যারা জানেন তারা পুনঃস্মরণ করতে পারেন, যারা জ়ানেন না তারা জেনে নিতে পারেন সচলায়তনের জন্ম হয়েছিলো কেবলই আয়েশী ব্লগব্লগর কিংবা খামখেয়ালে আরেকটি বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্মের জন্য না। এর পেছনে একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শিক অবস্থান ছিলো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস, অসাম্প্রদায়িকতা, মানুষের শুভবোধের প্রশ্নে ন্যূনতম কোন আপোষ না করে সৃষ্টিশীলতাকে লালন, বিকাশ ও প্রচারের উদ্দেশ্যেই সচলায়তনের জন্ম।সদস্য সংখ্যা, পোষ্টের ফুলঝুড়ি, মন্তব্যের স্রোত, হিটের বন্যা- এগুলোকে পাত্তা না দিয়ে গুনগত মানকে টিকে থাকার কৌশল হিসেবে নেয়া হয়েছিলো, যার জন্য শুরু থেকেই এটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম নয়। সচলায়তন টিকে আছে, ভালোভাবেই টিকে আছে। মুল যে লক্ষ্য ছিলো তার ব্যত্যায় না করেই, যে আপোষগুলো করবেনা বলে জেদ ছিলো সে আপোষ না করেই সচলায়তন ফুলে ফসলে ভরে উঠছে। পেরিয়ে আসা তিনবছর একেবারে কুসুমাস্তীর্ণ ছিলো এমন নয়। নিজেদের পশুবৃত্তির কারনে ধরা খেয়ে সচলায়তনকে ধ্বংস করে ফেলার জেহাদী ঘোষনা দিয়ে কেউ সরে গেছেন, কেউ সচলায়তনকে বিক্রী করে ফেলার ধান্দা করে ধরা খেয়েছেন, কেউ শুধু অনেক ভালোবাসা আর অনেক অভিমান নিয়ে ও দূরে চলে গেছেন। এরকম এক একটি নির্দিষ্ট ঘটনা আছে বেশ কয়েকটি, সচলায়তনের তিনবছরের পরিক্রমায়। এমন হয়, এমন হয়না যে তা নয়। এ নিয়ে ক্ষ্যাপে উঠার কিছু নেই।
তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা হলো যখন সমস্যা নির্দিষ্ট না হয়ে সামগ্রিক হয়ে উঠে। সামগ্রিক সমস্যা যখন একটা চরিত্রধারন করে ফেলতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে সচলায়তনের সচল( আমি সহ এবং কেউ কেউ ব্যতিক্রম ছাড়া), নিবন্ধিত অতিথি সচলদের আচরনগত বিষয় নিয়ে চিন্তিত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রাকসচলযুগে যখন আমরা( সচলায়তনের পুরনো সদস্যদের অনেকেই) অন্য একটা প্লাটফর্মে ব্লগিং করতাম সেখানে একটা আদর্শিক লড়াই জারী ছিলো, আমাদের শত্রুপক্ষ চিহ্নিত ছিলো। ঘাতক-দালালদের ছানাপোনাদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রচারনা জবাব দিতাম আমরা সংঘবদ্ধ ভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন নির্ঘুম। মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য-তর্ক-কুতর্ক-কৌশল-অপকৌশল-প্রচার-অপপ্রচার-ডিফেমিশন-গালাগালি-হুমিক-আক্রমন-প্রতিআক্রমন সবই জায়েজ ছিলো কারন ভার্চুয়ালি ওটা যুদ্ধের মাঠই ছিলো। আমাদের জিতে যাওয়ার প্রয়োজ়ন ছিলো এবং আমরা জিতে গিয়েছিলাম। আন্তর্জালের বাংলা মাধ্যমে ঘাতক দালালদের ছানাপোনাদের নিয়ন্ত্রনে যেতে পারেনি। কিন্তু সচলায়তন যুদ্ধের মাঠ না। এটা একটা পরিবার।কি রকম পরিবার? যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, যেখানে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়, যেখানে সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য করা হয়? নাকি যেখানে সবাই রাজা-খেয়াল খুশী, খিস্তি, ঝগড়া, যেমন খুশী? দুটোর কোনটাই নয়। ধারনাগতভাবে সচলায়তন এমন একটা পরিবার যেখানে মত প্রকাশ হবে, মতদ্বৈততা হবে, আলোচনা-সমালোচনা-তর্ক-বিতর্ক হবে কিন্তু কুতর্ক, ঝগড়া, রগ ফুলানো, একজনকে নাস্তানাবুদ করে ফেলা, দলবদ্ধ আক্রমন এইসব চলবেনা। অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই এই বিষয়গুলো চলছে এখন। কোন একটি ইস্যুতে কিংবা এক দুজন নয় সংক্রামক ব্যাধির মতো অনেকেই অহেতুক আক্রান্ত এখন। আমাদের আচরন, আমাদের মন্তব্যের ভাষা, আমাদের প্রতিমন্তব্যের ঝাঁঝ, আমাদের অপ্রাসঙ্গিকতা, আমাদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, ঠাট্টা-তামশা, নিষ্ঠুরতা সব মিলিয়ে যে কেউ আক্ষেপ করবেন- সচলায়তনের পরিবেশ আগের মতো থাকছেনা। এটি এলার্মিং। চোখ বুজে থাকতে চাইলে থাকা যায় আরামসে। কিন্তু আমরা যদি সচলায়তনে সচলায়তনের মতো দেখতে চাই তাহলে সবাইকে মিলে উদ্যোগ নিতে হবে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের।
এক্ষেত্রে কার কি ভূমিকা দরকার?
পূর্ণসচলঃ- নীতিমালায় যাই থাকুক, সচলায়তনের চরিত্র আসলে নির্মান ও ধারন করেন আপনারা- পুরাতন, নতুন মিলিয়ে পূর্ণ সচলরা। একজন অতিথি প্রথমবারের মতো সচলায়তনে ভ্রমনে এসে মুগ্ধ হবে নাকি রুমালে নাক চেপে ধরবে সেটা নির্ধারন করেন আপনারা( মানে আমি সহ)। এ জন্য যেটা জরুরী দায়িত্বশীল মডারেটররা তারা তাদের কাজ করুক কিন্তু পূর্ণ সচলরা নিজেরা এক একজন ছায়া মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব নিন। আপনারা সচলায়তনে স্বাধীনভাবে লেখা প্রকাশের অধিকার ভোগ করেন, মডারেশন কিউ ঘুরে আপনাদের লেখা আসেনা। এই অধিকারকে সম্মান দিন। নিজের একটা লেখা প্রকাশের আগে ভাবুন, আপনি দায়িত্বশীল মডারেটর হলে এই লেখা নীড়পাতায় প্রকাশের ছাড় দিতেন কিনা? আজ এই দিয়ে খেলাম, সেই দিয়ে ঘুরলাম জাতীয় পোষ্টের জন্য সচলায়তনের প্রয়োজন নেই, আমজাম কাঁঠাল কলা- বহু বাংলা ব্লগ এখন বাজারে হাজির আপনাকে স্বাগত জানাতে, তাদের আতেথিয়তা গ্রহন করে ফেলুন নিঃসংকোচে। আপনার লেখায় যদি তারেক জিয়ার বন্দনার ইঙ্গিত থাকে, আমি নিশ্চিত একজন অতিথি সাহস পাবে গোলাম আজমের বন্দনাবাহী পোষ্ট দিতে সচলায়তনে। মন্তব্য করার আগে, কোন মন্তব্যের জবাব দেবার আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন- মডারেটর হিসেবে এই মন্তব্য দায়িত্বশীল কিনা, এই মন্তব্য ঝামেলা পাকাতে পারে কিনা, এই মন্তব্যে সহব্লগারকে আঘাত করার উপাদান আছে কিনা? আপনি যদি মেজাজ খারাপ করে একজনের পোষ্টে অলিভ অয়েলের ছবি ঝুলিয়ে দেন, দেখবেন অতিথি সচল সোৎসাহে সোয়াবিন তেলের ছবি ঝুলিয়ে দিচ্ছে। সচলায়তনের শুরুতে একটা অলিখিত নিয়ম হয়েছিলো কোন পোষ্টে পোষ্টের সাথে অসম্পৃক্ত মন্তব্য গ্রহনযোগ্য হবেনা। সচলদের আড্ডা, খোশ-গল্প, রঙ্গ তামাশা ইত্যাদির জন্য আড্ডাঘর নামে আলাদা একটা জায়গা আছে। মডারেটরদেরকে দাবী জানান দরকার হলে তারা আড্ডাঘর খুলে দিক কিন্তু নিজের পোষ্টকে আড্ডাঘর বানাবেননা। মন্তব্য সংখ্যা কমে যাবে? যাক। গত কয়েকদিনে আমি অনেকগুলো উদাহরন দিতে পারবো- ঝামেলাপূর্ণ পোষ্টে শতাধিক মন্তব্য, ভালো পোষ্টে দশটি ও নয়। আমরা কি এই রুচিবোধের উদাহরন তৈরী করতে চাই? মোট কথা আপনার পোষ্ট ও মন্তব্যই সচলায়তনের রুচি তৈরী করছে। সুতরাং দায়িত্ব এড়াবেননা। আবারো বলছি সচলায়তন যুদ্ধের ময়দান নয় যে শত্রুকে পুঁতে ফেলে জিততেই হবে আমাকে। এখানে কেউ ঘাতক দালালের ছানাপোনা নেই যে- কারো সাথে যে কোন আচরন গ্রহনযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। কারো কোন পোষ্ট, মন্তব্যে দ্বিমত থাকলে একটা পর্যায় পর্যন্ত তর্ক করুন। একটা পয়েন্টের পর তর্ক, কুতর্কে পরিনত হয়, তারপর শুরু হয় অসুস্থতা। ঐ পয়েন্টটা চিহ্নিত করে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিন। আপনার হাতে আছে রেটিং, পছন্দ/ অপছন্দ, আপত্তি জানান এর মতো মারাত্বক সব অস্ত্র। অহেতুক নিজের মেজাজ খারাপ না করে এইসব অস্ত্র প্রয়োগ করুন। ভেজাল পোষ্ট মন্তব্যের বদলে ভেসে যাক ১ রেটিং এ। একেবারে শেষমেষ মডারেটরদেরকে মেইল করে জানিয়ে দিন। ব্যাস। আপনার দায়িত্ব শেষ। মুর্দাফরাসের দায়িত্ব মডারেটরদের। আপনি কেনো আন্ডারটেওকার হতে যাবেন? সম্প্রতি অনেক সচলের একটা প্রবণতা চোখে পড়েছে। সচলায়তনের ঝগড়াঝাঁটি ফেসবুকে টেনে নেয়া। এখানে কারো লেখা ভালো লাগলোনা, ঐখানে গিয়ে তাকে অপদস্ত করা। আপত্তিকর, অত্যন্ত আপত্তিকর। যুক্তি দেখাতে পারেন- ফেসবুক হলো আমার পার্সোনাল রিলিফের জায়গা! ভুয়া যুক্তি। ঘরের সমস্যা কি আপনি বাজারে টেনে নিয়ে যান? আপনার আপত্তি হয় এখানে মিটান, মিটাতে না পারলে ভুলে যান কিন্তু অন্য কোথাও নিয় টেনে লম্বা করবেননা।
