তো এই জাকির নায়েক বাংলাদেশ আসছেন। এক দুদিন নয়, পাক্কা বারোদিনের সফরনামা। নভেম্বর ৩০ থেকে ডিসেম্বর ১১। প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে নিজে না খাওয়া কিংবা শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার পারিশ্রমিক পরিশোধ করার মতো আদর্শিক ধর্মীয় নির্দেশনায় যাদের মতি নেই বরং সাঈদীর ওয়াজে মাহফিলে গিয়ে জেহাদী জোশে নারায়ে তকবীর চিৎকার করা আর যাবতীয় দুর্ভোগের জন্য ঈহুদী-নাসারাদের দায়ী করে পিসটিভিতে জাকির নায়েকের ভাঁড়ামো শুনে শুনে বেহেশত নসিব করে ফেলেন যে বাংলাদেশী মুসলমানদের যে অংশ তাদের জন্য এটি বিরাট সুসংবাদ। এতোদিন ইউরোপ-আমেরিকায় ধর্মবানী প্রচার করলেও পাশের দেশের গরীব মুসলমান ভাইদের কথা নায়েক সাহেবের খেয়াল ছিলোনা। খেয়াল হলো তখন যখন যুক্তরাজ্য ও কানাডা থেকে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। এহেন জাকির নায়েক, যার প্রবেশ নিষিদ্ধ হচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকায়- বাংলাদেশে এ সময়ে তার আগমন কেনো? এ সময়কে আমি গুরুত্ব দিচ্ছি দুটো কারনেঃ- ১। ধর্মজীবি যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর বিচারের আয়োজন চলছে, রাজনৈতিক ভাবে জাকির নায়েকের সাথে এদের মতাদর্শিক সখ্য রয়েছে। লস্কর-ই-তৈয়ব এর পেরেন্ট সংগঠন জামাত উদ দাওয়া যে তিনটি ধর্মীয় উৎসকে অনুমোদন দেয়, জাকির নায়েক তার একটি। ২।বাবরী মসজিদ সংক্রান্ত ভারতীয় আদালতের রায়। যদিও রায়পরবর্তী সময়ে এখনো কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি কিন্তু যতোটুকু খবর পাওয়া গেছে, ভারতীয় মুসলমনরা এই রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। আগুন যে কোন সময় লাগতে পারে। ভারতীয় আদালতের রায়ের পরপরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ধর্মজীবি রাজনীতির আশ্রয় বেগম খালেদা জিয়া পত্রিকা অফিসে বিবৃতি পাঠিয়েছিলেন দেশবাসীকে শান্ত থাকার জন্য( দেশবাসী কি অশান্ত হয়ে উঠেছিলো এ নিয়ে?) কিন্তু বিবৃতি প্রকাশের আগেই তিনি তা প্রত্যহার করে নেন। জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফরের সাথে একেবারেই সম্পৃক্ত নয় এরকম দুটো ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ করতে চাইঃ ১। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর পালিয়ে থাকা ঘাতকদালালদের পুনর্মিলনী ঘটানোর জন্য এক 'ইসলামী জলছার' আয়োজন করা হয়েছিল। তারিখ ৭ মার্চ, ১৯৭৬। স্থান- সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। প্রধান অতিথি- পাকিস্তান বিমানবাহিনী থেকে ডেকে এনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান বানানো এয়ার মার্শাল তোয়াব, ডেপুটি মার্শাল ল এডমিনিষ্ট্রেটর আগ্রহ থাকলে দেখুনঃ '৭৬ এর ছয়দফা ২। '৭৪ এ খুনী ভুট্টোকে বাংলাদেশে এনে লালগালিচা সম্বর্ধনা দিয়েছিলেন শেখ মুজিব। অভুক্ত দেশবাসীর পেটে ভাত দেবার জন্য ওআইসিতে ঢুকতে মরীয়া মুজিব ভুট্টোকে খুশী করতে চেয়েছিলেন। ভুট্টো খুশী হয়েছিলো, রাজপথে তার নামে বিরাট মিছিল। বিমানবন্দরে শেখ মুজিবের প্রতি জুতা ও নিক্ষেপ করা হয়েছিলো, গনভবনে ফিরে ক্ষোভে অভিমানে কেঁদেছিলেন। জানা যায় দাওয়াতে আসা ভুট্টো গোপনে কারো কারো সাথে বৈঠকে করেছিলেন- ১৫ আগষ্ট তারা নিজেদের ঈশ্বর ভেবেছিলেন। নিশ্চিতভাবেই- গোলাম আজম, নিজামী, সাঈদী, জাকির নায়েকেরা যে রাজনৈতিক ইসলামের প্রচার চালায় বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সেই ইসলামের মুসলমান নন। তত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে এখন পর্যন্ত সাঈদী, তারেক মনওয়ারদের ওয়াজ ব্যবসা বন্ধ হয়ে আছে। এতে বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মচর্চায় কোন ব্যঘাত ঘটেনি। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম নিরপেক্ষতা সংবিধানে ফিরে আসায় ও বাংলাদেশের মুসলমানদের কোন বিকার ঘটেনি কারন দীর্ঘদিনের ধান্দাবাজির শিকার হয়ে মানুষের এই উপলব্দি হয়েছে- ধর্মকে যারা রাজনীতির হাতিয়ার বানায় আদতে তারা ধর্মের নয়, নিজেদের আখেরই গোছায়। জাকির নায়েকের মতো একটা বিতর্কিত ধর্মজীবিকে বাংলাদেশে আসতে না দিলে কিছুই হতোনা। হয়তো দু একটা পতিত ধর্মগোষ্ঠী মিছিল মিটিং করতো কিন্তু জনসাধারনের মধ্যে এ নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়াই হতোনা।
"Suppose my sister happens to be one of the unmarried women living in USA, or suppose your sister happens to be one of the unmarried women in USA. The only two options remaining for her are that she either marries a man who already has a wife or becomes public property."
যে লোকের চিন্তাভাবনার স্তর এই পর্যায়ের তার কান্ডকীর্তি নিয়ে লিখে পোষ্টভারাক্রান্ত করা অপ্রয়োজনীয়। ভারতীয় ধর্মজীবি জাকির নায়েক- মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসবাদী হতে প্রনোদনা যোগায়, ধর্মগ্রন্থকে স্বাক্ষী রেখে ফতোয়া দেয় পুরুষের জন্য তার স্ত্রীকে পেটানো জায়েজ, ধর্ষনের শিকার হওয়ার জন্য নারীদের পোষাককে দায়ী করে- এসবের তথ্যপ্রমান ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে আছে।
তবু আগ্রহীদের জন্য সচলায়তনেরই দুটো পোষ্টের লিংক দিচ্ছি।
ধর্মীয় বিদ্বেষ উস্কে দেয়া ও সন্ত্রাসবাদকে প্ররোচিত করার অভিযোগে এই দুটি দেশ গত জুন মাসে এই ধর্মজীবি ভারতীয়কে তাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। ধর্মজীবিগন যেমন আশা করেছিলেন- এ নিয়ে বিরাট প্রতিবাদ হবে, তেমন কিছুই হয়নি। বরং দু দেশের মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য অংশই তাদের সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, এমনকি জাকির নায়েক সমালোচিত হচ্ছেন ভারতীয় মুসলমানদের কাছেও।
কে জানে নায়েক সাহেব বাংলাদেশে এসে এই আগুন উস্কে দেবেন কিনা?
যারা আমার এই কথায় বিরক্ত হচ্ছেন তাদের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ- ভারতের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে পুঁজি করে, আন্দোলনে মরিয়া স্বৈরাচার এরশাদের বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়ানোর ইতিহাস ভুলে যাবেননা। মরিয়া ধর্মজীবি ঘাতক দালালরা এখন খড়কুটো আঁকড়ে ও বাঁচতে চাইবে, তাদের একটা বড় ইস্যু মিস হয়ে গেছে পিলখানায়।
কে জানে কি আছে তাহার মনে?
কিন্তু এখন দেখার বিষয় জাকির নায়েকের সফর, বাংলাদেশে ক্রমশঃ দেউলিয়া হতে থাকা ধর্মজীবি রাজনীতিতে কোন প্রনোদনা যোগায় কিনা?
মন্তব্য
জোকার নায়েককে ভিসা দেয়ায় আমি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি। সম্ভব হলে এর ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে (অনলাইন) প্রতিবাদ পাঠানো যায় কি না? ইমেল করে বা পিটিশন করে?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বাংলাদেশের সাধারণ ধর্মভীরু মুসলমানেরা জাকির নায়েকের এইসব ভন্ড কথাবার্তার কিছুই জানেনা। এরা শুধু তার মুখে মুখে কোরআন, হাদিস, বেদ, ত্রিপিটক আর বাইবেলের রাশি রাশি কথা বার্তা মুখস্থ বলতে শুনে তার সবকিছু বিশ্বাস করে ( একসময় আমার মার মুখে এই লোকের প্রশংসা শুনে তাই মনে হয়েছে আমার)। তাই এই লোকের বাংলাদেশে আগমন মানে আরো কিছু ভ্রান্ত ধারনা এইসব সাধারণ ধর্মভীরু মানুষদের মনে গেঁধে যাওয়া। কোন ভাবেই এটি ব্যক্তি, সমাজ বা দেশের জন্য মঙ্গল কিছু বয়ে আনবেনা।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র ধিক্কার জানাই। সেই সাথে দাবী করি যেন এই সফর বাতিল করা হয়।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এই জোকার ছাগল বাংলাদেশে আসুক কক্ষনো চাইনা।
অংশগ্রহণকারীদের নামের পূর্ণাঙ্গ তালিকা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবী জানালাম
আমার অনেক "উচ্চ শিক্ষিত" বন্ধুকে ও দেখি জোকার নায়কের লেকচার নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। বাংলাদেশে আসার পর তার মুরিদান আরো বাড়বে বলেই সন্দেহ করি। স্ক্র্যাপ জাহাজের মত স্ক্র্যাপ নায়কের ও বাংলাদেশেই আগমন ঘটছে, হতাশ।
সজল
হাহাহা এটা ভালো বলেছেন- স্ক্র্যাপ জাহাজের মতো স্ক্র্যাপ নায়ক।
দুনিয়ার সব বাতিল মালের আড়ত হয়ে যাচ্ছি আমরা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ব্যাপারটা কিন্তু আসলেই চিন্তার বিষয়। অনেক শিক্ষিত লোক, যাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও আছেন, দেখি জোকার নায়েকের অন্ধ ভক্ত। ঐ লোক এসে চলে যাবে। কিন্তু তার মুরিদানের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে যাবে, যারা পরপর্তীতে ঝান্ডা উঁচিয়ে ধরবে, ছাগুসংখ্যা বৃদ্ধি করে যাবে। যারা অশিক্ষিত তাদের নাহয় কিছু করা যায়না। কিন্তু এই শিক্ষিত শ্রেণীকে কিভাবে বোঝানো সম্ভব!
