ভাবে তিনিই যোগ্যতম ছিলেন? আমার তথ্য বলে তার ফলাফল সর্বোত্তম ছিলোনা।
তাহলে এই দুইলাভের জন্য বিকল্প যোগ্যতা কি? রাজনৈতিক বিবেচনা। রাজনৈতিক বিবেচনায় তো গনআদালতের সাথে সম্পৃক্ত একজন যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে তার বিএনপি-এরশাদুল বারীর স্নেহধন্য হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আসিফ নজরুল হয়েছেন। প্যারাডক্সটা ধরতে পারছেন?
২। ঠিকাছে। এটাকে আমি সংশোধনী হিসেবে নিলাম। আসিফ নজরুল জাসদ ছাত্রলীগ করতেন। তবে অভিদের সাথে ঘনিষ্ঠতার যে কানাঘুষা সেটা কি মিথ্যে? মিথ্যে হলে জানাবেন।
৩। '৯০ র গনআন্দোলনের সময় আমি স্কুলফাইনাল পরীক্ষার্থী। গনআন্দোলনের পরপর আসিফ নজরুলের বইগুলো পড়েছি কিশোর বয়সের অনেকে মুগ্ধতা নিয়ে। ক্যাম্পাসে যুবক, নিষিদ্ধ কয়েকজন, ছোঁয়া। অনেকে এমন ও বলেন তৎকালীন জাসদের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও পরে খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর মেয়ের সাথে তার নিজের সম্পর্ককে তিনি উপন্যাসে নিয়ে এসেছেন। ব্যক্তিগত কথন এড়িয়ে গেলাম।
৪। মানব ইতিহাসের অন্যতম গনহত্যার শীর্ষ অপরাধীদের একজন- তার আবার সততা কিসের? যে মানুষ সৎ সে গনহত্যায় অংশ নেয় কি করে? গনহত্যা দুর্নীতি নয়? সুনীতি নাকি?
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক সততার সংজ্ঞা জানেন না! হিটলার দুর্নীতিমুক্ত ছিলো তার সময়ের অন্য নেতাদের চেয়ে, তার শিল্পবোধ ছিলো, ইভাব্রাউনকে সে খুব ভালো আদর করতো- ইউরোপে এসে এসব ইতরামী কথাবার্তা বলেন, বাকস্বাধীনতা শিখিয়ে দেবে।
আওয়ামী লীগকে নিজামী গং এর বিচার করতে হবে গনহত্যার অপরাধের। দুর্নীতির কেনো? ফাইজলামী নাকি?
৫। আমি পড়িনি। প্রথম আলো এবং এর কলাম লেখকরা চেক এন্ড ব্যালেন্স করে, নিজেদের সুস্পষ্ট অবস্থান আড়াল রেখে
৬। ঠিকাছে। তখনকার সরকার এখনকার সরকারের মতো 'ফ্যাসিবাদী' ছিলোনা, রাষ্ট্রদ্রোহীদ্রের আরামে বিদেশ যেতে দিতো। জাহানারা ইমাম গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য যদি আমার ভুল না হয় আদালতের অনুমতি নিয়ে।
আসিফ নজরুল গিয়েছিলেন কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি করতে। বৃত্তি নিয়ে বাইরে যেতে তো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগার কথা। রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা থাকা অবস্থায় এই সার্টিফিকেট জোগাড় করলেন কিভাবে?
৭। হতে পারে। আসিফ নজরুল আমাকে কখনো ট্রিট করেননি
সিরাজ সাহেব,
আপনার কথিত 'অর্ধসত্য এবং অনুমানের উপর প্রতিষ্ঠিত অবিচার' করার আমি কেউ নই। বিচার-অবিচার করবে পাঠক। আমি শুধু সূত্রধরের কাজ করেছি, এর বেশী কিছু নয়। ব্লগিং/নেটমিডিয়ার এই অনন্যতা আপনাদের বুঝতে হবে। কাগুজে মিডিয়ার মতো এখানে চাপিয়ে দেয়া যায়না। যাচাই-বাছাই, তর্ক-বিতর্ক, সংশোধন, সংযোজন-বিযোজন এর মাধ্যমে পাঠক তার সিদ্ধান্ত নেবেন।
আপনি আশা করেছিলেন হাসান মোরশেদের সততা থাকবে আপনার মন্তব্য প্রকাশের। মন্তব্য প্রকাশ করেন মডারেটররা। যদিও সচলায়তনের নীতি হচ্ছে ইংলিশ/বাংলিশ মন্তব্য প্রকাশ না করা তবু পরিস্থিতি বিবেচনায় মডারেটর আপনার মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। সচলায়তন এবং হাসান মোরশেদের এই সততা আছে।
ভালো থাকুন। পরবর্তীতে বাংলায় মন্তব্য করুন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ঘোষণা দিয়ে লেখা আপনার এই লেখাটি কেমন যেন ঈর্ষা প্রণোদিত একটি লেখা।হাওয়া থেকে বাতাস থেকে আকাশ থকে পেড়ে পেড়ে আসিফ নজরুল সম্পর্কে আপনি কিছু তথ্য দিয়েছেন,যেগুলো সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত নন। সঠিক তথ্য পেলে সংশোধনী দেয়ার অপ্রয়োজনীয় উদারতা দেখেয়েছেন।আবার ঘোষণা দিয়ে লিখতে নেমে কষ্ট করে শুধু তার ব্যাপারে আপনি আমাদের সঠিক তথ্য জানানর মহৎ উপলক্ষে অনেকজনের কাছে ধর্ণা দিয়েছেন,আপনাকে গ্রামের ওই কূটনী বুড়ির মত আচরণ করতে দেখে একটু অবাক হলাম।কোন সিদ্ধান্ত আপনি দেননি আসলে হয়তো পৌছতে আপনি পারেননি। কিন্তু কোন একটা তীব্র ঈর্ষা এবং ক্রোধ আপনার মধ্যে কাজ করেছে।আপনার মূল লেখায় সেটি আপনি কিছুটা ঢাকতে পারলেও সিরাজ সাহেবের মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আপনার পক্ষে তাই আর নিজেকে ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।
একজন সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়ার পর তার কারেকশন দিতে দিতে আপনার লেখার চূড়ান্ত রুপ আর মন্তব্যটা কি হবে তা নিয়ে চিন্তা করে দেখবেন।
শেষমেষ আপনি হয়তো সব যুক্তি হারিয়ে চীৎকার করে বলতে থাকবেন,আসিফ নজরুল-দালাল, আসিফ নজরুল-দালাল, আসিফ নজরুল-দালাল, আ--সি--ফ নজরুল-দা---আ---লা-ল।
আমরা যাকে তাকে গত কয়েক বৎসর যাবত চিনি, তাকে বাংলাদেশের এক গাদা দালাল শ্রেণীর বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং বক্তার ভীড়ে দেশপ্রেমিক স্পষ্টবাদী নিরপেক্ষ কলামিষ্ট এবং বক্তা বলেই মনে হয়েছে।
[ আপনার লেখা ভাল লাগে বলেই সচলায়তনে একদিন কোন এক জায়গায় মন্তব্যে আপনি এই লেখার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেটি মনে ছিল।অহ হ্যাঁ, ওখানেই অবশ্য আপনার ঘোষণা থেকে মনে হয়েছিল,আপনি তার বিতর্কিত দিকগুলো নিয়েই লিখবেন।লিখেছেন।কথা রেখেছেন।সেজন্য ধন্যবাদ।আজকাল কেউ কথা রাখেনা।]
জনাব সালেহীন,
গনহত্যার শীর্ষ অভিযুক্তকে যিনি জোর গলায় সততার সনদ প্রদান করেন তাকে যদি আপনার কাছে দেশপ্রেমিক স্পষ্টবাদী নিরপেক্ষ কলামিষ্ট এবং বক্তা বলেই মনে হয়- আপনার সেই মনে হওয়ার দায় দায়িত্ব তো ভাই আমি নেবোনা।
ছাত্রদল নয় জাসদ ছাত্রলীগ করতেন, উপন্যাসের নাম 'ক্যাম্পাসের যুবক' না হয়ে 'নিষিদ্ধ কয়েকজন' হতে পারে, বিভাগীয় প্রধান আব্দুল বারী না হয়ে এরশাদুল বারী - এর চেয়ে খুব বেশী কোন ভুল তথ্য আছে নাকি?