নিবন্ধিত অতিথি সচলঃ- আপনাদের জন্য একটাই কথা-'রয়েসয়ে'। যেহেতু নিবন্ধন করেছেন, লেখা ও মন্তব্য মডারেশন ঘুরে আসার সময়টুকু অপেক্ষার ধৈর্য্য ধারন করছেন- ধরে নেয়া যায় সচল হবার প্রতি আপনার আগ্রহ আছে, সচলায়তনের প্রতি ভালোলাগা আছে। আপনাকে ধন্যবাদ। প্রথমেই নীতিমালা পড়ুন। অবশ্যই পড়ুন। ডুয়েল পোষ্টিং, নীড়পাতায় একাধিক লেখা সহ নিয়মকানুন জানুন। আপনার সবচেয়ে ভালো লেখাটি সচলায়তনে দিন। সুস্থ মিথস্ক্রিয়ায় অংশ নিন। তর্ক-বিতর্ক,যুক্তিতে মাতুন কিন্তু অসুস্থ পরিস্থিতি তৈরী হলে বিরত থাকুন, নিজেকে নিরাপদ রাখুন। কোন সচলের প্রতি আপনার অনুরাগ থাকতে পারে কিন্তু তিনি কোন পরিস্থিতি সূর্য হয়ে উঠলে তার সহযোগীতায় আপনি উত্তপ্ত বালি হয়ে উঠবেননা। সোজা কথা কোন ধরনের অসুস্থতার অংশ হবেননা, ভুলে যাবেননা যে আপনি অতিথি। যে কোন সমস্যা, অভিযোগের জন্য মডারেটরদের জানান। কোন ব্যক্তি সচল নয়, কেবলমাত্র সচলায়তনের প্রতি দায়বদ্ধ থাকুন।
দায়িত্বশীল মডারেটরগনঃ- অনেক চাপ নেয়া, অনেক সময় দেয়া তবু মডারেটরদের উপর থেকে আরো প্রত্যাশার চাপ কমবেনা। অতিথি লেখকদের লেখাপ্রকাশের গুনগত মানের বিষয়ে আরেকটু সতর্ক হওয়া যেতে পারে, এমনকি পূর্ণ সচলদেরকে ও আপনারা নোট দিতে পারেন আরো বৈচিত্রপূর্ণ, চিন্তাশীল ও পরিশ্রমী লেখা উপহার দেয়ার জন্য। নীড়পাতা না হয় একটু ধীরে বদলাবে তবু শেষপর্যন্ত গুনগত মানতো নিশ্চিত হবে। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে মডারেশন পেরিয়ে আসা কোন কোন মন্তব্য ঝামেলার আগুন উস্কে দিচ্ছে। এটি যেনো না হয়। কোন অতিথি মন্তব্যে যদি ঝামেলা বাড়ার কিংবা কাউকে আক্রমন করার মতো ইঙ্গিত থাকে সেগুলো যেন মডারেশনেই নিহত হয়। আমার মনে আছে, প্রথম দিকের পোষ্টগুলোতে এমনকি মন্তব্যে ও যদি অপ্রাসঙ্গিকতা থাকতো মডারেটরা সতর্ক করে দিতো। সচলায়তনের পরিধি বেড়েছে, প্রতি পোষ্টে চোখ রাখা অবশ্যই সম্ভব নয়, সচলদের নিজেদেরকেই এসব দায়িত্ব নিতে হবে। তবে ঝামেলার গন্ধ আছে এরকম পোষ্টে মডারেটররা একটু অগ্রীম একশনে নামতে পারলে অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব বলে মনে হয়।
(উপ)সংহার (এবার থামা দরকার। না হয় লোকজন ঢিল ছুঁড়তে পারে। ) সবকথার শেষ কথা- প্রথম দিন থেকে সচলায়তনকে দেখা একজন সাধারন সচল হিসেবে আমি চাই সচলায়তন যেমন ছিলো ঠিক তেমনই থাক। নিঃশ্বাস নেয়া যায় এমন এক অনুজ্জ্বল মফস্বল, নিঃশ্বাস আটকে আসা ঝলমলে নগরীর দরকার নাই। ভুলে যাওয়া ভুল হবে, মাত্র কয়েকজন নিয়ে চলা শুরু করে সচলায়তন এতোটা পথ আসতে পেরেছে। প্রয়োজনে সিস্টেম রিস্টার্ট করে আবার নতুন যাত্রা করা যাবে কিন্তু সচলায়তনের যে মুলকথা ছিলো 'সুস্থ মিথস্ক্রিয়া' সেটিকে নষ্ট হতে দেয়া যাবেনা। তাই ব্যক্তি আমি সহ প্রত্যেক সচলেরই এই মুহুর্তে নিজের আচরন মুল্যায়নপূর্বক সিদ্ধান্তে আসা দরকার কে কোন ভূমিকায় থাকবেন আগামী দিনের সচলায়তনে।
মন্তব্য
এ প্রসঙ্গে নিজের একটা দায়বদ্ধতা স্বীকার করে যাই - পোস্ট দেই না বহুদিন হয়ে গেলো। হয়তো অজুহাতের মতো শোনাবে, তাও বলি - আমি লেখার চাইতে পড়তে অনেক বেশি পছন্দ করি, আর নিজের লেখা নিজেরই খুব একটা ভালো লাগে না। অন্যের লেখার যেমন সমালোচনা করি, নিজেরটারও করি - এবং সেই পরীক্ষা পার হয়ে আমার লেখারা আর দিনের আলোর মুখ দেখতে পারে না!
তবে, অসংখ্য, অসংখ্য মন্তব্য করেছি একসময়। আবারও শুরু করবো।
লেখা দেয়ার একটা আন্তরিক চেষ্টাও চালাবো, একদম
আপনি বেশী কঠিন মডারেটর
লেখা দেন। আসলেই অনেকদিন আপনার লেখা পড়িনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একমত
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
সালাম
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সচলের একজন অতিথি হিসেবে আপনার লেখাটিকে পূর্ণ সমর্থন জানাই।
আপনার অতিথিকাল সুন্দর হোক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সচলায়তনে পূর্ণ সচলদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা দরকার।
হুম। সেই সাথে সেলফ মডারেশন-পোষ্ট এবং মন্তব্যে। শুরুর দিকে আমরা এটা করতাম।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একমত। কিন্তু এই 'ব্যবস্থা'টা কী হতে পারে তা নিয়ে আপনার কি কোন নিজস্ব আইডিয়া আছে? আমি ভেবে পাইনি।
শুনতে যেমন শোনাক কিছু সচল আছেন যাদের সচলত্বের বয়স তিন বছরের উপরে কিন্তু তাদের পোস্টের সংখ্যা দশটিও নয় (প্রত্যেকের আলাদা হিসাবে)। অনেকে আছেন পোস্ট দেননা, মন্তব্যও করেন না বলা যায়। সচলের শুরুর হিসাবে অল্প পোস্ট করে বা পোস্ট না করেই কেউ কেউ সচল হয়েছিলেন সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তারপর তারা সবাই নিয়মিত পোস্ট দেবেন, মন্তব্য করবেন সেটা আশা করেছিলাম। বাস্তবে কারো কারো ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। পোস্ট না দিন মন্তব্যতো করবেন! তাও হয়নি। আবার এখনকার প্রসেসে সচল হবার পরও কারো কারো ক্ষেত্রে নিরব হয়ে যাবার ঘটনা ঘটেছে। একজন সচল এক বছরে একটা পোস্টও না দিলে বা দশজনের পোস্টে মন্তব্য না করলে মিথষ্ক্রিয়াটা কীভাবে হবে? এই ব্যাপারগুলোতে ব্যক্তি কারো দিকে অভিযোগের আঙ্গুল না তুলে আমাদের অনুযোগের কথাটা তাদের কাছে পৌঁছানোটা জরুরী। বিষয়টা শুধু মডুদের ঘাড়ে না ফেলে পরামর্শ করা দরকার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডব'দার মন্তব্যে সহমত। এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন পুরোনো সচলদের সক্রিয় করার জন্য। সচল হওয়ার পরও যেন লেখা ও মন্তব্য করে যায় এবং কিভাবে সদস্যদের সে কাজে মোটিভেট করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন।
আমার মনে হয় সচলের মডারেটর সমাজ সমূচিত ধন্যবাদ পায়না। সচলায়তনের সরকার যেহেতু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নয়, তাই এর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (মডারটরসমাজ) ও সাধারন সচলদের কাছে সরাসরি কোন জবাবদিহীতা থাকার কথা নয়। তবুও আফটারল আমরা বাঙালীই তো। আশেপাশে জলপাই রং না থাকলে জেব্রাক্রসিং বাদ দিয়ে রাস্তা পেরুনোই আমাদের অভ্যাস, আবার কেউ যদি টেরাক চাপা পড়ে, তাহলে কোমরে লাথি বরাদ্দ থাকে ঠোলার কপালেই।
সচলায়তনেও তাই। কারন যাই হোক, প্রতিটি অবাঞ্ছিত পরিস্থিতিতে মডারেটরদের জন্য কিছু খিস্তি বরাদ্দ থাকে। ১% অসুবিধার জন্য আমরা তাদের বাকী ৯৯% ভাল কাজ ভুলে যাই। অন্তত একবার পড়েছিলাম যেহেতু সচল মডারেশান ঘরের খেয়ে পরের মোষ তাড়ানোর মত, হাজারটা কাজের ফাকে তারা এই কাজ করেন, তাই মাঝে মাঝে মাডারেশন গলে দু একটা 'অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি' ঘটে যেতেই পারে।
সচল মডারেশান গুরভার কাজ নিশ্চই। কিন্তু আমদের যেহেতু জানার বা বোঝার কোন উপায় নেই যেকোন সময়ে কোন কোন মডারেটর সজাগ আছেন, অথবা গতদিন/ঘন্টায় কি পরিমান অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি মডারেটররা সচলদের সামনেই আসতে দেননি। এমন যদি হোত সচলয়তনের কোনায় একটা হেল্প বোতাম থাকতো, তার পাশে থাকতো এখন কোন রঙ এর মডারেটর সজাগ আছেন, তার পাশেই থাকতো কতগুলো আজাইরা পোস্ট/মন্তব্য গত দিন/ঘন্টা সচলে ঢুকতে চেয়েও পারেনি? এসব জেনেশুনে দু একটা 'অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি'তে মডরেটরদের ওপর খিস্তি করার আগে আমরা কি একটু ভাবতুম না?