নতুন উম্মাদের আমদানি অপ্রয়োজনীয় ও ঝুঁকিপূর্ন। এই উম্মাদের ভিসা বাতিল করা হোক।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
জাকির মিয়ার প্রচুর মুরিদ বাংলাদেশে। বিশেষ করে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে। জোকারকে জোকারবাজি করতে না দিতে পারলে ভালই হোত। তবে তারচেয়ে ভালো হবে যদি আমরা নিজেরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রচারনা চালাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
জোকার জোকারবাজি করতে করতে "বাজিকর" - দের দলে ঢুকে যেতে পারে।
ব্যক্তিগত একটা ধারণার কথা বলি, জাকির নায়েক বা তার মত ধর্মজীবিরা বিশাল একদল মুগ্ধ বা অন্ধভক্ত(পরের ধাপে) তৈরি করতে চান। চতুর নায়েক ভালভাবেই জানে ধর্মের আফিম গেলানোর কৌশল। তাই শুরুতে নরম ধরনের বাণী দিলেও থলের বিড়াল বের হতে বেশীদিন লাগার কথা নয়।
তারাপ কোয়াস
সরকার চাইলে এখনো সময় থাকতে তার ভিসা বাতিল করতে পারে। আর যদি সে এসেই যায়, তাহলে কারা তার ওয়াজ শুনতে যাচ্ছে তার একটা লিস্ট করে ফেলতে পারবে। এটা অনেকটা লিটমাস টেস্টের মত কাজ করবে।
তবে শেষ কথা হল এই ইন্টারনেটের যুগে চাইলেও এই জোকারের প্রচার বন্ধ করা যাবে না। তাই যা করতে হবে তার ভন্ডামিকে মানুষের সামনে তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। ব্লগ ছাড়া এখনো দেশের মুল মিডিয়ায় এই ভন্ডামি উঠে আসে নাই। এটা বরং একটা সুযোগ এনে দিয়েছে। সব মাধ্যমেই তার এই খোলোস জোরালো ভাবে উন্মোচন করতে হবে। আমি মনে করি তাকে প্রত্যাখানের এটাই মোক্ষম উপায়।
অনন্ত
জোকারের অনুষ্ঠানে আগত হোমড়াচোমড়া অতিথিদের ছবি তোলা সম্ভব টেলিফোটো লেন্সে। দূর থেকে ভিডিও করা যাবে কি না জানি না।
জোকারের বাংলাদেশে আগমন একাত্তরের ঘাতক দালালদের নতুন কোনো চাল!
এই জোকারের বাংলাদেশে আসার প্রতিবাদে সম্মিলিত প্রচারণা শুরু করতে হবে। এয়ারপোর্টের সামনে মানবদেয়াল তৈরি করে একে প্রতিরোধ করতে হবে।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
বাংলাদেশ এখন ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। জোকার নায়েকের মতো ইম্পোর্টেড ছাগল গিয়ে যদি ধর্ম সম্পর্কে উষ্কানীমূলক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অন্য ধর্মকে হেয় করা কিংবা সর্বোপরি বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যগত ধারণার বাইরে জনসন্মুখে বক্তব্য দেয় তাহলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় দেখতে চাইবো একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে। বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের আইনকে অসম্মান করার স্পর্ধা বাংলাদেশের নাগরিকেরা কাউকে দেয় নাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সফর শেষ হবে মিষ্টিমুখ দিয়া।
http://www.youthsparks.com/events/viewevent.html?eventid=7
এই সুন্দর ফুল, সুন্দর ফল, মিঠা নদীর পানি
খোদা তোমার মেহেরবানি॥
জোকার নায়েকের আগমন
শুভেচ্ছা, স্বাগতম।
কাকস্য পরিবেদনা
"এভরি মুসলিম শুড বি টেরোরিস্ট" জাতীয় বক্তব্য যে দেয়, লাদেনের সমর্থনে যে কথা বলে তাকে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে কোন দেশে ঢুকতে এবং ধর্ম প্রচার করতে দেয়া দেশের স্থিতিশীলতা তো বটেই ইসলামের জন্যও বিপজ্জনক। গুগলে একটু খুঁজে দেখলাম জাকির নায়েক সালাফি/ওয়াহাবি বলে অনেকেই সন্দেহ এবং নানা প্রমাণ দাখিল করেছেন। এরকম একটা লোককে বাংলাদেশ সরকার ভিসা দিয়ে আবারো মূর্খতার পরিচয় দিলো।
http://www.youtube.com/watch?v=YQaPBU5ppsk
kisher shate ki milaai ekta falthu lekaah liksennnnn.............kono logic o nai..
r j manush ta perfectly islam preach kortece taar naame ulta palta montobbo korar kono reason nai...uni kokono laden k shomorthon korenna...i think apnara english e khub weak...ashol meaning bhujte khub kosto hoi.
R UNAKE AAGE BD ER VISA AMADER AWAMI LEAGUE SHORKAR DENNAI..TARA ABAR DHORMO NIROPEKKO THO TAI......NA HOLE UNI AARO ONEK AAGEI ASHTEN......EI INFORMATION TA APNADER JANA UCHIT CHILO.
সাব্বির ভায়া আপনাদের মত অন্ধ সাপোর্টদেরই চোখ খুলতে হবে আগে। উইকির এই লিংকটা দেখুন। এখানে সুত্র প্রমান সহ উদ্ধৃতি করা আছে। আপনার সুবিধার্থে সরাসরি কপি পেস্ট করলাম। অনুগ্রহ নিজে জানুন এবং অন্যদেরও জানান।
Views on terrorism
Naik's views and statements on terrorism have at times been criticised in the media and by the United Kingdom Home Secretary.[54] In a YouTube video recorded in Singapore in 1996,[55] speaking of Osama bin Laden, Naik said:
If he is fighting the enemies of Islam, I am for him. If he is terrorizing the terrorists, if he is terrorizing America the terrorist, the biggest terrorist, I am with him. Every Muslim should be a terrorist.[54][56]
Dr. Naik's organization released a statement explaining this, saying:
Many journalists ask Dr. Zakir Naik regarding his views about Osama Bin Laden. Due to the fact that he (Osama Bin Laden) has not been convicted in respect of 9/11 and as Dr. Zakir Naik cannot verify the claims against him, he neither considers him a saint nor a terrorist. There is not a single statement of Dr. Zakir Naik after 9/11 in which he has praised Osama Bin Laden or supported his activities. With regards to the extract of a quote on Osama Bin Laden taken from a video on YouTube, this clip was taken from a lecture Dr. Zakir Naik delivered in Singapore in 1996, almost five years before 9/11 and not in 2006, as has been posted. It is therefore not possible to link this quote to Osama Bin Laden in the context of the 9/11, when the atrocity had not taken place; and took place after almost 5 years in 2001. The lecture was recorded by some local people (in Singapore) and was later edited and uploaded on You Tube by a prejudiced group. Unless and until we have the rushes (original unedited tapes) of the program, it is not possible to know which portions of the lecture have been edited. It is therefore not reasonable, in the light of Dr. Zakir Naik’s known views about 9/11 and all other atrocities such as 7/7 (London, UK) and 7/11 (serial train bomb blast in Mumbai, India) to link these manipulated and very old comments to recent world events. Dr. Zakir Naik has emphatically and regularly condemned any and all persons responsible for these appalling atrocities, killing innocent civilians.[55]
Naik has also condemned and criticized the atrocities of New York (9/11), London (7/7) and Mumbai serial train bombers (7/11) before he condemns the attacks on Iraq, Afghanistan and Lebanon "in the same breath". Naik stated that:
"How can you ever justify killing innocent people? But in the same breath as condemning those responsible we must also condemn those responsible for the deaths of thousands of innocent people in Iraq, Afghanistan and Lebanon" (As reported by the Manchester Evening News, 21 August 2006 as part of a speech you gave at the Expo Islamia conference in Manchester.[55]
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ji bhaia......apni ki lecture er vdo ta deksen ekbaaro??? purata dekien thn kotha boltehe ashiyen.....apni mone hoi ekane kheal korennai.....
I am with him. Every Muslim should be a terrorist.[54][56]...ekane 54 r 56 er majkan ta gelo koi??? janar try korcen kokono?? eita holo media...jara jinish k completly change kore dithe pare...
r dr.naik bolcen uni laden k chineno na..laden onar frnd o na...n bbc,cnn er dekano vdo footage er upor depend kroe uni kono comment o korte parenna.!!
r apnara mone hoi nijeder onek wise mone koren religion er againts e kotha bole......jibone hoitho onek writer er book o porcen.....ekbar ei knowldge diye QURAn r HADITH bhuje poren..then jhogra korte ashiyen DR.ZAKIR NAIK konta bhul bolce ei porjontho...!!
sorry mone kosto niyennaa......r ami ondho na....!!
যে লেখায় মন্তব্য করেছেন সেই লেখাতেই দুটো লিংক দেয়া আছে। ওই দুটো লেখায় অনেক গুলো ভুল ধরে দেয়া আছে। (১, ২)
আসল ব্যাপার হচ্ছে এই পোস্টের লেখক বা অন্য কেউ কোথাও দাবী করে নাই যে আমরা জ্ঞানী কিংবা বেশী জানি। উপরন্তু কোরান হাদিস বুঝে পড়ার সাথে জাকির নায়েককে সর্মথন করারও কোনো সর্ম্পক নাই। বিষয় দুটো ভিন্ন - আপনি কোরানের পথে চলুন আপত্তি নেই। কিন্তু জাকির নায়েক সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে ভুল/বিকৃত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। সমস্যাটা সেখানেই।
আমি সাধারনতঃ আপনার মত হার্ডকোর সাপোর্টারদের সাথে কনফ্রন্টেশনে যাই না (সার্টেনিটি বায়াস)। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন আপনার ধর্মবিশ্বাসটা পুঁজি করে একজন ভুল মানুষ ভুল মেসেজ পৌঁছে দিচ্ছে কিনা।
আর, অনুগ্রহ করে বাংলায় লিখুন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নিচে জাকির নায়েকের ২ টা ভিডিও আছে, ২য়টা(অন্য ধর্মের উপাসনালয় নিয়ে) দেখে ওনার বিবেচনাবোধ এর নিম্নগামীতা স্পষ্ট বোঝা যায়, কিন্তু
১ম ভিডিওটায়(টেররিস্ট নিয়ে) তাকে কি খুব ভুল বলা যাবে? ৯/১১ এর ৫ বছর আগে করা এই ভিডিওটায় সব মুসলিমকে টেররিস্ট হতে বলা হয়েছে, কিন্তু আগে পিছের কথা শুনলে মূল সুরটা বুঝতে কষ্ট হয় না। ভাবটা অনেকটা এরকম যে "মূল টেররাইজারকে যে টেররাইজ করছে, সে ইসলামকে ফলো করছে", অনেকটা যেরকম কোন প্রেমিক হয়ত বলবে "তোকে ভালবেসে যদি অপরাধী হই, তবে হলুম না হয় অপরাধী, দুনিয়ার প্রতিটা পুরুষ যেন হয় এইরকম অপরাধী"।
আপনার জাকির নায়েক প্রেমের নমুনা দেখে আমি মুগ্ধ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দিফিও ৯/১১ এর পাঁচ বছর আগে দেয়া এই স্টেইটমেন্টই প্রমান করে ৯/১১ কেন ঘটেছে। এবং কেন জাকির পরিত্যাজ্য।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মডারেটরদের কাছে অনুরোধটা আগেও করেছি এখনও করছি। রোমান হরফে বাংলা লেখা মন্তব্যের ছাড়পত্র না দেয়া হোক। ফোনেটিক কিবোর্ডের যুগে বাংলা টাইপ করতে পারি না টাইপ খোড়া যুক্তিকে আর সুযোগ না দেই।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ধুর! মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো!