এসব ভুলে কি মুল বিষয় আড়াল হয়ে যায়? গনআদালতে সম্পৃক্ত একজন সেই চরম রাজনৈতিক মুহুর্তে কি করে বিপরীত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে যান- এই প্রশ্ন কি ইনভেলিড হয়ে যায়?
আমি ধরে রাখতে পেরেছি আপনাকে কে বললো?
সেই কৈশোরের উত্তাল দিনে যে মানুষদের প্রমিথিউসের মতো সাহসী মনে হয়েছিলো, ঘাতক দালালের প্রতীকি বিচার আয়োজনের অমীয় সাহস যারা দেখিয়েছিলেন তাদের একজনকে যখন পরবর্তীতে দেখেছি ভিন্ন সমীকরনে, ঘাতক শিরোমনিকে সৎ লোকের সনদ বিতরনে তখন তীব্র ক্রোধ এবং আরো তীব্র ঘৃনা হয়েছে আমার।
কি করা যাবে বলুন- আমি আপনার ঐ কথিত দেশপ্রেমিক স্পষ্টবাদী নিরপেক্ষ কলামিষ্ট এবং বক্তা 'র মতো নিরপেক্ষতাবাদী নই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
উদ্ধৃতি
আওয়ামী লীগকে নিজামী গং এর বিচার করতে হবে গনহত্যার অপরাধের। দুর্নীতির কেনো? ফাইজলামী নাকি?
................................................
অপরাধীর সব অপরাধেরই বিচার করতে হয়।নাহলে এর একটি বিপদজনক দিক আছে।সেটি না হলে অপরাধের মূলোৎপাটন হয়না।খুনের অপরাধের বিচার করবেন, কিন্তু দুর্নীতির বিচার করবেন না, এটি কেমন যেন খাপছাড়া মনে হল।মনে হল একটু আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আছে।
আসলে, দুর্নীতি অনেকটা এখন সহনীয় হয়ে গেছে অনেকের।আর এই জিনিষটা নিয়ে টান দিলে অনেকেই এখানে জামাতিদের হার মানাবে।জামাতিরা যদি দুর্নীতিবাজ হয়ে থাকে তারও বিচার হতে হবে।সরকারের দ্বায়িত্বের মধ্যেই সেটি পড়ে।আসিফ নজরুল কোন পরিপ্রেক্ষিতে জামাতিদের পক্ষে কথা বলেছেন, সেটি যে কোন ঠান্ডা মস্তিষ্কের মানুষও বুঝবে।এটিকে প্রধানতম ইস্যু করা আপনার লেখার সবচাইতে বড় দুর্বলতা।আসিফ নজরুল,আসাফুদ্দৌলাহ,নুরুল কবীররা সেনাসমর্থিত ত্তত্বাব্ধায়ক সরকারের সময় যতখানি সাহস নিয়ে কথা বলে সেনা শাসকদের অনবরত খোঁচা দিয়ে ব্যতিব্যস্ত করে গেছেন, তা প্রশংসার দাবী রাখে।
আসিফ নজরুলের গ্রহণযোগ্যতা এবং স্পষ্টবাদিতা মাঝেমধ্যেই সরকারের বিতর্কিত পদক্ষেপ গুলোকে বিদ্ধ করছে।আওয়ামী লীগের সমর্থকদের গাত্রদাহের সৃষ্টি করছে।কিন্তু লিবারেল আর্টের এই অনলাইন ব্লগিং এ সরাসরি একটি দলের বিপক্ষে কথা বলার জন্য সমালোচনা করা যায় না। কাজেই, ধরতে হবে অন্যদিক থেকে।
কৌশল হিসেবে এটি অনন্য।কিন্তু সত্যকে মিথ্যার সাথে, মিথ্যাকে সত্যের সাথে মিশ্রিত করে আর প্রয়োজনীয় অনুমানকে কাজে লাগিয়ে কারো চরিত্র হনন করা যায়।ভয় থাকে, কূটবুদ্ধি সবসময়ই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসার।
১। আসিফ নজরুল কিরাকসম কেটে জানাচ্ছেন- নিজামী সৎ লোক( ভিডিও স্বাক্ষী)
২। আসিফ নজরুল ঘনিষ্ঠজন দাবীদার সিরাজ জানাচ্ছেন- 'Nijamee and other jamat leader are war criminals, but honest.'