আমার মনে হয় হ্যাঁ। অন্যরা কি ভাবছেন?
এটা ঠিক বলেছেন। অভিযোগের আঙ্গুল তোলা সবচেয়ে সহজ কাজ। সহজ কাজটা আমরা হর-হামেশাই করি।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
(চলুক)
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
১. শিরোনাম দেখে ভয় পাইছিলাম। শিরোনাম দেখে মনে হচ্ছে, হায়, আমি কিভাবে আর সচল থাকব? তবে পোস্ট পড়ে দেখলাম, সেই আশঙ্কা নেই।
২. আমার কাছে সামগ্রিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক মনে হয় না। সচলে রকমারি লেখা আসছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ভাত খাইলাম ধরণের লেখা খুব একটা নেই, মাঝে মাঝে দুয়েকটা এলে, তা বিষয় বৈচিত্রের জন্য মেনে নেয়া যায়।
৩. পৃথিবীর কোনো মডারেটরের পক্ষেই সবাইকে খুশি করা সম্ভব হবে না, ভুলত্রুটি থাকবেই। সুতরাং সচল মডারেটরদেরও ভুলত্রুটি হয় এবং সেটি এখনও মাত্রা ছাড়ানো কিছু নয়। ভুল হওয়া এক কথা আর অন্ধত্ব অন্য জিনিস, অন্ধত্ব মারাত্মক। আমি এখনও অন্ধত্ব দেখি না। তবে কিছু ইঙিতপূর্ণ ব্যক্তি আক্রমনাত্মক মন্তব্য কোনো অতিথির নামে প্রকাশিত হলে, সেটি নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা উচিত, এবং এ ব্যাপারে আরো সতর্কতা অবলম্বন দরকার। এরকম মন্তব্য মাঝে মাঝে চোখে পড়ে, বিশেষ করে বেশি আলোচিত সমালোচিত পোস্টের ক্ষেত্রে, এদিকে নজরদারি বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
৪. বিতর্কিত লেখা কী আসছে এর সঙ্গে বোধহয় কে লিখছেন এর একটি সম্পর্ক আছে। সবার লেখা ইগনোর করা যায় না। মন্তব্যে আক্রমনও অনেক সময়ই দ্বিপাক্ষিক। তোমার পোস্টে কমেন্ট দিলাম, তুমি সেটা নিয়া প্যাচাইলে আমিও প্যাচানো শুরু করতে পারি, সম্ভাবনাটা থেকেই যায়।
কিন্তু এরকম ঘটনাও মাত্রা ছাড়া নয়, বিশেষ বিশেষ পোস্টে বিষয়টি ঘটছে।
৫. ব্যক্তি বিশেষ সুকৌশলে মেটা ব্লগিং করেন, এরকমটাও মনে হতে পারে। সমস্যা হচ্ছে ভালো লেখক যখন মেটা ব্লগিং করবেন, তখন তিনি মডারেটরের আইনের ফাঁক গলিয়েই করবেন, মডারেটরদের এখানে করার কিছু থাকে না। এটাও গুটিকয় লোকের স্বভাবজাত, পুরো সচলায়তনের টেন্ডেসিটা এরকম না।
প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম
সেই কারনে একটু গলাখাঁকারী দেয়া আর কি। নিশ্চয়ই ভালো অপেক্ষা মন্দ দ্রুত সংক্রমনশীল।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নিশ্চয়ই ভালো অপেক্ষা মন্দ দ্রুত সংক্রমনশীল।
ইন্নাল ইয়া'মাল সাঈআহ আক্সারাল মাঈদাতি মিনাল ইয়া'মাল যাঈদাহ!
- আল মোরশেদ।
আপনার পোস্ট এবং জেবতিক ভাইয়ের মন্তব্যে
ভিন্ন মত নিয়ে একসাথে থাকা যায়, কিন্তু ভিন্ন আদর্শ নিয়ে নয়।
খুব কষ্ট পাই যখন দেখি একই আদর্শের মানুষগুলির ভিন্ন মতের কারণে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে। সচলায়তনের কোডিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ফন্ট এসব বাইনারি হিসাব বাদ দিলে তো এর সদস্যরাই থাকেন, যাদের আচরণ বা লেখা ঠিক প্রেডিক্ট করা যায় না যন্ত্রের মত, তাই কাজটা কঠিন। কিন্তু শেষপর্যন্ত আমাদেরই দায়িত্ব, কেমন হবে সচলায়তন তা ঠিক করে নেওয়া।
পোস্টে সহমত, এই পোস্টটির দরকার ছিল।
একটা লেখা দিবো ভাবছি। পূর্ণসদস্য কি না ! দায় আর কতো এড়াই ! একটু পুতুপুতু শোনায় তবু বলছি, নিজেকে কিঞ্চিত অপরাধীই লাগছে তোর লেখাটা পড়ে। তুই তো জানিস সবকিছুর পরও সচলায়তন এখন পর্যন্ত ভালোবাসারই জায়গা। ভালোবাসা রাখবারও ।
লেখা ভালোবাসায় স্নাত না হলে সুবাস ছড়ায় না। এটা ছড়াচ্ছে ।
লেখা ভালো হৈছে মাস্টর ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
ফাঁকিবাজদেরকে সচল করা বিষয়ে মডুদের আরো সতর্ক হইতে হবে।
ফেসবুককে সচলে রেফারেন্স হিসেবে টানাটা বন্ধ করারও একটা নিয়ম করা যায় কিনা ভেবে দেখা যেতে পারে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমি এটা ঠিক বুঝিনি। ফেসবুকের কোন বাদানুবাদ সচলায়তনে টেনে আনা?
এরকম কিছু হয়ে থাকলে সেটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
না, এমনটা খুব কমই হয়েছে বা একেবারেই হয়নি। আমি কেবল আপনার সচলকে ফেসবুকে টেনে নিয়ে যাওয়ার পয়েন্টটার সম্পূরক হিসেবে সচলকে ফেসবুকে টানার বিষয়টাও এনেছি। আমার দৃষ্টিতে প্রথমটার চেয়ে পরেরটা হওয়া অনেক বেশি সমস্যাজনক। আর কিছু না। নাথিং সিরিয়াস।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এই মুহুর্তে সচলের প্রথম পাতার প্রথম লেখাটিতে ফেসবুকের আলোচনা আনা হয়েছে ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
সেই ছোট্ট সচলায়তন গত তিন বছরে ফুলে ফেঁপে বিশালাকার ধারণ করেছে। যেহেতু সচল গায়েগতরে বেড়েছে তাই ঝামেলার পরিমাণও স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে। আমার হিসাবে তাই এটা কোন বিপদ সংকেত দেয় না। আর অনাহূত ঝামেলা এড়াতে মডারেশনতো রয়েছেই।
সম্পর্ক চিরস্থায়ী কিছু নয়। যে কোন সম্পর্কই অনেকটা অ্যান্টিভাইরাসের মত। প্রতিনিয়ত আপডেটের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে হয়। বেশ কিছুদিন আপডেট না করলে সেটায় ঘুণে ধরে যায়। একটা বড় সমাজে যেমন প্রতিনিয়ত সম্পর্ক ভাঙাগড়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয় তেমনি সচলায়তনেও তাই হওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি?