অবাক ব্যাপার এই যে আন্তর্জালিক এতো তথ্যের উপস্থিতির পরেও আমিই আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবীকে এই ব্যাটার লেকচার হা করে শুনতে, এমনকি উচ্চশিক্ষিত আমার এক বান্ধবীর কাছে এর বিশাল মোটা লেকচার সমগ্র আছে, এবং তাকে আমি নিজে সেটা পড়তে দেখেছি। ব্যাপারটা বেদনাদায়ক। কাঠালপাতা থেকে শুরু করে কাগজ পর্যন্ত যে যা গেলাবে তা আমরা এই যুগে এসে সোনামুখ করে গিল্বো এই উপলব্ধিটা যেকোনও শিক্ষিত মানুষের জন্যেই লজ্জাকর!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ব্যাপারটা সর্বপ্রথম জানি ফেসবুকে। আমার এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে দিসে।
দেখেই মেজাজটা বিগড়ে গেল। এই জোকারের অদ্ভুত বানোয়াট কথা শুনলে রক্ত সোজা মাথায় গিয়ে ওঠে।
জোকার নায়েকের আসা হয়তোবা আমরা থামাতে পারবোনা। ভিসা না দিলে সম্ভবত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ করে ভারতের কাছে থেকে সমস্যায় পড়তে হতো বাংলাদেশকে। কারণ, জোকার বাবাজি ভারতীয় নাগরিক। আমাদের এই মুহূর্তে যা করা উচিত সেটা হচ্ছে, সাধারণ জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার উন্মেষ ঘটানো।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
ওই হতভাগাটাকে ভিসা না দিলে ভারতের গোঁসা হতে বলে আমার আদৌ মনে হয় না। হয়ত ওর চ্যালাচামুন্ডারা কিছু হাউকাউ করত। কিন্তু সরকারের কি এসে যায়?
এটি জাকির নায়েকের সাদামাটা ধর্মীয় সফর নাকি ভিন্ন কোন এজেন্ডা আছে?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মানুষ ইদানিং বেশি বেশি বোকা হয়ে যাচ্ছে কেন বুঝি না। এই জোকারটার নিজের বয়ান দেওয়া এক পেশে জীবনী পড়েই তাকে মহাপুরুষ ধরে নেওয়া হচ্ছে। ধর্মের নামে ধর্মান্ধতা আর ধর্মোম্মাদনার অবসান হোক।
সবথেকে অবাক হই যখন দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বন্ধুটিকে কোনদিন নামায-রোযা নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখিনি সে যখন কোন আড্ডায় চোখ বড় বড় করে বলে জাকির নায়েক লুক্টা কত জ্ঞানী, ইসলাম নিয়ে কত পড়াশুনা, আধুনিক মনোভাব ইতং-বিতং।
এই পারভার্ট লোকটার বাংলাদেশ সফর কোনভাবেই কি বন্ধ করা যায় না?
একটা কম্পলিট ভাড়! ধর্মীয় বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এবং মৌলবাদিতা পৃষ্ঠপোষকতার জন্য তাকে অনেক আগেই কতল করা দরকার ছিল। এই লোকটারে দেখলে কেবল মনে হয় যে ভারতে আসলেই বাক স্বাধীনতা আছে, অথবা এটাও ভারতের একপ্রকার রাজনীতি। যখন ইচ্ছা তসলিমাকে এরা আশ্রয়ও দিতে আপ্রে আবার প্রয়োজন ফুড়িয়ে গেলে ছুড়েও ফেলে দিতে পারে। জোকার ভারতের জন্য একটা ট্রাম্প কার্ড, উদারতা প্রকাশ করার জন্য। তাঁর সায়েন্স এক্সপ্লেইনিং কমেডিগুলো অবশ্য খুব মজা পাই, আইনস্টাইন ফেইল!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
হ। এইটা আমাগো ষড়যন্ত্রই। ব্যাটা হেথায় অনেক জ্বালাইছে, অন্তত কয়দিন দূরে থাকুক বলে পাঠায়ে দিসি আপনাগো লগে।
বিদেশী কেউ বাংলাদেশে এসে কোনো পাবলিক মিটিং করলে (অর্থের বিনিময়ে বা অর্থের বিনিময় ছাড়া) দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পূর্বানুমতি নেবার দরকার আছে। এক্ষেত্রে অনুমোদন কি নেয়া হয়েছে? নেয়া হয়ে থাকলে কারা তার জন্য আবেদন করেছে? খোলা জায়গায় বা কোনো অডিটোরিয়ামে প্রোগ্রাম করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি কি সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ কমিশনারের অনুমতি কি নেয়া হয়েছে? সেখানেই বা কারা আবেদন করেছে? এগুলো জানা খুব দরকার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কে কি গিলবে এইটা আসলে তার বেপার। আর খুব হাসি পেলো, কে কে তার লেকচার শুনবে তার লিস্ট করার প্রস্তাব শুনে।
বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে সবার সব কিসু শোনার অধিকার আছে। তসলিমা নাসরিন কে নিয়ে যেমন মাতামাতি একদমই পছন্দ করিনা, তেমনি যাকির নায়েক কে নিয়েও না। আর সে আসবে তাই, মানব বন্ধন করে protest করা লাগবে, এটাও মনে হয় তার জনপ্রিয়তা বারাবে বই কোনো ভাবেই কমাবে না। তার লেকচার শুনে কেউ জেহাদি হতে চাইলে দেশের আইন আছে, সে ভাবেই তার বিচার হবে। একটা কথা মনে হয় ভুলে গেলে হবেনা, আজকে যাকির নায়েক কে আসতে বাধা দিলে, কালকে মুক্ত চিন্তার কেউ দেশে আস্তে চাইলে তাকেও কিন্তু লোকজন বাধা দিতে চাইবে।
কেপি টেস্ট পজিটিভ।
একদম ঠিক। কালকে ঘোড়ার গাড়ি চলতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে এই চিন্তায় আজকে শুঁয়োরকে ঘোঁত ঘোঁত করতে দিতে হবে। তা না হলে শুঁয়োরের স্বাধীনতার বরখেলাপ হবে। এবং এতে নিশ্চিতভাবেই শুঁয়োরের জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং লোকে বেশি বেশি করে শুঁয়োর কোলে নিয়ে ঘুমাবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পোস্টের শুরুতে যে উদ্ধৃতি দেয়া, সেটাই তো যথেষ্ট!!! কী করে, ঠিক কী ধরনের চিন্তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ এই লোকটার কথাবার্তা বসে বসে শুনতে থাকে সেটা নিয়েই বোধহয় গবেষণা হতে পারে!
সারাজীবন আব্বা আম্মাকে দেখলাম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে এবং আরও নানারকম ধর্মীয় আচার পালন করতে। কোনদিন তো তাঁদের বা তাঁদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের মুখে এধরনের কথা শুনি নি। আমাদের জেনারেশনই শেষ পর্যন্ত ধর্মের সঠিক অর্থ অনুধাবন করতে পারলো দেখা যাচ্ছে!
এই উদাহরণ কাজে লাগিয়েও যদি লোকটার আসার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা যেতো!
আমার কিছু উচ্চশিক্ষিত বুয়েটপাশ ইঞ্জিনিয়ার যখন নায়ক সাহেবের 'ডারউইন তত্ত্বের' অপব্যাখ্যা শুনে গদ্গদ হয়ে বলেন মারহাবা মারহাবা--জাকির সাব তো আসলেই একখান জিনিস--সেলাম বসকে--'বস ইজ ইনফ্যালিবল'--তখন সাধারন অল্পশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত আমজনতা আর কী বলবে ! স্বাভাবিকভাবেই দলে দলে জিকির তোলবে--"নারায়ে জামাত" !
আর সজল ভালই কইস--স্ক্র্যাপ--হাহাহা--আমি আরেকটু যোগ করি--গ্রীনপিস তালিকাভুক্ত স্ক্র্যাপ এম ভি নায়েক--
মরিয়া ধর্মজীবি ঘাতক দালালরা এখন খড়কুটো আঁকড়ে ও বাঁচতে চাইবে, তাদের একটা বড় ইস্যু মিস হয়ে গেছে পিলখানায়।
মরিয়া ধর্মজীবি ঘাতক দালালরা এখন খড়কুটো আঁকড়ে ও বাঁচতে চাইবে---সত্য।চাইছে, এটা বুঝতে পারি।
কিন্তু 'তাদের একটা বড় ইস্যু মিস হয়ে গেছে পিলখানায়' এই অংশটুকু একটু বুঝিয়ে বলার জন্য অনুরোধ করছি।
খুব বেশী বুঝিয়ে বলার কি কিছু আছে?
ঘটনা যে কারনেই ঘটুক, যেই ঘটাক- বিডিআর, সেনাবাহিনী যুদ্ধটা শুরু হয়ে গেলে সরকারের পতন ঘটতো। সে ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতো।
এখন চাইলে এ নিয়ে আপনি কথা বাড়াতে পারেন। তবে এ আলোচনা দীর্ঘ হলে এ পোষ্টের মেরিট নষ্ট হবে।
অতিথি লেখক হিসেবে লগইন করে আপনি আলাদা পোষ্ট দিতে পারেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনার এই পোষ্টটার মেরিট নষ্ট হোক মোটেই চাই না। তবে বিডি আর ঘটনার ক্রেডিট ইসলামী জংগী গোষ্ঠীর অ্যাকাউন্টে জমা না দিলেও পারতেন। এই আর কি।
এই পোষ্ট টি সময় মতই দিয়েছেন।আশা রাখি ধর্ম নিরপেক্ষ এই দেশের প্রগতিশীল মানুষেরা জাকির নায়েক এর আগমন ঠেকাতে না পারলেও, 'শুভেচ্ছা স্বাগতম' এর ঢোল এর চামড়ায় যেন তার আসল চেহারাটা আঁকতে পারেন।
ধন্যবাদ।
একটা ঘটনা যখন ঘটে তার ক্রেডিট একাধিক পক্ষ নিতে পারে, এমনকি পরস্পরবিরোধী পক্ষগুলোও একই ঘটনা থেকে একইরকম ক্রেডিট নিতে পারে। ইতিহাসের পরিহাস-যারা ঘটায়, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ক্রেডিট তাদের ঝুলিতে জমা হয়না।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একমত।আপনার ওই উদ্ধৃতিটিতে তার কিছু আলামত পাওয়া যায়।
এই ঘুড়ারোগাক্রান্ত রামছাগলের ভিসা বাতিল হোক।
দলে দলে যোগ দিন জশনে জুলুছে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
মজা করে কিছু লিখতে চেয়েছিলাম, তার আগেই এই সিরিকাস পোস্ট! এমনিতেই লিখি না কতদিন!
যাক, দলে দলে ফেসবুকে এই লিংকে যোগাযোগ করুন।
ইয়ে...তার নামে দরুদ কিভাবে পড়া হবে?
আজ একটু ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি হলো, কাঁটালপাতাসমূহ চকচকাইসে, কে বলে উপরওলা নাই?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
জোকার নায়েকের ভিসা বাতিল করা হোক।
একবার ঈদের আগে সিলেট থেকে বাড়ি যাচ্ছি সৌদিয়া বাসে। সারা রাত সাঈদীর ওয়াজ চলছে। আর সেই ওয়াজের রেকর্ড কোথায় হয়েছে জানেন? -ইতালির রোম শহরে।
মানুষের রেসপন্স দেখে বোঝা যায় তাদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়, হাজারখানেকও হতে পারে। তো আমার কথা হচ্ছে, এইসব ধর্মজীবিদের কোন ক্যাটাগরিতে ভিসা দেয়া হয়, কেনই বা দেয়া হয়? এরা আমাদের কোন উপকারটা করে?