৩। আসিফ নজরুলকে দেশপ্রেমিক স্পষ্টবাদী নিরপেক্ষ কলামিষ্ট এবং বক্তা তকমা দেয়া আপনি জানাচ্ছেন- 'দুর্নীতি অনেকটা এখন সহনীয় হয়ে গেছে অনেকের।আর এই জিনিষটা নিয়ে টান দিলে অনেকেই এখানে জামাতিদের হার মানাবে।'
শুনেন সালেহীন সাহেব,
গনহত্যায় হাত রাঙ্গিয়ে জামাত তার সর্ব্বোচ্চ অপরাধ করে ফেলেছে। এখন আর্থিক দুর্নীতি, আর্থিক অসততা এগুলোকে সামনে এনে জামাতকে আওয়ামী লীগ, বিএনপির কাতারে দাঁড় করানোর ধান্দাবাজি কৌশল এখন আর কার্যকরী না।
নানা বুলচালে আওয়ামী বিএনপির কুকর্মকে ঢাল বানিয়ে যারা জামাতের সুনীতি, সততা প্রচার করতে চায় তারা মুলতঃ গনহত্যার অপরাধকেই আড়াল করতে চায়। সেটা স্বনামে আসিফ নজরুলই হোক আর বেনামে সিরাজ-সালেহীনই হোক।
পিরিয়ড।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জামাতিরা কেনো, যে কোনো একজন সাধারণ নাগরিকও যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তার বিচার হওয়া উচিৎ। করা উচিৎ। কিন্তু সেটার সাথে আসিফ নজরুলের নিজামী তথা জামাত বন্দনা এক করে গুলিয়ে ফেললে হবে? নিজামী গং-জামাত-যুদ্ধাপরাধী'র বিচার আলাদা আবেদন দাবী রাখে না?
আসিফ নজরুল স্পটবাদী হোক তাতে কোনো সমস্যা নাই। দেশের উন্নতির স্বার্থে, দেশের উৎকর্ষতার স্বার্থে সে হাজারটা যৌক্তিক সমালোচনা করুক সরকারের সিদ্ধান্তের। কিন্তু নিজামীর মতো হিংস্র শুয়োর আর তার দলের বিরুদ্ধে একজন বাংলাদেশী যখন সাফাই গায় তখন তাকে সমালোচনা বলার অবকাশ আর থাকে না। সেটা হয়ে যায় পরিষ্কার দালালি। দুঃখের ব্যাপার হলো, সেই দালালিরও আর্দালালি চলতে থাকে অনবরত, লজ্জাহীন।
ভাইরে, দুর্নীতিময় বাংলাদেশ মেনে নিতে পারি, কিন্তু দালালে দালালময় বাংলাদেশ কেমনে মেনে নেই?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাসান মোরশেদঃ
শুনেন সালেহীন সাহেব,
গনহত্যায় হাত রাঙ্গিয়ে জামাত তার সর্ব্বোচ্চ অপরাধ করে ফেলেছে। এখন আর্থিক দুর্নীতি, আর্থিক অসততা এগুলোকে সামনে এনে জামাতকে আওয়ামী লীগ, বিএনপির কাতারে দাঁড় করানোর ধান্দাবাজি কৌশল এখন আর কার্যকরী না।
তাইতো, ঠিকই তো আছে।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে । ফোকাসটা এখন আমাদের ওখানেই। শুধু শুধু পরিস্থিতিটাকে ব্যবহার করে ঘোলা জলে মাছ শিকারের মত আসিফ নজরুলের চরিত্র নিয়ে টানাটানির ধান্ধাবাজির দরকার পড়ল কেন ?
আমাদের দেশটাই এরকম, শক্তের ভক্ত নরমের যম। এক ব্যক্তি আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে জামাতিদের রাজাকারদের দালালি’র অভিযোগে কত না কথাই বলছেন।
এই জামাতিদের দেওয়া তত্ত্বাব্ধায়ক সরকারের ফর্মূলা নিয়ে জামাতকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের মূলধারার রাজনৈতিক সংগঠন কি সারা দেশে জ্বালাওপোড়াও আন্দোলন করেনি ? গোলাম আযমের দোয়া চেয়ে দূত কি ঐ রাজাকারের বাসায় যায়নি ? ২০০১ এর নির্বাচনে জামাত আর বিএনপি একজোট হয়ে নির্বাচন করে, বিএনপি আর জামাত সাত পাকে বাঁধা না পড়লে, আর আওয়ামী লীগের সাথে ভবিষ্যতে একই প্লাটফরমে দাঁড়নোর সম্ভাবনা মিইয়ে না গেলে কি ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে দিয়ে এই যুদ্ধাপরাধী বিচারের হিড়িক বাংলাদেশে এরা তুলতো ? ২০০৮এর প্রাকনির্বাচনী প্রচারণায় যুদ্ধাপরাধের বিচার কতখানি বিবেকের টানপ্রসূত আর কতখানি রাজনৈতিক কৌশল সেটি বুঝতে তো রাজনীতিবিদ হতে হয় না। তাহলে, চলুন, যুদ্ধাপরাধীদের কোন না কোন সময়ে প্রশ্রয় দেয়ার জন্য, আত্মীয়তা করার জন্য এদেরকেও আমরা দালাল হিসেবে চিহ্নিত করে বর্জন করি। পারবেন না। ব্যক্তি আসিফ নজরুল এর ভিন্ন একটি পরিস্থিতিতে বলা কথা নিয়ে হৈ চৈ করার আর তেড়েফুঁড়ে তাকে জামাতিদের দালাল বানানোর পেছনে তাই অন্য কোন ব্যক্তিস্বার্থগত উদ্দেশ্য আছে বলেই আমার মনে হয়।
কিন্তু সেটার সাথে আসিফ নজরুলের নিজামী তথা জামাত বন্দনা এক করে গুলিয়ে ফেললে হবে? নিজামী গং-জামাত-যুদ্ধাপরাধী'র বিচার আলাদা আবেদন দাবী রাখে না?
এক্কেবারে একমত।এবং যুদ্ধাপরাধের বিষয়টিকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়েই তো কাজ এগুচ্ছে।আসিফ নজরুলের কোন মন্তব্য জামাতিদের পক্ষে গিয়ে যুদ্ধাপরাধবিষয়ক ট্রাইব্যুনালকে কোন সমস্যায় ফেলেছে বলে তো শুনিনি।
ধূসর গোধূলিঃ
ভাইরে, দুর্নীতিময় বাংলাদেশ মেনে নিতে পারি, কিন্তু দালালে দালালময় বাংলাদেশ কেমনে মেনে নেই?