কাকস্য পরিবেদনা
ঝামেলা বাড়াটাকে আমি বিপদ সংকেত হিসাবে দেখছিনা। বিপদ হচ্ছে ঝামেলা এড়াতে যদি মডারেশনকে একা দায়িত্ব নিতে হয়। ব্যাটারা মডারেটর হয়েছিস এবার ঠেলা সামলা- এই মনোভাব যদি তৈরী হয় সচলদের সেটা বিপদ।
প্রত্যেক সচলকে নিজে এই দায়িত্ব নিতে হবে যেনো ঝামেলা ন্যূনতম পর্যায়ে থাকে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনার কথা অক্ষরে অক্ষরে মানছি। সচলায়তনের সদস্য হিসাবে প্রত্যেক পূর্ণ ও অতিথি সচলেরও কিছু দায়িত্ব নেয়া অবশ্য কর্তব্য।
সমস্যা হচ্ছে প্রাকৃতিক নিয়মানুসারে মানুষ মাত্রই ঝগড়ায় অবতীর্ণ হলে তালগাছের মালিকানায় ছাড় দেবার কথা ভুলে যায়। আমি নিজেই প্রতিবার কথাটা ভুলে যাই।
তালগাছের মালিকানা বিষয়ক মামলাগুলোর নিষ্পত্তি মডারেশনকেই করতে হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করতে হবে। বাকি সমস্যাগুলো পূর্ণ সদস্য ও অতিথিরা নিজেরাই মিটিয়ে ফেলতে পারেন/পেরেছেন। ভবিষ্যতেও পারবেন।
কাকস্য পরিবেদনা
একটা তালগাছ কোর্ট করা যাইতে পারে, বেনিআসহকলা মডুদের পাশাপাশি একজন 'তালগাছ মডু' করা হোক। তালগাছ মডু তালগাছের মালিকানা নির্ধারনী দেওয়ানী কোর্ট হবেন।
হুম, প্রয়োজনীয় একটি লেখা। আসলে আমাদের সবারই শুধু আর একটু বেশি চিন্তা ভাবনা করে পোস্ট এবং মন্তব্য করা দরকার বলে আমি মনে করি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
প্রয়োজনীয় লেখা। হাসান ভাইকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
আমার মতে মূল বক্তব্য আপনার এই কথাতে চলে আসে।
এই সুস্থ মিথষ্ক্রিয়াই সচলের প্রাণ। আমার জানা মতে লেখার মানের চেয়েও সচল হওয়ার জন্যে সুস্থ মিথষ্ক্রিয়াকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সকল সচল, হাচল, অচল, এবং মডারেটরদের প্রতি অনুরোধ রইল এই সুস্থ মিথষ্ক্রিয়ার পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য সচেষ্ট হতে। শুধুমাত্র এই ব্যপারে যদি আমাদের জিরো টলারেন্স থাকে তবে আমি মনে করি সচলায়তনকে সবাই যেভাবে দেখতে চাই সেভাবে পাবো। যিনিই এই সুস্থ মিথষ্ক্রিয়ার বাহিরে যেতে আগ্রহী হবেন তাকেও আমি সচলে দেখতে চাইবো না। দ্বিমত থাকতে পারে, সেই দ্বিমত জানানোর জন্য যা যা পন্থা আছে সেগুলো ফলো করে সবার শেষে মডারেটরদের জানানো হচ্ছে শেষ ধাপ। কিন্তু সেই ধাপ গুলো ফলো না করে যে কোন অসহিষ্ণু মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যক্তিনির্বিশেষে সতর্কীকরণ এবং প্রয়োজনীয় শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই ধাপগুলো সকলকে আবার জানানো হোক। কানাডার চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারী হওয়াতে সহজে সার্জারী করা হয় না। সার্জারীর আগে ডাক্তারকে আগে কমপক্ষে ১৫/১৮ টি ধাপ শেষ করতে হয়। সবার শেষ ধাপ হচ্ছে সার্জারী। যে কোন দু'জন ব্যক্তির মাঝে মত বিরোধ কোন প্রক্রিয়া মেটানো হবে সেটার ধাপগুলো এবং টাইম ফ্রেম সকলকে অবহিত করা যেতে পারে। এমনকি মডারেটরদের সিদ্ধান্ত যদি কারোর পছন্দ না হয় সেটির ব্যপারেও কোন প্রক্রিয়ায় সেটি মেটানো হবে সেটাও ঠিক করা প্রয়োজন।
আমি অনেক আগে আমার এক লেখায় একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালার কথা বলেছিলাম। আজো সেই নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে যাই। এটা বলা সহজ যে যদি কেউ না মানে তবে হাজার পৃষ্ঠার নীতিমালা দিয়ে কিছু হবে না। এই কথা হয়তো যখন সচলের আকার ছোট ছিল তখনকার জন্য প্রযোজ্য, এখন যেহেতু আকার বড় হয়েছে তাই হাসান ভাই যেভাবে লিখেছেন সেভাবে সচল/হাচল/অচল/মডারেটর/কর্তৃপক্ষ সকলের দায়িত্ব ভাগ করে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা করা উচিত বলে আমি মনে করি। এখানে বলা সহজ সবাই সক্রিয় হই। কিন্তু আমি যে সক্রিয় হব তা কিসের ভিক্তিতে? যদি একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমাল থাকতো তবে আমি সেটার ভিক্তিতে আমার কথা বলতে পারতাম। এখন যেটা নির্ভর করছে ব্যক্তিগত পার্সপেক্টিভের উপর যা আবার ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হয়।
একটি কাজ করা যেতে পারে, একটি ভোটের ব্যাবস্থা করা যেতে পারে। সকল সদস্যের কি মনে হয় যে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালার প্রয়োজন আছে কি নেই? যদি সকলেই মনে করেন যে এমন কোন নীতিমালার প্রয়োজন নেই, আমার কোন আপত্তি থাকবে না। কোন মতবিরোধে আমরা মডারেটরদের কাধে সব সময় না চাপিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর ভরসা তো রাখতে পারি, তাই না? একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা লেখা হলেই যে সেটি প্রথমেই পার্ফেক্ট হয়ে যাবে সেটা তো নয়। প্রতি পাঁচ বা তিন বছর পর পর নুতন সদস্যের আগমনের পরে আবার সেটা রিভিউ করা যাবে। এভাবে নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই সচলায়তন এগিয়ে যেতে পারে।
আমার মনে হয় আইন করে দায়িত্বশীলতা তৈরী করা যাবে না। সচলায়তনে যে নীতিমালা আছে, সেটি আসলে একটা দিকনির্দেশনা সংক্রান্ত বেসিক কিছু নিয়ম, একেবারে পেটমোটা ভারি নীতিমালা তৈরী করলে বিপদ বাড়বে বৈ কমবে না।
যত বেশি আইন তৈরী হবে, ততো বেশি উকিলও তৈরী হবে।
যুক্তরাজ্য নাকি চলে লিখিত সংবিধান ছাড়াই, অথচ আমরা প্রতিবছর একবার আমাদের সংবিধান কাটাছেড়া করতে করতেও ব্রিটেনের গণতন্ত্র তৈরী করতে পারি নি।
বিরোধ মেটাতে মডারেটরদের হাতে শেষ দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া আখেরে ভালোই হবে।
ভোট করে যদি বিরোধ মেটাতে হয়, তাহলে দলবাজি তৈরী হবে।
আপনি হয়তো নিয়ম মেনেই ভোট দেবেন, কিন্তু আমি আমার তালুইরে যে ভোট দেব না সেটা নিশ্চিত করা যাবে না। তখন তালুই বাহিনী আর বেয়াই বাহিনীর উদ্ভব হতে পারে।
এখানে আমার একটু ভুল হয়েছে। মন্তব্যে সেটা বোঝাতে চাইনি। এটা আমার ব্যার্থতা- মন্তব্যটি পরিষ্কার করে বলতে পারিনি। আমি ভোট চাচ্ছিলাম পূর্ণাঙ্গ নীতিমালার প্রয়োজন আছে কি নেই সে ব্যাপারে সকলের মতামত জানার জন্য। ভোটের প্রয়োজন হয়তো হবে না যদি সবাই এখানেই তাঁদের মতামত জানিয়ে দেন। তবে ভোট হলে সেটা ভাল হতো। সবাই যে মন্তব্যেই জানাতে আগ্রহী হবেন সেটা তো নয়। আপনার সাথে সহমত যে বিরোধ ভোট করে মেটানো যাবে না
কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। উইকিতে দেখলাম যে কোন একটি একক ডকুমেন্টে সংবিধান লেখা নেই, কিন্তু নীতিমালা রয়েছে এবং সেগুলো statutes, court judgments, and treaties হিসেবে বিভিন্ন ডকুমেন্টে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
সচলায়তন তো উকিল সমাবেশ নয়। লেখক সমাবেশ।
তাহলে তো কোন নীতিমালারই প্রয়োজন নেই। চলো যেটুকু আছে সেটাও উঠিয়ে দেই। হিজ হিজ হুজ হুজ হয়ে যাই।
এনিওয়ে, অনেক বেশি বকছি আজকাল। আমি আমার মতামত দিয়েছি কেবল। সকলের যা মতামত তাহার প্রতি আমার আস্থা রইল।
আপনি যখন অতিথি থেকে সচল হলেন, সচলায়তনের "অপূর্ণাঙ্গ" নীতিমালার প্রতি আস্থা রেখেই সচল হয়েছেন। তাই না?
পদে পদে চুলচেরা মকদ্দমা করার জন্যে সচলায়তন তৈরি হয়নি। লেখার জন্যে হয়েছে। নীতিমালায় লাখখানেক ক্লজ ঢুকিয়েও লাভ নেই, যদি এই মূলরেখাটা কেউ না বোঝে।
অবশ্যই। জন্ম সুত্রে যখন বাংলাদেশী তখন বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি আস্থা আমাকে রাখতেই হবে, কিন্তু তাই বলে কি সংবিধান পরিবর্তিত করা হয়না সময়ের প্রয়োজনে? অপূর্ণাঙ্গ নীতিমালার প্রতি আস্থা রেখে সচল হয়েছি বলে সেটাকে পূর্ণাঙ্গ করা যাবে না বা সেটার বিষয়ে মতামত দেওয়া যাবে না, সেটা মনে করি না। নিজে যখন একটি কমিউনিটির সদস্য হয়েছি তখন নিজের মতামত স্বাধীনভাবেই জানাতে পারি, পারি কিনা?
মূল রেখাটা আমার মত আমজনতা ঠিকই বুঝে, তাই সহিষ্ণু থেকে নিজের মতামত জানিয়ে চলি। কিন্তু যারা বুঝে না তাঁদের জন্যই সুস্পষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। তোমার মতামত জানলাম, অন্যদের কথাও শুনি। ভাল থেকো।
"অপূর্ণাঙ্গ" নীতিমালার প্রতি আস্থা তখন ব্যক্ত করেছিলেন কেন, এটা ছিলো আমার প্রশ্ন।
অপূর্ণাঙ্গ নীতিমালার প্রতি আস্থা এখন নেই, সেটা কি কখনো বলেছি? তখনো ছিল, এখনো আছে, তাই তখন কেন আস্থা ছিল সেই প্রশ্ন অবান্তর।
আমার নিজের জন্য কোন নীতির প্রয়োজন নেই। তাই নীতি না থাকলেও আমার কোন সমস্যা ছিল না। কোন নীতিমালা দেখে সচলে আসিনি। সচলের পরিবেশ সকল ব্লগ হতে উন্নত, সে কারণেই এসেছি। এটা সব সময় বলি। তাই সেই পরিবেশ উন্নত রাখতেই সচেষ্টা থাকি। অবশ্য তুমি বলতে পারো যে নীতিমালা ছিল বলেই তো পরিবেশ উন্নত। সেটা স্বীকার করি।
তোমার একটি কথাতে দ্বিমত নেই, যার নিজের কাছে নীতি নেই তাকে হাজার নীতি দেখিয়ে লাভ নেই। তাই আমার নিজের নীতি আমার নিজের কাছে। কিন্তু নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি কারণ আমি মনে করি সকলের জবাবদীহিতা থাকার প্রয়োজন একটি সিস্টেমের ভেতরে।
যেমন বর্তমান নীতিমালার একটি সবচেয়ে বড় দুর্বলতা মডারেটরদের জবাবদীহিতার কোন ব্যবস্থা না থাকা। যদি মডারেটরের কোন সিদ্ধান্তে দ্বিমত থাকে কারো তবে কিভাবে সেটা মেটানো হবে এই বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট নীতিমালা নেই। এক কথায় এখানে তাঁদের সকল কার্যকলাপকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে, যা কোন দিন সেটা অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা কি? সাংসদেরা নিজেরাই নিজেদের জন্য আইন করেন। নিজেরা নিজেদের জন্য গাড়ি আনেন ট্যাক্স ফ্রি, বেতন বাড়ান নিজেদের। এর কারণ কি? তাঁদের কোন জবাবদীহিতার ব্যবস্থা নেই। শুধু আছে পাঁচ বছর পর পর ভোট। এ কারণেই সাংসদের গাড়িতে, সাংসদের গুলিতে মারা গেলেও তিনি আসামী হন না।
সচলের মডারেটর কিভাবে নির্ধারণ করা হয় আমি জানি না। তবে সেটা গণতান্ত্রিক নয় সেটা মনে হয়। এবং তাঁদের কাজের জবাবদীহিতার কোন ব্যবস্থা নেই। আমার মতে এটি দীর্ঘ মেয়াদে একটি কমিউনিটির জন্য ক্ষতিকর। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এই জন্যে বাড়ে। আমি জানি মডারেটরদের কাজ একটি থ্যাংকলেস জব। সাংসদদের মতো তাঁদের বাড়ি/গাড়ির মালিক হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু তাই বলে কেউই জবাবদীহিতার উর্ধ্বে থাকতে পারে না। এ কারণে মনে করি, এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
সাংসদদের জবাবদিহিতা নেই, এ তো আপনার ভুল ধারণা বা জানার ত্রুটি। সংসদের কাছে তাদের জবাবদিহিতা। আপনি কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন সচলায়তনের মডারেটররা কোথাও কোনো জবাবদিহি করছেন না?