আমাদের দেশ থেকেও এদের প্রত্যাখ্যান করা হোক।
অবাক ব্যাপার যে, আমাদের কর্তাব্যক্তিরা এটা জানে না যে, এই ভন্ডটার বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের ইসলামিক স্কলাররা শত শত ফতোয়া জারি করেছেন। শুধু তাই নয়, ভারতের বিশিষ্ট মওলানা ইরফান তাকে কাফের বলেও রায় দিয়েছেন।
রাসেল আরেফিন সাহেব, মওলানা ইরফানের ফতোয়া বিচার করে কেন জোকার নায়েককে বিশ্লেষণ করতে হবে? স্বাভাবিক শুভবোধ থেকেই তো বোঝা যায় বেটা ইসলাম বেচে খাচ্ছে।
এই মওলানা ইরফান আজকে জোকারকে কাফের বলছে, কাল আপনাকেও বলতে পারে। জোকারকে প্রতিরোধের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বী মওলানার ফতোয়া নয়, বরং মানুষের যুক্তি ও ন্যায়বোধ প্রয়োগ করা বেশি জরুরি। কর্তাব্যক্তিরা মওলানা ইরফানের ফতোয়া নয়, বাংলাদেশের সাম্যাবস্থার ওপর জোকারের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করেই একে বহিষ্কার করবেন, এমন আশা রাখি।
কিছু উদাহরণ আর লিঙ্ক দিলে ভাল হয়।অলস তো তাই।রেডিমেড পেলে সুবিধা হয়।
মাওলানা আরেফিন আর জাকির নায়েক এর দ্বন্দ্বটা বাণিজ্যিক হওয়ার সভাবনা আছে।
জাকির নায়েকদেরকে চিনতে যে 'অভিজ্ঞতা' (প্রত্যক্ষ বা ডিডাকশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত) প্রয়োজন, আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা বাই ডিফল্ট তা প্রদান করে না। ভালো রেজাল্ট করতে পঠিত বিষয়ের ওপরই চিন্তার চর্চা খুব একটা করতে হয় না আর সামাজিক জীব হিসেবে আশেপাশের জগত সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও বুদ্ধি আমাদের অ্যাকাডেমিক শিক্ষায় পাওয়ার সুযোগ আরো কম। সুতরাং জাকির নায়েক সম্পর্কে সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিতদের মূর্খামি মোটেই আশ্চর্যের বিষয় নয়; বরং সেটাই নানা কারণে স্বাভাবিক।
আমাদের সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিতদের সমস্যা-সৃষ্টিকারী একটা বড়ো ধরনের সীমাবদ্ধতা হলো তারা একটা বিষয়ে সাফল্য লাভ করলে অন্যান্য বিষয়ের ব্যাপারেও নিজেকে এক্সপার্ট মনে করে। (এই সমস্যা আমার নিজেরও আছে, যদিও সমস্যা বুঝতে পারলে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করি।) এই সমস্যা বুঝতে পারাও খুব সহজ কাজ নয়; কারণ আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় কোনো বিষয়ে সফল হলেই তাকে মোটামুটি মাথায় তুলে রাখা হয়, সাফল্য অপেক্ষাকৃত রেয়ার কেস হওয়ায় আমরা সাফল্য কাঙ্গাল, ভুল-ত্রুটিতে নজর দেয়ার অবকাশ নেই বললেই চলে।
ঝামেলা হলো, একজন সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত যে বিষয়ের ওপরে তেমন কিছুই জানে না, সে না জানাটাকে অসম্মানের মনে করে এবং তখন চলে আসে 'ভাব' দেখানোর প্র্যাকটিস, তখন আসে একগুঁয়েমিতা। এভাবে আমাদের সার্টিফিকেটধারী শিক্ষইতদের সিংহভাগই মূলত স্টান্টবাজ হয়ে ওঠে এবং এটাকেই স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে ধরে নেয়।
জাকির নায়েক নিজে খুব এক্সপার্ট একজন স্টান্টবাজ। তার রেফারেন্স মুখস্ত করার কসরত দেখেই বুঝা যায় তারর ফোকাস কো্থায়: ধর্ম শিক্ষায়, নাকি নিজের পান্ডিত্য জাহিরে। আমাদের শিক্ষিতরা এই ধরনের পান্ডিত্য জাহিরের ফ্যান; কারণ, নিজেদেরও ফোকাস থাকে একই দিকে। যারা জাকির নায়েকের ফ্যান, তারা নট-নেসেসারিলি ধার্মিক; তারা জাকির নায়েককে তাদের নিজস্ব স্ট্যান্ডার্ডে বিদ্বান মনে করে বলেই তার ফ্যান।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
২০১০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা ও ধর্মে সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণীত হয়েছিল। আমাদের স্কুল "সৃজনশীল" ধর্মশিক্ষা দেওয়ার জন্য ধর্মশিক্ষক খুজতে গিয়ে পড়ল বিপাকে, নিয়ে আসল এক উত্তরাধুনিক ধর্মশিক্ষককে। দেখতে জাকিরের মত, কথা কয় জাকিরের মত, এবং তার আদর্শও জাকির নায়েক। উনার নাম ছিল জাহাঙ্গীর, পোলাপান উনাকে ডাকত জাহাঙ্গীর নায়েক। তিনি ক্লাসে "ইসলামীক ডেমোক্রেসী" নামক এক হাসজারু জাতীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর ওয়াজ করতেন(তবে জামায়াত-শিবিরের বিরোধীতাও করতেন)। ক্লাসে একবার উনি নারী নেতৃত্ব হারাম ঘোষণা করেছিলেন, ফাজিল পোলাপাইন কি মনে করে হাসিনার ছবি এঁকে নিচে "নারী নেতৃত্ব হারাম" লিখে ক্লাসের বুলেটিং বোর্ডে ঝুলায়া দিল। এক শিক্ষক এসে কার্টুনটির ছবি তুলে নিয়ে যান। এর পরে উনাকে ঘিরে নানা ঘটনা ঘটেছিল, ডারউইন দিবস উদযাপনের কয়েকদিন পর উনি ক্লাসে ঘোষণা করলেন যে মানুষ বান্দর থেকে আসে নাই কারণ আদম(আঃ) এর পক্ষে বান্দর হওয়া কোনমতেই সম্ভব না(ক্লাসের এক ছেলে অবশ্য মানববিবর্তন নিয়ে উনার ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছিল, কয়েকদিন আগেই স্কুলে ডারউইনের উপর একটা কর্মশালা হয়েছিল)। অবশেষে তিনি স্কুল থেকে বিতাড়িত হন।
এতকিছু বলার কারণ আছে। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির চারটি ধাপ থাকে, চতুর্থ ধাপে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে উত্তর করতে হয়। কোরান সম্পর্কিত এক প্রশ্নে আমাদের ধর্মশিক্ষক চতুর্থ ধাপে "কোরান এবং বিজ্ঞান: সংঘাত নাকি সমম্বয়" জাতীয় একটা প্রশ্ন করেছিলেন, এবং এও বলেছিলেন যে উক্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সবাইকে জাকির নায়েকের এপোনাইমাস বইটি পড়তে হবে। তিনি আমাদের স্কুলে টিকতে পারেননি, কিন্তু বাংলাদেশের কত স্কুলে যে তার মত কূপমন্ডুকেরা ধর্ম ক্লাসে জাকির নায়েকের বই গিলাচ্ছে, রাজনৈতিক ইসলাম নামক বিষবৃক্ষের বীজ বপন করছে, তার হিসাব কেই বা রাখছে! বিশেষ করে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি টিকিয়ে রাখতে পারলে এবং বাধ্যতামূলক ধর্মশিক্ষা বলবৎ থাকলে জাকির নায়েক কেন, পুরো পিস টিভিই বাংলাদেশের শ্রেণীকক্ষে আগ্রাসন চালাবে। নিকট ভবিষ্যতে এমন অনেক মানুষ দেখা যাবে যারা পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে বেলেল্লাপনার উপলক্ষ হিসেবে আখ্যায়িত করবে। বর্তমানকালেই তো বৈশাখী উৎসবের সময়ে অন্য সব ব্লগগুলোতে এড হক ভিত্তিতে আলেম গজিয়ে উঠে।
এই যুগের ছেলেপেলে এখন অনেক কাজ করে যা তীব্রভাবেই ধর্মবিরোধী। গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড কালচারে অভ্যস্ত এসব ছেলেমেয়েরা ধর্মকর্মে ঠনঠন হলেও জাকির নায়েক সম্পর্কে কিছু বললেই তেড়ে মারতে আসে। টিনএজার বলেন আর পিএইচডি করা ব্যক্তিই বলেন, বাঙ্গালীর কাছে মুখস্থবিদ্যা এখনও বড় বিদ্যা। আমাদের সংস্কৃতিতে মুক্তচিন্তা, যুক্তিবাদের ছিটেফোটাও নেই দেখে গড়গড় করে সব ধর্মের ধর্মগ্রন্থের শ্লোক আওড়ানোর "বিদ্যা"কে আমরা জ্ঞানের মর্যাদায় আসীন করি। জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফরের পেছনে যেই উদ্দেশ্যই থাকুক, আমার মনে হয় না তাকে প্রতিহত করার ক্ষমতা এখনও আমরা আয়ত্ত করতে পেরেছি। জাকির নায়েকের কুযুক্তি বোঝার জন্য খুব বেশি ঘিলু লাগে না, কিন্তু এমন ধীশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি মেইনস্ট্রীম বাংলাদেশে কয়টা আছে সেটা হল প্রশ্ন।
এর তথ্যসূত্রটা পেলে খুশি হতাম।
Liberation and Beyond: Indo-Bangladesh Relations: JN Dixit
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই বইটার উপর আপনি একবার আলোকপাত করেছিলেন।আরও কিছু অংশ নিয়ে একটা লেখা দিবেন বলেছিলেন।অপেক্ষায় থাকলাম।
আলসেমী
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভারতীয় আদালতের রায়ের পরপরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ধর্মজীবি রাজনীতির আশ্রয় বেগম খালেদা জিয়া পত্রিকা অফিসে বিবৃতি পাঠিয়েছিলেন দেশবাসীকে শান্ত থাকার জন্য( দেশবাসী কি অশান্ত হয়ে উঠেছিলো এ নিয়ে?) কিন্তু বিবৃতি প্রকাশের আগেই তিনি তা প্রত্যহার করে নেন।
কে জানে কি আছে তাহার মনে?