আমিও পারিনা।বিবেকবান কোন মানুষ পারেনা। কিন্তু কি করবেন বলেন, জন্মেছি এই দেশে।এই দেশে দালাল আর ভূঁইফোঁর আর্দালালদের বাছতে গেলে ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।
আপনের সমস্যাটা বুস্তার্ছি।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এইসব ছাগুছানারা বরাহদের চেয়ে কম বিপদজনক নয়। সবচাইতে আতংকের বিষয় হচ্ছে এরা যখনই চাই, সুবিধামতো রেফারেন্স দিয়ে পার পেয়ে যাবার সুযোগ তৈরী করে রেখেছে।
---- মনজুর এলাহী ----
আমাদের প্রজন্মের অনেকেরই আসিফ নজরুলের ওপর একটা অকারণ মুগ্ধতা আছে। এই পোস্ট তাদের সেই ভুল ভাঙাবে সেই আশায় লেখাটা অনেকের সাথে শেয়ার করলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সাপ্তাহিক ২০০০ এর কোন এক সংখ্যায় এই লোকের আত্নজীবনী মূলক লেখা '' পিএইচডির গল্প'' পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছিল। অন্য লেখা তেমন ভালো না লাগলেও শুধু মাত্র ঐলেখাটার জন্য একে শ্রদ্ধার চোখে দেখতাম। এই লোকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কিছু স্ক্যান্ডালের কথা কানে এসেছিল। কিন্তু অন্যের স্ক্যান্ডাল নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না।
এই লেখাটা পড়ে চোখ খুলে গেল। এটার দরকার ছিল ধন্যবাদ।
Dear Murshed bhai, he was definitely involve with Jatio Chatro Leage not with dol. I think this article needs more research boss. Please don't get me wrong way. TC
ধ্রব,
জাতীয় ছাত্রলীগ? জাতীয় ছাত্রলীগ তো ছিলো বাকশালের ছাত্রসংগঠন। আওয়ামী ছাত্রলীগের চেয়ে ও হার্ডকোর মুজিবভক্তরা (যাদের মধ্যে চোর-চ্যাচ্ছড়ের চেয়ে মারকুটে ছেলেপিলে বেশী ছিলো) জাতীয় ছাত্রলীগ করতো। '৯১ এর নির্বাচনের পর আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামীলীগে যোগ দিলে এটি আওয়ামী ছাত্রলীগের সাথে মিশে যায়
আসিফ নজরুল জাতীয় ছাত্রলীগ করার কথা আমি কোনদিন শুনিনি।
উপরে দেখেন একজন জানিয়েছেন আসিফ নজরুল জাসদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আসিফ নজরুল কোন কালেই জাতীয় ছাত্রলীগের কোন ধরণের কমিটির সদস্য ছিলো না, এমনকি সাধারণ সদস্যও ছিলো না।
...........................
Every Picture Tells a Story
হাসান মোরশেদকে ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য। নব্বুই পরবর্তী সময়টা ছিল জামাতীদের গণ অভ্যুত্থানের সুফল কুড়ানোর সময়। বিএনপির নেতারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সুফল কুড়িয়েছেন। কিন্তু জামাত তা কুড়িয়েছে সংগঠনের জন্য থিংকট্যাংক জোগাড়ের কাজে। বিএনপি ভেবেছে ওটা জামাতই করুক, কাজেতো আসবেই।আসিফ নজরুল কাজে আসতে শুরু করেছেন মনে হচ্ছে। ওই সময় না পারলেও ৯৬এর পর কিছু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে সক্ষম ছেলেকে বাইরে পড়তে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, কিন্তু আজকে বিএনপির থিংক ট্যাংক যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে আইনী বিশ্লেষণ নিয়ে যখন বড় পত্রিকায় বা টকশোতে হাজির, তখন সেগুলোকে খন্ডনের জন্য তৈরী করা আইনবিদদের দেখছিনা। সবাই দেশের বাইরে, একটা ব্লগ পোস্ট লেখার অবসর নেই তাদের। এতে বোঝা গেল বৃত্তি দিয়ে আত্মকেন্দ্রিক মানুষ তৈরী করে লাভ নেই। হাসান মোরশেদ আশা করছি আসিফ ভাইয়ের প্রথম আলোতে সম্প্রতি প্রকাশিত যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সফট লেখাটির একটি প্রতি বিশ্লেষণ লিখবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মাসকাওয়াথ ভাই,
আপনারা তো অনেক কিছুই জানেন। কিন্তু আজকাল এসব লেখেন না।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
লেখাটা পড়ে মন খারাপ হলো। কারো মুখোশ খসে পড়লে কেমন যেন এক বিপন্নতাবোধে আক্রান্ত হই। সচলায়তন বøগে আজ-ই এলাম।
রশিদা আফরোজ?
আমাদের আদিযুগের বন্ধু নাকি?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হা, হা, হা...! আমি সেই রশিদা আফরোজ!! কী ভাগ্য আমার, সচলায়তনে চোখ রেখেই বন্ধুর মুখ দেখলাম।
সর্বদিকে ছাতা ধরে অভ্যস্ত আসিফ নজরুল আহমদিয়া মুসলিম কমিটিতেও গেস্ট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দিতে যান।
কাজী মামুন
মামুন ভাইয়ের লিংক ধরে গিয়ে তো তাজ্জব বনে গেলাম! এর পরও কি নিরপেক্ষ নিরপেক্ষ বলে গলার রগ ফুলিয়ে ফেলবেন আসিফ নজরুল এবং তার সাপোর্টাররা?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আহমদিয়া মুসলিম এর সাথে জামায়াতে ইসলামী আর যুদ্ধাপরাধের দালালী কিভাবে মেলাচ্ছেন দয়া করে জানান (যদিও আদৌ মিলিয়ে থাকেন)। আর না মিলিয়ে থাকলে পরিষ্কার করুন, এই ছবি থেকে আপনার ইমপ্লিকেশন কি? আহমদীয়া মুসলিমদের উপর মাঝে মাঝেই জামাত বিভিন্ন ব্যানারে হামলা চালাতে যায়, আর যারা জামাত না, মানে মানুষ, তারা যায় তাদের বাঁচাতে। এই ছবি দিয়ে আপনি ব্যাপারটা গুলিয়ে ফেলছেন কি?
ভাই কষ্ট করে আপনি আমার পুরো লাইনটা আরেকবার পড়েন-
আমি সর্বদিকে ছাতাধরা'র কথা বলেছি। প্রত্যক্ষ জামাতের চাইতেও এরা ভয়ংকর!