সচলায়তনের মডারেটররা আদৌ জবাবদিহি করেন না, এই কল্পনা থেকেই কি আপনি নীতিমালাকে অপূর্ণাঙ্গ বলছেন? নীতিমালায় লেখা আছে মডারেটররা নীতিমালাটিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করবেন। এর বাইরে গিয়ে তো তারা কিছু করেন না। যদি করেন, সচলরা সক্রিয়ভাবেই সেটা তাদের ধরিয়ে দেন। আপনি সচলে খুব বেশিদিন ধরে আসেননি, কিংবা খুব বেশি সময় অতিবাহিত করেন না বলে সেই দৃষ্টান্তগুলো আপনার চোখে পড়ে না।
সচলের মডারেটর নির্বাচন কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। কারণ সচলায়তন কোনো গণতান্ত্রিক কাঠামোও নয়, এটি কোনো রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক সংগঠন নয়। সচলায়তনের নীতিমালাতেও কোথাও লেখা নেই, এখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ চলবে। সচলায়তনের কাঠামো পরিবারব্যবস্থার মতো, যেখানে ভোট করে বাবা মা নির্ধারিত হয় না। রাষ্ট্রের মালিকানা থাকে, পরিবারের কোনো মালিকানা থাকে না, সেখানে শুধু পরিবারবোধ থাকে। আর সবার শেষে এটা একটা লেখার জায়গা, আইন প্রণয়নের পরিষদ নয়। এই ব্যবস্থার প্রতি যদি আমার বা আপনার আস্থা না থাকে, তাহলে আমরা ভুল জায়গায় এসে কথা বলছি।
সচলে খুব বেশিদিন ধরে আসিনি সেটা স্বীকার করেই মন্তব্যগুলো করেছি, কিন্তু তুমি বলতে পারো না যে খুব বেশি সময় অতিবাহিত করি না, তাই দৃষ্টান্তগুলো আমার চোখে পড়েনি। প্রতিদিনই সচলে ঢুঁ মারা হয়, কোথায় কি হচ্ছে চোখে পড়ে সবই। আজ অফিসে এসেছি চার ঘন্টা হল, এখনো কাজ শুরু করিনি। তাই এই ধরণের মন্তব্য যে একজন সচলকে আঘাত করতে পারে সেটা একটু ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাই। অন্য আরেকটি লেখায় জানতে চেয়েছিলে কেউ কি এরকম কথা বলে? অথচ তুমি নিজেই এরকম মন্তব্য করলে।
যা হোক, অনেক ধন্যবাদ বিষয়গুলো ধৈর্য্য সহকারে আমাকে বলার জন্য। আর বেশি কথা বাড়ালে সেটা আবার তিক্ততার পর্যায়ে চলে যেতে পারে। দু'জনেই থামি এবার। এই আলোচনাগুলো ভবিষ্যতের কারোর জন্য রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগবে, সেটাই বা মন্দ কি? ভাল থেকো।
আপনাকে আঘাত দেয়ার উদ্দেশ্যে বলা নয়, শুষ্ক ফ্যাক্ট উল্লেখ করামাত্র। কারণ আপনি সচলে সময় দিলে [আমার অনুমান আপনি অনেক ব্যস্ত] দেখতে পেতেন, অনিবন্ধিত অতিথিও মডারেটরকে চ্যালেঞ্জ করে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করিয়েছেন, নীতিমালার রেফারেন্স দিয়ে [নাদির জুনাইদের প্রথম পোস্ট]। এরকম অনেক উদাহরণ আছে।
মডারেটরদের প্রকাশ্য সক্রিয়তা সচলে খুবই নগণ্য [মডুদের মোট মন্তব্যসংখ্যা গুণে দেখলেই বুঝবেন], কিন্তু আমি যা বুঝতে পারছি, আপনার মনে তাদের প্রতি একটি অনাস্থা কাজ করছে। এটা যদি দূর করতে না পারেন, তাহলে সচলায়তনে একটা আড়ষ্ট সময় কাটবে আপনার। কোনো মডারেটর যদি আপনার প্রতি কোনো অবিচার করে, আপনার প্রস্তাবিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সচলদের আপনি পাশে পাবেন, এই ভরসা তো রাখতে পারেন?
জেনে ভাল লাগলো। এই বার তাহলে আমরা থামি।
সচলের নীতিমালা কি অপুর্নাঙ্গ?
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ধন্যবাদ স্বাধীন।
দীর্ঘমেয়াদে আপনার প্রস্তাব নিয়ে হয়তো আরো আলোচনার সুযোগ আছে।
এই পোষ্ট আসলে অতো সিরিয়াস কিছু না। আপাততঃ আমরা সকলে যদি পোষ্ট ও মন্তব্যে একটা 'সেকেন্ড থট' দেই তাহলেই বোধ করি অনেক পরিস্থিতি সামলে যায়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই কথা কিছুদিন পর পরই লেখা হয়ে আসছে। তাতে কিছু কাজ যে হচ্ছে না, তা নয়। আমি বলেছিলাম, তাসনীম ভাই বলেছিলেন, মুলো'দা বলেছিলেন, আপনি বললেন, ভবিষ্যতেও হয়তো কেউ বলবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন বার বার কেন একই ধরণের কথা বলতে হচ্ছে? আমার জবাব হচ্ছে সুষ্পষ্ট নীতিমালার অভাব। তাই চিন্তা যদি করতেই হয়, সেখানেই করা প্রয়োজন বলে মনে করি। যা হোক, আবারো ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। আমার মতামতগুলো বলার সুযোগ হলো।
বর্তমান নীতিমালায় যা স্পষ্টাক্ষরে লেখা আছে, সেটা ঠিকমতো মেনে চলা না হলেই সমস্যাগুলো সামনে আসে, এমনটা মনে হচ্ছে না কেন আপনার? আর অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতেও তো কথা ওঠে, ভবিষ্যতেও উঠবে। বারবার একই ধরনের কথা বলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, যখন বারবার আমরা একই ভুল করি। সেটা নীতিমালার অপূর্ণাঙ্গতা নয়, সেটা অনুসরণে আমাদের গাফিলতি।
নীতিমালা কোনদিনই পূর্ণাঙ্গ করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করি না।
সেটা প্রথম ধাক্কাতে সম্ভব নয় স্বীকার করেছি এবং এটাও স্বীকার করি পুরোপুরি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালাও অসম্ভব। কোন কিছুই একশত ভাগ সঠিক এরকম চিন্তা নিজেও করি না। কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখতে চাই সব সময়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতের উপর বিশ্বাস রাখতে চাই, যদি সেটা নিজের মতের বিরুদ্ধেও যায়। এবং সেই প্র্যক্টিস অন্যদের থেকেও প্রত্যাশা করি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যে নীতিমালাকে পূর্ণাঙ্গ বলে মনে করবে সেটাকেই আমি পূর্ণাঙ্গ হিসেবে ধরবো। যদি দশ বছর পর আবার কেউ দাবী তুলে যে নীতিমালা পরিমার্জন প্রয়োজন, তখন সবাই যা রায় দিবে সেটাই সেই সময়কার পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা। এই মুহুর্তে যদি সকল সদস্য মনে করেন যে বর্তমানে যেটা রয়েছে সেটাই ওকে, তবে এটাই পূর্ণাঙ্গ এই সময়ের জন্য।
আমার মতে বর্তমানের নীতিমালায় সচল/হাচল/অচল/মডারেটর/কর্তৃপক্ষ সকল পক্ষের দায়িত্ব আরো সুস্পষ্ট করে লেখার সুযোগ রয়েছে। সচলী করণ প্রক্রিয়া সুস্পষ্ট করে লেখার সুযোগ রয়েছে। মডারেটরদের জবাবদিহীতা কিভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব সেগুলো লেখার সুযোগ রয়েছে। সেই হিসেবে আমি বর্তমান নীতিমালাকে পূর্ণাঙ্গ বলছি না। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। দ্বিমত থাকবেই। সকলে সকলের মতামত দিক। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের প্রতি আমার শ্রদ্ধা থাকবে সব সময়।
সহমত। এই মুহুর্তে না হোক, সময় করে এরকম কিছু করা দরকার আছে। তবে এখন যা আছে, অন্ততঃ ঐটুকু মেনে চললেই অনেক ঝামেলা এড়ানো যায়।
এটাই করছিনা আমরা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। শুধু ব্লগে গণতন্ত্র কিংবা গণতান্ত্রিক-ব্লগ নিয়ে আমার একটু ভয় আছে, এই যা।
সংখ্যাগরিষ্ঠের মত দিয়ে তো নীতিমালা তৈরি হয় না। নীতিমালা তৈরি হয় সংগঠনের চারিত্র্য বজায় রাখতে। আজ বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক যদি বলে, দেশ থেকে সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পিটিয়ে খ্যাদাও, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে? এ জন্যেই সংবিধানের প্রিঅ্যাম্বল পাল্টানো যায় না।
তোমার যুক্তিকে অস্বীকার করি না। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখো বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক কখনোই সাম্প্রদায়িক নয়, আর সে কারণেই আমরা পাকিস্তান হইনি।
পূর্ণ সচল বা হাচল করা হয় একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ সচলের মতামতের উপর আমার আস্থা রয়েছে। যদি সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিক্তিতে নীতিমালা রচিত না হয় তবে সে নীতিমালায় কি অল্প সংখ্যক কিছু লোকের চিন্তা প্রতিফলিত হয় না? সেটা কি কোন ভাবেই গ্রহন যোগ্য? তোমার মন্তব্যে মনে হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে তোমার আস্থা নেই। আমরা যখন বলি সকলে সক্রিয় হলে সচলের পরিবেশ সহিষ্ণু থাকবে, সেই সকল কারা, সংখ্যাগরিষ্ঠরাই তো। কিন্তু তাঁদের প্রতি যদি আস্থা না রাখি তবে কাঁদের প্রতি রাখবো? সংবিধানের প্রিঅ্যাম্বল না পাল্টিয়েও সংবিধান কাঁটা ছেঁড়া করা যায়। আর কেন ধরে নিচ্ছি যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সুস্থ মিথষ্ক্রিয়ার চেতনা হতে সরে যাবে। সচলে তো আর ছাত্রলীগের মত গোপনে রাজাকার ঢুঁকেনি। সকলের মতামত নেওয়া হলে যদি সচলায়তনের জন্য ভাল হয় তবে তো সেটাই করা উচিৎ, তাই নয় কি? আমি তো বলছি না, যে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা না হলে ভাত খাবো না, স্ট্রাইকে গেলাম। বলছি এই ব্যাপারে সকলের মতামত জানার চেষ্টা করি। যদি সকলেই মতামত দেয় যে বর্তমান নীতিমালাই ঠিক আছে, তবে সেটাই শিরোধার্য।
আপনি শুরুতেই ধরে নিয়েছেন, সচলায়তনের নীতিমালা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ওপর ভিত্তি করে রচিত নয়। সেটা যে অসঠিক, সেটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আর পাশাপাশি এ-ও মনে করিয়ে দিতে চাই যে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত ম্যানিপুলেট করা সম্ভব, এবং সেটা সচলায়তনের চারিত্র্যের বিপরীতে নিয়ে যাবার জন্যেও করা সম্ভব। বাড়ির সব ভাইবোন মিলে ভোট দিয়ে চাচাকে মামা ডাকা শুরু করতে পারে, তাতে করে চাচা মামা হয়ে যায় না।
সচলায়তন একটা লেখার জায়গা, এটা ভুলে গিয়ে আমরা এটাকে রাষ্ট্রকাঠামো বানিয়ে দিতে চাইছি কেন?