পোষ্টের এই অংশটুকু একেবারেই অপ্রয়োজনীয়।নির্বাচনের আগে হিজাব মাথায় দিয়ে পোষ্টার ছাপানোর ট্রাডিশন সৃষ্টিকারী আরেক প্রধানমন্ত্রীর কথা ভুলে গেলেন কেন ? 'আলেম ওলামা মাশায়েখ লীগ' নামে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির ধ্বজাধারী দলটির একটা অঙ্গসংগঠন আছে।আর গত নির্বাচনে জেতার জন্য জামাত ছাড়া আর বাকী যত ইসলামী দল ছিল চেঁছেমুছে তাদের সবার সাথে লিখিত চুক্তিও করেছিলেন তিনি, দলের কারো সাথে কিংবা মহাজোটের অন্য শরীক কোন দলের সাথে আলোচনা না করেই।
ছাই দিবেন যখন,সব হাড়িতেই দেন।আমরা সবাই জানি কার মনে কি আছে।
আমরা এখন ধর্মনিরপেক্ষ একটা রাষ্ট্র।কাউকেই এই ব্যাপারটিতে আর ছাড় দেয়ার কিছু নেই।
আমি এখানে বানরের পিঠা ভাগ করতে বসিনি যে, ছাই দিতে হলে সব হাড়িতেই দিতে হবে।
প্রসঙ্গ ছিলো ভারতীয় আদালতের বাবরী মসজিদের রায়, এই রায়ের প্রেক্ষিতেই খালেদা জিয়া পত্রিকায় তার বিবৃতি পাঠান এবং প্রত্যাহার করেন।
একই কাজ হাসিনা করলে, প্রসঙ্গক্রমেই তার কথা আসতো।
খালেদার বিবৃতিপ্রদান ও প্রত্যাহারের কথা বলতে গেলে হাসিনার হিজাব পরিধানকে ও টেনে আনতে হবে- আমি অতোটা নিরপেক্ষতাবাদী নই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বাবরী মসজিদ এর প্রসঙ্গে দেয়া বিবৃতির ব্যাপারে না হয় বুঝলাম, কিন্তু 'ধর্মজীবি রাজনীতির আশ্রয়' কথাটি কি হাসিনার ব্যাপারেও প্রযোজ্য নয় ?
হাসিনা আগে সত্যি সত্যিই ধর্মজীবিদের সাথে নিয়ে নির্বাচন করুক, ক্ষমতার অংশীদারিত্ব দিক, মন্ত্রী বানাক, ২০০১-২০০৭ সময়ের মতো সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের চাষবাস করুক, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধীতা করুক, সাকার মতো কাউকে দলের স্থায়ী কমিটিতে ঢোকাক, নিজ দলের বারোটা বাজিয়ে ধর্মজীবি দলের খাদ্য যোগাক, সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা ঝেটিয়ে বিদায় করুক, দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে আইএসআইর বিটিম বানাক, দেশের বন্দরকে অস্ত্র পাচারের জন্য ব্যবহৃত হতে দিক, দু একটা বাংলাভাই তৈরী করুক, বিরোধী দলীয় নেত্রীকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা করুক - তারপর দুজনকে এক পাল্লায় মাপি।
তার আগ পর্যন্ত ঐ হিজাব পড়া, ইসলামী জোটের সাথে চুক্তি করা এগুলোর সমালোচনা ও প্রতিবাদে থাকি।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একটু হাস্যকর হয়ে গেল না , কথাগুলো?
চুক্তিটা তো হয়েছিল নির্বাচনের জন্যই।ইসলামী দলের সাথে এই চুক্তিটাকে আপনি মৌলবাদের চাষবাস না বললেও এটা বীজ বপন তো বটেই।আজকের বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো র'এর বি টীম হিসেবেই কাজ করছে, আর তাই দেখতে পাই বাংলাদেশের মাটিতে এসে এরা অপারেশন পরিচালনা করে উলফা নেতাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গরীবের বউ সবার ভাবী, এই সত্যটা মেনে না নিয়ে আর উপায় থাকছে না।আলীগের পতাকা তলে শুধু রাজাকারই নেই, বংগবন্ধু'র খুনীরাও আছে।আদালত রায় দিয়ে পরিষ্কারভাবে বাংলাদেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা না দিলে বর্তমান সংবিধান সংশোধন কমিটি বিসমিল্লাহ, ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম দুটোই রেখে মাঝা মাঝি একটা কিছু সমাধান খুঁজছিল এটা সবাই জানে।এবং এ ব্যাপারে মন্ত্রীরা বারবার জনগণকে নিশ্চয়তাও দিয়েছে।
আর হ্যাঁ, হরকাতুল জিহাদের সদস্যদের ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সাথে সম্পৃক্ততা নিশ্চিত ভাবে পাওয়া গেছে। সেখানে যদি, খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততার বিন্দুমাত্র প্রমাণ পাওয়া যেত, তা হলে খালেদা জিয়াকে আর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় বসে রুপচর্চা করা লাগত না, অতখানি উদারপন্থী দল আওয়ামীলীগ নয়, বাই দিস টাইম রুপবান বিবি কোন এক জেলখানায় বসে বড়জোর প্রহরীর এনে দেওয়া আফিম খেয়ে ঘুমিয়ে থাকতেন।
একেবারেই অফটপিক চলে গেল আলোচনাটা, কারণ আপনার সগর্ব পক্ষপাতিত্ব। জাকির নায়েকের আগমন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, ধান ভানতে শীবের গীতটা আপনি না গাইলেও পারতেন।
১।
যে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে, সেই নির্বাচন ঐ চুক্তি অনুযায়ী হয়নি। যদি হতো, আওয়ামী লীগ ধর্মজীবিদের সাথে জোটবেঁধে নির্বাচন করতো এবং সরকার গঠন করতো তাহলে একে বিএনপি-জামাত সখ্যতার সমান বলে বিবেচনা করা যেতো। আওয়ামী লীগের চুক্তি করাকে কেউ প্রশংসা করছেনা নিন্দা ছাড়া কিন্তু এটাকে কোনভাবেই বিএনপির ধর্মজীবি পোষার সমান করে ফেলা যায়না। আওয়ামী লীগ ঐ চুক্তি বাতিল করেছে, বিএনপি এখনো জামাতকে গলায় ঝুলিয়ে রেখেছে- সুতরাং পার্থক্য আছে!
২।
র' যদি বাংলাদেশের মাটিতে অপারেশন চালায় সেটা নিন্দনীয়। তবে বাংলাদেশের মাটিকে ভিন্ন দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে না দেয়ার সরকারী সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়
৩।
এভারেজ কথা বলবেননা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকার মতো রাজাকার। আওয়ামীলীগের এই পর্যায়ে কে রাজাকার, কে বঙ্গবন্ধুর খুনী- নামগুলো জানান।
৪।সরকার নীতিগত সমর্থন না জানালে আদালতের রায়ে সংবিধান বদলেনা। বিএনপি বন্দুকের জোরে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল করেছে- এই অপরাধকে আপনি আওয়ামীলীগের দোদুল্যমানতার সাথে এক পাল্লায় মাপতে পারেননা। আওয়ামী লীগের এই দোদুল্যমানতা তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আদর্শিক দৃঢ়তার অভাব, বিএনপির এটা চরম অপরাধ।
৫।
এটা গোপন করলেন কেনো জোট সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু জড়িত ছিলো যে? গ্রেনেড হামলার পরদিন সংসদে খালেদা জিয়ার দাবী এটা আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে সিআইডি'র জজ মিয়া নাটক সাজানো?
এবার বলেন- খালেদা আসলেই নির্দোষ। সবদোষ- বাবর, পিন্টু, হরকাতুলের।
আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী আচরন, নীতিগত অবস্থানে দৃঢ়তার অভাব, শেখ হাসিনার অনেকক্ষেত্রে অপরিপক্কতা, চামচা পরিবেষ্টিত থাকা- এরকম অনেক অনেক সমালোচনা করা যায়, করা দরকার।
কিন্তু ক্যান্টনমেন্টে জন্মনেয়া বিএনপি, বাংলাদেশে সামরিক শাসনের প্রবক্তা ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে কবর থেকে তুলে আনা জিয়াউর রহমান এবং যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশের সমাজজীবনে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদকে আরো ছড়িয়ে দেবার যে দায় খালেদা জিয়ার, তাকে জাস্টিফাই করার জন্য একই পাল্লায় আওয়ামী লীগ ও হাসিনাকে তুলে দেয়া- চরম রাজনৈতিক মকারী।
এই মকারীতে অনেকেই ভুলে, সবাই ভুলেনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসান ভাই
যদিও আপনি বলেছেন, আপনি অতটা নিরপেক্ষতাবাদী নন, তারপরও বলব, আপনি আপনার পোষ্ট আর মন্তব্যে সততার সরল (আদতে বন্ধুর) পথে চলতেই অভ্যস্ত।অনেকটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে হলেও এই পোষ্টে ভুট্টোর আগমনে অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু’র কান্নাকাটির ঘটনাটি আর ও আই সি নামক নিস্ফলা সঙ্ঘটিতে যোগদানের অবতারণা করায়, আমাদের ধর্মপরায়ণ রাজনীতির অতীত ঐতিহ্য উঠে এসেছে ।আপনার এই পোষ্ট আর বেশীরভাগ লেখক/পাঠকের মন্তব্য আপনার পোষ্টটিকে জাকির নায়েকের ভন্ডামীর গন্ডি ছাড়িয়ে ধর্মান্ধতার মূল বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে।জাকির নায়েক আসবে, যাবে।আমাদেরকেই আমাদের ধর্মান্ধতা আর রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ প্রসঙ্গে দুএকটি উদাহরণ(যা সবার জানা), সামনে না নিয়ে এসে পারছিনা।শুরু থেকে শুরু করলে,১৯৪৭ সালে জিন্নাহর দ্বিজাতিত্তত্বের ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ স্লোগানে মুগ্ধ হওয়া থেকে বলতে হয়, আমি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের উদাহরণ টানছি, কারণ এর আগে আর কখনো আমাদের নিজেদের ভাগ্য গড়ার সুযোগ আমাদের ছিলনা।
এক। ১৯৭২ সালে আমাদের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অল্পকিছুদিনের মধ্যেই বাঙ্গালদেশে ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়।তখনো বাংলাদেশে থাকা বিপুল সংখ্যক হিন্দুধর্মাবলম্বী এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষগুলো কি দোষ করল ? ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এটি সাংবিধানিক আদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি।ময়ূরপংক্ষী, সবুজ পাতা, সপ্তডিঙ্গা, নবারুণ প্রভৃতি নামে ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে শিশুকিশোরদের জন্য পত্রিকা বের হত।এখনো হয়ত হয়, জানি না।ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আমাদের বন্ধুরা হাত ভর্তি করে বিভিন্ন ইসলামী বই আর পত্রিকা নিয়ে ফেরত আসতো।এই ছাত্রদের মধ্যে অনেককেই আমি দেখাছি পরবর্তীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগ দিতে,মাদ্রাসা ছাত্রদের কথা না হয় বাদই দিলাম। এই রকম পরিস্থিতিতে বুয়েট বি আই টি তে পড়া ছাত্ররা ধর্মান্ধ না হওয়ার কোন কারণ দেখি না।পরবর্তীতে ৮২/৮৩’র দিকে শিশু একাডেমী গঠিত হলে অবশ্য বাংলাদেশের সব শিশুরা তাদের প্রতিভার স্ফূরণ ঘটানোর আধুনিক একটা প্লাটফরম পায়।সে যাই হোক, গরীব একটি দেশ যে তার শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনা, তার পক্ষে ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা একটি অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতা বই কিছু নয়।যারা ধর্ম পালন করতে চায়, তা তারা করুক নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী।