প্রত্যক্ষ জামাতকে আপনি যুদ্ধাপরাধ এর মামলায় ধরতে পারবেন, এদের পারবেন না! এরা জামাতের সার্থে কাজ করবে আবার মানবতাবাদ খোলসও গায়ে দিয়ে রাখবে!
কাজী মামুন ভাই তো জটিল লিংক দিয়েছেন। ওখানে শুধুই যে আসিফ নজরুল, তা নয়। ওখানে তো দেখছি বড় মাল, বুড়ো মাল, সব মাল হাজির। হাজার হোক জলসা বলে কথা। পিছনের সারিতে আসন দিলেও আপত্তি নেই পাছে জলসা মিস হয়ে যায়!
http://www.alislam.org/gallery2/v/album99/album15/album410/album412/aao.jpg.html
http://www.alislam.org/gallery2/v/album99/album15/album410/album412/aam.jpg.html
http://www.alislam.org/gallery2/v/album99/album15/album410/album412/aak.jpg.html
http://www.alislam.org/gallery2/v/album99/album15/album410/album412/aao.jpg.html
http://www.alislam.org/gallery2/v/album99/album15/album410/album412/aae.jpg.html
http://www.alislam.org/gallery2/v/album99/album15/album410/album412/aag.jpg.html
http://www.alislam.org/gallery2/v/album99/album15/album410/album412/aah.jpg.html
http://www.alislam.org/gallery2/v/album99/album15/album410/album412/aai.jpg.html
http://www.alislam.org/gallery2/v/album99/album15/album410/album412/aaj.jpg.html
http://www.alislam.org/gallery2/v/album99/album15/album410/album412/aal.jpg.html
রাতঃস্মরণীয়
এই ছবির বাম থেকে তৃতীয় ভদ্রলোক কে?
এই ছবি কী প্রমাণ করে জানি না। এখানে তো অনেকেই আছেন। আর আহমদিয়া সমাজের ওপর তো অনেক নির্যাতন হয়। হিন্দুদের মতো তারাও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আমার মনে হয় এখানে বিভ্রান্তির অবকাশ থেকে যায়। আহমদীয় মুসলিম জামাত কিন্তু রাজাকার জামায়াত নয়। আহমদীয় মুসলিম জামাতকে বাংলাদেশে কাদিয়ানী নামেই বেশি পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এ সম্প্রদায় সংখ্যালঘু, এবং এদেরকে অমুসলিম ঘোষনার দাবি দিয়ে প্রায়ই জামাতি আর আমিনীরা আন্দোলন করে, এদের উপাসনালয়ে হামলা করে।
এটি একটা ইস্যু হিসেবে পকেটে রাখা থাকে, যখনই সরকারের সঙ্গে কোনো দরকষাকষির দরকার হয়, তখন আহমদীয়া ইস্যুতে রাস্তা গরম করা হয়।
চমৎকার জবাব আরিফ ভাই!
সুস্থ হলেন তাহলে!
কাজী মামুন
আসিফ নজরুলের মতো, বদরউদ্দিন ওমর ও দেখি আওয়ামী বিরোধিতার নামে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করছেন........!! এদের পরিচয় সম্বন্ধে সজাগ করার জন্য হাসান ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ...
মূর্তালা রামাত
এই লোককে জামায়াতের মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি পদে নিয়োগ দেয়ার জোর দাবি জানাই।
ছাগোলে সবকিছুই খায়, তবে ছাগাইডেন্টিফিকেশনের জন্য কাঁঠাল পাতা অব্যর্থ। ওই লোক নিজামিরে যে সার্টিফিকেট দিলো, ওইটা হলো পুরো টপিকের কাঁঠালপাতা। আগেপিছে সে ছাত্রদল করতো, না লীগ করতো, ঘাতক দালাল নির্মুলে তার অবদান বা কর্তব্যে খেলাপি এইগুলা স্রেফ পার্শ্ব-তথ্য।
মানবতার ক্ষেত্র আছে, শুঁয়োরের জন্য মানবতা না। নিজামির একমাত্র পরিচয় সে শুঁয়োর, সে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কপালে দাগ ফেলে দেয়া বুজুর্গ কিনা, সেই প্রশ্ন যাদের মনে উদয় হয়, তাদের অবিলম্বে পাকপবিত্র দেশে হিজরত করা উচিত।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মিডিয়ার নীতিনির্ধারকরা যেদিন এইসব পল্টিবিশারদকে বর্জন করার মতো সাহস অর্জন করবে, সেদিন হয়তো দেশটা বদলে যাবে, লোকে দেশ বদলে দেবে।
কিছু তথ্যের নোকতা দেই।
১. আসিফ নজরুল শুরুতে ছিলেন খবর গ্রুপের কন্ট্রিবিউটর। মনোরমা, চিত্রবাংলা এসব পত্রিকায় লিখতেন। যাযাদি বন্ধ হওয়ার পরে বিচিন্তা, পূর্বাভাস, দেশবন্ধু এসব পত্রিকা শুরু হলে তরুণরা এসবের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তখন আসিফ নজরুল বিচিন্তা টিমের সঙ্গে এসে ভিড়েন। মিনার মাহমুদ তাঁর নাম আসিফ নজরুল করে দেন।
২. বিচিন্তার তরুন লেখকরা নির্মূল কমিটিতে সক্রিয় ছিলেন, এভাবেই আসিফ নজরুলের সম্পৃক্ততা।আলাদা কিছু নয়। শাহরিয়ার কবির বিচিন্তার টিমটাকে স্নেহ করতেন এ সূত্রেই আসিফ নজরুল বিচিত্রায় আসেন, বিচিন্তা বন্ধ হওয়ার পর।