আপনি একবার বলছেন পূর্ণ সচল করার প্রক্রিয়ার ওপর আপনার আস্থা আছে, আবার বলছেন এটি স্পষ্টভাবে নীতিমালায় লিখিত থাকতে হবে। অর্থাৎ এখন এটি অস্পষ্ট এবং এই অস্পষ্ট প্রক্রিয়ার ওপর আপনি আস্থা এনেই সচল হয়েছেন ও সচল আছেন। এই স্ববিরোধগুলো আপনার প্রস্তাবকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
সচলের নীতিমালাটি খুবই ছোটো, এটিই ঠিকমতো পড়ে দেখেন না অনেকে, আবার পড়ে দেখলেও অনুসরণ করি না আমরা। এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বিরাট বড় করে, পদে পদে সামুব্লগের মডুদের মতো ধারা ৬ এর চ উপধারার ১.১ ক্লজ দেখানো সম্ভব, তাতে ওকালতি আর জজিয়তির খাটনি বাড়ে, কাজের কাজটা হয় না। কাজের কাজটা হচ্ছে লেখা। সেটা না পারলে নীতিমালা ধরে টেনে লম্বা করে কী হবে?
সচলায়তনের শুরুতে সদস্য সংখ্যা কতজন ছিল, আর বর্তমানে কতজন? আমি বলিনি যে যখন নীতিমালা করা হয়েছিল সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত ছিল না, অবশ্যই ছিল এবং সেটাই স্বাভাবিক। আমি সঠিক সদস্য সংখ্যার অনুপাত জানি না, তবে আমার ধারণা যে এখন সচলের সদস্যের আকার তিন বছরে আগের তুলনায় কয়েকগুন বেশি হবে। আমার এই ধারণা ভুল হলে শোঁধরে দিও, মেনে নিব। সেই হিসবে আমি বর্তমানে সকল পূর্ণ সচলের মতামত জানতে আগ্রহী। এখানে আমার কোন ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অভিলাষ নেই।
আমি নিজে গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তা করি। আমি নিশ্চিত হতে চাই, যে কমিউনিটির মাঝে চলছি সেখানে আমি স্বাধীনভাবে নিজের মতামত জানাতে পারবো, কোন প্রকার অলিখিত নিয়মের বলি হবো না। এমনকি মডারেটরদের কোন সিদ্ধান্তে দ্বিমত থাকলে নিয়মের মাঝে থেকে নিজের মতামত জানাতে পারবো। এই স্বাচ্ছন্দটুকু ফিল করছি না, সেটা যদি আমার নিজের অক্ষমতা হয়, সেটাও স্বীকার করতে রাজী আছি। আজকে যেমন তোমার সাথে কথা মন্তব্য বিনিময় হয়েছে অনেকগুলো, কিন্তু কোনটা সৌজন্যতা বোধা ছাড়ায়নি, এটা যদি নিশ্চিত করা যায়, তবেই খুঁশি। অন্য কেউ যদি সেই সৌজন্যতাবোধ অতিক্রম করে, সে দিন যদি তোমাকে পাশে পাই তবেই চলবে।
অনেক কথা হয়েছে, আমি আমার মতামত জানিয়েছি বেশ পরিষ্কার করেই। নিজের চিন্তাটুকু জানিয়েছি। আশা করি কেউ ভুল বুঝবেন না। কোন প্রকার ধুম্রজাল ছড়ানোর উদ্দেশ্য নীতিমালা পরিবর্তনের কথা বলিনি। আমার মনে হয়েছে নীতিমালায় আরো কথা আসলে সেটা সচলায়তনের জন্য ভাল হতো। আমরা কিন্তু নীতিমালায় এর মাঝেই নুতন নিয়ম সংযুক্ত করেছি (১৬ই জুন ২০১০)। এভাবেই প্রয়োজন পড়লে নীতিমালায় নুতন কথা সংযোজনে বাধা নেই। সেটাই বলার চেষ্টা করেছি। যা হোক, এই বিষয়ে আমি চুপ করি। হিমুকে অনেক ধন্যবাদ দ্বিমতগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য।
এটাই আপনাকে বোঝাতে চাইছিলাম, যে সময়ের সাথে সচলায়তনের সদস্য সংখ্যা বাড়লেও এর মূল প্রস্তাবনার চারিত্র্য সেই সদস্যদের মতের সাথে বদলাবে না। আজ থেকে দশ বছর পর সচল সদস্যরা যদি ব্যানারে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজনের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মত দেন, ব্যানারে সেটা সংযোজিত হবে না, কারণ তার মূল প্রস্তাবনায় অন্য কথা বলা আছে। বরং সচল সদস্যরা সচল হন এই নীতিমালার প্রতি আস্থা ব্যক্ত করে। আস্থা না থাকলে তারা সসম্মানে সচলায়তন ত্যাগ করে অন্য কোথাও লেখা শুরু করতে পারেন, অনেকে করেছেনও।
আপনি যদি অলিখিত নিয়মের বলি হবার টেনশনে লিখতে না পারেন, তাহলে এটা নীতিমালার সমস্যা না, আপনার নিজস্ব দুশ্চিন্তা, কাটিয়ে উঠে লিখতে থাকুন যেভাবে আমরা সবাই লিখছি।
আপনি নতুন নিয়ম সংযোজনের কথা বলছেন না, বলছেন নীতিমালা অপূর্ণাঙ্গ, কারণ সেখানে সচলীকরণ প্রক্রিয়ার কথা নেই, মডারেটরদের জবাবদিহিতার কথা নেই। এই দুটি জিনিস যোগ করেও তো আপনার অলিখিত নিয়মের বলি হবার টেনশন দূর করা সম্ভব হবে না, যদি মডারেটরদের ওপর আপনার আস্থা না থাকে।
এখন বলুন, আপনি কি কোনো কারণে সচলায়তনের মডারেশনের ওপর আস্থা হারিয়েছেন? যদি আপনি সেটা হারান, তাহলে নীতিমালা শুধরে এটা ফেরত পাবেন না।
ঠিকাছে, নিজস্ব দুশ্চিন্তা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে লেখা চালিয়ে যাবো। এবার আসলেই থামি তাহলে।
অনেকদিন লেখা হয়না।
সচল হিসাবে একথা বলতে ভয় পাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
দুই ছবি দিয়ে একটা পোষ্ট করলেই তো আপনে হিট, সচলায়তন ও ঋদ্ধ , অন্ততঃ সপ্তাহে একটা ছবিপোষ্ট দেন মুস্তাফিজ ভাই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সপ্তায় একটা না হোক, দিলাম একটা।
...........................
Every Picture Tells a Story
চমৎকার ভাবে প্রয়োজনীয় কথাগুলো জানিয়ে গেলেন হাসান ভাই। ধন্যবাদ রইল সেজন্য।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচলের সাম্প্রতিক খবরাখবর সবিস্তারে জানি না। অনিয়মিত হয়ে গেছি কিছুদিন হলো। এটা শীতনিদ্রা না, বিশ্রী ব্যস্ততা। ছুটতে ছুটতে সচল পড়তে পারি না আমি। ঠাণ্ডা মাথায় বসতে হয়। তাই দৌড়ের উপ্রে থাকলে সচলায়তনে ঢুঁ দিই না। লেখা দিতেও দেরি হয় সেজন্যই। পুরোনো স্মৃতি থেকে বলতে পারি, একটা প্রবণতা দেখা যায়(সবার না, কারো কারো ক্ষেত্রে)। ধরা যাক কোনো বিতর্কের রেশ ধরে ক আর খ-এর সম্পর্কে তিক্ততা এলো। সেই তিক্ততা ক-পন্থী, খ-পন্থীদের মধ্যে গড়ায়। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জের ধরে প্রচ্ছন্ন দলাদলি সৃষ্টি হয়। "আমরা" থেকে "আমরা-আমরা" হয়ে গেলে তো বিপদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল বহুদিন এমন কড়া ধমক শুনি নি!
পড়তে পড়তেই নিজের দোষ খোজা শুরু করছিলাম! বিবাদের অভ্যাস তো নেই, ভাবছিলাম আমার ছাইপাশ লেখাগুলোতেই বিরক্ত হচ্ছেন কিনা!