দুই। জিয়া ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা।অথচ তিনিই কিনা রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ করে দিলেন।আর পরবর্তীতে আমরা সবাই ক্ষমতার জন্য কেউ তাদের হাত ধরলাম, কেউ তাদের রক্তমাখা হাত ধুয়ে দিলাম।আর কিছুদিন গেলে হয়তো, পরম ভক্তিতে অযূ করিয়ে দিতাম, কোন সন্দেহ নেই।
তিন। যশোরে উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হরকাতুল যিহাদের বোমা হামলার কথা আপনার নিশ্চয়ই মনে থাকবে।সেই সময়ে সরকার ঘটনাটির সঠিক তদন্তে না গিয়ে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবাহার করল।এমপি তরিকুল আর তার দোসর চোরাচালান সিন্ডিকেটের হাসানকে আসামী বানিয়ে চার্জশীট দেয়া হল।(এটা সম্ভবত আগেও একবার সচলায়তনে বলেছিলাম)।পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তারা দুজনেই বেকসুর খাল্লাস।এটি ছিল রাষ্ট্রীয় ভাবে বাংলাদেশের প্রথম জঙ্গীবাদের এক পরোক্ষ অথচ প্রণোদনাদায়ী পৃষ্ঠপোষকতা।অবশ্য এর প্রতিদান হিসেবে হরকাতুল যিহাদ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপর কোটালিপাড়ায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়।দুধ কলা দিয়ে আমরা(আমি আমরাই বলতে চাই)সাপ পুষে চলেছি কিসের আশায় আমার বোধগম্য নয়।
জোট সরকারের সময়ের ঘটনাগুলো তো আপনি নিজেই বলেছেন।
এখন সময় এসেছে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার।আমাদের নেতা নেত্রীরা যদি একবার, একবার তাদের এই সমস্ত ভুল স্বীকার করে আর কখনো এমন অন্যায় না করার প্রতিশ্রুতি দিতেন, তাহলে, আর আমাদের এই সমস্ত অতীতাশ্রয়ী উদাহরণ আর ভ্রান্ত যুক্তি তুলে তুমি ইসলামীদের হাত ধরেছ তাই আমি ওদের পা ধুয়ে দিয়েছি টাইপের শঠতার ‘ফুটোচালাপর্ণকুটিরে’ আশ্রয়/আড়াল নেয়ার প্রয়োজন পড়তনা/সাহসও পেতনা।
পক্ষপাতিত্ত্ব থাকুক, তবে তা আমাদের সবার যে দায়বদ্ধতা আছে তাকে যেন আড়াল না করে।
ধন্যবাদ।
কিঞ্চিত সংশোধনী দেই, 'নবারুণ' ইসলামী ফাউন্ডেশনের পত্রিকা নয়, ডিএফপি থেকে প্রকাশিত। ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত কিশোর পত্রিকাগুলো হচ্ছে,
ঢাকা থেকে 'নতুন চাঁদ'
চট্টগ্রাম থেকে 'সাম্পান'
খুলনা থেকে 'সপ্তডিঙ্গা'
রাজশাহী থেকে 'ময়ুরপঙ্খী'
এগুলোর রম্রমা দিন ছিলো এরশাদের আমলে, আজকাল আর চোখে পড়েনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
@শ্রাবন্তী, আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চেয়েছি- সেকুলারিজমের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, শেখহাসিনার ভূমিকার আমি গুনমুগ্ধ নই বরং সমালোচক। কোন পরিস্থিতে ওআইসিতে যোগ দেয়ার জন্য, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য বঙ্গবন্ধু মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন সেটা মাথায় রেখেই বলি তার এই মরিয়া সিদ্ধান্তগুলো আখেরে কোন লাভ দেয়নি, ক্ষতি ছাড়া। সেই সাথে এটা ও মানি নিরংকুশ ধর্মনিরপেক্ষতা না হোক, অন্ততঃ সবধর্মের মানুষের সহাবস্থান, সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় ভাবে সংখ্যালঘুদের নিষ্পেষন না করার প্রতি পক্ষপাত ছিলো। প্র্যাক্টিসে না থাকুক( এটা একদিনের প্র্যাক্টিসে হয়ওনা), রাষ্ট্র একটা আইনী কাঠামো বলে- সংবিধানে অন্ততঃ ধর্মনিরপেক্ষতা যোগ করার, ধর্মরাজনীতি নিষিদ্ধ করার কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু সরকারের। ওআইসি যোগ দেয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এসব নিয়ে সমালোচনা করা যায় কিন্তু এটাকে অপরাধ বলা যায়না।
এর বিপরীতে অবৈধ ক্ষমতা দখল করে সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা মুছে দিয়ে, ধর্মীয় রাজনীতির অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করে জিয়াউর রহমান যা করেছে সেটা অপরাধ।
২০০১-২০০৬ পর্যন্ত খালেদা জিয়া জামাতকে গলায় ঝুলিয়ে যা যা করেছে- ক্ষমতার অংশীদারিত্ব, সংঘবদ্ধভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতন, অস্ত্র পাচার, ইসলামী জঙ্গীদের প্রশ্রয় দেয়া, বিরোধী নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা এগুলো অপরাধ।
এইসব মারাত্বক অপরাধ হাল্কা হয়ে যায় যখন একই সাথে সমালোচনা করতে যাবেন বঙ্গবন্ধুর ওআইসিতে যোগ দেয়া কিংবা ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করাকে।
আপনি উদীচি বোমাহামলার যে উদাহরন দিলেন- অবশ্যই সেটা ছিলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কান্ডজ্ঞানহীন কাজ। এর গুরুত্ব অনুধাবন না করে তারা সস্তা রাজনৈতিক সুযোগ নিতে চেয়েছে।
পক্ষান্তরে বিএনপি কিন্তু রাষ্ট্রকে ব্যবহার করেছে জঙ্গীবাদ প্রসারে। ২১শে আগষ্টের হামলায় হরকাতুল জিহাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে সরকারের দুই মন্ত্রী, অর্থ্যাৎ সরকার নিজে। উদীচির ঘটনায় আওয়ামী লীগের দায়িত্বহীনতা আর ২১শে আগষ্টের ঘটনায় বিএনপি সম্পৃক্ততা- মেরিট বিচারে দুটি যে সমান না সেটি কেউ বুঝতে না চাইলে সমস্যা।
আগের নির্বাচনে হাসিনার ধর্মীয় ভেক ধরা( ভেক ধরে হেরেছিলো, এবার ভেক না ধরেই জিতেছে), ক্ষমতার জন্য মরীয়া হয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে চুক্তি করা এসবের সমালোচনা ও নিন্দা করেছি যথাসময়ে, নেটে সার্চ করলে খুঁজে ও পাবো। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করা, অবৈধ সংশোধনী বাতিল করে সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনার মতো মৌলিক কাজগুলো করতে পারার সাহসের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাতে একটু ও দ্বিধা করবোনা।
অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা এখনো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে পারি, সংবিধানে এলেও সরকারের প্র্যাক্টিসে ধর্মনিরপেক্ষ না আসার নিন্দা করতে পারি কিন্তু সেই সাথে এটা যেনো না ভুলি- যতোটুকু হয়েছে অন্ততঃ অতোটুকু বিএনপি জামাত কোনদিন করতোনা আরো বেশী ক্ষতি করা ছাড়া।
আশা করছি এ প্রসঙ্গে আমাদের আর কথা বাড়ানোর কিছু নেই। আর কথা বাড়ালে সেটা পুনরাবৃত্তি হয়ে যাবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আরেকটি সংশোধনী দেই, শিশু একাডেমী ৮২/৮৩ নয়।শিশু একাডেমী স্থাপন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া ১৯৮০ সালে।
I heard few lectures of jakir naik...i found no false yet in his words and found logical opinion(with my little knowledge to judge).....Its true if Jakir naik is wrong u/we must not follow him....but untill i find him wrong i must give due respect to him.
নিচে দুইটা ভিডিও আছে, এই পোষ্টের শুরতে তার একটা বানী আছে, মন্তব্যে উপরের দিকে এসএমমাহবুব মুর্শেদ- টেরোরিজম বিষয়ে জাকির নায়েকের দৃষ্টিভঙ্গীর লিংক দিয়েছেন।
এগুলো দেখেছেন? যদি না দেখে থাকেন সময় করে দেখেন, তারপর একটু কষ্ট করে এসে জানাবেন due respect' ঠিকমতো আছে কিনা?
ও হ্যাঁ, অবশ্যই বাংলা লেখবেন। মন্তব্য ঘরের নীচে বাংলা লেখা সহজ পন্থা দেয়া আছে। প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হতে পারে, ঠিক হয়ে যাবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দুইটা ভিডিও যোগ করি পোষ্টে
১। 'যদি' লাদেন টেরোরিষ্ট হয় তাহলে প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য টেরোরিষ্ট হওয়া
২। অমুসলিমরা, মুসলমানদের সমান মানবাধিকার পেতে পারেনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
জোকার্নায়েক সাহেবের জন্য একটা যুতসই অভ্যর্থনার আয়োজন না করলেই নয়...
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
এই ধর্মজীবিটাকে বাংলাদেশে আসার ভিসা বাতিল করা হোক ।
সামনে সম্ভবত আরেকটা ঘোলা রাজনীতির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে ! এ সময়ের বর্তমান বাস্তবতায় বিতর্কিত এই ব্যক্তিটিকে এ দেশে ঢোকার অনুমতি দেয়ার মধ্যে রাষ্ট্রকর্তাদের বালখিল্য প্রয়াস হিসেবেই দেখছি।
একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজস্ব নাগরিক বোধে গজিয়ে ওঠা অনেকগুলো আশঙ্কার ছায়া যে মুছে ফেলতে পারছি না, তা হয়তো আমারই সীমাবদ্ধতা। তাঁর এ ভ্রমণ কি শুধুই ভ্রমণ !?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
একে কানাডা তে ঢুঁকতে দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এহেন নির্বুদ্ধিতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
ছাগলটাকে আটকানোর জন্য আমরা যদি বস্তা ভরে কাঁঠাল পাতা পাঠায় দেই কাজ হবে?
--- থাবা বাবা!
যেভাবেই হোক এই বেটার ভিসা বাতিল করা হোক।
:::::: :::::::: ::::::::::::::: ::::::::::::::: ::::::::: ::::::::: :::::: ::::::: ::::::::::::
অভিলাষী মন চন্দ্রে না-পাক জোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
এই লোকের ভিসা ইন্টারভিউ নিয়ে বাংলাদেশ, ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধী - এসব সম্পর্কে তার মতামত শুনে নেওয়া উচিত ও পারলে তা রেকর্ড করে রাখা উচিত। ভুলভাল বললে ওখানেই ভিসা বাতিল। আর ঠিকঠাক বললে ইউটিউবে তুলে পাকিস্তানীদের মধ্যে বিতরণ করতে হত। তাহলেই জাকির নায়েক আর ভিসা নিতে আসত না।
এর সভায় তো শুনেছি প্রশ্নোত্তর পর্বও হয়। ওখানে গিয়ে এগুলো নিয়ে প্রশ্ন রাখা যায় না?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
মুক্তমনা মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে এখন গর্ব করার মতো। আর কিছু না হলেও আমরা শহীদ মিনার সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই লোকের ভিসা বাতিলের জন্য মানব বন্ধন করতে পারি। একই সাথে তথ্য প্রমান সহকারে একটা আবেদন পত্র লিখে সেটা পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় এবং গুরুত্বপূর্ন জায়গায় দিতে পারি। তৈরি করতে পারি, সাধারণের মাঝে সচেতনতা জাগরণের জন্য লিফলেট।
অনেকেই বলতে পারেন, এতে করে ব্যাটাকে পাত্তা দেওয়া হয়ে যাবে। আমি এভাবে দেখছি না ব্যাপারটা। আমি দেখছি, ধর্মান্ধগুলাকে দেখায়ে দেবার জন্য যে, আমরাও আছি!