৩. আসিফ নজরুল আসলে কোনো ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এমন কোনো তথ্য পাই নি, যদিও এখানে একজন তাঁকে জাসদ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলেছেন। ধ্রুব বলেছেন-জাতীয় ছাত্রলীগের কথা।
এই প্রসঙ্গে কথাটি হচ্ছে, জাতীয় ছাত্রলীগের একটি দল তখন জাহানারা ইমামের সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত ছিল। জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর নেতৃত্বে তখন নির্মূল কমিটির মূল তরুণ অংশটা ছিল জাতীয় ছাত্রলীগের প্রোডাক্ট। তারিক সুজাত, মোজাম্মেল বাবু এরা একটা প্রচারণা নিউক্লিয়াস ধরণের ছিলেন এই পর্যায়ে। আসিফ নজরুল আসলে তেমন গুরু্ত্বপূর্ণ ছিলেন না, কিন্তু সে সময়ের নির্মূল কমিটির তরুণরা জাতীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে বেশি জড়ানো থাকায় অনেকেই মনে করেন আসিফ নজরুল জাতীয় ছাত্রলীগে ছিলেন। আসলে কথা সত্যি নয়।
৪. নির্মূল কমিটির মাঠ পর্যায়ের গবেষনা সবচাইতে বেশি করেছেন ফজলুর রহমান এবং জায়েদুল আহসান পিন্টু।
ফজলুর রহমান এখন সম্ভবত সমকাল/জনকণ্ঠে আছেন, পিন্টু ভাই সম্ভবত আছেন ডেইলি স্টারে। আসিফ নজরুল এ পর্যায়েও খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিলেন না।
৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কমনওয়েলথ বৃত্তির মূল কান্ডারি আসলে এরশাদুল বারী নন, এমাজ উদ্দিন আহমদ। আসিফ নজরুল প্রফেসর এমাজ উদ্দিন আহমদকে আব্বা ডাকতেন এবং পা ধরে সালাম করতেন, এটা নিয়ে সে সময় হাসাহাসি হতো বলে শুনতে পাই।
পিন্টু ভাই দেশটিভিতে, প্রধান বার্তা সম্পাদক। জিয়া আমলে সামরিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার মৌলিক কাজ আছে।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এই জায়গাটা আমি একটু গুলিয়ে ফেলেছি। যার সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি পিন্টু ভাইয়ের নাম বললেন নাকি মানিক ভাইয়ের নাম ( জুলফিকার আলী মানিক) সেটা খেয়াল করতে পারছি না। আবার জিজ্ঞেস করে জানতে হবে।
সম্ভবতঃ জুলফিকার আলী মানিক। আমি মুলতঃ যে সোর্স থেকে তথ্য পেয়েছি সেখানে জুলফিকার আলী মানিকের নাম পেয়েছি।
জাতীয় ছাত্রলীগের বিষয়টা নিশ্চিত। আসিফ নজরুল কখনোই জাতীয় ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলোনা। উপরে মুস্তাফিজ ভাইও বললেন।
তোর দেয়া তথ্যগুলো ভালো ফিল্টারিং করলো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মানিক এখন ডেইলী স্টারে আছে। অন্য যাদের নাম এসেছে তাদের কথা বলতে পারবোনা, তবে মানিক ঘাদানিক এ প্রথম থেকেই অত্যন্ত গভীরভাবে জড়িত। আরিফ ভাইয়ের কথা মত মাঠপর্যায়ের গবেষণায় মানিক এর ব্যাপক অবদান থাকার সম্ভাবনা বেশী।
আমার উপসংহার:
হাসান মোরশেদের প্রশ্ন, "আসিফ নজরুল:: গণআদালতকে 'ট্রেডঅফ' করেছিলেন?" এর জবাবে আমার উত্তর হবে , : না, উনি ট্রেডঅফ করেছেন বলে মনে করি না। ল এর ছাত্র হিসেবে আসামীদের পক্ষে সওয়াল করা ছাড়া আসলে তিনি গণআদালত বা নির্মূল কমিটির তেমন কোনো বড় পদে ও নেতৃত্বে ছিলেন না, যেখান থেকে তিনি এটি বিক্রী করতে পারেন।
আমার পর্যবেক্ষন বলছে, আসিফ নজরুল আসলে স্রোতের সঙ্গে ভেসে গেছেন, হাওয়া বুঝে পাল তুলেছেন, সব পক্ষকে খুশি রাখতে চেয়েছেন। এর ফল তিনি পেয়েছেন এবং পাচ্ছেন, ভবিষ্যতেও পাবেন।
আমার কাছে তাকে মনে হয়েছে সেই সব মানুষদের মতো, ব্লগ জগতে যারা সবার লেখার নিচে গিয়ে বাম হাতের বুড়ো আঙুল তুলে আসেন, সবাইকে খুশি রাখতে চান।
সবাইকে খুশী রাখার এই প্রবণতা কিন্তু নিরীহ নয়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
না, অবশ্যই নিরীহ নয়। বরং জামাত-শিবিরের চিহ্নিত বু্দ্ধিজীবিরা এর চাইতে নিরাপদ। তাঁদেরকে চেনা যায়।
যাদের চেনা যায় না, তাঁরা বিভ্রান্তি তৈরী করতে পারে সহজেই। এবং যেহেতু এদের কোনো রাজনৈতিক কমিটমেন্ট নাই, এরা সহজেই বিক্রী হতে পারে এবং সহজেই পাশের বন্ধুর গলায় ছুরি চালাতে পারে।
জাহানারা ইমামকে আম্মা ডাকা আর পাশাপাশি এমাজ উদ্দিন আহমদকে আব্বা ডাকা; এরকম মানুষ সর্ববিচারে বিপজ্জনক।
আসিফ নজরুলের চরিত্র নিয়ে টানাটানির ধান্ধাবাজির দরকার পড়ল কেন ?