সচলায়তন সম্পর্কে বলি, আমিও সচলায়তনের সাথে আছি অনেক আগে থেকেই, পাঠক হিসেবে। যে যাই বলতো আমার মনে হয়েছে একটা ব্লগ থাকুক যেটা শুধুমাত্র আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করার জায়গা না হয়ে, লেখকের পাঠকের সুস্থ বিনোদন এর জায়গা হোক। এখানে সেখানে লিখতাম। সচলের উপযুক্ত মনে হয় নি নিজেকে! এরপর দু-একজন সচলই উৎসাহ দিলেন লিখতে।
লিখছি এইতো মাস-তিনেক হবে। সত্যি কথা বলতে লেখক হিসেবে পাঠকের সাথে এমন চমৎকার ইন্টারেকশন হবে এটা আমার ভাবনায় ছিল না! (বাংলা ব্লগের তিক্ত অভিজ্ঞতাই এর জন্য দায়ী)
আপনার লেখার যতই হতাশা থাকুক, আমার কেন জানি মনে হয় সচল ঠিকই থাকবে, সচলের মতো!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
হতাশ নই মামুন। সচলায়তন নিয়ে হতাশ হলে, নিজেকে নিয়েই হতাশ হতে হবে। প্রায় চারবছর ধরে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা আছি- এই সময়তো নিজের জীবনেরই অংশ- তাইনা?
একটু এলার্মিং, একটু মনে করা, একটু ঝাঁলিয়ে নেয়া- এই আরকি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
প্রয়োজনীয় কথাগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ।
নীতিমালা করে লাভ নেই যদি আমরা নিজেরা অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হই। নীতিমালার ভেতরে থেকেও অনেক কটু কথা বলা সম্ভব, এটাও দেখেছি। সচলে পূর্ণ সচলরা অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয়, আশা করছি উনাদের সক্রিয়তাও বাড়বে।
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কিন্তু কেন পূর্ণ সচলেরা অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় বলে মনে করেন? বর্তমান পরিবেশ কি কোন ভাবে কারণ হতে পারে? নাকি শুধুই ব্যস্ততা? আপনার ধারণা জানতে আগ্রহী।
আমার কারণটা বলতে পারি। শারিরীক এবং মানসিক ব্যস্ততা। আর প্রফেশনালরা মনে হয় অন্য চিজ; কিন্তু আমার মতো পার্ট-টাইমার লেখক/ব্লগারদের সবসময় 'সময়' হয় না। একটা সময় যে টপিকই মাথায় আসতো লিখে ফেলতে পারতাম। এখন যা মাথায় আসে, তার ২০% লেখা শুরু করি আর যা লেখা শুরু করি, তার ২০% লেখা শেষ হয়। অর্থাৎ, আগের তুলনায় লেখার অ্যাকটিভিটি মাত্র ৪%, মন্তব্য মনে হয় ৩০% এর মতো।
তবে সময়ের সাথে এই অচলাবস্থাও পরিবর্তিত হবে, হয়। 'সাবলীলভাবে না লিখতে পারলে লেখার দরকার নেই' ভাবা হার্ডকোর অবস্থানটা একটু রিস্কি হলেও সাবলীলতা এক সময় আবার আসবেই।
উদাহরণ: সিরাত, লুৎফুল আরেফীন ...
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কারণটা বহুবিধ মনে হয়। ব্যস্ততা হয়ত একটা কারণ...পরিবেশ নিয়ে খেদ থাকলে সেটা মন্তব্য বা লেখার মাধ্যমে জানানো উচিত ঠিক যেমনটা এই ব্লগে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে মন্তব্যে কেউ কেউ জানিয়েছেন সেটা। কিন্তু কেউ এক্সপ্লিসিটলি বলেন নি যে এই কারণে সচলে লিখি না। বিতর্ক ও কুতর্ক হয় নগন্য সংখ্যক পোস্টে, কিন্তু পরিবেশ নষ্ট করার জন্য খুব বেশি দরকারও নেই।
মডুদেরকে সরকার আর লেখকদেরকে জনতা হিসাবে ভাবা উচিত নয়। পরিবেশ যেটুকু খারাপ হয়েছে, সেটা হয়েছে ব্যক্তিগত সহিষ্ণুতার অভাবে, এই জিনিস আপনি নীতিমালা দিয়ে তৈরি করতে পারবেন না।
আমার মতে একটা জায়গার আদর্শিক ও স্থানিক দুই ধরনের চরিত্র আছে। সচলের আদর্শিক চরিত্রটা পরিস্কার, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একটা প্ল্যাটফর্ম এটা। ৭০ ও ৮০ এর দশকে বেড়ে ওঠা এই আমি এরকম একটা শক্ত অবস্থানের প্রয়োজনটা অনুভব করি। সচলের এই চরিত্রটা অমলিন আছে।
স্থানিক চরিত্রটা অনেকটাই ইন্টারনাল। মতের মিল না হলে কী ভাষায় কথা বলছি বা একটা পালটা যুক্তি দিতে গিয়ে কোন কোন বিষয়ের অবতারণা করছি, এগুলোই তৈরি করে এই চরিত্র। এটা আমরা সচল, হাচল, অতিথি সবাই মিলেই তৈরি করেছি। পরিবেশ নিয়ে যেই অভিযোগ সেটা এর জন্যই। এই চরিত্রটা কোন নিয়ম করে পালটানো যাবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা নিজেরা না পাল্টাই। আর এই কারণে সচলে কেউ না আসলেও এর কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। বরং যাঁরা নিজেদের এর বাইরে মনে করেন তাঁরা যদি আরো নিয়মিত হন এবং এর প্রতিবাদ করেন তবে এটা কমে যেতে বাধ্য।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, আমার করা উপরের মন্তব্য অগ্রাহ্য করতে পারেন। আপনি মন্তব্য করলে আবার তার জবাব দিতে হবে। এর মাঝে অনেক কথা বলেছি। আপাতত ক্ষেমা দেই। কাজ শুরু করি।
মন্তব্যের জবাব দিয়ে দিয়েছি। আপনার জবাব দিতে হবে না...কাজ শুরু করুন আমার নিজেরো আজ কম হচ্ছে আজ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জবাব দিয়েছেন সে জন্য অনেক ধন্যবাদ। আজ কোন কাজই হবে না। আর দু'ঘন্টা পর বের হতে হবে। বাচ্চার স্কুল ছুটি হবে। স্যো, হ্যাপি ব্লগিং।
সচলায়তন সচলায়তনই আছে।
যেহেতু সচলায়তনে সাহিত্যকে নিরুৎসাহিত করা হয়, তাই আমার মত না কাজের লোককে চলতে হয় খানিকটা দূর দিয়ে।
আশা করি আরো কিছুদিন অফলাইনে থাকবো।
বন্ধনীর ভেতর অল্প খানিক দাবী: সচলায়তনে সাহিত্যকেও উৎসাহিত করা হোক!
বুঝলাম না। সাহিত্যকে নিরুৎসাহিত করার মতো কোন নীতিগত সিদ্ধান্ত সচলায়তনের আছে বলে তো জানিনা বরং সচলায়তন নিজেকে সংজ্ঞায়িত করেছেন আন্তর্জালিক লেখক সংঘ বলে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আসলে আমি বলতে চাইসিলাম যে, সচলে ভালো লাগাটা খুব সীমাবদ্ধ কথায় অল্পতে প্রকাশ করা হয়। যেমন, দারণ! অসাধারণ! ভালো লাগলো। আরো ভালো হতে পারতো পর্যন্তই। ভালো লাগেনাই বা কেন লাগেনাই সে কথা তেমন একটা চোখে পড়ে না। তার অর্থ কিন্তু এই না যে, সব লেখাই মানোত্তীর্ণ।
একজন পাঠক কোনো একটি লেখা পড়তে গিয়ে মনেমনে কমবেশি জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হন। সে জিজ্ঞাসাগুলোও পাঠক তুলে ধরতে পারেন বিস্তারিত। উৎসাহ বলতে পাঠকের ভালো লাগা-মন্দ লাগাটা পুরোটাই প্রত্যাশিত। এমন না হলে লিখে তো মজা নেই। আমি কী করে বুঝবো আমার উত্তোরণ বা অবনতি কতটুকু? আর এটাকেই আমি উৎসাহ বলতে চাচ্ছি। ধন্যবাদ।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভালোই তো চলছে। সচল (মেম্বর আর অতিথি মিলাইয়া)দের আচরণে এখন পর্যন্ত আমি খুশি। মাঝে মাঝে একটু এদিক-ওদিক হয়, হবেই, জীবনে বৈচিত্রের জন্যই এটা দরকার।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিজে ভুল করলে ভুলটা স্বীকার করার সাহস থাকা। যে ভুল করে সে মানুষ আর যে কখনোই ভুল করে না, সে আবাল।
ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছু লিমিটেশন আছে। ছাগুদের ব্যাপারে আমার সবসময়ই স্টেরিওটাইপড ব্যবহার। এর বাইরে কারো সাথে ঝগড়া লাগলেও পুষে রাখি না, মিললে মিলেমিশে চলি, না মিললে এড়িয়ে চড়ি। খেল খতম। সচলে ছাগোৎপাত রেয়ার কেস বলে মাথা ঠান্ডা রাখা অনেক সহজ। আর এড়িয়ে চলার লিস্টে সচলে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি যোগ হয় নাই; কিছু কিছু পোস্টে জাস্ট ঢুকি না, বিশেষ করে, আমার জাজমেন্টে যদি সেগুলোকে স্রেফ হিটখোর পোস্ট মনে হয়।
প্রত্যেকটা আচরণের বৃহত পরিসরটা চিন্তা করলে মনে হয় ক্যাচাল এড়ানো খুবই সহজ কাজ। টেকা মাটি, মাটি টেকা। দুই দিনের দুনিয়া!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমিও একমত সকলের লেখা উচিত নিয়মিত
(আমি চেষ্টায় আছি)
আমরা যারা অর্ধসচল তাদের জন্য এরকম একটি দিকনির্দেশনা মূলক পোস্টের দরকার ছিলো। সচলদের ব্যাপারে যেসব কথা লিখেছেন সেগুলো নিয়ে কথা বলছি না, তবে অর্ধসচলদের নিয়ে যা লিখছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার এই লেখার কারণে হয়তো আমরা সচলত্বের অনেক কাছাকাছি চলে যাব।
অন্য বাংলা ব্লগগুলোর অসুস্থ চর্চা ভালো লাগে না বলেই সচলে লেখি, পড়ি, মন্তব্য করি। এখানের এই সুস্থতা চর্চার সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখাটা আসলেই সবার দায়িত্ব, পরিবার তো পরিবারের সব মানুষকে নিয়েই হয় !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
আমিও একমত সকলের লেখা উচিত নিয়মিত
(আমি চেষ্টায় আছি)
"তালগাছ মডু"-র আইডিয়াটা সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে।
আমার সচলায়তনে কিবোর্ডবাজির বয়সকাল স্বল্প, বলা যেতে পারে সেটা ধর্তব্যের মধ্যেই নয়। কিন্তু সচলের পাঠক হিসেবে আমি আনকোরা নই মোটেই, সেই অধিকার থেকেই কিছু বলি।
মডারেশনের নীতিমালার ব্যাপারে আমি খুব বেশি বাতিকগ্রস্ত নই, আর তাই নীতিমালার ফাঁকফোকর বা অসম্পূর্নতার ব্যাপারে আমি খুব একটাও ভাবিত নই। সামগ্রিকভাবে সচলায়তনের এই ক বছরে একটা "সর্বসচলীয়" ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে বলেই আমার ধারণা। আর তাই,বলতে কসুর নেই, সেই ভাবমূর্তির টলায়মান দশা একজন পাঠক হিসেবে আমাকে খানিকটাও হলেও পীড়া দেয়। মতদ্বৈধতা থাকবেই, কিন্তু সেটা কাদাছোড়াছুড়িতে পরিণত হলে আখেরে পাঠকরাই ভোগেন বলে আমার মনে হয়। যেই লেখকদের কাছ থেকে আমি হামেশা কোন জম্পেশ লেখার আশায় বসে থাকি, তাকে কুতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখলে তাতে পাঠকেরই ক্ষতি।
ছোট মুখে বড় কথা বলে ফেললাম কিন্তু শুধু সচলকে পছন্দ করি বলেই...