জোকার নায়েকের সরাসরি কোনো ভিডিও'র সমালোচনা আছে কি? যেমন, বক্তব্য শেষ হবার পরে এক/দুই মিনিটের ভয়েস ওভারে বা লেখায় সমালোচনা জাতীয়? থাকলে ওটা শেয়ার করা যেতো এবং ইফেক্টিভ হতো।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন-ই প্রচুর পরিমানে ভারতীয় নাগরিক আসছেন। বেশিরভাগ যদিও ব্যবসার কারনে, এর মাঝেও কিছু ছাগু ঢুকে যাওয়া বিচিত্র নয়। এ জাতীয় বিশেষায়িত 'অতিথি'দের জন্য ভিসা নীতিমালা ভিন্ন হওয়া উচিৎ।
এই ছাগুর বাংলাদেশে আসা আটকাতে হবে। স্ট্র্যাটেজি নেয়া উচিৎ, যাতে সরকার বাধ্য হয় ভিসা বাতিল করতে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সিমন ভাই, উইকি ইসলামে জাকির নায়েকের অনেকগুলো কুযুক্তি পয়েন্ট ধরে বিশ্লেষণ করা আছে। ভিডিও চাইলে এখান থেকে বানিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে জোকারনায়েকের ভক্তরা এটা পড়ে দেখার টাইম করতে পারে না কেউ।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ধন্যবাদ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
জোকার নায়েকের আগমন বাংলাদেশের জন্য নতুন সংকট তৈরি করবে তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।
শাখের করাত
বাংলাদেশ সরকার জোকার নায়েককে ভিসা না দিলে মগবাজার গং এবং তার সতীর্থরা সরকারের ইসলাম বিদ্বেষ আবিষ্কার করবে। সমিকরণ মেলাবে যে এই সরকার ইসলামের দুশমন তাই যুদ্ধপরাধীদের বিচারের নামে জামাতকে সাইজ করছে।
ভারত একই কারণে নায়েকের বিরোদ্ধে সম্ভবত কোন একসন নিচ্ছে না।
ভারত বা অন্যকোন রাষ্ট্রের কোন মুসলিম সংগঠন নায়কের বিরোদ্ধে আন্তর্জাতিক বা দেশীয় আদালতে ধর্মের নামে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি নষ্ট করছে এই অভিযোগে মামলা করলে সরকারের জন্য নায়ককে গর্তে রাখার কাজটা সহজ হতো।
কিন্তু ঝামেলা হলো নায়েক নায়ক (হিরো) হয়ে যাবে।
আপাতত দেশে কাঠাল পাতার আকাল পড়বে, কিন্তু বেশী দিন সে সংকট থাকবে না।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
সরকার তার অবস্থানে দৃঢ় থাকলে কিচ্ছু হবেনা।
নিজামী-সাঈদীদের ধরার আগে এরকম বহু জুজুর ভয়ের কথা শুনেছি। দেশ অচল হয়ে যাবে, গৃহযুদ্ধ লেগে যাবে। সাধারন পুলিশের ঠ্যাঙ্গানী খেয়েই যুদ্ধের সাধ মিটে গেছে।
বরং এই লোক এলে, এটাকে উপলক্ষ করে কোন কোন গ্রুপ রিফ্রেশ হবে, প্রনোদনা পাবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একমত।
দৃঢ় অবস্থানের সরকার অরণ্য রোধন হয়েই রইল!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
নিজের দেশ নিয়ে গর্ববোধ-ই ছিলো, লজ্জিত বোধ করতে শুরু করেছিলাম যখন ফেসবুক নিষিদ্ধ করা হলো।আজকে দ্বিতীয়বার লজ্জিত বোধ করছি।
জাকির নায়েকের বক্তব্য নোংরা এটা বুঝতে যাদের মানবিক অনুভূতির বাইরে আর কিছু লাগে, তাদের পরিচ্ছন্নতাবোধ নিয়ে কোন মন্তব্য করার নেই। এই সব 'জাকির নায়েকিয়ান' প্রাণী যদি এই হারে বাড়তে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পরিচয় কি হবে আমি ভাবতে চাই না।
উদ্ধৃতি
"বরং এই লোক এলে, এটাকে উপলক্ষ করে কোন কোন গ্রুপ রিফ্রেশ হবে, প্রনোদনা পাবে।"
একমত।
জোকার নায়েক আসার প্রতিবাদ করায় সচলে কয়েকটা ছাগু যেভাবে প্যাচাল পারলো তাতে বুঝাই যায় ঐ ছাগুটা একবার বাংলায় ঢুকতে পারলে আরো কিছু ছাগুর জন্ম দিতে তার তেমন একটা বেগ পেতে হবে না ।তাই যে করেই হোক ঐ ছাগুটাকে আটকাতে হবে ।
জাগো বাহে________________ কোন্ঠে সবাই ?
জোকার নালায়েকের মুরীদ এবং তার পক্ষ নিয়ে যুক্তিপ্রদর্শনকারীদের জন্য
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জাকির নায়েকের টেলিভাইজড যেসব ভাষণ বা প্রশ্নোত্তর চোখে পড়েছে তাতে নিয়ন্ত্রিত প্রোপাগান্ডাই বেশী মনে হয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন লেজেহোমোও বড় কবি ছিল, আজকাল তার কবিতার আর তেমন সুনাম শোনা যায়না। যেসব বিষয়ে ভদ্রলোকের কিছুটা দখল আছে বা বলে আরাম পান, সেইগুলো টপিকেই ঘুরেফিরে প্রশ্নোত্তর আর বক্তৃতা আর হাততালি। ইসলামের মূলনীতি, প্রায়োগিক ও ব্যাবহারিক দিকগুলোর একটা ক্ষূদ্র সাবসেটের ভেতরেই চক্কর খায় সব কথা। শুধু এইটুকু দেখার জন্য কোন লাইভ অনুষ্ঠানে যাবার ইচ্ছে আছে, যে আসলেই কি অন্য কোন বিষয়ে কেউ প্রশ্ন করেনা? গত দশ বছরে দেওয়ানবাগী আর নায়েক এই দুজনকেই দেখলাম খুব বাড়তে…
তবে এই পাতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাক্তিগত ও প্রায়োগিক জীবনে ইসলামের নীতিকে সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও ব্যাক্তিগত পছন্দের ওপরে অগ্রাধিকার দেন এরকম মানুষের সংখ্যা কম। তাই কিছু ক্ষেত্রে জাকির নায়েকের বক্তব্যের সত্যতা ও যুক্তি ইসলামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকলেও তা নিয়ে এখানে আলোচনা অবান্তর। কয় দিনেরই দুনিয়া
এই পোষ্টে জাকির নায়েকের যেসব উদ্বৃতি ও ভিডিও সংযোজন করা হয়েছে, সেগুলো বিষয়ে আপনার মতামত কি?
ধরেন আমি ব্যক্তিগত ও প্রায়োগিক জীবনে ইসলামের নীতিকে সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও ব্যাক্তিগত পছন্দের ওপরে অগ্রাধিকার দেই। সে ক্ষেত্রে জাকির নায়েককে আমার কোন দৃষ্টিতে বিবেচনা করা উচিত? নায়ক না ভিলেন? গ্রহনীয় না বর্জনীয়?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এক কথায় বললে জাকির নায়েকের ম্যারাথন লেকচারের চেয়ে এই ধরণের কথা আমার কাছে বাস্তবসম্মত মনে হয়।
আমার কমেন্টের প্রথমাংশে বলেছি যে কি ধরণের বিষয়ের কারণে জাকির নায়েকের বড় ফ্যান না, একই সাথে মাযহাব অনুসরণ নিয়ে গোলগাল কথা, নিজে আলেম না হয়ে ডানে বামে ননস্টপ ফতোয়া বিতরণ করা আরো কিছু বিষয়ের কারণে মূলত আমি এই ভদ্রলোকের থেকে তফাতে থাকি।
অনেক দিন বাইরে থাকার পরে বাংলাদেশে এসে যখন দেখলাম যে কাঁটাবন মসজিদ প্রকাশনাগোষ্ঠী এই লোকেরে নিয়ে খুব বেশী লম্ফঝম্প করছে সিডি, অনুবাদ, বই সব রেডী করে ফেলেছে তখন থেকেই আমার উপসংহার হল, এর থেকে বাংলাদেশে খুব বেশী কল্যাণ আশা করিনা।
৭৬'এর ছয়দফা নিয়ে জানা ছিলোনা, দেখা যাচ্ছে মাস্টারপ্ল্যানে এরা অন ট্র্যাকেই আছে। অনেক সময়েই বাঘের চেয় ইঁদুর ভয়ঙ্কর, ইঁদুরের চেয়ে ঘুনপোকা। এরা একটা পর একটা কীট পাঠাতেই থাকবে যতদিন না উদ্দেশ্য সফল হয়। তাই সাধু সাবধান!
পরবর্তী প্রতিমন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছি। আশা করি ভাল থাকবেন।
এক কথায় বললে জাকির নায়েকের ম্যারাথন লেকচারের চেয়ে এই ধরণের কথা আমার কাছে বাস্তবসম্মত মনে হয়।
জগতের সবকিছুই আপেক্ষিক, কিন্তু আপনার লিঙ্কের কিছু বাণী আমার মনে দুই একটা সন্দেহের বীজ বপন করেছে। বাণীগুলো আগেঃ
১) "ইসলামের সাথে এ দেশের সম্পর্ক কোন অবস্থাতেই যেন বিন্দুমাত্র শিথিল না হয় সে ব্যাপারে আপনাদেরকে পূর্ণ সচেতন থাকতে হবে। যে দেশ এবং যে জাতির জন্য আল্লাহপাক আমাদের নির্বাচিত করেছেন তাদের ব্যাপারে অবশ্যই আপনাদেরকে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে।"
২) " ইখলাস ও আত্মত্যাগ এবং প্রেম ও নিঃস্বার্থতা দিয়ে জাতির সেই অংশটিকে প্রভাবিত করুন, যাদের হাতে দেশ শাসনের ভার অর্পিত হয়েছে। কিংবা অদূরভবিষ্যতে যাদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হতে যাচ্ছে।"
৩) "দুটি শক্তির হাত থেকে নেতৃত্ব ছিনিয়ে আনতে হবে। অমুসলিম শক্তির হাত থেকে এবং অনৈসলামী শক্তির হাত থেকে। অনৈসলামী শক্তি বলতে সে সব নামধারী মুসলিম লেখক, সাহিত্যিকের কথাই আমি বোঝাতে চাচ্ছি, যাদের মন-মগজ এবং চিন্তয়া ও কর্ম ইসলামী নয়।"
৪) "তোমাদের পয়লা নম্বরের কাজ হল এ দেশে ইসলামের অস্তিত্ব রক্ষা করা। ইসলামের সাথে জাতির সম্পর্ক অটুট রাখা। দ্বিতীয় কাজ হল যে কোন মূল্যে দেশ ও জাতির নেতৃত্ব এবং সঠিক পথ নির্দেশন নিজেদের হাতে নিতে হবে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাধান্য অর্জন ছাড়া কখনো সম্ভব নয়।"
এখন আমার সন্দেহঃ
জোকার নায়েকের ভাঁড়মির চাইতে বরং বাংলা ভাষায় ও 'যে কোন মূল্যে' বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা হননকে আপনার বেশী বাস্তবসম্মত মনে হয়েছে।
এটা নিছক সন্দেহ। বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে।
সমস্যা হচ্ছে, কিছু কিছু কাজের ইফেক্ট এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে তাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল হওয়াটা যথেষ্ট না ... ধরেন, আপনি বইপত্র পড়ে কোন ডিগ্রি বা ট্রেনিং ছাড়াই জনসেবার মহান ব্রত নিয়া ডাক্তারি করতে নামলেন; দশটা রোগী দেখে আটটারে ভালো করলেন, আর বাকি দুইজনরে ভুলভাল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেললেন ... এখন আপনার চ্যালারা এসে যতই যুক্তি দেক যে আপনি জনসেবা করতেছেন, বা আপনি আটটা রোগী ভালো করছেন; আপনার শাস্তি ঠেকানোর জন্য সেটা যথেষ্ট না ...
জাকির নায়েক যত ভালো ভালো কথাই বলুক মাঝে মাঝে এমন এক দুইটা "ইসলামিক রাষ্ট্রে অমুসলিমরা উপাসনালয় বানাইতে পারবে না" বা "অবিবাহিত মেয়ে মানে হচ্ছে পাবলিক প্রপার্টি" টাইপ ডায়লগই ইসলামের যেটুকু ইমেজ অবশিষ্ট আছে সেটাকে মাটির বিশ হাতে নিচে গেঁড়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
জাকির নায়েক যদি বলেন অমুসলিমদের ইসলাম গ্রহণ করা উচিৎ অথবা ভিন্নগ্রন্থে ইসলামের ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে তাহলে সেইটা নিয়ে আমি দ্বিমত করব না। কারণ আমার জানামতে একই জিনিষ আল্লাহর নবীও বলেছেন বা করেছেন।
একই সাথে আমি যতটুকু জানি অমুসলিমগণ সংখ্যালঘু হলে তাদের প্রয়োজন মোতাবিক উপাসনা তৈরি করে দেয়া, তার রক্ষণাবেক্ষণ ও তার ধর্মগুরুদের বেতনাদির ব্যাবস্থা করা মুসলমানদের দায়িত্বগুলোর মধ্যে একটি। জাকির সাহেব দ্বিমত করলেও আমার দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য।
অবিবাহিত নারী মোটেই পাবলিক প্রোপার্টি না, তবে উপযুক্ত বয়সের পুরুষ ও নারী উভয়কেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবার জন্য ইসলাম যথেষ্ট উৎসাহিত করে বলেই আমি জানি। বর্তমান সমাজে যেকোন পুরুষ ও নারী পরস্পর রাজী থাকলেই ইচ্ছেমত সম্পর্ক করতে পারবে এই নীতি অবশ্যই ইসলামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় একই সাথে কাউকে জোর করে বিয়ের পিড়িতে বসানোও শোভন নয়।
আল্লাহ, নবী-রাসুল এবং আম-মুসলিম প্রত্যেকের দায়িত্ব আলাদা। এজন্য আল্লাহ কাফের মুশরিকরা দোযখে যাবে, তারা অভিশপ্ত ইত্যাদি বললেও আমি-আপনি কোনো অমুসলিমকে অভিশপ্ত বলার অধিকার নাই। নবী এবং আমার-আপনার জন্যও ভিন্ন নির্দেশ। উদাহরণ: বিয়ের পারমিশন।
এরপরে আপনার মন্তব্যের 'উচিৎ' শব্দটা অনেক বেশি শক্ত শব্দ। ইসলামের অ্যাপ্রোচ হলো কাউকে বিরক্ত না করে আহবান জানানো। আহবানটা সে গ্রহণ না করলে তার উচিৎ-অনুচিৎ নিয়ে পাকনামি করার জন্য ইসলাম না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যা দেখছি তা অনেকই খুব সচেতন। যাক খুব ভাল, তবে শুধু জানার নাম মুসলিম না মানার নাম মুসলিম
ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
ভিসা প্রত্যাহার করা হোক।
খাইছে। ভাই, এট্টু জিরায়া লন এ্যালা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভিসা কোন দূতাবাস মারফত নেয়া হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন, কে সেখানে রাষ্ট্রদূত ছিলেন, কিজন্য তিনি ভিসা দিলেন? এগুলো চিহ্নিত করা দরকার। যারা দেশে জোকার এর পৃষ্ঠপোশক তারা নিশ্চিতভাবে এগুলো 'ম্যানেজ' করেছে। কারা এর সাথে জড়িত মূল ব্যক্তিবর্গ? তাদের পরিচয়ও তুলে আনা দরকার।মিডিয়ার কাছে অনুসন্ধান মূলক প্রতিবেদন আশা করছি। সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা যদি এসম্পর্কে অবহিত না থেকে থাকতেন তাহলে তাদের এখনো পদক্ষেপ নেবার সুযোগ আছে। সর্বোপরি এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
(হালকা মন্তব্য করার লোভ সামলাতে পারলাম নাঃ ব্যাটা যদি চলে আসেই, তবে চিড়িয়াখানায় আরেকটা খাঁচা বাড়ানো হউক!)
রাশু
এই ছাগুর ভিসা অবিলম্বে বাতিল করা হোক... না হলে এই দেশে এসে ঐ ছাগু আরো ছাগু-ছানার জন্ম দেবে...
আইতে দেন! তারপর দেখা যাক।
শিক্ষানবিশ এর এই পোস্টের যুক্তিগুলো তার লেকচারে(!) গিয়ে কেউ তুলতে পারবেন? আমার দুর্ভাগ্য আমি বাংলাদেশে সেসময় থাকবো না।
সাথে বহুবিবাহ নিয়ে তার যুক্তিগুলো(১। অনেক মেয়েকে হয় বহুবিবাহ করতে হবে নয়তো "পাবলিক প্রোপার্টি" হতে হবে, ২। নারীর সংখ্যা পৃথিবীতে পুরুষের চেয়ে বেশি(এখানে এইজ ফ্যাক্টর কাজ করে)) সেগুলো প্রশ্ন করা দরকার।
তখন দেখবো তিনি ক্ষমা চান কিনা। অথবা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন কিনা।
আমি এক জাকির নায়েক ভক্তের কাছে এসব ভুল তুলতেই সে বললো তার লেকচার অনুষ্ঠানে এসব তুলতে। সেখানে নাকি বাধাহীন প্রশ্ন করা যায়। তাই এই চিন্তা আমার।
সাথে অতি অবশ্যই যে টপিকটিতে প্রশ্ন করা দরকার : "আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার ভাবনা।" তিনি না জানলে পড়াশোনা করে উত্তর দেবার যথেষ্ট সময় পাবেন(১১ দিন বাংলাদেশে থাকছেন যেহেতু)। বোঝা যাবে তখন।
সরকার ভিসা যেহেতু দিয়েছেন মতলব নিশ্চয়ই একটা আছে । বিসমিল্লা ..........রাহীম, আমরা এখন ধর্ম নিরপেক্ষ । মাওলানা জাকির আমাদের এই " Islamic Secularism " এর একটা ব্যাখ্যা সম্ভবত দিবেন।
Dear Sir,
Please don't quote someone out of context and reference. YES, I am a fan of Jakir Nayek. I know a sarcastic comment will follow this from you. I like Mr. Nayek because his explanation of Islamic laws and views are very rational and justified. I have followed many lectures (obviously more than you) and none have I found pro-terrorist element. Some people find just saying 'Allahu Akbar' with a little bit zeal is being pro-terrorist. And also your notion of integrating Mr. Nayek and our pro-islamic political parties are quite typical 'Intellectual'-alike of our country. If you see someone with a beard and Tupi; your mind just judge him as an anti-'71, hard liner, not a liberal person.
In your many writing you often mix up secularism and atheism/anti-religionism. I consider myself a secular. I am muslim but I do understand and respect other religions. And when it comes to politics I also do not want a pro-religious party. That’s Secularism. I am quite a secular person.
And in other hand, if you do not like a particular religion or the concept of religion in total that is a different and you my friend belong it category I believe. No animosity. I have many atheist friends and the person I love is an atheist.
But Bangladesh is not a atheist country; it’s a secular one like Israel, US, UK. So if you are trying to say that a preacher's preaching is not to be allowed, that’s also not constitutional. The religions will stay here and should be so.
Sorry for not writing it on Bangla. Not good with the typing, also always got a lower grade in Bangla papers.
ArmanUrdho4you
ডিয়ার সার,
বাংলায় লেখেন।
কোরানে স্পষ্ট বলা আছে মুসলিম রাষ্ট্রে নন-মুসলিমদের জিজিয়া দিতে হবে [১]। নন-মুসলিমরা তাদের ধর্ম পালন করতে গিয়ে উচ্চ শব্দ করতে পারবে না। এবার বলে সেক্যুলারিজম এবং ইসলাম কিভাবে মিলে মিশে থাকবে?
[১] http://en.wikipedia.org/wiki/Jizya
এই লেখাটা চমত্কার হয়েছে। বহুবিবাহ বিষয়ে জাকির সাহেবের সেই লেকচারটা খুবই অশ্লিল। মেয়েদের চরম অসম্মান করে মন্তব্য করা হয়েছে। ভিডিও ক্লিপটা দেখে বিবমিষা জেগেছিল। কিন্তু তার টেররিস্ট বিষয়ক লেকচারটাকে বোধহয় সবাই মিসইন্টারপ্রিট করে। উনি রিটালিইয়শন এর কথা বলেছেন। কুরান কিন্তু রিটালিয়েশন করতে বলে। আল-কুরান, সুরা নিসা, আয়াত ৮৯ দ্রষ্টব্য।
একটি লোকের (মুখস্ত) কথা শুনে সময় নষ্ট না করে ধর্মীয় বই (কেতাব, কোরান) পড়লেই তো নিজে ও একদিন পণ্ডিত হয়ে উঠতে পারেন। টিভি, স্যাটেলাইট, ভিডিও এ সব ই তো কাফের(!) দের বানানো। তো এটা হালাল হয়ে গেলো কোন ফতুয়ায়??
শিক্ষিত ধড়িবাজদের কথা বাদ ই দিলাম। কিছু লোক তো অনেক আগে থেকেই আবুল আলা মওদুদি'র অনুসারী। তারা ও তো পারতো আসল সত্য টা সঠিক ভাবে বলতে? কিন্তু হাজার বছর আগের সেই সব কোরান, কেতাব বোধকরি আজ পুরনো হয়ে গেছে, তা না হলে মানুষের দেয়া ফতুয়ার দরকার পড়বে কেন? কেন প্রযুক্তির এই স্বর্ণ যুগে ও আমরা সূর্যের দিকে পেছন ফিরে মশালের আলোকে বন্দনা করছি? আলো আলোকিত করে কিন্তু আগুন বিশ্বাস কে ও পুড়িয়ে দেয়।
লোভ ই মানুষ কে আর মানুষ থাকতে দিলনা, তা বেহেস্তের লোভ ও......
...............................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................
তীর্থের পথে শুনি দেবতা পাতকী
নতুন মন্তব্য করুন