--সালেহীন
সালেহীন সাহেব আমার ধারণা আপনি আলোচনার এই সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত নন। এখানে ধান্দা শব্দটি অমূলক স্টেরিওটাইপিং। ব্লগ ধান্দামুক্তির অনুশীলনের জায়গা। ব্লগারদের নিজের পেশাগত কাজ ছাড়া অফলাইন ধান্দার সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন হয়না। কারণ হাসান মোরশেদ সাহেব গোলকের যে কোন দেশে গিয়ে একটা মনের মত কাজ জোগাড় করে নিতে পারেন। তাকে রাজনীতির লেজুড়বৃত্তি করে অধ্যাপনা বা বৃত্তি বা টকশো জোগাড় করতে হয়না। কিন্তু চোখের সামনে চলা বুদ্ধিবৃত্তিক শঠতার সাক্ষীগোপাল হয়ে রয়ে গেলে, লেজুড়বৃত্তিই সাফল্যের বাতিঘর হয়ে দাঁড়াবে।পরের প্রজন্ম যাতে পেশাজীবনে শর্টকাট খুঁজতে লেজুড়বৃত্তিকলার কথিত সফল মানুষদের অনুসরণ না করে, সেদিকে হাসান মোরশেদের চোখ থাকাটা সুস্থতার লক্ষণ। ব্লগ আমজনতার সংসদ। এখানে সত্য উন্মোচিত হয় অনিবার্যভাবে। কারণ সরকারী ও কর্পোরেট মিডিয়া যে ছদ্ম রোল মডেল তৈরী করে সমাজকে বোকা বানাতে চায়, তার কাউন্টার হেজিমনিই তো ব্লগিং।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
হাসান ভাই, আপনার লেখা ভাল লাগতো। কিন্তু কি যে উল্টাপাল্টা লিখেছেন স্যার সম্পর্কে। আপনি লিখেছেন গনআদালতের অভিযোগ মাথায় উনি ঢা. বি.র শিক্ষক হলেন কিভাবে? আমি খোজ নিয়ে দেখেছি আসিফ স্যার ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন ১৯৯১ সালে, গনআদালত হয়েছে তার পরের বছর। তারমানে উনি শিক্ষক হওয়ার সময় গনআদালতের অভিযোগই ছিল না। আবার আপনি লিখেছেন এরশাদুল বারি আসিফ স্যারকে কমনওয়েলথ স্কলারশীপ দিয়েছে। কমনওয়েলথ স্কলরশীপ কি একটি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানের দেয়ার ক্ষমতা আছে? ১৯৯৪ সালে আসিফ স্যারের সাথে স্কলারশীপ পেয়েছিলেন আমার কাজিন ঢা.বি.র একজন শিক্ষিকা। তিনি আমাকে জানিয়েছেন আসিফ স্যারের ইন্টারভিউ বোর্ডে ড. বারি এমনকি ছিলেনই না। আসফি স্যার বিএনপি আমলে শিক্ষক হওয়া নিয়ে কতো কিছু বললেন। অথচ মিজানুর রহমান স্যার সম্পর্কে বললেন তিনি নাকি বিএনপি আমলে রাজশাহী থেকে বদলী হয়ে এসেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার বদলী হয় নাকি!!!! হাসান ভাই বলেন তো আসল ব্যাপারটি কি?
আর মাসকোয়াত সাহেব, আসিফ স্যারের প্রথম আলোর সর্বশেষ লেখায় আপনি যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সফট বললেন কিভাবে? লেখাতে তো এসব কোন প্রসঙ্গ আমি খুজে পাইন। স্যার তো বরং লেখাতে জামাতীদের বিরুদ্ধে খোলামেলা অভিযোগ করেছেন ধর্মের অপব্যখা করার। আপনি আমদের মতো তরুন প্রজন্মকে এতো বোকা ভাবলেন কিভাবে। আমি টিভিতে বহুবার আসিফ স্যারকে বলতে শুনেছি রাজাকররা সরাসরি জড়িত ছিল যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে, জামাতী শয়তানদের মধ্যেই আছে অধিকাংশ যুদ্ধাপরাধী। আপনি একবারো শুনেননি তা! হায়রে একচোখা বিবেকবান, আপনি কি বাতিঘর জ্বালাবেন আমাদের জন্য?
আর মামুন সাহেব আপনার বাতিঘর আসিফ ভাই ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমার পরিচিত। তার বিতর্কের প্রতি অনুরাগ আমার খুব পছন্দের। তার ব্যক্তিজীবনের কোন আলোচনায় আমার আগ্রহ নেই। টকশোর বক্তা হিসেবে তিন চৌকষ, তার কলামগুলো বেশ গুছানো। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখেছেন, জাহানারা ইমামের স্নেহ পেয়েছেন, আবার পরে এমাজউদ্দীন স্যারের স্নেহ পেয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক মানসের সাথে পরিচিতি ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকলে তা নিয়ে অনলাইন আড্ডায় বিতর্ক উঠতো না। আসিফ ভাইয়ের রাজনৈতিক ভাবনার মেটামরফসিস তার গুণগ্রাহীদের জন্যই বেশী বেদনার। উনার বক্তব্য যুদ্ধাপরাধীদের দুষ্টবৃত্তটিকে স্পর্শ করলেই আমরা আতংকিত হই। আসিফ ভাই লিবারেল ডেমোক্রাট হিসেবে আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করলে খুশী হই, কিন্তু টকশোতে বা কলামে তার কোন বক্তব্য সেকুলার লিবারেল ভাবনার বিপরীতে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের কৌশলগত সমর্থন দেয়, তখন তার কোন ভক্ত তেড়ে এলেও ম্যাটাডোরের লাল কাপড়ে সামলানো যাবে। তবে আমার ধারণা এই সমালোচনা আসিফ ভাইয়ের কাজে আসবে। আধুনিক মানুষেরা সমালোচনা পছন্দ করে। তবে আপনার আসিফ ভাইয়ের প্রতি মুগ্ধতাকে সাধুবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
এই পোস্টের তুলনায় শুভাশীষের পোস্টটায় সততার ছাপ কয়েকগুন বেশি। প্রথমত সেইখানে বলা হইসে ---
পত্রিকা আর মিডিয়ার দৌলতে আর তার কথা বলার কুদরতির জন্য বুদ্ধিজীবী নিদেনপক্ষে ছদ্মবুদ্ধিজীবী হিসেবে ইদানীং প্রতিষ্ঠিত।
বুঝা যাচ্ছিল বড় সমস্যাটা আসলে তার কথা লোকে গুরুত্ব দিতেসে সেইখানেই। লোকজনে তার কথাকে পাত্তা দিতে গিয়া শভিনিস্ট দেশপ্রেমিকদের তথাকথিত "কাউন্টার হেজিমনি" কে হয়ত দুর্বল করে দিতে পারে। তাই এখানে অজুহাত দেবার দরকার পড়েঃ
তাহলে আসিফ নজরুলের এই দালালী বিষয়ে এতো কথা কেনো?
কথার কারণ..........
বলা বাহুল্য এই শভিনিস্ট আন্দোলনে হুমকি না হইলে এই অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়ত না এটা বলাই বাহুল্য। পোস্টদাতা হয়ত সেটা নিশ্চিত করতে পারবেন।
তার বক্তব্যকে ব্যবচ্ছ্যদ করার চেয়ে তার চরিত্র বিশ্লেষনের একটা অনুসন্ধানি প্রতিবেদন তৈরির প্রকল্প দাড়াইয়া গেছে। "চোখের সামনে চলা বুদ্ধিবৃত্তিক শঠতার" উত্তর দেবার জন্য যুক্তির আলোচনা ছেড়ে কিছু নির্বিরোধ পয়েন্ট খুঁজে বের করে তার পর মনে মত করে সেগুলোকে যোগ করা হল নানা খানাখন্দের মধ্য দিয়ে, মনে মাধুরি (?) মিশিয়ে যেগুলো প্রতিষেধক টিকা হিসবে কাজে লাগতে পারে। আর গুজবের আকারে সেটা ছড়িয়ে যাবে নেট জগতে। এটা হল বুদ্ধিবৃত্তিক সততার পরাকাষ্ঠা আর যুক্তির দৌড়ের আদর্শ উদাহরন। কেবল আফসোস এইটুকুই যে সামান্য আসিফ নজরুলকে বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে মোকাবেলা করা গেল না? তার কথা গুলা কি ছিল সেইগুলা কোন দিক দিয়া অযৌক্তিক ইত্যাদি আলোচনায় না গিয়া পাবলিকরে এন্টিবায়োটিক টীকা দেবার দরকারটাই বড় হইল কেন? এই বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্বের কি সান্ত্বনা?
এর আগে মজহার মিয়ারে নিয়া হইসে একই ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক কাপুরুষতা। হয়ত যারা অনেক দিন ধরে ব্লগিং করেন এই "ধান্দামুক্তির অনুশীলনের" আরো নজির হাজির করতে পারবেন। আবার কাঠাল পাতা বিশেষজ্ঞরা তেড়ে এসে দুঃখ বোঝার নজির স্থাপন করবেন।
ব্লগযে "আমজনতার সংসদ" এটা এর পর থেকে বেশি বেশি করে জিকির আর স্মরন করার দরকার পড়বে। না হলে আমজনতার আকিদায় টান পড়তে পারে। মনে হতে পারে 'সংসদ' না 'প্রপাগান্ডা কারখানা'।
আপনি প্রতিযুক্তি দিয়ে আসিফ ভাইয়ের মেটামরফসিসকে মোকাবেলা করতে বলছেন। ব্যক্তিক পর্যায়ে এর পর উনার সঙ্গে দেখা হলেও আগেরবারের মতোই সুতর্ক করতে পারবো। কিন্তু মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় উনি যদি যুদ্ধাপরাধ বা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পক্ষে ওকালতি করেন, তাহলে অল্টারনেটিভ মিডিয়া কড়া ভাষায় তার সমালোচনা করবে। মুক্ত ব্লগাররা যে যার মতো লিখবে, ভাবনার প্রকাশ ঘটাবে। এইখানে আপনি এরটা ঠিক আছে ওরটা হচ্ছেনা এসব বলে আপনার অফলাইন জাজমেন্টাল ভাইরাস নিয়ে আসছেন। এই জায়গাটার নাম সচলায়তন। তাই এতো ব্যাখ্যায় গিয়ে লাভ কী। কোনটা কী হবে সেটা জ্যোতিষীর মতো অনুমান না করে পড়তে থাকি,দেখতে থাকি, মন্তব্যে তর্ক করতে থাকি। একসময় হয়ত আশার ছলনে না ভুলে সত্যকে সহজ করে নিতে শিখে যাবো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যাক, এই ব্লগ লেখার আগে জানতামই না আমার লেখা ভালো লাগতো এমন দু চারজন মানুষ ছিলেন যারা আবার আসিফ নজরুলের অন্ধভক্ত যিনি শীর্ষঘাতকের সততার সনদ প্রদানকারী।
বক্তব্য বাতাস থেকে ভেসে আসেনা। চরিত্রই বক্তব্য ধারন করে। তাই পুর্নসত্যের অনুসন্ধানের জন্য পুর্ন অবয়বটাই ধরতে হয়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আসিফ নজরুল সংবিধান সংশোধনী কমিটির বৈঠকে সংবিধানে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি রাখা সুপারিশ করেছিলেন
বলতে সঙ্কোচ হচ্ছে, আমিও একসময় আসিফ নজরুলকে পছন্দ করতাম! কিন্তু গত দু'বছরে তিনি যেভাবে বিএনপি-জামাতের হয়ে মিডিয়াতে সমানে যুক্তি দেখিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আমার সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে। আসিফ নজরুল যেদিন উগ্র ডানপন্থী ''ফরহাদ মজহার'কে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়ে দিলেন, তখন আমি যারপরনাই বিস্মিত হয়েছিলাম! তবে এই লেখাটি পড়ে আমি এখন নিঃসন্দেহ! এখন আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি, ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্রধানতম বুদ্ধিজীবী হওয়ার দৌড়ে তরুণ আসিফ নজরুল বুড়ো শফিক রহমানকে হারিয়ে দিতে পারেন কিনা, তা দেখার জন্য! তবে কথা হচ্ছে, এমাজউদ্দিন স্যারেরা যখন বিএনপির প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন, তখনও বিএনপির এত করুন দশা হয়নি, যতটা হয়েছে মুখোশ-ধারি 'ইউ-টার্ন' করা শফিক রেহমানদের সু-পরামর্শে! বিএনপি কি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবে? নাকি আবারো এইসব সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের খপ্পরে ধরা দেবে?
এইসব কথা ৯৯ ভাগ সত্য। এক ভাগের বিষয়টি হলো এই ব্যাটা আসলেই জামাতি মাল। ছাত্রদল হচ্ছে তার ছায়া মাত্র।
যে তথ্যটি আপনি দিতে পারেননি সেটা হচ্ছে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে তার শিক্ষকতা শুরু করেননি। তিনি জামাতি মাল বলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে চাকরির সুযোগ পান। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এই তথ্যটি আপনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। কারণ আপনার ফুটনোটটি ভুল ধরাতে দিয়ে আবারো ভুল তথ্য দিয়ে দেওয়া আছে।
তার সহকর্মিদের মতে সে একটা লুচ্ছাও। কাজের মেয়ে দেখলেও ঝাপিয়ে পড়ে। তার প্রথম স্ত্রী তাকে ত্যাগ করে। হুমায়ূন আহমদের এক মেয়েকে নিয়ে কয়দিন ঘুলাঘুরি করে বর্তমান অভিনেত্রী স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এটাও ছিল নিজেকে মহান প্রমান করার জন্য। আর নিজের জামাতি চরিত্র আড়াল করার জন্য।
এই জামাতি মালটাকে মাহমুদুর রহমান মান্না তার নতুন রাজনৈতিক সংগঠনে নিয়ে উদ্যোগটিকে ডুবিয়ে দিয়েছেন।
এই লেখায় শুধু মাত্র মাসকাওয়াথ আহসান এর লেখায় যুক্তি আছে।
তথ্যবহুল লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে আসিফ নজরুল কি এ যুগের খন্দকার োশতাক?
দালালের মুখে থুথু দেই...
নতুন মন্তব্য করুন