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
কর্মক্ষেত্র ও পারিবারিক ব্যস্ততা বেড়ে গেছে বেশ। বাংলাদেশ সময়ে রাত ছাড়া বসতে পারি না এখানে। তারপরেও চেষ্টায় আছি, একদিন পোস্ট ও দিতে পারবো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হাসান ভাই কে অনেক ধন্যবাদ এই পোষ্টের জন্য।
এমন একটা পোষ্টের দরকার ছিল খুব।
লেখাটা দরকার ছিলো। কিন্তু সার্বিক ভাবে সচলের পরিবেশ হতাশাজনক না। নিজেই নিয়মিত সচল পড়তে পারি না। সময় তেমন পাই না। মাঝে মাঝে কিছু লেখা দেখে ঈর্শা বোধ করি। তার পরেও খারাপ লাগে, কারণ; এত ভাল একজন লেখক কতো অযত্নে অবহেলায় লেখাটা লিখেছেন! আবার সচলায়তনে পোস্ট করেছেন, (সম্ভবত) একবারও না পড়ে। এই প্রবনতা অতি সামান্য পরিমানে হলেও অতিথি সচলদের ভেতরেও লক্ষ্য করেছি।
সচল এবং অতিথি সচলদের লেখা চোখে পড়েছে যে লেখাটার ভেতরে কোন কিছু জানবার বা পড়বার আসলে কিছু নেই। সচলের পাতা দখল আর অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্ম দেয়া ছাড়া এধরণের লেখার আর কোন ভূমিকা নেই। অবাক হই, লেখক এতো দায়ীত্বহীন হলে, পাঠক তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করবেই। পাঠকের সংগত যৌক্তিক অনেক সময় কঠোর সমালোচনা শুনে লেখক তেড়ে আসলে জটিলতা তৈরী হতে বাধ্য।
একটা লেখার দায় লেখক হিসাবে আমারই। আমার একটা লেখা গড়ে দু'শ বার পড়া হয়। সেই জন্য আমি যা খুশি তাই লিখে পোস্ট করে দেবো। তাও আমি না ভাল লিখতে পারি, না জানি শুদ্ধ বানান। কিন্তু যারা ভাল লিখেন এবং শুদ্ধ বানান জানেন, তাঁরা যদি এমন একটা লেখা সচলে দেন, যেটা পড়ে আমার মতো মূর্খেরও লজ্জা হয়, এমন একটা লেখা এই লেখক সচলে দিলো কেমনে!
তিনি দিয়েছেন সচলের পাঠক হিসাবে আমাকে তাচ্ছিল্য করতে।
যে বা যিনি এমন লেখা দিয়েছেন, দিচ্ছেন সেখানেই গোল বাধছে। লেখককে কেউ কঠোর কিছু বলে ফেললে, লেখকের পক্ষেও একটা সেন্টিমেন্ট তৈরী হয়। আমরা পাঠকরা ঝগরা করি, লেখক মজা দেখেন।
আমার মনে হয় এই ধরণের লেখা প্রকাশের পেছনে লেখকদের উদ্দেশ্যই থাকে একটা অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরী করা।
লেখক নিজে দায়ীত্বশীল হলেই এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়। অবশ্য যদি ইচ্ছে থাকে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের আচরণবিধি তৈরী করা মডু বা সচলায়তনের দায়ীত্ব না।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অনেক বড় একটা মন্তব্য লিখছিলাম। তারপর তাকায়ে দেখি ভোর হওনের টাইম হইছে। সাধারণত এই টাইমে আমি যা খুশি তাই লিখি, তাই সেটা এমেসওয়ার্ডে সেভ করে রাখলাম। কালকা পড়ে দেখুম পাব্লিশ করা যায় কী না।
তয় পোস্টে জাঝা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পোস্টে
পূর্ণ সচলদের প্রতি ব্যস্ততার ফাঁকে এক -আধটু লেখালেখির অনুরোধ রইলো...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
(গুড়)
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এখানে সাধারণতঃ দুই পদের বৈশিষ্ট দেখি ব্লগারদের মধ্যে। কেচল আর সচল। যখন যে মুড থাকে আর কি
আমার ধারণা, ড্রাইভিং এর সবচেয়ে ভালো গুন হলো ঠিকমতো/সময়মতো ব্রেক কষতে জানা। যাতে প্যাসেঞ্জার অসুবিধা বোধ না করে। নীতিমালা যাই হোক, এই কমনসেন্সটা জরুরী। থামতে শেখা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মন্তব্যে (গুড়)
সচলায়তনের আলাপ ফেসবুকে না টানা বিষয়ে একটা কথা বলি। অনেক সচলেরই আলাদা অ্যাকাউন্ট আছে, শুধুমাত্র সচলায়তনের জন্যই। সেটা ব্লগেরই একটা এক্সটেনশান বলা যায়। সে অর্থে সচলায়তনের আলাপকে ফেসবুক অব্দি গড়াতে না দেওয়া কি আদৌ সম্ভব?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সচলায়তনকে যদি ফেসবুক বা অন্য কোথাও পজিটিভলি রিপ্রেসেন্ট করা হয় অবশ্যই প্রশংসনীয়।
কিন্তু একটা পরিস্থিতি চিন্তা করুন, সচলায়তনে কোন পোষ্টে আপনার এবং আমার তর্ক হলো, আমি অথবা আপনি, অথবা দুজনেই সীমা অতিক্রম করলাম। এখানে মডারেটর আছেন। তারা হুইসেল বাজিয়ে আমাদেরকে থামালেন।
আমি এই ইস্যুকে ফেসবুকে গিয়ে আপনাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা শুরু করলাম, ওখানে কিন্তু মডারেটর নেই আমাকে থামানোর বরং অতিউৎসাহী বন্ধুরা আছে যারা বাহ্বাসাবাশ দেবে।
হয়তো আমার ফেসবুক বন্ধুদের কেউ এই সুত্রেই প্রথম সচলায়তন চিনবে, এই চেনাটা খুব স্বাস্থ্যকর হবেনা।
এরকম বিষয়গুলো আপত্তিকর।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আসল কথা হলো নিজের বিচারবুদ্ধির চেয়ে বড় মডু আর নাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তালগাছ-মডুর আইডিয়ায় সহমত জানিয়ে গেলাম।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
তারা দাগায় গেলাম, আমার হিসাবে পূর্ণ সচলদের আরো সক্রিয় হতে হবে, লেখা দিতে হবে, এসে শুধু পড়ে গেলে হবে না। আর তালগাছ মডুর কথা বলেছেন একজন, কয়েকজন সেটাতে সহমত জানিয়েছেন, মজার কথা হল তালগাছ মডু তো আছেই, আমি যতটুকু বুঝেছি, ঠিক এই কাজের জন্যেই "সচলায়তন" নামে একটা নিক আছে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত জানাবার জন্যে। সবাই সক্রিয় থাকলে পরিবেশটা আরো আনন্দঘন হবে, আর এত কথা বলতেছি অথচ নিজেই আলসেমি করে লিখি না। আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে নাহলে আরেকজনকে বলি কিভাবে?
আবারো বলি, সময়োপযোগী লেখা, মোরশেদ ভাইকে , এটা শেষ ওয়েকআপ কল হউক আমাদের সবার জন্যে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সচল হওয়া বড়োই কঠিন, মেইল, নাম আরো হাংকি পাংকি দেয়া লাগে। জান্ডা বাইর হওনের দশা!
অনেক কিছুই আসলে বলার ছিলো, শেষমেশ সব মন্তব্য পড়তে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেললাম। তবে একটা প্রশন, আসলে দুইটা থাকেই। সচলীকরণের কাহিনিটা কী? আর সচলায়তনে আসলে কী নিয়ে লিখতে হবে? সবার লেখা থেকে আমাকে কিছু শিখতে হবেই এরকম তো হতে পারেনা তাইনা? ব্লগিং তো শেষমেশ আমার হাঁপ ছাড়ার জায়গা, তাইতো?
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পুরাতন সচলের অনেকের মাঝে ধ্বনাত্মক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি এই লেখার পর থেকে। চেষ্টা করব সীমার মাঝে থেকে নিজেকে সংযত রাখার । ধন্যবাদ।
আমিও 'রয়েসয়ে' মনে মনে বলি, এরপর থেকে যেন ভালো হয়ে চলি( কারণ, বিগতদিনে একটা ক্যাচালীয় পোষ্টে মন্তব্য করে আমি নিজেই অস্বস্তিতে আছি)।
পোষ্টে(গুড়) লেখককে ধন্যবাদ।
এই রিভাইজ পোস্টটাকে দারুণভাবে অভিনন্দিত করছি ! আশা করি আমাদের ভুলে যাওয়া পড়াগুলো আবারো কিছুদিনের জন্য মনে গেঁথে থাকবে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন